Torture with love 2😍Part-40

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_40

সায়েমা গেলো….পুলিশ স্টেশন….তারপর পুলিশ অফিসার কে বলে উঠলো……………..

সায়েমা: অফিসার,,,?

পুলিশ অফিসার: মেম আপনি ?

সায়েমা: কেনো চিনতে অসুবিধা হচ্ছে নাকি ??

পুলিশ অফিসার: না মেম,,,বসুন কি বলবেন বলুন ? কোনো সমস্যা মেম ??

সায়েমা: আপনাকে একটা কাজ করতে হবে। তার বদলে আপনাকে আমি ৫০০০০ হাজার টাকা দিবো। কিন্তু আমি যে আপনার কাছে এসেছি সেটা যেনো কেউ না জানে,,,এমন কি আমার ফ্যামিলিও না। আবির ভাইয়া তো একদম না।

পুলিশ অফিসার: আমি ঠিক বুঝলাম না মেম,,,আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ?

সায়েমা: বললাম তো আমার একটা কাজ করে দিতে হবে।

পুলিশ অফিসার: কাজ টা কি ?

সায়েমা: মিউজিক কলেজের প্রিনসিপাল কে তো চিনেন ?

পুলিশ অফিসার: হ্যাঁ চিনবো না কেনো,,,এত বড় Varsity র প্রিনসিপাল,,,চিনবো না কেনো। আপনার বাবা তো ঐ Varsity র প্রফেসর?

সায়েমা: হুমমম। তাহলে নিশ্চই ঐ প্রিনসিপাল এর ছেলে Fab 5 গ্রুপ এর বিগ সিংগার মনস্টার মানিক মানে,,, মানিক চৌধুরি কেও চিনেন ?

পুলিশ অফিসার: জি,,,চিনবো না কেনো ?

সায়েমা: আজকে মানিক চৌধুরি কে আপনারা এরেস্ট করে থানায় নিয়ে আসবেন।

পুলিশ অফিসার: হোয়াট ? ( চিল্লিয়ে )

সায়েমা: গলা নিচে,,,অফিসার ?

পুলিশ অফিসার: আমি মানিক চৌধুরি কে এরেস্ট করতে পারবো না। তাহলে মানিক চৌধুরি আমাকে ছাড়বে না। আমার চাকুরি থাকবে না।

সায়েমা: আপনি যদি মানিক চৌধুরি কে এরেস্ট না করেন,,,তবে আপনার চাকুরি আমি আজকেই শেষ করে দিবো। আজকে এই থানায় আপনার শেষ ডিউটি হবে।

পুলিশ অফিসার: কি বলতে চাচ্ছেন আপনি ?

সায়েমা: আমি এটাই বলতে চাচ্ছি,,,আমি কিন্তু জানি আপনি কি কি করেন ? একবার যদি আমার চাচ্চু কে বলি না আপনার কাহিনী গুলো ? একবার ভেবে দেখুন আপনার চাকুরির কি হবে। ( শয়তানি হাসি দিয়ে )

পুলিশ অফিসার: কি করতে হবে আমাকে ? ( করুন ভাবে )

সায়েমা: ঐ যে বললাম,,,মানিক চৌধুরি কে এরেস্ট করতে হবে।

পুলিশ অফিসার: সেটা তো বুঝলাম। কিন্তু কি করে এরেস্ট করবো ? কোনো কারন ছাড়া তো তাকে থানায় আনা সম্ভব না তাইনা ?

সায়েমা: আমি কখন বললাম কারন ছাড়া আনতে ?

পুলিশ অফিসার: তাহলে ?

সায়েমা: একটা মেয়ে আছে। নাম হলো অনু। আপনি গিয়ে বলবেন যে,,,মি. মানিক চৌধুরি ইউ আর আন্ডার এরেস্ট,,,তখন মানিক বলবে কেনো,,,আপনি বলবেন যে,,,অনু নামের একটি মেয়ে আপনার নামে থানায় কেস করেছে,,,যে আপনি তাকে সব সময় বিভিন্ন ভাবে ডিস্টাব করেন। তাই আপনি আজ আমাদের সাথে থানায় যেতে বাধ্য। আশা করি আপনাকে আর বুঝিয়ে দিতে হবে না অফিসার ???

পুলিশ অফিসার: না,,,আমি বুঝে নিবো। কিন্তু অনু মেয়েটা কে ? তাকে তো আমি চিনি না।

সায়েমা: সেটা তো আপনি যখন অনুর নাম বলবেন,,,অনু নিজেই চেচিয়ে উঠবে। তখন আপনি অনুকে চিনতে পারবেন।

পুলিশ অফিসার: আজকেই আপনার কাজ হয়ে যাবে।

সায়েমা: ( পঁচিশ হাজার টাকা সামনে টেবিলে দিয়ে,,, ) এই নিন পঁচিশ হাজার টাকা,,,এটা আপনার এডভান্স,,,বাকি পঁচিশ হাজার টাকা কাজ টা হয়ে গেলে পেয়ে যাবেন।

পুলিশ অফিসার: ঠিকাছে,,,

সায়েমা: কেমন লাগলো গাইজ ?

