অগত্যা তুলকালাম।’পর্ব-৪

0
1162

#অগত্যা_তুলকালাম
নাফীছাহ ইফফাত

পর্ব ৪

আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে অশ্রু বিসর্জন দিতে ব্যস্ত। পেছন থেকে বারবার হর্ণ বাজছে, শুনতে পাইনি। বাইকটা আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে জোরেই হর্ণ বাজালো। সামান্য কেঁপে মাথা তুলে তাকাতেই দেখি রাফিন। ওকে দেখেই বাসায় চলে যেতে উদ্যত হলাম। ও চট করে বাইক থেকে নেমে আমাকে আটকালো। চিবুক ধরে মুখ ওপরে তুলে বললো,
‘এইটুকুর জন্যও কাঁদতে হয় তোমার? বাসায় যেতে বললাম না? যাওনি কেন?’

আমি চোখ মুছে বললাম, ‘যাচ্ছি।’
‘হুম দ্রুত।’ রাফিন হাত ছেড়ে দিতেই আমি সামনে এক পা অগ্রসর হলাম। আরেক পা বাড়াতেই কানের পাশে ফিসফিসানি শুনলাম, ‘আমিও ভালোবাসি তো!’

আমি দ্রুত ফিরে তাকালাম। আমার নাক-মুখ প্রায় রাফিনের কাঁধ ঘেঁষে সরে এলো। ও মুচকি হেসে বললো,
‘বাসায় যাও। কাঁদবে না একদম, যাও।’

আমি মাথা কাত করে সম্মতি জানালাম। ও আবার বললো, ‘আমার সামনেই হাসো একবার।’
আমি হাসলাম না। ও বললো, ‘কি হলো? আবার খাবে নাকি ধমক?’
আমি দ্রুত দু’পাশে মাথা নেড়ে মুচকি হাসলাম। আমি হাসতেই রাফিন বাইকে উঠে বললো,
‘গুড গার্ল।’ এরপর সাই করে বেরিয়ে গেল।

বাসায় আসতেই নাকীব আমার ওপর প্রায় হামলে পড়লো।
‘আপু, তুমি আমাকে ফেলে কাশবনে গিয়েছিলে?’

আমি কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে জবাব দিলাম, হ্যাঁ আসলে ঐ…’
‘আপু, তুমি আমাকে রেখে যেতে পারলে? আমি সারা বিকেল বসেছিলাম তোমার জন্য।’

আমার মাথায় চট করে অন্য বিষয় ঘুরে গেল। নাকীব কিভাবে জানলো আমি কাশবনে গিয়েছি? আমি তৎক্ষনাৎ প্রশ্ন করলাম,
‘কোথায় বসেছিলি?’
‘কাশবনে…’ বলতে গিয়ে আচমকা থেমে গেল ও।

আমি ফ্যানের সুইচ অন করে দিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে বললাম,
‘তুইও তো কাশবনেই ছিলি। আমাকে রেখেই গিয়েছিস। নাহলে জানলি কি করে?’

খানিক চুপ থেকে ও বললো, ‘আমি তোমার পিছু পিছু গিয়েছি আপু। আমি দেখেছি, ভাইয়া তোমাকে নিতে এসেছিলো। তুমি ভাইয়ার বাইকেই গিয়েছো।’

‘দেখেছিস যখন ফলো করলি কেন আমাদের?’
‘দেখলাম আর কি আমার বোনকে কোথাকার কোন ছেলে কোথায় নিয়ে যায়।’ আশেপাশে তাকিয়ে কথাটা বলে নাকীব৷
আমি চট করে শোয়া থেকে উঠে বসি।
‘কোথাকার কেন ছেলে মানে?’
‘আপু, আমার মাঝেমাঝে ভাইয়াকে একটুও ভালো লাগে না।’ মেঝেতে তাকিয়ে কথাটা বললো নাকীব।

