Romantic_Devil পাঠ-১৫

#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
15.

ইমরান এক হাত দিয়ে সিনহার কোমড় চেপে ধরে। সিনহা শিউরে উঠে। ইমরান সিনহাকে টান দিয়ে নিজের আরো কাছে নিয়ে আসে। সিনহা সরে আসতে চাইলে, আর পারে না। এখন যে ইমরানের রাজত্ব চলবে।

ইমরান কিছুক্ষণ সিনহার নরম ঠোঁটের স্বাদ নিয়ে, সিনহার ঠোঁট থেকে সরে আসে। দুজনে বড়বড় নিশ্বাস নিচ্ছে। সিনহা লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। সে কীভাবে পারলো, ডেভিল টাকে কিস করতে? এখন তো খুব লজ্জা লাগছে তার। ডেভিলটার দিকে তাকানোর সাহস পাচ্ছে না।

” সিনহা এভাবে কতোক্ষন নিচের দিকে তাকিয়ে থাকবি? ঘাড় তো বাঁকা হয়ে যাবে।(হেসে)

সিনহা কিছু না বলে পাশ কেটে দৌড়ে পালায়।

” আরে এই মেয়ে দৌড়াচ্ছিস কেনো?

!¡!

চাচার বিয়ের ঝামেলা শেষে সবাই ঢাকায় ফিরে আসে। যে যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়।

একদিন সিনহার কলেজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ছুটি হয়ে যায়। তাই সিনহা ভাবলো, সে ইমরানের ভার্সিটিতে গিয়ে ইমরানকে চমকে দিবে। যেই ভাবা সেই কাজ, সিনহা ইমরানের ভার্সিটিতে চলে যায়।

ভার্সিটির গেইট দিয়ে ভয়ে ভয়ে সে ভিতরে প্রবেশ করে। অচেনা জায়গা, কখনো ভার্সিটির ভিতরে প্রবেশ করা হয়নি। সিনহা ভিতরে প্রবেশ করে আশেপাশে তাকায়৷কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না। সিনহা ঠিক করলো কাউকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিবে। সিনহা সামনে এগুতেই দুইটা ছেলে সিনহাকে দেখে সিনহার চারিদিকে ঘুরে ঘুরে সিনহাকে দেখে।

” কখনো তো এই ভার্সিটিতে দেখি নাই। নতুন নাকি?

” আমি এই ভার্সিটির স্টুডেন্ট না।

সিনহার জবাব শুনে,ছেলে দুইটা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসে।একটা ছেলে হঠাৎ সিনহার হাত চেপে ধরে।

” চলো আমাদের সাথে।

” আরে আমার হাত ধরেছেন কেনো?ছাড়েন আমার হাত।

” ইমরান মেয়েটাকে সিনহার মতো দেখতে লাগছে না.?

” হ্যাঁ, সিনহাই তো৷ ছেলেদুইটা ওর হাত ধরে টানাটানি করছে কেনো?

ইমরান এক দৌড়ে সামনে চলে যায়। কিছু না বলে ছেলেটার হাত থেকে সিনহার হাত এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নেয়।

” তোদেরকে আমি পরে দেখে নিচ্ছি।

ইমরান, সিনহার হাত ধরে সিনহাকে ক্যান্টিনে নিয়ে যায়। আয়ান ছেলে দুইটাকে বুঝিয়ে ওরা কার হাত ধরে টানাটানি করেছে।

” এখানে কেনো এলি?কী করছিস তুই এখানে?

” আমার ক্লাস ছিল না…

” তো ক্লাস ছিল না,কলেজে অপেক্ষা করতে পারতি। এখানে আসতে গেলি কেনো?

” আমার ইচ্ছা হয়েছে, আমি এসছি। এতো বকছিস কেনো আমাকে? আর তোর ভার্সিটির পোলাপাইন এতো বেয়াদব কেনো? একটা মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করে।

” সুন্দরী কোনো মেয়েকে একা পেলে একটু দুষ্টামি সবাই করতে চায়।

” তুইও এরকম করিস?🙄

” এক থাপ্পড় দিবো, আমাকে নিয়ে এমন চিন্তা করলে। কী খাবি বল?

