তোর_জন্য সূচনা পর্ব ১+২+৩

0
8313
  • ~~~১+২+৩~~

    #তোর_জন্য
    #সুমাইয়া আক্তার মনি
    #সূচনা পর্ব

    এয়ারপোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আছি বললে ভুল হবে,,,, ছিলাম দাঁড়িয়ে প্রায় ১ ঘন্টার মতো। কিন্তু ১ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরে এত বড় যে একটা ধমাকা দেখবো বুঝতে পারিনি।
    এত বড় উপহার যে আমি নিতে পারছিনা আর।
    হয়তো আমি অনেক ভাগ্যবতী তাই দীর্ঘ ৮ বছর পড়ে আজকে এত বড় একটা উপহার পেলাম। কতোটা ভাগ্যবান হলে মানুষ এমন উপহার পায় আমার জানা নেই।

    **আমি সুমাইয়া মনি। সবাই মনি বলেই ডাকে। মা-বাবা কেউ নেই। আমার পরিবার বলতে শুধু মাসুদ আংকেলের পরিবারের সবাই। মাসুদ আংকেল হলেন আমার বাবার খুব কাছের বন্ধু। মা-বাবা মারা যাবার পরে তারাই আমার দায়িত্ব নিয়েছেন।
    আজকে এয়ারপোর্টে যার জন্য দাঁড়িয়ে আসছিলাম,,,, সে আর কেউ নয়। মাসুদ আংকেলের একমাত্র ছেলে আদ্রিয়ান মাহমুদ।
    সে আমার থেকে ৬-৭বছরের বড় হবে।ভাইয়া বলেই ডাকতাম নয়তো আন্টি রাগ করতো।কিন্তু যখন আমার বয়স ১২ বছরে চলে তখন আমার মা-বাবা খুন হয়ে যায়। কারা করে আমি ছোট থাকায় কিছুই জানতাম না। আর আমাকে জানানোও হয়নি। যতবারই জিজ্ঞেস করছি কাউকে,,,ততবারই ধমক খাইছি।আমার মা-বাবা থাকা অবস্থায় মাসুদ আংকেল ও আশরাফ( আমার বাবা),,,,,,,,, আমার ও আদ্রিয়ানের বিয়ে নিয়ে কথা বলেন। বড় হলে নাকি আমাকে আদ্রিয়ান ভাইয়ার বউ করে আনবে। আর আমার বাবাও বউ সাজিয়ে আমাকে শশুড় বাড়িতে তুলে দিবে।
    সেই স্বপ্ন আর আমার বাবার পূরণ করা হলোনা। স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে।
    বর্তমানে আমার বয়স ২০ বছর। আদ্রিয়ান ভাইয়ার ২৬ বছরে চলে। কিছুদিন পরেই ২৭ এ পদার্পণ করবে,,,মানে কিছুদিন পরেই ভাইয়ার জন্মদিন।
    আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি। আদ্রিয়ান ভাইয়া মাস্টার্স শেষ করে আসছে।
    এতগুলো বছর কতোইনা স্বপ্ন বাধঁছিলাম মনে মনে। কখনো আদ্রিয়ান ভাইয়ার সাথে যোগাযোগ করতে পারতাম না রোহানা আন্টি(আদ্রিয়ানের মা) চাইতোনা, যে আমি আদ্রিয়ান ভাইয়ার সাথে কথা বলি। মাঝে মাঝে যদি আমি ফোন ধরতামও আদ্রিয়ান ভাইয়া কথা বলতোনা,,, লাইন কেটে দিতো।তবুও একাএকা অনেক স্বপ্ন বেঁধেছিলাম। নিমিষের মধ্যেই সবকিছু শেষ হয়ে গেলো।
    যাকে নিয়ে কত স্বপ্ন বেঁধেছি, সবকিছুই ভেঙে গেলো।
    !
    !
    !
    আদ্রিয়ান ভাইয়াকে জরিয়ে ধরে গালে চুমু খাচ্ছে একটা মেয়ে। আদ্রিয়ান ভাইয়াও কিছু বলছেনা,,, তিনি হাসছেন।ওই মেয়েটা যে ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড তা বুঝতে আমার বেশি সময় লাগেনি।
    আদ্রিয়ান ভাইয়ার সাথে তার চারজন বন্ধু আসছে। দুইজন ছেলে আর দুজন মেয়ে।
    তার মধ্যে তার ওই গার্লফ্রেন্ডও একজন।
    তারা সেল্ফি তুলছেন। কিন্তু ওই মেয়েটা আদ্রিয়ানের গাঁ ঘেঁষেই থাকছেন।

