Torture with love-2😍Part-15

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_15

রাতে মেঘের বাসায়________________________

মিহু: ( শাওয়ার নিয়ে এসে চুল ঝারতে লাগলাম )

মেঘ: ( যাই মিহুর রুমে। গিয়ে দেখি চুল ঝারছে।পিছন থেকে মিহুকে জরিয়ে ধরলাম আর ওর ভেজা চুলে মুখ গুজে দিলাম ) কতদিন পর এই গন্ধটা পেলাম তোমার থেকে।

মিহু: ( হঠাৎ কারো ছোঁয়া লাগলো। না মনে হয় মেঘ ) এতদিন আমাদের থেকে লুকিয়ে না থাকলেই হতো।

মেঘ: মিহু কারন ছিলো। বোঝার চেষ্টা করো।

মিহু: আমার কিছু বোঝার কোনো দরকার নেই।

মেঘ: মিহু শুধু শুধু রাগ দেখাচ্ছ।

মিহু: তোমার তো অনেক ভালোলাগে আমাকে #Torture করতে, তোমার অনেক ভালোলাগে আমাকে কষ্ট দিতে, এমনকি তোমার অনেক ভালোলাগে আমার চোখের পানি দেখতে।

মেঘ: ( মনে হচ্ছে ও কান্না করছে। মিহুকে ঘার ধরে আমার দিকে ঘুরালাম। ওর গালে দু পাশে হাত রেখে ওর চোখের পানিগুলো মুছে দিলাম। কিন্তু ও মাথা নিচু করেই দাড়িয়ে আছে ) মিহু আমার দিকে তাকাও।

মিহু: একদম ই না। তুমি যাও রুম থেকে ( অভিমান করে )

মেঘ: তুমি তো জানো আমি তোমার চোখের পানি দেখতে পারিনা। এতদিন পর তোমার কাছে আসলাম আর তুমি কান্না করছো ?

মিহু: আর এতগুলো দিন যে তুমি আমাকে কষ্ট দিলা। তার বেলা কিছু না তাইনা ?

মেঘ: এইতো আমি চলে এসেছি। আমি তো জানি আমার মিহু কষ্ট পাচ্ছে। চেয়েছিলাম Performance এর আগে আসবো। কিন্তু রাস্তায় এত জাম ছিলো যে বাধ্য হয়ে আমি আর মানিক গাড়ি থেকে নেমে এক প্রকার দোড়ে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি আমার জায়গায় আবির গাচ্ছে। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু নিলয় কে দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম।

মিহু: হুমম নিলয় মানিক এর মত অনেকটা রক মিউজিক বাজায়।

মেঘ: হুমম তারপর ভাবলাম যে আজ তোমাদের কিছু বলবো না কাল কলেজে গিয়ে তোমাদের সাথে কথা বলবো।

মিহু: ছাড়ো আমাকে এতোগুলো দিন আমাকে ছাড়া তো খুব ভালো ছিলে তুমি।

মেঘ: নাহ। আমি প্রতিদিন তোমার গলা শুনতাম। আর মনে হতো তুমি আমার পাশেই আছো।

মিহু: কি করে ? তুমি কি আমায় ফলো করতে নাকি ( অবাক হয়ে )

মেঘ: এহেম এহেম আপনারা শুনছেন এফ এম রেডিও ৮৮.২। আপনাদের সবাইকে সাগতম ( ভ্রুঁ উঁচু করে মিহুর দিকে তাকিয়ে হেসে )

মিহু: ( আমি মেঘের কাহিনী দেখে হেসে দিলাম ) ওহ তো তুমি ঠিকই রেডিও তে আমার গলা শুনতা। আর আমি ? আমি তো হুহ ( ভেংচি দিয়ে )

মেঘ: আচ্ছা আ’ম সরি ( মিহুর একদম কাছে গিয়ে )

মিহু: এক মিনিট ( বলেই মেঘের সেই রিং টা নিয়ে এলাম। তারপর ওর সামনে ধরলাম ) তোমার সেই রিং টা।

