Romantic_Devil পাঠ-১৮

#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
18.

” হাত ছাড় সিনহা।

” না ছাড়বো না আমি।

” হাত ছাড়।

ইমরান রেগে ঝাড়া মেরে সিনহার থেকে নিজের হাত ছুটিয়ে বের হয় যায়। সিনহা কান্না করে দেয়। চোখ দিয়ে জলের ধারা বইতে থাকে।

!¡!

” সিনহা মন খারাপ মনে হচ্ছে? কান্না করেছো?

” না ভাবী,কান্না কেনো করবো?

” ভাবীর কাছে লুকাতে হবে না। ইমরান কিছু বলেছে?

” না ভাবী ওর সাথে কিছু হয়নি।

” আচ্ছা সিনহা, এটা বলো। আমি তো জানতাম তুমি ইমরানকে পছন্দ করো। ইমরানের কর্মকান্ডে দেখে বুঝেছি ইমরানও তোমাকে পছন্দ করে। কিন্তু তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজি হলে কেনো?

” যার সাথে আমার বিয়ে হতে যাচ্ছিল। ও অনেক আগে থেকেই আমাকে টিজ করতো। আমাকে পছন্দ করতো। ও আমার বোন মারিয়াকে কিডন্যাপ করে আমাদের হুমকি দেয়, আমি যদি ওকে বিয়ে করতে রাজি না হই। তাহলে ও তার বন্ধুদের দিয়ে আমার বোনকে ধর্ষন করে মেরে ফেলবে। এইজন্যই আমাকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও ওই শয়তানকে বিয়ে করতে রাজি হতে হয়েছে।

” তাই বলো? আমিও কোনো সমস্যার আঁচ করতে পেরেছিলাম। নাহলে এভাবে হুঠ করে তো বিয়ে হওয়ার কথা না।

” দেখেছেন ভাবী? আপনি কতো সুন্দর ভাবে আমাকে বুঝছেন। আমি কেনো বিয়ে করতে রাজি হয়েছি, তা জিজ্ঞেস করে জেনেছেন। কিন্তু ও আমাকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই ভুল বুঝছে। আমার সাথে ঠিকমতো কথাও বলছে না। সবসময় রাগ দেখায় আমার সাথে।(মন খারাপ করে)

” সিনহা, ইমরানকে আমার থেকেও বেশি জানো, বেশি বুঝো তুমি। ও যে রাগ করে আছে, বুঝতে পারছো না। রাগ ভাঙাও। আর বলে দেও কেনো তুমি বিয়ে করতে রাজি হয়ে ছিলে।

” ও তো আমার সাথে কথাই বলতে চাই না।

” জোর করবে।

” মারবে আমাকে।

” মার খেলে যদি ভালো কিছু হয়। তাহলে মার খাওয়াটাই ভালো।

” আচ্ছা ভাবী, ও আসলেই আমি বলে দিবো।
থ্যাঙ্কিউ ভাবী।

সিনহা,ঈশিতা ভাবীকে জড়িয়ে ধরে। উনি হেসে বলে,

” পাগলী মেয়ে।

!¡!

দুপুরের দিকে ইমরান বাসায় আসে। রুমে এসে ফ্যানের বাতাসের নিচে বসে।

সিনহা পানি নিয়ে এসে ইমরানের দিকে গ্লাস বাড়িয়ে দেয়। সিনহার হাতে পানির গ্লাস দেখে,

” আমি তোকে পানি আনতে বলেছি.?

” না মানে তোকে দেখে অনেক ক্লান্ত মনে হয়েছে। তাই নিয়ে এলাম।

” আমাকে দেখে শুধু ক্লান্ত মনে হয়৷ আর কিছু মনে হয় না.?

” এতো কথা না বলে পানি খা।

” রেখে দে, পরে খাবো।

সিনহা পানির গ্লাসটা টেবিলের উপর রেখে দেয়। পানি রেখে সে ইমরানের পাশে বসে।

ইমরান দাঁড়িয়ে যায়। জামাকাপড় নিয়ে সে ফ্রেশ হতে যায়। ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে সিনহা এখনো একইভাবে একজায়গায় বসে আছে।

ইমরান কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। দুপুরের খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষে সবাই, নিজেদের রুমে চলে যায়।

ইমরান ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে ছিল। সিনহা এসে সামনে দাঁড়ায়।

” ভাইয়া রুমে যাবি না.?

” আমি রুমে গেলে তো তোর এখন ঘুমাতে সমস্যা হবে।

” সমস্যা হবে না। কালকে রাতের জন্য সরি আমি।
এখন রুমে চল।

” রুমে গেলে কী হবে?

” তোর সাথে কথা আছে আমার।

ইমরান কিছু না বলে সোফা ছেড়ে উঠে রুমের দিকে হাটা ধরে।

!¡!

” ভাইয়া জানতে চাইবি না কেনো বিয়ে করতে রাজি হয়েছি আমি?

” না প্রয়োজন মনে করি না।

” কিন্তু আমি বলতে চাই তোকে।

” শুনতে চাই না আমি।

” শুনতে হবে তোকে। তোর এমন ব্যবহারে আমি খুব কষ্ট পাই। কান্না পায় আমার।

” আমার কিছু যায় আসে না।

ইমরান রুম থেকে বের হতে গেলে সিনহা সামনে এসে দাঁড়ায়।

” কথা না শুনে কোথায় যাচ্ছিস তুই?

” কাজ আছে। সর সামনে থেকে।

” এই দুপুরে কাজ? বুঝি না আমি?

” সামনে থেকে সর তুই।

” না সরবো না। আমার কথা শুনতে হবে আগে।

” সিনবা ভালোই ভালোই সামনে থেকে সরে দাঁড়া।

” বলছি না সরবো না।

” ঠাস…

ইমরাম সিনহার গালে চড় বসিয়ে দেয়। সিনহা গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

” মারলেও আমি সরবো না। আমার কথা শুনতেই হবে। শুনতে চাচ্ছিস না কেনো,তুই? যে সিনহা লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে সবসময় তোকে বিয়ে করতে বলতো। ভালোবাসার কথা বলতো তোকে। সে সিনহা কেনো অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে।সেটা তোর শোনা উচিত।

ইমরান কিছু না বলে পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে সিনহাও এবার রেগে যায়। সে ইমরানের টিশার্টের কলার ধরে চেপে ধরে।

” সমস্যা কী তোর? তোর এমন ব্যবহারে কষ্ট পাই আমি, দেখতে পাচ্ছিস না। ভালোবাসি তোকে আমি।

” সিনহা কলার ছেড়ে কথা বল।

” না ছাড়বো না, কী করবি তুই? মারবি। মার, মার আমাকে।

ইমরান হুঠ করেই সিনহার চুলে হাত ডুবিয়ে সিনহার মুখ নিজের মুখের কাছে এনে,সিনহার নরম ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে চুম্বনে আবদ্ধ হয়।

চলবে..

~ ইমতিহান ইমরান

পেইজ থেকে ইনভাইট পাঠাইলে এক্সেপ্ট করুন।🌼❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here