#এক_শ্রাবণ_হাওয়ায়-২
#লেখিকা – কায়ানাত আফরিন
#পর্ব – ২৪
নিজেকে কারও শক্ত বাহুবন্ধন এ অনুভূত করাতে ঘুমটা আমায় ছেড়ে দিচ্ছে ধীরে ধীরে। টের পাচ্ছি কারও নিবিড় উপস্থিতি। আমি চোখজোড়া খুলে নিজের মস্তিষ্ককে সচল করি ধীরে ধীরে। প্রথমেই চোখ পড়ে জানালার ওপর। সাদা রঙের পর্দা। সেটাও জানালা ঘিরে রেখেছে বলে বাইরের কিছু দেখা গেলো না। তবে আলো পর্দার ওপর প্রতিফলিত হওয়াতে রুমটা নিতান্তই লাগছে ঘোরগ্রস্থ। আমি নড়েচড়ে ওঠতেই টের পেলাম যে আমি নড়তে পাচ্ছিনা। একজোড়া আগ্রাসী হাত জাপ্টে ধরে রেখেছে আমায়। আমি নড়লেই সেই বন্ধন যেন দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে লাগলো।
ঘাড় বাকিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখতে পেলাম আনভীরকে। নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন উনি। আমার কোমড় পেচিয়ে রেখেছেন হুলস্থূলভাবে। আমি অকেঁজো হয়ে রইলাম উনাকে এভাবে দেখে। মিহি আলোতে শান্তিময় লাগছে উনাকে দেখতে। উজ্জল গড়নে পাতলা ঠোঁটগুলো কেঁপে উঠতে ব্যস্ত মাঝে মধ্যে। আমি উনার বদ্ধ চোখ পানে মনোনিবেশ করলাম। চশমা না পড়লেই একমাত্র উনার চোখের পাপড়িগুলো খেয়াল করা যায় যে এগুলো অত্যন্ত বিন্যস্ত। কেনো যে এগুলো সকলের চক্ষু গোচর করে রাখেন কে জানে!
আমার কোমড় থেকে উনার হাত সরানোর প্রচেষ্টা চালালাম ধীরভাবে। কিন্ত উনি নড়ে উঠলেন। আমায় নিজের কাছে আরও টেনে নিয়ে চাপা কন্ঠে বললেন,
‘ কি করছো আহি?’
কয়েক পলকের জন্য এভাবেই অনড় হয়ে ছিলাম আমি। এর প্রথম কারন হঠাৎ আমাকে উনার এতটা কাছে টানা আর দ্বিতীয় কারন সেই ভরাট চাপা কন্ঠ। উনার ঘুমু ঘুমু কন্ঠে অন্যরকমের এক বাসনা কাজ করে। মেঘের মতো সরু অথচ কতটা নির্বান সেগুলোর গভীরত্ব। কোনোমতে নিজেকে সামলিয়ে তাই বললাম,
‘ ছাড়ুন আমায় আনভীর। উঠতে হবে আমাকে।’
উনি ছাড়লেন না। আমার কথা উনার কর্ন কুহরে প্রতিফলিত হওয়ার পরও অটল হয়ে রইলেন সেভাবে। ছোট করে দম নিলাম আমি। বললাম,
‘ কি হলো ছাড়ুন আমায়?’
‘ ইচ্ছে করছেনা তো।’
বলে আবারও ঘুমে তলিয়ে গেলেন উনি। আমি কিয়ৎপল বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে থাকলাম এই ঘুমু ঘুমু মুখপানে। এই লোকের এত ঘুম হলো কবে থেকে? কি সহজ অকৃত্রিম মনোভাব। বললেন, ‘ইচ্ছে করছে না তো!’
আমি জোরাজুরি করতে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টা করতে থাকলাম এবার। কিন্ত খুব একটা সুবিধা করতে পারিনি। শেষমেষ প্রচন্ড বিরক্ত হলেন আনভীর। আমায় বিছানায় চেপে উপুড় হলেন আমার দিকে। এতক্ষণ চাতক পাখির মতো ছটফট করতে থাকা আমি মুহূর্তেই বিলীন হয়ে গেলাম উনার এরূপ ক্রিয়া কলাপে। আনভীর ঝুঁকে আছেন আমার দিকে। চোখ দুটো নিশ্চল। বিরক্তির সহিত বললেন,
‘ এত ছাড়ো ছাড়ো করো কেনো তুমি? ছাড়ার জন্য কি সবসময় তোমায় নিজের কাছে রাখি? আবার নেকামি করে এই ওয়ার্ডটা আমার সামনে উচ্চারণ করলে সারাদিন আমার সাথে এভাবেই মিশিয়ে রাখবো। তখন আমিও দেখবো কি করবে তুমি।’
উনার কথা শুনে আমি চুপসে রইলাম। এই লোকটা সবসময়ই এমন। ভালোমতো কথা তো বলতেই পারেনা উল্টো নিজে দোষ করলেও আমায় ধমক মারে। আমায় এভাবে মোমের পুতুলের মতো দেখে আনভীর মনে মনে যেন আনন্দ পেলেন। বললেন,
‘ এভাবেই যেন তোমায় দেখি। এখন উঠো মহারাণী। আর কানের কাছে ‘ছাড়ুন না’ ‘ছাড়ুন না’ বলে কা কা করবে না। নাহলে কি সাংঘাতিক হবে না ব্যাপারটা যে এআরকে’র ওয়াইফ অল্পতেই কা কা করে কাকের মতো?’
