না_চাইলেও_তুমি_আমার
পর্বঃ ০৫
জাহান আরা
আজ রাত্রির এনগেজমেন্ট।রাত্রির সব বন্ধুবান্ধব এসেছে,চন্দ্রর বন্ধুবান্ধব ও এসেছে। মারিয়া ও বাদ যায় নি।
আগের সেই তেজস্বিনী মেয়েটা খুবই চুপসে গেছে,মুখে ব্রণ ভর্তি,চোখের নিচে কিছুটা কালি পড়েছে।
পরনে দামী শাড়ি,গায়ে গহনা,সাজগোজ পাগলী সেই মেয়েটা আজ যেনো চোখে কাজল দিতেও জানে না।
চন্দ্রর ভীষণ কষ্ট হয় মারিয়া কে দেখে,লোভ মানুষের জীবন কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায় মারিয়া তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
বাসায় মেহমানে গিজগিজ করছে।চন্দ্র,মারিয়া,সিমি,ইতু,লিপি বসে আছে। ছাদে বসার জন্য সিমেন্টের বেঞ্চি বানানো আছে,একপাশে সবাই বসে আছে।
অন্যপাশে রাত্রির কয়েকজন বান্ধবীরা বসে বসে গান গাইছে।
মারিয়া চুপচাপ হয়ে বসে আছে। বুকের ভিতর তুমুল ঝড় বইছে,যে বোকামি করেছে সে তা শোধরাবার চেষ্টা নিজেকেই করতে হবে।
লিপি প্রশ্ন করে মারিয়া কে উদ্দেশ্য করে ,”তুই যাচ্ছিস কবে রে আমেরিকা?”
“আমার আর আমেরিকা যাওয়া! যবে নিষাদ নিয়ে যাবে তবেই যাবো”
নিষাদের নাম শুনতেই চন্দে কেমন কেঁপে উঠে।এই ৪দিনে নিষাদ কে ভুলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে চন্দ্র,কিন্তু কেনো জানি নিষাদ৷ বারবার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
অফিস টাইম ছাড়া বাকি সময় নিষাদ চন্দ্রর বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।
চন্দ্র ভীষণ বিব্রতবোধ করে।কেনো এরকম করছে নিষাদ!
উত্তর জানা নেই চন্দ্রর।
সিমি জিজ্ঞেস করে,”কেনো,নিষাদ ভাই কেনো নিবে,তোর নাগর কোথায় এখন?
সব সুখ মিটে গেছে না-কি?
নাকি তোর জামাই পারে না,দুর্বল,তাই আবার নিষাদ ভাইয়ের গলায় ঝুলতে চাস?”
সিমি সবসময়ই ঠোঁটকাটা স্বভাবের,মুখে কোনো কথা আটকায় না,রাগের সময় যা-তা বলে ফেলে।চন্দ্র ভেবেছিলো মারিয়া রাগ করবে এরকম কথা শুনে কিন্তু চন্দ্রকে অবাক করে দিয়ে মারিয়া হেসে উঠে।
এতোক্ষণে এই প্রথম মারিয়া কে হাসতে দেখছে সবাই।
“শাহেদ তো কিছু করেই নি এখনো,কিভাবে বুঝবো বল দুর্বল নাকি সবল?
ও তো চলে গেছে ২দিন আগে আমেরিকা,তবে ওর কথা শুনে তো মনে হয় নি দুর্বল,বরং জেনিফার নামের মেয়েটার সাথে সেক্সের বর্ণনা যেভাবে রসিয়ে রসিয়ে দিয়েছে তাতে মনে হয় খুব দুর্বল না”
মারিয়ার মুখে এই কথা শুনে থ মেরে যায় বাকী ৪জন,মারিয়ার স্বামী এরকম হতে পারে কেউ স্বপ্নেও ভাবে নি।
চোখ ভিজে উঠে সবার,সিমির মুখের রঙ পালটে যায়,মারিয়ার আরো কাছে গিয়ে বসে জিজ্ঞেস করে,”কি বলছিস এসব তুই মারু?
কি হয়েছে তোর?”