মেঘ: এটা তো যেদিন বমব্লাস্ট হয়েছিলো সেদিন আমি হাত থেকে খুলে ওখানে ফেলে দিয়ে যাই। যাতে সবাই ভাবে আমি মরে গেছি।

মিহু: চুপ আবার সেই মরার কথা ( রেগে )

মেঘ: আচ্ছা আচ্ছা। আর বলবো না। ( আমি মিহুর দিকে আগাতে লাগলাম )

মিহু: ( দেখি মেঘ আমার দিকে আগাচ্ছে। মেঘের ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে ) একদম না। আমাকে ছেড়ে এতোদিন ছিলা এটা তার শাস্তি।

মেঘ: এতবড় শাস্তি মানতে পারবো না। রিং টা আমাকে পরিয়ে দাও।

মিহু: ( আমি মেঘের রিং টা ওর হাতে পরিয়ে দিলাম ) এখন ঘুম আসো যাও।

মেঘ: ( বলেই ও দুরে সরে যাচ্ছিলো। ওকে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলাম ) একটা কিস তো লাগবেই। নয়তো আমার ঘুম হবে না।

মিহু: ( আমি মেঘের কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুয়ে দিলাম চোখ বন্ধ করে ) এখন তো যাও।

মেঘ: আই লাভ ইউ আমার নটানকিবাজ ( বলেই মিহুর মাথার সাথে মাথা লাগালাম )

মিহু : আই লাভ ইউ টু আমার মেঘের বাজ। মেঘ এখন যাও। অনেক রোমেন্স করে ফেলছো। ( বলেই ধাক্কা দিতে লাগলাম )

মেঘ: আরো অনেক রোমেন্স বাকি আছে ( বলে চোখ টিপ দিলাম। তারপর চলে এলাম )

মিহু: ব্লাসিং…….
________________________________________
মানিক: ( রাতে অনুর বাসায় গেলাম। মামি গেট খুললো )

মামি: ( আমি তো মানিক কে দেখে অবাক ) বাবা তুমি ? তাও এতো রাতে। তুমি তো ??

মানিক: মামি আমার ওদিন কিছুই হয়নি এমনকি মেঘেরও না।

মামি: হুমম অনু এসে বলেছে। এসো ভেতরে। অনু উপরে আছে যাও।

মানিক: ( আমি উপরে অনুর রুম এ গেলাম )

________________________________________
অনু: ( জানালার কাছে গিয়ে দাড়ালাম। আমি কখনও ভাবিনি আমি আমার মানিক কে ফিরে পাবো ) আই মিস ইউ মানিক।

মানিক: ( এসে দেখি ও জানালার সামনে দাড়িয়ে আছে ) আই‌ মিস ইউ টু. আমার এংরি বাড

অনু: ( পিছে তাকিয়ে দেখি মানিক ) তুমি এতো রাতে আমার বাসায়।

মানিক: হুমম। দেখতে ইচ্ছে করছিলো চলে এলাম।

অনু: মামা-মামি ?

মানিক: তোমার মামিকে পটানো খুব সোজা। আফটার অল বাড়ির জামাই না আমি ( বলেই ঠোঁট এ কামুড় দিলাম )

অনু: আচ্ছা তাই ?

মানিক: খুব মিস করছিলে আমাকে ?

অনু: ভিশন ( অভিমানি ভাবে )

মানিক: তো চলো বিয়ে করে ফেলি। তাহলে আর আলাদা থাকতে হবে না।

অনু: আবার শুরু হয়ে গেছে।

মানিক: ( সাথে সাথে অনুর কোমড় টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলাম ) উহু এখনও কিছু শুরু হয়নি। শুরু হবে।( বলেই অনুর দিকে আগাতে লাগলাম )

অনু: কিচ্ছু শুরু হবে না। ( মানিকের মাথা সরিয়ে দিয়ে ) আচ্ছা তুমি বুঝলে কি করে আমি তোমাকে মিস করছিলাম ?

