#অগত্যা_তুলকালাম
নাফীছাহ ইফফাত
পর্ব ২৮
পরদিন মাহফুজকে সাথে নিয়ে আমি ও নাকীব বের হলাম। আমাদের এলাকায় যে বৃদ্ধাশ্রমটি রয়েছে তার নাম “ছায়া সঙ্গী”। এমন অদ্ভুত নাম দেওয়ার মানেটা আমরা ঠিক বুঝলাম না৷ মেইন রোড থেকে পঁয়ত্রিশ মিনিট বাসে চড়ে আমরা বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছালাম। তখনও ঠিক পৌঁছাইনি। বাস থেকে নেমে মেঠোপথ ধরে আরও অনেকটা ভেতরে হেঁটে গেলাম। হাঁটতে হাঁটতে প্রায় আধঘন্টা পর দেখা মিললো একটা পুরোনো লাল রঙের লোহার গেট। গেটের কাছে গিয়ে মধ্যবয়সী দারোয়ানের সাথে বেশ খানিকটা কথা কাটাকাটি হলো। তিনি কিছুতেই আমাদের ভেতরে ঢুকতে দিবেন না। বাড়াবাড়ির একপর্যায়ে ভেতর থেকে এক যুবক বেরিয়ে এলো। তাকে দেখেই দারোয়ান সাথে সাথে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। যুবক জানতে চাইলেন কি হয়েছে। দারোয়ানও যা বলার বললো। এরপর যুবক আমাদেরকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিলো।
দারোয়ান গেট খুলে দিলেন। ভেতরে ঢুকে পায়ে পায়ে হাঁটতে থাকলাম। চারপাশে সারি সারি আম, জাম, লিচু, পেয়ারা, কাঁঠাল গাছ, শুকনো খড়ের পালা, কতশত পাখির মধুর ডাক হৃদয় জুড়িয়ে যায় একেবারে। এরই মধ্যে একটা কাঁচা-পাকা পথ ভেতরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমায়। সঙ্গে থাকা যুবক পাশ থেকে বললেন,
“আপনারা কোথায় যাবেন? বাবাদের ঘরে না মায়েদের ঘরে?”
কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকার পর বললাম, “মায়েদের ঘরে।”
“আপনারা মূলত কার সাথে দেখা করতে এসেছেন?”
“দেখা হলে তারপর বলতে পারবো। সামনাসামনি দেখলে চিনবো।” নাকীব বললো।
“দূর সম্পর্কের কেউ?”
“দূরের বটে কিন্তু আত্মার সম্পর্কের কেউ।”
“বেশ তাহলে চলুন। দেখা হলেই বলবেন।”
হাঁটার জন্য ইট বিছানো একটা সবুজ শ্যাওলা ধরা সরু রাস্তা। কিছুক্ষণ হাঁটার পর একটু দূরে তাকালেই চোখে পড়ে বেশ বড় কুমড়োর মাচা, শত শত হলুদ কুমড়ো ফুল ফুটে আছে যেন পাতায় পাতায়, মাচার শুকনো কঞ্চির ওপর বেশ কয়েকটা ভেজা সাদা শাড়ি রোদে শুকাতে দেওয়ায় বাতাসে দুলছে। আশেপাশে অনেক বৃদ্ধারা আড্ডা দিচ্ছে। পাশ দিয়ে হেঁটে আসছেন বয়সের ভারে ন্যুজ একজন বৃদ্ধা। সোজাসুজি আকারের বেশ লম্বা একতলাবিশিষ্ট আধপাকা ঘর, খোলা বারান্দায় পায়চারি করছেন কেউ কেউ। কারও কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াতের মধুর সুর কানে আসছে, কেউ গীতা পাঠ করছে আবার কেউবা বারান্দার খুঁটিতে ভর করে এক ধ্যানে দূরে তাকিয়ে আছেন শালবনের দিকে কারও অপেক্ষায়।
পথ শেষ হতেই বৃহৎ আকারে “ছায়া সঙ্গী নিবাস” লেখাটা চোখে পড়লো। জীর্ণ-শীর্ণ, পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ি। দালানের সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠলে বৃদ্ধাদের বাসস্থান। নিচতলায় তাদের জন্য রান্নাবান্না করা হয়। অপরপাশের বিল্ডিংয়ে বাবাদের বাসস্থান এবং নিচে রান্নাঘর। দুটি দোতলা ভবনের যে ভবনে বৃদ্ধা মহিলারা থাকেন সেটায় লেখা “মমতাময়ী মা” আর অপরটায় লেখা “দায়িত্বশীল বাবা”। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, “মমতাময়ী মা” লিখাটার নিচে ছোট করে লেখা, “সারাজীবন মায়া-মমতায় ভরিয়ে রাখা হয়েছে যাদের জীবন তাদের মায়ার ছায়াতলে আশ্রয় না পেয়ে এক টুকরো আশ্রয়ের খোঁজে।”
আর “দায়িত্বশীল বাবা” লিখাটার নিচে লেখা, “দায়িত্বের ভার আজীবন কাঁধে নিয়ে বইতে বইতে নুয়ে পড়া কাঁধটা এক টুকরো আশ্রয়ের খোঁজে…”
লেখাগুলো আমাকে যারপরনাই মুগ্ধ করলো। আশ্রমের মালিক বেশ দায়িত্বশীল এবং সৌখিন বলেই মনে হলো। কথায় কথায় নাকীব জিজ্ঞেস করেই ফেললো,
“আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা কি আপনি ভাইয়া?”
