#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩৭
.
.
🦋
JM বের হতে বের হতে গুলি আওয়াজ যেন আরো কাছাকাছি আসতে লাগলো৷ JM রুম থেকে বের হতে নিবে তখনি একটা গুলি এসে JM এর হাতে লাগে ৷ JM কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারিদিক কালো ধোয়ায় ছেয়ে যায়৷
___________
হসপিটালের করিডরে প্রাণো RV সিমি অপেক্ষা করছে ডক্টরের জন্য, ডক্টর এক ঘন্টা আগে কণাকে নিয়ে ভেতরে নিয়ে গেছে৷ এখনো কোন খবর পাওয়া যায়নি৷ প্রাণো দম মেরে চেয়ারে বসে আছে৷ RV মুখে হাত দিয়ে কেঁদে যাচ্ছে ৷ ভালোবাসার মানুষটা যখন কষ্টে থাকে তখন কতোটা বুকে যন্ত্রনা হয় তা কেবল মাত্র RV মতো প্রেমিকরা জানে, সিমি RV কে সামলানোর অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না৷
কিছুক্ষণ বাদে ডক্টর এসে জানায় কণাকে কেভিনে শিফট করে দেওয়া হয়েছে৷ রেপ কেস বিধায় ডক্টর পুলিশ কে খবর দিতে চেয়েছিলো কিন্তু প্রাণো ডক্টরের সাথে আলাদা কথা বলে ৷ প্রাণো আর ডক্টরের মাঝে কি কথা হয়েছে সেটা সিমি বা RV কেউ জানে না৷ ডক্টর প্রাণোর কথায় রাজি হয়ে পুলিশকে কিছু জানায় না৷ কণার যেহেতু জ্ঞান ফেরেনি তাই কাউকে এখন কণার কেভিনে এলাউ করছে না ডক্টর৷ সিমি RV প্রাণো বাইরে কণার জ্ঞান ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো৷
সিমি প্রাণোকে দেখে কিছুই বুঝতে পারছে না৷ প্রাণো অদ্ভুত ভাবে এতোটা শান্ত স্থির হয়ে বসে আছে তা দেখে প্রচন্ড রকমের আশ্চর্য হয় সিমি৷ সিমি RV কে সামলাতে সামলাতে বলতে লাগলো ,” RV প্লিজ নিজেকে শান্ত করো ৷ তুমি এভাবে ভেঙে পড়লে কণাকে সামলাবে কে? দেখো কণার সামনে মটেও কাঁদবে না বরং স্ট্রং হয়ে ওর পাশে দাড়িয়ে বলবে সব ঠিক হয়ে যাবে৷ ওর পাশে আমরা সবাই আছি ৷ কিচ্ছু হয়নি এটাকে একটা দূর্ঘটনা মনে করে ভুলে যেতে বলবে৷ কিন্তু প্রাণোর কি হলো ও এমন চুপ হয়ে আছে কেন RV?”
