#এক_শ্রাবণ_হাওয়ায়-২
#লেখিকা – কায়ানাত আফরিন
#পর্ব – ২২+২৩
সোফায় নতজানু হয়ে আমি বসে আছি। সামনেই বসা আনভীর আর আজরান ভাইয়ের তথাকথিত কাজিনগুলো। নাম মামুন, রিফাত আর রিমি। মামুন, রিফাত আনভীরের চাচাতো ভাই হলেও রিমি হলো ফুপাতো বোন আর আমাদের নাহিদ ব্রাদারের আপন বোন। বিষয়টা এতদিন না জানলেও আজ জেনে নিলাম। আমি রীতিমতো জুবুথুবু হয়ে বসে আছি আনভীরের পাশে। এর কারন উনারা তিনজন যেভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে যে আমি জবাবদিহিতার জন্যই বসে আছি এখানে। কিন্ত আনভীরের সেদিকে খেয়াল নেই। আমি দৃষ্টিপাত করলাম উনার দিকে। এমন ডোন্ট কেয়ার টাইপ ভাব দেখে ইচ্ছে করছে থাপড়িয়ে গাল টমেটো বানিয়ে ফেলতে। এতক্ষণের নীবরতা কাটিয়ে তুললো রিফাত। আনভীরকে বললো,
‘ তো বিয়ে কবে করলি তুই?’
‘ বেশিদিন হয়নি। এখনও রিসেন্টলি ম্যারিড কাপলের ট্যাগ ঝুলানো যাবে।’
স্বল্পভাষা ব্যাক্ত করলেন আনভীর। এতক্ষণ রিমি দাঁতে দাঁত চেপে বসে থাকলেও আর যেন চুপ থাকতে পারলো না। ব্যাগ্র কন্ঠে প্রকাশ করলো,
‘ আপনাের ট্যাগের গুল্লি মারি। এত বড় একটা কাজ সারছেন আমাদের ছাড়া বুকটা কাঁপেনি? আমরা কি মরে গিয়েছিলাম? আর এইযে নাহিদ! তোর গালে কইষষা চড় মারতে মন চাইতেসে আমার। শা* তুই আমার ভাই নাকি আনভীর ভাইয়ের চামচা? তুই তো এটলিস্ট বলতে পারতি?’
ভয়ঙ্কর রেগে গেছে রিমি। নাহিদ আহত সুরে বললো,
‘ সবাই খালি আমারে ধমকায় কেন বুঝিনা। এতদিন এই দুই জামাই বউয়ের জ্বালায় আধমরা হয়ে ছিলাম এখন আবার তুই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে আসছোস। বলছি যে আমি কি ভাবিরে বিয়ে করসি? যে করছে তারে জিজ্ঞেস কর! আমারে থ্রেড দেয় চুন্নিটা।’
রিমি কিছু বলতে গেলে আনভীরের এক ইশারায় থেমে গেলো ও। যাই হোক না কেন, ওরা মোটামুটি সবাই আনভীরকে ভয় পায়। প্রচন্ড রকমের ভয় পায়। এতটা ভয় হয়তো আজরান ভাইকেও পায় না। মামুন এবার বসতে বললো রিমিকে। অতঃপর গলা খাকারি দিলো আনভীর। গম্ভীর কন্ঠে বলা শুরু করলো,
‘ বিয়েটা আন-এক্সপেক্টেডলিই হয়েছে আমাদের। আমি এত দ্রুত এই সিদ্ধান্তে আসতে চাইনি। তবে যাই হোক, হয়ে গিয়েছে। আর আমার প্রফেশনাল কিছু কারনের জনই মূলত এখন চাচ্ছিলাম না বিষয়টা বাইরে প্রকাশ করতে। ইউ অল নো দ্যাট যে এতে মিডিয়ার একটা চাপ পড়বে আমার ওপর। যার জন্য সাময়িকভাবে এখনও প্রস্তুত নই আমি। আর সেই সুবাদে তোদেরও জানানো হয়নি ব্যাপারটা। এখন জেনেছিস না? খুশি তো? আর চিল্লা ফাল্লা করবি না। এতক্ষণ চুপ ছিলাম দেখে মনে করবি না আমি এখনও চুপ থাকবো।’
আনভীরের কথার পরিপ্রক্ষিতে কেউ কিছু বলার সাহস পেলো না। মামুন এবার বললো,
‘ বিয়ে করছিস ভালো কথা। তো রকস্টার এআরকে বিয়ে করেছে আর একদিন না একদিন মিডিয়া বা তোর ফ্যানডম জানবে না তা কি হয়?’
