গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ০৭
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” বিয়ের দিন যেটা ভাবি নাই ঐ কাজটাই হয়ছে।
আরে ভাই যেটা ভাবতেছেন ওইটা হয় নাই। আপনারা হয়তো ভাবছেন সেতুর সাথে বিয়ে হবে? কিন্তু বিয়েটা হবে না।
আসলে আমি মেয়েদের উপর কোনোদিন ক্রাস খাই নাই,, বলতে পারেন কাউকে প্রথম দেখাই ভালোবেসে ফেলেনি। কিন্তু সেতুর বিয়েতে একটা মেয়েকে দেখি যাকে দেখে পুরাই ফিদা হয়ে যাই। ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু মেয়েটিকে চিনি না। মামার বাড়ির আত্মীয়দের যতগুলো মেয়ে আছে সবগুলোই চিনি। কিন্তু এই মেয়েকে চিনলাম
না।
ওত ভেবে লাভ নাই শূভ আগে ভাব কীভাবে মেয়েটাকে পটানো যাই। যেভাবে হোক বিয়ের কয়দিন এর ভিতর পটাতে হবে। না পটালে হাতছাড়া হয়ে যাবে।
যেই ভাবা সেই কাজ দেখতে পেলাম মেয়েটা একাই বসে আছে। আমি
তার কাছে গিয়ে বসলাম বসে থেকে বুকের বাম পাশে হাত দিয়ে বলতে লাগলাম উহ আহ ইস
মেয়েটি : আপনার কোনো সমস্যা হয়েছে। ডাক্তার কে ডাক দিতে বলব
আমি :ঊহ অহ ইস দেখতেই পারছেন বূকের বা পাশে চিন চিন করছে
মেয়েটি :ডাক্তার কে ফোন করব
আমি : এই ব্যাথা ডাক্তার দিয়ে ভালো হবে না। এই ব্যাথা ভালো হতে হলে আপনাকে লাগবে গো আপনাকে।
মেয়েটি :আরে আপনি কী বলেন এসব। আপনি পাগল হয়ছেন নাকি।
আমি : প্রেমে পরলে যদি পাগল হতে হয় তাও হব তোমার জন্য।
মেয়েটি : কী বলেন এসব।
এটা বলে মেয়েটি চলে গে। আমি ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম। ধ্যান ধরে বসে আছি তখনি মামা বলল শুভ এই কাজ টা করত।
কাজ করতে চলে গেলাম। কিন্তু ঐ মেয়েটির মায়াবী চোখ এলোমেলো চুল এত সুন্দর চাহনি । মিষ্টি মিষ্টি হাসি সব মিলিয়ে পুরাই জোস। ভাবতে লাগলাম নাম টা কীভাবে শোনা যাই।
বাড়িতে যতগুলো লোক আছে তাদের কে খাবার দিতে হবে । আর আমার দায়িত্ব হলো টেবিল ঘুরে ঘুরে দেখা। টেবিলে উপর সবকিছু রাখা হবে সব আত্মীয় এ দের যা কিছু খাবে সব নিয়ে নিয়ে খাবে।
ঐ টাই দেখা লাগব কোন যায়গায় তরকারি শেষ হলো পানি শেষ হলো,কারো খাইতে প্রবলেম হইতাছে কিনা।
এত কাজ আর বিয়ে বাড়ির এতো মেয়েদের মাজে আমার চোখ শুধু ঐ মেয়েটিকে খুজে। বিয়ে বাড়ি তে মেয়ে পটানো আর কথা বলার জন্য একবারে পার্ফেক্ট যায়গা।
অবশেষে সবাইকে খাইতে দেওয়া হলো। অনেকেই আসলো কিন্তু ঐ মেয়েটিকে আসতেছে না। কিছুক্ষণ পর সেতুর বড় বোন এর সাথে আসল ঐ মেয়েটি।
পরে খাবার পরিবেশন করা হলো আমি আস্তে (সেতুর বড় বোন এর নাম রিধি)) রিধি আপু যে টেবিলে বসেছে ঐ টেবিলে গেলাম। রিধি আপুকে বললাম একা খাচ্ছ।
রিধি :একলা খাবো কেন এই যে কত মানুষ আমার আশে পাশে।
আমি : আচ্ছা আমাকে সাথে নিয়ে খাইলেও তো হয়।একটা মাংস এর টুকরা খাওয়া দেও।
রিধি :হা কর খাওয়াই দিতাছি।
আমি :আপা এই মেয়েটার নাম কী
রিধি :কোন মেয়েটা
আমি :তোর ডান পাশের টা।
নিধি :ওহ এর নাম হলো আফরিন। এ হলো
আমি :আর কিছু শুনতে চাই নাই। নাম টা দিয়েই চলবে
নিধি :আচ্ছা মেয়েদের নাম শুনে কী করবি। আবার প্রেমে পরে গেলি নাকি।
আফরিন শুধু সব কিছু শুনতেছে আর অভাক দৃষ্টিতে আমাদের দিকে দেখছে আর খাচ্ছে।
নিধি :কী যে বলনা তুমি
