#Romantic_Devil🌼
#Imtihan_Imran
05.
” শালা বউ বানাতে বললে পারবে না। পাত্তা দেয় না,রিজেক্ট করে দেয়। আর কাজ করতে গেলে সেই সিনহাকেই লাগবে। সিনহার হাতে খাবে, সিনহাকে নিয়ে নিজের চুলের বিলি কেটে নিবে।কাজের বেডি পাইছে আমারে। মন চায় লাথি মেরে উষ্টা দিয়ে ফালাই দিই।
” সিনহা আমাকে বকা দেওয়া শেষ হলে,সুন্দরমতো চুলের বিলিটা কেটে দিলে ভালো হয়।
সিনহা ভ্যাবাচেকা খায় ইমরানের কথা শুনে।
” তোর জন্য কি এখন আমি মনে মনে কিছু বলতে পারব না, সব শুনে ফেলিস।
” তুই মনে মনে বললে তো সমস্যা নাই। কিন্তু আমাকে নিয়ে বললে তো আমার হেচকি উঠে যায়। তাই আমাকে নিয়ে বলা বন্ধ কর।
” কখন তোর হেচকি উঠলো? আমি দেখলাম না কেনো?
” আমার মনে মনে হেচকি উঠছে।
” মনে মনেও হেচকি উঠে? বাপের জনমে শুনি নাই।
” এখন তো শুনলি?
সিনহা জবাব না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে ইমরানের চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। ইমরান আরাম পেয়ে চোখ বুজে নেয়।
___!
পরেরদিন সিনহা একা একাই কলেজে যাওয়ার জন্য বের হয়। পায়ের ব্যাথা পাওয়ার কারনে ইমরান আজকে কলেজে যাবে না। তাই সিনহা আজকে রিক্সা করে কলেজে যাচ্ছে। কিছুটা পথ যাওয়ার পর রাকিব(সিনহার ক্লাসমেট) সিনহাকে রিক্সায় দেখে ডাক দেয়।
” আরে রাকিব তুই…
” কলেজে যাচ্ছি। তুইও যাচ্ছিস নিশ্চয়.?
” হুম৷
” তাহলে তো তোর সাথেই যাওয়া যায়।
এই কথা বলে রাকিব রিক্সায় উঠে পড়ে।
” আরে আরে…
” আসলে অনেকক্ষণ থেকে রিক্সা পাচ্ছি না। তাই হেটে হেটেই এই পর্যন্ত চলে এসেছি। তোর সমস্যা হবে, তোর সাথে গেলে.?
” সমস্যা হবে না। বাট বলার আগেই তো উঠে পড়লি।
কথাটা শুনে রাকিব ভেটকি হাসি দেয়। দুজনে কথা বলতে বলতে কলেজে চলে যায়।
___
এইদিকে চাচা মন খারাপ করে ইমরানের রুমে এসে বসে আছে। তার জন্য আজকে মেয়ে দেখতে যাবে, অথচ তার ভাতিজা আজকে পা ভেঙে বসে আছে। তার মেয়ে দেখা আজকে হবে তো? এই চিন্তায় তিনি মন খারাপ করে আছে।
” আরে চাচা আমি না যেতে পারলে, কী হয়েছে? সিনহা, ভাবী ওরা তো যাবে তোমার সাথে।
” ওদেরকে আমার বিশ্বাস নাই। কি উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করি মাইয়ারে বিপদে পালাইবো। পরে মাইয়া ভয় পাইয়া আমারে রাইখা পালাইবো। না না আমি এই রিস্ক নিতে পারুম না।
ভাতিজা বড় টা অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকে। এখন যদি তুই না যাস, তাহলে তো আমার বিয়া করা হবে না।🥺
” আরে হবে হবে ওরা উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করবে না। আমি সিনহাকে বলে দিবো, যাতে না করে।
” সত্যি তো..