মানিক: কারন আমিও তোমাকে মিস করছিলাম তাই। একটা কিস প্লিজ ?

অনু: উহু..মানিক দুরে যাও। সকালে একটা কিস দিসি আর না। এতো লুচু কেন তুমি।

মানিক: আমি লুচু তাইনা ( অনুর দিকে আবার আগাতে লাগলাম )

অনু: ( আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম )

মানিক: ( আমি অনুর গালের কাছে গিয়ে আলতো করে অনুর গালে এক পাশে ঠোঁট ছুয়ে দিলাম )

অনু: ( মানিকের ঠোঁট গালে লাগতেই আমি ওর T-shirt শক্ত করে চেপে ধরলাম )

মানিক: আমার T-shirt শেষ আজকে।

অনু: ( মানিকের গলা জরিয়ে ধরে ) হুমম ভালো।

মানিক: ( আমি ওর কোমড় ধরে ) এরেকুম নেশা লাগালে তো আমার বাসায় যাওয়াও হবে না।

অনু: কি ? তুমি এখনি বাসায় যাও।

মানিক: আস্তে চেচাও। মামা উঠে যাবে। মামিও উঠে যাবে।

অনু: তুমি আগে আমার বাসা থেকে যাও এখনি।

মানিক: উহু আমি যাচ্ছিনা।

অনু: রাত কয়টা বাজে খেয়াল আছে ?

মানিক: হুমম ১২:৩০ বাজে।

অনু: মানিক তোমাকে আমার একা ছাড়তেও ভয় করে। ( মুখ কালো করে )

মানিক: আমাকে বিশ্বাস করো ?

অনু: অনেক বেশি। নিজের চেও বেশি।

মানিক: প্রমিস করছি আর কখনও তোমার থেকে দুরে যাবো না।

অনু: তুমি এখন বাসায় পৌছে আমাকে একটা কল করবে।

মানিক: আচ্ছা আমার কেয়ারিং বউ।

অনু: ( তারপর মানিককে নিচ অব্দি আগিয়ে দিয়ে এলাম )

মানিক: গুড নাইট। ( বলেই গাড়িতে বসলাম )

অনু: গুড নাইট. ( মানিক গাড়ি স্টাট দিলো। গাড়িটা যতক্ষন দেখা যাচ্ছিলো আমি দাড়িয়ে ছিলাম। তারপর রুমে এসে মানিকের কথা ভাবতেই ব্লাসিং )
________________________________________
নদী: ( যাচ্ছিতো নিলয় এর বাসায়। ও নাকি আমাকে দেখতেই পারেনা। ওর বাসায় যাওয়াটা ঠিক হবে। কাগজ টা দেওয়া টাও ইমপ্রোটেন্ট। কারন দরকারি কাগজ হতে পারে )

নিলয়: ( বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলাম। দেখি নদী আমার বাসার দিকে আসছে। এই মেয়ের সমস্যা কি । আমার পিছাই ছাড়ে না। দাড়োয়ান চাচা কে একটা কল করি ) হুমম চাচা দেখো একটা মেয়ে আমার বাসার দিকে আসছে ওকে ভেতরে আসতে দিও।

দাড়োয়ান: আচ্ছা ছোটো সাহেব।

নদী: ( না কালকে কলেজে দিয়ে দিবো। আমি যাবো না বাসায়। বলেই যেতে নিলাম আর দাড়োয়ান চাচা ডাকলো ) কিছু বলবেন চাচা ?

দাড়োয়ান: ছোটো সাহেব আপনাকে ভেতরে যেতে বলেছে।

নদী: ( নিলয় আমাকে দেখলো কি করে। তারপর আমি ভেতরে গেলাম। অনেক ভয় করছিলো )

রুমা: স্যার ওপরে আছে। আপনাকে পাঠাতে বলেছে।

নদী: ( আমি ভয়ে ভয়ে গেলাম রুমে ) আসবো ?

