গোধূলী_আকাশ_লাজুক_লাজুক (পর্ব-১) সিজন টু

#গোধূলী_আকাশ_লাজুক_লাজুক (পর্ব-১)
সিজন টু
মেহজার মন ভীষণ খারাপ। নতুন বাসায় এসেছে সবে মাত্র চারদিন। এরই মাঝে তার বাবা আনোয়ার হোসেন তার টিউশন ঠিক করে দিয়েছে। তাও আবার তাদের কলেজেরই ম্যামের কাছে। ইমা ম্যাম! কলেজের সবচেয়ে রাগী আর শক্ত শিক্ষিকা! তার ক্লাসে ছাত্রীদের সবসময় কড়া রুলস্ ফলো করতে হয়। সৌভাগ্যক্রমে মেহজাদের সেকশনে তিনি পড়েন নি তবে দূর্ভাগ্যক্রমে মেহজার টিউশনি করাবেন তিনি। মেহজার নিজের উপর রাগ লাগছে। ক্লাসে আরেকটু মনোযোগ দিলে কী হতো! একটু ভালো করে পড়লে এখন তার ফিজিক্সে ফেইল আসতো না! আর না পড়তে যেতে হতো ম্যামের কাছে। অবশ্য এখানেও একটা ব্যাপার আছে। ইমা ম্যামদের বাসা তাদেরই উপর তলায়। সেদিন সিঁড়িতে নাকি মেহজার বাবার সাথে তার দেখা হয়, নানান কথায় তার বাবা তার খারাপ ফলাফলের কথা জানান। তখনই তিনি বলেন মেহজাকে এই সাবজেক্টটা তিনি দেখিয়ে দিবেন। আর কোনো টাকা নিবেন না। এখানে তিনি কেবল ছাত্রী আর শিক্ষিকা সম্পর্ক দেখছেন না। এখানে প্রতিবেশীর আন্তরিকতার একটি ব্যাপারও আছে। আল প্রতিদিন পড়তে হবে না ম্যাম বলেছেন এই মাস পুরোটা তিনি এখানে আছেন অর্থাৎ তার বাবার বাসায়। তাই এই পুরোটা মাস তিনি মেহজাকে গাইড করবেন। এর পরে যখনিই আসবে টুকটাক পড়া দেখিয়ে দিবেন। মেহজার বাবা বাসায় এসে ইমা ম্যামের প্রশংসা করলেন খুব। অত্যন্ত ভদ্র, সুশীল মেয়ে ইমা ম্যাম। সবদিকে দিয়ে মেয়েটি ভালো। অবশ্য মেহজারও মনে হয় ঐ রাগী ভাবটা ছাড়া তিনি সবদিক দিয়েই ঠিক আছেন। তার সেকশনে ফিজিক্সে একজনও ফেইল করেনি। দারুন ব্যাপার!

মেহজা চা খাচ্ছে আয়েশ করে। তার মা সাবিনা সেই কখন থেকে চেঁচিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বলছেন,
-‘তার প্রাইভেট পাঁচটায় আর তিনি এখন সাঁড়ে পাঁচটায় বসেও চা খাচ্ছে। হায়রে! এমন চললে পড়ালেখা হবে? উন্নতি আর কী হবে! কলেজ আসা যাওয়া ছাড়া আর করে বা কী এই মেয়ে! এখনও বসে আছে! এই মেয়ে যাবে কখন?’

রাফসান সোফায় বসে টিভি দেখছে আর মিটিমিটি হাসছে। তার কাছে মজা লাগে যখন সাবিনা বেগম মেহজাকে এমন ধুমধাম বকা দেন, কথা শোনান। সাবিনা বেগম চলে যেতেই সে সবসময়ের মতোন এবারও বলল,
-‘শরম শরম!’