সিমির কথা শুনে RV প্রাণোর দিকে তাকিয়ে দ্রুত ঘড়ি দেখে বলে উঠলো ,” প্রাণো চলো তোমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসি৷ অনেকটা দেরি হয়ে গেছে৷ ”
প্রাণো হুম বলে উঠে দাড়ায়৷ সিমি অবাক হয়ে যায় এটা দেখে প্রাণো এখানে থাকার জন্য কোন জোর করলো না ৷ বরং চলে যাওয়ার উঠে দাড়িয়েছে৷
RV কোন কথা না বলে দ্রুত বেগে হাটতে লাগলো তার পিছু পিছু প্রাণো যেতে লাগলো৷
পুরো রাস্তায় প্রাণো বা RV কেউ কারোর সাথে কথা বলেনি ৷ স্মরণের বাড়ির পেছনের রাস্তায় প্রাণোকে নামিয়ে দেয় RV ৷ প্রাণো গাড়ি থেকে নেমে RV উদ্দেশ্য বলে, ” জানোয়ারটার শরীরে যেন একটা আচর ও না পড়ে RV , এন্ড ইটস মাই ওডার্র ৷ ”
” ঠিক আছে ৷ ওই কুত্তার বাচ্চা শরীরে কোন ফুলের টোকাও পড়বে না কিন্তু তোমাকে কথা দিতে হবে ওর এমন অবস্থা করবে যেন বেঁচে থাকতে মরে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করবে৷”
প্রাণো RV কথার প্রত্ত্যুতরে কিছু বললো না বরং পেছনের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেল৷
প্রাণো তাদের রুমের ব্যালকনি দিয়ে যেভাবে নেমে ছিলো ঠিক সেভাবে উঠে যায়৷ পেছনের লাইট বন্ধ থাকায় প্রাণোকে কেউ দেখেনি৷ প্রাণো রুমে ঢুকে দ্রুত ফ্রেস হয়ে প্রিয়ার নাম্বারে ডায়াল করে, প্রিয়া প্রাণোর নাম্বার থেকে কল আসতে দেখে কল কেটে চাবি নিয়ে দ্রুত প্রাণোর রুমে সামনে গিয়ে তালা খুলে ভিতরে ঢুকে যায়৷
” আপু কণা আপু কে খুজে পেয়েছো?”
” হুম পেয়েছি৷ স্মরণ কোথায়?”
” দুলাভাই! ওহ তোকে বলতে ভুলে গেছি ৷ আমাদের শশুর বাবা কে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ তুই যাওয়ার পর থেকে, তাই দুলাভাই সাজিত দাভাই আব্বু ওদের খুজতে গেছে৷ ”
” বাকিরা কোথায়?” শান্ত গলায় প্রশ্ন করলো প্রাণো ৷
” বাকিরা ড্রইংরুমে ৷ মামুনি খুব কাঁদছে আপু৷ ”
” গেস্টরা সবাই চলে গেছে?”
” হুম তারা অনেক আগেই চলে গেছে৷ তোকে দুলাভাই ডাকতে চেয়েছিলো শশুর বাবার কথা জানানোর জন্য কিন্তু আমি বারণ করেছি৷”
“ভালো করেছিস৷ এখন তুই তোর কাজে যা আমি ঘুমাবো৷”
” মানে! আমাদের শশুর বাবা কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না আর তুই এতোটা শান্ত থেকে কি করে বলছিস তুই এখন ঘুমাবি হাউ?”
” প্রিয়ু আমার এখন কথা বলতে ভালো লাগছে ৷ ”
প্রিয়া প্রাণোকে এতো শান্ত আর গম্ভির গলায় কথা বলতে দেখে প্রিয়ার কেন যেন ঘটকা লাগছে৷ তার বোন যে কোন ছোট খাটো বিষয় নিয়ে গম্ভির হয় না সেটা সে ভালো করেই জানে কিন্তু আজ তার বোন প্রাণোকে একদম আলাদা লাগছে অদ্ভুত লাগছে ৷ বাইরে টা শান্ত দেখতে হলেও ভেতরে যে আগ্নেয়গিরি লাভা টকবগ করে ফুটছে সেটার ধারণা কিছুটা হলেও প্রিয়া বুঝতে পারছে৷
প্রাণো বেডের উপর শুয়ে পরে বলে, ” যাওয়ার সময় লাইট অফ করে দরজা চাপিয়ে দিয়ে যাস৷ ”
প্রিয়া প্রাণোর কথা মতো লাইট অফ করে দরজা চাপিয়ে নিচে চলে যায়৷
_________
” মিস কণার বাড়ির লোক কে এখানে?”(নার্স)
” আমরা বলুন কি হয়েছে? কণা ঠিক আছে তো?” ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো RV.
