Torture with love-2Part-14

#Torture_with_love_season_2
#লেখিকা ( অনু )
#Part_14

অনু: ( আমি দোড়ে Varsity র বাগানের দিকে এলাম। তারপর হাতে ব্রেসলেট বের করলাম। যেটা সেদিন মাটি থেকে পেয়েছিলাম )

মানিক: ( আমি অনুর পিছে এসে দেখি যে। আমার ব্রেসলেট টা হাতে নিয়ে দেখছে। অনুর সামনে গিয়ে হাতটা বাড়িয়ে দিলাম ) ব্রেসলেট টা আবার আমাকে পরিয়ে দাও।

অনু: ( আমি শুধু মানিক এর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। তারপর ওর ব্রেসলেট ওকে পরিয়ে দিয়ে। আমি অন্যপাশ ফিরে গেলাম )

মানিক: ( পিছন থেকে অনুকে জরিয়ে ধরলাম ) এতো রাগ কার উপর দেখাচ্ছো তুমি।

অনু: ( অনেক দিন পর সেই আগের ছোঁয়া টা অনুভব করলাম চোখ বন্ধ করে। মানিকের কথায় চোখ মেলে তাকালাম ) আমি কারো উপর কোনো রাগ দেখাচ্ছি না।

মানিক: তাই ? তাহলে এতদিন পর তোমার কাছে আসলাম। তোমার কোনো রিয়েক্ট নেই ??

অনু: আমাকে যখন ছেড়ে চলে গেছিলে তখন তোমার কোনো রিয়েক্ট ছিলো ? তাহলে আজ আমার কাছে তুমি কি করে রিয়েক্টের আশা করো ??

মানিক: তুমি কি ভেবেছো ? আমি তোমার কোনো খবর নেই নি ? আমি তোমাদের কারো খবর নেইনি ?

অনু: আমি কি করে জানবো।

মানিক: এই ব্রেসলেট টা কিন্তু আমি ইচ্ছে করে কয়েকদিন আগে ওখানে পুতে রেখে গেছিলাম।

অনু: ( মানিকের কথা শুনে ওর দিকে ঘুরে তাকালাম ) মানে ???

মানিক: মানে আমি ইচ্ছে করে কয়দিন আগে ব্রেসলেট টা ওখানে পুতে রেখে গেছিলাম। কারন আমি জানতাম তুমি ঐ খানে যাবেই। আর আমাদের বম ব্লাস্ট এর স্পট এ তুমি গেলে এই ব্রেসলেট টা দেখবে। তাই আমি ইচ্ছে করে রেখেছি।

অনু: তাও আমার কাছে তো আসোনি।

মানিক: আমাদের আজকে আসার কথা ছিলো। ঠিক চলে এসেছি। গতকাল জাম এর জন্য গাড়ি থেকে নেমে দোড়ে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি নিলয় গান শুরু করে দিয়েছিলো তাই আর কিছু বলিনি।

অনু: হুমম ভালো।

মানিক: আমার একটু ডাউট লাগছে।

অনু: ( মানিকের দিকে তাকিয়ে ) কিসের ডাউট ?

মানিক: তুমি রাগ দেখাচ্ছ। নাকি অভিমান করে আছো।

অনু: যদি বলি একটাও না। তাহলে ?

মানিক: তাহলে আমাকে আর একটু ভাবতে হবে যে আমার এংরি বাড এর কি হলো ( কোমড় টেনে আরো কাছে নিয়ে )

অনু: আর যদি বলি যে ২ টাই তাহলে ??

মানিক: তাহলে তো একটাই অপশন আর একটাই তোমার মেডিসিন ( অনুর ঠোঁটের দিকে মুখ আগাতে আগাতে )

অনু: ( সাথে সাথে হাত দিয়ে মানিকের মুখ টা সরিয়ে দিলাম। তারপর মানিক কে শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম )

মানিক: পাগলি একটা ( আমিও অনুকে জরিয়ে ধরলাম ) আচ্ছা কতদিন পর ধরলে আমাকে ?

অনু: জানিনা আমি ( কাঁদো কাঁদো ভাবে )

মানিক: উম ৬ মাস ৯দিন পর।

অনু: চুপ।

মানিক: আচ্ছা আচ্ছা। বাট তুমি কেনো কান্না করতেছো। অনু তুমি আবার ?

অনু: আই কান্ট লিভ উইদাউট ইউ মানিক ( কান্না করে দিয়ে )

মানিক: আমি তোমাকে প্রমিস করেছিলাম না যে তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না।

অনু: তো ?

