Torture with love 2😍Part-39

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_39

রাতে মেঘের বাসায়________________________

মেঘ: মিহু ?

মিহু: কি হলো ?

মেঘ: এদিকে এসো ??

মিহু: পারবো না ( ভেংচি দিয়ে )

মেঘ: আমি আসবো ? আমি আসলে কিন্তু ??

মিহু: আসছি আমি বজ্জাত একটা ( বলেই যাবো আর সিঁড়িতে পা পিছলে পরে বসে পড়লাম ) ও..মা…গো,,,আমার মাজা গেলো রে,,,আমি আর উঠতে পারবো না,,,আমার মাজার সব হাড্ডি গুরা গুরা হয়ে গেলো রে,,,আমাকে কে বিয়ে করবে এখন। মেঘের বাজ তুমি ইচ্ছা করে করছো এটা ( রেগে )

মেঘ: ( আমি ইচ্ছে করে তেল ঢেলে রেখেছিলাম। মিহু আসতে গিয়েই পরে বসে পড়লো সিঁড়িতে। আমার তো ওর কাহিনী দেখে হাসতে হাসতে অবস্তা খারাপ ) আমাকে টাওয়াল পেচিয়ে বাহিরে বের করা তাইনা ? এতগুলো মেয়ের সামনে অপমান করা তাইনা। কেমন লাগছে বাবু ( বলেই চোখ টিপ দিলাম )

মিহু: নাইজেরিয়ান এনাকন্ডা,,,আফরিকান জিরাফ,,,ব্যাঙ,,,লাল বাদর,,,সাদা ইদুর,,,কমলা খাটাস,,,সবুজ খবিশ,,,বজ্জাত,,,রাক্ষস,,,লেজ ছাড়া কাঁঠবিড়াল,,,ভাল্লুক,,,জঙ্গলে ঝুলে থাকা সাপ,,,পঁচা আলুর তরকারি,,,তোমার উপর টাটকা ঠাঁডা পরবে,,,তোমার জীবনে কোনোদিন বিয়ে হবে না,,,তোমার কপালে বউ জুটবে না,,,আমাকে ফালায় দিসো তুমি ( চিল্লিয়ে নেকা কান্না করে )

মেঘ: ( দু হাত দিয়ে,,,দু কান ধরে ) চুপপপ একদম চুপ। মুখে কসটিপ লাগায় দিবো তোমার।

মিহু: আর তোমার মুখে আমি সুই সুতা দিয়ে সেলাই করে দিবো ( রেগে )

মেঘ: চুপ,,,

মিহু: তুমি চুপ করো ( বলেই রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে বের হয়েই দেখি মেঘ ) তুমি আমার রুমে আসছো কেনো ?

মেঘ: বউ টা এত জোরে পরে গেলো সিঁড়িতে। ব্যাথা পেলো নাকি দেখতে এলাম।

মিহু: আদিক্ষেতা দেখলে বাঁচি না। বের হও আমার রুম থেকে তুমি,,,বের হও বলতেছি,,,( রেগে )

মেঘ মিহুর হাত ধরে টেনে……নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো…..মিহু তো পকপক পকপক করেই যাচ্ছে‌….মেঘ হুট করে মিহুর ঠোঁট গুলো নিজের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরলো……মিহু চোখ বড় বড় করে মেঘের দিকে তাকালো…..মেঘ কিছুক্ষন পর মিহুকে ছেড়ে দিলো…..মিহু রাগে শেষ………………..

মেঘ: এতো পকপক করো কিভাবে তুমি ?

মিহু: তোমাকে তো গলা টিপে মারা উচিত ( রেগে )

মেঘ: আর ঐ সব আজব আজব গালি কে শিখাইছে তোমাকে ?

মিহু: ওটা আমাদের স্পেশাল গালি।

মেঘ: আচ্ছা,,,তাই নাকি ?

মিহু: তুমি একটা আস্ত অজগর সাপ। হায়না তুমি ?