” পেশেন্টের জ্ঞান ফিরেছে৷ আপনারা চাইলে দেখা করে আসতে পারেন তবে একজন একজন করে৷ আর একটা কথা পেশেন্টকে উত্তিজিত করবেন না এটা তার জন্য ক্ষতি কর৷”
” ওকে নার্স আমরা কণাকে উত্তিজিত একদম করবো না নিশ্চিন্ত থাকুন৷ আর RV তুমি গিয়ে আগে কণার সাথে দেখা করো তারপর আমি না হয় যাবো৷”
RV আর কিছু শুনলো না দ্রুত কেভিনের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে কণার হাত ধরে পাশে বসে পড়লো৷ কণা চোখ মেলে তাকাচ্ছে না ৷ অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে চোখ বন্ধ করে আছে৷
RV বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে কণা জেগে আছে৷ RV কণার হাতে চুমু খেয়ে বলে, ” কণাপাখি চিন্তা করো না তুমি দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে৷ তোমাকে এই হসপিটালে শুয়ে থাকা অবস্থায় একদম মানাচ্ছে না৷ প্লিজ দ্রুত সুস্থ হয়ে যাও৷”
কণা ঠোঁট কামড়ে ধরে কান্না আটকানোর বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ কিন্তু কান্না আটকাতে না পেরে কেদেঁ ফেলে৷ RV কণার চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে কণার কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে,” যা হয়েছে তা দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাও কণাপাখি৷ তুমি যদি ভেবে থাকো এই সামান্য বিষয় নিয়ে আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো তাহলে সেটা তুমি ভুল ভাবছো৷ RV ভালোবাসা এতোটাও দূর্বল নয় যে তোমাকে ছেড়ে দিবে৷ ”
” আমি অপবিত্র হয়ে গেছি RV ৷ নষ্ট হয়ে গেছি আমি , তুমি আমাকে ভালোবেসে কিচ্ছু পাবে না RV তার চেয়ে তুমি আমাকে ভুলে যাও ৷ এই নষ্ট মেয়েকে ভালোবেসে জীবন নষ্ট করার কোন মানে হয়না ৷”
কণার কথা শেষ হতেই কণার গালে RV হাত উঠে গেল৷ থাপ্পড় খেয়ে কণা ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদতে লাগলো৷ RV যে তার কথা শুনে ভিষণ ভাবে ক্ষেপে গেছে তা কণা বেশ ভালো করে জানে৷ RV রাগে ফুসতে ফুসতে বলতে লাগলো,” তোর সাহস কি করে হয় নিজেকে এতো জঘন্য কথা বলতে হাহ! একটা কথা কান খুলে শুনে রাখ তুই আগেও যেমন আমার কাছে পবিত্র ছিলি আর এখন ও আছিস ৷ কিছু নোংরা হাত তোকে ছুঁয়েছে তুই তো চাস নি তাহলে! তোকে জোর করে ছুয়েঁছে দোষ তাদের অপবিত্র তারা তুই না৷ যখন কেউ কারো অনুমতি বিহিন স্পর্শ করে তখন দোষ হয় একটা মেয়ের কিন্তু আমার কাছে সেই পুরুষ দোষি যে একজন নারীর অনুমতি বিহিন স্পর্শ করে নিজের পুরুষত্ব জাহির করে৷ আমি একজন পুরুষ হয়েও ধিক্কার জানাই এই সমাজ কে যারা একজন নারীর পাশে না দাড়িয়ে পুরুষের পাশে দাড়িয়ে নারীর দোষ গুন নিয়ে আলোচনা করে৷
তোমাকে আমি একটা কথাই বলবো ভুলে যাও আজকের ঘটনা৷ ভুলে যাও সব কিছু শুধু মনে রাখো RV তোমার প্রেজেন এন্ড ফিউচার ৷ ডক্টর তোমাকে যেদিন হসপিটাল থেকে ছুটি দিবে তার পরের দিন আমরা বিয়ে করবো৷ ”
” বিয়ে!”