‘ জানবে তো। অবশ্যই জানবে। সুযোগ বুঝে আমিই জানিয়ে দেবো একদিন। তবে এটা রাইট টাইম না।’
রিমি বাচ্চাদের মতো আহ্লাদি সুরে ব্যক্ত করলো,
‘ জানেন ভাই আমার অনেক ইচ্ছে ছিলো আপনার বিয়েতে ধুমসে নাচবো, গাবো, ইন্জয় করবো। আফটার অল আমার একজন কাজিন ব্রাদার এত পপুলার আইডল, তার বিয়েতে ইন্জয় করবো না তো কি করবো? সেই ইচ্ছে মনে হয় পূরন হবেনা আর।’
আনভীর তীর্যক চোখে তাকালেন আমার দিকে। তারপর রিমির উদ্দেশ্যে বললেন,
‘ সুখবর আছে তোর জন্য। বিয়ে যেহেতু হুট করেই করেছি, একটা অনুষ্ঠান তো হবেই। সবই হবে। তুই যেমন চাস।’
চোখজোড়া চিকচিক করে উঠলো রিমির। বললো,
‘সত্যি?’
‘আরে হ্যা রে রিমি। এখন কথা বাড়াতে হবে না আর। আহি! আমার ঘুম পাচ্ছে। একটা ঘুম দেবো রুমে গিয়ে। এর মধ্যে এই বিচ্ছুটা যেন ধার কাছ দিয়ে না থাকে নজর রাখবে কিন্ত।’
বলেই রুমের দিকে পা বাড়ালেন আনভীর। রিমি পেছন থেকে বিদ্রুপ কন্ঠে প্রকাশ করলো,
‘ আহা! এখন আদুরে বউ পেয়ে আমি তো বিচ্ছু হবোই।’
অস্বস্তি নিয়ে বসে থাকলাম আমি। শিউলি ভাবি আর বাকিরা আমার অবস্থা দেখে মিট মিট করে হাসছেন। আনভীরের কথাগুলো রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে আমায়। কেননা আমি ভাবতে পারিনি যে উনি সত্যি আমাদের বিয়ে উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠান করতে চান। মানুষটা অদ্ভুত। মুখে বলেন এক কথা কিন্ত প্রকাশ করেন অন্য কথা। বেশি কিছু ভাবলাম না আমি। শিউলি ভাবির বাবা বাড়ির থেকেবলোকজন আসবে বলে রান্নাঘরে চলে গেলাম উনার হেল্প করার জন্য।
_________________
আজকের দিনটা সুন্দভাবেই কেটেছে সবার সাথে। মনে হচ্ছিলো যে নিজের একটি নতুন পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছি। এর মধ্যে একটি নতুন দৃশ্য পটে দেখতে পারলাম আনভীরকে। যে মানুষটা নিতান্তই প্রাণোচ্ছল ধরনের একজন, মুখে কপট গম্ভীরতা থাকলেও ঠোঁটে যেন হাসির বিস্তৃত রেশ দেখা যায়। সবার সাথে লুডু খেলা, গিটারে গানের সুর ওঠানো, ছবি তোলা সহ আরও কত কি। আমি ভাবিনি কখনও যে মানুষটা পরিবারের সাথে এত আনন্দে পরিপূর্ণ। মায়ের মুখে আমি তৃপ্তির হাসি দেখতে পারলাম আজ। যেন উনাকে এতটা হাসি ঠাট্টায় মশগুলো দেখে তারও ভালো লাগছে।
