পিচ্চি মামাতো বোন পর্ব- ০৯ লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ

0
102

গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ০৯
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ

” সেতু আমার কাছে থেকে ছারাতে না পেরে গালের ভিতর চিমটি মারল আর আমি ওহ বলে উঠলাম।

গালে হাত দিয়ে দেখি যে যায়গায় চিমটি দিছে ঐ যায়গা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এটা দেখে মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল।

সেতু : লজ্জা করে নাহ আপনার আমাকে জরিয়ে ধরতে। যতসব ফালতু ছেলে। বউকে জরিয়ে ধরে ঘুমালেই সবকিছু হয় না। সন্তান জম্ম দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হয় ।

আমি কী বলব না বলব খুজেই পাচ্ছি নাহ। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

আমি ;:একজনের একটা সমস‍্যা থাকতেই পারে। তাই বলে কথায় কথায় এই রকম

সেতু :কীভাবে বলব হ‍্যা। তারা তারি আমাকে ডিফোর্স দিবেন

এটা শুনে আরো মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল।পরে মারলাম একটা থাপ্পড়।

আমি :এতো ডিফোর্স ডিফোর্স করস কেন রে। ডিফোর্স কী খুব ভালো জিনিস নাকি। ডিফোর্স দিলে আমার আমার কিছুই হবে নাহ। আর তোর সাথে ছেলে রা কথা বলবে কিন্তু কেউ বিয়ে করার জন‍্য না
শুধু তোর দেহ লুটার জন‍‍্য।

এই গুলো বলে আমি চলে আসলাম বাহিরে। বিয়েটা কী রকম হলো তা আপনারা জানেনি। তাই আমাদের বাড়িতে বেশি আয়োজন নেই। আমার ভালো বন্ধু আছে আমার বাড়ির পাশে। ওর নাম রবি।

আমি রবিদের বাড়িতে চলে গেলাম। মন টা ভালো ছিল না তাই গেইম মোড Do not distrub চালু করে গেইম খেলা শুরু করলাম আমি আর রবি।

সেতুকে এসব কথা বলার পরে সেতুর আরো রাগ করেছে। সেতু ফ্রেস হয়ে বাইরে এসে সবার সাথে কথা বলতেছে। আম্মু আব্বু আমাকে খুজতেছে। কারন সকালে একবারেই আমাকে দেখে নাই।

12 টার সময় গেইম থেকে বের হয়ে দেখি 50 টার মতো মিসকল উঠে আছে ।দেখি আম্মু এর নাম্বার থেকে কল এসেছে আব্বু কল দিছে। আরেক টা অপরিচিত নাম্বার।আমি রবিদের বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে হাটা ধরলাম। আর অপরিচিত নাম্বার টা তে কল ব‍্যাক করলাম।

কল রিসিভ করে কিন্তু কথা বল না।

আমি : কে আপনি হেলো হেলো।

কিন্তু কথা বলে নাহ। কিছুক্ষণ পরে পরে বলল আমি

আমি বলার পর চিনতে পারলাম সেতু কল দিছে। পর কল টা কেটে দিছি দেখি বাড়ির কাছাকাছি এসে পরছি।

বাড়িতে ডোকার পরপরই আব্বু আম্মু জিগ্গেস করল কই গেছিলা।

আমি :রবিদের বাড়িতে গেছিলাম

এই কথা বলার সাথে সাথেই শুরু হলো বকিবকি। আমি টুপ চাপ সবকিছু শুনে ঘরে গেলাম গিয়ে ফোন টা চার্জ দিলাম।

ঘরে সেতু বসে। আমাকে দেখে জিগ্গেস করল কোই গেছিলেন এতো সকাল বেলা। কই গেছিলাম তুমি শুনে কী করবা।

ফোনটা চার্জ দিয়ে বাইরে এসে পরলাম।আমাদের বাড়িতে হালকা কিছু আয়োজন করা হয়েছে সেতুদের বাড়ি থেকে দুই থিন জন লোক আসবে আমাদের নিতে।

আমি ফ্রেস হয়ে ঘরে গিয়ে সুয়ে আছি আর সেতু বসে থেকে ফোন চাপতেছে। ফোন চার্জ এ তাই টিপতেও পারছি। সেতুর দিকে তাকিয়ে আছি।

সেতু :ওরকম তাকিয়ে থাকেন কেন?

তখনি একটা ফোন আসলো দেখি আমার বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড এবং আমার নেংটা কালের বান্ধবী ফোন দিছে। নাম টা মিথিলা

ফোন চার্জ এ ছিল তাই রিসিভ করে স্পিকার বাড়িয়ে দিয়ে বললাম।

মিথিলা :কীরে সয়তান বিয়ে করলি আর একটু কইলিও না। তাতেই আবার বলতি বিয়ে করার সময় তোদের ছারা বিয়ে করবি না

আমি :হঠাৎ করে সবকিছু হয়ে গেছে রবিকে বলার টাইম পাই নাই।

মিথিলা : রবি বলল তোর বউ দেখতে একদম বাজে

আমি :আমার দেখে রবির হিংসা হয়ছে ওর টা সুন্দর না তাই।

মিথিলা :আরো কী শুনলাম

আমি :কী শুনলি

মিথিলা :শুনলাম রাতে বলে বিলাই মারতে পারস নাই।

আমি : ধুর বেটি এসব কী বলস,,

মিথিলা :এমনেই বললাম রে

আমি :পরে কথা কই রো ফোন চার্জ এ আছে।

মিথিলা :আগে তো অনেক কথা বলতি। এখন বউ হয়ছে না,,কথা বলবি কেন?

আমি :বাবু রাগ কর না রবি চিপায় নিয়া চকলেট দিবনি

মিথিলা : বান্দর চিপায় নিয়ে চকলেট দিবে মানে

আমি : রবিকৈ বল রবি বলবনি কীভাবে চিপায় নিয়ে চকলেট দিতে হয়।

এই কথা বলে কলটা কেটে দিলাম। আমি কেটে না দিলে কথা বলতেই থাকতো।ফোনটা রেখে সোজা হয়ে পিছনে তাকাতেই পারি নাই দেখি সেতু দারিয়ে আছে।

সেতু :মেয়েটা কে ছিল আর আমাকে খারাপ দেখা যায় এটা বলল কেন?

আমি ; মেয়েটা কে আছে আছে তোমাকে বলব কেন?আর যাকে দেখতে যেরকম লোকে তো তাকে সেরকম বলবে

সেতু :তুমি ওকে বাবু বললা কেন

আমি :ভালো লাগছে তাই বলছি। আর আপনি থেকে তুমি বলছো কেন?আমি তোমার বড় সম্মান দিয়ে কথা বলবা

সেতু :সেতু ঘরে বউ রেখে অন‍্য মেয়ের সাথে কথা বলতে লজ্জা করে না

আমি :লজ্জা করবে কেন?তোমাকে তো ডিফোর্স দিয়ে দিব

এটা শুনে রাগ করে সেতু চলে গেল। আর আমি শুয়ে রইলাম।

কিছুক্ষণ পর সেতুর বাড়ি থেকে লোক জন আসলো। খাওয়া দাওয়া করে শ্বশুর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম

শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পর সেতুকে জ্বালানোর জন‍্য…

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here