” হ্যাঁ বিয়ে, তোমাকে নিয়ে আমি আর রিক্স নিতে চাই না কণাপাখি ৷ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা বিয়ে করে নিবো৷ ওহ কথা বলতে বলতে তো ভুলেই গেছি বাইরে সিমি দাড়িয়ে আছে তোমার সাথে দেখা করবে ৷আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি ৷”
কণা মাথা নেরে সায় জানায়৷ RV কেভিন থেকে বেরিয়ে সিমি কে বলে ভিতরে যেতে…..
দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে কণা তাকিয়ে দেখে সিমি ৷
” কণা এখন কেমন আছো?”
কণা কোন উওর দিলো না দেখে সিমি আবার বলতে লাগলো,” শোন কণা জীবনে এমন অনেক কিছু অনাক্ষিত ঘটনা ঘটবে যা আমরা মেনে নিতে না পারলেও মেনে নিতে বাধ্য হই৷ আর এখানে তোমার কোন দোষ নেই তাই নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করে এটাকে দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাও৷ RV মতো এমন একজন আন্ডারস্ট্যান্ডিং হাসবেন্ট কিন্তু সবার কপালে জোটে না৷ তুমি ভাগ্যবতী তাই এমন একজন পেয়েছো৷ শুধু একটা কথাই বলবো কণা নিজের একা ভেবো না কখনো কারণ তোমার পাশে আমরা সবাই আছি ৷ RV আমি অলটিম মেম্বার আর প্রাণো৷ ”
” প্রাণো! প্রাণো কোথায় সিমি আপু?”
” বাড়িতে চলে গেছে৷”
” প্রাণো আমার সাথে দেখা না করেই চল গেল? আমি জানি কেন প্রাণো আমার সাথে দেখা করেনি৷ ”
” কেন কণা?”
” আমার আজ এই অবস্থার জন্য প্রাণো নিজেকে দায়ি করছে৷ ঠিক সময়ে আমাকে বাচাঁতে পারেনি বলে নিজেকে দোষারোপ করছে৷”
“কিন্তু ওকে তো বাইরে থেকে একদম শান্ত দেখতে লাগলো কণা!”
” তুমি এখনো প্রাণোকে চেনোনি আপু৷ প্রাণো কে দেখে তুমি কখনোই ওর মনের তল খুজে পাবে না৷ ওর মনে কি চলছে তা একমাত্র ওই বলতে পারবে৷ ”
সিমি কণার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর নার্স এসে তারা দেয় যাতে পেশেন্টকে কম কথা বলানো যায়৷ সিমি কণার থেকে বিদায় নিয়ে কেভিন থেকে বেরিয়ে RV কে বলে,” RV আমি আজ কণা সাথে থেকে যাচ্ছি তুমি বরং বাড়ি ফিরে যাও৷”
” না সিমি আমি থাকবো ওর পাশে তুমি শানের কাছে ফিরে যাও আর আমার বাড়িতে এমন কেউ নেই যে ফিরে গিয়ে তাদের সাথে দু একমিনিট কথা বলতে পারবো৷”
” ওকে তাহলে তুমি থাকো আমি যাচ্ছি ৷ কাল সকাল বেলা আমি তোমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসবো ৷ ”
” ওকে”
সিমি চলে যেতে RV কেভিনে প্রবেশ করে৷
___________
নাম করা বিজনেসম্যান হওয়ায় পুলিশ চব্বিশ ঘন্টা হওয়ার আগেই জীবন মাহমুদ কে খুজতে লাগলো৷পুরো শহরে চিরনি তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ তার সাথে সাথে জুনাইদ কবির সাদমান স্মরণ সাজিত নিজেদের লোকদের দিয়েও খুজে যাচ্ছে কিন্তু ফলাফল শূন্য ৷ ভোর রাতে স্মরণ সহ বাকিরা বাড়িতে ফিরে আসে৷ সবাই সারা রাত না ঘুমিয়ে ড্রইংরুমে কেঁদে কেটে সময় কাটিয়ে দেয়৷ স্মরণ সাজিত সাদমান জুনাইদ কবির কে আসতে দেখে সাহারা বেগম স্মরণ কে জড়িয়ে ধরে বলে,” স্মরণ বাবা তোর বাবা কোথায় পেয়েছিস ওকে? বল বাবা পেয়েছিস?”