মেহজা দাঁত কিড়মিড় করে তাকালো রাফসানের দিকে। এই ছেলেটাকে তার একটুও সহ্য হয়না। আস্ত বেয়াদব! এই বদমাইশ তার জন্মদিনটাতেও ভাগ বসিয়েছে। সে যেই তারিখে জন্ম গ্রহণ করেছে সেই তারিখে এই বিটলাও জন্মেছে তবে তিন বছর পরে। ধুর! এমনিতেই সারাদিন ইমা ম্যামের কথা চিন্তা করে কাহিল আর এখন মায়ের বকা সাথেই বদ রাফসানের গা জ্বালানো হাসি! উফফফ অসহ্য!

টেবিল থেকে নতুন একটি খাতা, কলম আর বড় বড় অক্ষরে লিখা পদার্থ বিজ্ঞান বইটি নিয়ে ছুটলো উপর তলায়। বের হওয়ার সময় কাউকে বলে বের হলো না। মনটা ভীষণ খারাপ। বকা খেয়ে আরো খারাপ। ইমা ম্যামের ধমকানিতে হয়তো হবে আরো বেশি খারাপ।
লিফটে বিশ সংখ্যায় চাপ দিলো যদিও সংখ্যায় বিশ তবে ফ্ল্যাট অনুযায়ী সেটা ঊনিশ। মেহজারা আঠারো তলায় ইমা ম্যামদের বাসা ঊনিশ তলায়।

মেহজা প্রথম এসেছে এই ফ্লোরে। এর আগে সোজা লিফটে ছাদে গিয়েছে। তবুও একবার। এই ফ্লোরে মেহজাদের মতো তিনটা বাসার দরজা নেই। এইখানে একটিই বড় দরজা। বাসা বাড়িতে যেমন বাড়িওয়ালাদের থাকে তেমন। তবে এখানে বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া নেই। যার যার নিজস্ব কেনা ফ্ল্যাট। কেউ কেউ নিজের মতো ডিজাইন করে নিয়েছে। বাবার মুখে শুনেছে এই ঊনিশ-বিশ, একুশ-বাইশ, তেইশ-চব্বিশ এই গুলো ডুপ্লেক্স। মেহজা এক দিক দিয়ে খুব চাইছিল এই ডুপ্লেক্স গুলো দেখবে। যদিও তার মন খারাপ পড়তে আসার জন্য তবে একটা ফিলিংস কাজ করছে ম্যামদের বাসাটা দেখার জন্যও।
কলিংবেল এক বার বাজানোর পর যখন খুলল না তখন মেহজা অনিচ্ছাকৃত ভাবে আরেকবার দিতে গেলেই দরজা খুলে যায়। বয়স্ক করে একটা মোটা সোটা এক মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন দরজার ওপাশে। পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছেন বাসার কর্তৃ টাইপ কিছু! ইমা ম্যামের মা ও হতে পারেন। মেহজা চট করে সালাম দিলো,
-‘আসসালামু আলাইকুম আন্টি।’
-‘ওয়ালাইকুমুস সালাম। কে তুমি মামণি?’
ভদ্র মহিলার সুন্দর ডাকে মেহজা যেন গলে গেল। মৃদু হেসে বলল,
-‘আপনাদের নিচের ফ্লোরে আমাদের বাসা আন্টি। আমার নাম মেহজা। ইমা ম্যামের স্টুডেন্ট। ম্যাম আসতে বলেছিলেন।’

ইমার কথা শুনতেই তার মা মাহিমা বেগম পথ ছেড়ে দাঁড়ালেন। আফসোসের সুরে বললেন,
-‘আরে আরে! আমি তো ভুলেই গিয়েছি ওর একটা স্টুডেন্ট আসবে! দেখো কী কান্ড! তুমি আসো।’