আমি ভ্রু কুচকালাম। বলে উঠলাম,
‘ ফালতু কথা হয়েছে? এখন সরুন। উঠবো আমি।’
আনভীর সরে পড়তেই আমি উঠে বসলাম। আনভীর বিছানায় শুয়েই দেখে যাচ্ছিলেন আমাকে। অতঃপর বললেন,
‘ আহি?’
‘ কি হলো আবার?’
আমি এবার প্রতিউত্তর দিলাম কপট রাগ দেখিয়ে। উনি সরু কন্ঠে বললেন,
‘ ওড়না ছাড়াই ঘুরে বেড়ানোর প্ল্যান না থাকলে ওড়নাটা নাহয় গায়ে জড়িয়ে নাও?’
তৎক্ষণাৎ নিজেকে দেখে লজ্জায় যেন আবিষ্ট হয়ে গেলাম আমি। এতক্ষণের কপট রাগের মুখটা কেমন যেন পাংশুটে হয়ে গিয়েছে। খাট থেকে তৎক্ষণাৎ ওড়না নিয়ে আমি তাই গায়ে জড়িয়ে নিলাম। উনি নির্বিকার ভাবভঙ্গি আমায় যেন আরও লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে। আমি মনে মনেভাবলাম, পালাতে হবে আয়ি। এই লোক নিজেরনির্লজ্জ কথা স্টার্ট করার স্টার্ট করার আগেই কেটে পড়তে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। আমি তাই তৎক্ষণাৎই দ্রুত পা বাড়ালাম ওয়াশরুমের দিকে।
___________________
বিগত কিছুদিন যাবৎ এ বাড়িতে আনভীরের পরিবারের সাথেই থাকা হচ্ছে আমার। এর কারন আনভীরের উদ্বিগন্নতা। কোনো একটা কারনে উনি ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন আমায় নিয়ে। জানিনা কেন। তবে মুখশ্রীতে স্পষ্ট এর বহিঃপ্রকাশ ফুটে ওঠেছে। আমি কিছু জিজ্ঞেস করলেই উনি সঙ্গত কারনে এড়িয়ে চলছেন আমায়। যার স্পষ্ট মানে, আমায় এর উত্তর দিতে উনি অনিচ্ছুক। তবে হসপিটালে যেহেতু ছুটি নেওয়া যাবেনা তাই উনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও যেতে দিচ্ছেন আমায়। আমি মাঝে মাঝে অবাক না পারিনা উনার আমার সবক্ষেত্রে এতটা নজর দেখে। এমন নয় যে আমি ছোট বাচ্চা, বা এমন নয় যে একা চলাফেরা করা আমার অভ্যাসে নেই, তবুও উনি প্রতিটা ক্ষেত্রে যত্নের ক্রুটি রাখেন না আমার। গত দু’দিন আগে এক কনসার্টের উদ্দেশ্যে চিটাগাং যেতে হয়েছিলো আনভীরকে। আমি হসপিটালে ছিলাম বলে বিদায় জানাতে পারেননি। তাছাড়া যাওয়ার সময় উনার পার্সোনাল গার্ড থাকলেও ইন্ডাস্ট্রি থেকে কিছু প্রফেশনাল গার্ড প্রেরণ করা হয়েছিলো যার জন্য উনি দেখা করেননি আমার সাথে। এতে তথ্য প্রচারের একটি সম্ভাবণা থাকতে পারে।
আমার অজান্তেই সেদিন মন খারাপ হয়েছিলো খুব। শিউলি ভাবির সাথে গল্প করে রুমে আনমনা হয়ে ল্যাপটপে কাজ করলেও ধ্যান ছিলো অন্যত্র। তখনই কল এসেছিলো আনভীরের। সে কত কথা! বললেন, ফ্লাইট নেমে নেমে সবেমাত্র হোটেলে এসেই কল দিয়েছেন আময়া। এখনও ফ্রেস হননি। আমি তাড়া করে ফ্রেস হতে বললাম উনাকে কিন্ত উনি শুনেনি আমার কথা। প্রথমেই গাইডবুকের মতো একগাদা উপদেশ দিলেন কি কি করতে হবে। আমি আনমনে হেসেছিলাম সেরাতে উনার পাগলামো দেখে।
.
