বক্ররেখা(৩য় পর্ব) ###লাকি রশীদ

0
189

###বক্ররেখা(৩য় পর্ব)
###লাকি রশীদ

আমাদের এক ভাড়াটিয়ার মেয়ের আগামীকাল। আমি সাধারণত গায়ে হলুদ এসব অনুষ্ঠানে যাই না। কিন্তু কনের মা সেতু অনেক দিন ধরে আমার এখানে আছে। আমার বাচ্চাদের বিয়েতে দেখেছে আমি ও আমার বোন খুব সুন্দর পানদান সাজাই।
বিয়ের দিন বরের সামনে দেয়া খাবার ডিস যা আমাদের স্থানীয় ভাষায় বলে “সাগরানা” সেটা এতো সুন্দর হয় যে আমার মেয়েরা গর্ব করে বলে যে, আমাদের মা খালা হচ্ছেন সৃজনশীল মানুষ। সেতু অনেক আগে থেকেই বলে রেখেছে,খালাম্মা
আমার ছেলেদের বিয়ের পানদান আর দুই মেয়ে জামাইদের বিয়ের খাবার ডিস আপনি ও বকুল খালাকে সাজিয়ে দিতে হবে কিন্তু। আমি তখন হেসে বলেছি, বেঁচে থাকলে ইনশাআল্লাহ দিবো মা।

বড়বৌমা কে বলেছি, আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে ই চলে যাবো মা। তুমি কিন্তু এর আগেই বাসায় ফিরে এসো। বলল,হ্যা হ্যা আমি সময়মত
চলে আসবো। আজকে ওদের গ্ৰুপের সবাই মিলে বাস ভাড়া করে কোথায় যেন বেড়াতে চলে গেছে। আমি রেডি হয়ে বসে আছি, বকুলও অনেক ক্ষণ ধরে এসেছে কিন্তু বড়বৌমার তো আর খুঁজ নেই। অনেকক্ষণ পর বকুল এবার বিরক্ত হয়ে বলছে,চলো তো আপা। এতো কেয়ার করো বলেই এরা এমন করছে। আমি বলি আর একটু দেখি দাঁড়া। সজলের বাচ্চাদের জন্য তো আয়া রাখা আছে কিন্তু রায়ানকে দেখবে কে? আমি সরে গেলেই তো ও লাফঝাঁপ শুরু করে দিবে। কখন রান্নাঘরে চলে যায় কে জানে।

এর পাক্কা ২০ মিনিট পর মেহের এসেছে। এতো করে বলা সত্ত্বেও বকুল মনে হয় আর মেজাজটা
ঠিক রাখতে পারে নি। ওর দিকে তাকিয়ে বললো,
শাশুরিকে একটা দিনও কি রহম করা যায় না গো? তুমি তো জানো ই এসব ডিস তৈরি করা বেশ সময়ের ব্যাপার। এখানেই এতো রাত হয়ে গেল তো শেষ হবে কখন? অপর পক্ষ তেলে বেগুনে যেন রেগে গেল, আমি কি ইচ্ছে করে দেরি করেছি
না কি? রাস্তার জ্যাম কি আমার কথায় চলবে? আর আপনি এতো কথা বলছেন কেন? নিজের সংসারে গিয়ে এসব মাতব্বরি ফলান। আমাদের বাসায় এসব চলবে না। ঠিক সেই সময় আমাদের দুজনকে অবাক করে দিয়ে বকুল হা হা করে হেসে উঠলো। খুবই ধীরে সুস্থে উঠে ওর কানের কাছে মুখ রেখে বললো,এসব খেলা মোটেই আমার সাথে খেলো না মেহের। তুমি কি ভেবেছো, তোমার রুঢ় কথা শুনে আমি আর আসবো না এখানে?
আমি তোমার শাশুড়ির মতো নরম নই মোটেও। আমার বোনের বাসায় আসবো এবং অন্যায় দেখলে সেটা নিয়ে কথাও বলবো। তুমি তোমার মেরুদন্ডহীন স্বামীকে অবশ্যই তা জানিয়ে রেখো।
চলো তো আপা। কি একটা অবস্থা এ সংসারের।

সিঁড়িতে গিয়ে বলি, শুধু শুধু এসব কথা বলার কি
দরকার ছিল বকুল? এখন নাঈম এলেই সত্য মিথ্যা মিশিয়ে কানে বিষ ঢুকাবে। ও তখন ফুলে বোম হয়ে রবে। বকুল মাছি তাড়ানোর মতো হাত নেড়ে বললো, এতো ভয় পাবার কারণ কি তোমার বলো তো? দুলাভাই থাকতে তো তুমি এতো ভীতু ছিলে না আপা। তুমি নিজেই একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখো আগের তোমাকে কোথ্থাও খুঁজে পাবে না। আমি বিড়বিড় করে বলি দুলাভাই
নাই যখন তাহলে থাকতে কি ছিলাম সেই কথা বলে কি লাভ? মনে মনে বলি,মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় আসলে কি আগে আমার এতো সাহস ছিল?

