Ragging To Loving 2পর্ব-৩৬

0
2099

#Ragging_To_Loving__2
#পর্বঃ- ৩৬
#রিধিরা_নূর

রিহান — কি হয়েছে? এবার তড়িঘড়ি আসতে বললি যে।

আহিল — ইয়াশ এখন প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফার হয়ে গিয়েছে। পরিচালক জাহেদ আহসান ইয়াশকে অফার দিয়েছে। একটু পরেই সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। পাঁচ দিনের জন্য। এরপর মামা, ইয়াশ বড়লোক্স হয়ে যাবে।

রিহান — অভিনন্দন দোস্ত। (জড়িয়ে ধরে) কিন্তু একা যাবি?

ইয়াশ — আরিফ যাবে আমার সঙ্গে। মা-কে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি আমার জামা কাপড় প্যাক করে দিতে। আরিফ বাসায় গিয়েছে সেদিক থেকে বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করবে।
.

আরিফ গেইটের বাইরে এসে রিকশা খুঁজছে। আলিফা দৌড়ে এসে তাল সামলাতে না পেরে আরিফের সাথে ধাক্কা লাগে।

আলিফা — সরি। (হাঁপাতে লাগলো)

আরিফ আলিফার কথা ভ্রুক্ষেপ না করে রিকশা ডাকল।

আলিফা — আপনার….

আরিফ — এখন আমার তাড়া আছে। তোমার ভিত্তিহীন কথা শোনার সময় এখন আমার নেই।

আলিফা অবাক হয়ে তাকাল। “ভিত্তিহীন? আমার ফিলিংস আপনার কাছে ভিত্তিহীন?” ভাবতেই চোখে জল ভরে এলো। সে চায় না আরিফ তার চোখের জল দেখুক। তাই চোখ নামিয়ে নেয়। আরিফ তড়িঘড়ি রিকশায় উঠে পড়ে। রিকশা টানার পূর্বেই আলিফা আরিফের ওয়ালেট রিকশার পা রাখার স্থানে রেখে দেয়। আরিফ খেয়াল করল না। রিকশা চলল আপন গতিতে। আলিফা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। টুপ করে এক ফোঁটা অশ্রুজল মাটিতে পড়ল।

আরিফ পকেট থেকে ফোন বের করার সময় ওয়ালেট পড়ে যায়। বিষয়টি আলিফা খেয়াল করে তড়িঘড়ি আরিফকে ওয়ালেট দিতে এসেছিল। এসব কথা শুনবে সে মোটেও আশা করেনি।

লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে পুষ্পর নজর পড়ে পার্কিং এরিয়ায় আফরানের উপর। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আফরানের দিকে তাকিয়ে আছে। হাত মোচড়াতে লাগলো।

পুষ্প — (আমি কি কোথাও ভুল করছি? ভাইয়া যদি জানতে পারে আমি রিহানকে পছন্দ করি তাহলে তার রিয়েকশন কেমন হবে? সে কি মেনে নিবে? ভাই হয়ে নিজের বোন এবং বন্ধুর মধ্যকার সম্পর্ক সে কীভাবে দেখবে? যতই হোক সে আমার বড় ভাই। তার সামনে রিহানের সাথে থাকাকালীন সময় কীভাবে চোখ মেলাবো। তার চোখে আমার জন্য সম্মানটা কেমন থাকবে? কীভাবে দেখবে আমায়? ভাববে তার বোন কত খারাপ। তার অগোচরে তারই বন্ধুর সঙ্গে…। তার চেয়ে বরং আমি সব ভুলে যায়। কারণ আমার অনুভূতি এক তরফা। জানি না রিহানের মনে আমার জন্য কিছু আছে কিনা।)

হাটতে হাটতে নূর,আমরিন অনেকটা এগিয়ে গেল। খেয়াল করল পুষ্প পাশে নেই। পিছন ফিরে দেখে পুষ্প দাঁড়িয়ে আছে।

আমরিন — কি ভাবছিস? চল।

পুষ্প — নূর। তুই…

পুষ্প কিছু বলার পূর্বেই সিমা,মেহের হাজির হলো। পুষ্প আর কিছু বলল না। আলিফা হেলেদুলে এলো। একেবারেই স্বাভাবিক। একটু আগে যা ঘটলো তা নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চায়।

আলিফা — সবাই এমন চুপচাপ কেন? কিছু হয়েছে?