মেঘ: কেন তোমাকে খেয়ে ফেলছি নাকি যে হায়না হবো আমি ?

মিহু: ছাড়ো বলতেছি।

মেঘ: বেশি পকপক করলে তোমার খবর আছে।

মিহু: ( আমি কিছু বলবো আর মেঘের ফোন বেজে উঠলো ) কে ফোন দিলো ?

মেঘ: জান্নাত,,,আসছি আমি ওয়েট। ( বলেই মিহুর রুমের বাহিরে চলে এলাম )

মিহু: ( মেঘ জান্নাত এর সাথে এখনও কথা বলে। আমি তো জানতাম না )
________________________________________

পরদিন In varsity_________________________

মানিক: কনগ্যাচুলেসন আমাদের নিউ কাপুল’স।

অনু: ওর সাথে তো কথা বলাই উচিত না আমাদের।( রেগে )

নীলা: গতকাল কি করলো আমাদের সাথে। ( রেগে )

মিহু: যা সর তুই ( নদীর দিকে তাকিয়ে )

নাদিয়া: গতকাল মন চাচ্ছিলো ওর গালে এক চড় বসাই আমি। ( রেগে )

লিসা: ইসসস বলে কিনা,,,ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ না রাখতে ( রেগে )

নদী: সরি গাইজ,,,আমার রাগ উঠে গিয়েছিলো। রাগের মাথায় বলে ফেলেছি।আর কখনও এমন হবে না প্রমিস।

মানিক: হ্যাঁ তোমরা তো রাগের মাথায় কত কিছুই করো ( নিলয়ের দিকে তাকিয়ে )

নীল: একজন হাত কাঁটো,,,তো অন্যজন সবার সাথে ফ্রেন্ডশিপ শেষ করে দাও।

মেঘ: কিন্তু নিলয় হাত কাঁটাতে একটা জিনিস ভালো হয়েছে। ( নদীকে চোখ মেরে )

সাগর: ঠিক। নদীর মন গলেছে। নয়তো এই স্পেশাল মন কবে গলতো কে জানে ( এদিক ওদিক তাকিয়ে )

আবির: আমি জানতাম নদী এটা শুনলে ঠিকই সব ঠিক করবে।

নদী: সাগর এর বাচ্চা দাগর,,,আমাকে পঁচাচ্ছিস তুই। ( রেগে )

মানিক: অবাক বেপার,,,সবাই আগে কি ছিলাম,,,আর এখন ?

নীল: কখনও ভাবিনি যে সবার সাথে এভাবে সবার মিল হবে।

মেঘ: বেস্টফ্রেন্ড’স + বেস্ট কাপুল’স গ্রুপ এটা এখন ( ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে )

( ( (…………..সত্যিই তো….আগে এদের সবার লাইফ টা কি ছিলো…..কেউ কখনও ভাবেনি সবকিছু এমন সহজ ভাবে ঠিক হয়ে যাবে….যেই মানিক অনুকে দেখতেও পারতো না,,,সেই মানিক এখন অনুকে চোখে হারায়….যেই নীল মানিক কে দেখতে পারতো না,,,এমনকি মানিক নীল কে দেখতে পারতো না,,,তারাও এখন আগের মত হয়ে গেছে……যেই মেঘ মিহুকে সহ্য করতে পারতো না,,,সেই মিহু এখন তার জীবন…..যেই নীলা নীলকে ঘৃণা করতো,,,আর নীল নীলাকে ঘৃণা করতো,,,তারাও আজ একে অপরকে আগেই মতই ভালোবাসে……সাগর কখনও ভাবেনি সে তার বেস্টফ্রেন্ড এর প্রেমে পরে যাবে,,,আর নাদিয়া ও কখনও ভাবেনি মানিক কে ভুলে সাগর কে ভালোবেসে ফেলবে,,,কিন্তু ভাগ্য আজ তাদের একএ করে দিলো,,,তারা এখন একে অপরকে নিজের চেও বেশি ভালোবাসে…..আবির কখনও ভাবেনি অনুকে ভুলে যাবে,,,আর এটাও কখনও ভাবেনি লিসাকে ভালোবাসবে….লিসাও কখনও ভাবেনি আবির তার ভালোবাসা বুঝবে,,,কিন্তু আজ তারা দু’জন দু’জন কেই ভালোবাসে…….আর নিলয় তো কখনও নদীকে তার কল্পনাতেও আনেনি,,,আর নদী নিলয় কে নিয়ে মনে বুনেছিলো হাজাও স্বপ্ন,,,নদীর সেই হাজারও স্বপ্ন সত্যি হতে পারে নদী কখনও বুঝতে পারেনি,,,আর নিলয় কখনও ভাবেনি নদীকে এতটা ভালোবেসে ফেলবে সে,,,কিন্ত দু’জন এর মনের অজান্তেই দুজন এক হয়ে গেলো……আসলেই জিবনটা বড়ই অদ্ভুত…..কখন কার মন কাকে কাছে টেনে আপন করে নেয়….সেটা বোঝা বড়ই মুশকিল……… ) ) )

