#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
14.
জরিনা বানু চিৎকার দিয়ে উঠে,
” হায় আল্লাহ, আমি তো আগেই কইছি এইটা খুবি রিস্কি কাজ। কেউ আমার কথা শুইনলো না। এখন তো ঠিকি লুঙ্গি খুলি পড়ি গেছে। আইজকা বিয়ার দিনও চাচার লুঙ্গি না খুইলে পারল না।😐
লুঙ্গি খুলে গেছে, চাচা টের পেয়ে চিল্লিয়ে তার ভাতিজাকে ডাকে।
” ওই ভাতিজা, আমার লুঙ্গি নিচ থেকে উঠাইয়া দুইটা গিট্টু মেরে দে, তাড়াতাড়ি।
ইমরানও চাচার কথা শুনে নিচ থেকে লুঙ্গি উঠিয়ে চাচার কোমড়ে দুইটা গিট্টু দিয়ে বেঁধে দেয়।
” তোমার লুঙ্গি কবে যে আমি টাইনা ছিঁড়ে ফেলবো, আল্লাহ জানে।
চাচা জবাব না দিয়ে তার বউকে বাসার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নামিয়ে দেয়। চাচা হাফিয়ে গেছে। বউয়ের ওজন বেশি মনে হচ্ছে। চাচা সোফায় গিয়ে আরাম করে বসে নিশ্বাস নিলো।
” ওই জরিনা বানু এক গ্লাস ঠান্ডা জুস বানিয়ে আন।
” পারমু না আমি।
” পারবি না ক্যা?
” আপনে লুঙ্গি পড়া বাদ দেন, তারপর জুসের কথা কইয়েন।
” এরে তুই আমার লুঙ্গি নিয়া কথা কস,তোর চাকরি আমি নট করি দিয়ুম রে।
” চাকরি নট হলে নট।
জরিনা বানু চলে যায়।
” বড়ই বেয়াদব ছেরি। যা তোগোরে আর লাগবো না। এখন আমার বউয়েই সব করবে।
!¡!
সিনহা নিজের রুমে এসে দেখে ইমরান বিছানায় শুয়ে আছে।
” ওই তুই আমার রুমে কেনো?
” আমার রুম দখল হয়ে গেছে,তাই।
” আচ্ছা তুই এখন বাইরে যা, আমি চেঞ্জ করবো।
” তো চেঞ্জ কর, আমি কি তোকে ধরে রাখছি?
” আজব, আমি কি তোর সামনে চেঞ্জ করবো নাকি?।
” কর,আমার কোনো সমস্যা নাই।
সিনহা কথাটা শুনে তেড়ে আসে। বালিশ নিয়ে ইমরানকে মারতে থাকে।
” লুচ্চা একটা। আমার চেঞ্জ করা দেখবে৷ লজ্জা শরম কিচ্ছু নাই।
ইমরান হাত ধরে সিনহাকে টান দিয়ে নিজের বুকের উপর নিয়ে আসে। সিনহার বুক ইমরানের বুকের সাথে বারি খায়। সিনহা শান্ত হয়ে যায়।
” এই তোর বড়ো না আমি। কথায় কথায় মারতে আসিস আমাকে।
” একশ একবার মারবো। এমন কথা বলবি কেনো?
” আমার মুখ, আমি বলবো।
” আমারও হাত, আমি মারবো।
” তুই আমার গায়ের উপর,কোনো ফিলিংস হচ্ছে না তোর?
” ক কী কীসের ফিলিংস হবে?
ইমরানের কথায় সিনহা থতমত খেয়ে উঠে যায়।ইমরান সিনহার কান্ড দেখে হেসে দেয়। তারপর বিছাবা থেকে উঠে সিনহার মাথায় হাত দিয়ে বারি মেরে হেসে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
” এর মতিগতি কিছুই বুঝতেছি না আমি।
!¡!
মারিয়াকে আরেক প্লেট খাবার নিতে দেখে সিনহা জিজ্ঞেস করে বসে,
” মাত্রই না দেখলাম এক প্লেট খাবার সাবাড় করলি। আবার খাবি?
” আরে না। এটা ইমরান ভাইয়ার জন্য।
” ইমরান ভাইয়ার জন্য তুই কেনো খাবার নিবি?(রাগ দেখিয়ে)
” উনাত তো হাত কাটা। খেতে পারবে না। তাই আমিই খাবার নিচ্ছি, খাইয়ে দিবো।
” এক থাপ্পড় দিয়ে তোর খাওয়ানো আমি বের করে দিবো। বাচ্চা মেয়ে যা পড়তে বস। খাওয়ানোর কি লোকের অভাব পড়ছে, যে তোকে খাওয়াতে হবে।
” আপু আজকে বিয়ের রাতে আমি পড়বো?
” না পড়লে গিয়ে নাচ। প্লেট এইদিকে দে।
সিনহা টান দিয়ে মারিয়ার হাত থেকে প্লেট নিয়ে নেয়।
” আপু তুই সবসময় আমার সাথে এমন করিস কেনো?
” বেশি পেকে গেছিস তো, তাই এমন করি।
!¡!
রাতের খাবারটাও সিনহা, ইমরানকে খাইয়ে দেয়।
” টাওয়াল দে,মুখ মুছতে হবে।
সিনহা, টাওয়াল না এনে নিজের ওড়না দিয়েই ইমরানের মুখ মুছে দেয়
” আ হাউ কিউট..।
” ঢঙ।
” সিনহা আমি ছাদে গেলাম৷ আসিস।
!¡!
কিছুক্ষণ পর সিনহা ছাদে এসে দেখে ইমরান দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সিনহা গিয়ে পাশে দাঁড়াতেই।ইমরান ঘুরে সিনহার দুই পাশে দুই হাত দিয়ে সিনহাকে নিজের দুই হাতের ভিতর বন্দী করে।
” সিনহা তোর ঠোঁটের স্বাদ নিতে ইচ্ছে করতেছে, নিবো?
ইমরানের কথা শুনে সিনহা লজ্জা পায়। মাথা নিচু করে জবাব দেয়।
” কেনো নিবি? আমি কে হই তোর?
” তুই আমার কিস পার্টনার।
” মানে.?
” মানে পরে বুঝিস। আগে কিস করি?
” না, একদম না।
” আচ্ছা।
ইমরান, সিনহাকে ছেঁড়ে দেয়। সে চলে যেতে নিলে, সিনহা হাত ধরে এক টানে নিজের কাছে নিয়ে আসে। সিনহা পা উঁচু করে মুহুর্তের মধ্যেই নিজের ঠোঁট যুগলের সাথে ইমরানের ঠোঁটযুগল মিলিয়ে দিয়ে উষ্ণ চুম্বনে মেতে উঠে।
ইমরান এক হাত দিয়ে সিনহার কোমড় চেপে ধরে। সিনহা শিউরে উঠে। ইমরান সিনহাকে টান দিয়ে নিজের আরো কাছে নিয়ে আসে। সিনহা সরে আসতে চাইলে, আর পারে না। এখন যে ইমরানের রাজত্ব চলবে।
চলবে…
~ ইমতিহান ইমরান।