আমরিন — অন…(পুষ্প হাত চেপে ধরল)

পুষ্প — কি হবে? কিছুই হয়নি। (ইশারায় আমরিন, নূরকে না করল। সরি। জানি আমাদের মধ্যে কোন সিক্রেট থাকে না। কিন্তু যা হবার নয় তা নিয়ে আগ বাড়ানোর কোন মানে হয়না।)

বাসার সামনে রিকশা দাঁড়ালো। তড়িঘড়ি উপরে গিয়ে ব্যাগ এনে আবারও রিকশায় উঠে গেল। বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে ভাড়া দেওয়ার জন্য পকেটে হাত দিয়ে দেখে ওয়ালেট নেই। আশেপাশে তাকিয়ে রিকশার মধ্যে পড়ে থাকা পেল। কিন্তু এখানে এলো কি করে? কোন ভাবান্তর না করে ভাড়া দিল। ইয়াশ টিকেট নিয়ে সেখানেই অপেক্ষা করছে। দুজনেই বাসে উঠে পড়ল।

.

রাতে
রিহান ফোন হাতে নিয়ে দেখে পুষ্পর আইডি ডিএক্টিভেট। বিষয়টা কেমন যেন খটকা লাগলো। নূর তিড়িং বিড়িং করে রিহানের সামনে ঘুরতে লাগলো। কিন্তু রিহান তার দিকে তাকাচ্ছেই না। নূর রিহানকে শুনিয়ে পুষ্পর নাম নিল।

নূর — পুষ্প? অবশ্যই। হ্যাঁ! কালকেই তুই পুষ্পকে প্রোপজ করবি। আমি নিশ্চিত পুষ্প তোমাকে মেনে নিবে। এতো বছর ধরে তোমরা একে অপরকে চেনো। একে অপরের পছন্দ অপছন্দ, ভালো মন্দ সব জানো। ছেলে হিসেবেও তুমি ভীষণ ভালো। আমি পুষ্পকে কিছু বলব না। সব কিছু সারপ্রাইজ থাকবে। ওকে বাই।

ফোন কেটে আড়চোখে রিহানের দিকে তাকাল। রিহান ছটফট করছে। পুষ্প? প্রোপজ?

রিহান — নূর?

নূর — হুম?

রিহান — কার সাথে কথা বলছিলি?

নূর — আমার এক বন্ধু। হোস্টেলে থাকাকালীন পরিচয় হয়েছিল। মুহিন। পুষ্পকে পছন্দ করে এবং প্রোপজ করবে। তাই আমার সাহায্য চাইছে।

রিহান — কেন করবে প্রোপজ? (ভ্রু কুচকে)

নূর — মাত্রই তো বললাম। সে পুষ্পকে পছন্দ করে।

রিহান — কিন্তু পুষ্প তো পছন্দ করে না।

নূর — জানলি কি করে? পুষ্প আমার ফ্রেন্ড। মুহিনও ভালো ছেলে। আর আমি অবশ্যই চাইব আমার ফ্রেন্ড একজন ভালো ছেলের সঙ্গে থাকুক। আর আমি জানি মুহিন যদি পুষ্পকে প্রোপজ করে তাহলে সে না বলবে না।

রিহান কিছু বলল না। কিন্তু কেন যেন তার সহ্য হচ্ছে না। মনে হচ্ছে ক্রমাগত তার বুকের ভেতর কেউ আঘাত করছে। যার যন্ত্রণা অসহনীয়। রিহান না বলে চলে গেল। ফোনের অপর পাশে পুষ্প দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল। নূর নিরাশ হয়ে ফোন কানে দিল।

