#ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️
লেখিকা – #আদ্রিয়া_রাওনাফ
পর্ব – ৩১
আবরন ক্যাম্পাসে উপস্থিত সকলের মুখে “প্রমিজ” ধ্বনি শুনে সেই তিনজনকে স্টেজে উপস্থিত হতে বলল ।
আবরনের ডাক শুনে সেই তিনজন ক্যাম্পাসে উপস্থিত হাজার মানুষের ভিড় ঠেলে স্টেজের দিকে এগোতেই সবার টনক নড়ল ।
সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে । ওদের তিনজনকে আজকের এই দিনটিতে কেউ আশা করে নি ।
পূর্ণতা ও অবাক চোখে তাকিয়ে আছে । তবে মুখে কিছুই বলছে না ।
সেই তিনজন স্টেজে পৌঁছাতেই আবরন বলতে শুরু করল ,
– এই তিনজনকে তোমরা চিনতে ভুল করোনি তা আমি ঠিকই বুঝতে পারছি । তবুও বলি , এরা সেই তিনজন যারা পূর্ণতা কে ভুল বুঝে প্রথম ওকে ক্যাম্পাসে মারার জন্য নিজেদের দল ভারি করেছিল । হ্যা , এরা সেই তিনজন যারা নিজে পূর্ণতা জামানের গায়ে প্রথম হাত তুলেছিল । এরা সেই তিনজন যাদের কে খুঁজে বের করে আমি তাদের সেই হাতের উপর ঠিক সেই পরিমাণ কষ্ট ফিল করিয়েছি যতটা কষ্ট এরা কিছু না জেনে বুঝেই পূর্ণতা জামানকে দিয়েছিল । এরা সেই তিনজনই যারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে এতকিছুর পরেও আমার সাথে যোগাযোগ করে পূর্ণতা জামানকে আবার এই ভার্সিটিতে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে । হ্যাঁ, এরা সেই তিনজনই যারা পূর্ণতা জামানকে তার রেসপেক্ট সহ তাকে এই ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে এনেছে । হ্যাঁ, এরাই সেই তিনজন !!
এরা সবার নিকট ক্ষমাপ্রার্থী এবং সবার প্রথম পূর্ণতা জামানের নিকট ।
আমি এখন মাহবুব , সাঈদ আর ইশানের হাতে মাইক তুলে দিচ্ছি পূর্ণতা জামান এবং এখানে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলার জন্য ।
আবরন ওদের হাত মাইক তুলে দিতেই ওরা একে একে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলতে শুরু করলো ,
– সবার কাছে ক্ষমা চাইছি । আমাদের প্লিজ ক্ষমা করে দেবেন আপনারা সবাই । আর পূর্ণতা আপু , তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি , প্লিজ আমাদের ক্ষমা করে দাও । তুমি ক্ষমা করলেই আমাদেরকে সবাই ক্ষমা করে দেবে বলে আমাদের ধারনা ।
– হ্যা , আপু । আমরা অনেক বড় ভুল করেছি তোমার সাথে । তুমি আমাদের মাফ করে দাও । তুমি আমাদের ছোট বোনের মতো । বড় ভাইদের কি মাফ করে দেয়া যায় না ??
– আমরা এত বড় ভুল করেছি যা ক্ষমার অযোগ্য !
জল আপু যে এত বড় কাহিনী সাজিয়েছে সেটা আমাদের অজানা ছিল । তবে ভুল আমাদেরই । আমাদের উচিত ছিল আগে তোমার সাথে সরাসরি দেখা করে কথা বলা । আমরা সেসব না ভেবে সরাসরি তোমার উপর অ্যাকশন নিয়ে অনেক বড় ভুল করেছি । আমাদের কারনে তোমাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে । অনেক অপমানিত হতে হয়েছে । এই ক্যাম্পাসে উপস্থিত সকলে তোমাকে ঘৃণার চোখে দেখেছে । তোমাকে এত নিচে নামিয়ে দিয়েছি যে এখন নিজেদের ই সেই পর্যায়ে রেখে একবার দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে যে একটা নির্দোষ মেয়েকে এই অবস্থায় কতটা লড়াই করতে হয়েছে !
– পুলিশ এবং সাইবার নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল । কিন্তু আবরন ভাই আমাদের সেখান থেকে জামিনে ছাড়িয়ে আমাদেরকে বুঝিয়েছে যে কতটা কষ্ট সেদিন তোমাকে আমরা দিয়েছি । কিভাবে বুঝিয়েছে সেটা বলার মতো মুখ আমাদের নেই কিন্তু আমরা এসবের যোগ্য । ভুলের মাশুল তো দিতেই হবে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাদের মাফ করবে না যদি তুমি আমাদের মাফ না করো ।
– প্লিজ , আমাদের মাফ করে দাও , প্লিজ ।
এই বলে তিনজনই পূর্ণতার পায়ের কাছে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল ।
পূর্ণতা এতক্ষন চুপ করে ওদের কথা শুনছিল । ওদের কথার মাঝেই যেন সেদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা বার বার ওর মনে ছবির মতো প্রকাশিত হচ্ছিল । এত অপমান , এত কষ্ট !! কিভাবে এদের ক্ষমা করা যায় ??
