গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_২৭

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_২৭
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

রিহা রেগে তাকিয়ে আছে কিন্ত সামনের মানুষ রিহার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে গিলে খাবে । টা দেখে রিহা আরো রেগে যায়।

রিহা : অসভ্য লোক ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো চোখে দেখতে পান না যতসব

রিহা কটমট করতে করতে উঠে চলে যায় আর রাইহান রিহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে ।

রাইহান : বাহ মিস ধানিলঙ্কা (বকে বাকা হাসে)
তোমাকে তো আমার চাই যে করেই হোক

বলে উঠে যায় আর এইদিকে এক জোড়া চোখ ওদের দেখে ডেভিল হাসি দেয়। মনে হয় সে এমন কিচু পেয়েছে যার খোজ সে ছিল

এদিকে রিহা রাগে কটমট করতে করতে রুমে ঢুকতে গেলে রেহান এর সাথে খায় ধাক্কা । রিহার তো রাগ ছিল এখন আবার দ্বিগুণ হয়ে গেছে

রিহা : আজ কি ধাক্কা খাওয়া ডে সবাই এসে কেন আমায় ধাক্কা মারছেন হা আমার কি বেথা লাগে না (রাগে রিহার চোখ লাল হয়ে গেছে )

রেহান অবাক হয়ে দেখছে এতো রাগতে আগে দেখেনি

রেহান: কি হইছে তুমি এভাবে রেগে আছো কেনো হা ?
রিহা : আপনি আমায় ধাক্কা মারলেন কেনো হা ?
রেহান: আরে আমি তো বের হচ্ছিলাম তুমি তো
রিহা : এখন সব দোষ আমার তাই না

রেহান রিহাকে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে
রেহান : কি হইছে এতো রেগে আছো কেনো হা তবে যাই বলো রাগলে কিন্ত তোমায় খুব কিউট লাগে মনে হয় খেয়ে ফেলি
রিহা : আপনি মজা করছেন আমার সাথে ?
রেহান : মোটেও না আমার রাগিণীর সাথে কি আমি মজা করতে পারি

বলে হাত ধরে আয়নায় নিয়ে আসে।
রেহান : এই দেখো তোমাকে কতো কিউট লাগছে চোখ লাল নাক ও লাল হয়ে গেছে পুরাই টমেটো ইচ্ছা করছে খেয়ে ফেলি

রিহা আয়নায় নিজেকে দেখছে হটাৎ রিহা বলে।

রিহা : আচ্ছা আপনি আমাকে বেশি ভালোবাসেন নাকি অন্তরা আপুকে

রিহা কথায় রেহান অবাক কিসের মধ্যে কি রেহান বুঝতে পারছে এই মেয়ের মাথায় সমস্যা আছে। রেহান কে চুপ থাকতে দেখে রিহা আবার বলে

রিহা : কি হলো বলছেন না কেনো ?
রেহান : তুমি কি ঠিক আছো
রিহা : আছি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেন।
রেহান : আরে তোমার সাথে কারোর তুলনা করা যায় তুমি আমার wife আর অন্তরা আমার বোন আমার লাইফ বলতে তুমি আর আম্মু আছো আর কেউ না বুঝছো
রিহা : সত্যি তো ?
রেহান : সন্দেহ আছে তোমরা আমার সব
রিহা : আচ্ছা ঠিক আছে এখন খেতে চলুন
রেহান : হুম কিন্ত হটাৎ এই কথা কেনো?
রিহা : এমনি চলুন

রিহা রেহান এর হাত ধরে খাবার খেতে যায় ।

সবাই খাওয়া শুরু করছে রেহান এর পাশে রাইসা এর অন্তরা বসে আছে আর রিহা মাইশা চৌধুরী এক সাথে বসে আছে

মাইশা চৌধুরী রিহা কে মাছ বেচে দিচ্ছে
দাদী : এতো বড়ো মেয়ে মাছ বেচে খেতে পারে না এ কি করে রেহান কে সামলাবে

রিহা মন চাচ্ছে মাছ তুলে বুড়ির মুখে মারতে কিন্ত কিছু না বলে চুপ করে আছে

রেহান নিজের পেলেট থেকে মাছ রিহার পেলেটে দিয়ে বলে

রেহান : আমাকে ও সামলাবে আমি ওকে সামলাবো এভাবে তো সংসার হবে তাই না
মাইশা চৌধুরী : আমি যত দিন বেচে আছি আমার মা কে আমি দেখবো আমি না থাকলে তখন
রিহা : মামনি কি বলছো
রেহান : আম্মু এই ধরনের কথা বলবে না বলে দিলাম তোমরা ছাড়া আমার আছে কে
মাইশা চৌধুরী : আচ্ছা ঠিক আছে ওতো কষ্ট পেতে হবে না খেয়ে নাও
রিহা : মনে থাকে যেনো তুমি সব সময় আমার সাথে থাকবে
মাইশা চৌধুরী : আচ্ছা ঠিক আছে

