শুকতারা পর্ব-২

0
2660

#শুকতারা (পর্ব-২)
#হালিমা রহমান

সূচি ভেবেছিল বাবা বাড়ি ফিরলে হয়তো কপালে আজ দুঃখ আছে। মা নালিশ করবে,তারপর প্রতিবার যা হয় ঠিক তাই হবে।কিন্তু তেমন কিছুই হলো না। পরিবেশ সব ঠিকঠাক।রাতের খাবার খেয়ে সূচি নিজের ঘরে চলে এলো।খাটের উপর বসে কান পেতে রইলো।বাবা-মা এখন সারাদিনের কথা বলবে।অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবে ভাত খেতে খেতে।সূচির সামনে তারা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন না। আড়িপাতা স্বভাব আছে সূচির।তার রুমের সাথেই রান্নাঘর।টিনের সাথে কান চেপে ধরলেই ওপাশের কথা ভেসে আসে। টিন ভীষণ ঠান্ডা হয়ে আছে।সূচির কান অবশ হয়ে আসে।তবুও সরে আসে না মেয়েটা।সত্যিই সূচির বাজে অভ্যাসের অভাব নেই।

সাহিদা বেগম স্বামীর পাতে আরেকটু ডাল তুলে দিলেন। চিন্তিত হয়ে বললেনঃ” মাইয়াডা দিনদিন লাগামছাড়া হইতাছে।কি করবেন?”

_” কি আর করুম? এতো মারি তাও তো কিছুই হয় না।”

_” বংশছাড়া বেয়াদব একটা। এহন নাকি মাইরও ওর গায়ে লাগে না।আজকে দুপুরেও রত্নাগো বাসায় গেছিলো।মাইয়া মাইনষের এতো ছটফটানি ভালো না।”

_” রত্নার লগে থাকলে সমস্যা নাই।শুনো নাই সঙ্গদোষে লোহা ভাসে? তোমার মাইয়ার চেয়ে রত্না হাজার গুন ভালো।”

টিনের ওপারে বসে সূচি মুখ বাঁকায়।হুহ,রত্না ভালো! ওর ভিডিওগুলো যদি একদিন বাবাকে দেখাতো পারতো,তবে বেশ হতো।

মমিন শেখের খাওয়া প্রায় শেষের দিকে।সাহিদা বেগম একটু ইতস্তত করে বললেনঃ” ইয়ে,ওই সূচির বিয়ে-শাদির কথা..

_” তোমার মাইয়ার জন্য পাত্র আসে না, সাহিদা।সেদিন এক ঘটকের সাথে কথা বলছিলাম।হেয় কইলো দুই-একটা ছেলে দেখছিলো কিন্তু মাইয়ার বড় বইনের কথা শুনলে আর কেউ আগায় না।সবার এক ভয়, এইডাও যদি এমন করে।”

_” আমার সূচি ওমন না।একটু বেয়াদব কিন্তু ওর চরিত্রে দোষ নাই।”

প্লেটে পানি ঢেলে হাত ধুয়ে ফেললেন মমিন শেখ।উঠতে উঠতে আফসোসের সুরে বললেনঃ” আমার সূচি যদি আরেকটু সুন্দর হইতো,তাইলে চিন্তাই করা লাগতো না।গায়ের রংটা যদি আরেকটু উজ্জ্বল হইতো! সুন্দর মাইয়াগো বিয়া দেওন যায় তাড়াতাড়ি।”