সেতু খুব আয়োজন করে টেবিলে পান সুপারি রেখেছে। হেসে বলি এসব কাজ টেবিলে হয় না গো কনের মা। সে এবার বলছে, নীচে বসতে আপনাদের অসুবিধা হতে পারে ভেবে চাদরটা বিছাইনি খালাম্মা। বকুল উচ্চস্বরে বললো,আমি ও আমার বোন দুজনেই হালকা পাতলা মানুষ। কোনো সমস্যা হবে না। সেতুর মা,খালাও এসে আমাদের সাথে হাত মেলালেন। ঝটপট অনেক গুলো খিলি বানিয়ে রঙ্গীন কাগজ কেটে বিভিন্ন মিষ্টি মশলা সহযোগে আস্তে আস্তে পানদান তার পুর্ণ রুপ পেতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বকুল ডিসের জন্য ডিজাইন করে কাঁচাপেঁপে,গাজর, পেঁয়াজ কাটা শুরু করেছে। এগুলোকে রাতে এমন ভাবে রেখে যেতে হবে যাতে সকালেও পুরো ফ্রেশ থাকে। সবকিছুরই উপায় আছে। মুরগি দিয়েই মুরগির আকৃতিতে পোলাও এর উপর এটা বসানো থাকবে। মুরগির ডিম বুঝাতে অনেক গুলো গুলো আলুর চপ করা হচ্ছে।যা বিরাট ডিস এর চতুর্দিকে থাকবে।

কিছুক্ষণ আগে হলুদের অনুষ্ঠানে আসা সব অতিথিদের খাওয়ানো শেষ হয়েছে। এরা বিদায় নিলে কনে রুম্পা এসে গলা জড়িয়ে ধরে বলছে কেমন আছো দাদী? হাতে মুখে আদর দিয়ে বলি, ভালো আছি রে। বকুল এবার বলছে কি রে নার্ভাস না কি? রুম্পা এবার হেসে বলছে আরে নার্ভাস হবো কেন? ও তো শিশির, ওকে ভয় পাবার কিছু নেই। ওর নানী এবার ফিচেল হাসি হেসে বল্লেন,ভয় পাবার কিছুই নেই? হায় হায় এমন হলে তো ওকে তোর বিয়ে করাই উচিত নয়। এ তো শুধু নামেই ডাক্তার রে। রুম্পা এবার বলছে, তোমার তো খালি মাথায় এসব চিন্তা ঘুরপাক খায়। দেখো দাদী কে, কি সুন্দর কম কথা বলে কিন্তু অনেক বুদ্ধি উনার। এবার আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে বললো, বিয়েতে মুরুব্বি সবাই আমাকে অনেক উপদেশ বিলিয়েই যাচ্ছে। তুমি কি কিছু বলবে দাদী? মাথায় চুমু দিয়ে বলি সবসময় মনে রাখবি আমার স্বামী যেমন শিশির তেমনি আরেকজনের ছেলেও কিন্তু সে। ২৮ বছর বয়সে টুপ করে এই পৃথিবীতে সে পড়ে নাই। সুতরাং ওর বাবা মা কে কখনো অসম্মান করবি না। ওকে কখনো করতে দেখলে বারণ করবি। তাহলে দেখিস তুই ইনশাআল্লাহ অনেক সুখী হবি। শুধু নামের আগেই চিকিৎসক খেতাব নয় বরং তুই মনের গভীরের চিকিৎসক হয়ে যাবি।

রুম্পার নানী ভীষণ আমুদে মহিলা। উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন আপা অনুমতি দিলে আর একটা বিয়ের গান গাই। আমি বলি বেশ তো। উনি আর উনার বোন সাথে সাথে গান‌ ধরলেন:

আমি পালঙ্ক সাজাইলাম গো ফুলের মালা দিয়া,
এ গো খুশি মনে বইছে দামান্দ রুমাল মুখে দিয়া
এ গো হাসি মুখে বইছে দামান্দ রুমাল মুখে দিয়া
এ গো কইন্যার মায়ের কান্দইন করইন উন্দাল
(রান্নাঘরে) বইয়া,
আমার এতো মায়ার পুরিরে(মেয়েটাকে) ক্যামনে
দিতাম বিয়া