আমি আস্তে আস্তে বললাম, ‘কেন?’
‘ও তোমাকে কেন কাঁদায় আপু? তুমি কাঁদলে তো আমার ভালো লাগে না।’
‘কই কাঁদায়? ও কাঁদায় না তো আমাকে। আমিই অল্পতে কেঁদে ফেলি।’ আমিও মেঝের দিকে তাকিয়ে রইলাম।

নাকীব আমার হাত ধরে বললো, ‘তুমি কখনোই কাঁদো না আপু। তোমাকে আমি খুব ভালো করে চিনি। তোমার খুব বেশি রাগ হলে তুমি জিনিস ভাঙ্গো, শান্ত, চুপচাপ হয়ে যাও নাহয় চেঁচামেচি করো। কেউ আঘাত করলেও কখনো কাঁদতে দেখিনি তোমাকে। সে-ই তুমি…’

‘আসলে যাদেরকে বেশি ভালোবাসি তাদের অল্প কথার আঘাতেই আমার কান্না পেয়ে যায়।’
‘আমার চোখে চোখ রেখে বলতো, ও তোমাকে কষ্ট দেয় না? তুমি ওর জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাও না? ও বোঝে সেসব? সারাক্ষণ তো কাঁদায়।’

আমি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম, ‘তুই এখনো ছোট তো অতকিছু বুঝবি না।’
‘তুমিই তো বলো, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছোটরা বড়দের চেয়ে বেশি বোঝে।’
‘আচ্ছা এসব বাদ দে। এখন বলতো তুই হঠাৎ এসব কেন বলছিস? তেমন কিছুই তো ঘটেনি আজ।’

‘ঘটেনি? আমি সব দেখেছি আপু। তুমি কিছুক্ষণ আগেও কেঁদেছো। তোমার চোখ ফোলা এখনো।’

আমি চট করে নাকীবের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম। নাকীব চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে আবার বসে পড়লো। বললো,
‘তোমাকে একটা কথা বলতে এসেছিলাম।’

আমি চোখের কোণা মুছে বললাম, ‘কি কথা?’
‘বাবা হঠাৎ করেই কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেছে। সারাদিন কথা বলেনি একটুও। সন্ধ্যার আগে থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে বসে আছে। বাবার ঘরের সামনে থেকে মা একবারও সরেনি।’

আমি স্কার্ফটা খুলে খাটে ছুড়ে মেরে বললাম, ‘এসব এতক্ষণ পর বলছিস তুই? চল তাড়াতাড়ি।’

আমরা দুজন দ্রুত বাবার রুমের সামনে চলে এলাম। নাকীব মাকে ডাইনিং রুমে চেয়ারে বসিয়ে দিলো। আমি বাবাকে ডাকতে থাকি। বাবা কিছুতেই দরজা খুলছে না।

আমি আবার ডাকি, ‘বাবা, কি হয়েছে তোমার? দরজা খোলো।’
ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। আমার ভয় হতে থাকে খুব। বারকয়েক দরজা ধাক্কাতেই বাবা দরজা খুলে বেরিয়ে আসে। বিমর্ষ চেহারা। অন্ধকার রুম থেকে বেরিয়ে হঠাৎ চোখে আলো পড়ায় চোখ দুটো ছোট ছোট করে রেখেছে।

বাবাকে বেরুতে দেখে মা দৌঁড়ে আসে। বাবা সরে দাঁড়িয়ে বলে,
‘হৃদিতা ছাড়া কেউ আমার সাথে দেখা করতে এসো না। হৃদিতা, আমার ঘরে আয় তো। তোর সাথে কিছু কথা আছে।’

মা কাঁদো কাঁদো গলায় বললো, ‘আমি কি কোনো ভুল করেছি? তুমি এমন করছো কেন? আচ্ছা আমি কখনো ঝগড়া করবো না তোমার সাথে। তোমার কথাই শুনবো।’

