#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
20.
চাচার নাচানাচির অত্যাচার, লুঙ্গি সামলাতে না পেরে খুলে নিচে পড়ে যায়। তাতে চাচার কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই। তিনি সোহাগী বেগমরে কোলে নিয়ে লাফালাফি শুরু করে দেয়।
তা দেখে সবার চোখ বড়বড় হয়ে যায়। জাফর মিয়া তো বলেই বসে,
” চাচা কামডা করলো কী?😐
!¡
” সিনহা চলো আমরা যাই। আজকে আর বৃষ্টিতে ভিজতে হবে না। এই চাচার লজ্জা শরম কোনো কালে ছিল না, থাকবেও না।
” নিচে গিয়ে ভিজি আমরা,প্লিজ?🥺
” তারপরও বৃষ্টিতে ভিজবে.?
” হুম।
” আচ্ছা চলো।
” থ্যাঙ্কিউ। (হেসে)
!¡!
ইমরান, সিনহাকে নিয়ে সদর দরজা দিয়ে বাইরে বের হয়ে, বাগানের পাশে চলে যায়। বাগানে এসেই সিনহা লাফালাফি শুরু করে দেয়। সে বৃষ্টিতে ভেজার সময়টা দারুন উপভোগ করছে। ইমরান পাশে দাঁড়িয়ে, সিনহার বাচ্চাসুলভ স্বভাব দেখে হেসে দিচ্ছে।
সিনহা থেমে এবার তার ডেভিলের দিকে তাকায়।
” ওই ডেভিল, এভাবে খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে না থেকে মজা করুন।
সিনহা আবারও লাফালাফি শুরু করে দেয়। ইমরান এবার সিনহার দিকে এগিয়ে যায়। সে একদম সিনহার কাছে চলে যায়। সে হুঠ করে সিনহার হাত ধরে বলে,
” চলো ডান্স হয়ে যাক।
” এ্যাঁ, আপনি নাচবেন.?
” শুধু আমি না দুজনেই নাচবো। উফ বৃষ্টিতে ভিজে বউয়ের সাথে নাচানাচি। দারুন মুহুর্ত হবে। কয়জন এমন মুহুর্তের সাক্ষী হতে পারে.।
” কিন্তু এখন আপনি গান পাবেন কোথায়?
” ওয়েট, আমি মোবাইল নিয়ে আসছি।
” আরে…
ইমরান এক দৌড়ে ভিতরে চলে যায় মোবাইল আনার জন্য। দুই মিনিটের ভিতর ফিরেও আসে।
” এই নে মোবাইল নিয়ে এলাম, মোবাইল ঘুরার জন্য পলিথিনও নিয়ে আসলাম।
ইমরান টিপ টিপ বারসা গানটা ছেড়ে দেয়। দুজনেই গানে নাচতে শুরু করে।
Tip Tip Barsa Paani.
Tip Tip Barsa Paani
Paanii Aaglagai
Aaglagi Dil Main Toh
Dil Ko Teri Yaad Aahi
Teri Yaad Aayi Toh
Jal Uthe Mera Bheega Badan
Ab Tumhi Batao Sajan
Mai kiya karoon…
গান শেষে দুজনে হাঁপিয়ে যায়। দুজনে নিচে বসে পড়ে৷ দুজনে দুজনের পাগলামী দেখে হেসে উঠে।
ইমরান হঠাৎ করে সিনহার কোলের উপর শুয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি ইমরানের মুখে আছড়ে পড়ছে। ইমরান চোখ মেলে রাখতে পারছে না। সিনহা, ইমরানের দিকে ঝুকে পড়ে। যাতে বৃষ্টির পানি, ইমরানের মুখের উপর আছড়ে না পড়ে। সেটাই হলো, বৃষ্টির পানি ইমরানের মুখের নাগাল আর খুঁজে পেলো না।
ইমরান, সিনহার দিকে তাকিয়ে আছে। তার দৃষ্টিতে প্রিয়তমার প্রতি ভালোবাসার আকাঙ্খা প্রকাশ পাচ্ছে। সিনহাও তার প্রিয়তমের দিকে একই দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।
সিনহা আস্তে আস্তে ঝুঁকে নিজের নরম শীতল ঠোঁট যুগল তার ডেভিলের ঠোঁট যুগলের সাথে মিলিয়ে দেয়। দুজনেই ঠোঁটের ভালোবাসায় দুজনকে পাগল করে দিচ্ছে।
সিনহা, ইমরানের ঠোঁট থেকে সরে আসে। সে মুচকি হেসে অন্যদিকে তাকায়। এবার ইমরান, সিনহার কোল থেকে উঠে বসে। সিনহার মুখমণ্ডল নিজের দিকে ফিরায়। সিনহা জিজ্ঞাসা সূচক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।
” আমার এখন আরো ভালোবাসা চাই।
এই কথা বলে ইমরান, সিনহার চুলে নিজের হাত ডুবিয়ে সিনহার ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে ভালোবাসা আদান-প্রদান করতে থাকে।
¡!¡
সেদিন আয়ান বাসায় আসে। সবাইকে তার বিয়ের নিমন্ত্রণ দিতে।
” আরেহ শালা, তোর বিয়ে অথচ আমি জানি না।
” সবকিছু হুঠ করেই হয়ে গেছে। আম্মা-আব্বার নাকি তাদের একমাত্র ছেলের বউ দেখা অনেকদিনের শখ। তাই আমাকে না জানিয়েই সব ঠিক করে। আমাকে মেয়ে দেখিয়ে বিয়ের ডেট ফাইনাল করে।
” আচ্ছা আচ্ছা।
” কেউ না আসতে চাইলেও সবাইকে কিন্তু জোর করেই নিয়ে আসিস, বলে দিলাম।
” নিয়ে আসবো।
!¡!