    আংকেল, আন্টি আদ্রিয়ান ভাইয়ার কাছে গেলেন। কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে আছি তাদের থেকে দূরে। আন্টি আমাকে বারবার বলছেন আমি যেনো আদ্রিয়ানের পাশ ঘেঁষে না থাকি।
    এমনকি আমাকে এয়ারপোর্টেও নিয়ে আসতে চাননি,,,মাসুদ আংকেল জোর করে নিয়ে আসছেন আমাকে। আমিও নির্লজ্জের মতো আসছি, ভাবছিলামতো আদ্রিয়ানকে দেখে সব কষ্ট ভুলে যাবো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মা-বাবার সাথে চলে যাওয়াটাই হয়তো আমার সব কষ্টের ইতি ঘটাতে পারতো।
    আদ্রিয়ান ভাইয়া সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছেন। আমার দিকে একবারের জন্যও তাকাননি।
    অথচ ৮ বছর আগে!!! তখন আমি কথা না বললে, রাগ করলে,,,ভাইয়া কতোভাবে রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করতো। কখনো কান ধরে উঠবস করতো, আবার কখনো চকলেট এনে দিত।
    সেই আদ্রিয়ান ও আজকের এই আদ্রিয়ান মাহমুদের মধ্যে কত পার্থক্য।
    !
    !
    !
    কিছুক্ষন পরে সবার সাথে সাক্ষাৎকার করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
    আদ্রিয়ান ভাইয়া, তার বন্ধুরা ও তার কাজিনরা একটা মাইক্রোবাসে গেল।

    আমি, রোহানা আন্টি ও আদ্রিয়ান ভাইয়ার ফুফু ও খালাদের সাথে একটা গাড়িতে।

    মাসুদ আংকেল আমাদের সাথে ছিলেননা। তিনি আলাদা গাড়িতে গেলেন।

    রোহানা আন্টিঃ এই মেয়ে!! আগেও বলছি আর এখনও বলে দিচ্ছি,,, একদম আমার আদ্রিয়ানের দিকে কোনো নজর দিবিনা। ওর পাশে ঘুরঘুর করবিনা। পা ভেঙে দিবো,,,, বলে দিলাম(রাগ দেখিয়ে)

    আদ্রিয়ানের খালাঃ বাড়ির আশ্রিতা,,,, আশ্রিতার মতোই থাকবে। আদ্রিয়ানের পিছু ঘুরবে কেন!(হাসির ছলে)

    আদ্রিয়ানের ফুফুঃ আহা! মেয়েটাকে একবার যখন বলছো। ওতো শুনছে,,,ও যাবেনা আদ্রিয়ানের কাছে। এত বারবার বলার কি আছে!!
    (আদ্রিয়ানের ফুফু,,, মাসুদ আংকেলের পরে তিনিই একমাত্র ভালোবাসেন আমায়। কিন্তু বেশি কথা খাটাতে পারেননা রোহানা আন্টির উপরে।
    তাহলেই রোহানা আন্টি অপমান করে দেয়।
    মানুষ যাই হোক,, সম্মান আগে খুজে। তাই হয়তো ফুফুও সম্মানের কথা ভেবে মুখেমুখে তর্ক করেননা রোহানা আন্টির সাথে)

    #চলবে

    (ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

    #তোর_জন্য
    #সুমাইয়া আক্তার মনি
    #পার্টঃ০২

    ~তোমার এত দরদ দেখাতে হবেনা। এত দরদ থাকলে নিজের ছেলের জন্য নাওনা।
    তোমার ছেলের জন্যই পারফেক্ট হবে।
    ~~~কথাগুলো বলেই রোহানা আন্টি ও তার বোন হেসে দিলো।

    ফুফু রোহানা আন্টিকে কিছু বলতে পারলোনা। কারন রোহানা আন্টির কাছেই তার হাত পেতে সাহায্য নিতে হয়। ফুফা কয়টা টাকাই বা রোজগার করে। ঘরে একজন অসুস্থ ছেলে যা রোজগার করে সবকিছুই ওষুধের জন্য শেষ হয়ে যায়।
    মাসুদ আংকেল তেমন দিতে পারেননা, তাহলে রোহানা আন্টির সাথে দিনভর ঝগড়া লেগেই থাকে।
    তবুও শত অপমান সহ্য করেও ফুফু রোহানা আন্টির থেকে টাকা নেন। নয়তো ঘরে দুমুঠো খাবার খাবেন কিভাবে!! ছেলেকেই বা কি খাওয়াবে!!
    তাই অপমান, উপহাস, ঠাট্টা সবকিছুই তিনি মুখ বুঝে সহ্য করেন।
    ফুফুর ছেলে!! ফুফুর ছেলের নাম নিলয়। নিলয় ভাইয়া কিছুদিন আগেও স্বাভাবিক ছিলেন। কিন্তু এক বছর আগে!!! তখন নিলয় ভাইয়া আমাদের মতোই স্বাভাবিক ছিলেন। নিলয় ভাইয়া অনার্স বর্ষে থাকতেন। একদিন কলেজ থেকে বাসায় আসার পূর্বে রাস্তায় কারা যেনো নিলয় ভাইয়াকে ধাক্কা দিয়ে মাঝপথে ফেলে দেয় গাড়ির কাছে। ভাগ্য ভালো কিংবা খারাপ জানিনা।ভাগ্য ভালো থাকায় সে প্রানে বেঁচে আছে। আর খারাও থাকায় পা হারিয়ে প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে।
    তাই ফুফু এই অসুস্থ ছেলের জন্য সবকিছু সহ্য করেন। স্বামীর রোজগারের টাকা দিয়ে তো ওষুধই হয়না ভালোভাবে। ছেলেকে কি খাওয়াবেন ও নিজেরাই বা কি খাবেন!

