#পাগল_প্রেমিকা
#sharmin_akter_borsha
#পর্ব_০৬
___________
পরেরদিন সকালে তিনজনে তিনজনের উপর হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুমাচ্ছে।
ঠিক তখনি অপূর্ব কাব্য নাহিদ তিনজনে তিন টি মগে করে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসে আমাদের উপর ঢেলে দেয়। সাথে সাথে আমার ও বর্ষা রিমার ঘুম ভেঙে যায় হঠাৎ ঠান্ডা পানি গায়ে পরায় বিছানাতেই উঠে বসে কাঁপতে শুরু করছি। আমাদের তিনজনকে কাপতে দেখে ওরা তিনজন বেশ এনজয় করছে হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের উপর হেলে পরছে আমাদের ওদের তিনজনকে দেখে প্রচুর রাগ হচ্ছে হাত কচলাতে কচলাতে তিনজনেই বিছানা থেকে নেমে দৌঁড়াতে থাকি ওদের তিন জনের পেছনে কিন্তু ওরা তিনজনে দৌঁড়ে বাড়ির বড়দের কাছে চলে যায়।
চিপচিপা ভেজা শরীলে দাঁড়িয়ে আছি আমরা তিনজন বর্ষা বৃষ্টি রিমা..!
বাড়ির সবাই জিজ্ঞেস করছে তোরা ভিজলি কিভাবে?
ওরা ভিজে নাই আম্মু…! (কাব্য ৩২টা দাঁত কেলিয়ে বলল)
তাহলে পরনে ওদের জামা কাপড় ভিজা কেন? (বর্ষার মা)
হইছে কি মামনি? ( অপূর্ব)
আমি কমু আমি… (নাহিদ)
তারপরে কাব্য নাহিদ অপূর্ব তিন জনেই এক সাথে বলল..!
আসলে তোমাদের মেয়েরা বিছানায় হিসু করে দিছে..!
কাব্য অপূর্ব আর নাহিদের কথা শুনে বাড়ির সদ্য সবাই খিলখিল করে হাসছে এদিকে বর্ষা বৃষ্টি রিমা রাগে গজগজ করতে করতে বললো।
ওরা তিনজন মিথ্যা বলছে আমরা যখন ঘুমাচ্ছিলাম ওরা আমাদের উপর পানি ঢেলে দিছে।
বাড়ি সদ্য লোক সবাই আর খুঁজে পেলো না ওদের তিনজনকে ভ্যানিশ হয়ে গেছে। থাকলে ওদের কপালে মার একটাও মাটিতে পরতো না সব পিঠে পরতো.!
বৃষ্টি বর্ষা রিমা রুমে আসে এক এক করে ফ্রেশ হয়ে নেয় আর তারপর ভিজে যাওয়া সব কিছু রোদে শুকাতে দিয়ে আসে ছাঁদে…!
দুপুরের পর মনে হয় ৩টা বাজে…..
বর্ষা সারাদিন পড়া শোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে রিমা সারাদিন ওর গিটার নিয়ে ব্যস্ত থাকে গান গায় আর কি। বর্ষা ডাক্তার হতে চায় রিমা সিঙ্গার হতে চায়। আর আমাদের বৃষ্টি বিয়ে করতে চায় একটা রাজকুমার কে তার স্বপ্নের প্রিন্স চামিং কে যার জন্য অপেক্ষা করতে করতে একটাও প্রেম করে নাই ৫০টার উপর ছেলেকে রিজেক্ট করছে বৃষ্টি আর এইসবের থেকে একশো হাত দূরে থাকে সারাদিন মোবাইল নিয়ে গোতাগুতি করে।
আরে ফোনটা রাখ ওরেও একটু রেস্ট নিতে দে আর কত টিপবি..? (বর্ষা)
চুপ থাক আমি গল্প পড়তাছি ডিস্টার্ব করবি না। (বৃষ্টি)
তোরা চুপ কর আমি গানে কনসেনট্রেশান করতে পারছি না। (রিমা)
হায়রে তোদের একজনের গল্প আরেকজনের গান আল্লাহ বাঁচাও আমারে বলেই আবারও পড়ায় মন দেয়। (বর্ষা)
এদিকে আয় তোরা দু’জন আমার পাশে শুয়ে গল্পটা পড় অনেক হাসির গল্প আমার তো হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে। (বৃষ্টি)
তোর গল্প তুই-ই পড় আমার অতে not interest.. (বর্ষা)
তুই জোরে জোরে পড় আমি শুনতেছি.(রিমা)
যাহ ভাগ তোদের পড়া লাগবো না আমি একাই পড়ি..(বৃষ্টি)
আমাকে তো চিনেনই আর না চিনলে বলছি আমি বৃষ্টি.! এতক্ষণ লেখিকার কাছ থেকে শুনলেনই আমার সম্পর্কে এখন একটু আমি বলি।
আমার স্বপ্ন হচ্ছে বিয়ে করা এটা সত্যি তবে আমার নেশা নতুন নতুন রোমান্টিক ও রোমাঞ্চকর গল্প পড়া! হিহিহি
বর্তমানে ফেসবুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি একজন নিয়মিত স্টুডেন্ট.!