মানিক: আমি কিন্তু আমার প্রমিস রেখেছি। আমি কিন্তু কোথাও যাইনি। তোমার মানিক তোমার কাছে। ( অনুর মাথায় একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে )

অনু: আই লাভ ইউ মানিক।

মানিক: আই লাভ ইউ টু ( অনুকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে ) ওয়েট ওয়েট তুমি আমাকে আই লাভ ইউ বললা সিরিয়াসলি অনু ( মুচকি হেসে )

অনু: হুমম সাথে আই হেইট ইউ ফ্রি তোমার জন্য।

মানিক: আর কতক্ষন এভাবে জরায় ধরে রাখবা। ৬ মাস এর টা একবারে ধরে উশুল করতেছো নাকি।

অনু: কেনো তোমার খুব প্রবলেম হচ্ছে নাকি ?

মানিক: উহু..আমি তো চাই অলয়েজ তোমাকে ঠিক এভাবে জরিয়ে ধরে রাখতে।

অনু: ( মানিক কে সরিয়ে ) থাক আর পাম মারতে হবে না।

মানিক: হোয়াট ? কিসের পাম ??

অনু : কিছুনা চলো।

মানিক: এতোদিন পর আসলাম কপালে একটা কিস ও জুটলো না ( বাচ্চাদের মত ফেস বানিয়ে )

অনু: তোমার লুচুগিরি আর গেলো না চলো। ( বলেই মানিকের সামনে গিয়ে ওর গালে আলতো করে আমার ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে দোড়ে চলে এলাম )

মানিক: ( আমি তো স্কড হয়ে গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে অনুকে দেখলাম অনু ছিলো তো। মুচকি হাসলাম )
________________________________________

আবির: ( আমার দায়িত্ব শেষ। অনুকে এখন দেখার দায়িত্ব মানিকের )

নীল: কিরে আবির কি ভাবছিস তুই ?

সাগর: বুঝি বুঝি ( চোখ মেরে )

নিলয়: ( চোখ দিয়ে ইশারা করে লিসা কে দেখালাম )

আবির: ( নিলয়ের ইশারা তে ওদিক তাকিয়ে দেখি লিসা ) তোমরা তাইলে ঘোড়ার ডিম বুঝছো।

মিহু: গেলো কই ওরা।

মেঘ: রোমেন্স করতে।

মানিক: আমি তো তাও বাইরে গেলাম রোমেন্স করতে। তুই কি করছিস ? সবার সামনেই তো রোমেন্স শুরু করে দিছিস।

মেঘ: এইভাবে অপমান। অনু তুই কিছু বলবি না ওরে।

অনু: সময় মতো ডোজ দিয়ে দিবো নি।

মানিক: মানে কি ?

অনু: যখন ডোজ দিবো তখন বুঝে নিও। মানেটা কি।

নীলা: এট লাস্ট। আমাদের ফুল গ্রুপ আজকে একএ।

লিসা: রাইট। অনেক দিন পর সবকিছু ঠিক লাগছে আজ।

নিলয়: ( কল এলো ) হুমম বেব বলো। আচ্ছা টাটা।

‌নদী: ( I think নিলয় আমাকে পছন্দ করে না। আমার নিলয় কে সবার মত ফ্রেন্ড ভাবা উচিত। আমি আর উইক হতে চাইনা লিসার মত )

সাগর: কি হলো নদী তোর ( নিলয়ের দিকে চোখে ইশারা করে )

নদী: তোরে আমি সত্যি জুতা খুলে পিটাবো কিন্তু।

মেঘ: ( আমি সাগরের ইশারা দেখে ) সিরিয়াসলি নদী ?

নদী: ধুর আমি বাসায় গেলাম ( বলেই বেরিয়ে যাবো )

মানিক: ওকে relax এই ওকে কেউ রাগাস না।

আবির: আচ্ছা ঠিক আছে। ( নদীকে চোখ মেরে )

নীল: গাইজ আমার একটু কাজ আছে। আমায় যেতে হবে।

লিসা: তুই একা যাবি কেনো আমরা সবাই ই এখন যাবো।

তারপর যে যার মত করে বাসায় চলে গেলো……মানিক অনুকে Drop করে দিলো……মেঘ মিহুকে নিজের সাথে বাসায় নিয়ে গেলো………………

________________________________________
লিসা: ( আজ আবিরের খুব কষ্ট হবে যেমন কষ্টটা আমি পেয়েছি এতোদিন। বলতেই সামনে হাজির ) কি হলো তোর ?

আবির: আর কত এরিয়ে চলবি আমাকে ?

লিসা: আমি তোকে কেনো এরিয়ে চলবো ?

আবির: এটাকে কোনো বেস্টফ্রন্ডশিপ বলে ? তুই যেভাবে চলিস ?

লিসা: কেনো কি ভাবে চলি আমি ??

আবির: লিসা তুই বাধ্য করিস না আমাকে কিছু করতে। কি হয়েছে তোর আমাকে বলতো ?

লিসা: আমার কি হবে ? কি সব আবল তাবল বকছিস তুই ?? Drinks করেছিস নাকি তুই ???