সবাই খাচ্ছে রুশ বার বার রিহাকে চোখ মেরে বুঝিয়ে দিচ্ছে রিহা বুঝতে পেরে মুচকি হাসছে

অন্তরা : রেহান আমাকে একটু মাছ বেচে দাও না প্লিজ

রেহান একবার রিহার দিকে তাকিয়ে বলে
রেহান : আমার খাওয়া শেষ খালা মনি তুমি বেচে দাও আমি গেলাম

রেহান উঠে যেতেই রিহা ও উঠে যায় । যাওয়ার আগে বলে

রিহা : এতো বড়ো মেয়ে যখন মাছ বাঁচতে পারবে না বলছিলেন তো এখন কই গেলো (অন্তরার দাদীর দিকে তাকিয়ে)
অন্তরা : রিহা তুমি আমাকে বললে।
রিহা : আমি কাউকে বলিনি যদি কেউ ভেবে নেয় তো আমার কিছু করার নেই

বলে রিহা চলে যায় মাইশা চৌধুরী ও মুচকি হেসে চলে যায় ।

রিহা ঘরে গিয়ে দেখে রেহান ল্যাপটপ নিয়ে বসছে

রিহা : এখানে এসেও আপনার কাজ তাহলে আসতে কে বলছে অসহ্য
রেহান : আরে একটা কাজ ছিল
রিহা : রাখেন আপনার কাজ ওতো কাজ কাজ করেন কেনো বলেন তো ঘুরতে এসে ও আপনার কাজ
রেহান : তো কি করবো ?
রিহা : কি করবেন মানে ঘুরতে এসে ও কাজ বিয়ের পর কোথাও নিয়ে গেছেন এখন এখানে এসে ও কাজ তাহলে কাজকে বিয়ে করতেন (রেগে)

রেহান ল্যাপটপ রেখে রিহাকে জড়িয়ে ধরে বলে
রেহান: তুমি তো বিয়ে মেনে নাওনি তাহলে কেনো ঘুরতে নিয়ে যাবো
রিহা : আচ্ছা নিয়ে যাবেন না তাহলে কেনো ধরছেন আমাকে হা কেনো ছাড়েন
রেহান : ইচ্ছা তাই আগে বলো আজ কইদিন তোমার ঝগার কেমন একটা চেঞ্জ চেঞ্জ মনে হচ্ছে বেপার কি হুম (ভ্রু কুচকে)
রিহা : ওটা আপনার মনের ভুল এখন সরুন ঘুমাবো।
রেহান : আচ্ছা ঠিক আছে কালকে তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবো কেমন
রিহা : কেমন নিয়ে যাবেন জানা আছে
রেহান : দেখে নিও।
রিহা : ওকে এখন ঘুমান
রেহান : ঘুম পাড়িয়ে দাও
রিহা : চুপ চাপ ঘুমান

রেহান আর কি শুয়ে পরলো আর রিহা মুচকি হেসে রেহান এর পাশে ঘুমিয়ে পরলো

পরের দিন সকালে
রিহা উঠে সবার সাথে পুকুরে গেছে আজ সবাই ওখানে গোসল করবে রিহা সাঁতার জানে না তাই কিনারায় বসে আছে

রুশ : রিহা আয়না না
রিহা : তোমরা কর আমি করেছি ।
রুশ : আচ্ছা ঠিক আছে আমার কইটা পিক তুলে দে।
রিহা : ওকে

রিহা কিনারার একদম আছে এসে পিক তুলছে আর রুশ পোজ দিচ্ছে। রুশ গোসল করে চুল মুছছে আর রিহা নিজের পিক তুলছে হটাৎ রিহা কে ধাক্কা khe রিহা পুকুরে পড়ে যায় পুকুর অনেক গভীর রিহা ছটপট করছে কিন্ত কেউ দেখছে সবাই নিজের মতো বেস্ত হটাৎ রুশ এর চোখ যায় রুশ চিৎকার করে উঠে

রুশ : রিহা

রুশ এর চিৎকারে সবাই তাকিয়ে দেখে রিহা ডুবে যাচ্ছে অন্তরা সবাই যে ডাকে হটাৎ কোথা থেকে রাইহান এসে ঝাঁপ দেয়

রিহাকে কোনো মত তুলে নিয়ে আসে রুশ অন্তরা রিহার কাছে ছুটে আসে।

রুশ : ওর পেট থেকে তাড়াতাড়ি পানি বের করতে হবে যে করেই হোক

রাইহান রিহার পেতে চাপ দেয়।

অন্তরা : ওকে বাসায় নিতে হবে
রুশ: হা
রাইহান : ও যখন সাঁতার জানে না তাহলে নামতে গেলো কেনো আর তোমরা কি করেছিলে (চিৎকার করে)

