Romantic_Devil পাঠ-১২

#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
12.

” আমার কী,তাই না.?

এই কথা বলে ইমরান সিনহার কোমড়ে এক হাত দিয়ে সিনহাকে একদম নিজের কাছে নিয়ে এসে অন্য হাত দিয়ে সিনহার চুল চেপে ধরে সিনহার ঠোঁট জোড়ায় নিজের ঠোঁট বসিয়ে দেয়।

হুঠ করে এমন কিছু হবে সিনহা কল্পনায়ও ভাবতে পারেনি। সিনহা ছুটতে গেলে ইমরান শক্ত করে চেপে ধরে কিস করতে থাকে।

সিনহা নড়াচড়া করা ছাড়া কিছু করতে পারে না। ইমরানের কিস করা শেষ হলে, সে সিনহাকে ছেড়ে দেয়। সিনহা একদম শকড হয়ে গেছে। লজ্জায় তার মাথা নিচু হয়ে যায়। ইমরান, সিনহার প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য সিনহার দিকে তাকিয়ে চুপ করে আছে।

কিছুক্ষণ সময় যাওয়ার পরেও যখন সিনহা নিচ থেকে মুখ তুলে তাকাচ্ছিল না। তখন ইমরানের মনে কিছুটা সন্দেহ জাগে। সে সিনহার মুখটা উঁচু করে ধরতেই দেখে সিনহার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।

সিনহার চোখের পানি দেখে ইমরান হতবাক হয়ে যায়। মনে অপরাধবোধ জাগে। রাগের মাথায় সে সিনহার সাথে খারাপ করে ফেলল। সে উদ্ধিগ্ন কন্ঠে বলে,

” সিনহা সরি আমি। রাগের মাথায় ভুল করে ফেলেছি আমি। মাফ করে দে আমাকে।

” সিনহা তুই আমাকে যা শাস্তি দিবি, আমি মাথা পেতে নিবো। তারপরেও কান্না করিস না প্লিজ। তুই আমাকে মার, গালি দে, যা ইচ্ছা বল। আমি কিচ্ছু মনে করব না। অপরাধ করে ফেলেছি সিনহা। ক্ষমা করে দে প্লিজ। প্লিজ সিনহা কান্না করিস না।

সিনহা কিছু না বলে পাশ কেটে চলে যায়। ইমরান আটকায় না।

ইমরান রেগে ছাদের দেওয়ালের সাথে নিজের হাত দিয়ে দুই তিনটা ঘুষি দেয়। হাত ফেটে রক্ত বের হয়ে যায়। কিন্তু তাতে ইমরানের কোনো মাথা ব্যাথা নেয়। আরো দুইটা ঘুষি দিয়ে তারপর শান্ত হয়। এইদিকে ইমরানের হাত থেকে অনেক রক্ত ঝরছে। এভাবে তো আর নিচে যাওয়া যাবে না। ইমরান, আয়ানকে ফোন দেয়।

” দোস্ত এক টুকরো কাপড় নিয়ে ছাদে আয় তো।

” আচ্ছা আসতেছি।

আয়ান কাপড় নিয়ে ছাদে এলে, ইমরানের হাত দেখে আঁতকে উঠে।

” ও মাই গড। এটা কীভাবে হলো?

ইমরান জবাব না দিয়ে নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে নিজের হাত বেধে নেয়। তারপর আয়ানের আনা কাপড় দিয়ে উপর দিয়ে বেঁধে নেয় আয়ানের সাহায্যে।

” বলবি তো এমন করলি কীভাবে?

” নিজেই দেওয়ালে ঘুষি দিয়ে এমন করেছি।

” কিন্তু কেনো এমন পাগলামি?

ইমরান সিনহার সাথে যা করেছে তার বর্ণনা দেয়।

” যা শালা এর জন্য এমন কিছু করতে হয়? তোর সিনহাকেই তো কিস করেছিস। অন্য কাউকে না।

” ঠিকাছে। বাট ও এটা নিতে পারেনি।চোখ দিয়ে পানি পড়েছে।

” প্রথমবার তো তাই এমন করেছে। নেক্সট থেকে ঠিক হয়ে যাবে। (চোখ টিপ দিয়ে)

” যা শালা মজা নিবি না। শোন ফার্মেসীর দোকান থেকে ব্যান্ডেজ ও মেডেসিন এনে ভাবীকে দিয়ে উপরে পাঠাবি। এখানে ব্যান্ডেজ করতে হবে। কেউ যেনো না জানে।

” ওকে।

!¡!