সাহারা বেগম এর কথার উওর স্মরণ না দিয়ে সাজিত বলে ওঠে ,” না আম্মু বাবা কে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি৷ ইভেন বাবার ফোন ও ট্রেস করা যাচ্ছে না৷ ”
” আল্লাহ মানুষটা কোথায় গেল?”
সাজিত হঠাৎ বলে ওঠে ,” ভাইয়া বাবার নিখোজ হওয়ার সাথে সাথে তার পিএ রানাও তো নিখোজ ওকে ও তো খুজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ ওর সাথে কি বাবার নিখোজ হওয়ার কোন সংযোগ আছে?”
জুনাইদ কবির হুট করে বলে উঠলো , ” থাকতে পারে সাজিত বাবা ৷ আমাদের উচিত পুলিশকে পিএ রানার ব্যাপারটা জানানো৷”
সাহারা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো প্রাণোর বাবা কে..” ভাই সাহেব আপনারা কি করবেন আমি জানি না কিন্তু জীবন কে আমার কাছে ফিরে দিন ৷ ”
” আপনি কোন চিন্তা করবেন না ভাবি৷ জীবন কে যদি কেউ কিডন্যাপ ও করে থাকে তাহলে তো মুক্তিপণ হিসেবে টাকা চাইবে তাই না? ”
” আর যদি মুক্তিপণ হিসেবে টাকা না চায়! শশুর বাবার যদি কোন ক্ষতি করে দেয় তখন?” সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে উঠলো প্রাণো…
স্মরণ প্রাণোর চোখ মুখের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলো৷ প্রাণোর চোখ দুটো লাল টকটকে হয়ে আছে , চুল গুলো এলোমেলো , চোখের কাজল খানিকটা লেপ্টে গেছে৷ প্রাণোকে দেখে মনে হচ্ছে প্রাণো পুরো রাত ঘুমায়নি কিন্তু চোখে মুখে কোন কষ্টের ছাপ দেখছে না বরং কাঠিন্যতা ফুটে আছে৷
প্রাণোর কথায় কেউ প্রত্ত্যুতর না করায় প্রাণো আবার বলতে লাগলো,” হতে পারে উনি কারোর সাথে কোন জঘন্য কিছু করেছে তাই তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ওনাকে তুলে নিয়ে গেছে৷”
” তুমি কি করে জানতে পারলে প্রাণ?”(স্মরণ)
” আমি কি করে জানবো স্মরণ? আমি তো যাস্ট গেস করলাম এখন বাকি টা পুলিশ খুজে বের করবে ৷ ”
স্মরণের কেন যেন প্রাণোর কথা গুলো ঠিক পছন্দ হলো না ৷ হয়তো নিজের বাবার বিরুদ্ধে কথা গুলো বলেছে তাই হয়তো! তবে প্রাণো এই বিষয় নিয়ে একদমি ভাবছে না৷ বরং প্রাণো কিচেনে গিয়ে সবার জন্য চা কফি বিস্কিট নিয়ে আসে৷
প্রিয়া সাজিত সাদমান জুনাইদ কবির স্মরণ প্রাণোর এমন নরমাল ব্যবহার দেখে ভিষণ অবাক হয় ৷ কিন্তু আমলে নেয় না এটা ভেবে হয়তো সবার কথা ভেবে নিজেকে স্ট্রং রেখে সবার দেখভাল করছে৷
প্রিয়া হুট করে প্রাণোর হাত ধরে টেনে কিচেনে নিয়ে গিয়ে বলে…..
.
.
.
#চলবে…………….
[ আগামিকাল সবার জন্য ধামাকা পর্ব অপেক্ষা করছে ৷ কি সবাই তৈরি তো?]