তুমি_আছো_মনের_গহীনে 💖
পর্ব- ৩৮
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
সকলের সামনে প্রাক্তন এইভাবে জড়িয়ে ধরায় অস্বস্হিতে শরীরটা জ্বলে যাচ্ছে মেহেভীনের।
আরহাম রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেললো। আরহাম বাবা-মা এখনো মাথা নিচু করেই বসে আছেন। তাদের দেখে খুব ভালো করেই বুঝা যাচ্ছে অভ্র তাদের সবকিছুই বলে দিয়েছে।মেহেভীনকে ছাড়িয়ে, অভ্র মেহেভীনের ললাটে ধরে বল, ‘ আমি সবকিছু জেনে গিয়েছি আমি। সবটা।
আমি জানি তোর গর্ভে আমার সন্তান বেড়ে উঠছে। আরহামের সাথে তোর বিয়ে হয়নি। সবটাই তোর নাটক। আমাকে পোড়ানোর জন্যেই এতোকিছু করেছিস তাইনা? ‘
মেহেভীন অভ্রের থেকে দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। বুকটা তার কেঁপে উঠলো অভ্রের কথা শুনে। মনে মনে যা সন্দেহ করেছিলো,সেইটাই ঠিক। অভ্র সবকিছুই জেনে গেছে। মেহেভীনকে এইভাবে নিজের থেকে দূরে সরে যেতে দেখে, অভ্র মেহেভীনের কাছে গিয়ে বলে,
‘ আমি জানি আমি যা করেছি তা অন্যায়,কিন্তু বিশ্বাস কর আমি যা করেছি এর পিছনেও কিছু কারন লুকিয়ে আছে। তা তোকে জানতে হবে,কিন্তু তুই তার আগে আমার সাথে আমার বাড়িতে চল।
এই কয়দিনে তোর থেকে দূরে থেকে আমি হারে হারে টের পেয়েছি তোকে আমি অনেক ভালোবেসে ফেলেছি রে,নিজের অজান্তেই। তোকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না রে মেহু। ‘
‘ আর মায়রা? তাকে বুঝি তুমি ভালোবাসো না? একদিন তো মায়রার যোগ্যতাই তোমার কাছে সবকিছু ছিলো। মায়রাকেই তো ভালোবেসে, আমার সাথে ভালোবাসার নাটক করেছিলে তাইনা অভ্র?আমাকে তো শুধু ব্যবহারই করা যায়। আজ মায়রার প্রতি তোমার ভালোবাসা ট্রান্সফার হয়ে, আমার কাছে চলে এলো? যাকে শুধু তুমি ব্যবহার করার বস্তু মনে করতে। ‘
মেহেভীনের কঠোর কথায়, অভ্র আমতা আমতা করে বলে,
‘ মায়রার স্ট্যাটাস ছিলো একটা। মায়রা মর্ডান। তাই মায়রার সাথে আমি রিলেশনে গিয়েছিলাম। মায়রাকে আমি পছন্দ করতাম। সেই পছন্দটাকেই আমি ভালোবাসা বলে চালিয়ে দিয়েছি,কিন্তু তোর সাথে মিথ্যে ভালোবাসার অভিনয় করতে গিয়ে, তোকে আমি অনেকটা ভালোবেসে ফেলেছিরে মেহু। তা আমি আজ উপলব্ধি করেছি, তুই প্লিয এখন
আমার সাথে চল। আর এখন তো আমাদের সন্তানও আসতে চলেছে, তাই আমরা এখন একসাথে থাকবো। খুব সুখে থাকবো।’
মেহেভীনের রাগে থরথর করে কাঁপছে, সে অভ্রের ডান গালে অভ্রকে ঠাস করে চর বসিয়ে দেয়। অভ্র অবাক হয়ে মেহেভীনের দিকে তাকাতেই, মেহেভীনে অভ্রের আরেকগালে চর বসিয়ে দেয়। উপস্হিত সবাই অবাক! মেহেভীন যে এতোটা রেগে গিয়ে,অভ্রকে থাপ্পড় মেরে বসবে, তা কেউ ভাবেনি।
মেহেভীন অভ্রের দিকে এগোতে এগোতে কড়া গলায় বলে,
‘ তুমি আগেও অমানুষ ছিলে,আজকেও অমানুষ আছো তুমি। আমার মনটা নিয়েও খেলেছো আজ তুমি মায়রাকে নিয়েও খেলছো । মেয়েদের কি তুমি নিজের খেলনা মনে করো?আজ একে ভালোবাসলাম কাল অন্য কাউকে? সন্তানের কথা বলছো তুমি? যেদিন তোমার মা তোমার সন্তানকে এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলেছিলো,সেদিন কোথায় ছিলে তুমি? সেদিন তো তুমি নিজের বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত ছিলে। আমি তোমাকে আমাদের সন্তানের কথা জানাতে চেয়েছিলাম,কিন্তু পারেনি। কেননা তোমার তো শুধু তখন নিজের বিয়ে ছাড়া আর কোনকিছুই মাথাতে ছিলো না। আর আজ তুমি সন্তানের উপর অধিকার বসাতে এসেছো? ‘