    রোহানা আন্টির কথাশুনে ফুফুর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরলো।

    আমার!!! আমিতো অভাগী,,,যে যা বলে তাই শুনতে হয়।
    সবার কথা অনুযায়ী মনে হয়,,,নিজের ইচ্ছেতেই নিজের মা-বাবাকে খুন করে নিজে অনাথ সাঁঝছি।
    আচ্ছা! আমি কেন চলে গেলাম না মা-বাবার কাছে! তাহলে এত ভালোভালো কথা কারো মুখ থেকে শুনতে হতোনা।
    খুব ভালো থাকতে পারতাম মা-বাবার সাথে। একটা ছোট্ট পরিবারের ছোট সদস্য থাকতাম আমি।
    কিন্তু আমার মা-বাবা তারা স্বার্থপরের মতো আমাকে রেখে চলে গেছে।
    খুব সুখেইতো ছিলাম আমরা,,, তাহলে কার এমন কি ক্ষতি করছি! যার জন্য মা-বাবাকে আমার থেকে কেরে নিতে হবে? আমাকেও তাদের সাথে পাঠাতে পারতো,~~~~মনে মনে ভাবছিলাম আর চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে।

    ~~ আদ্রিয়ানের কাছে যেতে বারন করছি দেখে কান্না করছে!!নাকি পা হারানো পঙ্গু ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছি বলে তার জন্য কান্না করছে!!(রোহানা আন্টির বোন,, রোহানা আন্টিকে কথাগুলো বললো)

    ~~আমি কি বলবো! কিছু বলার নাই আমার। সত্যিই তো আমি একজন আশ্রিতা। একে কেইবা বিয়ে করবে।
    কিন্তু আদ্রিয়ান ভাইয়ার খালার কথা শুনে ফুফুর দিকে তাকালাম।
    ফুফুর দিকে তাকানোর থেকে না তাকানোই হয়তো ভালো ছিলো।
    মানুষ কতোটা নিচে নামলে এমন একজন অভাগী মা’কে কথা শুনাতে পারে!
    ফুফুর দিকে তাকানোর পরে নিজেই নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম।তিনি নিজের ছেলেকে পঙ্গু বলা শুনে অনবরত চোখের পানি ঝরাচ্ছেন। মুখ বুঝে সহ্য করছেন।
    আমি কিছু বলতে পারলাম না। নিরূপায় আমি, শুধু ফুফুর হাতটা শক্ত করে ধরলাম।

    ~~~~~~~~~

    বাসার সামনে গাড়ি থামলো। গাড়ি থেকে নামার পরে দেখি আদ্রিয়ান ভাইয়া ওই মেয়েটার গাঁ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন।আদ্রিয়ান ভাইয়া দাঁড়িয়েছে বললে ভুল হবে,,,মেয়েটাই নিজ থেকেই ভাইয়াকে জরিয়ে ছবি তুলছেন । দুজনকে মানিয়েছে ভালোই। একজন ফুল ড্রেস-আপে(আদ্রিয়ান) আরেকজন হাফ ড্রেসে(তার গফ)

    রোহানা আন্টিঃ এভাবে ভেবলার মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন! একদম আমার ছেলের দিকে নজর দিবিনা বলে দিলাম। চোখ উঠিয়ে দিবো(রাগীভাবে তাকিয়ে)