চন্দ্র এগিয়ে গিয়ে মারিয়ার হাত চেপে ধরে,বুকের ভিতর অস্থিরতা বাড়ছে চন্দ্রর,মারিয়া তো নিজের কষ্টের কথা বলতে পারছে ওদের,চন্দ্রর বুকের ভিতর যে ব্যথা তা তো কাউকে বলতে পারে নি চন্দ্র।
“বাসর রাতেই জানতে পারি শাহেদ পর নারীতে আসক্ত,আমাদের বাসর রাতে শাহেদ সেই মেয়ের সাথে সারারাত কথা বলেছে,এতো অশ্লীল কথা,আমি বমি করে দিয়েছি শুনে,শাহেদ ওই মেয়ের সাথে অনেক বার সেক্স করেছে,ওই মেয়ের জন্যই তাড়াতাড়ি চলে গেছে আমেরিকা।
এই ৪ দিনে একবার ও আমাকে ছুঁয়ে দেখে নি,আমাকে নাকি ওর পছন্দ ছিলো না শুধু ওর বাবা মায়ের খেদমত করার মানুষ নেই বলে বিয়ে করে এনেছে।আমি নিজের হাতে নিজের কপাল পুঁড়িয়েছি,আমি নিষাদ কে ছাড়া বাঁচতে পারবো না রে চন্দ্র”
এরকম কিছু ঘটবে মারিয়ার সাথে কেউ ভাবে নি সেটা।
সব শুনে লিপি জিজ্ঞেস করে,”নিষাদ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেছিস?”
“বাসর রাতে কল দিয়ে ওকে জানিয়েছি,ও কি বলেছে জানিস?”
“কি?”
“ও বলেছে ও নাকি বিয়ে করে ফেলেছে সেদিনই আমার উপর রাগ করে,আমার চ্যাপ্টার নাকি ও ক্লোজ করে দিয়েছে,ও ওর বউকে অনেক বেশী ভালোবাসবে”
নিষাদের বিয়ের কথা শুনে সিমি,লিপি,ইতু খুব অবাক হয়,চন্দ্র অবাক হওয়ার ভান করে। এতোক্ষণে চন্দ্র বুঝতে পারে নিষাদ কেনো এরকম করে বাসা সামনে এসে।
এতো তাড়াতাড়ি নিষাদ মারিয়া কে ভুলে গেছে শুনে অবাক লাগে চন্দ্রর।
নিজের চোখে দেখা ওদের সম্পর্ক,ওদের এরকম বিচ্ছেদ চন্দ্র মেনে নিতে পারছে না,আবার নিজের সাথে এরকম টা ও মেনে নিতে পারছে না।
“আমি নিষাদ কে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবোই,যেভাবেই হোক,এই শাড়ি গহনার ভার আমার সহ্য হয় না,আমি নিষাদকে নিয়ে গাছতলায় থাকতে চাই”
হঠাৎ করেই চন্দ্রর ভীষণ রাগ লাগে মারিয়ার কথা শুনে,ধমকে উঠে বলে,”ইশ,আসছে এখন গাছতলায় থাকতে,সেদিন মনে ছিলো না এই কথা,আমেরিকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে সব ভুলে গেলি,এখন ও বিয়ে করেছে,ওর স্ত্রী আছে,কোন আক্কেলে এখন ওর সংসার ভাঙতে চাস তুই?”
সিমি,ইতু,লিপি সবাই চন্দ্রর কথায় সম্মতি জানায়।চন্দ্র কথাগুলো বলে বুঝতে পারে অবচেতন মনের কোথাও নিষাদের জন্য ওর একটা দুর্বলতা রয়েছে।চন্দ্র নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে যায় নিজের কথায় নিজে।
মারিয়া অবাক হয়ে চন্দ্রকে দেখে,তারপর চোখ ছোট করে জিজ্ঞেস করে,”তুই তো সবসময় নিষাদ কে নিষাদ ভাই বলতি,উনি বলতি,আর আজ ও বললি যে?”
নিজের বলা কথাতে নিজেই আটকা পড়ে গেলো,কি বলবে খুঁজে পাচ্ছে না।
“ও বলুক,উনি বলুক,সে বলুক,তাতে তোর সমস্যা কিসের,নিষাদ তো আর চন্দ্রকে বিয়ে করে নি,আমি ও তো আগে নিষাদ ভাই বলতাম এখন নিষাদ বলছি,তো কি হয়েছে তাতে,এতো খোঁচাখুঁচি করছিস কেনো অযথা?