পড়াশোনা ঘোড়ার ডিম ছাই আমার ভালো লাগে না।
আমার ভালো লাগে তো ফেসবুকের রোমান্টিক ও
রোমাঞ্চকর গল্প আর সেটা আমার এই দুই বোনের ভালো লাগে না!
সারাদিন ফেসবুকে শুধু গল্প পড়ি আর গল্পের নায়িকার জায়গাতে নিজেকে কল্পনা করি সাথে গল্পের নায়কের প্রেমে পরি..!
রোমান্টিক গল্প পড়ে নিজেও দিনদিন রোমান্টিক হইয়া যাইতাছি।
ফেসবুকের অনেক গুলো গল্পের মাঝে আমার একটা গল্প খুব ভালো লাগে.!
রোজ অপেক্ষা করি সেই গল্পটা পড়ার জন্য,,, পুরো ২৪ ঘন্টা পর স্টোরি টা পোস্ট করা হয়! একটু বিরক্ত লাগে তবুও অপেক্ষা করি কারণ আমার যে গল্পটা অনেক ভালো লাগে!
বলতে পারেন গল্পের নায়কের প্রেমে পরে গেছি!
হঠাৎ ৪/৫ দিন হয়ে গেলো ওই গল্প টা আর পোস্ট করা হচ্ছে না!
এমনকি যেই আইডি থেকে পোস্ট করতো সেই আইডি টাও আর খুঁজে পাচ্ছি না কোনো কিছুই ভালো লাগে না এখন তাহলে কি আর ওই গল্পের শেষ জানতে পারবো না তারপরেও কয়েকটা গল্প পড়ি কিন্তু ওই গল্পটার মতো গল্প পাই না ওইটা জেনো আমার অন্তরে গেথে গেছে সবসময় শুধু গল্পের নায়কের কথাই মনে পরে আর আবারও নতুন করে নায়কের প্রেমে পরে যাই।
ভেবেছিলাম আর হয়তো গল্পটা পরতে পারবো না(গল্পটার জন্য কিছুটা কান্না ও করি রীতিমতো আমি গল্পের প্রেমে পরে গেছি)
এ-ই ঘটনা আমার বোনদের বললে ওরা হাস্যকর ভেবে হাসতে হাসতে খাটের কোনা মাটিতে পরে যায়।
তারপর ঠিক দু’দিন পর সেইম নামে আরও একটা আইডি আমি দেখতে পাই মনের ভেতরে তো লাড্ডু ফুটতে শুরু করলো।
আহহহহ,,, ভেবেছিলাম এটাই ওই আইডি টা যেটায় ওই গল্পটা পোস্ট হত কিন্তু সিউর ছিলাম না যদি ওই আইডিটা না হয়৷ তাহলে তো আমার খুশি হওয়া বিথা.!
আমি গ্রুপের এই আইডিটায় তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম কিন্তু ওই গল্পটা পেলাম না এই আইডিতে নতুন গল্প পোস্ট দিয়েছে মুখের হাসি বিলীন হয়ে গেলো।
ভেবেই নিয়েছিলাম ওই গল্পটা আমি আর পড়তে পারবো না!