নিলয়: ( আমি লেপটপ এ কাজ করছিলাম দেখি এসেছে ) এসো। তুমি আমার বাসার নিচে কি করছিলে ?

নদী: না মানে….

নিলয়: না মানে কি ? প্রবলেম কি তোমার তোমাকে আমি বলিনি আমার থেকে দুরে থাকতে ( চিল্লিয়ে )

নদী: ( সাথে সাথে নিলয়ের Shirt এর কলার টেনে আমার দিকে ঘুরালাম ) বি’কজ আই লাভ ইউ। আমি তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু তোমার থেকে অনেক দুরে থাকার চেষ্টা করেও আমি পারিনা। ( সিট কি বলে ফেললাম এগুলো আমি। ছিঃ..ছিঃ নিলয় আমাকে কি ভাবছে )

নিলয়: ( আমি শুধু নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। নদী আমাকে ভালোবাসে। এখনও আমার Shirt এর কলার ধরে আছে। আমি ওর হাতের দিকে তাকাতেই ও কলার ছেড়ে দিলো )

নদী: আ’ম সরি। আমি এই পেপার গুলো দিতে এসেছিলাম। তুমি ভুলে সকালে ফেলে দিয়ে চলে এসেছিলে।

নিলয়: কি বললে তুমি ( করুন ভাবে নদীর দিকে তাকিয়ে )

নদী: সব ভুলে যাও। একটু আগে যা যা আমি বলেছি। ( তারপর আমি চোখ মুছতে মুছতে রুম থেকে দোড়ে বের হয়ে গেলাম )

নিলয়: এই পেপার গুলোই তো খুজছিলাম আমি। সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। Relax নিলয় Relax.
________________________________________
নীলা: ( আমি গল্প পরছিলাম। আর কেউ কলিংবেল বাজালো। গিয়ে গেট খুলতেই দিয়ে একটা ছেলে পারছেল নিয়ে এসেছে ) কিসের পারসেল এটা ?

অজানা ছেলে: নিজে দেখে নিন।

নীলা: ( আমি পারসেল টা খুলে পরছিলাম। হঠাৎ করে কেউ মুখ চেপে ধরলো কিছু বলে ওঠার আগেই অজানা ছেলেটা আমার চোখ বেধে দিলো। মুখ বেধে দিলো। আমি বাসার কাউকে ডাকতেও পারছিলাম না। তারপর মনে হলো কেউ কোলে তুলে নিলো। আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। )

অজানা ছেলে: ( ওনাকে বাসায় এনে রুমে বসালাম। তারপর উনার চোখ হাত মুখ খুলে দিলাম ) এই জামাটা পরে আসুন গিয়ে আমি বাহিরে যাচ্ছি। একদম কোনো কথা বলবেন না আর পালানোর চেষ্টা করবেন না।স্যার এর অডার আছে।

নীলা: ( হে আল্লাহ কোথায় আমি ) কে তোমার স্যার ?

অজানা ছেলে : নিজেই কিছুক্ষন পর দেখতে পাবেন। বেশি কথা না বলে গিয়ে রেডি হয়ে নিন। ১২: ০০ টা বাজার আগে।

নীলা: ( ছেলেটা চলে গেলো। কোথায় আমি। কার বাসা এটা। এই বাসায় তো আমি আমি আগে কখনও আসিনি। দেখি সামনে একটা জামা। লাইট পিংক কালার গ্রাউন। আমি গিয়ে পরে বের হলাম। জানালার সামনে গিয়ে উঁকি দিতে লাগলাম। কি ভাবে যাবো আমি এখান থেকে। কে নিয়ে এলো আমায় এখানে। বলতেই পিছে থেকে কেউ চোখ আটকে ধরলো ) আরে আজব তো। কে আপনি। কোথায় নিয়ে এসেছেন আমায়। আবার কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে। ছাড়ুন বলছি আমাকে। ( কোথায় একটা নিয়ে আমাকে দাড়া করালো। তারপর চোখ খুলে দিলো। সামনে তাকাতেই দেখি পুরো ঘর লাইটিং করা,,,সামনে অনেক গুলো বেলুন,,,তার মধ্যে একটা বেলুন অনেক বড় লাল কালার লাভ বেলুন সেটার ভেতরে আলো জ্বলছিলো,,,আর সামনে একটা ছোট্ট চকলেট কেক। পিছে থেকে কেউ কোমড়ে হাত রাখলো আমি কেঁপে উঠলাম ) নীল ?