    ~আমার মেয়েটাকে আদ্রিয়ানের সাথে কতভালো মানাচ্ছে(রোহানা আন্টির বোন)
    !
    !
    এতক্ষনে বুঝলাম, ওই মিস. হাফ প্যান্ট তার মেয়ে!! তার জন্যই এমন করছে আমার সাথে।
    যাই হোক আদ্রিয়ান ভাইয়াই আমাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। আমি কেন তার পিছনে ঘুরঘুর করবো।
    এতদিন তো একটা আশার আলো নিয়ে ছিলাম। আদ্রিয়ান ভাইয়া দেশে আসলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সবকিছু ঠিক হওয়ার বদলে আগের থেকে কয়েকগুন পরিবর্তন হলো।
    রোহানা আন্টি যখন আমার সাথে জোরে রেগে রেগে কথাগুলো বললেন,,,,তখন আদ্রিয়ান ভাইয়া একবার তাকিয়ে ভিতরে চলে গেলো।

    ~আদ্রিয়ান ভাইয়া ও তার বন্ধুদের আপ্যায়নের দায়িত্ব আমার উপরে পরলো। তাও রোহানা আন্টি আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তার ছেলের খাবারে কিছু মিশিয়ে দেই কিনা তা দেখার জন্য।
    আমি হাত দিয়ে কাজ করছি আর কান দিয়ে রোহানা আন্টির কথা শুনছি।
    খাবারগুলো গুছানোর পরে যখন নিয়ে আসবো তখনই রোহানা আন্টি বাঁধা দিলেন।

    রোহানা আন্টিঃ নাঁচতে নাঁচতে কই যাচ্ছিস। একদম আদ্রিয়ানের কাছে ঘেষতে যাস না(রেগে)
    আর শোন , উপরের রুম থেকে সবকিছু গুছিয়ে নিস। বুঝোইতো কত আত্নীয় আসছে,,, তাদেরকে ভালোভাবে যত্ন করতে হবেতো।

    আমিঃ কোথায় যাবো তাহলে?

    রোহানা আন্টিঃ স্টোর রুমে যাবি,,,এত বলার কি আছে!
    কেউ যদি কিছু জিজ্ঞেস করে,, তোর কিছু বলার দরকার নাই। আমি সামলে নিবো।
    মনে থাকবেতো?

    আমিঃ হুম(মাথা নিচু করে)

    সবকিছু গুছিয়ে স্টোর রুমে গেলাম। রুমে যাওয়ার পরে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেলো। কি সুন্দর রুম!! দেখলেই ইচ্ছে হয় এর থেকে অন্যের বাসায় কাজ করে খাওয়া ভালো।
    আচ্ছা আমিইবা এখন এ বাসায় পরে আছি কেন! আমার এত দিনের অপেক্ষা তো মুহুর্তেই শেষ হয়ে গেছে।
    তাহলে এখানে আর পরে থাকার কোনো মানেই হয়না। হয়তো বাবা-মায়ের কাছে চলে যাবো। নয়তো দুচোখ যেদিকে যাবে সেদিকেই চলে যাবো।
    নিশ্চয় একটা উপায় তো পাবোই।
    আর না খেয়ে মরে যাওয়াও ভালো। অন্ততপক্ষে কারো অবহেলার পাত্রী তো হতে হবেনা।
    আচ্ছা মাসুদ আংকেলের কাছে বলে যাবো?
    তার থেকে কারো কাছে না বলে যাওয়াটাই ভালো হবে। মাসুদ আংকেলের কাছে বললে রোহানা আন্টির সাথে ঝগড়া হবে।
    তার থেকে রাতের আধাঁরেই অজানা পথের খোঁজে চলে যাবো কারো কাছে না বলে।যেখানে কোনো অবহেলা থাকবেনা। না থাকবে কারো ঘৃনা, আমি অনাথ বলে।
    আচ্ছা! অনাথ হলেই কি সবার অবহেলা দেখতে হবে!! তারা তো নিজ থেকে কখনোই অনাথ হয়না।
    শুনছি অনাথদের ভালোবাসতে হয়। কিন্তু সবকিছুই ভুল শুনছি,,,অবহেলা ছাড়া তাদের কপালে আর কিছুই থাকেনা। আমি নিজেই তার প্রমান।
    রুমটা কোনোভাবে পরিষ্কার করলাম। কারন আজকেই হয়তো আমার শেষ দিন হতে পারে এ বাড়িতে।
    নিজেকে স্টোর রুমের মধ্যেই রাখলাম, কারন বাহিরে বের হলে মাসুদ আংকেল অনেক প্রশ্ন করতে পারে। জানতে পারলে রোহানা আন্টির সাথে ঝগড়া বাধাঁবে। আছিই আজকের দিন শুধু শুধু রোহানা আন্টিকে দোষারোপ করতে চাইনা। যেভাবেই হোক তার কাছে থেকেই বড় হইছি।
    তাছাড়াও আদ্রিয়ান ভাইয়ার আশেপাশে যেতেও বারন করছে। আর আমি যেতেও চাইছিনা,,,শুধু শুধু অবহেলা ও মায়া বাড়াতে চাইনা।
    তার থেকে নিজে নিজে কল্পনা করা ভালো কিভাবে এই নরক থেকে পালানো যায়।
    হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার রুমে আসছে। দড়জা লাগানোর শব্দ পেলাম। আমি ভয়ে ভয়ে দড়জার দিকে তাকালাম।
    যা দেখলাম তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না আমি।
    মনে হচ্ছে এ বাড়িতে আমার আজকে শেষ দিন হবেনা। পৃথিবীতেই শেষ দিন হতে পারে।
    ~~আপনি!!