পুষ্প — বলেছিলাম না রিহানকে কিছু না বলতে। আইডি ডিএক্টিভেট করেও তার মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া দেখতে পেলি না।

নূর — আবার একই কথা বলিস না। শেষ বারের মতো চেষ্টা করে দেখি।

মনটা ভীষণ লোভী। এক দিকে সে সব ভুলে নতুন সূচনা করতে চায়। অন্যদিকে পিছুটান আবারও একই জায়গায় নিয়ে যায়। পুষ্প সব ভুলতে চাইলেও মনের গহীনে সূক্ষ্ম এক কোণে রিহানকে চাই। আশার এক কিরণ মনে কড়া নাড়লেও, ভয়ও করছে ভীষণ। যদিও রিহানের মনে তার জন্য জায়গা আছে। এরপর? এরপর কি হবে? আবারও একই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। মনকে বোঝানো কষ্টসাধ্য। শুধু কালকের অপেক্ষা। এরপর কি হয় কে জানে?

রিহান বিছানার এপাশ-ওপাশ ফিরছে। ঘুম কোনভাবেই আসছে না। বুকের ভেতর ধড়ফড় করছে। হাত দুটো শক্ত করে মুষ্টি বদ্ধ করে আছে। কিছু একটা জেনে ছুটে যাচ্ছে। যথাসাধ্য চেষ্টা করছে ধরে রাখতে কিন্তু হাতের মুটি খুলে যাচ্ছে। হাত দুটো থরথর কাঁপছে। শুধু একটি কথায় বারবার আওড়াচ্ছে “প্লিজ যেও না।”

সকালে _________________

রিহানের চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। সারারাত ঘুমাইনি। এমন না যে রাত জেগে কাটায়নি। কাটিয়েছে। মাঝে মাঝে পুষ্পর সাথে কথা বলতে বলতে রাত-বিরেতের খেয়ালই থাকতো। কি আজ অন্যরকম।

নূর উঁকিঝুকি দিয়ে রিহানকে খুঁজছে। রিহানকে দেখা মাত্রই ফোন কানে দিল।

নূর — হ্যাঁ! না আজ ভার্সিটি যাব না। আজ বিশেষ দিন বলে কথা। এক্ষুণি রওনা দিচ্ছি। তুমি রেডি হও আমি আসছি।

নূর আড়চোখে রিহানের দিকে তাকিয়ে বেরিয়ে পড়ল। রিহান সাত পাঁচ না ভেবে নূরের পেছনে গেল। রিকশা নিয়ে নূর একটি ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থামলো। উঁকি মেরে দেখল রিহান এলো কিনা। রিহানকে দেখা মাত্রই না দেখার ভান করে ভেতরে প্রবেশ করল। নূর চোখ টিপি দিতেই সবাই প্রস্তুত হলো।

রিহান ভেতরে গিয়ে দেখে পুষ্প নীল জামা পরিধান করা দাঁড়িয়ে আছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটি। বিপরীত দিকে বসায় চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। দূর থেকে তাদের কথাও শোনা যাচ্ছে না। কিন্তু পুষ্প হাসছে। পুষ্পর এই হাসি রিহানের কাছে বিষাদ লাগছে।

নূর “দুনিয়া” গানটি প্লে করল। আমরিন ভিডিও করছে। মেহের,সিমা তাদের উপর ফুল ছিটাচ্ছে। আশেপাশে তেমন মানুষ নেই। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ। সকাল সকাল তেমন মানুষ হওয়ার কথা নয়। তাই তাদের সুবিধায় হলো। নূর হঠাৎ লক্ষ্য করল তার ঠিক সামনে কিছু দূরত্বে আফরান দাঁড়িয়ে আছে। নূর বেশ অবাক হলো। আফরান এখানে এলো কি করে? যদি এখানে আসে সব প্লানিং জলে ভেসে যাবে। নূর সব ছেড়ে দ্রুত পায়ে হেটে আফরানের কাছে গেল।

নূর — আপনি এখানে কি করছেন?

