#Ragging_To_Loving__2
#পর্বঃ- ৩
#রিধিরা_নূর
দীর্ঘ পরিশ্রমের পর আজ এডমিশন টেস্টের ফলাফল দিবে। অনলাইনে তাদের ফলাফল জানানো হবে। সবাই গিয়ে উপস্থিত হলো সিমার বাসায়। ব্যাকুল হয়ে সবাই ল্যাপটপের সামনে বসে আছে। আমরিন ভিডিও কলে আলিফা ও মেহেরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। মেহের আলিফা চট্টগ্রাম ফিরে এসেছে। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে সিমার বাসায় আসতে পারেনি। একে একে সবার ফলাফল দেখছে। তাদের খুশির কোন ঠিকানায় নেই। আলিফা, আমরিন, সিমা, মেহের একই ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে। পুষ্পর ফলাফল দেখার পর তারও একই ভার্সিটিতে এসেছে। এক দিকে আনন্দ তো অন্যদিকে বিমর্ষ। নূরের ফলাফল দেখছে। যতই দেখছে ততই গাম্ভীর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবার এলেও নূরের এলো না। সবার আনন্দ যেন মূহুর্তে বিলীন হয়ে গেল।
পুষ্প — একটা কথা ছিল।
সিমা — কি?
পুষ্প — আমরা যে ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছি সেই ভার্সিটির ট্রাস্টি আব্বুর বন্ধু। তোরা বললে আমি আব্বুর সাথে কথা বলতে পারি যদি ম্যানেজ করা যায়।
নূর — না রে আমি কোন অন্যায় পথ বেছে নিতে চাই না। স্বার্থপর হয়ে অন্যের হোক ছিনিয়ে নিতে পারব না। তোরা আমার চিন্তা করিস না। এই ভার্সিটিতেই তোরা এডমিশন নে। আর হ্যাঁ ভেবোনা যে এতো সহজে আমার থেকে মুক্তি পাবে। হাহ্ রোজ তোদের ভার্সিটিতে গিয়ে তোদের জ্বালাবো। হিহিহি।
নূর সবাইকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও কেউ সেই মানসিকতায় নেই। নূর চেষ্টা করলেও তারও যে কষ্ট হচ্ছে বান্ধবীদের কাছ থেকে দূরে যেতে।
সিমা — না জানি জীবনে কোন পাপ করেছিলাম। (অনুতাপ করে) এই চুন্নিটা আমাদের জীবন থেকে যায় না কেন? (আড়চোখে নূরের দিকে তাকিয়ে)
মেহের — মানে?
সিমা — জীবনটা বেদনাময়।
ল্যাপটপ বাটন ক্লিক করতেই চতুর্থ সারিতে নূরের নাম ভেসে উঠল। নূর স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে ল্যাপটপের দিকে। আমরিন, সিমা ঝাপিয়ে পড়ল নূরের উপর। পুষ্পও ছুটে এলো।
আলিফা — দেখেছিস মেহের আমাদের কেউ ভালবাসে না।
মেহের — আজ আমরা কেউ না বলে।
আমরিন — আরে কি বলিস এসব। তোরা এখন কাছে নেই তাই। কিন্তু আমরা তোদের খুব মিস করি।
আলিফা-মেহের — সত্যি!
আমরিন — না।
আলিফা মেহের সরু দৃষ্টিতে তাকাল। আমরিন ফিক করে হেসে দিল। সাথে নূর, সিমা, পুষ্পও যোগ দিল। আনন্দের মাঝেও পুষ্প কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত। কিছু সময় আড্ডা দিয়ে বিকেলে যে যার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
.
.
.