সূচির কানে কথাগুলো আসতেই সরে যায় সূচি।ভিতরটা তেতো হয়ে গেছে মুহূর্তেই। এসব কথা প্রায় শুনতেই হয় সূচির। সূচি খাট থেকে নেমে খুঁটির সাথে ঝোলানো ছোট আয়নার সামনে দাঁড়ায়।শুধু চেহারাটা দেখা যাচ্ছে।সবাই বলে সূচি ভূমির মতো সুন্দর নয়।মেয়েটার গায়ের রঙ একটু চাপা।তাতে কী? ভূমি বলে, সূচির চোখ দুটো নাকি খুব সুন্দর।কালির মতো কালো মনির দুটো বড় বড় চোখ। হাসিটাও নাকি দেখার মতো।শুধু ভূমিই বলে এসব, আর কেউ বলে না।সবার এক কথা, সূচির গায়ের রঙ শ্যামলা।হোক শ্যামলা তাতে কার বাবার কী? সূচির চোখ,হাসি কি আর কারো চোখে পড়ে না? দোষ কি সূচির? উঁহু।ভূমি ছাড়া আর কেউ সৌন্দর্য বোঝেই না। যারা বলে সূচি সুন্দর না, তাদের কপালের নিচের চোখ দুটো সৌন্দর্য চিনে না।সবাই কি আর কদর করতে জানে? সূচি অকারণেই চোখে একটু কাজলের রেখা টেনে দেয়। কুচকুচে কালো রঙ, বড় বড় চোখ দুটোতে বেশ মানায়।

সূচি বেশ মুখরা।কথায় কথায় উত্তর দেয়,বড় হোক অথবা ছোট।পড়াশোনায় মেধা একদম নিম্নস্তরের। সব ক্লাসে টেনেটুনে পাশ। ভূমি থাকতে তবু জোর করে পড়তে বসতে হতো।এখন ভূমিও নেই,সূচির পড়াও নেই। ভূমির অবদানেই সূচির কথা বলার ধরন ভিন্ন।গ্রামের মেয়ে হলেও কথায় কোনো আঞ্চলিকতা নেই।ভূমি এমনটাই ভালোবাসতো।তাই বোনকে ঠিক সেভাবেই গড়েছে।মেয়েটা খুব অগোছালো।যেখানেই যায়,সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখে।বাড়ির ভাবি মহলের সাথে সূচির বিশেষ খাতির।তাদের নিত্যদিনের সুখ-দুঃখের সাথী সূচি।স্পর্শকাতর সব আলোচনার একমাত্র শ্রোতাও সূচি। এই তো সেদিন, চম্পা ভাবীর কম্বলের নিচে শুয়ে সূচি তার প্রেম কাহিনী শুনছিল।রায়হানের সাথে বিয়ে হওয়ার আগে নাকি তার তিন-চারটে প্রেম ছিল।ওসব গল্পই বলছিলো সূচির সাথে।আবার উত্তরের ঘরের জয়া ভাবীর সাথে সূচির গলায় গলায় ভাব। জয়া ভাবী একগ্লাস পানিও খায় না সূচিকে ছাড়া।তার ঘরের খবর,সংসারের খবর সব ঠেসেঠুসে গিলে সূচি।তারপর আছে মনি ভাবী। এই মানুষটাকে বিশেষ পছন্দ সূচির।তার মোবাইলে বিভিন্ন আমলের হিন্দি ছবি আছে।মনি ভাবী ওসব সূচিকে ছাড়া দেখেই না। বালিশে হেলান দিয়ে সূচি যখন অতি রোমান্টিক দৃশ্যগুলো দেখে তখন লজ্জায় তার কান অবধি গরম হয়ে যায়।মাঝে মাঝে তার নিজেরই লজ্জা করে।ইশ! নায়ক-নায়িকা গুলোর লজ্জা করে না?