মেহেভীনের কথায় সবাই আরেকদফা চমকে যায়। সবার ভিতরেই অস্হিরতা বেড়ে যায়। কেউ ভাবেনি অভ্রের মা ইশরা বেগম মেহেভীনের সন্তানকে এই পৃথিবীতে আসার আগেই, মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। আরহাম ছলছল দৃষ্টিতে মেহেভীনের দিকে তাকায়। মেয়েটা যেন কথাগুলো বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলছে। কতটা কষ্টের মধ্যে মেয়েটা গিয়েছে। অভ্র মেহেভীনের হাত পুনরায় ধরে, ধরা গলায় বলে,
‘আমি যদি সত্যি জানতাম আমাদের সন্তানের কথা,তাহলে এইসব কিছুই হতো না। আমার মা যে এতোটা নিচে নামবে আমি কখনো ভাবেনি। এখন আমি বলছি তো আমাকে একটিবার সুযোগ দে। সব ঠিক করে দিবো আমি। তুই এখুনি আমার সাথে আমার বাড়িতে যাবি। ‘
কথাটি বলে অভ্র মেহেভীনকে জোড় করে হাত ধরে বাইরে নিয়ে যেতে থাকে,তখনি পিছন থেকে মেহেভীনের হাত আরহাম ধরে, একপ্রকার হেচকা টান দিয়ে, মেহেভীনকে নিজের কাছে নিয়ে আসে। মেহেভীন আরহামের পিছনে গিয়ে, নিজেকে আড়াল করে ফেলে। অভ্র অস্হির হয়ে বলে,
‘ এইসব কি আরহাম? তুই আমার আর মেহুর মাঝে ঢুকছিস কেন? দেখ মেহুর গর্ভে আমার সন্তান। আমার অধিকার আছে মেহুর উপর এবং আমার সন্তানের উপর। তুই মেহুকে ছেড়ে দে। মেহু আমার সাথে আমার বাড়িতে যাবে। ‘
অভ্র মেহেভীনের দিকে এগোতে নিলে, মেহেভীন আরহামের শার্ট শক্ত করে খামচে ধরে এবং আরহামের দিকে অসহায়ের দৃষ্টিতে তাকায়,যার মানে কিছুতেই অভ্রের সাথে যাবে না। সে কিছুতেই অভ্রকে বিশ্বাস করেনা। আরহাম মেহেভীনকে নিজের থেকে আস্তে করে ছাড়িয়ে নিয়ে, অভ্রের নাক বরাবর ঘুষি দেয়। অভ্র মুখ থবড়ে মাটিতে পড়ে যায়।
এতোটা জোড়ে ঘুষি দেওয়ার ফলে, অভ্রের মুখ কেটে রক্ত বেড়িয়ে গেছে। অভ্র রাগে ফুশছে। আরিয়ান তার ভাইয়ের কাছে গিয়ে বলে,’ ভাই তুই কি করছিস? ‘
আরহামের বাবা- মাও চমকে যায় ছেলের কান্ডে। আরহামের বাবা গম্ভীর সুরে বলে,
‘ আরহাম! অভ্র তোমার ভাই হয়। এইভাবে তাকে মারতে পারো না তুমি তাকে। ‘
আরহাম তার বাবার কথার উত্তরে বললো,
‘ এতোদিন আমার যা করা উচিৎ ছিলো, তা আমি আজ করলাম। আজ আমাকে কেউ বাঁধা দিবে না। ‘
মুহুর্তেই পরিস্হিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠে। মেহেভীন দাঁড়িয়ে আছে। চোখ দিয়ে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। আরহাম গিয়ে, অভ্রকে শার্ট চেপে ধরে রাগে চিৎকার করে বলে,
‘ অনেক্ষন ধরে সহ্য করছি অভ্র। তুই কি ভেবেছিস তুই যখন যা চাইবি তাই হবে? ‘একবার আমাকে ভালোবাসা আমার মেহেভীনকে আমি তোকে দিয়েছিলাম, কিন্তু তুই আমার মেহেভীনের মর্যাদা দিতে পারিস নি। আমার মেহেভীনের জীবন থেকে সমস্ত সুখ তুই কেড়ে নিয়েছিস। আমার জীবনের সব থেকে বড় ভূল হলো আমি তোর মতো প্রতারকের কাছে বিশ্বাস করে, আমার মেহেভীনকে রেখে গিয়েছিলাম,কিন্তু আজ সেই ভূল আমি দ্বিতীয়বার করবো না। কোন অধিকার নেই তোর মেহেভীন কিংবা বেবীর উপর। ‘