ভাবী ছাদে এসে তার দেবরের এই অবস্থা দেখে তাকে কিছুক্ষণ বোকাঝোকা করে। সিনহার সাথে করা ঘটনা টা অবশ্য সে চেপে গেছে। ভাবীকে তো এই কথাটা বলা যাবে না।

বরের গাড়ি কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো। সিনহা,এর মধ্যে ইমরানের সাথে দেখা দেয় নি। ইমরানও সিনহাকে খুঁজে নি। মানে সিনহাকে আর ঘাটাতে চায়নি।

বরকে নানা আপ্যায়নে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। অবশ্য কনের আত্নীয় স্বজনরা বরের লুঙ্গি পড়ে আসাকে ভালো চোখে দেখেনি। কিছুক্ষণ কানাঘুষা এই লুঙ্গি নিয়ে চলেছে।

কনে, বরকে স্টেজে পাশাপাশি বসানো হয়েছে। বাকি সবাইর খাওয়ার ব্যবস্থা করে হয়েছে। ইমরান বসেনি, তার হাত কাটা, খাওয়ার মতো অবস্থা নেয় তার.।
যেই জিজ্ঞেস করেছে তার হাতে ব্যান্ডেজ কেনো? তাকেই কোনোরকম এটা ওটা বুঝিয়ে শান্ত করেছে।

সবার খাওয়া ঠিকঠাক হচ্ছে কীনা? ইমরান তার তদারকি করছে। সিনহাকেও এক টেবিলে পেয়ে যায় সে। তার আম্মাজানের সাথে বসেছে সে।

” ইমরান, তুই খেতে বসিস নি এখনো.? ওও তুই তো আবার হাত কেটে বসে আসিস। এইদিকে আয়, আমি খাইয়ে দিচ্ছি।

” থ্যাঙ্কিউ আম্মাজান।

ইমরান গিয়ে তার আম্মার হাত থেকে বেশি না মাত্র দুই লোকমা খাবার খায়।

” হয়েছে আর খাবো না।

” এতো বড় দামড়া ছেলে, দুই লোকমা খেয়ে বলে আর খাবে না।

সিনহার কানে কোনো কথা যাচ্ছে কিনা, বুঝা যাচ্ছে না। সে খাবারের দিকে তাকিয়েই মনোযোগ সহকারে খাচ্ছে।

ইমরান চাচার কাছে যায়। চাচার কানে কানে বলে,

” চাচা লুঙ্গিটারে কিন্তু ভালোভাবেই আজকে সামলাতে হবে। নাহলে কিন্তু আজকেও বিয়ে হবে না। পরে আমাদের কিছু করার থাকবে না।

” আরে ভাতিজা চিন্তা করিস না। আজকে লুঙ্গি টারে ভালো ভাবেই সামলাবো।

!¡!

ইমরান এক পাশে দাঁড়িয়ে আয়ানের সাথে কথা বলছে। সিনহা এসে ইমরানকে ডাক দেয়।

” ভাইয়া একটু দরকার আছে। এইদিকে আসবি.?

” আসতেছি, দাড়া।

” যাও বন্ধু যাও। এবার মনে হয় সিনহাই নিজ থেকে দিবে।(দুষ্টামি করে হেসে)

” চুপ কর শালা।

ইমরান, সিনহার কাছে যেতে নিলেই একটা মেয়ে এসে সামনে দাঁড়ায়। মেয়েটা কনে পক্ষের কেউ হবে, তাই ইমরান কিছু বলতেও পারে না। সৌজন্যতার খাতিরে মেয়েটার সাথে,ইমরানের হেসে হেসে কথা বলতে হয়। দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে সিনহা রানী রেগে ফায়ার। সে ইমরানের কাছে গিয়ে ইমরানের পাঞ্জাবীর কলার চেপে ধরে টেনে নিয়ে আসে। মেয়েটা তো সিনহার এমন কান্ডে হা হয়ে গেছে। ইমরানও হতবাক।

” কিস করবি আমারে,আর প্রেম করবি অন্য মাইয়ার সাথে,তা তো হবে না।

চলবে…

~ ইমতিহান ইমরান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here