” সিঙারা, চমোচা।

” তোর পেটে ভালো কিছু হজম হয় না সিনহা। ভালো কিছু না খাওয়ার কথা বলে, সে ভাজা পোড়াই খাবি তুই।

” এতো বেশি কথা বলিস কেনো? সিঙারা, চমোচা আনতে বল।

” ওই মামা, সিঙারা, চমোচা দিয়েন তো।

সিনহা দুই প্লেট সিঙ্গারা, চমোচা খেয়ে বড় ঢেকুর তোলে।

” আহা, অনেক মজা তো। ভাইয়া তুই প্রতিদিন আমার জন্য এখান থেকে সিঙ্গারা, চমোচা নিয়ে যাস।

” এ্যাঁ এগুলা আমি নিবো, তোর জন্য? ইম্পসিবল।

” আমি যা খেতে চাই, যা আনতে বলি। তুই তাইই আনবি, এতো কিছু শুনতে চাই না।
এখন চল।

সিনহা, ইমরানের হাত ধরে হাটতে থাকে।

” আরে হাত ছেড়ে হাট।

” চুপ থাক। আমার ইচ্ছা আমি হাত ধরব।

“😐

!¡!

অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। কিন্তু এখনো ইমরান যে সিনহাকে ভালোবাসে তা মুখ দিয়ে স্বীকার করেনি।সিনহাও ইমরানের কর্মকান্ডে বুঝে নেয় ইমরানও হয়তো তাকে ভালোবাসে।

সিনহার এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হলে সিনহা গ্রামে যায় বেড়ানোর জন্য।

একদিন জাহানারা চৌধুরীর ফোনে সিনহার বাবা রফিক সাহেবের ফোন আসে।

” আপা সিনহার বিয়ে.।

” সিনহার বিয়ে মানে? কী আবলতাবল বকছিস?

” আবলতাবল না। সত্যি সিনহার বিয়ে। পরশু শুক্রবারে।

” মানে কী এসবের? পরশু বিয়ে। অথচ আমরা কিছু জানি না। কার সাথে বিয়ে?,

” এই গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলের সাথে। তোমরা পারলে আজকেই চলে আসো।আমি রাখছি।

ইমরান সিড়ি দিয়ে নিচে নামতেই শুনতে পায় তার আম্মাজান কারো বিয়ে নিয়ে কথা বলছে।

” কার বিয়া আম্মাজান?

” সিনহার বিয়া।

” মশকরা করছো?(মজা হিসেবে নেয়)

” মশকরা না সত্যি।

” মানে?

জাহানারা চৌধুরী, রফিকে সাহেবের সাথে কী কথা হয়েছে সব বলল। কথাগুলো শুনে ইমরান রেগে যায়।

” মানে কি আম্মাজান। সিনহার এখন বিয়ে দেওয়ার কী দরকার? ও ঢাকায় এসে ভর্তি হয়েছে পপড়াশোনার জন্য। আর এখন গ্রামে গিয়ে বিয়ে করছে।তুমি কিছু বললে না কেনো?

” আমি কী বলবো? আমার কথা শুনবে নাকি?

” তো যাবে কখন?

” যাবো না৷ পরশু বিয়া আমাকে আজকে জানাচ্ছে। বিয়াতে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।

জাহানারা চৌধুরী উপরে নিজের রুমে চলে যায়।
ইমরানের রাগে মাথায় আগুন জ্বলছে। এই মেয়ে নাকি তাকে ভালোবাসে? এই তার ভালোবাসার নমুনা। গোপনে বিয়ে করে নিচ্ছে। একবার ফোন করে বললেও না কেনো বিয়ে করছো? কী দরকার এখন বিয়ে করার?

ইমরান সোফায় বসে পড়ে।

” বিয়ে করা আমি বার করবো এই মেয়ের। সিনহা এই জন্য তোকে অনেক পস্তাতে হবে। ছাড়বো না আমি তোকে। বিয়ে করার মজা তোকে খুব করে বুঝাবো আমি। (রেগে)

” ভাতিজা চল।

চাচা এসে ইমরানের সামনে দাঁড়িয়ে কথাটা বলল।

” মানে, কোথায়? আর তোমার হাতে এইসব কী?

” লুঙ্গি। এইখানে পাঁচটা লুঙ্গি আছে। ওই বাচ্চা মীর কাশেমের গলায়, পায়ে, হাতে যদি এই লুঙ্গি গুলা পেঁচাই ওরে না মাইচ্ছি, তো আমি আর জীবনে লুঙ্গি পইত্তাম নো।

জরিনা বানুও নিচে ছিল চাচার লুঙ্গি পেঁচানো দেখে সে, কথা না বলে টিকতে পারল না।

” হায় আল্লাহ, চাচা ভুইলেও আন্নে এই লুঙ্গি নিয়া ওইখানে যাইয়েন না। লুঙ্গি ছিঁড়ি বিরি, খুলি পরে বিরাট কেলেংকারী হই যাইবো।

চলবে…

~ ইমতিহান ইমরান।

যারা এখনো পেজে লাইক বা ফলো করেন নাই, তারা করে ফেলুন WRiter im Ran 🌼

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here