রুশ : এখন এসব বলার টাইম না ওকে তাড়াতাড়ি নিতে হবে

রাইহান রিহাকে কোলে করে নিয়ে যায় রুশ আর অন্তরা ও পিছনে পিছন যায় । রাইহান বাসায় নিয়ে রিহাকে সোফায় শুয়ে দেয়। রিহাকে দেখে মাইশা চৌধুরী কেদে উঠে মেয়েতার মুখ সাদা হয়ে গেছে

মাইশা : কি হলো রিহার হা তোমরা থাকতে ওর এই অবস্থা হয় কি করে
রাইহান: আন্টি ওকে ডক্টর দেখাতে হবে নাহলে অনেক দেরি হবে
মাইশা চৌধুরী : কেউ রেহান কে ডাকো (চিৎকার করে)

রুসা তাড়াতাড়ি রেহান কে ডাক দেয়। রাইহান রিহার পেতে চাপ দিয়ে অনেকটা পানি বের করে ফেলেছে । রুশ এর ডাকে রেহান আর অনির্বাণ ছুটে আসে রিহাকে এভাবে দেখে রেহান ছুটে রিহাকে ধরে

রেহান : কি হইছে আমার রিহার ও ঐভাবে শুয়ে আছে কেনো হা কি হইছে
রাইহান : সরেন ওকে চেঞ্জ করতে হবে কেউ এসে ওকে চেঞ্জ করে দাও
রেহান : আমি করাচ্ছি
রাইহান : আপনি কেনো করবেন
রেহান : রিহা আমার wife ওকে (চোখ লাল করে)

রেহান কোনো কথা না বলে রিহাকে কোলে তুলে উপরে যায় পিছন পিছন সবাই যায়।

কিছুক্ষণের মধ্যে ডক্টর আসে রেহান তো প্রায় পাগল হবার মত অবস্থা মাইশা চৌধুরী তো কান্না করছে কিছুক্ষণের মিধ কি হয়ে গেলো

ডক্টর রিহাকে দেখে ইঞ্জেকশন দিয়ে বলে বেশি কিছু হইনি অনেকটা পানি খেয়ে ফেলছে কিছুক্ষণের মধ্যে সেন্স ফিরবে

রেহান রিহার জামা চেঞ্জ করিয়ে দেয়। রিহার সেন্স ফিরলে দেখে রেহান আর মাইশা চৌধুরী বসে আছে

মাইশা চৌধুরী : রিহা মা শরীর খারাপ করছে কিছু হবে না মা আমরা তো এখানেই আছি
রিহা : আমি ঠিক আছি মামনি (অস্পষ্ট স্বরে)
রেহান : তুমি কি করে পরলে হা (রেগে)

রিহা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে
রিহা : পা পিছলে
রেহান : সাঁতার যানো না তাহলে কেনো নামতে গেলে আমাকে কি একটু শান্তি দেওয়া যায় না

মাইশা চৌধুরী রেহান কে শান্ত করে সবাইকে নিয়ে বাইরে চলে যায় এখন ওদের একটু একা থাকতে দেওয়া দরকার

সবাই চলে যেতেই রিহা উঠে বসে
রিহা : আমি তো
রেহান : তুমি কি হা বলো কি আমাকে না কষ্ট দিলে তোমার ভালো লাগে না তাই না এভাবে কষ্ট না দিয়ে মেরে ফেলো

রিহা রেহান কে জরিয়ে ধরে বলে।
রিহা : আপনার কিছু হলে আমি কার সাথে ঝগড়া করবো কাকে জ্বালাবো হুম
রেহান …..
রিহা : বাচ্চা দের মত কাদছেন কেনো হুম

রেহান এবার রিহাকে জড়িয়ে ধরে কেদে উঠে
রেহান : তুমি জানো না তোমার ওভাবে দেখে আমার কত কষ্ট হইছিলো যানো না মনে হচ্ছিল জান টা চলে যাবে যাবে
রিহা : হ্ন জানি এখন এভাবে না কেদে বলেন কখন ঘুরতে নিয়ে যাবেন আপনি কিন্ত বলছিলেন

রিহার কথায় রেহান রিহাকে ছেরে দিয়ে রিহার দিকে তাকিয়ে আছে ।

রিহা : এখন অন্য কথা বললে কিন্ত আপনার সাথে কথা নেই (গাল ফুলিয়ে)

রেহান হাসবে না কাঁদবে নিজের বুঝতে পারছে না একটু আগে মেয়েটা কিভাবে ছিল আর এখন সেন্স ফীরার সাথে সাথে দুষ্টুমি শুরু

রেহান : তুমি তো তুমি তোমার মত কেউ নেই
রিহা : হি হি হি জানি তো আমার মত কেউ নেই আমি খুব unque

চলবে

(সবাই কে মাহে রামাদান এর শুভেচ্ছা। ভেবেছিলাম রোজা থেকে লিখা কোনো কষ্টের না এখন বুঝছি গল্প টা খুব তাড়াতাড়ি শেষ করবো )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here