“প্রতিষ্ঠাতা আমার বাবা। বর্তমানে আমি দেখাশোনা করি।”
যুবকটি আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যেতে লাগলেন। একেকটি কক্ষের সামনে এসে রীতিমতো থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছি আমি। এখানে এমন অনেক বৃদ্ধাও আছেন যারা ঠিকমতো হাঁটতে চলতে পারে না৷ নিজে নিজে বাথরুমে যেতে পারেন না। ফলাফল বিছানাতেই বাথরুম সারেন। জীর্ণ শীর্ণ, হাত-পায়ের চামড়া শুকিয়ে ঝুলে পড়া এই বৃদ্ধাদের কিভাবে মানুষ বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যায়? একটুও কি দয়া হয় না? যে সন্তান বাবা-মাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারতো না, মা-বাবাই ছিল যার সারা জীবনের আশ্রয়স্থল, সে কিনা আজ বাবা-মাকে নিজের কাছে রাখার প্রয়োজন বোধ করছে না। বাবা-মাকে ঝামেলা মনে করছে। তাঁদেরকে রেখে আসছে বৃদ্ধাশ্রমে। এত নিষ্ঠুর মানুষ হয়? অথচ আল্লাহ তাআলা মায়ের কষ্ট ও তাদের প্রতি সন্তানদের করণীয় বর্ণনা করে কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতা সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছি- (কারণ) তার মা কষ্টের পর কষ্ট সয়ে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’ বছরে- তুমি শোকর কর আমার এবং তোমার পিতা-মাতার। আমারই কাছে তোমাদের ফিরে আসতে হবে।” [ সূরা লোকমান (৩১) : ১৪ ]
আয়াতটা তো একথাই বলে, হে মানুষ! তোমরা তোমাদের পিতা-মাতার শোকর কর। কারণ তারা তোমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। তোমাদেরকে আদর-যত্নে মানুষ করেছেন। পিতা-মাতার শোকর আদায়ের সবচে’ উপযুক্ত সময় তো তাদের বার্ধক্য। কারণ এ সময় তারাও শিশুর মত হয়ে যান। নিজেরা কিছুই করতে পারেন না। অথচ ঠিক সেই সময়েই সন্তানেরা তাদের ফেলে যান এই বৃদ্ধাশ্রমে। এদিক ইঙ্গিত করেও আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
“তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাকে ছাড়া আর কারও ইবাদত করো না, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো, পিতা-মাতার কোনও একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয় তবে তাদেরকে উফ্ (পর্যন্ত) বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না; বরং তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল। এবং তাদের প্রতি মমতাপূর্ণ আচরণের সাথে তাদের সামনে নিজেকে বিনয়াবনত কর এবং দুআ কর, হে আমার প্রতিপালক! তারা যেভাবে আমার শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছেন, তেমনি আপনিও তাদের প্রতি রহমতের আচরণ করুন।” [ সূরা বনী ইসরাঈল, (১৭) : ২৩-২৪ ]
যেখানে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাথে ‘উফ’ পর্যন্ত না বলতে বলা হয়েছে সেখানে তারা বোঝা মনে করে আশ্রমে এনে ফেলে রাখছে বাবা-মাকে। বৃদ্ধাশ্রমে বাবা-মাকে রেখে যাওয়া সন্তানেরা কি এসব কথা জানে না? তাদের মনে কি একটুও দয়ামায়া নেই?