আবির: ( লিসার সামনে গিয়ে ওকে জরিয়ে ধরলাম ) বলনা কেনো এমন করছিস তুই ?

লিসা: আমি জানিনা ( আবির জরিয়ে ধরতেই আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম )

আবির: ভালোবাসিস আমাকে তুই ? ( লিসার থেকে সরে দাড়িয়ে )

লিসা: ( জোরে হেসে দিয়ে ) মজা নিচ্ছিস তুই ?

আবির: আমি কখন বললাম আমি মজা নিচ্ছি ?

লিসা: তো কি বলছিস তুই ? পাগল হয়ে গেলি নাকি ??

আবির: আমি বললাম বেস্টফ্রেন্ড হিসেবে আমি যতটা ভালোবাসি তুই কি আমাকে ভালোবাসিস ? ( ঠান্ডা গলায় )

লিসা: হু…হুমমম।

আবির: তুই কি ভেবেছিলি ঐ ভালোবাসা মানিক অনুর মত ( বলেই হাসতে লাগলাম )

লিসা: ( আমি তো সেটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। আমার মত একটা মেয়ে কে তুই কেনো ভালোবাসতে যাবি। অজান্তেই চোখে পানি জমে গেলো। মাথা নিচু করে ফেললাম ) আব‌ আমি বাসায় যাবো।

আবির: তুই তাও বলবি না ? যে তোর কি হয়েছে ?

লিসা: না বলবো না।

আবির: আজকে থেকে তোর সাথে আমার কোনো ফ্রেন্ডশিপ থাকবে না। যেদিন তুই বলতে পারবি যে কেনো তুই আমার সাথে এমন করছিস সেদিন আমার সাথে কথা বলবি। ( অনেকটা রেগে )

লিসা: ওকে ফাইন আল্লাহ হাফেজ। ( বলেই চলে এলাম )

আবির: ( আমার রাগে মনে হচ্ছিলো সব তছনছ করে দি )
________________________________________
নদী: সবাই চলে গেলো। এই লিসাটাও না। অনুও কিছু না বলেই চলে গেলো )

নিলয়: ( দেখি ঝগড়াটে যাচ্ছে। হোয়াটএবার )

নদী: ( সামনে যেতেই দেখি নিলয়। চোখে চোখ পরে গেলো। আমি হেসে দিলাম। ও আমাকে এরিয়ে চলে যাচ্ছিলো। ওকে ডাকলাম ) নিলয় ?

নিলয়: ( চলে যাচ্ছিলাম ডাকলো। ) ইয়েস ?

নদী: তোমাকে একটা কথা বলি ?

নিলয়: যা বলার বলো ? ( অন্যপাশ ফিরে )

নদী: তুমি তো আমার গ্রুপের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করলে সো, আমারাও আজ থেকে ঝগড়া করবো না ওকে।

নিলয়: তোমার গ্রুপ আমার বেস্টফ্রন্ডস বাট তুমি না। কথাটা মাথায় রেখো।

নদী: মানে ?

নিলয়: ( নদীকে দেয়ালে চেপে ধরলাম ) মানে আমি তোমাকে সহ্য করতে পারিনা সো, তুমি আমার কাছ থেকে যত পারো দুরে থাকার চেষ্টা করবা।

নদী: ( নিলয় দেয়ালে চেপে ধরতেই ভয় পেয়ে গেলাম আর ছুটাছুটি করতে লাগলাম ) আচ্ছা ঠিক আছে।

নিলয়: ( ওকে ছেড়ে দিয়ে চলে এলাম )

নদী: ( আমি কি করে ওর মত একটা খারাপ ছেলেকে ভালোবেসে ফেললাম। নিচে তাকাতেই দেখি কিছু কাগজ।তুলে দেখি আরে মনে হয় নিলয়ের ইমপ্রোটেন্ট কাগজ । ও তো চলে গেলো। রাতে ওর দাড়োয়ান কে গিয়ে দিয়ে আসবো।
________________________________________

চলবে………………

বি.দ্র: এতোদিন ধরে বলেছি। আপুরা গল্পটা আগে পড়ো। তারপর তোমদের কাছে সব Clear হয়ে যাবে। না সবার এক কথা মেঘ_মানিক ছাড়া গল্প পরবো না,,,ওরা ছাড়া গল্প ভালোলাগে না,,,গল্প জমে না মেঘ মানিক ছাড়া। নিলয় এর সাথে নদী কে দাও। আবির এর সাথে লিসা কে দাও। আরে গল্পে যদি Twist ই না দেই তো তোমরা মজা + ধামাকা পাবা কি ভাবে। এটাই তোমাদের আমি বোঝাতে পারলাম না। আজ অব্দি। আর কেমন লাগলো জানাবেন Plz