নূর বাসায় পৌঁছে বাবা-মা, তন্বীকে ভার্সিটির খবর জানিয়ে দিল। রিহান বাইরে থাকায় তাকে জানাতে পারেনি। এলেই জানাবে।
পুষ্প সোফায় হাটু ভাজ করে বসে আছে। চিন্তায় ডুবে আছে সে। আফরান বাসায় ফিরে সিড়ি দিয়ে উঠতেই নজর পড়ল পুষ্পর উপর। চিন্তিত ভঙ্গিমায় ঢুলছে। তার এমন অবস্থা দেখে আফরান ভ্রু কুচকে পাশে বসলো।
আফরান — কি হয়েছে? এতো চিন্তিত কেন? এই আজ তো তোর এডমিশন টেস্টের ফলাফল দেওয়ার কথা ছিল। কি হলো? ওহ বুঝেছি। ভালো ভার্সিটিতে চান্স পেলে না বলে। তোর ভাই এখনো আছে তোর পাশে। আমাদের ভার্সিটিতে তোকে ভর্তি করিয়ে দিব। এতো…
পুষ্প — সেই ভার্সিটিতেই চান্স পেয়েছি। (অসহায় ভঙ্গিমায়)
আফরান — তাহলে তো ভালোই। কোন প্রবলেম হলে আমাকে জানাবি। একই ভার্সিটিতে আছি কোন সমস্যা হবে না।
পুষ্প — সেটাই তো আসল সমস্যা। আমার বেস্টুর কড়া নির্দেশ ভাই-বোন, মামা, খালা পড়ে এমন ভার্সিটিতে এডমিশন নেওয়া যাবে না।
আফরান — কিন্তু কেন?
পুষ্প — তার ভাষ্যমতে তারা প্যারা দেয়। নিজের কোন স্বাধীনতা থাকে না। একটু হেরফের হলেই শাসন করা শুরু করে দেয়।
আফরান — যা চিরন্তন সত্য কথা। (মজা করে)
পুষ্প — অনেক কষ্টে সব বান্ধবীরা একই ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছি। তাই আমি কাউকে জানায়নি তুমি একই ভার্সিটিতে পড়। প্লিজ ভাই এটা সিক্রেট রেখো যে তুমি আর আমি ভাইবোন। ভার্সিটির কেউ যাতে জানতে না পারে। এমনকি তোমার ফ্রেন্ডরাও যাতে না জানে।
আফরান — এটা আবার কোন ধরনের লজিক।
পুষ্প — এটা চুন্নিটার লজিক।
আফরান — দেখ আগেই তোকে জানিয়ে দেয় ভার্সিটিতে সিনিয়ররা জুনিয়রদের র্যাগিং করে। সবাই যদি জানে তুই আমার বোন তাহলে কিছু বলবে না। যদি না জানায় তাহলে তারা র্যাগিং করলে আমি কিছু বলতে পারব না। এমন হতে পারে আমিও তোদের র্যাগিং করব। (বলে হেসে উঠল)
পুষ্প — (ওহ ভাই তুমি তো জানো না কলেজে কত কান্ড পাকিয়ে এসেছি। আমাদের র্যাগিং করবে এমন ফাঁটা আর কেউ নেই। একেকটা যে লেভেলের ডায়নি। যে র্যাগিং করবে তার জীবনটায় তেনাফাডা করে দিবে।) তাহলে আমিও তোমারই বোন। তার পাল্টা জবাব আমিও দিব।
আফরান — ওহ তাই। দ্যান ডিল। আমাদের সম্পর্ক সিক্রেট থাকবে।
পুষ্প স্বস্তির নিশ্বাস নিল। নাহলে যে নূর তার কি হাল করত।
.
.
.
