Torture with love-2😍Part-16

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_16

মানিক: গুড মনিং গাইজ

আবির: গুড মনিং

নীল: তোরা একটা কথা বলতো।

মেঘ: কি কথা ?

নীল: তোরা বেঁচে আছিস কি করে ?

সাগর: রাইট কারন গাড়ি যেভাবে বমব্লাস্ট হয়েছিলো। আমরা তো মানতেই বাধ্য হয়েছিলাম তোরা মারা গেছিস।

আবির: তোরা গাড়িতে থাকলে তো বাঁচার কথা না।

নিলয়: ওরা গাড়িতে উঠলে তো ? কি ঠিক বললাম আমি ??

মানিক: হুমম আমরা ওদিন গাড়িতেই উঠিনি।

নদী: তো ?

মেঘ: আমরা ২ জনই গাড়ি থেকে নামি একটা কাজে। আমার একটা ইমপ্রোটেন্ট কল আসে। আর মানিক অনুকে কি একটা কথা বলতে যায়।

লিসা: তারপর?

মানিক: আমি অনুর সাথে কথা বলে আসার সময় দেখি মেঘেরও কথা বলা শেষ। দুজন যখন গাড়ির গেট টা খুলবো ঠিক তখনি গাড়িটা বমব্লাস্ট করে। আমি আর মেঘ দোড়ে দুরে সরে যেতে নিলেও দুরে ছিটকে পরি আমরা।

নাদিয়া: ওহ মাই গড।

মেঘ: তারপর এত পরিমানে ধোয়া ওরে যে আমরা কিছুই দেখতে পাইনা। কিন্তু কে এই কাজটা করলো জানার জন্য আমাদের মরে যাওয়ার অভিনয় টা করতে হয়।

নীলা: তোরা নিজেদের মত প্লেন করে নিলি। আর আমাদের কি হবে ভাবলিও না।

মানিক: তারপর আমি ইচ্ছে করে আমার হাতের ব্রেসলেট টা খুলে ফেলে দেই ওখানে। আর মেঘ ওর হাতের রিং টা ওখানে ফেলে আসে।যাতে সবাই তোরা ভেবে নিস আমরা পুরে ছাই হয়ে গেছি। আর যে আমাদের মেরেছে সেও এটাই ভাবে আমরা মারা গেছি।

মিহু: হুমম পুলিশ আমাদের ঐ ব্রেসলেট আর রিং টা দেয়।

অনু: কে তোমাদের মারতে চায় ???

মেঘ: আমাদের না। বল তোকে মারতে চেয়েছিলো।

আবির: মানে ?

মানিক: মানে সায়েমা ভেবেছিলো আমার গাড়িতে অনু আগে বসবে আর বমব্লাস্ট হয়ে অনু মারা যাবে। কিন্তু অনু তো ওদিন আমার গাড়িতে করে গেলো না। অনুর বদলে আমি আর মেঘ ছিলাম।

নীল: এই মেয়ের এত বড় সাহস। ওকে তো আমি মেরেই ফেলবো। ( রেগে )

আবির: ওর ব্যাবস্তা আমিই করবো।

মানিক: না আবির । তোর বোনের ব্যাবস্তা আমি আর মেঘ ই করবো। ( করুন ভাবে )

আবির: হেল্প লাগলে বলিস।

নিলয়: এতো কাহিনী। তাও অনু তোকে নিয়ে ?

অনু: সায়েমা এরেকুম একটা কাজ করতে পারে জানা ছিলো না আমার।

নীলা: দেখ খালি ওর কি হাল হয়।

নদী: ( নিলয় এর দিকে চোখ যেতেই ফিরিয়ে নিলাম )

নিলয়: ( কল আসলো ) হুমম জানু কালকে মিট হচ্ছে তোমার সাথে।

মিহু: এই নিলয় তুই আমাকে এটা বল তোর জানু,বাবু,বেব এগুলো কয়টা আছে রে ?

নিলয়: ( নদীর দিকে তাকিয়ে ) অনেক গুলোই তো আছে।

নীল: থাম তুই থাক তোর জানু বাবু নিয়ে।

সবাই নিলয়ের কাহিনী দেখে…… হাসতে লাগলো…….তারপর আড্ডা শেষে সবাই বাসায় চলে গেলো…………..