আরহাম মেহেভীনকে ভালোবাসে এই কথাটি নির্দ্বিধায় বলে ফেললো। মেহেভীন কখনো ভাবেনি আরহাম এতো সহজে সবার সামনে সবকিছু বলে দিয়েছে।
অভ্র বিদ্রুপ হাঁসে। হাঁসিটু্ুকুও নিয়েই উঠে দাঁড়িয়ে বলে,
‘ আমি আমার অধিকার নিয়েই ছাড়বো আরহাম হাসান তালুকদার। অভ্র তার ভালোবাসা কেড়ে নিতে জানে। ‘
অভ্র কথাটি বলেই রেগে হনহন করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। অভ্র বেড়িয়ে যেতেই, আরহাম মেহেভীনের কাছে এসে, মেহেভীনকে আশ্বাস দিয়ে, হাতটুকু শক্ত করে চেপে ধরে। যার মানে সে কিছুতেই মেহেভীনকে অভ্রের কাছে যেতে দিবে। সবসময় আগলে রাখবে মেহেভীন এবং তার বেবীকে।মেহেভীন ও নিশ্চিন্ত হয়। এই মানুষটা ছাড়া আর কাউকে সে এতোটা ভরসা করতে পারেনা। মেহেভীন এইবার আরহামের বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে অপরাধীর ন্যায় মাথা নিচু করে ফেলে। মেহেভীন ভাবছে এতোদিন মিথ্যে বলে বাড়িতে থাকার ফলে,হয়তো মেহেভীনের বাবা-মা তাকে ভূল বুঝছে।আরহামের মা মেহেভীনের কাছে এসে , গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
‘ আমি তোমাকে ভরসা করেছিলাম মেহেভীন,কিন্তু তুমি আমার ভরসাটা এইভাবে ভেঙ্গে না দিলেও পারতে। ‘
মেহেভীন ফুপিশে কেঁদে উঠে। আরহাম কিছু বলতে নিলে,আরহামের মা বললেন,
‘ আমি এখন আর কিছু শুনতে চাইনা। আমি উপরে যাচ্ছি। কিচ্ছু ভালো লাগছে না আমার। তোমার কাছে তো অন্তত কিছু শুনতেই চাই না আমি আরহাম। ‘
‘ মা! ‘
‘ সবার সামনে মেহেভীনকে ভালোবাসার কথা বললে যে, তোমার মুখে কি একটুও বাঁধলো না আরহাম? যে তোমারই ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রী এবং সন্তানের মা হতে চলেছে। ‘
আরহাম পকেটে হাত গুজে নির্লিপ্ত কন্ঠে বললো,
‘ আমি মেহেভীনকে ভালোবাসি, তাতে কোন ভূল হতে পারে বলে আমি মনে করি না। কেননা মেহেভীনের কোন ভূল নেই এতে। যা করেছে সব অভ্র এবং ছোট মা করেছে। ‘
‘ তোমাকে আমার সত্যি কিছু বলার নেই। তুমি একেবারে অন্ধ হয়ে গেছো,ভালোবাসায় আরহাম। আর তোমার মাথাটা যে কন্টিনিয়াসলি কেউ খাচ্ছে, সেইটাও বুঝতে পারছি৷ ‘
ক্রোধান্তিত হয়েকথাটি বলেই আরহামের মা গটগট করে উপরে চলে গেলেন। আরহামের বাবা ও দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে গেলেন। মেহেভীন খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে, আরহামের মা তাকেই কথাগুলো উদ্দেশ্য করে বলেছে। আরহাম তার মাকে আটকাতে চাইলেও পারেনা।মেহেভীন এখন কি করবে বুঝতে পারছে না? মানুষগুলো তাকে এইভাবে ভূল বুঝছে।আজ তাদের চোখেই মেহেভীন ছোট হয়ে গেলো। যারা একসময় তাকে এতোটা ভালোবাসতো। বুক ফেটে কান্না আসছে তার।
আরিয়ান এসে মেহেভীনের কাঁধে হাত রাখলো।
