মন_গহীনের_গল্প পর্ব-২৭ রূবাইবা_মেহউইশ

মন_গহীনের_গল্প
পর্ব-২৭
রূবাইবা_মেহউইশ
💞

পাতলা ওড়নার মত একটা কাশ্মীরি শাল গায়ে জড়িয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে গেল তিশমা। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলেও হোটেলের লনেই বসেছিলো সে। রিশাদ খুব ভালো করেই ম্যানেজারকে বলে দিয়েছে যেন তিশমার অযত্ন না হয়। ম্যানেজারও তার বসের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। তিশমা যখন জেগেছে তখন ম্যানেজার নিজের বাসায় ছিলো। সে হোটেলে এসেছে আটটায় আর তিশমা তখন সুইমিংপুলের পাশে বসে ছিলো সেখানে থাকা দোলনাটিতে। ম্যানেজার সাহেব এসেই প্রথমে চা, কফি অফার করেছে। খরচটা অবশ্য তিশমার নিজেরই বহন করতে হবে। হোটেলের দোতলার একপাশ আগে রেস্তোরাঁ ছিলো পরে তা আরো বড় করতেই রিশাদ খাবারের সবরকম ব্যাবস্থা নিচ তলায় করিয়েছে। অনেকেই সকালের নাস্তা ফুলে ভরা বাগানে বসে করতে পছন্দ করেন তাই বাগানে ছোট ছোট টেবিলও এ্যারেন্জ করিয়েছে। তিশমা জানালো সে একটু পরই নাস্তা করবে এবং তা বাগানে বসে। ম্যানেজার সাহেব তাই করলো। তিশমার জন্য বাহিরেই খাবারের ব্যবস্থা করতে বলে সে চতুর্থ ফ্লোরে গেল। রিশাদ হয়তো দশটার মধ্যেই আসবে তার ঘরগুলোও চেক করতে হবে ঠিকঠাক সব আছে কিনা! কিন্তু তিশমা তাকে জ্বালিয়ে মারলো। একটু পরপর সার্ভিস ভালো না বলে বলে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে । আর না চাইতেও হোটেলের ম্যানেজার হিসেবে তাকে তিশমা অতি অপ্রয়োজনীয় ব্যপারেও জবাব দিতে হচ্ছে । একটা সকালই যেন যথেষ্ট ছিলো তিশমার জন্য ম্যানেজারকে নাজেহাল করতে। ম্যানেজার সাহেবও বুঝলেন এই অপরূপ সুন্দরী তরুণীটি তার পেছনে ইচ্ছে করেই লেগেছে তাই পারতপক্ষে সে আর লনে কিংবা দোতলার দিকে পা বাড়াচ্ছে না। তৃতীয় তলায় গিয়ে সে রিসেপশনে ফোন দিলো যে কোন প্রয়োজনে তাকে তৃতীয় তলায় তার জন্য বরাদ্দ কেবিনটিতেই যেন আসে সবাই । বস আসলেই সে কোন একটা ব্যবস্থা করবে এই মডেলকন্যার৷