তবুও আমার কিছুটা সন্দেহ হত কারণ আগের আইডিটার যে নাম ছিলো এটারও সেইম তার চেয়েও বড় কথা আইডিতে ছবি গুলোও এক ভাবতে ভাবতে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠাই দিলাম সাথে কয়েকটা মেসেজ।
তারপর বোনদের সাথে বাহিরে ঘুরতে বের হলাম ফোন চার্জে দিয়ে বাহিরে এসে মাথায় আকাশ ভেঙে পরার মতো অবস্থা হলো।
ফাজিল গুলান আশেপাশের সকলের কাছে কইয়া দিছে আমরা তিনজন নাকি আজ বিছানায় হিসু দিছি কি লজ্জার বিষয়। রাস্তায় সবাই ডেকে ডেকে জিজ্ঞেস করছে ঘটনা কি সত্যি নাকও ভার্সিটিতে পড়ি সাথে এত বড় হয়ে এই কাজ লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে।
চল বাড়ি যাই আর ঘুরতে যাওয়া লাগবো না! (বর্ষা)
বৃষ্টি চল দেখ এমনি অনেক অপমান হইছে চল যাইগা আরও অপমান হওয়া থেকে বেঁচে যাবো। (রিমি)
রাগে গজগজ করছি সাথে ওদের হাত ঝাড়া দিয়ে হাটা শুরু করলাম। বাড়ি এসে চিৎকার চিল্লা চিল্লি শুরু করছি। সবাই কারণ জিজ্ঞেস করলে সবটা বলে বর্ষা আর রিমি।
বাড়িতে দাদা দাদু বাবা মা চাচা চাচি ফুফু ও ফুফা সবাই ক্ষেপে আছে ওদের তিন জনের উপর।
কিছুক্ষণ পর কাব্য নাহিদ অপূর্ব বাড়ি ফিরে।
বাড়িতে আসার পর সবাই দেয় ওদের ইচ্ছে মতো ঠেঙ্গানি হুহহ..!
সব শেষে কাব্য বলে।
আমরা তো শুধু ওদের সাথে মজা করেছি।
মজা করেছো মানছি বাড়িতে করেছো আমরা মেনে নিয়েছি কিন্তু রাস্তায় কেনো করবে ওরা কত অপমান হয়েছে তোমরা কি জানো? (দাদা ওদের তিনজনকে বলল)
কাব্য নাহিদ অপূর্ব মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
ওদের কাছে মাফ চাও সরি বলো। (দাদী)
আমরা বড় হয়ে ওদের কাছে সরি বলবো? (অপূর্ব)
বড় হয়ে ছোটদের মতো কাজ করলে মাফ চাইবে না তো কি করবে? (বর্ষার আব্বু)
তারপর কাব্য অপূর্ব নাহিদ হাঁটতে হাঁটতে বৃষ্টি বর্ষা আর রিমির সামনে এসে দাঁড়াল আর অপূর্ব কাব্যর কানে কানে ফিসফিস করে বলে।
আমরা তো ওদেরকে একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম সেটা তো আমরা দিয়েই দিয়েছি আজকের পর থেকে আমাদের সাথে আর পাঙ্গা নিতে আসবে না তাই চল সবার কাছে ভালো হওয়ার জন্য হলেও ওদের সরি বলে দেই।
কাব্য প্রতিউত্তরে বলে।
ঠিক বলেছিস….. তারপরে একে এক কাব্য অপূর্ব নাহিদ ওদেরকে সরি তো বলে সাথে একটা টেডি স্টাইল হাসি দিয়ে চোখ টিপ মারে।
ওদের কানাকানি কথা বৃষ্টি শুনে নেয় আর বৃষ্টি ওঁদের তিনজনকে বলে।
আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তোরা তিনজন এমন করেছিস না দেখ পাঙ্গা কাকে বলে।
কি করবি কি তুই.? (নাহিদ)
দেখ কি করি! (বৃষ্টি)
তারপর বৃষ্টি সবাইকে ডেকে বলল।
ফুপা সেজো চাচ্চু ও ছোটো চাচ্চু তোমাদের মানিব্যাগ থেকে যে গত তিনদিন আগে ৫হাজার টাকা চুরি হইছে সেটা ওরা তিনজন চুরি করছিলো।
উনারা সোফার উপরে বসে ছিলেন বৃষ্টির কথা শুনে দাঁড়িয়ে গেলেন।
কি বলছিস কি তুই বৃষ্টি? (বর্ষার বাবা)
আমি ঠিক বলছি চাচ্চু। (বৃষ্টি)
বর্ষা ও রিমা বৃষ্টির কানে কানে বলে।
ভাইয়ারা চুরি করে নাই সেটা তুই জানিস তবুও কেনো ওদের ফাঁসাচ্ছিস কেস খাওয়াবি নাকি আমাদের। (বর্ষা)
বর্ষা ঠিক বলছে আসলে চুরি তো আমরা করছি ধরা পরলে জামিন নাই কি করতাছিস কি তুই?