________________________________________
নদী: গতকাল কি যে বলে ফেললাম রাগের মাথায় নিলয় কে। ও আমাকে দেখতে অব্দি পারেনা আর আমি। ( বলতেই মনে হলো কেউ টান দিলো )

নিলয়: ( দেখলাম একা একা পক পক করতে করতে যাচ্ছে। ওকে টেনে দেয়ালে চেপে ধরলাম ) রাইট তোমাকে আমি দেখতেও পারিনা। আর তোমার মত ইডিয়েট মেয়েকে আমি আমার গ্রালফ্রেন্ড বানাবো সিরিয়াসলি ? ( শয়তানি হাসি দিয়ে )

নদী: প্রবলেম কি তোমার ? তুমি আমাকে দেখতে পারোনা তো আমার কাছে কেনো আসো ? ( বলেই ছুটাছুটি করতে লাগলাম )

নিলয়: তোমার গতকালের কথাটাই ক্লিয়ার করতে আসা। তোমাকে যেনো কখনও আমার সামনেও না দেখি নিড আমার কাছ থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করো। তুমি ভাবলে কি করে বলতো তোমার মত মেয়েকে আমি ভালোবাসবো ( জোরে হেসে দিয়ে )

নদী: ( নিলয় তুমি এভাবে আমাকে বলতে পারলে। চোখ থেকে পানি গরিয়ে পরলো )

নিলয়: এসব নেকা কান্না আমার সামনে করে লাভ নেই। যেটা বললাম সেটা যেনো মাথায় থাকে ইস্টে এওয়ে ফ্রম মি। ( তারপর ওকে ছেড়ে দিলাম। ওখান থেকে চলে এলাম )

নদী: ( নিলয় আমি তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু ভাবিনি তুমি আমাকে এভাবে অপমান করবে। আমিও আর কখনও তোমার কাছে যাবো না )
________________________________________
আবির: ( দেখলাম লিসা যাচ্ছে ) আরে শোন না লিচু।

লিসা: সর সামনে থেকে। আমাকে কি বললি তুই ( রেগে )

আবির: লিচু কে তো লুচু সরি লিচুই বলবো তাইনা ?

লিসা: তোকে তো জুতা দিয়ে পিটালেও কম হবে সর সামনে থেকে তুই আমার।

আবির: ( ওর সামনে গিয়ে কিছু বলার আগেই ওর সামনে হাটু গেরে বসলাম )

লিসা: ( আবির হুট করে এসেই আমার সামনে বসলো। আমি তো অবাক )

আবির: ( লিসার হাত ধরে ) আই লাভ ইউ অনেক ভালোবাসি। এতদিন বলতে পারিনি। আমি পারবো না থাকতে তোমাকে ছাড়া। থাকবে আমার সাথে সারাটা জিবন ( পকেট থেকে রিং টা বের করে )

লিসা: ( আমার চোখে পানি চলে এলো। এটা সত্যি তো। আমি মাথা নারিয়ে হ্যাঁ সম্মতি দিলাম আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না আবির এমন কিছু করবে ) আমিও ভালোবাসি তোকে। আই লাভ ইউ টু আবির।

আবির: ( তারপর লিসার হাতে রিং টা পরিয়ে উঠে দাড়িয়ে ওকে জরিয়ে ধরলাম ) ইয়েস ইয়েস ইয়েস..

লিসা: কি হলো ?

আবির: ( লিসাকে ছেড়ে দিয়ে লিসার হাত থেকে রিং টা খুলে ফেললাম ) তুই যেহেতু Accpet করেছিস তো নিশিতা ও আমাকে Accpet করবে।

লিসা: কে নিশিতা ? ( কাপা গলায় )

আবির: একটা মেয়ে। প্রথম দিন দেখেই আমি ফিদা। ভাবছি আজ নিশিতা কে প্রপোজ করবো। তাই তোকে দিয়ে ট্যাই করলাম। এখন বুঝলি।

লিসা: ( আবিরের কথা শুনেই বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো )

আবির: আচ্ছা তোর সাথে পরে কথা বলছি যাচ্ছি আমি কেমন। বাই দা ওয়ে তুই আমাকে বেস্ট অফ লাক দিলি না ?