.
আজ আবারও আমায় নিতে এসেছেন আনভীর। কালো হুডি, গ্রে জিন্স আর মাস্ক পরিহিত মানবটাকে দূর থেকে দেখলে বোঝাই যাবেনা যে ইনিই এআরকে। তবে গহীন চোখের কামনীয় দৃষ্টি হসজেই সবার হৃদয় নড়বড়ে করে তুলতে পারবে। হোয়াটস এপ এ উনার ছোট মেসেজ পেতেই স্তব্ধ দৃষ্টিতে স্ক্রিনে তাকিয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ। সেখানে সংক্ষেপিত ভাষায় লিখা,
‘ হসপিটালের ক্যান্টিনে আছি। ডিউটি শেষ করে জলদি আসো।’
আমি দ্রুতপদেই লিফ্টের বাটন চেপে থার্ড ফ্লোরে চলে গেলাম তাই। হসপিটালে একটামাত্র ক্যান্টিন বৃহৎ হলেও মানুষের সমাগম নেহাত কম ছিলোনা এখানে। পার্থক্য একটাই, এটা নীরব। আমি হন্য দৃষ্টিতে খুজে চললাম উনাকে। অবশেষে পেয়ে গেলাম একেবারে কোণায়। হেয়ার কাট চেন্জ করাতে আধা চুল কপালেই পড়ে আছে। চোখে সানগ্লাস পড়তে ভুলেননি সকলের নজর উপেক্ষা করার জন্য। স্থির দৃষ্টি আবদ্ধ হাতে বন্দী মুঠোফোনের পর্দায়। আমি সম্ভ্রান্ত কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম সে পানে। অন্য সবার কাছে এই মুহূর্তে উনাকে চেনা অসম্ভব হলেও আমি শরীরের গঠনেই ধরতে পেরেছি উনাকে।
পা চালিয়ে উনার কাছে গেলাম তাই। উনি টের পেলেন আমার উপস্থিতি। তবে তা প্রকাশ করলেন না। আমি অস্ফুটস্বরে ব্যাক্ত করলাম,
‘ এখানে এলেন যে? খুব শখ হয়েছে সবাইকে দেখানোর যে এআরকে এখানে আছে?’
‘ সবাইকে দেখানোর জন্য আসিনি। এসেছি তোমায় দেখার জন্য।’
ভারী কন্ঠস্বর উনার। মাথা উঠিয়ে দেখে নিলেন উনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাপ্রোন পরিহিতা আহিকে। আমি ইতস্তত বোধ করলাম। কথা শূণ্যের কোঠায় চলে যাওয়াতে স্বতন্ত্র অবস্থায়ই দাঁড়িয়ে রইলাম সেখানে। আনভীর হাতে মোবাইলের পাওয়ার অফ করে পকেটে গুঁজলেন। হাতঘড়ি দেখে জিজ্ঞেস করলেন,
‘ ডিউটি শেষ তাহলে?’
‘ হ্যাঁ।’
আমার প্রতিউত্তর।
‘ তাহলে এখানে আর কাজ কি? বাসায় চলো।’
বলেই উঠে দাঁড়ালেন আনভীর।হাত ধরে পদচারণা করলেন exit গেটের উদ্দেশ্যে। আমি হকচকিয়ে গেলান। বিভ্রান্ত হয়ে এদিক ওদিক দেখলাম যে কেউ কিছু বুঝোলো কি-না। সৌভাগ্যবশত আমার কলিগ কেউই এখানে নেই। তাছাড়া কাউন্টারে বা ক্যান্টিনে অথবা অন্য যারা ওয়ার্কাররা আছে ওরা এত খেয়াল করলোনা নিজ কাজের ব্যস্ততায়। নাহলে দেখলে ঘটনা ঘটে যেত। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম এতে।
___________
গাড়ি বাড়ির রাস্তা দিয়ে না যেয়ে অন্যরাস্তা দিয়ে যাওয়াতে আমি ছটাক অবাক হলাম। এর একটি কারন কৌতুহলতা। হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এখন পৌনে সাতটা বাজে প্রায়। একেতো হসপিটালে কাজের ক্লান্তি আর এখন আনভীরের অন্য গন্তব্য আমার মনে প্রশ্নের পাহাড় করে তুললো। আমি তাকালাম আনভীরের দিকে। উনি এক হাত দিয়ে ড্রাইভ করছেন আর অন্যদিক দিয়ে ব্লুটুথ কানেক্ট করে কারও সঙ্গে কথা বলতে মগ্ন। বলছেন,
‘ আজ আসতে পারছিনা তো আমি।’
অপরপাশে কেউ কিছু বলাতে বিরক্তির ছাপ পড়লো আনভীরের মুখে। বললেন,
‘ আমি না সকালেই বললাম যে রাতে একটা পার্সোনাল কাজের জন্য ব্যস্ত থাকবো? তাহলে তুমি কিভাবে মি.জাহিল কে বলতে ভুলে গেলে যে নেক্সট প্রেস কনফারেন্সের জন্য কাজ আমি কিছুদিন পরে করবো? আমি কিছু শুনতে চাই না। দোষ তোমার, এখন মি.জাহিলকে কি বলবে তুমি জানো। কল রাখি।’
অতঃপর ব্লুটুথে টাচ করে কল কাট করে দিলেন উনি। আমি কিছুক্ষণ অপ্রসন্ন অবস্থায় পর্যবেক্ষণ করি চারপাশের সবকিছুৃ। তারপর জিজ্ঞেস করি,
‘ এটা তো বাড়ির ওয়ে না আনভীর। আপনি কোথায় যাচ্ছি?’