শুন নিষাদ যখন বলেছে ওর বউকে ভালোবাসবে তবে তুই আর সুবিধা করতে পারবি না,ওকে ২ বছরে যতোটুকু দেখেছি এটুকু বুঝেছি ও এক কথার মানুষ।”
সিমির কথা শুনে মারিয়া কিছুটা আশাহত হয়,তারপর বলে,”আমার কষ্ট তোরা বুঝবি না,যদি নিজের ভালোবাসার মানুষ কে আমার মতো ভুল করে নিজে ছেড়ে আসিস কখনো তখন বুঝবি এই জ্বালা কেমন।”
চন্দ্র গুনগুনিয়ে গেয়ে উঠে,
“কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না,বিনিসুতার মালাখানি গাঁথা হলো না।
এই জ্বালা যে এমন জ্বালা যায় না মুখে বলা
বুঝতে গেলে সোনার অঙ্গ (তোমার), পুড়ে হবে কালা
লালন মরল জল পিপাসায় থাকতে নদী মেঘনা
(আমার), হাতের কাছে ভরা কলস তৃষ্ণা মেটে না।
ভালোবাসার অপরাধে হয়েছিল দোষী
(বলো), তাই বলে কি থেমেছিল কদমতলার বাঁশী
দংশিলে পিরিতের বিষে ওঝা মেলে নারে
সেই মরণ যে সুখের মরণ দেখলাম জনম ভরে।”
গান শুনে মারিয়া কেঁদে দেয়,নিজের কান্না গোপন রাখতে চন্দ্র উঠে গিয়ে একপাশে দাঁড়ায়।
চন্দ্র বরাবরই খুব ভালো গান গায়,এতো দরদ দিয়ে গান গায় যে কান্না চলে আসে শুনলে।কখনো কোনো ফাংশনে গায় নি,নিজের ইচ্ছে হলে গায়,কারো অনুরোধে ও গায় না গান।
মারিয়া উঠে গিয়ে চন্দ্রকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে,চন্দ্র নিজেও আর কান্না লুকোতে পারে না।
“চন্দ্র রে আমি অনেক বড় ভুল করেছি,আমি আমার নিষাদ কে ছাড়া খুব অসহায়,তুই তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড,আমার নিষাদকে আমাদ কাছে এনে দে না,আমি ওর দাসী হয়ে থাকবো,আমার বুক ফেটে যাচ্ছে চন্দ্র,আমি নিষাদ কে ছাড়া বাঁচতে পারবো না। আমার নিষাদ কে আমি চাই চন্দ্র।”
চন্দ্রর ভীষণ কষ্ট হচ্ছে,এতো কষ্ট কেনো হচ্ছে চন্দ্র বুঝতে পারছে না। মারিয়ার কষ্টে তার কষ্ট হচ্ছে, নাকি নিষাদের জন্য কষ্ট হচ্ছে,নাকি নিজের এই দুর্ভাগ্যের জন্য কষ্ট হচ্ছে চন্দ্র কিছু বুঝতে পারছে না।
এক গোলকধাঁধায় ফেঁসে গেছে চন্দ্র,পুরোপুরি ফেঁসে গেছে এটুকু বুঝতে পারছে।
নিচে এনগেজমেন্টের সব আচারবিধি পালন হয়ে গেছে চন্দ্ররা ছাদ থেকে আসতে আসতে।
সবাই খেতে বসেছে।
এক টেবিলে চন্দ্ররা সবাই বসে,সবাই খাচ্ছে,মারিয়া খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করছে,এক লোকমা মুখে দিয়ে বসে আছে যেনো গলা দিয়ে খাবার নামছে না।
চন্দ্র সহ্য করতে পারছে না আর এসব।
নিজেকে ভীষণ অপরাধী মনে হচ্ছে চন্দ্রর,কেনো বিয়ে করলো নিষাদকে,তা না হলে তো আজ মারিয়া নিষাদের হতো।
কেনো নিষাদের জন্য মনে কেমন অজানা টান অনুভব করে চন্দ্র,স্বামী হলে কি এরকমই হয়?
সব মেয়েরাই কি এরকম?
অবাক হয়ে ভাবছে চন্দ্র,কথা হয় নি,বার্তা হয় নি,তবুও তো নিষাদ তার স্বামী।
স্বামী শব্দটা ভাবতেই চন্দ্রর মাথা ঝিমঝিম করে,যেই সম্পর্কের কোনো মানে হয় না,সেই সম্পর্ক নিয়ে চন্দ্র কেনো ভাবছে অযথা?
আবারও চন্দ্রর হার্টবিট বেড়ে যায়।
মারিয়া তার দিকে তাকিয়ে আছে,চন্দ্রর মনে হচ্ছে যেনো মারিয়া টেবিলের ওপাশ থেকেও শুনতে পাচ্ছে চন্দ্রর হার্টবিট।
হাত ধুয়ে উঠে যায় চন্দ্র।
রাত্রি আর নিশান এক টেবিলে খেতে বসেছে,এই টেবিলে আর কেউ নেই,চন্দ্র দূরে দাঁড়িয়ে তাকায় তাদের দিকে,নিশান চামচে করে বেড়ে দিচ্ছে রাত্রির প্লেটে,মাছের কাঁটা বেছে দিচ্ছে।
চন্দ্রর ভীষণ আনন্দ হচ্ছে এটা দেখে,রাত্রি আর চন্দ্র মাছের কাঁটা বেছে খেতে পারে না। বাবা,ভাইয়া,ভাবী বেছে দেয় মাছের কাঁটা,আপার দায়িত্ব তো নিশান ভাই নিলো,চন্দ্রর এই দায়িত্ব কে নিবে?