বাবা ধমকে বললেন, ‘কেন ঝগড়া করবে না? অবশ্যই করবে, আরও বেশি করে করবে। তুমি ঝগড়ার প্রস্তুতি নাও, আমি আসছি৷’

বাবার কথার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝলাম না আমরা। বাবা আমাকে নিয়ে ভেতরে চলে গেলেন। নাকীব মাকে নিয়ে ডাইনিং রুমে বসে রইলো।

রুমে ঢুকতেই প্রথমে আমি বাবাকে প্রশ্ন করলাম।
‘কোনো সমস্যা হয়েছে?’
‘তেমন কোনো সমস্যা না। বিজনেসে একটু…’
‘কি হয়েছে বাবা?’
‘একদল লোক হঠাৎ ঝামেলা করছে। অফিসে এসে ভাঙচুর করছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের ১০ কোটি টাকা না দেয়া পর্যন্ত থামবে না।’

‘১০ কোটি টাকা মানে? বললেই দিতে হবে নাকি? তোমরা পুলিশের কাছে কেন যাচ্ছো না বাবা?’
‘মা রে! থানায় কি লোক পাঠাইনি আমি? পুলিশ কি বলেছে জানিস?’
‘কি?’

‘বলেছে প্রবলেম সল্ভ করতে হলে ওদেরকেও অন্তত ১ কোটি টাকা দিতে হবে।’
‘হোয়াট?’ আমার গলার স্বর নেমে এলো।

‘পুলিশ এই কথা বলছে বাবা?’
‘হুম। এজন্যই এত টেনশন হচ্ছে।’
‘আচ্ছা বাবা, হুট করে কেউ টাকা চাইলেই তো আমরা দিবো না তাই না? ওরা কিসের টাকা চায় তোমার কাছে?’

‘একবার একটা বিজনেস ডিল করেছিলাম ওদের সাথে। ডিলটা তখনই মিটমাট হয়ে যায়। ওদের কারো সাথে আর যোগাযোগ ছিলো না আমাদের। এতদিন পর হঠাৎ ফেইক কাগজপত্র নিয়ে ওরা আমাদের অফিসে হামলা করে বসলো। কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না।’

‘বাবা, তুমি অন্য থানায় যোগাযোগ করো তাহলে। এভাবে অন্যায়ভাবে তো কাউকে জিতিয়ে দেয়া যায় না।’

‘অন্য থানায়ও গিয়েছিলাম। তারা বলেছে আমাদের অফিস এরিয়াটা তাদের আন্ডারে পড়ে না। ওখানে ডায়েরি করাতে পারলাম না। কি হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’

আমি খানিকক্ষণ চুপ থেকে বললাম, ‘আচ্ছা বাবা, ব্যাপারটা আমি দেখছি। কিছু করা যায় কিনা চেষ্টা করে দেখি। তুমি টেনশন নিও না।’

বাবা আমাকে কাছে টেনে নিয়ে বললেন,
‘তুই এখনো ছোট। বাবাকে বলছিস টেনশন না নিতে?’
‘হু। তুমি টেনশনে থাকলে, তুমি ভেঙ্গে পড়লে এই বাড়িটা ভেসে যাবে বাবা। তুমি ব্যাপারটা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে এসো তো। আমি ম্যানেজ করছি বললাম তো। তুমি বরং মায়ের সাথে ঝগড়া করো। ওটাতেই তোমাকে ভালো মানায়৷’

আমি উঠে দরজার দিকে এগুতেই বাবা বললেন, ‘তোর মাকে কিছু বলিস না।’
‘আচ্ছা বাবা।’

আমি বেরুতেই মা হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকলো। আমি নাকীবের পাশে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম। ও বললো,
‘কি হয়েছে আপু?’
‘অনেক ঝামেলা!’
‘কিরকম?’