আফরান — তুমি এখানে কি করছ? আর এসব কি হচ্ছে? পুষ্প এখানে? আর ওর সাথে ছেলেটা কে? (রেগে)

আফরান সেদিকে যেতে নিলে নূর তার হাত আঁকড়ে ধরে।

নূর — চুপচাপ এখানে দাঁড়িয়ে থাকুন। (ধমক দিয়ে)

আফরান — হোয়াট দ্যা হেল ইজ দিজ। পুষ্প আমার বোন। আমার বোনের জীবনে কি চলে না চলে তা জানার সম্পূর্ণ অধিকার আমার আছে। (কড়া গলায়)

নূর — এখনো কিছু হয়নি। তাহলে জানবেন কি করে?

আফরান — মানে?

নূর — চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখুন।

আফরান হাত ছাড়াতে চাইলে নূর তার হাতে জোরে চিমটি দেয়। আফরান চেল্লানোর পূর্বেই মুখ চেপে ধরে।

নূর — চুপ করুন নয়লে গলা চেপে ধরব।

আফরান চোখ বড় বড় করে তাকাল।

আফরান — (কি মারাত্মক মেয়ে রে বাবা। মুখ চেপে ধরতে পায়ে আঙুলের উপর ভর দিয়ে আছে। আবার ধমক দেয় কি না আমার গলা চেপে ধরবে। ভুটকি কোথাকার।)

ছেলেটি হাটু গেড়ে বসল। রিহান অনেক্ষণ নিজের রাগ দমন করে ছিল। আর না পেরে তেড়ে গিয়ে ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

পুষ্প — রিহান। কি করছ?

রিহান — আই লাভ ইউ। আই রিয়েলি লাভ ইউ। তোমাকে ছাড়া আমি অচল। একদিন তোমার সাথে কথা বলতে না পেরে পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছি। তাহলে বাকিটা জীবন তোমায় ছাড়া কীভাবে থাকব? জানি শুনতে আজব লাগছে। কিন্তু এটাই সত্যি ভালবাসি তোমায়। কখন? কীভাবে? কেন? জানি না। জানি শুধু তোমাকে চাই। আজীবনের জন্য চাই। প্লিজ আমার হয়ে যাও। আজীবন আগলে রাখব তোমায়। কোন কষ্ট পেতে দিব না। জানি না এই মূহুর্তে আমার কি বলা উচিৎ। কীভাবে বোঝাব কি চলছে ভেতরে। ভয় করছে ভীষণ। তোমাকে হারানোর ভয়। আই লাভ ইউ। আই লাভ ইউ। (অস্থির হয়ে এক নাগাড়ে বলল)

পুষ্প নিষ্পলক তাকিয়ে আছে রিহানের চোখের দিকে। রিহানের ভেতরের ভয় সে স্পষ্ট তার চোখে দেখতে পাচ্ছে। এতটা সে রিহানের চোখে নূরের জন্য দেখেছিল। যখন নূর কাঁদছিল তখন রিহান ঠিক এভাবেই ছটফট করছিল। বোন হিসেবে সে নূরকে এত ভালবাসে। আপনজনের কষ্টে মানুষ কতটা ছটফট করে সেদিন দেখেছিল পুষ্প। আজ সে-ই ছটফট দেখছে নিজেকে হারানোর ভয়ে। সত্যি রিহান তাকে এতো ভালবাসে?