অনেকক্ষণ পর একটা কক্ষে গিয়ে আমরা থমকে দাঁড়ালাম। ঐ তো দাদু। ময়লা, সাদা, কুঁচকানো একটা শাড়ি পরে বারান্দায় বসে আছেন। আকাশপানে তাকিয়ে আছেন উদাস মনে। কি ভাবছেন কে জানে?
আমি আলতো করে দাদুর কাঁধে হাত রাখলাম। দাদু ফিরে তাকালেন। আমাকে দেখতে পেয়ে যেন আকষ্মিক থমকে গেলেন। বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আমাকে দেখলেন। খুব ভালো করে দেখলেন। নিকাব করে থাকায় চিনতে পারলেন না। আমি ম্দু কন্ঠি বললাম, “দাদু, আমি হৃদিতা।” কন্ঠ শুনেই দাদু আমাকে চিনতে পারলেন। তাঁর হাত-পা কাঁপতে লাগলো। তিনি নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু পারলেন না। উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে জাপ্টে ধরে অঝোরে কাঁদতে লাগলেন।
অনেকক্ষণ সেভাবে থাকার পর দাদু আমাকে ছাড়লেন। সেই যুবক দাদুকে পানি এগিয়ে দিলেন। ঢকঢক করে সবটা পান করলেন তিনি। ধীর গলায় বললেন,
“তিনটা মাস পার হয়ে গেল কেউ আসলো না দেখতে।”
“আমি এসেছি তো, নিয়ে যাবো আপনাকে।”
“না, না নিতে হবে না। ওদের ওখানে থাকার চাইতে ভালো এইখানে থাকি।” আতঙ্কিত কন্ঠে বললেন দাদু।
“ওদের ওখানে তো ভুলেও দিয়ে আসবো না। আমার বাড়িতে নিয়ে যাবো আপনাকে।”
সেই যুবকটির বাবা ছিল বৃদ্ধাশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা। সে খুব আন্তরিকতার সাথে এই বৃদ্ধাশ্রমের দেখাশোনা করে। সে-ই দাদুকে আমাদের সাথে আসার ব্যবস্থা করে দিলেন। আসার সময় যুবকটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে দাদু দোয়া করলেন।
“অনেকদিন বেঁচে থাকো বাবা। আর এভাবেই অবহেলিত বাবা-মায়েদের সেবা করে জান্নাত কুড়িয়ে নাও। আল্লাহ তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকামে নসীব করুক।”
আমি দেখলাম দাদুকে বিদায় জানানোর সময় যুবকের চোখ ছলছল করছিলো। সে মেইন রোড পর্যন্ত দাদুকে এগিয়ে দিতে এলো।
দাদুকে প্রথমে আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি। দুদিন লেগে যায় দাদুর স্বাভাবিক হতে। পরে আমাদেরকে দাদু যা জানায় তার সারমর্ম হলো এই,
সেদিন বাবা ফুফিকে চিরতরে বেরিয়ে যেতে বলার পর ফুফি বাড়ি গিয়ে দাদুর উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়৷ ফুফির অপমান, জাফরের জেলে যাওয়া সব দায় দাদুর ওপর বর্তায়৷ সেদিন রাতেই জাফর পালিয়ে এলাকা ছাড়ে এবং বেশ অনেকদিন পর ফুফি ও ফুফাকে ফোনে জানায় যেন দাদুকে কোনো বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। ফুফাও এরপর কোনো কারণে এলাকা ছাড়ে। এখন ঐ বাড়িতে ফুফি একাই থাকে। ও হ্যাঁ, জাফর পালিয়ে যাওয়ার পর ফুফিকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনোকিছু জানতে না পারায় ছেড়ে দেন। এরপরের আর কোনো খবর দাদু জানেন না।
আমরা আপাতত থানা, হাজত, জাফর, ফুফি সেসব ভুলে সপ্তাহখানেক পর দাদুকে শান্তি কুঠিরে নিয়ে গেলাম। দাদুকে পেয়ে বাচ্চারা যেন হাতে মোয়া পেল। সারাক্ষণ দাদুর কাছে গল্পের আবদার করে। আমিও বসে পড়ি তাদের সাথে। দাদু মন খুলে কথা বলেন আমাদের সাথে। এখন আর ফুফির ভয় নেই, নেই কোনো লুকোচুরি। যা খুশি তাই বলে বেড়ায় দাদু। ইচ্ছেমতো ইবাদত-বন্দেগি করে অবসরে আমাদের গল্প শোনান। নবীর গল্প। ভুল হলে আমি শুধরে দিই। আমি তো নতুন নতুন সব শিখছি তাই সব ঝরঝরে পরিষ্কার আমার কাছে। দাদুর তো বয়স হয়েছে অনেককিছু ভুলে যায়। তাছাড়া দাদু আগে যা কিছু শিখেছে তারমধ্যে কিছু কিছু বিদআতও রয়েছে। আমি সেগুলো শুধরে দিই সহীহ হাদীসের রেফারেন্স দেখে। আমি আবার রেফারেন্স ছাড়া কিচ্ছু বিশ্বাস করি না।
এরমধ্যে আমি বেশ কয়েকটা রান্নাও শিখে ফেলেছি মায়ের কাছে। বাবা তো বিশ্বাসই করতে চাননি আমি রান্না পারি। আমার রান্না করা প্রথম গরুর গোশত খেয়ে বাবা বলেছিলেন, “গোশত কেটেছিস না রান্নাও করেছিস?”