ফয়সালকে খুব পছন্দ সূচির।কাজী ফয়সাল,কাজী বংশের ছেলে।ভূমির সহপাঠী ছিল।সেই সুবাদেই চেনা-জানা।এ গ্রামের সফল ছেলেগুলোকে যদি এক কাতারে ফেলা যায় তবে ফয়সালের জায়গা হবে সবার আগে।সফল খামারি সে। তার খামারে কি নেই? পেঁপে গাছ থেকে শুরু করে লালশাক,পালংশাক,লাউশাক,ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, মরিচ— কোনোকিছু বাদ নেই।খামারের ভিতরেই একটা মাঝারি আকারের পুকুর আছে, ওখানে মাছ চাষ হয়।তিনটে গরুও আছে ফয়সালের।এই বয়সেই কতকিছু সামলাচ্ছে! ফয়সালের বাবা নেই।বাবার অবর্তমানে এসব নিজেই করেছে।উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়াশোনা হলো না।ফয়সালের বড় ভাই তখন দেশে ছিল।আয়- রোজগার নেই। নিতান্ত বাধ্য হয়েই খামারে হাত দিয়েছিল ফয়সাল।কৃষি অফিসের বড় অফিসার এই গ্রামের মানুষ। কিভাবে কি শুরু করতে হবে সেসব তিনিই দেখিয়ে দিয়েছিলেন।ফয়সাল তার কথা শুনে বিসমিল্লাহ করেছে শুধু।তারপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।সচ্ছলতা নিজে এসে ধরা দিয়েছে ফয়সালের দোরগোড়ায়।
তবে গ্রামে ফয়সালের যেমন সুনাম আছে,তেমনি ফয়সালের পরিবারের দুর্নামও আছে। বিশেষত ফয়সালের মায়ের।সে নাকি ভীষণ লোভী মহিলা।বড় ছেলের বউয়ের সাথে মোটেও মিলেমিশে চলতে পারে না।সারাক্ষণ খিটখিট করে।ফয়সালের বড়ভাই আফজালের বিয়েতে যৌতুকও নিয়েছে এই মহিলা।তবুও বউটাকে একটুও শান্তি দেয়।

অবশ্য সূচি এসব বিশ্বাস করে না। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবে কেন? ফয়সাল দেখতে ভালো,ভূমির মতোই সুন্দর করে কথা বলে,আচার-ব্যবহারে নম্র-ভদ্র।পরিবারের শিক্ষা না পেলে মানুষ এমন হয়? যারা ফয়সালের পরিবারের নামে দুর্নাম রটায়,তাদের আসলে খেয়ে দেয়ে কোনো কাজ নেই।মানুষকে সুখে থাকতে দেখলেই এদের গা জ্বলে।তাই তো শুধু নিন্দা করে।

_” সূচি ঘুমাইছোছ?”

মায়ের প্রশ্নের জবাব দেয় না সূচি।লাইট বন্ধ করে খাটের উপর কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ে।চোখ বন্ধ করে অভ্যাসবশত বিড়বিড় করে প্রিয় জিনিসটা ভিক্ষা চায় খোদার কাছে।

_” আমার ভাগ্যে যেন ফয়সাল থাকে।প্লিজ আল্লাহ,আমি আর কিছু চাই না।শুধু ওই মানুষটারে ভিক্ষা দাও আমায়। একটু দয়া করো।”

উঠতে,বসতে ফয়সালকে চাওয়া সূচির নিত্যদিনের অভ্যাস।

***

প্রতি বিকালেই রত্না ও সূচি হাঁটতে বের হয়।সাহিদা বেগমের এতে তীব্র আপত্তি থাকলেও কিছুই বলেন না।মমিন শেখ রত্নাকে খুব বিশ্বাস করেন,মেয়েকে ওর সাথে মিশতে দেন। সাহিদা বেগম আর কি বলবেন? স্বামীর মুখের উপর কোনো কথা বলেন না তিনি।

রত্না ও সূচি হাঁটছে।তাদের গন্তব্য ফয়সালের খামার।খামারটা বেশ বড়।বাইরের মানুষ খুব একটা ঢুকতে পারে না ভিতরে।তবে রত্নার কথা ভিন্ন।রত্নাদের সাথে ফয়সালদের বেশ ভালো খাতির আছে। রত্নার মা, ফয়সালের মা ছোট কালের সই।পারিবারিক বন্ধুত্বও বেশ আছে দু-পরিবারে।তাই রত্না যখন-তখন খামারে গেলেও ফয়সাল কিছুই বলে না।

_” সূচি,জানোস রাতুল জানুয়ারিতে দেশে আসব।তারপর আমগো ভোলায় আসব আব্বা-আম্মারে প্রস্তাব দিতে।”

_” আঙ্কেল,আন্টি রাজি হবে?”