নিধি :প্রেমে পরে কী করবি ফুফুকে বলে একটা বিয়ে করে ফেল। বয়স তো আর কম হলো না। আর কিছুদিন গেলে বুরো হয়ে যাবি বউ পাবি নাহ
আমি :আফরিন এর মতো সুন্দর একটা মেয়ে পেলে তো এখনি বিয়ে করে ফেলতাম।
আফরিন একটু কাশি দিল খাখ খাক করে। আর নিধি কী বললি তুই।
আর আমি এটা বলে ওখান থেকে চলে আসলাম।বেশিক্ষন থাকলেন প্রবলেম হয় যেত।
সবার খাবার খাওয়া শেষ হলো তখন মামা বলল শুভ তুমি কী কিছু খাইছো
আমি :না মামা
মামা : তুমি তাহলে নিধির রুমে যাও খাবার পাঠিয়ে দিতাছি। কিছুক্ষণ পর সেতুর শ্বশুরবাড়ি থেকে লোক আসবে তখন তো আর খাইতে পারবানা। খাবার খেয়ে ভালো ড্রেস পরে নিয়ে এটা পরিবর্তন করে। গরমে গামের কারনে ড্রেস টা নষ্ট হয়ৃ গেছে।
আমি :ঠিক আছে মামা
পরে চলে গেলাম নিধির রুমে গিয়ে দেখি নিধি আফরিন আরো কয়েকটা মেয়ে বসে থেকে ফোন চাপছে।
আমাকে দেখে নিধি বলে উঠল কেরে বান্দর এখানে কী করস।
আমি : (আফরিন এর দিকে তাকিয়ে থেকে বললাম)তাকে না দেখে আর থাকতে পারলাম না।
নিধি :কাকে রে
আমি :বুজবি না রে।
(((আপনারা হইতো ভাবছেন নিধির ঘরে খাইতে যেতে বলল কেন। এখানে একটা কারন হল বাড়িতে অনেক আত্মীয়। এখন আমাকে আলাদা ভাবে খাওয়াতে হলে আলাদা একটা রুম তো লাগবে তাই নাহ। ))))
তখনি মামা খাবার এর পেলেট নিয়ে ডুকল। আর আমি টেবিলে বসে পরলাম। মামা নিধিকে দেখতে পেয়ে বলল। তুই শুভ কে তুলে তুলে দিস। শুভ তো তুলে নিয়ে খাই নাহ। (এটা আমার ছোট মামা(
নিধি :ওকে চাচ্চু
আমার সামনে রেখে তরকারি এর বাটি ভাতের বাটি আর যা কিছু আয়জোন করছিল সব।
খাইতে বসছি তখন ছোট মামি এসে বলল শুভ ভাত নেও তরকারি নেও এমনকি মামি তুলে দিল। আমিও খাইতে লাগলাম। ছোট মামি চলে গেল মেজো মামি আসল মেজো মামিও এসে তরকারি দিল ভাত দিল। আমিও নিলাম। পেট ভরে গেছে।
মেজো মামি চলে যাওয়ার পর আসল সেতুর আম্মু এসে বলল তরকারি নেও।আমি বললা নিব না । তবুও জোর করে দিল। এদিক দিয়ে তো আমার অবস্থা খারাপ।
পরে সেজো মামি এসে আরো দিয়ে গেল। আমার পেটে তো ডুকে নাহ।
পিছনে তাকিয়ে দেখি নিধি আর ওর সাথে বসে থাকা মেয়ে গুলো হাসতেছে। আর কাটা ঘায়ে নূন এল ছিটা দেওয়ার জন্য নিধি এসে বলল। চামুচ দিয়ে মাংস পেলেটে দিয়ে বলল এই নে খা বেশি করে খাওয়া।
আমার অনেক রাগ উঠে গেল মনটাই চাইতাছে ধরে পিটাই। পেলেটে মাংস দিয়ে নিধি পাশের চেয়ারে বসল আর ওর সাথের মেয়ে গুলোকে ডাক দিল
নিধি :আই আমরা সবাই ওর পাশে বসে থাকি যাতে ও খাওয়া বাদ দিয়ে পালাতে না পারে।
বেক্কেল মেয়ে গুলো সবাই পাশে এসে বসল। সাথে আফরিন সহ।
(আফরিন মনে মনে বলতেছে আমাকে অনেক জ্বালাইছোস এখন একটু প্রতিশোধ নেই )
আফরিন ওহ মাংস তুলে দিল। আর বলল খাও খাইলে শরীর ভালো থাকবে।
আফরিন এই কথা বলার সাথে বললাম….
আমি :ভাবছিলাম খাবো নাহ।কিন্তু এখন খাব,,হাজার হলেও আমার গার্লফ্রেন্ড এত আদর করে দিল আমি কী না খেয়ে পারি
আফরিন তো রাগে ফায়ার। আর বাকি মেয়ে গুলো হাসতেছে। এর মধ্যেই নিধির একটা কল আসে আর একটু দুরে যাই কথা বলার জন্য।
তখনি আফরিন আবার মাংস দেই রাগ করে। আদর করে দিছি খা। না খেয়ে উঠতে পারবি নাহ
এবার দেওয়া দেখে রাগ উঠে গেল এত খাবার খাওয়া যাই নাকি। রাগ উঠার কারনে মাংস এর জোল ঠোট দিয়ে ভরিয়ে নিলাম আর আফরিন এর অপ্রস্তুত অবস্থায় সরাসরি লিপ কিস করি…
(চলবে)