মীম: অনুর তো মানিকের লাইফে আজকে শেষ দিন মনে হচ্ছে।

জান্নাত: পুরো কেস খাওয়ায় দিলা তো অনুকে।

রাদিকা: এখন শুধু কাজটা ভালো মত হলেই হয়।

সায়েমা: নো টেনশন। আমার কাজটা হলেই তোমাদের কাজটাও হয়ে যাবে।

তারপর সায়েমারা ওখান থেকে চলে গেলো……পুলিশ অফিসার তার টিম নিয়ে….মিউজিক কলেজের দিকে রওনা দিলো……মিউজিক কলেজে পুলিশ দেখে সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে……মানিকরা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছিলো ক্লাস শেষ এ….হলরুমে বসে…..আর পুলিশ অফিসার ঢুকলো হলরুমে…..সবাই বসা থেকে উঠে দাড়ালো…..আর অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকালো…………….

নীল: অফিসার আপনি এখানে ?

পুলিশ অফিসার: ইউ আর আন্ডার এরেস্ট,,,মি. মানিক চৌধুরি।

মানিক_অনু,,,নীল_নীলা,,,মেঘ_মিহু,,,সাগর_নাদিয়া,,,আবির_লিসা,,,নিলয়_নদী……. সবাই ৪৪০° ভোল্ট এর শকড খেলো …….সবাই সবার দিকে অবাক চোখে তাকালো….

মেঘ: এক মিনিট,,,অফিসার আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন তো ?

পুলিশ অফিসার: তো আমি কি ভুল জায়গায় এসেছি ?

সাগর: আপনি মানিক কে এরেস্ট করতে এসেছেন ?

পুলিশ অফিসার: কেনো আপনারা শুনতে পেলেন না ?

আবির: আপনি মানিক কে এরেস্ট করতে এসেছেন,,,মানিকের মা জানে সেটা ???

পুলিশ অফিসার: একজন অপরাধী কে ধরতে হলে কি,,,কারো পারমিশন এর দরকার হয় ?

নিলয়: অফিসার মুখ সামলে কথা বলুন ? ( রেগে )

পুলিশ অফিসার: আমি এখানে আমার টাইম নষ্ট করতে আসিনি,,,মি. মানিক চৌধুরি চলুন আমাদের সাথে।

মানিক: ওয়েট অফিসার,,,কি কম্পেলেন আছে আমার নামে ? আপনি কেনো আমাকে এরেস্ট করতে এসেছেন ? আমার তো জানা দরকার তাইনা ? আপনি মি. মানিক চৌধুরি কে থানায় নিয়ে যাবেন এমনি এমনি?

পুলিশ অফিসার: আপনার নামে থানায় কেস আছে।

নীল: হোয়াট ?

পুলিশ অফিসার: ইয়েস,,,উনার নামে কেস করেছে একজন।

মেঘ: কে করেছে কেস ওর নামে ? ( রাগি ভাবে )

পুলিশ অফিসার: মিস. অনিসা ইশা অনু,,,উনার নামে গতকাল কেস করেছে থানায় গিয়ে।

পুলিশ অফিসার অনুর কথা বলতেই….অনুর বুক কেঁপে উঠে….অনু কিছু বলার ভাষাই পাচ্ছিলো না….কারন অনু তো কিছুই জানে না….তাহলে মানিক এর নামে সে কেস কি ভাবে করলো…..আর অন্যকেউ হলেও মানা যেতো….কিন্তু মানিক?…..যাকে ভালোবাসে তার নামে কেস আর অনু করবে…..সবাই তো অবাক হয়ে গেলো….অনু এটা কি করে করতে পারে……সবাই হাজারো প্রশ্ন নিয়ে….অনুর মুখের দিকে তাকায়…..আর অনু কিছু বলতে না পেরে…..শুধু মাথা নারিয়ে না….বলে যাচ্ছে সবাইকে….যে সে কিছুই জানে না….সে এমনটা করেনি……মানিক অনুর হাতের দু বাহু আলতো করে ধরে…..নিজের দিকে ঘুরিয়ে………………

মানিক: অনু অফিসার এগুলো কি বলছে ?

অনু: অফিসার কি বলছেন আপনি এগুলো ? ( কান্না করে )

পুলিশ অফিসার: ( এই তাহলে অনু ) কেনো গতকাল আপনি জাননি আমার কাছে থানায় ?

