পিচ্চি মামাতো বোন পর্ব- ০৮ লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ

0
87

গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ০৮
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ

” লিপ কিস করেই দিলাম দৌর। পরে আর আফরিন এর সামনে যাই নি।

কিছুক্ষণ পর সেতুর শ্বশুর বাড়ি লোক আসবে। সেই জন‍্য সব কিছু আরো সুন্দর করে সাজানো হলো কিন্তু যে সময় এ সেতুর শ্বশুর বাড়ির লোকজন আসার কথা ছিল ঐ সময় পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তুু কেউ আসছে না।

তখন মামা কল করে ঘটকের কাছে। ঘটক মনে হয় কী বলল তা শুনে মামা চোখে পানি এসে পরেছে এবং মামা মাথায় হাত দিয়ে বসে পরল।

পরে আমি আরো মামা এগিয়ে গেলাম গিয়ে জিগ্গেস করলাম কী হয়ছে।

মামা যা বলল তাতে তো আমার হুস উরে যাওয়ার মতো অবস্থা। কথা হলো সেতুর যার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সে নাকি অন‍্য মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।

বাকি মামারা ঐ মামাকে শান্তনা দেওয়ার জন‍্য বলল চিন্তা করিস না। আমরা তো আছিউ।

সেতুর আব্বু ঊঠে আমার দিকে তাকালো আর বাকি মামারাও আমার দিকে তাকালো। তারপর মামারা কী মনে হয় চোখাচোখি করে চলে গেল আমার বাপের কাছে।

আব্বুকে কি জেন বলল। আব্বুও হ‍্যা হু করল। পরে আম্মুর কাছে গিয়ে ঐ কথা গুলোই বলল।

পরে আম্মু আমার কাছে আসল আর বলল সেতুকে বিয়ে করতে।

আমি :কিন্তু আম্মু সেতু তো আমাকে পছন্দ করে নাহ।

তখনি আমার মামারা এসে পরল আর বলতে লাগল শুভ না করিও না বুজতেই তো পারছো। পরে আমিও রাজি হয়ে গেলাম।

বর সেজে গিয়ে মন্ডপে বসে পরলাম। বিয়ে পরান শেষ হলো। বর কনে একসাথে করে মিষ্টি করানো হলো। একটু আর চোখে আফরিন কে দেখলাম দেখি আফরিন মন টা খারাপ করে আছে।

হইতো আফরিন ওহ ভালোবেসে ফেলেছিল আমাকে। যার কপালে যার নাম লেখা থাকে ঘুরে ফিরে সেই জীবন সঙ্গী হয়।

পরে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম আমার বাড়ি। আগে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে ঘর সাজানোর। তাই ঘর সাজিয়ে রেখেছে। এসে বউ আগে ডুকানো হলো। কিছুক্ষণ পর আমি গেলাম।

দেখি সেতু ঘুমটা দিয়ে বসে আছে। আমি গিয়ে একটু কাশি দিলাম।

সেতু বসেই আছে। কোনো সারাসব্দ না পেয়ে আমি গিয়ে সেতুর ঘুমটা টা তুললাম। তখন সেতু বলল আপনার লজ্জা করে নাহ হাটুর বয়সি মামাতো বোনকে বিয়ে করতে।

আমি শকর্ড খেয়ে গেলাম।

আমি : যখন প্রেম করতে চেয়েছিলে তখন এই কথা টা কোথায় ছিল। আর তোমাকে বিয়ে করতে চাইনি। তোমার বাপেই বিয়া করাই দিছে।

সেতু : আচ্ছা বলেন তো আপনাকে বিয়ে করে লাভ টা কী? আর আপনার সাথে থাকা আর আর কোল বালিশ এর সাথে থাকা একি কথা। আপনি তো কোনোদিন বাবা হতে পারবেন।

আমি : আমি কী ইচ্ছে করে এই রোগে আক্রান্ত হয়ছি। আল্লাহ্ এরকম চাইছে তাই আমি বাবা হইতে পারব না।

সেতু : হুম কত সপ্ন ছিল ডাক্তার বেটাকে বিয়ে করে দুইটা বাচ্চা নিব কত মজা করব। কিন্তু ডাক্তার বেটা অন‍্য বেটি রে নিয়া ভাইগা গেল। কপাল খারাপ আমার

আমি : আমরা একটা বাচ্চা কিনে নিয়ে আসতে পারব তো, তাই নাহ।

সেতু :পালো নেওয়া বাচ্চা আর নিজে গর্ভধারন করা বাচ্চার মধ‍্যে অনেক পার্থক‍্য। আর আমি আপনার সাথেই তো থাকবো না। কিছুদিন যাক ডিফোর্স দিয়ে দিব।

ডিফোর্স এর কথা টা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। বাসর রাতেই ডিফোর্স এর কথা শুনতে হইতাছে।

কত সপ্ন ছিল এই রাত নিয়ে। কিন্তু সপ্ন গুলো সপ্ন রয়ে গেল কপাল।

বাসর রাতের কথা চিন্তা করতাছি। সেতুর দিকে তাকিয়ে দেখি সেতু ঘুমিয়ে গেছে। আমিও সেতুর পাশে সুয়ে পরলাম।

সকালে সেতুকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। আমার ঘুম সেতুর আগেই ভাঙ্গছে কিন্তূ উঠি নাই কারন সেতুকে জরিয়ে সুয়ে থাকতে ভালোই লাগছে। তখনি সেতু এর ঘুম ভেঙে গেল। আর সেতু নিজেকে ছারানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না।

পরে সেতু এমন একটা কাজ করল যে কাজটা আমি ভাবতেই পারি নাই…

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here