রাতে নাহিদ ভাইয়া, মামুন আর রিফাত ভাইয়া লং ড্রাইভের জন্য গাড়ি নিয়ে চলে গেলো এখান থেকে। রিমি আপু গেস্টরুমে ঘুমাবে। শিউলি ভাবির বাড়ির লোকজন চলে গিয়েছে প্রায় ঘন্টাখানেক হলো। সবাই সূচনায় আমার আর আনভীরের সম্পর্ক দেখে অবাক হয়েছিলো বেশ।পরন্তু বললো, বিয়ের আয়োজন ঘটা করে করতেই হবে। আনভীর কিছু না বলে শুধু আমার দিকে তাকিয়ে একটা অপ্রকাশিত হাসি দিয়েছিলেন।
আমি এখন চুপচাপ বসে আছি ড্রইং রুমের বড় বারান্দায়। এত উচু বারান্দা দেকে রাতের প্রহরে অনন্য লাগছে সমগ্র নগরের দৃশ্যপট। ঘরে ঘরে কৃত্রিম আলো, শীতের রাতের শীতল বায়ুপ্রবাহ মোহনীয় করে তুলছে আশপাশ। ভালো লাগছে সবকিছু। কেননা এমন একটা পরিবারই চাইতাম আমি। যেখানে সবাই কদর করবে আমার, আমায় ভালোবাসবে, নিজের মেয়ের মতো আগলে রাখবে। কারন ছোটবেলা থেকে এসব কিছুর অভাব যেন আমার জীবন বিভীষিকাময় করে তুলেছিলো। প্রথমে মায়ের মৃত্যু, তারপর চাচা-চাচীর কাছে বড় হওয়ার সেই বিষাদময় ঘটনা, অপূর্ব ভাইয়ার মেন্টালি টর্চার , এসব কিছু জাহান্নামের থেকে কম কিছু ছিলো না আমার কাছে।
আর বাবা তো বাবাই। আমার সত্যি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে উনি আমার আপন বাবা কি না। নাহলে একজন বাবা কিভাবে পারে মেয়েকে অন্যের কাছে এভাবে ফেলে রাখতে? আমি রাতে ডুকরে কেদে উঠতাম বাবার জন্য, কিন্ত সে আসতো না। কোথায় ছিলো, তাও জানতাম না আমি। নামেই জানতাম যে আমার এক বোন আছে রাহি নামের। মায়ের মৃত্যুর পর সেও পাষাণের মতো চলে গেলো বাবার সাথে।
তবে সে ফিরে এসেছিলো। এসেছিলো যখন অপূর্ব ভাইয়া আমায় বিয়ে করার জন্য উতলা হয়ে গিয়েছিলো। পরন্তু রাহি আপু এসে থামায় অপূর্ব ভাইয়াকে। বলে আপাতত শুধু এনগেজমেন্ট টা সারিয়ে রাখতে। তারপর থেকে রাহি আপু আমার সাথে থাকা শুরু করলো। অপূর্ব ভাইয়া কোনো কারনে আমায় আঘাত করতে আসলে বা রাগ দেখালে বা খারাপ ব্যাবহার করলেই রাহি আপু বাধা দিত। সেই সুবাদে বিশ্বাস করেছিলাম আমি রাহি আপুকে। অন্ধ ভক্তি জেগে উঠেছিলো। মানতে পারিনি আনভীরের কথা যে রাহি আপু আমায় শুধু প্রোপার্টির জন্য ব্যবহার করেছিলো। তবে শেষে যখন রাহি আপু আনভীরকে ব্ল্্যাকমেইল করা শুরু করে আমি আরও একদফা বিশ্বাস হারালাম আপনজন থেকে। আমি জানিনা আনভীরের অতীত কি, কেনই বা রাহি আপু পিছে লেগেছিলো উনার। তবে বিশ্বাস যে আর কারও ওপর করতে পারবোনা সেটা সম্পর্কে স্পষ্টভাবেই অবগত হয়েছি।
.