কিন্তু ওরা পায়ে এসে পড়তেই যেন ভিতরের সব জমে থাকা কষ্ট গুলো চোখ থেকে পানি হয়ে বেরিয়ে এলো । ওর ভেতরটা কেমন যেন করছে ! ইচ্ছে করছে যেন স্বজোরে চিৎকার করে কেদে নিজের মনের ভেতরে জমিয়ে রাখা আবর্জনার মতো স্মৃতি গুলো বের করে দিতে । পূর্ণতা নিজেকে সামলাতে পারছে না ।
আবরন পূর্ণতার থেকে একহাত দূরে দাঁড়িয়ে আছে । হঠাৎ ওকে এভাবে কাদতে দেখে জলদি এসে ওর হাত টা নিজের হাত দিয়ে মুষ্ঠিবদ্ধ করে ওর দিকে আবেগীয় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ।
ইশান বলছে ,
– ভুল করে ক্ষমা চাইলে তো আল্লাহ ও মাফ করে দেয় আপু , আমাদের কে কি তুমি পারো না মাফ করে দিতে ?
ওদের কথা শুনে পূর্ণতা আরো জোরে কেদে উঠল । ওর মনটা বলছে ,
– ওদের মাফ করে দে !
কিন্তু মস্তিষ্ক টা বলছে ,
– এত সহজে ছেড়ে দিবি ?
পূর্ণতা আবরনের দিকে কাদতে কাদতেই তাকালো । আবরন মাথা নাড়িয়ে ইশারা করল ,
– সম্পূর্ণ টা তোমার ডিসিশন ।
পূর্ণতা ওদের দিকে তাকাতেই ওর বিবেক ওকে নাড়া দিল ।
– পূর্ণ , মনের কথা শোন । মাফ করে দে ওদের । মাফ করে দে তুই ।
মস্তিষ্কের কথা শুনে চললে তোর আর জলের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না । ওদের জীবন মরন নির্ভর করছে তোর এই একটা ডিসিশনের ওপর । তাই বলছি , মাফ করে দে ।
পূর্ণতা ভাবনা বন্ধ করে চোখ থেকে পানি মুছে নিজে ওদের বসা থেকে দাঁড় করিয়ে বলল ,
– আমি খুশি হয়েছি যে তোমরা তোমাদের ভুল টা বুঝতে পেরেছো । আর আমার রেসপেক্ট আবার আমাকে ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করেছো । আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম ভাইয়ারা । তোমরা প্লিজ , এভাবে কেদো না । তোমাদের অনেক অনেক থ্যাংকস আজকের মতো একটা দিন আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য ।
পূর্ণতা ওদের হাত থেকে মাইক টা নিয়ে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হাজার মানুষের দিকে তাকিয়ে বলল ,
– আমি তো মাফ করে দিলাম , তোমরা মাফ করবে না ???
ক্যাম্পাসের মানুষ পূর্ণতার এই কঠিন প্রশ্ন শুনে নীরব হয়ে গেল ।
আবরন , পূর্ণতা , সাঈদ , মাহবুব আর ইশান ওদের উত্তর শোনার জন্য অধীর আগ্ৰহ নিয়ে অপেক্ষা করছে ।
প্রায় ১ মিনিট পর ,
ভরা ক্যাম্পাসের মাঝ থেকে একজন সামনে এগিয়ে এসে বলল ,
– স্বয়ং অত্যাচারিত ব্যক্তি অপরাধকারীদের মাফ করে হাসি মুখে তাদের মেনে নিল , স্বয়ং সৃষ্টি কর্তা ও এতক্ষণে অপরাধকারীদের মাফ করে দিয়েছেন , তাহলে আমরা কেন পারবো না ??
কি চুপ করে আছো কেন মেডিক্যালবাসী ?? সবাই বলো ,
– We forgive you …. We forgive you ….. We forgive you ….
ভরা ক্যাম্পাসের মাঝে উপস্থিত ব্যক্তিকে আর কেউ না চিনলেও পূর্ণতা একপলক সেই ব্যক্তিকে দেখেই চিনে ফেলল আর মাইক হাতে থাকা অবস্থাতেই বলে উঠল ,
– বাবা ………
পূর্ণতার মুখে ‘বাবা’ শব্দটা শুনে আবরন সহ ক্যাম্পাসে উপস্থিত সকলে এক মূহুর্ত্তের জন্য অবাক হয়ে গেল ।
তারপর সবার প্রথম নীরবতা ভেঙে ফাহিম আর তাসিন চিল্লিয়ে বলে উঠল ,
– We forgive you , we forgive you , we forgive you .