    #চলবে

    (ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের পর্বটি বা গল্পটি কেমন হচ্ছে জানিনা😒)

    #তোর_জন্য
    #sumaiya_moni
    #পার্টঃ০৩

    ~~আপনি!!!

    ~জ্বি বেবি। তোমায় ছাড়া আমি থাকতে পারি বলো?তাইতো তোমার কাছে চলে আসছি।
    সামনে এগোতে এগোতে কথাগুলো বললো রাহুল

    রাহুল হলো মিস হাফ প্যান্ট ওরফে রিয়ার ভাই।
    আমার প্রতি তার বরাবরের মতোই একটা কুনজর আছে শকুনের মতো। আমায় দেখলে হয়তো হাত ধরার চেষ্টা করবে, অথবা বাজে কথা বলবে।
    যদি রোহানা আন্টি ও তার বোনের কাছে কিছু বলতে যাই উল্টা আমাকে কথা শুনাবে, ভয় দেখাবে।
    আজকে!! হয়তো রাহুলের জন্য আমার শেষ দিনও হতে পারে।

    আমিঃ প্লিজ ভাইয়া, কাছে আসবেননা। আমি আপনার বোনের মতো(মিনতি করে)

    রাহুলঃ চুপ কর! সব বোন হলে বউ কে হবে?
    আর শোন তোর এমন আকুতি-মিনতিতে আমার কিছু আসবে যাবেনা। কত মেয়ের সংস্পর্শে ছিলাম, তারপরে ছুড়ে ফেলে দিছি।
    তুমি ভয় পেয়োনা তোমাকে ,,,,,,,,
    বাকি কথা বলতে পারলোনা রাহুল ভাইয়া। তার আগেই একটা শব্দ আসলো।

    ~আমি শব্দটা অনুভব করলাম, কই থেকে আসলো। তাই ভয়ে ভয়ে সামনে তাকালাম, তাকিয়ে দেখি রাহুল ভাইয়া আমার থেকে অনেকদূরে দাঁড়িয়ে আছে। গালে হাত দিয়ে, রাগে লাল টমেটোর মতো হচ্ছে।
    তার সামনে!!! আদ্রিয়ান ভাইয়া দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে।
    আমার বুঝতে বাকি নেই আর, রাহুল ভাইয়া ওভাবে দাঁড়িয়ে আছে কেন!আর শব্দটাই বা কেন হইছিলো!
    আদ্রিয়ান ভাইয়ার সিগারেটের ধোঁয়ায় আমার কাশি শুরু হয়ে গেলো। সাথে সাথে আদ্রিয়ান ভাইয়া সিগারেট পায়ের নিচে ফেলে পিষে ফেললো। এবং রাহুল ভাইয়ার দিকে এমনভাবে তাকাইছে মনে হচ্ছে তাকে ওই চোখ দিয়েই গিলে খাবে।
    আদ্রিয়ান ভাইয়ার বর্তমানের এই রূপ দেখে রিতীমত ভয় লাগছে।
    কিন্তু আদ্রিয়ান ভাইয়া আমার দিকে একবারের জন্যও তাকালেননা।

    কিছুক্ষনের মধ্যেই স্টোর রুমে সবাই উপস্থিত হলো।

    রোহানা আন্টিঃ কি হচ্ছে এখানে! আদ্রিয়ান ভাইয়াকে দেখে আন্টি খানিকটা চমকে গেলেন। সাথে ভয়ও পেলেন।
    আআআদ্রিয়ানন!! এখানে কি করছিস বাবা?

    আদ্রিয়ানঃ আমারও একই প্রশ্ন, রুমের অভাব হইছে অনেক(রেগে)?? মনি এখানে কি করছে?

    রোহানা আন্টি, আদ্রিয়ান ভাইয়ার কথাটা ঠিকভাবে হজম করতে পারলোনা। তিনি থতমত খেয়ে বললেন,,,,
    এই মেয়ের মতিগতি বুঝিনা। দেখ এই রুমে আসছে হয়তো এই আকামের জন্যই। এখানে আসলে তো কেউ কিছু দেখবেনা।

    আদ্রিয়ান ঃ আচ্ছা মা! তোমার মনে হচ্ছেনা? তুমি একটু বেশিই বলে যাচ্ছো।
    আর কতো ভালোমানুষি দেখাবে!!

