Romantic devil পাঠ-১

#Romantic_Devil🌼

” ভাইয়া আমাকে বিয়ে করবি.?

সিনহার অদ্ভুত প্রশ্ন শুনে ইমরান ফ্যালফ্যাল চোখে সিনহার দিকে তাকিয়ে থাকে।

” এভাবে তাকিয়ে না থেকে বল না আমাকে বিয়ে করবি তুই.? তোকে না আমার খুব ভালো লাগে। খুব হ্যান্ডসাম তুই।🥳

” তোর বয়স কতো রে সিনহা.?

” আমার বয়স দিয়ে কী করবি? ওই শোন বয়স জেনে কাজ নেই,আমার কিন্তু বিয়ের বয়স হয়েছে।

” বিয়ের বয়স হয়েছে? তা বয়স কতো তোর?বল আমাকে।

” এতো বয়স বয়স করছিস কেনো,সেটা বল। তুই বিয়ে না করতে চাইলে বলে দে,আমি অন্য কাউকে খুঁজে নিবো।

” কী বললি তুই?

ইমরান হুঠ কিরে বাইকের ব্রেক কষে। সিনহা ভয় পেয়ে দুই হাত দিয়ে ইমরানকে জড়িয়ে ধরে,যেনো পড়ে না যায়।

ইমরান নিজের বুক থেকে সিনহার হাত সরিয়ে বাইক থেকে নেমে দাঁড়ায়।

” কী হয়েছে এভাবে হুঠ কিরে বাইক থামালি কেনো? ভয় পেয়েছি না আমি।

” বাইক থেকে নাম তুই। তোরে আমি কলেজে নিয়ে যাবো না। তুই একা একা কলেজে চলে যা।

” আমি নামবো না। আমি একা একা কেনো যাবো? আমি তোর সাথে,তোর বাইকে করে যাবো। আর তুই এভাবে আমার সাথে রেগে কথা বলছিস কেনো?

” আমার সাথে যেতে হবে না তোকে। তুই না কাকে খুঁজবি? যা তাকে খুঁজে তার সাথে যা।

” এখন আমি তাকে কোথায় খুঁজবো? আস্তে ধীরে খুঁজবো নে।

এমন কথা শুনে ইমরান রেগে সিনহাকে টেনে হিচড়ে বাইক থেকে নামিয়ে দেয়।

” নাম আমার বাইক থেকে।

” আরে ভাইয়া এমন করছিস কেনো?

ইমরান জবাব না দিয়ে বাইকে উঠে বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে যায়।

” আমাকে এখানে একা ফেলে চলে যাচ্ছিস?আমি ফুফুকে তোর নামে বিচার দিবো, দেখিস।

যাবোই না আমি আজকে কলেজে। আমাকে ফেলে চলে যায়। রাগ দেখায় আমার উপর। বললেই তো হয় আমাকে বিয়ে করবি,তাহলে তো আর আমি কিছু বলি না।শালা খচ্চর।

সিনহা রাস্তার পাশে ধপ করে বসে পড়ে। আকাশে মেঘ করেছে।যেকোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে। রাস্তা দিয়ে মানুষজন দ্রুত চলাচল করছে,নিরাপদ স্থানে যেতে হবে তো,নাহলে বৃষ্টিতে ভিজতে হবে। কিন্তু সিনহার এমন কোনো তাড়া নেই। বৃষ্টি এলে ভালোই হবে। সে বৃষ্টিতে ভিজতে পারবে। বৃষ্টিতে ভিজতে তার অনেক ভালো লাগে।

মুহূর্তের মধ্যেই আকাশের বুক ছিদ্র হয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমে আসে।পিচ ঢালার রাস্তায় যারা ছিল,তারা বৃষ্টির ধারা থেকে রক্ষা পেতে এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেওয়ার জন্য।

ব্যাতিক্রম শুধু সিনহা,সে উলটো নিয়মের বেড়াজালের বাইরে এসে পিচ ঢালার রাস্তায় নেমে বৃষ্টির ধারায় নিজেকে ভিজিয়ে নিচ্ছে। দুই হাত প্রসারিত করে প্রসস্থ খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে সে। বৃষ্টির পানি এসে তার মুখে আছড়ে পড়ে। মুহুর্ত টা খুব ভালোই উপভোগ করছে সে।

|

ইমরান নিজের ভার্সিটির গেইটের পাশে আসতেই বৃষ্টি শুরু হয়। সে গেইট দিয়ে আর ভিতরে প্রবেশ করে না।কারন সে পাগলী মেয়েটাকে রাস্তায় ফেলে রেখে এসেছে। এখন নিশ্চয় সে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকবে। কোনো আক্কেল জ্ঞান নেই মেয়েটার। যেকোনো সময় কোনো এক অঘটন ঘটতে পারে, সে জ্ঞান টুকুও তার মাথায় নেই।

|

কয়েকটা বখাটে ছেলে রাস্তায় এই বৃষ্টির মধ্যে একটা মেয়েকে এভাবে ভিজতে দেখে একে অপরের দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দেয়।

” মামা পাইছি রে…

” হ মামা, দেখে তো ঝাক্কাস’ই মনে হইতেছে।

” সময় নষ্ট না করে, চল গিয়ে ধরি।

” চল।

ছেলেগুলো দৌড়ে এসে সিনহার সামনে দাঁড়ায়। এভাবে হুঠ করে কয়েকটা ছেলে সিনহার সামনে আসায়,সিনহা ভড়কে যায়। ছেলেগুলোর হাসি দেখে সিনহা ভয় পেতে শুরু করে। সে ভয়ে কয়েক পা পিছিয়ে যায়। ছেলেগুলো হেসে সিনহার দিকে কয়েক পা এগিয়ে যায়।

সিনহা পিছনে ঘুরে চলে যেতে চাইলে ছেলেগুলো দৌড়ে এসে সিনহার সামনে দাঁড়ায়। সিনহা এবার ভয়ে ভয়ে মুখ খুলে,

” আমার পথ আটকে দাঁড়ালেন কেনো? কী চান আপনারা?

” বুঝো না,একটা মেয়ের কাছে এই ছেলেগুলো কী চাইতে পারে.?(হেসে)

” মানে.?

” মানে আড়ালে চল, তারপর বুঝাবো…

এই কথা বলে একটা ছেলে সিনহার হাত চেপে ধরে।

” ছাড়ুন আমার হাত।

” হাত ছেড়ে দিবো,তবে কাজ শেষ হওয়ার পর।(শয়তানী হাসি)

বাকী ছেলেগুলো সিনহাকে চারিদিক থেকে ঘুরে রাখে।সিনহা ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে।সিনহার মুখ দিয়ে যাতে চিৎকার না বের হয়,তার জন্য একটা ছেলে এসে সিনহার মুখ চেপে ধরে।

চলবে…

#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
01.

আপনাদের সাড়া পেলে কন্টিনিউ করবো❤️৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here