_” জানি না।দোয়া কর যেন রাজি হয়।আমারে বলছে বিয়ার পর সৌদি নিয়া যাইব।”

লাজুক হেসে ওরনা আঙুলে পেঁচায় রত্না।সূচিও হাসে।হেসে প্রশ্ন করেঃ” আর পড়বি না?”

_” না,বিয়া করলে আর পড়মু ক্যান? পড়ালেখা ওতো ভাল্লাগে না আমার।তুই পড়বি?”

_” আব্বা যদি বিয়ে দিয়ে দেয়, তাহলে আর পড়ব না।কিন্তু বিয়ে না দিলে এখনো বলতে পারছি না।”

খামারে ঢুকে এদিক-ওদিক আড়চোখে তাকায় সূচি।কালো রঙের গরু তিনটাকে ঘাস খাওয়াচ্ছে সে।মাঝে মাঝে পিঠে,মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।আহ! কি সুন্দর।গরুকে ঘাস খাওয়ানোর কাজটাও সূচির চোখে শিল্প হয়ে ধরা দেয়।

_” আহ,গরুগুলোর কি সৌভাগ্য! ওমন সুন্দর মানুষটার কাছাকাছি থাকা চাট্টিখানি কথা? কি সুন্দর করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে! ওমন সুন্দর করে হাত বুলিয়ে দিলে আমিও ঘাস খেতাম।”

বিড়বিড় করে বলায় রত্নার কানে গেল না কথাগুলো।সে ফোনে ব্যস্ত। নতুন একটা ট্রেন্ড শুরু হয়েছে টিকটকে। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে লাজুক হেসে বলতে হয়—” আপনাকে আমার ভালো লাগে।”
রাতুল এরকম একটা ভিডিও বানাতে বলেছে।সে নাকি ডুয়েট করবে।রত্না সবকিছু ঠিকঠাক করে সূচির হাতে ফোন ধরিয়ে দিলো।বাবা-মায়ের এক মেয়ে হওয়ায় রত্নার আদর বেশি।যখন যা চায়, তাই পায়।মাঝে মাঝে রত্নার বাবা, রতন আঙ্কেলের সাথে নিজের বাবাকে অদল-বদল করতে ইচ্ছে করে সূচির। এতো শাসন,বারণ, সন্দেহ,মারধর আর ভালো লাগে না সূচির।

মোবাইলের সামনে দাঁড়িয়ে রত্না রং-ঢং করছে। লাজুক হাসি ঠিক আসছে না ঠোঁটে।অবশ্য অকারণে হাসি আসবে কেন? কি একটা বাক্য– আপনাকে আমার ভালো লাগে। এই নিয়ে তিনবার একই রকম ঢং করে একই বাক্যটাকে ঘুরে-ফিরে বললো রত্না।কিন্তু মনমতো হচ্ছে না।সূচি বিরক্ত হয়।বিরসমুখে বলেঃ” আর কতবার করবি?”

_” হইতাছে না তো।”

_” এই কথাটা কি অনেক সুন্দর? এটা দিয়েই কেন ভিডিও বানাতে হবে?”

_” রাতুল বলছে।”

_”তোর রাতুলকে বগলদাবা করে জাহান্নামে যা তুই।
আমি আর পারব না।তুই বাসায় নিরিবিলি করে নিস।”

_” না বইন,যাইস না।আরেকবার,প্লিজ।এই জায়গার পরিবেশটা সুন্দর। বাসায় এমন পরিবেশ আমি কই পামু?”