বকুলের ডায়বেটিস, প্রেসার নেই। ও ভাত খেলো।
সেতুর অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও আমি খাইনি। বাসায় এসে ঘুমন্ত রায়ান কে চুমু দিয়ে নামাজ পড়লাম। এখন বাজে রাত সাড়ে এগারোটা। দশ টার ভেতর এখানে খাওয়া দাওয়া চুকে যায়। রুটি সেঁকতে গিয়ে দেখি রুটি করা নেই। রান্নার খালা কে বললাম রুটি করোনি? সে মাথা নেড়ে বললো,
বড়ভাবী না করেছে। বলেছে শুধু শুধু নষ্ট হবে।
আপনি ওখান থেকে খেয়ে আসবেন। বললাম, আমি কি রাতে ভাত খাই না কি? তুমি তাড়াতাড়ি দুটো রুটি করে সেঁকে দাও। ও খুবই বিরক্তিভাব নিয়ে উঠতেই মেহের ও নাঈম এসে ঢুকেছে।

আমার সুবিধা হবে ভেবে অনেক আগে ওদের বাবাকে বলে আমি রান্নাঘর বড় করে বানিয়ে নিয়েছিলাম। তার অর্ধেকটা জুড়ে ডাইনিং টেবিল চেয়ার,বাসনের বিরাট সোকেস। এরকম একটা চেয়ারে বসতেই ওরাও দেখি এসে বসেছে। খুবই প্রত্যাশিত ভাবে নাঈম বললো,মা খালাকে বারণ করো আমাদের কোনো বিষয়ে উনি যেন নাক না গলান। তার সব মতামত নিজের সংসারে যেন খাটান। আমার হঠাৎ করেই কেন জানি মনে হলো পানি এবার মাথার উপরে উঠছে। শ্বাসপ্রশ্বাস যেন ঠিকমতো নিতে পারছি না। হয়তোবা রাত দুপুরে বুয়ার বিরক্তিভাব অগ্ৰাহ্য করে দুটো রুটি বানাতে দিয়ে খেতে হবে বলেই,
নয়তো সব বেলা সবাই খেলো কিনা নজরদারি করা এই আমি যখন দেখেছি আমাকে খেয়াল করার মতো কেউ নেই……… এজন্যই এসব মনে আসছে। স্মিত হাসি হেসে বলি, তুমি কি খালার বিরুদ্ধে বিচার বসাতে এসেছো না কি? একটি কথা মনে রেখো, কোনো বিচারেই দুই পক্ষের কথা না শুনে ন্যায় মতামত দেয়া যায় না। খালা যেমন
বলেছে মেহেরও তেমন বলেছে। তোমার উচিত ছিল ওটাও শোনা। এখন ঘুমাতে যাও, আমি রুটি খাবো।

হকচকিয়ে গেছে দুজনে, রুটি দিতেই সহকারীকে বলি দয়া করে ফ্রিজ থেকে ভাজিটা এনে গরম করো। ওরা অবস্থা বেগতিক দেখে হয়তো চলে গেছে। আমি মাথা নেড়ে ভাবি অদ্ভুত এক জীবন নারীদের। হয় জালিম নয় মজলুম। তবে সুখের কথা হলো দিন পাল্টাচ্ছে। বাড়ি ভাড়া দেয়ার কারণে অনেক পরিবারকে চোখের সামনে দেখা হয় বলে ভীষণ রকম মানসিক নির্যাতন সহ্যকারী
কতো জনকে চিনেছি। আশঙ্কার কথা হলো, এদের নির্দিষ্ট কোনো ক্যাটাগরীতে ফেলা যাবে না।
শিক্ষিত অশিক্ষিত,ধনী গরীব সবার মধ্যেই এরা বিপুল পরিমাণে বিরাজমান।

আজ কয়েকদিন ধরে বামচোখ টা বড় যন্ত্রণা করছে। কিছু পড়তে গেলে অনেক সমস্যা হয়। চশমার পাওয়ার হয়তো বদলানোর প্রয়োজন। কিন্তু রনিকে বলবো ভাবলেই সংকোচ লাগে। সে নাকি তার একটি বিজনেস এর পার্টনার নিয়ে অনেক ঝামেলার মধ্যে আছে শুনেছি। সজলকে বললাম আমাকে একবার চোখের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাস তো। এক সেকেন্ডেও সময় না নিয়ে মুখের উপর বলে দিলো আমার সময় নেই মা। হাসপাতাল, প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে অনেক ঝামেলায় আছি। দম ফেলারও ফুরসত নেই। আমরা তিনজন ডাক্তার মিলে একটা ক্লিনিক খুলবো ভাবছি। সে হিসেব করতে করতেই কখন রাত বারোটা বেজে যায়। আমি আর কিছু বলিনি।