লিসা: দেখিস ওই মেয়ে তোর প্রপোজ Accpet করবে। অল দা বেস্ট ( হাসি মুখে )

আবির: যাচ্ছি আমি। ( বলেই চলে গেলাম )
________________________________________

লিসা: ( আমি দোড়ে চলে যাবো আর কারো সাথে ধাক্কা লাগলো। তাকিয়ে দেখি মানিক ) তুই ?

মানিক: ভালোবাসিস আবির কে অনেক ?

লিসা: আরে ও আমার বেস্টফ্রেন্ড। তুই যা ভাবছিস তেমন কিছুই না।

মানিক: তো তোর চোখে পানি কেনো ?

লিসা: আরে এমনি হয়তো চোখে কিছু পরেছে।

মানিক: আমাকে তুই মিথ্যে বলছিস। এতদিন কেনো আবির কে বলিস নি।

লিসা: যে না বোঝে। তাকে বোঝানো যায়না ছেড়ে দে।

মানিক: ( আবিরের সাথে কথা বলতে হবে )

________________________________________

সাগর: ( নাদিয়া এখনও মনে হচ্ছে অফিস এ। যাই ওর কাছে। বলেই আমি গেলাম ওর কাছে )

নাদিয়া: স্যার এই প্রজেক্ট টা তো কম্পিলিট। আর কোনো কাজ আছে কি ?

শিহাব স্যার: ওহ নো। তুমি এতো ইজিলি প্রজেক্ট টা কম্পিলিট করবে আমি ভাবতেই পারিনি ( বলেই নাদিয়া কে জরিয়ে ধরলাম )

সাগর: ( আমি এসে ওর কাছে যাবো আর দেখি ওর বস্ ওকে জরিয়ে ধরে রেখেছে। আমি শুধু নাদিয়ার দিকে তাকালাম )

নাদিয়া: ( হুট করে এসেই জরিয়ে ধরলো। সামনে তাকিয়ে দেখি সাগর দাড়িয়ে আছে । আমি তাকাতেই ও বাইরে চলে গেলো )

সাগর: ( আমি কিছু না বলে বাহিরে চলে এলাম )

নাদিয়া: ( সাথে সাথে স্যার কে দুরে সরিয়ে দোড়ে বাইরে এলাম )

________________________________________
সাগর: ( আমি যাবো আর পিছে থেকে কেউ হাত ধরলো তাকিয়ে দেখি নাদিয়া )

নাদিয়া: ( বাহিরে এসে দেখি সাগর চলে যাচ্ছিলো গিয়ে ওর হাত ধরলো ) সাগর দাড়া।

সাগর: ( সাথে সাথে হাত ঝাড়া দিয়ে ওর থেকে ছুটিয়ে নিলাম ) তুই আর একটা কথাও বলবি না নাদিয়া।

নাদিয়া: আমার কথাটা একবার শুন তুই।

সাগর: ব্রেকআপ আজকে এখন থেকে। ( নাদিয়ার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে )

নাদিয়া: কি বললি তুই সাগর ?

সাগর: তুই যেটা শুনলি ? ব্রেকআপ আমাদের আজকে থেকে।

নাদিয়া: ( সাগরের কলার চেপে ধরলাম ) কি বলছিস তুই ? ব্রেকআপ মানে ? তুই বললেই হলো।

সাগর: ( নাদিয়া কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম ) আমি যা বললাম সেটাই। আর কোনো কথা হবে না। ( বলেই আমি চলে এলাম )

নাদিয়া: ( কি হয়ে গেলো এটা। সাগর এটা করতে পারলো আমার সাথে )
________________________________________

শিহাব স্যার : এটাই তো আমি চেয়েছিলাম। আর আমি যেভাবে যেভাবে ভেবেছি ঠিক সেটাই হলো। এখন নাদিয়া আমার।

চলবে………………

বি.দ্র: আজকে ( অনু_মানিক,,,মেঘ_মিহু,,,নীল_নীলা ) কারো Part দিলাম না কাল পেয়ে যাবেন সব আপনারা। আর কেমন লাগলো জানাবেন Plz😊