নূর উপুড় হয়ে সোফায় শুয়ে আছে। এক পা, এক হাত সোফার নিচে ঝুলছে। নজর মেঝেতে। তখনই প্রবেশ করল রিহান। নূরের এমন অদ্ভুত অবস্থা দেখে রিহান অবাক হলো। সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখে ফোন মেঝেতে পড়ে আছে। নূর ঝুলন্ত হাত দিয়ে ফোন টিপছে।
রিহান — এমন বিদঘুটে কান্ড তোকে দিয়েই সম্ভব।
রিহানের কথা শুনে নূর লাফিয়ে উঠে বসল। রিহান প্রস্তুতি নিচ্ছে নূরের বকাবকি শুনতে। কিন্তু নূর চিল মুডে আছে। তাই রিহানকে কিছু বলল না। নূরের হাস্যজ্বল চেহারা দেখে রিহান অবাক হলো।
রিহান — কি ব্যাপার আজ এতো চিল মুডে আছিস।
নূর — হ্যাঁ। কারণ আবারও আমরা সব বান্ধবীরা একসাথে থাকব। একই ভার্সিটিতে ভর্তি হব। “___” ভার্সিটিতে। (দুই হাত মাথার উপর ভাজ করে সোফায় হেলান দিল)
রিহান — আরে এটা তো আমাদের ভার্সিটি।
নূর যেন শকডের উপর টাস্কি খেল। চোখ দুটো বেরিয়ে আসার উপক্রম হলো।
নূর — তো..তো..তোদের ভা..ভার্সিটি?
রিহান — কেন জানিস না? এই ভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আমি।
নূর কপালে হাত দিয়ে বসে আছে। কাঁদো কাঁদো চেহারা বানিয়ে রিহানের দিকে তাকিয়ে আছে। পরক্ষণে রাগী ভঙ্গিমা করে রিহানের দিকে তেড়ে এলো।
নূর — কে বলল তোকে ওই ভার্সিটিতে এডমিশন নিতে। হ্যাঁ? দুনিয়াতে কি আর কোন ভার্সিটি পেলি না। যে ঘুরে ফিরে ওই ভার্সিটিতে যেতে হলো। এখন আমার কি হপ্পে?
রিহান — আশ্চর্য। আমি এই ভার্সিটিতে পড়ি তাতে তোর কি সমস্যা? (নূর রাগী দৃষ্টিতে তাকাতেই রিহান চুপ হয়ে গেল। বেহারা জানেই ন তার দোষটা কোথায়?)
নূর — আমি নিজেই পুষ্পকে বারণ করেছিলাম আর এখন দেখি আমার কপালটাই ফুটা।
রিহান — কি হয়েছে বলবি?
নূর — ভার্সিটিতে কেউ যাতে না জানে তুই আমার ভাই। তোর বন্ধুরাও যাতে না জানে। এটা যেন সিক্রেট থাকে।
রিহান — কিন্তু কেন?
নূর — কারণ… আমি আমার বান্ধবীকে বলেছিলাম যাতে আত্নীয় স্বজন পড়ে এমন ভার্সিটিতে ভর্তি না হয়। এখন যদি জানে উল্টো আমার ভাই-ই আর আমি একই ভার্সিটিতে পড়ি তাহলে ইজ্জতের চায়না গ্রাস হয়ে যাবে।
রিহান — নূর তুই সবে মাত্র ভার্সিটিতে যাবি। আর ভার্সিটিতে র্যাগিং করা খুবই সাধারণ বিষয়। আর আমাদের ভার্সিটিতে এটা খুবই সাধারণ। আমাদের প্রভাব রয়েছে ভার্সিটিতে। যদি জানে তুই আমার বোন তাহলে কেউ তোদের র্যাগিং করবে না।
নূর — আমাদের র্যাগিং করবে এমন ফুটা কপালকে দেখতে চাই। তার জীবন যদি তেনাফাডা না করি তাহলে আমার নামও নূর না। ওকে?