সকালের নাস্তা শেষ করেই রেহনুমা বাড়ির চারপাশ চেক করলো। প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের পাকাপোক্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে আনতুংকে ডেকে বলল এ মাসটা সে যেন এ বাড়িতে একা একা না আসে। দারোয়ান আর উকাচুং এ বাড়িরই বাইরের একটা ঘরে থাকবে। বাড়ির পাহারার জন্য হলেও কাউকে রাখতেই হতো তাই দারোয়ান আর উকাচুংই থাকবে। আর রিশাদ এক এক করে রেহনুমা,নির্জন আর মেহউইশের লাগেজ গাড়িতে উঠিয়ে রেখেছে। এবার শুধু তাদের বের হওয়ার পালা কিন্তু রেহনুমার যেন কাজই শেষ হচ্ছে না। আনতুং মন খারাপ করে রেখেছে খুব। গত প্রায় তিনটি বছরেরও বেশি সময় ধরে রেহনহমা এখানে থাকছে আর তখন থেকেঔ আনতুংয়ের যাতায়াত এই বাড়িতে। বাড়িটি অবশ্য তৈরি করা হয়েছে তারও আগে তখন কেউ থাকতো না। রিশাদ শখেই গড়েছিলো এই বাড়ি বলা যায় তার বিলাসিতার এক অংশ। কিন্তু প্রয়োজনের খাতিরেই একদিন এই পাহাড়ের গায়ে তোলা বাড়িটিতে থাকার জায়গা করতে হয় রেহনুমা আর তার সঙ্গী হিসেবে পাশে এসে দাঁড়ায় এই উপজাতি মেয়েটি আর কিছু প্রতিবেশী। এই বাড়িতে প্রায় বন্দী জীবন কাটাতে চাওয়া রেহনুমা আজ প্রথম কোথাও থাকতে যাচ্ছে। চোখ ছলছল তার যা রিশাদ দেখেও না দেখার ভান করছে। সে চায় না এখন ফুপুর এই অশ্রুসজল চোখ দেখে তাকে এখানে ছেড়ে যেতে। একটু তো বের হোক ফুপুটা তার। বাইরের কত সৌন্দর্যও তো আছে চোখ মেলে দেখার মত। শুধু অতীতের কষ্ট আঁকড়ে ধরে কেন এক জায়গায় পড়ে থাকবেন তিনি! নিজে হোটেলে থাকবে ভাবতেই তার মনে হয়েছিলো এবার ফুপুও যাক সাথে। গতবছরও যখন নীলিমা ছিলো তখনও সে ফুপুকে এসেছিলো নিয়ে যেতে। এও বলেছিলো, ‘থাকতে হবে না তোমার অন্তত ভাতিজার বউকে দেখার উছিলায় আসো। ঘন্টা দুয়েক থেকে দেখো। ভালো না লাগলে আমিই তোমাকে এখানে রেখে যাবো৷’ রেহনুমা রাজী হয়নি আর তাই জেদ করেই রিশাদ তাকে নীলিমার ছবিটাও দেখায় নি। কিন্তু এবার আর রেহনুমা নিজের কথায় বহাল থাকতে পারেনি। সত্যি বলতে গত দিন গুলোতে তার একলা জীবন অনেকটা হৈ হুল্লোড়েই কেটেছে নির্জন আর মেহউইশকে পেয়ে। মায়া জন্মে গেছে খুব তাদের প্রতি। এখন তার একাকীত্বের চেয়ে তাদের কথাবার্তা আর শোরগোলটাই যেন বেশি ভালো লাগে। আর তাই রাতে খাওয়ার পর রিশাদ পুনরায় কক্সবাজার যাওয়ার কথা তুললে বেশিক্ষণ আপত্তি করতে পারে না রেহনুমা।

আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ বেয়ে গাড়ি চলছে সমতলের দিকে। রিশাদ অতি মনযোগে ড্রাইভিং করছে আর পেছন থেকে নির্জন রেহনুমার কোল বারবার লম্ফঝম্প দিয়েই যাচ্ছে। পেছন থেকে বাবাকে সে তার ছোট ছোট হাত দিয়ে ধরারও চেষ্টা করছে যা তার পক্ষে অসম্ভব । মেহউইশ চুপচাপ বসে আছে অপলক বাইরের দিকে তাকিয়ে। ভেতরে ভেতরে চিন্তায় অস্থির সে। চিন্তাটা সকালে ফোনের স্ক্রীণে আজকের ডেট টা দেখেই হয়েছে সে। হিসেবমতে গতকাল তার পিরিয়ড ডেট ছিলো। প্রয়োজনীয় জিনিসটাই সাথে নেই তার। আর না সে মিজের বাড়িতে আছে। এখানে রিশাদের মতের বাইরে এক পাও রাখেনি সে তারওপর দোকানপাটও কিছু চোখে পড়েনি। এ অবস্থায় তার নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে। আজ কক্সবাজার যাচ্ছে সেখানে তো দোকান,ফার্মেসি সবই আছে কিন্তু রিশাদকে কি বলে বের হবে? অনেকগুলো টাকা আছে তার ছোট্ট পার্সটাতে যা দিন কয়েক আগেই রিশাদ দিয়েছিলো। গাড়ি চলতে চলতে হোটেলের রাস্তায় চলে এসেছে তখনই মেহউইশ বুদ্ধি করে রেহনুমাকে বলল, ‘ফুপু আমার একটু ফার্মেসিতে যাওয়ার ছিলো।’ ফিসফিসানো কথার আওয়াজ রিশাদের কানেও গিয়েছে তাই সে আঁড়চোখে ফ্রন্ট মিররে তাকালো। মেহউইশ কিছু বলছে দেখে সে তার দৃষ্টি ড্রাইভিং আর মেহউইশের ঠোঁটে রাখার চেষ্টা করলো। কিন্তু না বোঝা সম্ভব নয় তার কথা। মেহউইশের কথা শেষ হতেই রেহনুমা বলল এদিকে কোন ফার্মেসী থাকলে নিয়ে চল তো।