_________
ইশরা বেগম চারদিকে রুমে পাইচারি করে যাচ্ছেন, অভ্র এখন সবকিছু জেনে গিয়েছে, এখন সে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। তার কাছে শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছে, সেদিন যদি সত্যি বাচ্ছাটাকে মেরে ফেলতে পারতো,তাহলে এই দিন দেখতে হতো না। ইশরা বেগমের ভাবনার মাঝেই, মায়রা ব্যাগ হাতে নিয়ে বেড়িয়ে এলো। ইশরা বেগম মায়রাকে ব্যাগ হাতে নিতে বেড়োতে নিলে বুঝে গেলেন মায়রা নিজের বাবার বাড়ি চলে যাচ্ছে। ইশরা বেগম বললেন,
‘ মায়রা তুমি কি সত্যি চলে যাবে? ‘
মায়রা তেজি গলায় বললো,
‘ তা নাহলে কি করবো বলুন? আপনার ছেলে যা শুরু করেছে। প্রাক্তনের প্রতি ভালোবাসা উতলে উঠেছে তার। বাচ্ছার অধিকারের জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে,এদিকে যে আমার গর্ভে অভ্রের সন্তান বেড়ে উঠেছে সেদিকে কোন খেয়াল আছে ওর? মেহেভীনের গর্ভে যে বাচ্ছা রয়েছে, শুধু অভ্রের কাছে একটা অস্ত্র মাত্র, যার মাধ্যমে অভ্র এখন মেহেভীনকে পেতে চায়। ‘
‘ মায়রা আমার কথা টা শুনো তো? ‘
মায়রা নিজের চোখের জলটুকু মুছে, অভ্রের মাকে থামিয়ে বলে,
‘ আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাইনা। আপনার কি মনে হয়না? আজ যা কিছু হচ্ছে তার পিছনে আপনার দায় সবথেকে বেশি। আপনার জন্যে আজ এতোকিছু। আমার সব থেকে বড় ভূল হলো আমি আপনাদের সাহায্য করেছিলাম। আসলে অভ্রকে ভালোবাসতাম তো,তাই অতীতে এইরকম একটা অন্যায়টাতে হাত মিলিয়েছিলাম। তার ফল ও পাচ্ছি আমি। ‘
ইশরা বেগম চুপ করে আছেন। মায়রা আবারোও গলায় কন্ঠিন্য এনে বললো,
‘অভ্রকে আমি কিছুতেই ছাড়বো না। মেহেভীনকে তো নাই। সবাইকে আমি দেখে নিবো। আমার বাপির কাছে গিয়ে, আমি সব খুলে বলবো। ‘
মায়রা হাতের ব্যাগটা নিয়েই বেড়িয়ে গেলো। ইশরা বেগম বুঝতে পারলেন, মায়রা আবারো আরেকটি
নতুন ঝামালার উপত্তি ঘটাতে চলেছে।
____
মেহেভীন আরহামের ঘরে ঢুকেই, নিজের লাগেজ গুছাতে শুরু করে দিলো। আরহাম কোন এক কাজে বাইরে গেছে। আরিয়ান ও বাড়িতে নেই।
সেই সুযোগেই সে চলে যাবে। এতোদিন তার জন্যে আরহাম অনেক কিছু সহ্য করেছে। আরহাম অনেক করেছে। মেহেভীন নিজেকে আরহামের কাছে বোঝা ছাড়া কিছুই মনে করছে। মেহেভীন খুব ভালো করে বুঝতে পারছে আরহামের সাথে তার বাবা-মায়ের একটা দূরুত্ব সৃষ্টি হয়েছে। তার উৎস যে মেহেভীন নিজেই, তা বুঝতে বেগ পেতে দেরী হয়না মেহেভীনের। মেহেভীন চায়না তার জন্যে আরহামের পরিবারের সাথে আরহামের দুরত্ব সৃষ্টি হোক। তাছাড়া অভ্র একবার যখন জেনে গেছে,তখন সে বার বার চেস্টা করবে এখানে এসে বাচ্ছার অধিকার নিতে,যা কিছুতেই চায়না মেহেভীন। অভ্রের কাছে সে কিছুতেই ফিরবে না। অনেক দূরে চলে যাবে সে এবং তার সন্তান।মেহেভীন ঘরটাকে ভালো করে দেখে নেয়, এই ঘরে তার কত স্মৃতি জুড়ে আছে আরহামের সাথে। মেহেভীনের কেন যেন ইচ্ছে করছে না আরহামকে ছেড়ে কিংবা এই বাড়ির মানুষগুলোকে ছেড়ে। বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে। আরহামের জন্যে অন্যরকম কষ্ট উপলব্ধি করছে সে,কিন্তু কেন? মেহেভীন নিজেকে শক্ত করে আরহামের ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়।
[১৬০০ শব্দ 🐸😒]
……..চলবে….কী?
[বড় করে দিছি হুহ। সবাই কমেম্ত করে জানাবেন কেমন হয়েছে]