অনু: ( ওরা সবাই মানিকের সাথে অফিসার এর সাথে কথা বলতে লাগলো,,,আমি কিছু বলবো আর ফোনে একটা মেসেজ এলো….অপেন করে দেখি সায়েমার মেসেজ {{{ ,,,মানিক কে যদি বাঁচাতে চাও,,,তো তুমি শিকার করো যে,,,তুমি মানিক এর নামে থানায় পুলিশ অফিসার এর কাছে কেস করিয়েছো,,,নয়তো তোমার মানিক এবার আর বাঁচবে না,,,কথাটা মাথায় রেখো,,,মানিক কে বাঁচাতে চাইলে আমি যা বলবো তাই করো }}} সায়েমার মেসেজ দেখে চোখ থেকে পানি পরে গেলো,,,কি করবো এখন আমি )

সাগর : অনু কিছু বল তুই ?

আবির: অফিসার কি কেস করেছে অনু ?

পুলিশ অফিসার: মানিক চৌধুরি উনাকে প্রতিদিন নানা ভাবে ডিস্টাব করে,,,কলেজে প্রথম দিন থেকে মানিক উনাকে #Torture করে,,,আর এখনও উনাকে ডিস্টাব করে। আর আমরা আছি উনাদের মত মেয়েদের রক্ষা করার জন্য। এখন হয়তো মিস. অনু ভয়ে কিছু বলছে না। মিস‌.অনু এটাও বলেছে যে,,,সে মানিক চৌধুরি কে ভয় পায়।

নিলয়: কি বলছে অনু এসব,,,অফিসার ?

সবাই পুলিশ অফিসার এর মুখে……এমন কথা শুনে…..অবাক হয়ে অনুর দিকে তাকালো…..আর অনু চোখের পানি ফেলে যাচ্ছে….মানিক অনুর দিকে তাকিয়ে আছে….কিন্তু কিছু বুঝতে পারছে না…..সবাই অনেক বার করে অনুকে জিঞ্জাসা করছে…..অনু কিচ্ছু বলছে না……অবশেষে অনু চেচিয়ে বলে উঠলো……

অনু: হ্যাঁ,,,আমি মানিক এর নামে থানায় কেস করেছি। আগে মানিক আমার উপর যে #Torture করেছিলো তার প্রতিশোধ নিয়েছি আজ আমি। ( সরি মানিক,,,পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও )

অনুর কথাগুলো শুনে….মানিক এক সেকেন্ড এর জন্য চুপ হয়ে গেলো…..মানিকের মাথায় জেনো আজ আকাশ ভেঙ্গে পরলো….মানিক শুধু অবাক হয়ে অনুর দিকে তাকিয়ে আছে….হাজারো প্রশ্ন নিয়ে……আর অনু মানিক এর দিকে তাকিয়েও চোখ ফিরিয়ে নিলো……………….

নীলা: অনু তুই এটা করতেই পারিস না।

মিহু: ( অনুর হাতের দু বাহু ঝাকিয়ে ) অনু বলে দে,,,এখন যা বললি সব মজা করে বলেছিস,,,আমি জানি তুই এটা করিস নি।

নাদিয়া: অনু প্লিজ বলে দে না,,,তুই এটা করিস নি।

লিসা: অনু দেখ আমি কিন্তু জানি তুই এটা করিস নি।

নদী: অনু চুপ করে আছিস কেনো তুই ?

অনু: কারন এটাই সত্যি,,,যে আমি মানিক এর নামে থানায় কেস করেছি। ( মানিক এর দিকে তাকিয়ে,,,চোখে পানি নিয়ে )

পুলিশ অফিসার: মি. মানিক চৌধুরি,,,চলুন আপনাকে আমাদের সাথে থানায় যেতে হবে।

নীল: আপনি যানেন কাকে বলছেন কথাগুলো ?

মেঘ: আপনার চাকুরি থাকবে না কিন্তু,,,?

সাগর: মানিকের মা জানতে পারলে কি হবে,,,জানেন আপনি ?

আবির: মানিক কোথাও যাবে না।

নিলয়: অনু তুই এখনও কিছু বলবি না।

মানিক: ওয়েট গাইজ,,,চলুন অফিসার। আমি যাবো আপনার সাথে ( অনুর দিকে তাকিয়ে )

নীল: কিন্তু মানিক ?

মানিক: অনু যদি,,,আমার নামে থানায় কেস করেই থাকে,,,আমাকে তো যেতে হবেই থানায়।

মেঘ: মানিক তুই থানায় যাবি ?

পুলিশ অফিসার: আমাদের কিন্তু লেট হচ্ছে।

তারপর পুলিশ অফিসার….মানিকের হাতে হ্যান্ডকাপ পরাবে….মানিক শুধু রাগি চোখে পুলিশ অফিসার এর দিকে তাকালো…..পুলিশ অফিসার সাথে সাথে হ্যান্ডকাপ নামিয়ে নিলো…..ভয় পেয়ে…কারন তারা জানে মানিক কি করতে পারে তাদের…..তারপর তারা এমনি মানিক কে গাড়িতে করে নিয়ে গেলো থানায়……..পিছে দুটো গাড়ি নিয়ে….সবাই গেলো থানায়…………

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন প্লিজ😊