‘কি হয়েছে ফুপি?’

‘কিছু না।’

‘ঔষধ লাগবে?’

‘তোকে যা বলেছি তা কর না বাবা।মেয়েদের মত এত প্রশ্ন করছিস কেন?’

ফুপুর এ কথার পর রিশাদ আর শব্দ করলো না। চুপচাপ গাড়ি নিয়ে হোটেলের সামনেই থামালো। সেখানেই অনেকগুলো দোকান আর দুটো ফার্মেসিও চোখে পড়লো মেহউইশের। রিশাদ গাড়ি থেকে বের হতে নিলেই রেহনুমা বলল, ‘ তুই কোথায় যাচ্ছিস?’

‘ফার্মেসিতে। কি কিনতে হবে বলো।’

‘তুই চুপ করে এখানেই বোস আর এই নে তোর ছেলেকে। এখন তোরা বাপ, ব্যাটা গল্প কর আমরা আসছি।’ বলেই রেহনুমা নির্জনকে রিশাদের কোলে দিলো। রিশাদ বোকার মত নির্জনকে কোলে নিয়ে গাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে রইলো। মেহউইশ আর রেহনুমা চলে গেল ফার্মেসির দিকে। একটিবার তারা পেছন ফিরে তাকালে দেখতে পেত চব্বিশঘন্টা চোখে মুখে রাজ্যের গম্ভীরতা আর ক্রোধ নিয়ে চলা ছেলেটার মুখ এখ এখন কেমন নির্বোধ আর গোবেচারার মতো হয়েছিলো। রিশাদ সত্যি বোকা বনে গেছে। কে অসুস্থ ফুপি নাকি মেহউইশ! আর অসুস্থ হলেই বা কি রকম অসুখ সে কেন বুঝতে পারেনি তাতেই ভীষণ বোকা লাগছে তার নিজেকে।

ফার্মেসির সামনে এসে মেহউইশ ইতস্তত করতে থাকায় রেহনুমাই কথা বলল। ফার্মেসিতে দুজন লোক একজন মধ্যবয়সী আর অন্যজন ছোকরা টাইপ। রেহনুমা ছোকরাটাকেই ডেকে বলল, স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে। রোগাপটকা চেহারার ছোকরা কাজে খুব চটপটে দেখেই বোঝা গেল। দু মিনিটেই সে প্যাডের প্যাকেট ভালো করে আলাদা আরেক প্যাকেট করে দিলো৷মেহউইশ টাকা দিতে চাইলে রেহনুমা দিয়ে চলে আসতে চাইলে মেহউইশ আবার দাঁড়াতে বলে।

‘আরো কিছু কি লাগবে?’