” একদম সত্যি। এবার তুমি যাও।
” যাচ্ছি যাচ্ছি।
||
সকাল থেকে রুমে বসে শুয়ে থেকে ইমরান বোর হয়ে যায়। তাই একটু আলো বাতাস উপভোগ করার জন্য ইমরান রাস্তায় বের হয়ে আসে। রাস্তায় বের হয়ে এখন তার ভালোই লাগছে।
সোজা রাস্তায় দূরে তাকাতে দেখে একটা রিক্সা আসছে এইদিকে। রিক্সা কাছে আসতেই দেখে সিনহা। কিন্তু তাতে সমস্যা নাই, সিনহার পাশে একটা ছেলেও আছে। তা দেখে ইমরানের চোখ বড়বড় হয়ে যায়। সে সিনহার সাহস দেখে অবাক। সিনহা অন্য একটা ছেলের সাথে রিক্সা করে আসছে।
সিনহার চোখ পড়ে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ইমরানের দিকে।
” ভাইয়া….
ইমরানকে দেখে সে ভয় পেয়ে যায়। ভয় পেয়ে সে চলন্ত রিক্সা থেকে লাফ দিয়ে নেমে যায়। সুন্দর ভাবে নামতে পারেনি। পিচ ঢালার রাস্তায় সে ঠাস করে পড়ে হাটুতে ব্যাথা পায়।
” আহ…
” আরে সিনহা কী করলি.?(চিৎকার করে)
সিনহাকে এভাবে লাফ দিতে দেখে ইমরান ভ্যাবাচ্যাকা খায়। সিনহার মুখ থেকে আহ শব্দটা শুনে সে তাড়াতাড়ি করে সিনহার কাছে যায়। পাগল নাকি মেয়েটা, এভাবে লাফ দিলো কেনো?
রিক্সার ছেলেটা রিক্সা থেকে নেমে সিনহাকে ধরে।
” সিনহা ব্যাথা পেয়েছো? লাফ দিয়েছো কেনো?
ততোক্ষণে ইমরানও এসে হাজির। ইমরানকে দেখে ছেলেটা সালাম দেয়। সিনহা হাটুতে হাত দিয়ে কাঁদো কাঁদো মুখ করে বসে আছে। ব্যাথা টা হাটুতে পেয়েছে সে। অল্প ব্যাথা না অনেকটায় পেয়েছে।
” তুমি চলে যাও, আমি দেখছি সিনহাকে।
” কিন্তু ভাইয়া…
” আমি আছি তো, যাও তুমি।
” ওকে ভাইয়া.।
ইমরান, ছেলেটা ও রিক্সাওয়ালাকে বিদায় দিয়ে সিনহার সামনে বসে। সিনহা এখনো কাঁদো কাঁদো মুখ করে বসে আছে।
” এইটা কী করলি সিনহা? পাগল হয়ে গেলি.? রিক্সা থেকে লাফ দিলি কেনো? যদি বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যেতো.? (ধমক দিয়ে)
” আমি ব্যাথা পেয়েছি। জ্বলছে আমার। আর তুই আমাকে ধমক দিচ্ছিস?🥺
ইমরান নিজেকে শান্ত করে নরম সুরে বলে,
” দেখি কোথায় ব্যাথা পেয়েছিস?
” না দেখাবো না, আমার শরম করে।
সিনহা নিজের হাত দিয়ে নিজের হাটু টা চেপে ধরে আছে।
” ঢঙ করিস না তো। জ্বালা করছে তোর। আর তুই বলছিস শরম করে। দেখা আমাকে কোথায় ব্যাথা পেয়েছিস?
” পায়জামা ছিঁড়ে গেছে তো।😒
” বেশি কথা বলিস।
ইমরান জোর করেই সিনহার হাত সরায়। দেখে হাটুতে ক্ষত হয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
” ভাইয়া তোর লজ্জা করে না জোর করে একটা মেয়ের হাটু দেখছিস.?🙁আমার তো খুব লজ্জা করছে।
ইমরান নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে সিনহার হাটু বেঁধে দিতে দিতে বলে,
” থাপ্পড় দিয়ে তোর লজ্জা আমি বের করে দিবো। গাঁধা মেয়ে একটা।
চলবে…
~ ইমতিহান ইমরান।