রিহান — তুই বিষয়টা হালকা ভাবে নিচ্ছিস। এমন হতে পারে আমার বন্ধুদের মধ্যে কেউ তোর র্যাগিং করছে তাহলে আমি চেয়েও তোর সাহায্য করতে পারব না।
নূর — সাহায্যের প্রয়োজন আমার না তোর বন্ধুর হবে। তোর বন্ধু কেন তুইও যদি আমার র্যাগিং করিস তাহলে তোর অবস্থাও বেহাল করব৷
রিহান — ঘরে কি কম করিস যে এখন ভার্সিটিতেও শুরু করবি।
নূর — “পুলো কা তারো কা সাবকা কেহনা হে। এক হাজারো মে তেরি বেহনা হে। সারি উমার হামে সাঙ্গ রেহনা হে।” পুরো চার বছর যে শান্তিতে ছিলি তা গুনে গুনে বদলা নিব। ওকে বাই। আর হ্যাঁ কেউ যাতে না জানে। ওকে?
রিহান — ওকে।
নূর — ভেরি গুড। (যাওয়ার পূর্বে রিহানের চুল মুটি ধরে টেনে দিল।)
রিহান — আহহ নূঊঊরররর….।
তাকে আর পায় কে এক দৌড়ে রুমে।
_______________________________
অনলাইনে তাদের এডমিশন হয়ে গেল। আজ থেকে তাদের ক্লাস শুরু হবে। এদিকে পুষ্প, আফরান আলাদা হয়ে ঘর থেকে বেরুলো। অন্যদিকে নূর, রিহানও আলাদা হয়ে বেরুলো। যাতে কেউ না জানে। আমরিন ও সিমার বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় তারা একসাথে বেরুলো। ভার্সিটি দূরে হওয়ায় দুজনে এক রিকশায় উঠল। আলিফা, মেহের চাচাতো বোন। একই ঘরে একসাথে থাকে। তাই তারা একসাথে বেরুলো।
আহিল, ওয়াসিম বাইকে করে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। ওয়াসিম ড্রাইভ করছে।
ওয়াসিম — আহিল আজ থেকে নিউ ইয়ারের ক্লাস শুরু হবে। তাই আজ আমাদের ক্লাস বোধহয় হবে না।
আহিল — এমনিতে মনে হয় ক্লাস করে টপার হয়েছিস। সেই যাই হোক। নিউ ইয়ারে নতুন স্টুডেন্টস আসবে। চারদিকে রমনীদের ছড়াছড়ি হবে।
ওয়াসিম — শুরু হয়ে গেল তোর ফ্লার্ট গিরি।
আহিল — ওহ হ্যালো আমি সবার সাথে ফ্লার্ট করি না। যারা আমার ফ্লার্টে গলে যায় তাদের সাথেই করি। (পাশে তাকাতেই চোখ পড়ল এক রিকশায়। রিকশার চাকার উপর হরেক রঙের ওড়না ঝুলছে। আরেকটু হলেই চাকায় ওড়না পেচিয়ে দূর্ঘটনা হতে পারে।) ওহ হ্যালো? এই যে মিস আপনার ওড়না। এই যে লাল, সবুজ, কমলা মিক্সড ওড়না ওয়ালি।(উচ্চস্বরে চিৎকার করেও কারো কোন সাড়াশব্দ পেল না।) ওয়াসিম দ্রুত চালা। নাহলে এক্সিডেন্ট হতে পারে।
দুইটা গাড়ির সামনে রিকশাটা। রিকশার অপর পাশে বসা মেয়েটি গোলাপি রঙের জামা পরিধান করা।
ওয়াসিম — এই যে পিংক ড্রেস। ও পিংক ড্রেস। মিস পিংকি। ও মিস পিংকি। রিকশায় বসা মিস পিংকি। (উচ্চস্বরে) আরে ইয়ার কেউ সাড়া দিচ্ছে না।
ওয়াসিম দ্রুত গতিতে চালিয়ে রিকশার কাছাকাছি গেল। কাছে আসতেই আহিল ওড়না চাকার কাছ থেকে তুলে নিল। রাস্তায় গর্ত থাকায় বাইক ঝাকিয়ে উঠে। আহিল তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়। ওড়না আঁকড়ে ধরায় রিকশা থেকে মেয়েটিও পড়ে যায়। তড়িঘড়ি আহিল মেয়েটিকে ধরে লুটিয়ে পড়ে রাস্তায়। আহিলের মাথায় খানিকটা আঘাত লাগে। মেয়েটি মাথা উঠিয়ে দেখে আহিল তাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আছে। মেয়েটি নাড়াচাড়া করতেই আহিল চোখ মেলে তাকায়। একপাশে বিনুনি করা, দুধে আলতা গায়ের বর্ণ যেন টোকা দিলে রক্ত উঠে যাবে। গালে গোলাপি আভা। আহিল অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
সিমা — আমরিন তুই ঠিক আছিস?