আনভীর নিরুত্তর। তথারুপি পুনরায় প্রশ্ন করলাম,
‘ কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়?’
‘ কিডন্যাপ করে নিয়ে যাচ্ছিনা তোমায়। ধৈর্য ধরো। গিয়েই নাহয় দেখতে পারবে যে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি। ‘
আমি পিটপিট করে কিছুক্ষণ মনোনিবেশ করলাম উনার দিকে। তারপর চুপ করে থাকবো বলে মনস্থির করলাম। গাড়ি অবশেষে থাকলো একটি গেটের সামনে। আনভীর বের হলেন গাড়ি থেকে। দরজা খুলে ইশারায় আমাকেও বললেন বের হতে। আমি তাই বের হলাম। দেখি গাড়িটা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা শহরের অন্য চার পাঁচটা গড়নের রেস্টুরেন্ট না। ছিমছাম ধরনের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। আশপাশের ভিউ বলতে বাধ্য যে অনেক সুন্দর। কিন্ত আমার কাছে আজব লাগলো যে এখানে একেতো কোনো মানুষ নেই, আর দ্বিতীয়ত অনেক অন্ধকার।
আমি আনভীরকে কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবো তার পূর্বেই হাওয়ার বেগে উধাও হয়ে গেলেন উনি। আমি রীতিমতো ভড়কে গেলাম। সেই সাথে ভয়ও পেলাম একটু। পা চালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখি যে জায়গাটি একটু বললে ভুল হবে, মোটামুটি ধরনের আধাঁর। দূর থেকে ভুতুড়ে আস্তানা থেকে কম কিছু মনে হবে না।
আমি ভয় পেয়ে আনভীরকে ডাকালাম কয়েকবার। কিন্ত কোনো সাড়া নেই। অবশেষে বললাম,
‘ দ..দেখুন। মজা করবেন না। আ.আমি কিন্ত ভয় পাচ্ছি।’
তবুও কোনো প্রতিউত্তর নেই। এদিকে দুনিয়ার সব ভুতুড়ে গল্প যেগুলো ছোটবেলায় শুনতাম সেগুলো মনে পড়ছে। ভয়ে গাড়ির দিকে পা বাড়াতেই হঠাৎ পেছন থেকে কেউ হাত চেপে ধরাতে দাঁড়ালাম আমি। প্রথমে ভয়ে ভয়ে পেছনে ফিরলেও মানুষটাকে দেখে সব নিমিষেই দূর হয়ে গেলো। আনভীর দাঁড়িয়ে আছেন। হাতে কেক আর তার ওপর সাজানো গোছানো কয়েকটি ক্যান্ডেল। এই আলো আধারের খেলায় উনার মুখে ক্যান্ডেলের আলোর প্রতিফলন নিতান্তই ঘোরগ্রস্থ বানিয়ে তুলছে। চোখের নিষ্প্রভ দৃষ্টি আমার মুখের দিকে। ফিসফিসিয়ে বলে উঠলেন,
‘ হ্যাপি বার্থডে আহি!’
সেই সাথেই সবগুলো লাইট জ্বলে উঠলো। পাশ থেকে কয়েকদল চিৎকার করে বলে উঠলো,
‘ হ্যাপি বার্থডে!’
.
.
.
.
.
~চলবে ইনশাআল্লাহ
ভুলক্রুটি মার্জনীয়।
লেখিকার গল্পমহল: ❤️কায়াভ্রমর❤️-{Stories of Kayanat Afrin}