ওরা বলা শেষ করতেই সমস্ত ক্যাম্পাস একই ধ্বনিতে ধ্বনিত হলো ।
খুশি হয়ে মাহবুব , ইশান আর সাঈদ আবরনকে জড়িয়ে ধরে আরো জোরে কেদে উঠল । ওরা বিশ্বাস করতে পারছে না ক্যাম্পাস আজ পূর্ণতার পাশাপাশি ওদেরকেও বরণ করে নেবে ।
পূর্ণতা আফতাব উজ্জামানকে দেখে খুশি হয়ে স্টেজ থেকে নেমে দৌড়ে তার দিকে ছুটে গেল ।
আফতাব উজ্জামান খুশি হয়ে তার ছলছল চোখ নিয়ে মেয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে রেখেছে , অপেক্ষা করছে কখন তার ছোট্ট মেয়েটা তাকে এসে জড়িয়ে ধরবে ।
যতই বড় হোক না কেন , মেয়েটা তার বাবার কাছে এখনো সেই ছোট্ট পূর্ণতা ই আছে ।
ক্যাম্পাসে উপস্থিত সকলে এখন এই বাবা মেয়ের স্নেহ আর মমতা মিশ্রিত ঘটনা দেখতে ব্যস্ত ।
পূর্ণতা অবশেষে দৌড়ে গিয়ে আফতাব উজ্জামানকে জড়িয়ে ধরতে পারল ।
বাবা মেয়ে দুজনই কাদছে ।
এদের দেখে ক্যাম্পাসে উপস্থিত সবার চোখের কোন জল দেখা দিল । এমনকি আবরন ও হাসির মাঝেই কাদছে । এসব হচ্ছে খুশির বন্যা ।
পূর্ণতা কাদতে কাদতেই বলল ,
– তুমি সত্যি এসেছো বাবা ?? সত্যি ই তুমি এসেছো ??
আফতাব উজ্জামান উত্তর দিল ,
-হ্যাঁ রে মা , আমি সত্যিই এসেছি ।
বাবার বুক থেকে মাথা তুলে পূর্ণতা বলল ,
– আজকে এত বড় বড় দুটো সারপ্রাইজ পাবো ভাবতেই পারি নি ।
– আমি তোকে বলেছিলাম না আমি তোকে না জানিয়েই হুট করে একদিন চলে আসবো ??
– হুম । কিন্তু তুমি কি করে জানলে যে আমি এখানে ??
– জিব্রান জানিয়েছে । ও ই তো বলল আবরন তোর জন্য এখানে সারপ্রাইজ রেখেছে । তাই সারপ্রাইজের ওপর তোকে আরো একটা সারপ্রাইজ দিতে বাসায় না গিয়ে সোজা এখানে চলে এলাম ।
– তার মানে ভাইয়া ও জানতো এসব ব্যাপারে ! কেউ একবারও বলল না আমায় !
আফতাব উজ্জামান হেসে বলল ,
– তুই এখনো সেই আগের মতোই সাদা সিধে আছিস ! তোকে যদি বলেই দিত সব তাহলে কি আর সারপ্রাইজ দিতে পারতাম ??
পূর্ণতা হেসে বলল ,
– আসলেই তো । তুমি ঠিক ই বলেছো আমি এখনো সেই তোমার দেখা ছোট্ট পূর্ণতার মতোই আছি ।
– হু , কিন্তু আমার মেয়েটা দেখতে অনেক বড় হয়েছে আর আগের চেয়ে সুন্দর ও হয়ে গিয়েছে ।
পূর্ণতা একগাল হাসল ।
এরই মধ্যে মাইকে আবরনের গলা শোনা গেল ।
– সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য এবং পূর্ণতা জামানকে তার হারানো সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং তাকে আবারো নতুন ভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য । তোমাদের এই ঋণ কখনো শোধ করা সম্ভব হবে না ।
তবে চেষ্টা করবো সবাইকে ভালো কিছুর জন্য সুযোগ করে দিতে । আজ এখানেই শেষ করছি । কাল সবাই যথারীতি তে ক্লাস এর জন্য উপস্থিত থাকবে । আজ আর কোনো ক্লাস হবে না । আজকের দিনটা শুধু পূর্ণতা জামানের জন্যই বরাদ্দ ছিল । সবাই ভালো থেকো , সুস্থ্য থেকো এবং কখনো কোনো সমস্যায় পড়লে আগে সেই বিষয়ে ভালো করে জেনে বুঝে তারপর কিছু করার জন্য অনুরোধ করা হলো । সবাই কে ধন্যবাদ ।
ক্যাম্পাসের সবাই স্বজোরে তালি বাজালো । আফতাব উজ্জামান আর পূর্ণতা ও খুশি হয়ে তালি বাজালো ।
আবরন দৌড়ে স্টেজ থেকে নেমে এসে আফতাব উজ্জামান আর পূর্ণতার সামনে এসে দাঁড়িয়ে ই আগে আফতাব উজ্জামানকে সালাম দিল ।
– আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল । কেমন আছেন ??