.
‘ ঘুমাও নি মা?’
আমি পিছে তাকালাম। মা দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে। চোখে ক্লান্তির রেশ। উনার শরীরের অবস্থা খুব একটা ভালো না তবুও এত হাটাহাটি করছেন দেখে খারাপ লাগলো একটু। সামনের চেয়ার দেখিয়ে বললাম,
‘ না ঘুমাইনি। আসলে ঘুম পাচ্ছিলো না। আপনি বসুন।’
তাই করলেন উনি। আমি বিনয়ের সহিত বললাম,
‘ ওষুধ খেয়েছেন?’
‘ হ্যাঁ, সবসময় তো আজরানই মনে করিয়ে দিতো। আজ প্রথম আনভীর বলেছে আমায়।’
আমি চুপ করে বসে থাকলাম এবার। মা আবার বললেন,
‘ ছেলেটাকে এতদিন পর আগের মতো দেখে কি-যে ভালো লাগছিলো আমার, বলে বোঝাতে পারবো না।’
আমার ভ্রু আপনাআপনি কুচঁকে এলো। এতদিন পর আগের মতো বলতে? এটা সত্য যে আমি এতটা প্রাণবন্ত এই প্রথম উনাকে দেখলাম কিন্ত মাত্র কি বললেন মা? আমি আমতা আমতা করে ব্যক্ত করলাম,
‘ মানে….উনি কি পূর্বে এমন ছিলেন না?’
দুর্বল হাসলেন মা। বললেন,
‘ লন্ডনে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিলো সব। কিন্ত ওর বাবার সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো ইচ্ছের বিরুদ্ধে দেশের বাইরে পড়াশোনা টা করানো। ‘
‘……..’
‘ আমি জানি যে তুমি জানো আনভীরের একটা মেন্টাল ডিসঅর্ডার আছে। দূর থেকে খুবই সামান্য দেখতে এটা। ধরা যায় না , বোঝা যায় না যদি রিপোর্ট আর ওর সাইকোলজিক্যাল বিষয়গুলো ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করা হয়। ওর এই সমস্যা কিন্ত একদিনে হয়নি। যার জন্য বুঝতেও পারিনি আমরা। প্রেশারে পড়ে গিয়েছিলো আনভীর। হুট করে একা, নিঃসঙ্গ হয়ে গিয়েছিলো। বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলো পরিবারের প্রতি। বাবা নামক মানুষটাকে ত্যাজ্য বস্তুর মতো মনে করতো। সেই থেকে গম্ভীর হয়ে গেলো ও। গান, মিউজিক নিয়েই একাকি মেতে থাকতো। হাসি-ঠাট্টা কম, কথা বার্তা কম , বলতে গেলে একেবারেই একা। আসলে সেলিব্রেটিদের পর্দার সামনে সুখী থাকার অভিনয় করতে হয় রে মা, দেখাতে হয় লাখ লাখ ভক্তদের নিয়েই ওরা খুশি। কিন্ত দিন শেষে ওরাও তো মানুষ। ওদেরও ইচ্ছে হয় এমন একজনের সান্নিধ্য পেতে যাকে ভালোবাসতে পারবে, বিশ্বাস করতে পারবে। ক’জনই বা পারে এমন? ক্যামেরার পর্দায় শুধু তাই দেখানো হয় যা দেখাতে চায়, কিন্ত অন্তরটা শূণ্য হয়ে যায় পুরো।’
আমি মৌনতা কাটালাম। কেননা মায়ের প্রতিটা কথাই সত্য ও যুক্তি যুক্ত। তাই আনভীর সেই রাতে জ্বরের ঘোরে বারবার প্রলাপ করছিলেন ছেড়ে না যেতে। এতেই শেষ হয়নি, আমায় নিয়ে অহেতুক সন্দেহ বা ধ্রুব স্যার বা নাহিদ ভাইয়ার ব্যাপার নিয়ে এতটা পজেসিভ হওয়ার কারনই শুধু এটি। নিঃসন্দেহে আনভীর ভালোবাসেন আমায়। অতিরিক্ত রকমের ভালোবাসেন। যার প্রকাশ ভঙ্গি কিছুটা অন্য মাত্রার। আমি তাকালাম মায়ের দিকে। উনি নিঃশব্দে বসে আছেন।
আমি আমতা আমতা করে জিঙ্গেস করলাম,
‘ উনার ট্রিটমেন্ট করাচ্ছেন না কেনো তাহলে? আমি তো দেখেছি যে উনি কত যন্ত্রণায় থাকেন মাথাব্যাথা নিয়ে। তাহলে?’