নীল: Happy birthday আমার Drama কুইন।

নীলা: ( আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না ) নীল তুমি এগুলো কখন করলে ? আর এটা কার বাসা ?

নীল: এটা আমাদের গেস্ট হাউজ। তুমি কখনও আসনি তাই নতুন মনে হচ্ছে। ( তারপর ওর হাতের উপর হাতটা রেখে ওকে ভ্রুঁ উচু করে ইশারা করলাম কেক টা কাটতে )

নীলা: ( আমি কেক টা কাটলাম তারপর নীলের নাকে,মুখে ক্রিম লাগিয়ে দিলাম। আমি তো দোড় )

নীল: আমাকে ক্রিম লাগিয়ে এখন দোড়ানো হচ্ছে। ( দেখাচ্ছি মজা বলেই ওর পিছে দিলাম দোড় )

তারপর নীলা দোড়াতে দোড়াতে….নীল নীলাকে ধরেই ফেললো….সাথে সাথে নীলাকে দেয়ালে চেপে ধরলো নীল….আর নীল নিজের মনের মত করে নীলাকে দু হাত দিয়ে….নীলার মুখে,,,গলায় Slide করে ক্রিম লাগিয়ে দিলো….আর নীলা তো চোখ বন্ধ করে ঘনো ঘনো নিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছে…আর সেই নিশ্বাস নীলকে আবার পাগল করে দিচ্ছে…নীল কিছু না ভেবেই নিজের ঠোঁট দিয়ে নীলার গলা থেকে ক্রিম শুশে নিলো নীলার ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো…নীলা নীলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ফ্রেস হতে চলে গেলো…আর নীল তো ব্লাসিং……….

কিছুক্ষন পর নীলা বের হতেই….মানিক_অনু,,,মেঘ_মিহু,,, লিসা_আবির,,,নিলয়_নদী,,,সাগর_নাদিয়া…..সবাই মিলে নীলাকে জোরে বলে উঠলো #Happy_birthday_to_you. নীলা একদম প্রস্তুত ছিলো না এতোগুলো সারপ্রাইজ একসাথে পাওয়ার জন্য….মানিক কিছু না বলেই নীলা কে কোলে তুলে ছাদে নিয়ে দাড়া করালো…নীলা কিছু বলবে তার আগেই…মানিক আর মেঘ দু পাশ থেকে গিয়ে মাথায় ডিম ভাংলো…নীলা তো রাগে কটমট করতে লাগলো….তারপর আবির,সাগর,নিলয় ডিম ভাংলো নীলার মাথায় গিয়ে…..অনু,মিহু,লিসা,নদী,নাদিয়া গিয়ে কোকাকোলা ঢাললো নীলার মাথায়….শুভ পয়দা দিবস বান্ধুবি….নীল তো হাসতে হাসতেই শেষ……..

নীলা: এএএএএএএআমার মাথা থেকে এই ডিম এর গন্ধ কি ভাবে যাবে। তোদের সবগুলার উপর খোদার গজব পড়বে। ঠাডা পড়বে দেখিস। আমার কি হবে ( বলেই কান্না শুরু করলাম )

আর সবাই নীলার কাহিনী দেখে তো হাসতে হাসতে…..মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে…..এভাবে সবাই মজা করতে লাগলো………..

চলবে………………

বি.দ্র: জানিনা কি লিখলাম। আজকে সত্যিই #নীলার জন্মদিন💙 ডেরিকেট টু #নীলা😘💙😍কেমন লাগলো জানাবেন Plz😊