নিষাদ?
না তা কি করে হবে,নিষাদ তো বলেছে সেএ ডিভোর্স দিয়ে দিবে নিজের রাগ কমলে।
তবে কি চন্দ্রকে দ্বিতীয় বিয়ে দিবে?
বিয়ে তো একবারই হয়,কেউ জানবে না,শুধু সে জানবে সে ডিভোর্সি,ভাবতেই বুক ফেটে যায় কষ্টে।
ভাগ্য কেনো এরকম হলো তার!
নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়,ওয়ারড্রব থেকে মায়ের একটা ছবি বের করে।
খয়েরী শাড়ি পরনে,দাঁড়িয়ে আছে মা,দাঁড়ানোর ভঙ্গি কি সুন্দর,যেনো এখনই হেঁটে বের হয়ে আসবেন ছবি থেকে।
মায়ের ছবির সাথে একা একা কথা বলার বদভ্যাস আছে চন্দ্রর,আজও বারান্দায় গিয়ে ছবি বুকে নিয়ে কান্না শুরু করে।
অভিযোগের সুরেই বলে,”মা,কেনো তুমি এতো তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছিলে আমাদের ছেড়ে?
জানো মা,তোমার চন্দ্র আজ কতো বড় হয়ে গেছে,নিজের মাঝে কতো কষ্ট লুকিয়ে রাখতে জানে আজ সে।
মা,তুমি তো জানো আমার বিয়ে হয়ে গেছে। আমার কি হবে এখন মা বলো তো?
আপার আজ এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে,২ দিন পর বিয়ে।
মা গো,আমি যে ভীষণ একা হয়ে যাবো আপা চলে গেলে।
তুমি ফিরে আসো মা,তোমার গায়ের গন্ধ শুঁকে ঘুমাতে চাই আমি তোমার কোলে,আজ ১৭ বছর হয়ে গেছে মা তোমাকে ছাড়া।
ফিরে আসো না মা,আমার যে অনেক কষ্ট,অনেক বেশি কষ্ট মা”
কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে যায় চন্দ্রর।
বাহিরে কেউ দরজায় নক করছে।চন্দ্র বিছানায় ছবি রেখে দিয়ে চোখ মুখ মুছে দরজা খুলে দেয়। দেখে রাত্রি দাঁড়িয়ে আছে খাবার প্লেট হাতে নিয়ে।
চন্দ্রকে টেনে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে দেয়।
মায়ের ছবির উপর চোখ পড়ে রাত্রির,ছবি ভেজা ভেজা লাগছে,চন্দ্রর চোখ ও কান্নাভেজা।
সব স্পষ্ট হয়ে যায় রাত্রির কাছে,চন্দ্র এতোক্ষণ কান্না করেছে মায়ের ছবি নিয়ে।
চন্দ্রর মুখে ভাতের লোকমা তুলে দিতে দিতে রাত্রি জিজ্ঞেস করে,”খাস নি কেনো তখন?
প্লেটে পানি ঢেলে চলে এলি যে,মা’কে বলতে এসেছিস বুঝি?”
চন্দ্র জবাব দিতে পারে না রাত্রির কথার।
“চন্দ্র,আমার একটা কথা রাখবি?”
“হ্যাঁ আপা,বল”
“আমার বিয়ের পর,তুই আমার কাছে থাকবি,ওখান থেকে তোর ভার্সিটি কাছে হবে,হোস্টেলে থাকতে হবে না।
বাবাকে তোর ভাইয়া বলেছে,বাবা ভাইয়া ও রাজি,আমি তোরে একা রেখে যেতে পারবো না বাড়িতে,আমার তোকে না দেখলে খুব কষ্ট হবে রে”
“দূর আপা,কি বলিস এসব?”
“এটা শুধু আমার কথা না,নিশান ও এটা চায়,আমাদের মা নেই,আমরা ২বোন যদি একে অন্যকে না দেখি কে দেখবে আমাদের বল,তুই আমাকে কথা দিয়েছিস কিন্তু”
কিছু না বলে রাত্রির দিকে তাকায় চন্দ্র,রাত্রি নিঃশব্দে কান্না করছে।
চন্দ্র নিজেও কেঁদে উঠে।
ভাতের প্লেট সরিয়ে ২বোন গলাগলি করে কান্না শুরু করে।
নিশান দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ২বোনের কান্না দেখে।তারপর মুচকি হেসে সরে যায়,কেঁদে ২ বোন হালকা হয়ে নিক।
চলবে???