আমি নাকীবকে সবটা খুলে বললাম। সব শুনে ও হতাশ গলায় বললো,
‘আমরা কি করতে পারি এখানে? আমাদের তো কিছুই করার নেই।’

‘কিছু করার নেই বললে তো চলবে না। কিছু একটা অবশ্যই করতে হবে।’

কি করবো ভাবতে ভাবতেই দু’দিন কেটে গেল। তৃতীয় দিন সকালবেলা হুট করে আমি বাবার অফিসে চলে গেলাম। ম্যানেজারের কাছ থেকে সবটা ভালোভাবে শুনে নিলাম। সব শুনে যা বুঝলাম তা হলো, এসব গুন্ডাপান্ডা লোকেদের টাকা না দিলে শান্ত হবে না।

অফিস থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে ভাবছি…
বাবা গুন্ডা লোকগুলোর সাথে ডিল করলো কি করে? না জেনেই কি? এসব গুন্ডা লোক বিজনেস করে নাকি এভাবেই সবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়? যদি সবার কাছ থেকেই হাতিয়ে নিয়ে থাকে তাহলে সেই সবাই কারা? তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারলেও কিছু একটা করা যেত। কিন্তু তাদের খোঁজ আমি কিভাবে পাবো?
যদি ওদের কাউকে খুঁজে না পাই তাহলে তো একমাত্র টাকা দেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না। তারপরেও একটা কিন্তু থেকে যায়। এক সপ্তাহ থেকে অলরেডি তিনটে দিন কেটে গেছে। আজ চতূর্থ দিনটাও শেষের দিকে। মাত্র তিনদিনের মধ্যে আমরা এত টাকা কোথায় পাবো?

মাথায় হাজাররকমের টেনশন নিয়ে বাসায় ঢুকতেই যথারীতি চেঁচামেচি শুনতে পাই। বেশ কয়েকবার কলিংবেল বাজানোর পর নাকীব দরজা খুলে দেয়। ভ্রু কুঁচকিয়ে বললাম,
‘আবার কি হলো?’
‘আপু, আম্মু সব জেনে গেছে।’

জুতো খুলতে খুলতে বললাম,
‘কি জেনে গেছে?’
‘বাবার বিজনেসের ঝামেলাটা।’
‘জেনে গেছে তো কি হয়েছে? এমনিতেই জানতো একদিন না একদিন।’

মুখে বারকয়েক ‘চ’ শব্দ তুলে নাকীব বললো,
‘ব্যাপারটা বুঝতে পারছো না। মা ভীষণ ঝামেলা করছে। তুমি চলো তো।’
নাকীব আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল বাবা-মায়ের সামনে। বাবা-মা তখন তুমুল ঝগড়া করছে। ওদের সামনে খাটের ওপর মায়ের সমস্ত গয়নাগাটি ছড়ানো-ছিটানো।

‘তুমি আমার গয়নাগাটি নিতে পারবে না কেন?’ মা চেঁচিয়ে উঠলো।
‘বললাম তো নিতে পারবো না। কতবার এক কথা বলবো?’

মাঝখানে গিয়ে আমি প্রশ্ন করলাম, ‘কিসের গয়নাগাটির কথা হচ্ছে মা, বাবা?’
মা-ই প্রথম জবাব দিলো।
‘দেখ, তোর বাবাকে কিছু লোক রাতে-বিরেতে হুমকি দিচ্ছে। টাকা না পেলে মেরে ফেলবে বলছে। কত টাকা জানিস? দশ কোটি টাকা। এত টাকা সে কোথায় পাবে? বলছি আমার গয়নাগাটি বিক্রি করে টাকা দিয়ে দিক ওদের। ল্যাটা চুকে যায়।’

বাবা উঠে দাঁড়িয়ে মাকে ঠাস করে ঠেলে খাটে বসিয়ে দিয়ে বললো, ‘চুপ করে থাকো একদম। তোমার গয়না মানে ওগুলো তোমারই। আমার দরকার হলে আমার জমিজমা সব বিক্রি করে দিবো তাও তোমার গয়না মরে গেলেও নিবো না আমি।’