চিপ থাক তোরা চুরি আমরা করছি এটা শুধু আমরা জানি দুনিয়ার আর কেউ জানে না তাই চুপ থাক। (বৃষ্টি)
বাড়ি সদ্যলোক ওদের ধরলে ওরা বলে আমরা মিথ্যে বলছি।
কি প্রমাণ আছে ওরা সত্যি বলছে.! (কাব্য)
প্রমাণ আছে.. রিমা আমার ফোনটা নিয়ে আয় তো যা রুমে চার্জে দেওয়া..! (বৃষ্টি)
রিমা ভয়ে ভয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওদের রুমে চলে যায় আর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টির মোবাইল নিয়ে আসে।
মোবাইল বৃষ্টির হাে দিতেই বৃষ্টি ফোন গেটে একটা ভিডিও বের করে সবাইকে দেখায় সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কাব্য অপূর্ব নাহিদকে টাকা চুরি করতে এবার।
দুই মিনিট পরে তিনজনে তিনজনের গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে দুই মিনিট আগে কি হয়েছে নিশ্চয়ই ভাবছেন তাহলে চলেন দেখে আসি।
দুইমিনিট আগে ভিডিওটা শেষ হতেই কাব্যর বাবা নাহিদের বাবা অপূর্বর বাবা এসে ওদের গালে দেয় ঠাসসস করো তিনজনকে তিনটা থাপ্পড় মারে বেচারা রা গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখে খুব হাসি পাচ্ছে বৃষ্টি বর্ষা আর রিমার কিন্তু সবার সামনে হাসা যাবে না ভেবে মুখ চেপে দাঁড়িয়ে আছে।
কিছুক্ষণ পর রাগারাগি করে সবাই চলে গেলে।
বৃষ্টি ওর হাতে ফোন নাচাতে নাচাতে ওদের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলে।
এটাই ভাবছিস না তোরা যে আমরা তো চুরি করেছি তিন পাঁচ হয়েগেলো কি করে আর বলিস না হয়েছে কি তোরা যখন চুরি করবি প্লেন করছিলি তখন আমরা ওখানেই ছিলাম আর তোদের পেছনে পেছনে গিয়ে লুকিয়ে তোদের তিনজনের চুরি করার ভিডিও বানাই আর বলে না সঙ্গ দোষ তাই তোদের দেখে আমরা দুই হাজার টাকা সরিয়ে ফেলি আর পেসে গেলি তোরা সো এর পর থেকে আমাদের সাথে তোরা পাঙ্গা নিতে আসিস না আর একেই বলে গার্লস পাওয়ার…! কথাটা বলেই বৃষ্টি ওদের তিনজনের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দেয় আর তিন বোন বৃষ্টি রিমা বর্ষা স্টাইল ওদের সামনে থেকে চলে যায়।
রুমে আসার পর বর্ষা আর রিমা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রইল বৃষ্টি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ফোন হাতে নিয়ে চেক করতে লাগল
এদিকে ২ঘন্টা হয়েগেছে এখনো ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্ট করে নাই!
রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্ট করে নাই দেখে বৃষ্টির খুব ম্যাজাজ খারাপ হলো মোবাইলটা বিছানার উপর আছাড় মেরে চলে গেলো। কোই গেছিলাম মনে নাই ২ঘন্টা পর ফিরে এসে মোবাইল টা হাতে নিয়ে ওয়াই-ফাই অন করতেই বৃষ্টি অভাক নোটিফিকেশন আসছে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করছে দীর্ঘ চার ঘন্টা পর!
ওয়ে বাল্লে বাল্লে + নাগিন ডান্স মোবাইল হাতে নিয়ে নাচতে শুরু করলাম।
কিন্তু,,, মেসেঞ্জারে ঢুকতেই মুড অফ হয়ে গেলো!
ফাজিল ছেলেটায় মেসেজ সিন করে নাই!