ইতস্তত করতে করতে মেহউইশ বলল, ‘প্র্যাগনেন্সি কিট,,,’ কথাটা বলার সময় মেহউইশের চোখ ছিলো মাটির দিকে৷ রেহনুমা এবার যেন চমকিত হলো মেহউইশের কথায়। তবে কি তার ধারণা ভুল! সে ভেবেছিলো বিয়েটা তাদের শুধু নামমাত্র। গাড়িতে বসেও মেহউইশ যখন তাকে বলল প্যাড কেনা লাগবে তখনও ভেবেছিলো তাদের সম্পর্ক গভীর নয়। কিন্তু মেহউইশের এখনকার বলা কথায় ধারণা বদলে গেছে। হয়তো হেজিটেশনটা রয়ে গেছে তাদের মধ্যে এ কারণেই হয়তো রিশাদকে বলতে পারেনি কথাটা৷ রেহনুমাই আবার ফার্মেসীর ছেলেটাকে বলল একটা প্রেগন্যান্সি কিট দিতে। তারা নিজেদের কেনা শেষ করে গাড়ির সামনে আসতেই রিশাদ চুপচাপ ড্রাইভিং সিটে বসে গেল নির্জনকে নিয়ে। রেহনুমা তাকে নিতে চাইলে বলল, ‘চলেই এসেছি ফুপি ও আমার কোলেই থাক।’

সকালের নাস্তা সেরেই রাইমা ঢুকলো মায়ের ঘরে। রাশেদ খান আজ বাড়িতেই আছেন। জেবুন্নেসা চলে যাওয়ার পর সে আর বিদেশে যাননি। আপাতত যাবে না বলেই ঠিক করেছে৷ রাইমাকে খালি বাড়িতে রেখে যেতে তাঁর মন সায় দেয় নি। জেবুন্নেসা নেই, রিশাদ নেই বাড়ি ভর্তি কাজের লোকের ভীড়ে মেয়েকে রেখে যেতে এই প্রথম সে ভয় পাচ্ছে৷ এত বছরে জেবুন্নেসাই ছিলো ছেলে মেয়ের সাথে কিন্তু এই প্রথম এমন সে মেয়েকে একা দেখছে৷ রিশাদ আর ফিরবে না সে চায়ও না ফিরুক৷ নীলিমার বাবার সাথে সকল প্রকার ব্যবসার সংযুক্ততা এ মাসেই আলাদা হবে। নিজ স্বার্থে ছেলের বিয়ে দিয়ে অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। কিন্তু এই ক্ষতির আরো ক্ষতিপূরণও উঠে আসার মত আরও এক সুযোগ পেয়েছিলেন যা রিশাদের দ্বিতীয় বিয়ের কারণে হাতছাড়া হলো। মূলত সেই কারণেই রিশাদের সাথে মনোমালিন্যতা অতঃপর বাবা ছেলের সম্পর্কে ফাটল৷ তিনি এখনও পড়ে আছেন নিজের স্বার্থ নিয়ে। অর্থের মোহে ভুলে গেছেন তার সন্তানরা কেউ সুখে নেই। ভুলে গেছেন এই মোহ ভাঙলে তিনি নিজেকে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখবেন।

হোটেলে ঢুকতেই তিশমা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো রিশাদের সামনে।

‘আজ এত দেরি করলে কেন? তোমার সাথে নাস্তা করবো বলে অনেকক্ষণ ওয়েট করেছিলাম৷ তারপর ভাবলাম একাই খেয়ে নিই কিন্তু তোমার ম্যানেজারের কারণে আমার খাওয়াটা হলো না৷’ তিশমার কোন খেয়ালই নেই রিশাদের পাশেই দাঁড়ানো দুজন নারীকে। সে অনর্গল ম্যানেজারের নাম নিয়ে এটা সেটা বলছে৷ তা দেখে বিরক্তিতে রেহনুমার কপাল কুঁচকে এসেছে আর অপরদিকে মেহউইশ তার মুখ ‘হা’ করে তিশমার দিকে তাকিয়ে আছে। তিশমার কথা শেষ হতেই রিশাদ কিছু বলতে যাবে তার আগেই আবার তিশমা বলল, ‘ তুমি আজকে ওকেও নিয়ে এসেছো সাথে করে? ওলেলে কেউট বাবাটা আসো তো দেখও আমার কোলে।’ রিশাদের কোল থেকে নির্জনকপ নিতে নিতে যতরকম আহ্লাদী শব্দ তার জানা ছিলো সবটাই সে প্রয়োগ করতে থাকলো৷ এতে করে রেহনুমার বিরক্তি যেন আকাশসম হয়ে গেল৷ তাই সে বলল, ‘ রিশাদ, আমি কি নিজের জন্য কোন রুম পেতে পারি?’

