#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
11.
ইমরান কিছু বলতে যাবে, চাচা ইমরানকে হাত দিয়ে থামিয়ে দেয়।
” ভাতিজা থাম তুই।এই বাচ্চা পোলার ইয়া বড় কলিজা। ও আমার ভাতিজিকে টাচ করে। আজকে ওরে খাইছি। লুঙ্গি দিয়া গিট্টু দিয়া মাইরালাইম ওরে।
চাচা কথাটা বলেই নিজের লুঙ্গি খুলে ফেলে। ইমরান হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জরিনা বানু এই অবস্থায় কিছু না বলে থাকতে পারল না।
” ইয়া আল্লাহ, এখানেও চাচা লুঙ্গি খুইলে ফালাইছে।
চাচা কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই কাশেম, সিনহার হাত ছেড়ে দেয়।সিনহা হাত ছাড়া পেয়ে দৌড়ে ইমরানের কাছে আসে।
চাচা লুঙ্গি হাতে নিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে বলে,
” কীরে বাচ্চা পোলা, সমস্যা কী তোর? আমার ভাতিজিরে গায়ে হাত দিলি কেনো?
” আপনি লুঙ্গি পড়েন আগে। পরে কথা কয়েন।
” শাট আপ। লুঙ্গি নিয়ে তোর মুখে কোনো কথা শুনতে চাই না। কথা বললেই এই লুঙ্গি দিয়ে তোর গলায় গিট্টু দিয়া মারি ফালায়ুম।
এখন বল ওরে নিয়া জঙলে যাইতেছিলি ক্যান?
” বুঝেন না আপনে কেনো যাচ্ছি?
কথাটা শুনে চাচা কাশেমের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। নিজের লুঙ্গি কাশেমের গলায় ধরে টানতে টানতে ইমরানের কাছে এনে ফালায়।
” ভাতিজা, বাকি যা করার তুই কর। আমি ক্লান্ত হইয়া গেছি।
” চাচা আপনে আগে লুঙ্গি পড়েন,কথা পরে বলেন।
” ও হ্যাঁ।
চাচা, কাশেমের গলা থেকে লুঙ্গি সরিয়ে পড়ে নেয়।
জরিনা বানু চাচাকে লুঙ্গি পড়তে দেখে হাফ ছেড়ে বাঁচে।
ইমরান, এবার কাশেমের দিকে তাকায়। খুব শান্ত কন্ঠে বলে,
” কেরে তুই?ওর হাত ধরলি? ওর গায়ে হাত দিলি?
সাহস কী করে হয়েছে এসব করার?
” আমার অনেক সাহস। গ্রামে নতুন তো তাই আমাকে ছিনেন না।
” আজকে তোকে ছিনে নিতে চাই। সিনহা তোর পায়ের জুতাটা খোল।
” পায়ের জুতা কেনো খুলবো?
” খুলতে বলছি তোকে।(গম্ভীরভাব)
সিনহা তাড়াতাড়ি করে নিজের পায়ের জুতা খুলে হাতে নেয়।
” এবার ওর দুই গালে কয়েকটা জুতার বারি মার।
” হোয়াট? খুব বাড়াবাড়ি করছেন আপনি? আপনি ছিনেন না আমাকে? আমি চেয়ারম্যানের পোলা।
ইমরান কাশেমের বুকে এক লাথি বসিয়ে দেয়। কাশেম বুকে হাত দিয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
” চেয়ারম্যানের পোলাগিরি তোর বার করছি আমি। সিনহা জুতা দিয়ে পিঠা ওকে।
” সত্যি পিঠাবো?
” তুই ওরে না পিটালে, আমি তোরে পিটাবো।
” না না আমি পিটাচ্ছি।
সিনহা, কাশেমের কাছে গিয়ে দুই গালে চারটা জুতার বারি মারে। কাশেমের গাল কেটে রক্ত বের হয়ে যায়।
” নেক্সট টাইম থেকে সিনহার আশেপাশে তোকে দেখলে এর থেকে জঘন্য অবস্থা করবো তোর আমি।
চল সিনহা.।
ইমরান, সিনহার হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। সিনহা হেসে এক হাত নিজের গালে দিয়ে ইমরানের দিকে তাকায় আর মনে মনে বলে,
” হায়! মেরা ডেবিল। কি কিউট লাগছে তোকে? কি রাগ তোর? পুরাই ফিদা হয়ে যাচ্ছি।
!¡!