এর আগে একবার আমি গোশতের জন্য আলু ছিলে মাকে সাহায্য করেছিলাম৷ সেদিন বাবাকে বলেছি,
“বাবা, আলুগুলো মজা হয়েছে?”
বাবা খুশিমনে বললেন, “তুই রেঁধেছিস নাকি?”
আমি মুচকি হেসে জবাব দিয়েছিলাম, “না বাবা, আলুগুলো আমি ছিলেছি।”
বাবা হা হয়ে গিয়েছিলেন। তাই সত্যি রান্না করার পর প্রশ্নটা করলেন। আমি হেসে জবাব দিলাম,
“ না বাবা, এবার সত্যি রান্না করেছি।”
“আলহামদুলিল্লাহ!”
একদিকে অনলাইনে বিজনেস সামলাই অন্যদিকে শান্তি কুঠিরের সবার জন্য রান্না করি৷ বাকি সময় ইবাদত বন্দেগিতেই কাটে। সবাইকে নিয়ে বেশ ভালোই দিন কাটছে আমার৷ এরমধ্যে একদিন প্ল্যান করলাম সবাইকে কাশবন ঘুরিয়ে আনবো। নাকীব প্রথমে বেশ আপত্তি জানালো।
“আপু, কাশবন হলো তোমার স্মৃতির জায়গা। ওখানে অহরহ স্মৃতি তোমার। একবার গেলেই আবার জ্বর বাঁধাবে। দরকার নেই।”
আমি গাল বাঁকিয়ে বললাম,
“ধুর! আমি রাফিনকে ভুলে গেছি।” বলামাত্র বুকের ভেতর ধ্বক করে উঠলো। আসলেই কি রাফিনকে ভুলে গেছি?
”ওসব বলে লাভ নেই। তোমার যাওয়া হচ্ছে না।”
“একশোবার হচ্ছে। দেখিস, এবার কিছু হবে না।”
“অফকোর্স হবে। সেদিন বৃষ্টির মধ্যে ঐ ছেলেটাকে রাফিন ভাইয়া মনে হয়েছে তোমার তাই না? আপু শোনো না, ছেলেটা সত্যিই রাফিন ভাইয়ার মতোই ছিলো।”
আমি মুখ গোমড়া করে বললাম, “হুম এজন্যই তো…”
নাকীব চোখ রাঙ্গিয়ে বললো, “এই না বললে ভুলে গিয়েছো? এই তার নমুনা? তুমি যাচ্ছো না ব্যস!”
কথা কাটাকাটির শেষে আমি ঠিকই গেলাম সবার সাথে। যাওয়ার পথে হঠাৎ মাহফুজ এবং কুলসুম একসাথে চেঁচিয়ে বললো, “আপুউউ, ঐ যে ঐ যে আমাদের নেতা।”
আমি ও নাকীব দ্রুত তাকালাম। ঝিলি, আবিরসহ সবাই আমাদের পেছনে এসে লুকালো। এত ভয় কেন ওদের মনে কে জানে!
আমরা তাকিয়ে একজন লোককে দেখলাম। আঙ্গুল দেখিয়ে ইশারায় বললাম, “ওটা?”
ওরা দু’পাশে মাথা নাড়ালো, “উঁহু, ওটা, লাল শার্ট।”
আমরা অনেক তাকিয়েও কাউকে দেখতে পেলাম না। ওরা বারবার দেখিয়েই গেল। অনেকক্ষণ দেখার পর হঠাৎ মনে হলো ওখানে জাফর দাঁড়িয়ে আছে। নাকীবকে বলায় ও বললো,
“আমারও তো মনে হয়েছে।” বলে একছুটে সেদিকে গেল নাকীব।
#Be_Continued__In_Sha_Allah ❣️