আফতাব উজ্জামান হেসে সালামের জবাব নিয়ে আবরনের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল হ্যান্ড শেইক করার জন্য ।
আবরন ও হেসে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ড শেইক করলো ।
পূর্ণতা খুশি হয়ে নিজের বাবা আর প্রিয় মানুষটার ভাব বিনিময় দেখছে ।
আবরন বলল ,
– আঙ্কেল এখন বাসায় চলুন । অনেকটা দূর থেকে জার্নি করে এসেছেন । রেষ্টের প্রয়োজন আছে ।
আফতাব উজ্জামান হেসে বলল ,
– একদম ঠিক বলেছো । চলো বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তুমি আমি আর জিব্রান মিলে জমিয়ে আড্ডা দেব ।
আবরন বলল ,
– ঠিক আছে । অনেক খুশি হয়েছি আঙ্কেল , আপনি এসেছেন বলে ।
– তোমার সাথে দেখা হয়েও আমার কি যে খুশি লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না । চলো চলো , বাসায় যাওয়া যাক ।
– ওকে , আঙ্কেল চলুন ।
আবরন , পূর্ণতা আর আফতাব উজ্জামান আবরনের গাড়িতে করেই পূর্ণতা দের বাসায় ফিরছে ।
আবরন ড্রাইভ করছে আর ওর পাশে আফতাব উজ্জামান বসেছে আর পেছনে পূর্ণতা একা বসেছে ।
আফতাব উজ্জামান বললেন ,
– পূর্ণর মায়ের মুখে তোমার অনেক প্রশংসা শুনেছি ।
আবরন হেসে বলল ,
– আঙ্কেল , এভাবে লজ্জা দেবেন না ।
পূর্ণতা ওদের কথা শুনে মনে মনে হাসছে । আর মনে মনে ভাবছে ,
– আজ আমি খুব খুশি । ইয়েএএএএএএ !! অনেকদিন পর এত হালকা ফিল হচ্ছে । মনে হচ্ছে আমি জীবনে আগের চেয়েও বেশি খুশি ফিরে পেয়েছি ।
আবরন ব্যাক মিররে তাকিয়ে মাঝে মাঝে পূর্ণতা কে দেখছে আর ড্রাইভিং করতে করতে আফতাব উজ্জামানের সাথে কথা বলছে ।
আফতাব উজ্জামান বললেন ,
– সত্যি বলছি , মিলি তোমাকে যতটুকু বর্ণনা করেছে আমার কাছে , তোমাকে সামনের থেকে দেখে আমার আরো বেশি ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে ।
আবরন মুচকি হেসে ব্যাক মিররে তাকালো আর পূর্ণতাও আফতাব উজ্জামানের কথা শুনে সামনে তাকাতেই মিররে আবরনের সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল ।
পূর্ণতা জলদি জলদি চোখ সরিয়ে নিল । আবরন এক গাল হেসে আফতাব উজ্জামান কে বলল ,
– আপনিও খুব ইন্টারেস্টিং আঙ্কেল । কেউ কারো সাথে এতো টা ফ্রি লি কথা বলতে পারে প্রথম দেখাতেই তা আপনাকে দেখেই শিখলাম । আপনি ঠিক আমার বাবার মতোই । বাবার সাথেও আমার সম্পর্কটা এমন ।
আফতাব উজ্জামান হেসে বললেন ,
– আমি এমনই ফ্রি মাইন্ডের । তোমাকে খুব পছন্দ হয়েছে ।
পূর্ণতা নিজের বাবার মুখে আবরনের প্রশংসা শুনে আবারো মিররের দিকে না তাকিয়ে পারলো না । আবরন ও মিররের দিকে তাকিয়ে যখন দেখল পূর্ণতা ও তাকিয়ে আছে তো কথা আর হাসির মাঝেই সুযোগ বুঝে চোখ মেরে দিল ।
পূর্ণতা এখন না পারছে হাসতে না পারছে ওকে কিছু বলতে কারন বাবা সামনে । চুপচাপ হজম করে নিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে রইল ।
বাসায় পৌঁছতেই …………………
#চলবে ♥️
বিঃদ্রঃ খুব জলদি বিয়ের দাওয়াত পেতে চলেছি সবাই 😜 । সবাই সেজে গুজে রেডে থাকুন ।
গল্পের ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ধন্যবাদ । ♥️