সন্ধ্যায় চাচার জন্য মেয়ে দেখতে যাওয়া হলো। মেয়ে পক্ষের থেকে চাচার লুঙ্গি পড়া নিয়ে কোনো ঝামেলাই হয়নি। সিনহাও মেয়েকে উল্টাপাল্টা কোনো প্রশ্ন করেনি। তাই দুই পক্ষের মতেই ভালোই ভালোই বিয়ের দিন কাজ ঠিক হয়ে যায়।
চাচা তো বাড়িতে এসে ভাব নিয়ে বসে। তিনি জরিনা বানুকে বলে,
” কীরে জরিনা বানু, খুব তো কইছিলি এই লুঙ্গির জন্য আমার বিয়ে হবে না। এখন এই লুঙ্গি পইড়াই বিয়ে করতে যামু।
” বিয়ে ঠিক হইছে ভালোই হইছে। কয়দিন আর বিয়া না কইরা থাকবেন। আল্লাহ বাচাঁইছে লুঙ্গি নিয়ে হেতারা কোনো ঝামেলা করে নো।।
!¡!
লুঙ্গি চাচার বিয়া✍️
সিনহা আজকে শাড়ি পড়ে সুন্দর করে সেজেছে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সিনহা নিজেকে দেখছে। তার সাজ সজ্জায় কোনো খুঁত আছে কিনা, পরখ করে দেখছে।
সিনহা সেজে রুম থেকে বের হয়ে ইমরানকে খুঁজছে। তার ডেভিল নিশ্চয় আজকে তার চাচাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। তার দিকে তাকানোর সময়ও পাবে না। তাই খুব ব্যস্ত হওয়ার পূর্বেই ডেভিলের মুখ থেকে নিজের প্রশংসা শুনতে চায়।
সিনহা খুজতে খুঁজতে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসে।
বাইরে এসেই সে ইমরানকে খুঁজে পায়। বরের গাড়ি সাজাচ্ছে সে।
সিনহা গিয়ে ইমরানের সামনে দাঁড়ায়। ওমা সে তো সিনহার দিকে তাকাচ্ছেই না। সিনহা একবার বামপাশে তো, আরেকবার ডানপাশে যাচ্ছে। কিন্তু ইমরান সব মনোযোগ গাড়িতেই দিয়ে রাখছে।
” ভাইয়া..?
” কী? (না তাকিয়ে)
” আমার মাথা তোর মুন্ডু।
” ডিস্টার্ব করিস না। যা এখান থেকে।
” কীইই,আমি ডিস্টার্ব করি?
সিনহা, ইমরানের পিঠে কয়েকটা কিল ঘুষি বসিয়ে হনহন করে বাড়ির ভিতরে চলে যায়।
” আরে…এই সিনহা মারলি কেনো?
!¡!
সিনহা তার মামাতো কাজিনদের সাথে হেসে হেসে গল্প করছে। একটা ছেলে তো সিনহার হাত ধরেই কথা বলতেছে। ইমরান তো রীতিমত রাগে ফায়ার।
সে গিয়ে সিনহার সামনে দাঁড়ায়। এবার সিনহাও না দেখার ভান করে থাকে।
” সিনহা চল,তোর সাথে কথা আছে।
” পরে।
” পরে মানে, এক্ষুনি আয়।
” দেখছিস না কথা বলতেছি।
ইমরান রেগে এবার সিনহার হাত চেপে ধরে টান দিয়ে ছাদে নিয়ে যায়।
” কী সমস্যা তোর? আমাকে ছাদে এনেছিস কেনো?
” তোর কী সমস্যা? ওই ছেলে তোর হাত ধরলো কেনো?
” তাতে তোর কী?
” আমার কী, তাই না.?
এই কথা বলে ইমরান সিনহার কোমড়ে এক হাত দিয়ে সিনহাকে একদম নিজের কাছে নিয়ে এসে অন্য হাত দিয়ে সিনহার চুল চেপে ধরে সিনহার ঠোঁট জোড়ায় নিজের ঠোঁট বসিয়ে দেয়।
হুঠ করে এমন কিছু হবে সিনহা কল্পনায়ও ভাবতে পারেনি। সিনহা ছুটতে গেলে ইমরান শক্ত করে চেপে ধরে কিস করতে থাকে।
চলবে…
~ ইমতিহান ইমরান
follow WRiter im Ran ❤️