রিহান করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। পুষ্পর উত্তরের অপেক্ষায়। পুষ্প অশ্রুসিক্ত নয়নে বলল,

পুষ্প — আই অলসো লাভ ইউ। আমিও তোমায় ভীষণ ভালবাসি।

রিহান-পুষ্প দুজনের মাঝেই হারানো প্রাপ্তি ফিরে পাওয়ার অনুভূতি হচ্ছে। কীভাবে তাদের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ করবে বুঝতে পারছে না।

আফরান চুপচাপ দাঁড়িয়ে দূর থেকে সব দেখছে। নিজের চোখ, কানের উপর বিশ্বাস করতে পারছে না। নূর আফরানকে টেনে অন্যপাশে নিয়ে গেল।

এদিকে আলিফা মাটিতে পড়ে আছে। কোমরে হাত দিয়ে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। জিন্স, শার্ট, শর্ট হেয়ার উইগ পড়ে ছেলে সেজে পুষ্পকে প্রোপজ করছিল।

আলিফা — আমার কোমর শেষ। ও ভাই রে ভাই এতো জোরে ধাক্কা দেওয়ার কি ছিল? আহহ! (বেদনা কাতর শব্দ করতে লাগলো)

রিহান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আলিফার দিকে।

রিহান — এসব কি?

সিমা — এসব আপনার খুরাফাতি বোনের প্লানিং ছিল।

রিহান — নূর? নূর কোথায়?

আফরানের বিস্ময়ের সীমা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল। তার মধ্যে যে অনেক প্রশ্ন ঘুরছে তা নূর বেশ ভালো করে বুঝতে পারছে।

আফরান — এসব কি হচ্ছে বলবে আমায়? (উচ্চস্বরে)

নূর — আস্তে।

আফরান — আস্তে মাই ফুট। বল কি হচ্ছে এসব। এসব কোন ধরনের ড্রামা চলছে? পুষ্প, রিহান! আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।

নূর — সোজাসাপ্টা বলছি। চুপচাপ মনোযোগ দিয়ে শুনুন। পুষ্প, রিহান একে অপরকে ভালবাসে। পুষ্পর মনের খবর কালকেই জানতে পেলাম। কিন্তু সে আপনার কথা চিন্তা করে নিজের মন মেরে পিছিয়ে গেল। কিন্তু রিহানের মনে কি আছে তা জানার জন্য এসব প্লান করি। এরপর জেলাসিতে’ই রিহান নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে। এখন মূল কথা হলো তারা একে অপরকে ভালবাসে। তাদের মাঝে ভিলেন হয়ে আছেন আপনি। একদিকে বন্ধু, একদিকে বোন। ভাই হয়ে বোনের প্রেম মেনে নেওয়া তাও নিজের বেস্টফ্রেন্ডের সাথে কষ্টকর। কিন্তু আমার ভাই ছেলে খারাপ না। সেটা আপনিও জানেন। আমিও জানি। এখন কথা আপনি কি চান। (এক নিঃশ্বাসে বলে জোরে নিঃশ্বাস ফেলল)

আফরান — কি বলেছ তুমি নিজে বুঝতে পেরেছ? সব আমার মাথার উপর দিয়ে গেল। (হাবাগোবা হয়ে বলল)

নূর — আমার কথা কি উড়োজাহাজ যে আপনার মাথার উপর দিয়ে যাবে। সোজা কথা হলো রিহান পুষ্প একে অপরকে ভালবাসে। এবং তাদের ভয় আপনি। একদিকে আপনি পুষ্পর বড় ভাই। অন্যদিকে রিহানের বন্ধু। দুইদিকে আটকা পড়ে মাইনকার চিপায় ফাইস্যা গেলেন আপনি। এখন আপনার সিদ্ধান্ত কি?

আফরান নূরের দিকে তাকিয়ে আছে। নূর ভ্রু নাচিয়ে জবাবের প্রত্যাশায় আছে। কিন্তু আফরান তাকে জবাব না দিয়ে সোজা চলে গেল পুষ্পর কাছে। নূর হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আফরান অনেক পথ এগিয়ে গেল। নূর দৌড়ে গেল তাকে থামাতে

.
.
.

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here