রিশাদ বুঝলো তার ফুপি তিশমাকে বিশেষ পছন্দ করছেন না তাই সে একজন স্টাফকে ডেকে ফুপিকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলল। তিশমার তখন হুঁশ এলো রিশাদের ফুপিও এসেছে। সে সালাম দিতে এগিয়ে গেল রিশাদ তার হাত ধরে আটকে দিলো।

‘পরে কথা বলো ফুপির সাথে এখন আপাতত ফুপি রেস্ট নেবে।’

মেহউইশ এখন হা হয়ে দেখছে তিশমাকে। সমুদ্রের শো শো হাওয়ার শব্দ তার কানে যেন ভায়োলিনের সুর মনে হচ্ছে আর সামনে নায়িকা দাঁড়িয়ে আছে। মনে মনে ভাবছে সে যদি ছেলে হতো তবে নিশ্চিত এই মুহূর্তে এই অপ্সরীর প্রেমে পড়ে পা, হাঁটু সব ভেঙে ফেলতো। রিশাদ খেয়াল করলো মেহউইশের এমন করে তাকিয়ে থাকা। বিরক্তিকর মেয়ে তো! মন বলছে, মেয়েটা এমন হ্যাংলা কেন? তাকাতে হয় তো কোন ছেলের দিকে তাকা৷ মেয়ে হয়ে মেয়ের দিকেই কেন এমন করে তাকাবি! ডিসগাজস্টিং।’

নির্জন বেশিক্ষণ থাকলো না তিশমার কোলে। অচেনা মুখ দেখেই হয়তো তার অস্বস্তি হলো। কয়েক মিনিট থেকেই সে কান্না শুরু করে দিলো আর তাই তিশমাও তাকে রিশাদের কোলে ফিরিয়ে দিলো। মেহউইশকে দেখে তার দিকে হাত বাড়িয়ে হ্যালো বলতেই মেহউইশ খপ করে তিশমার হাত ধরলো৷ কি তুলতুলে হাত তিশমার আহা! এত নরম কেন মেয়েটার হাত।

রিশাদ ভ্রু কুঁচকে বলল, ‘ তুমি এমন ছ্যাচড়ামো করছো কেন ওকে দেখে?’

‘জ্বী!’

‘বাংলা বুঝো না? বললাম নিচে এমন তিশমাকে দেখে হা করেছিলে কেন?’ পায়ের জুতো মুজা খুলতে খুলতে প্রশ্ন করলো রিশাদ।

‘উনি কি লিপস্টিক এর বিজ্ঞাপন করে সেই মডেলটা না?’ কৌতূহলী হয়েই বলল মেহউইশ। সে এই প্রথম কোন টিভির কোন অভিনেতাকে সামনে থেকে দেখলো। ঢাকা শহরে থেকেও আজ অব্দি কোন নায়ক,নায়িকা, মডেল,শিল্পী কাউকেই দেখেনি। তিশমাকে ফোনে সেদিন রিশাদের পাশে দেখে সে সন্দেহ করে ওভাবে তাকায়নি বরং তাকিয়েছিলো কন্ঠ শুনে। বিজ্ঞাপনে একটা জায়গায় তিশমার কন্ঠ শুনে তার চেনা মনে হয়েছিলো এবং দেখার পর সে বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়েছিলো। যা দেখে,তিশমা,রিশাদ আর রেহনুমা তিনজনই ধরে নিয়েছে সে রিশাদকে সন্দেহ করছে।

চলবে

(দুঃখিত, দুঃখিত, দুঃখিত। জানি আপনারা খুব অপেক্ষায় আছেন গল্পটার জন্য কিন্তু আমি অসুস্থ তিনদিন ধরে৷ আজও যে খুব সুস্থ তা নয় তবে লেখাটা সম্ভব হয়েছে। হয়তো একদমই ভালো হয়নি তবুও কাজ চালান ইনশাআল্লাহ সুস্থ থাকলে কালকে ভালো একটা পর্ব দিবো। দোয়ায় স্মরণ রাখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here