সিনহা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে চুল ঠিক করছিল। ইমরান এসে পিছন থেকে সিনহাকে জড়িয়ে ধরে সিনহার গালে চুমু খায়।
” তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
” আগে লাগতো না বুঝি?
ইমরানের দুষ্টামির ছলে বলে,
” আগে তো তেমন সুন্দরী ছিলে না। এখন জামাইয়ের আদর সোহাগ পেয়ে সুন্দরী হয়ে গেছো।
” এ্যাঁ, ঢঙের কথা তো ভালোই বলতে পারেন।
” আমি সব পারি। রোমান্স টা একটু বেশিই করতে পারি।
” তুমি যে লুচু,সেটা আমিও জানি।
ইমরান মিমের গালে চুমু খেয়ে বলে,
” বউয়ের সাথে করলে লুচু হয় না।(হেসে)
সিনহা ড্রেসিং টেবিলের সামনে থেকে উঠে, ঘুরে ইমরানকে জড়িয়ে ধরে।
” আমার না কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে?
” হানিমুন করা শখ বুঝি.?(দুষ্টামি করে)
” ধ্যাত, বেশি বুঝে। (লজ্জা পেয়ে)
” আচ্ছা আচ্ছা। আয়ানের বিয়েটা শেষ হোক। তারপর আমরা দূরে কোথাও ঘুরতে যাবো।
” থ্যাঙ্কিউ, থ্যাঙ্কিউ জামাই।(খুশি হয়ে)
” এবার আমাকে খুশি করো।
” কীভাবে?
” তোমার মিষ্টি ঠোঁট জোড়া দিয়ে।
” যাহ! সবসময় এইসব। আমার লজ্জা লাগে না বুঝি?
” লজ্জা লাগলে কি আর করার? আমার খুশি না হয়েই থাকতে হবে।
” আমি তা হতে দিবো না।
” তো তুমি কী করবে.?
সিনহা হেসে পা উঁচু করে ইমরানের ঠোঁটে চুমু খায়।
!!
” চাচা বৃষ্টি হইলে হুঠ করেই ছাদে চলি যাইয়েন না। আমনে এই বুড়া বয়সে, বউরে নিয়া নাচানাচি করেন আমগো শরম করে। আমনের জন্য আমরা যে একটু ভিজমুব,তা করতে পারি না।
” এরো মীর জাফর চোপাড় দিয়া তোর দাঁত সবডি ভাঙি ফালাইয়ুম উল্টাপাল্টা কথা কইলে। যা কথা না কইয়া আমার জন্য এক গ্লাস শরবত বানাই নিয়া আয়।
জাফর মিয়া শরবত আনতে চলে যায়। ইমরান এসে চাচার পাশে সোফায় বসে। জরিনা বানু চা নিয়া আসে ইমরানের জন্য।
” চাচা, আমনে আর চাচী কি নাচটাই না দেখাইলেন; পুরাই কাঁপাই দিছেন। কিন্তু লুঙ্গি খুলি যানের পরে আন্নে নিজেরে সামাল দেন উচিত আছিল। এক্কেরে বিচ্ছিরি দেখা গেছিল। চাচা এবার কিন্তু আন্নেরে লুঙ্গি খোলা বাদ দিতেই হইবো। বারবার যদি চাচির সামনে লুঙ্গি খুলি যায়, পরে তো কেলেংকারী হই যাইবো।
” জরিনারে জরিনা, তুই এতো চিন্তা করিস না। কোনো কেলেংকারী হইতো নো। কয়দিন পর দেখবি তোর চাচিও লুঙ্গি পড়া শুরু করছে।
চাচার কথা শুনে জরিনা বানু ভিষম খায়।
” তবা তবা, ওমা চাচা আন্নে এগিন কি গজবের কথা কন? চাচি লুঙ্গি পইড়বো কিল্লাই?
দেখছিন নি ভাইজান, চাচা এগিন কী কয়? চাচা কি হাগল হই গেছে নি.?
চলবে…
ইমতিহান ইমরান