‘এখন তোমার-আমার ভাগ হয়ে গেল না? গয়নাগুলো আমায় তুমি জুড়ে দাওনি? তুমিই তো এনে দিয়েছিলে সময়ে-অসময়ে। এখন তোমার দরকারে নিতে পারবে না কেন? বলো কেন?’ মায়ের চোখে পানি চলে এল।

বাবা অন্যদিকে ফিরে বললো, ‘হৃদি, তোর মাকে বল এই গয়না আমি কোনোভাবেই নিতে পারবো না।’

আমি মাথায় হাত দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম। মাথাটা ধরেছে খুব। টেনশনটা আর নেওয়া যাচ্ছে না। আসলে কখনো কোনকিছু নিয়ে ভাবতে হয়নি। কিছু ভাবার আগে বাবা-মাই সবসময় সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। ওরা শুধু নিজেদের প্রবলেম সল্ভ করতে পারে না, বাকিদেরটা খুব সুন্দর সমাধান করতে পারে। কিন্তু এবারের সমস্যার কথা যেহেতু বাবা ভরসা করে আমায় বলেছে সেহেতু কিছু একটা তো আমাকে করতেই হবে। সে-ই টেনশনে দিবারাত্রি ঘুম হারাম আমার। এদিকে আবার বাবা-মা ঝগড়া করছে সে-ই টেনশন। কি করবো কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।

রুমে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই রিয়াদের কথা মনে পড়লো আমার। রিয়াদকে বললে হয়তো ও কোনো সল্যুশন বের করতে পারবে। রিয়াদকে ফোন দিতেই রিসিভ করে বললো,
‘এতদিন পর মনে হলো আমার কথা? কোথায় ছিলি তুই? কোনো খোঁজ নেই, ভার্সিটি আসছিস না। কিছু হয়েছে?’

‘হ্যাঁ মানে… হয়েছে।’
‘কি সমস্যা বল আমাকে?’
‘তুই সল্ভ করতে পারবি?’
‘বলেই দেখ না।’

শেষ আশা নিয়ে রিয়াদকে সবটা খুলে বললাম। ও হেসে গড়াগড়ি খেয়ে বললো, ‘এটা কোনো প্রবলেম হলো? শোন, কাল সকালের মধ্যে প্রবলেম সল্ভ হয়ে যাবে। বাট একটা কাজ করতে হবে তোকে।’ শেষ কথাটা বললো গম্ভীর হয়ে।

‘হ্যাঁ বল কি কাজ?’
‘একদমই টেনশন নিতে পারবি না, ওকে?’
ঢোক গিলে বললাম, ‘ওকে।’

রিয়াদের ফোন কাটতেই রাফিনের কল ঢুকলো। রিসিভ করে সালাম দেয়া-নেয়া শেষে বললো,
‘কার সাথে কথা বলছিলে?’
‘ফ্রেন্ডের সাথে।’
‘কোন ফ্রেন্ড?’
‘ভার্সিটি ফ্রেন্ড।’
‘ছেলে নাকি মেয়ে সেটা জানতে চাইছি।’
‘ছে..ছেলে।’ আমতা আমতা করে বললাম।
‘বাহ! ভালোই তো আছো। আমি ভাবছি, কদিন ধরে খোঁজ নেই কেন তোমার? কোথায় লাপাত্তা হয়ে গেছো। আমার সাথে কথা না বলে, দেখা না করে নাকি থাকতে পারো না? বেশ তো আছো ভার্সিটির বয়ফ্রেন্ডদের সাথে।’

ওর কথা শুনে তাজ্জব হয়ে গেলাম আমি। কিভাবে কথা বলছে ও আমার সাথে?

#Be_Continued__In_Sha_Allah ❣️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here