    রোহানা আন্টিঃ তুই কি বলছিস বাবা!(ন্যাকা কান্না করে)। এই মেয়েটার জন্য আমার সাথে এভাবে কথা বলছিস!

    আদ্রিয়ান ঃ সমস্যাই তো এখানে, তুমি আমার মা। তাই কিছু বলতে চাইলেও বলতে পারিনা।
    তোমায় আমি কোনোভাবে খারাপ কিছু বলিনি। শুধু এতটুকুই বলছি,, নিজেকে শুধরে নাও। অনেক সময় আছে এখনও। এখন যদি আমার কথার গুরুত্ব না দাও, তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।

    রোহানা আন্টিঃ তুই আবারো আমাকে ছোট করছিস(কান্না করে)। বাবা! এই মেয়েটা নিশ্চয় কিছু করছে। যার জন্য হঠাৎ তুই এভাবে বদলে যাবি।

    আদ্রিয়ানঃ আমি যদি বলি,তোমাদের কারনেই আজকে আমি বদলে গেছি তখন?
    শুধু শুধু অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো বন্ধ করো।

    রোহানা আন্টিঃ কি আমি দোষ চাপাচ্ছি!! এই মেয়েটার জন্য তুই এমন কথা বলছো আমার সাথে তাইতো!!
    আজকে এর একটা হেস্তনেস্ত হবেই। হয়তো এই মেয়েটা থাকবে নয়তো আমি থাকবো।
    সাপকে যতই দুধকলা দিয়ে পুষো, ছোবল তো মারবেই।

    আদ্রিয়ানঃ একটু বেশিই বললে না!!
    কিন্তু কথাটায় যুক্তি আছে সত্যিই এমন হয়। সাপকে দুধকলা দিয়ে পুষলে ছোবল তো মারবেই। কারন এটাই ওর নীতি, অন্যকে ছোবল মারা।
    কথাগুলো আদ্রিয়ান মাসুদ সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললো।

    আদ্রিয়ানের কথাটা শুনে রীতিমতো কেঁপে৷ উঠলো মাসুদ আংকেল। আদ্রিয়ান কি অন্য কিছু বুঝাতে চাইছে, ওর কথার মাধ্যমে?
    আদ্রিয়ানের কথায় মাসুদ সাহেবের পুরনো স্মৃতি কড়া নাড়লো। কিন্তু আদ্রিয়ানের তো তার ব্যাপারে কিছু জানার কথা না।যার জন্য ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছেন।
    তাই তিনিও আদ্রিয়ানের কথায় মাথা ঘামালেননা।
    মাসুদ আংকেল ঃ এখানে এভাবে না দাঁড়িয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিলেই তো হয়।
    এত রাগারাগির কি আছে?
    রোহানা তুমিও ছেলেমানুষী করছো কেন! যাও এখান থেকে।

    রোহানাঃ হ্যাঁ! সব দোষ তো আমারই। যার যা ইচ্ছা আমাকে বলো। আমিতো কারো কিছুইনা।

    আদ্রিয়ান ঃ তোমাদের সাথে কথা বলাই বৃথা(রেগে) চলে যাচ্ছিলো কিন্তু দড়জা পর্যন্ত যাওয়ার পরে পিছু ফিরে,,আমার হাত ধরে নিয়ে গেলো।

    রাহুল ভাইয়াকে তার মা শান্তনা দিচ্ছেন। তবুও রাহুল ভাইয়া রাগে ঘৃনায় দেয়ালে ঘুষি দিলেন।

    আদ্রিয়ান ভাইয়ার বন্ধুরা চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনছিলেন। আদ্রিয়ান ভাইয়া যখন আমাকে নিয়ে আসলেন, তখন তার বন্ধুরাও স্টোর রুম থেকে চলে আসছেন।
    মিস.হাফ প্যান্টকে দেখা গেলোনা৷ ভালোই হইছে যতক্ষন সামনে থাকবে মাথাটা খারাপ করে দেয়।