‘ চেয়েছি। অনেকবার চেয়েছি। কিন্ত ছেলেটা কি একটা কথাও শোনে। ট্রিটমেন্টের নাম শুনলেও ঘর কাপিঁয়ে ফেলতো। বলতো , এসবের দরকার নেই। এতবছর ওকে একা বিদেশে ফেলে এখন নাকি আদিক্ষেত্যা দেখাতে আসছে সবাই।’
আমি ছোটশ্বাস ফেললাম মায়ের কথায়। স্থির করলাম এর একটা বিহিত তো করতেই হবে। ঘড়ির কাটায় সাড়ে এগারোটা বাজে প্রায়। তাই শুভরাত্রি জানালাম মাকে। পা বাড়লাম রুমের দিকে।
_______________
দরজা খুলে রুমে যেতেই দেখলাম আনভীর সোফায় বসে আছেন। আমায় দেখে বললেন,
‘ এতক্ষণে আসার সময় হলো?’
উনার কথা শুনে বোকা বোকা চোখ করে দৃষ্টিপাত করলাম উনার দিকে। জিজ্ঞেস করলাম,
‘ কেন কি হয়েছে?’
‘ কিছু না।’
আনভীরের মুখখানা দেখে ঠোঁট চেপে হাসলাম কিছুক্ষণ। হয়তো মহাশয় এতক্ষণ অপেক্ষা করছিলো আমার জন্য। আনভীর বেপোরোয়া হয়ে বললেন,
‘ প্রথমদিন এ বাড়িতে এসেই দেখছি ভুলে গেলে আমায়। এই মানুষটা মরে আছে কি বেঁচে আছে তার হদিসই নেই। বাকি দিনতো পড়েই রইলো।’
‘ আপনার মতো উন্মাদ লোকটাকে ভুলা সম্ভব এআরকে…..’
শেষ শব্দটা আমি বললাম বিদ্রুপ সুরে। থমথমে মুখ করলেন আনভীর। বললেন,
‘ ডোন্ট ডেয়ার টু সে দ্যাট।’
‘ কেনো, আপনার ফ্যানরা তো আপনাকে এই নামেই ডাকে।’
‘ বাট তুমি তো আমার বেবিগার্ল।’
ভ্রু উচিয়ে কথাটি বললেন আনভীর। ঠোঁটে দুষ্টু হাসির রেশ। আমি থেমে গেলাম। এই লোকের সঙ্গে পারা একেবারেই অসম্ভব। আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আনভীর টেনে খাটে শুয়িয়ে দিলেন আমায়। নিজেও শুয়ে লাইট অফ করে দিলেন। আমি ভড়কে গেলাম। অস্বস্তি নিয়ে বললাম,
‘ হ হঠাৎ ক কি হলো আ আপানার?’
আনভীর কিছু বললেন না। নিঃশব্দে পেছন থেকে আমার কোমড় জরিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললেন। জড়ানো গলায় বললেন,
‘ তোমায় ছাড়া থাকা দিন দিন অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে আহি। আমি তুমি নামক মেয়েটাতে এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছি।’
আমি সরল মনে হাসলাম এমন নিঃসঙ্কোচ প্রকাশভঙ্গি দেখে।
.
.
.
.
.
.
~চলবে ইনশাআল্লাহ
বিশাল পর্ব দিলাম আজ। কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্ত।
ভুলক্রটি মার্জনীয়।