জরিনাকে বলেছিলাম একটা চাদর ওকে কিনে দিবো। কবে মেহেরকে বলেছি আনেনি দেখে মনে করিয়ে দিলাম। তারও কয়েক দিন পর সস্তা দেখে
একটা চাদর নিয়ে এসেছে। আমি হাতে নিয়ে বলি
তোমাকে না বললাম ভালো কোয়ালিটির চাদর আনতে। এটা কি এনেছো? জবাব যেন জিহ্বার আগায় উপস্থিত থাকে, জিনিসপত্রের অনেক দাম মা। আপনার ছেলে কিছুতেই যেন সবদিক কুলিয়ে উঠতে পারছে না। আর ওদের জন্য এটাই অনেক বেশি। জরিনা ঘর মুছতে ছিল। মেহের চলে যেতেই কাছে এসে বললো, তুমি আর এসব নিয়ে ভেবে ভেবে মাথা গরম করো না তো। সত্যি ই তো আমাদের জন্য এটাই অনেক দামি চাদর। আমি নির্বাক হয়ে ভাবছি কতটা নিচে নেমে গেছে ওরা। আমার বংশধরদের বাপ মা। ওদের কাছে থেকে পরের প্রজন্ম ঠিক কি শিখবে আমি সত্যিই জানি না। এরা তো নিজেই দেউলিয়া ও ভাগাড় হয়ে বসে আছে।

আগেই বলেছিলাম আমার স্বামী প্রত্যেক মাসের প্রথমদিকে আমাকে হাত খরচের টাকা দিতেন।
এজন্য ভাড়া দেয়া মোট ৪টা ফ্ল্যাটের ২টার টাকা আমার হাতে আসতো। উনি চলে যাওয়ার পর ২/৩ মাসও এসেছে। এরপর থেকে কোন এক অজানা চালে দান পাল্টে গেছে। এরপর আসেনি।
এতো দিন আগের জমানো টাকা দিয়ে চলেছি বলে আমিও খেয়াল করিনি। রুম্পাকে নিয়ে আমি চোখের ডাক্তারের কাছে যাবো ভাবছি। কিন্তু হাতে টাকা না থাকলেও তো ভীষণ সমস্যা। বিয়ের পর বাবার বাসায় এসেছে কিছুদিন থাকবে বলে ও। গতকাল বলতেই বলেছে কোনো সমস্যা নেই। তোমার ডাক্তারের নাম বলো। আমি সকালে এপোয়েন্টমেন্ট করে বিকেলে তোমায় নিয়ে যাবো
আজ ওকে বলি একটা সমস্যা হয়েছে রে। পরে কোনো এক সময় যাবো না হয়। ও এবার বলছে, সমস্যা টা কি জানতে পারি? বললাম,পর্যাপ্ত টাকা হাতে না থাকলে আমার বেরোতে ভালো লাগে না।
সে বলে আজকের মতো তোমার সেই পর্যাপ্তের পরিমাণ কতো তা জানতে চাচ্ছি। বললাম হাজার পাঁচেক। বললো বিয়েতে গিফট পেয়েছি আঠারো হাজার টাকা মতো। তুমি ঋণ হিসেবে নিয়ে নাও।
টাকা হাতে এলে দিয়ে দিবে না হয়।

এবার আমার ইতস্তত ভাব দেখে বললো,শোনো দাদী মনে আছে অনেক আগে একবার বাবার অপারেশন করাতে গিয়ে দুই মাস এর ভাড়া দেয়া হয়নি। পরে বকেয়া টাকাগুলো নিয়ে গেলে দাদু বাবাকে বলে, এই টাকা রাখলে তোমার খালাম্মা ভীষণ চটে যাবে। মনে করো তোমার মা বিপদে তোমাকে টাকাগুলো খুশি মনে ফিরিয়ে দিলেন।
সেদিন বাবা এসে চোখে জল নিয়ে বলেছিলো কে বলে ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালারা এতো কঠিন? এসব ভালো মানুষ আছে বলেই এখনো পৃথিবীতে ভারসাম্য আছে। আমি হেসে বলি, সেই ঋণ আজ
শোধ করছিস নাকি? খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো,
তুমি হলে এতো বড় বাড়ির ল্যান্ডলেডি। আর আমি হলাম চুনোপুঁটি এক ডাক্তার। শোধ করার
দুঃসাহস করি কি করে বলো তো? কোনো কথা না, বিকেল তিনটায় আজ আমরা যাচ্ছি কিন্তু।
আমি বের হয়ে হাসতে হাসতে ভাবলাম পৃথিবীতে অনু পরমানু ভালো মন্দ করলেও আল্লাহ্ তায়ালা এভাবেই কি সুন্দর ফিরিয়ে দেন। নির্ভার মন নিয়ে বেরোনোর প্রস্তুতি নিতে বাইরে পা বাড়াই। তখনো জানি না আজকের বিকেলে বাইরে বেরোনোটাই পরিচিত কষ্টকর বৃত্ত থেকে মুক্তির আস্বাদ পাওয়ার পথ খুলে দিবে।

(চলবে)
###৪র্থ পর্ব আগামী কালকে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here