সিমার ডাকে আমরিন তড়িঘড়ি উঠে দাঁড়ালো। ওয়াসিম হাত পেতে আহিলকে দাঁড় করালো।
সিমা — এই যে মিস্টার এটা কোন ধরনের অসভ্যতা। রাস্তাঘাটে মেয়েদের উত্যক্ত করা আজকালকার ছেলেদের ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। তাই না? (রেগে আহিলকে বলল)
ওয়াসিম — ও মিস পিংকি। কীসব আজেবাজে কথা বলছেন। আজ আহিলের জন্যই আপনার ফ্রেন্ড নাকি বোন দূর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে।
সিমা — ওহ রিয়েলি! এখন যা হয়েছে তা কি ছিল। বরং উনার জন্যই এই দূর্ঘটনা হয়েছে।
ওয়াসিম — আপনার ফ্রেন্ডের ওড়না রিকশার চাকায় আটকে যাচ্ছিল। আর বন্ধু দেখে আপনাদের অনেক ডেকেছে। ইন ফেক্ট আমিও আপনাকে অনেক বার ডেকেছি। মিস পিংকি পিংকি বলে। কিন্তু আপনাদের কোন সাড়াশব্দই নেই।
সিমা — এক্সকিউজ মি। প্রথমত আমার নাম পিংকি না। সিমা। সিমা আমার নাম। বুঝছেন। পিংকি পিংকি ডাকলে কে বুঝবে শুনি।
আমরিন — আচ্ছা থাম এখন। প্লিজ এভাবে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে ঝগড়া করিস না। আর ধন্যবাদ আপনাদের।
সিমা — ধন্যবাদ? কীসের ধন্যবাদ? এদের জন্যই তো এক্সিডেন্ট….
আমরিন — হয়েছে থাম এবার। যদি উনারা না থাকতো তাহলে হয়তো চাকায় ওড়না পেচিয়ে আরও বড় দূর্ঘটনা হতে পারতো। উনারা খারাপ উদ্দেশ্য করে তো আসেনি। বরং আমাদের সাহায্যের জন্যই এগিয়ে এসেছেন। ধন্যবাদ।
সিমা — হুহ্। (ওয়াসিমকে ভেঙচিয়ে আমরিনকে টেনে নিয়ে গেল। রিকশায় বসে রওনা দিল।)
ওয়াসিম — আজকাল দেখি ভালোর দাম নেই। সাহায্য করতে গিয়ে উল্টো কথা শুনতে হলো। কেমন ঝগড়াটে মেয়ে। (সিমাদের যাওয়ার পানে তাকিয়ে এসব বলছিল। পাশে তাকিয়ে দেখে আহিলের ধ্যান রিকশার দিকে।) ঐ শুনছিস? কবে থেকে বলে যাচ্ছি। কি হয়েছে তোর?
আহিল — বুকের ভেতর কেমন জানি করছে।
ওয়াসিম — করবেই তো। মেয়েটি যে ধড়াম করে তোর বুকের উপর পড়ল মনে হয় ব্যাথা পেয়েছিস।
আহিল সরু চোখে তাকাল। ওয়াসিম ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। যার অর্থ আহিলের এমন তাকানোর কারণ সে বুঝল না।
.
.
.
চলবে