মেহজা ভেতরে ঢুকল। একটু হেঁটে সামনে গেলেই পুরো ঘর দৃশ্যমাণ! দুই তলা বাড়ি। মনেই হচ্ছেনা পঁচিশ তলা একটি বিল্ডিংয়ের অংশ এই বাড়ি। একদম আলাদা একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। কী সুন্দর সাজানো গোঁছানো। চারিদিক ঝকঝক করছে, চকচক করছে। চোখ ধাঁধানো সুন্দর। হোয়াইট, অফ হোয়াইট, ডার্ক রেড, বটল গ্রীণের ছোঁয়া এদিক সেদিক। মার্ভেল টাইলস্,বড় বড় ঝারবাতি, দামি ফার্ণিচার। এক অসাধারণ কম্বিনেশন! মেহজা কিছুক্ষণ শুধু চেয়ে থেকেই পেট ভরিয়ে নিল। তখনিই হাই হিলের খটখট শব্দ শুনতে পেল। কেউ সিঁড়ি ডিঙিয়ে নামছে। মেহজা তাঁকালো সেদিকে। এক অপরূপ সুন্দরী কন্যা নেমে আসছে। মার্জিত শাড়ি পরণে তার। চুল খোঁপা করে রাখা। হাতে থাকা ঘড়িতে চোখ বুলাচ্ছে বারবার। দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাড়াহুড়োয় আছে বেশ। মেহজা সেদিকেই এক পলক তাকিয়ে আছে। মেয়েটি হঠাৎ তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করল মেহজার পেছনে থাকা মাহিমা বেগমকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
-‘মা ইটস্ এন ইমার্জেন্সী। দশটার আগেই ফিরে আসছি ইন শা আল্লাহ্।’
-‘সাবধানে যাস। ফি আমানিল্লাহ্!’

মেয়েটি ব্যস্ত পায়েই হেঁটে চলে গেল। মেহজার সাথে সৌজন্যতার কথাও বলা হলো না। মাহিমা বেগম সেটা খেয়াল করে বললেন,
-‘ডাক্তার মানুষ। অনেক ব্যস্ত থাকে। হুটহাট ইমার্জেন্সী কল এসে যায়। তাই সময় পায়না কারো সাথে দু দন্ড বসে কথা বলার।’

মেহজার সেদিকে মাথা ব্যাথা নেই। সে তার সাথে কথা না বলায় কিছু মনে করেনি। ব্যস্ততা ছিল বলেই তো কথা বলতে পারেনি বোঝা যাচ্ছিল। তবে যখন শুনলো ডাক্তার তখন মেহজা বিষম খেল। বাবা আর মা যদি জানে এই বাসায় ডাক্তার আছে তবে আরো কথা শোনাবে। বলবে ‘দ্যাখ দ্যাখ! ঐ বাসায় সব শিক্ষিত লোকের বাস। আর তুই একটা অশিক্ষিত মানুষ। রাদিফটাও ইঞ্জিনিয়ার আর তুই! তুই হবি মেথর। গু সাফ করবি মানুষের বাসার। পড়ালেখার ধারে কাছেও তো যাস না। সারাক্ষণ শুধু মোবাইল, ফেসবুক আর টইটই করে ঘুরে বেড়ানো!’

মেহজাকে ভাবনায় মশগুল দেখে মাহিমা বেগম বললেন,
-‘আসো মা। ইমার রুম দেখিয়ে দেই।’
উপরের দুই তিনটা সিঁড়ি ভাঙতেই মহিলাটির বড় বড় শ্বাস পড়তে দেখে মেহজা বুঝল ইনি সচরাচর সিঁড়ি ডিঙিয়ে যাওয়া মানুষ নন। শারীরিক অক্ষমতা আছে। তার কষ্ট হচ্ছে দেখে মেহজা বলল,
-‘আন্টি আপনি কষ্ট করবেন না। আমাকে বলুন ম্যামের রুম কোনটা আমিই যাচ্ছি।’
মাহিমা বেগমের স্বস্তি এলো বোধ হয় তবে ইতস্তত করে বলল,
-‘পারবে তো? অনেক গুলো রুম আছে। চিনে যেতে পারলে সহজই।’
-‘হ্যাঁ আন্টি পারব। আপনি বলুন!’
-‘উপরের একদম কর্ণারের আগেরটা।’
-‘আচ্ছা আন্টি ধন্যবাদ।’