সামান্য ম্যানার্স টুকু জানে না,,, কেউ মেসেজ দিলে যে সিন করে রিপ্লাই দিতে হয় সে টুকুও জানে না বিয়াত্তমিস বেডা😒 নিজেই নিজের সাথে বিড়বিড় করে বললাম। বৃষ্টি কে বিড়বিড় করতে দেখে বর্ষা বলল।
কি রে পাগল হইলি নাকি কি একা একা বিড়বিড় করতাছিস? (বর্ষা)
তোর না জানলেও চলবো যা পড়তে বস। (বৃষ্টি)
তারপরেও বৃষ্টি কয়েকটা মেসেজ করলো কিছুক্ষণ পর! —
বাহ লাইনে আছে বাট মেসেজ নো সিন নো রিপ্লাই
ধ্যাত চলে গেলো। সেদিন আর মেসেজ দেখলোই না মেয়ে মেসেজ দিয়েছে বলে পার্ট নিচ্ছে ফাজিল।
রাতে আমরা তিন বোন খেয়ে এক সাথে শুয়ে পরি।
পরেরদিন ফেসবুকে ঢুকতেই চোখের সামনে এলো ছেলেটার ছবি। আর আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসলো।
ও বাবা এটা কি ওই ফাজিল ছেলেটার ছবি মনে হচ্ছে
হ্যাঁ ওই ছেলেরই ছবি তো তাহলে এইটা আবার কার আইডি সিউর ফেক আইডি ওই ছেলে টাকে জিজ্ঞেস করি,,, ছবি গুলো ওর নাকি তাহলে বুঝবো কোনটা ফেইক আর কোনটা রিয়েল!
যা ভাবলাম তাই করলাম–
ছেলেটা কে কয়েকটা মেসেজ দিলাম!
কিন্তু এইবার তো একটু বেশিই করে ফেলছে সিন বাট নো রিপ্লাই!
হারামজাদা কে এইবার তো কিছু বলতেই হবে। বিড়বিড় করে বললাম।
তারপরে দিলাম ১০টা এসএমএসের পর একটা এসএমএস আর সেটা ছিলো নিচে পড়ো তোমরা ….
— এই যে হ্যালো মিস্টার আপনার সাথে প্রেম করার জন্য আপনাকে মেসেজ দেই নাই ওকে!
আমার কিছু প্রশ্ন করার আছে তাই মেসেজ দিয়েছি!
এই মেসেজ টা দেওয়ার দুইমিনিট পরেই রিপ্লাই আসে আগে জানলে তো এটাই লিখে পাঠালাম যাইহোক সে কি রিপ্লাই দিলো দেখুন।
সে– হুম ওকে! আমি রেডি!
–(মেসেজটা দেখে তো মনে হচ্ছে উনি বিয়ে করতে যাচ্ছে আমি রেডি ইচ্ছা করছে মাইরা উগান্ডা পাঠাই দেই নিজেই নিজেকে বললাম।)
ওইদিকে রিমা: ও নিশ্চয়ই পাগল হয়ে গেছে বর নয়তো ওর মাথায় ভূত চেপেছে!
রিমার দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিলাম। তারপর ফোনটা হাতে নিয়ে উনার ইনবক্সে প্রশ্ন ছুড়ে মারলাম।
(প্রশ্ন ১)– আপনার এই নামে কি আগে আরও একটা আইডি ছিলো?
সে– হুম! ছিলো কেনো?
(আমি তো মহা খুশি আল্লাহ পাইছি ওই আইডি টা এই ছেড়ারই আছিলো একটু রিকুয়েষ্ট করি দেখি যদি গল্পটা আবারও পোস্ট দেওয়াতে পারি কিন্তু এখনি বলা যাবে না সময় মতো বলতে হবে! মনে মনে বললাম)
ওই ফেইক আইডি থেকে কয়েকটা ছবি সেভ করে ছিলাম! শিউর হওয়ার জন্য ওই ছবি গুলো ওর না-কি!
(প্রশ্ন-২) ফাস্ট ওরে জিগাইলাম– প্রোফাইলের ছবি গুলো কি আপনার?
সে– হ্যাঁ! আমার কেনো?
আমি- সত্যি আপনার?
সে — ১০০%
তো আমিও সেভ করা ছবি গুলো দিলাম– এই ছবিগুলো কি আপনার?
সে– হা ২বছর আগের ছবি এগুলো তুমি কোথায় পেলে? আমার ফোন থেকে ডিলিট হয়ে গিয়েছিল!
আমি তো মেসেজ দেখে অভাক ফাজিল ছেড়ায় তুমি করে বলতাছে কত ফাজিল কত দিনের চেনা রে আমি তোর যে তুই তুমি করে বলছিস! এটা ছেলেদের স্বভাব মেয়েদের তুমি বলা যাই হোক চান্দু তোমার সাথে এত খাতির দিচ্ছি শুধু যাতে তোমাকে দিয়া আমার গল্পটা পোস্ট করাতে পারি!!