সামনে ফেলে রাখা চুলগুলোকে পিঠে ফেলে দেয় রত্না।উঁচু-নিচু মাটির উপর দাঁড়িয়ে আরেকবার চেষ্টা করে। জোর করে চোখ বন্ধ করে মুখে লাজুক হাসি ফোটায়।নিচের দিকে চেয়ে আঙুলে ওড়না জড়িয়ে বলেঃ” আপনাকে আমার ভালো লাগে।”

ব্যাস, শেষ।সূচি বিরক্ত হয়ে রত্নার হাতে ফোন গুজে দেয়।গলায় একরাশ বিরক্তি নিয়ে বলেঃ” এতো জান-প্রাণ দিয়ে পড়ালেখা করলে গ্রামের ছেলেগুলো তোর পিছু ঘুরে এই কথাটা বলতো। একটা ভিডিও বানাতে এতো কষ্ট!”

_” তুই এইসব বুঝবি না ”

দূর থেকে ফয়সাল এসে দাঁড়ালো ওদের সামনে। সূচির পেটে মোচড় দিলো।এই মানুষটা এতো সুন্দর কেন?

_” ভালো আছো,রত্না?”

_” জ্বি,ভাইয়া।আপনে ভালো আছেন?”

_” এই তো আছি একরকম।এইটা কে সূচি নাকি?”.

_” জ্বি।”

_” ভালো আছো সূচি?”

সূচির জ্বিভ জড়িয়ে আসে।উত্তর দিতে পারে না তাই মাথা নাড়ে।

_” ভূমি ভালো আছে?”

এবারেও মাথা নাড়ে সূচি। চূড়ান্ত অভদ্রতা।ফয়সাল হয়তো বিরক্ত হয়েছে।সূচির দিক থেকে চোখ সরিয়ে রত্নাকে বলেঃ” সন্ধ্যার আগে বাড়ি চলে যেয়ো রত্না।কাকিকে নিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে ঘুরে এসো একদিন।”

_” ঠিকাছে ভাইয়া।আপনেও যায়েন।”

_” আচ্ছা।”

ফয়সাল চলে যায় আরেকদিকে।এটা তার রাজত্ব।রত্না বিরক্ত হয়ে সূচির দিকে তাকায়।

_” তুই কি বোবা,সূচি?”

_” উঁহু। ”

_” মাথা নাড়ায়া উত্তর দেওয়া অভদ্রতা।”

_” আমি কি করব? ওনাকে দেখলেই আমার পেট মোচড় দেয়।জ্বিভ আটকে যায়।আমার কী দোষ?”

_” ঢং দেখলে বাঁচি না।”

_” বাঁচা লাগবে না। তুই মরে যা। ভাইরে, ওই ব্যাক্তিরে দেখলে যে আমার কি হয় আমি নিজেও জানি না। উনি এতো ভদ্র কেন, বল তো? যদি একটু অভদ্র হতো! যদি ভদ্রতা ভুলে অভদ্র হয়ে আমার সাথে একটু প্রেম করতো! এইটুকু, এই এতুটুকু প্রেম।”— এক আঙুল দিয়ে আরেক আঙুলে স্পর্শ করে দেখায় সূচি।

রত্না অবাক না হয়ে পারে না। বিস্মিত চোখে একবার লাউয়ের মাচার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ফয়সালকে দেখে,আরেকবার সূচিকে দেখে। মিনমিন করে বলেঃ” তুই মরছোস সূচি,মরছোস।”

_” মরণে যদি এতো সুখ হয়,তবে হাজারবার আমি মরতে রাজি। দোয়া কর ওই ফয়সালটা যেন আমার হয়,শুধু এই সূচির।”

অদ্ভূত চোখে সূচি চেয়ে থাকে ফয়সালের দিকে।ফয়সালের পুরোটা জুড়েই কেবল মুগ্ধতায় জড়ানো।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here