মেহজা মুহূর্তেই বড় বড় পা ফেলে উপরে চলে গেল। মাহিমা বেগম হাঁফ ছাড়লেন। মেয়েটা ভীষণ মিষ্টি। কথাও সুন্দর। বেশ ভালো লাগলো মেয়েটিকে।

মেহজা ভুলবেনা ভুলবেনা উত্তেজনায় ভুলেই বসেছে যে কোন রুম! শুধু মনে পড়ল কর্ণার। একদম শেষ কোণায় যে রুমটি! মেহজা গুড়িগুড়ি পায়ে সেদিকে গেল। দরজাটা হালকা খোলা। ভেতরে লাইট জ্বলছে। মেহজা দুইবার নক করল। সারা শব্দ পেল না। পরবর্তীতে দরজাটা আরেকটু মেলে এদিক ওদিক চোখ ফেলতেই দেখে বাম দিকে বড় একটি বিছানায় কেউ উপর হয়ে শুয়ে আছে। দুই হাত বালিশের উপর ছড়ানো। পেশিবহুল হাত আর সুঠাম চওড়া কাঁধ দেখে মেহজা চোখ বড় বড় করে ফেলল। গায়ে জামা নেই বলে ফর্সা উন্মুক্ত পিঠটা দেখা যাচ্ছে। একেবারে জামা নেই তা নয় কালো লং ট্রাউজার পরণে। এতটুকু দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ লম্বা এবং সুঠাম দেহের অধিকারী এই লোক। মেহজা সরে এলো সেখান থেকে। তখনিই পাশের রুমের দরজা খোলার শব্দ শোনা গেল। মেহজা সেদিকে তাঁকাতেই দেখে ইমা দাঁড়িয়ে। মেহজার গলা শুকিয়ে গেল। নিশ্চয়ই এখন বকা দিবে! মেহজা সালাম দিল কাঁপা গলায়। ইমা সালামের জবাব দিয়ে বলল,
-‘ওখানে কী করছ? আর দরজায় নক করো নি কেন? কখন এসেছ?’
-‘ম্যাম মাত্রই এলাম। আসলে রুম গুলিয়ে ফেলেছি।’
-‘আচ্ছা প্রথম দিন বলে কিছু বললাম না। আগামীকাল থেকে যাতে এমন দেরিও না হয় রুম ভুলও না হয়। ঠিক আছে?’
-‘জ্বি ম্যাম।’
-‘ভেতরে এসো।’

মেহজা ভেতরে ঢুকল। এই রুমটিও সাজানো গোঁছানো পরিপাটি। বিছানায় ইমার দুই বছরের মেয়েটি ঘুমিয়ে আছে পরম শান্তিতে। মেহজার ও ইচ্ছা করছে এখন গিয়ে ওর পাশে এমন আরামে শুয়ে থাকতে। তবে তা আর হওয়ার নয়!

২.
টানা এক ঘন্টা বিশ মিনিট পড়ানোর পর মেহজাকে ইমা ছুটি দিল। এরই মাঝে মাহিমা বেগম কাজের লোক দিয়ে হরেক রকম খাবারও পাঠিয়েছেন। মেহজা শুধু দুইটা ব্রাউনি খেল। আর কিছু খেল না। এত কিছু পড়তে পড়তে তার পেটও ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল যে! ইমা অনেকগুলো পড়া দিয়েছে তারই সাথে বলেছে,
-‘আজ কম পড়ালাম কারণ দেরিতে এসেছ। কাল থেকে দুই ঘন্টা পড়াবো। কোনো ফাঁকিবাজি চলবেনা। আর হ্যাঁ হোমওয়ার্ক মাস্ট করবা নাহলে পানিশমেন্ট আছে।’

মেহজা এত বড় শক্ খেয়েছিল। এতক্ষণ এত পড়িয়েও বলে কীনা কম! আবার বলে হোমওয়ার্ক না করলে পানিশমেন্ট! সব দোষ এই বাসার। এখানে আসতো না তাহলে এই টিউশন ও থাকত না।

আসার সময় মাহিমা বেগমকে বলে আসলো মেহজা। তার মতে ইমা ম্যামের মা খুবই ভালো, অমায়িক এক মহিলা। তবে বাসায় আসতে আসতে আরেকটি কথাও ভাবল। তখনকার সেই লোক কে ছিল?