    ভাইয়ার রুমে নিয়ে আসলেন, আর সাথে সাথে দড়জা লাগিয়ে দিলেন।
    দড়জার ওপাশে থেকে যে সবাই দড়জায় ঠোকা দিয়ে যাচ্ছে ভাইয়া শুনেও না শুনার ভান করে আছেন।
    তিনি সোফায় আধশোয়া হয়ে বসে পড়লেন।
    আমি ঠায় দাঁড়িয়ে আছি। কি হচ্ছে আমার সাথে কিছুই বুঝতে পারছিনা।
    আদ্রিয়ান ভাইয়া!! যে সকালেও আমার সাথে কথা বললো না। এমনকি একটু আগেও ফিরে তাকালোনা৷ আর হঠাৎ!! এভাবে পরিবর্তন কেন হবে!
    স্বপ্ন না সত্যি বুঝতে পারছিনা। স্বপ্ন হলে যেনো ঘুমটা না ভেঙে যায়৷ এভাবে স্বপ্ন দেখতে ভালোই লাগছে। আদ্রিয়ান ভাইয়া সবার সামনে থেকে যেভাবে নিয়ে আসলো, মনে হচ্ছে আমার উপরে তার অধিকার সবথেকে বেশি।
    আর এটা যদি সত্যি হয়!! তাহলে তো খুশির ঠেলায় আমি বেহুশ হয়ে যাবো৷ হয়তো অতি খুশিতে মারাও যেতে পারি।
    তাই স্বপ্ন কিনা সত্যি দেখার জন্য,, ধীরে ধীরে সোফার কাছে গেলাম। আদ্রিয়ান ভাইয়াকে স্পর্শ করলেই বুঝতে পারবো,,, এটা সত্যি নাকি স্বপ্ন!!!
    আদ্রিয়ান ভাইয়াকে যখনই স্পর্শ করবো তখন একটা ধমক দেয় ভাইয়া,,,,।

    আদ্রিয়ান ঃ কি করছিস!!(একটু জোরেই বললো)

    আমিঃ আআআমি কিছু করিনি(ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে)

    আদ্রিয়ান ঃ তাতো দেখতেই পারছি তুই কিছু করোনি। তাহলে এভাবে চোরের মতো আসছিস কেন! (ডেভিল হাসি দিয়ে)

    আমিঃ আআসলে,,,,

    আদ্রিয়ান ঃ হুম!আসলে কি?(হেসে)

    **আজকে এমনিতেই একটা শকড এ আছি,তারমধ্যে যদি এমন হাসে। তাহলে সত্যি সত্যিই আমি অজ্ঞান হয়ে যাবো।
    ধুর!এখনও বুঝতেই পারলাম না আমি স্বপ্ন দেখছি!!
    নাকি কোনো রূপকথার দেশে আছি! না চাইতেও সবকিছুই হয়ে যাচ্ছে**~~~বিরবির করে
    !
    !
    !
    আদ্রিয়ান যতদিন বেঁচে আছে অন্য কোনো রাজ্যে যেতে পারবেনা। আদ্রিয়ানের রাজ্যেই আছো। ~~~~চোখ বন্ধ করে কথা গুলো বললো আদ্রিয়ান ভাইয়া।

    আমি আবারও শকড। হা করে তাকিয়ে আছি,,,।এবার সত্যি সত্যিই স্বপ্ন মনে হচ্ছে।

    আদ্রিয়ান ঃ এভাবে হাবলার মতো না তাকিয়ে থেকে, কাজ কর।

    আমিঃ কিইইই(জোরে)

    আদ্রিয়ান ঃ কান ঝালাপালা হয়ে গেলো৷ এভাবে চিৎকার করে।
    কাজ করতে বলছি শুধু অন্যকিছু না,কাজেই এত চিল্লানোর দরকার নাই।

    আমিঃ দড়জার দিকে যাবো তখনই, হাতে একটা টান অনুভব করলাম। পিছনে তাকিয়ে দেখি,,,,, আদ্রিয়ান ভাইয়া হাত ধরে আছে।
    আমি আবারও অবাকে চরম পর্যায়ে পৌছে গেলাম।
    এবার নিশ্চিত আমি,এতক্ষন স্বপ্ন দেখছি।আদ্রিয়ান ভাইয়া তো তাকায়ইনা আমার দিকে ভালোভাবে । আর আমার হাত ধরবে!!
    এটা ভাবলেও নেহাত বোকামি ছাড়া আর কিছুইনা।

    আদ্রিয়ান ভাইয়া আবারও আমার দিবাস্বপ্নকে ভেঙে দিলেন।
    ওইই পিচ্চি! এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস এত?আর দড়জার বাহিরে যেতে চাচ্ছিস কেন!(রেগে)

    আমিঃ আপনিই তো বললেন কাজ করতে। এখানে তো কোনো কাজ নাই। তাহলে কি করবো তাই রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিলাম(মাথা নিচু করে)

    আদ্রিয়ান ঃ এখানে কাজ নাই কে বলছে!!
    আমি যখন কাজের কথা বলছি তখন কাজটাও নিশ্চয় আমি দিবো৷

    আমিঃ হুহ! কি কাজ?

    আদ্রিয়ান ঃ আমার পা টিপে দিবে এখন। এটাই তোমার কাজ।

    আমিঃ কিই!!এটা কোনো কাজ হলো?