ওদিকে__________________________________

সায়েমা: আমি মানিক কে কিছুতেই ছাড়বো না। আমি মানিক কে আমার করেই ছাড়বো। এবার আমি দেখবো অনু তোমাকে মানিক ঠিক কতটা ভালোবাসে।

মীম: শুনলাম সামনে নীল আর নীলার এনগেজমেন্ট। আমি এটা কিছুতেই হতে দিবো না। এনগেজমেন্ট ঠিকই হবে,,,শুধু বউ টা পালটে যাবে। নীলা কে আমি ওদিন সরিয়ে দিবো,,,আর নীলার জায়গায় এনগেজমেন্ট টা আমার সাথেই হবে নীলের।

জান্নাত: মেঘ কে তো আমি মিথ্যে বলে পটিয়ে নিয়েছি। এখন শুধু অপেক্ষা। আমি ঐ মিহুর বাচ্চাকে তো সরাবই।

রাদিকা: গাইজ নদী নিলয় কে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। ঐ নদীকে আমি ছাড়বো না কিছুতেই।

সামেয়া: ওদের পুরো ফ্রেন্ড’স গ্রুপ আমি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে শেষ করে দিবো। ওরা আমাকে অনেক অপমান করেছে একটা একটা করে শোধ নিবো আমি। সবাই কে শেষ করে দিবো।

তারপর সায়েমা,মীম,জান্নাত আর রাদিকা একসাথে হাত মিলালো…..আর জোরে জোরে হাসতে লাগলো……………..

সামেয়া: দেখো খালি কি হয় ওদের। অনুর এমন হাল করবো না মানিক অনুকে শুধু ঘৃণা করবে,,,অনুর ছাঁয়াও দেখতে চাইবে না মানিক। অনুকে এতটা ঘৃণা করবে। ( শয়তানি হাসি দিয়ে )

মীম: কিন্তু কিভাবে?

জান্নাত: কি করবে তুমি ?

রাদিকা: যাই করি না কেনো সাবধানে করতে হবে। যাতে ওরা খারাপ হয়,,,আমরা ভালো হয়ে যাই ওদের কাছে।

সায়েমা: দেখো কি করি। চলো,,,

মীম: কোথায় যাবো ?

সায়েমা: পুলিশ স্টেশন।

জান্নাত: ওখানে গিয়ে কি হবে ?

সায়েমা: গেলেই দেখতে পারবে চলো।

রাদিকা: পুলিশের কাছে গিয়ে এমন কি হবে।

সায়েমা: টাকা খাওয়ালে সব হয়,,,চলো এখন

তারপর সায়েমা,মীম,জান্নাত আর রাদিকা…..চারজন মিলে গেলো….পুলিশ স্টেশনে……………..

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন প্লিজ😊