নরমাল ভাবে!
আপনার এই ছবি গুলো দিয়ে একটা ছেলে ফেইক ফেসবুক আইডি চালাচ্ছে!
সে –কোন আইডি থেকে?
তারপর ওই ফেসবুক আইডি থেকে এই ছেড়ার ২টা ছবি সহ লিংক দিলাম মেসেঞ্জারে মেসেজ করে।
এই যে এই ফেসবুক আইডি থেকে (কত ভালো একটা কাজ করছি আমি নিশ্চয়ই থ্যাংকস বলবে মনে মনে)
সে– ওও এই আইডি থেকে আমাকে আগেই ব্লক করছে তাই আমি দেখতে পারছি না!
হালায় কইলো ডা কি থ্যাংকস না দিয়া কি কইলো যাক এই সব বাদ কাজের কথায় যাই যেটার জন্য মেসেজ দিছিলাম সেটাই বলি!
আবার মেসেঞ্জারে মেসেজ দিলাম!
আচ্ছা আপনার আগের আইডি কি হইছে?
সে– বোর্হাম মারছি!😊
আমি- কিহহহহহ😱 কেনো?
সে– ওই একটু ঝামেলা হইছিলো তাই!
আপনি আইডি বোর্হাম দিছেন আপনি জানেন আপনার বোর্হাম দেওয়ার জন্য আমার কত বড় ক্ষতি হইছে? কয়েকটা রাগী ইমোজি দিয়ে।
সে– আইডি আমার আর ক্ষতি হইছে তোমার কিভাবে?
ক্ষতি তো আমারই হইছে আপনার আইডি দিয়ে আপনি গ্রুপে অনেক গুলা গল্প পোস্ট করতেন আর তার মধ্যে একটা আমার পছন্দের গল্প ছিলো!
যেটা আপনার বোর্হাম দেওয়ার জন্য ৬/৭ দিন ধরে আমি পড়তে পারছি না!
সে–ওও গল্পের নাম কি?
-(গল্পের নাম এখানে মেনশন করলাম না সরি)
তারপর মেসেজ করলাম গল্পের নামটা!
গল্পের নাম মেসেজ দেওয়ার পর সেও মেসেজ দিলো।
সে– ওই আপুর গল্প? (লেখিকার নাম দিয়ে)
আমি- আমি কি জানি আমি তো শুধু গল্পের নাম জানি আর যেটা তে আমার ইন্টারেস্ট আছে সেটাই আমি শুধু মনে রাখি। যেমন গল্পের নাম ______ আর নায়কের নাম হিহিহি _______।
সে– ও তাহলে তোমার গল্পের নায়কের উপর ইন্টেরেস্ট তা এই গল্পের আগের পর্ব গুলা আছে তোমার কাছে?
“নাহ,, আমার কাছে কোথা থেকে থাকবে? আমি কি সেভ করে রাখছি না-কি? কেমন তারা কতা হুহহ”
হ্যাঁ হ্যাঁ আমি খুশি হয়ে গল্পের নায়কের নামও বললাম
ওনাদের দু’জনের গল্প প্লিজ নেক্সট ১৩ পার্ট পোস্ট করবেন!
প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ (মনে হয় ১০০বার বলছি প্লিজ তারপর রাজি হইছে)
তারপর আবার মত ঘুরাই ফেলছে আর বলে!
সে- আচ্ছা আমি তো এখন নতুন গল্প পোস্ট করছি,,,
এই গল্প না হয় কয়েকদিন পর পোস্ট করবো এইগুলো শেষ হলে?
“না না প্লিজ কাল থেকেই পোস্ট করবেন আপনি প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ! ”
সে– কিন্তু কয়েকদিন পর থেকে করবো!
” না প্লিজ কাল থেকেই করবেন আপনি কি জানেন আপনার গল্পের জন্য আমি রাতে ঘুমাতে পারি না শুধু নেক্সট পার্ট এর কথা মনে পরে! ( এখন দিলাম এই 👉😭 ইমোজি অনেকগুলা) ”
সে– আহা রে..!
(আহারে মেসেজ দেইখা ম্যাজাজটা খুব খারাপ হইছে তাও কিছু বললাম না শেষে আহারে মানে কি হের আমার প্রতি করুনা হচ্ছে)
ইচ্ছা করতাছে.
#চলবে.?