    আদ্রিয়ান ঃ জ্বি এটাই কাজ। এত কষ্ট করে স্টোর রুমে গেছি পা ব্যাথা করে( বত্রিশ টা বের করে হাসছে)
    আমার পা ধরলে তোমারও সুবিধা হবে আমারও সুবিধা হবে। তাই কিছু না ভেবে কাজে মনযোগী হও।

    আমিঃ আমার কি সুবিধা!! কিছু না বুঝে( হানি/বানিয়ের) হানির মতো দাঁড়িয়ে আছি।

    আদ্রিয়ান ঃ এইযে বারবার লুকিয়ে লুকিয়ে আমার ছুঁতে আসছো।
    তাই আমিই এখন অনুমতি দিচ্ছি(চোখ টিপ মেরে)

    ~~এর সাথে যে আমি পারবোনা তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছি। তাই আমিও চুপচাপ কাজে মনযোগী হতে চাইছি। তাও শুধুমাত্র আমার সুবিধার জন্য না। আজকে আদ্রিয়ান ভাইয়ার জন্যই আমি আমার আমিত্ব রক্ষা করতে পারছি।
    যখনই পায়ের কাছে বসে পা ধরতে যাবো তখনই আদ্রিয়ান ভাইয়া উঠে বসে। আর আমার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে।
    আজকে কি আমাকে কোনো সার্কাসের জোকারের মতো লাগছে!! যে মানুষটা ভালোভাবে কথাই বলেনা। অথচ আজকে এত হাসি কিভাবে আসে!!
    নিশ্চয় কোনো কারন আছে।

    আদ্রিয়ান ঃ এই মিস. পিচ্চি ভাবুনি। এত ভাবাভাবির দরকার নাই। তোর কাজ করতে হবেনা,,,এর জন্য রিয়া আছে,,!!(বলেই ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে দড়জা খুললো)

    ~~রিয়ার কথাটা শুনে অনেক খারাপ লাগলো।তাই আমি বসেই রইলাম।কিন্তু দড়জার বাহিরে এত হট্টগোল দেখে আর বসে থাকতে পারলাম না।

    মাসুদ আংকেল ঃ কি হচ্ছে আদ্রিয়ান? এটা ভদ্রলোকের বাড়ি,,।

    আশিকঃ কি হচ্ছে আদ্রিয়ান এইসব!! মাথা ঠিক আছেতো তোর?(আদ্রিয়ানের এক বন্ধু)

    ব্লা ব্লা ব্লা,,,
    আরও অনেকে অনেক প্রশ্ন করলো,,,

    আদ্রিয়ান ভাইয়া হাবলার মতো দাঁড়িয়ে আছে।
    আমি ভাইয়ার পাশে এসে দাড়ানোর পরে সবাই চুপ হয়ে গেলো।
    রিয়া!! রেগে গোল আলু হয়ে আছে। রোহানা আন্টি ও তার বোন তারাও অনেক রেগে আছেন।
    মাসুদ আংকেলের মুখে চিন্তার ছাপ।
    আদ্রিয়ান ভাইয়ার বন্ধুরা তার দিকে রেগে তাকিয়ে আছে।
    কি হচ্ছে এখানে আমি বুঝতে পারছিনা সাথে আদ্রিয়ান ভাইয়াও কিছু বুঝতে পারছেনা।

    আদ্রিয়ানঃ কি হচ্ছে এখানে!! এভাবে সবাই দড়জার পাশে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছো কেন!!
    বিনা টাকায় কি কোনো সার্কাস দেখাচ্ছে(রেগে)

    ~~~রিয়া এসে আদ্রিয়ানকে জড়িয়ে ধরলো সবার সামনে।

    কি বেহায়া মেয়েরে বাবা! এভাবে কারো সামনে কেউ জরিয়ে ধরে? তাও মা-বাবা সামনে আছে!!

    যেমন আদ্রিয়ান ভাইয়া তেমন তার গফ। দুটোই বেহায়া,,,,,,।

    #চলবে

    (((গল্পে আমার নাম আছে বলে কেউ দয়া করে আমাকে নিয়ে বাজে কিছু ভাববেননা। গল্পটা সম্পুর্নই কাল্পনিক,,, তাই যদি কেউ ভাবেন আমার লাইফস্টোরি দিছি তাহলে নিজেকে নিজে হাবলু /বোকা বলে প্রমান করবেননা।
    আমার কথাগুলো খারাপ লাগলে আমি অনেক দুঃখিত। মেসেঞ্জার রিকুয়েষ্টে এমন একটা মেসেজ আসছিল,,,আমার লাইফস্টোরি সম্পর্কে জানতে চায়। #তোর_জন্য গল্পটা দিছি পরে।
    তাই কথাগুলো বলতে বাধ্য হলাম।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here