——————
আজ বুধবার। আইসিটি স্যারও আজ টিউশন পড়িয়েছিল। তাই আজ মেহজার আসতে আসতে পাঁচটা বিশের মতো বেজে গেল। লিফটে উঠতেই আরো কেউ একজন লিফটে ঢোকে। কড়া পারফিউমর ঘ্রাণে মেহজার চোখ আপনাআপনি বন্ধ হয়ে এলো। আড়চোখে মেহজা তাকাতেই দেখে এক সুন্দর যুবা পুরুষ তার বামপাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সন্দর লম্বা, চওড়া চওড়া কাঁধ, পেটানো শরীরের এই পুরুষ নিঃসন্দেহে দেখতে আকর্ষণীয়। মেহজা চোখ ফিরিয়ে নিল বিশের সংখ্যায় চাপ দিতে গেলে লোকটিও সেখানেই চাপ দিল। মেহজা ভাবলো ভালো হলো। পরক্ষণেই মনে হলো এই লোক ইমা ম্যামদের ফ্লোরে কেন যাবে? মেহজার হঠাৎ করেই মনে পড়ল সেদিন ইমা ম্যামের পাশের রুমে দেখা উন্মুক্ত সেই পিঠ হাত সেই ঘুমন্ত মানুষ! লোকটি সেই লোক নয় তো! সেই লোকটিই বা কে ছিল? আজ তিন দিনেও সে জানতে পারল না। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ তলায় উঠতে সময় লাগে একটু। এই এত সময়ে আড়চোখে অনেকবার সৌমদর্শন পুরুষটিকে সে দেখে নিল। তবে একটা জিনিস পছন্দ হলো না। এই লোকের ভীষণ ভাব। পাশে কেউ যে দাঁড়িয়ে আছে সেটা বোধ হয় জানেই না। একটু খেয়ালও করছেনা। মেহজাও তাই আর তাঁকালো না। ভাব সেও ধরতে জানে।

লিফট থামতেই মেহজা আগে নেমে আসে। লোকটিও পেছন পেছন এসে দাঁড়ায়। এবারও লোকটি আগে খলিংবেল দিল। রোজকার মতোন মাহিমা বেগম দরজা খুললেন। এটা বোধ হয় তার ডিউটি! তবে আজ দরজা খুলে মাহিমা বেগম ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুইজনকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করল কিছুক্ষণ। তারপর বলল,
-‘আজ এত দেরি কেন বাবু?’
মেহজা লোকটির দিকে তাকালো। এতক্ষণের কাঠিন্যু মুখে একটু অস্বস্তি দেখা গেল। মেহজার বুঝতে অসুবিধা হলো না। নিশ্চয়ই তার সামনে বাবু বলায় এমন চেহারা হয়ে গেছে। মেহজা কোনোমতে ঠোঁট টিপে হাসি আটকায়। মাহিমা বেগমকে সালাম দিয়ে ভেতরে চলে গেল। পেছনে দুই জন মানুষ তার দিকেই তাকিয়ে ছিল। তা সে তখন সামনে থাকা বিরাট আয়নায় দেখে ফেলে।

#চলবে।
লেখক— ইনশিয়াহ্ ইসলাম।
(কেমন হলো সবাই জানাবেন। রি-চেইক দেওয়া হয়নি তাই ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিবেন। আপনাদের রেসপন্সের উপর পরের পর্ব দিব কীনা তা নির্ভর করছে। তাই দয়া করে যারাই পড়েন রেসপন্স করবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here