অগত্যা তুলকালাম।’পর্ব-৬

0
1018

#অগত্যা_তুলকালাম
নাফীছাহ ইফফাত

পর্ব ৬

সেদিন ফোন রেখে দিয়েছিলাম। কাঁদতে কাঁদতে একসময় বোধদয় হলো। নিজেকে খুব বেহায়া মনে হতে লাগলো। চোখের পানি মুছে নিজের মনে বিড়বিড় করে বললাম,
যার কাছে আমার এই এতটুকু মূল্য নেই, আমার কান্না শুনেও যার গলার স্বর নামে না তার কাছ থেকে আমি ভালোবাসা আশা করছি কি করে? যে মুখের ওপর রিলেশন ব্রেক করার কথা বলতে পারে, রিলেশন রাখার জন্য আজগুবি একটা শর্ত ঠুকে দিতে পারে সে আমাকে কখনোই ভালোবাসেনি। তখনই আমি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম, ওর সাথে আর কখনোই কথা বলবো না আমি। অনেক হয়েছে। যেখানে ও চায় না, সেখানে আমি কেন প্রতিবার বেহায়ার মতো ওর কাছে ছুটে যাবো? যাইনি আমি। সেদিন সন্ধ্যাবেলা ও নিজে ফোন দেয় আমাকে। রিসিভ করিনি আমি। বারবার ফোন দেয়। নাকীবকে দিয়ে কৌশলে কাশবনে নিয়ে যায় আমাকে।

আমার কাঁদো কাঁদো চেহারা, ফোলা চোখ-মুখ দেখে ও বলেছিলো,
‘হুদাই এত কাঁদছিলে কেন?’

সে-ই প্রথমবার আমি উচ্চস্বরে ওর সাথে কথা বলেছিলাম। চেঁচিয়ে বলেছিলাম,
‘হুদাই আমাকে পার্কে ডেকে আনার মানে কি?’

‘আমার জন্য যে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে বসে আছো!’
‘আমি কারো জন্য কেনোকিছু বন্ধ করিনি। অত টাইম নেই আমার।’ অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বললাম।
‘চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেটা। আচ্ছা যাইহোক, শোনো আমি যা বলেছি সবটা তোমার ভালোর জন্য।’

‘ভালোর জন্য রাগের মাথায় অত কথা শোনাতে হলো?’ ভ্রু কুঁচকে বললাম।
রাফিন শান্তস্বরে বললো,
‘আরোহী, ফার্স্ট অফ অল তুমি ভুল বুঝছো। আমি একটা কথাও রাগের মাথায় বলিনি। যা বলেছি মন থেকে।’

এই কথা শোনার পর নিজেকে নিজের কাছে এত মূল্যহীন লাগছিলো আমার। সেদিন রাফিনের সাথে আর একটাও কথা বলিনি আমি। ঠিক সেদিন থেকে ওর সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিলাম। সারাক্ষণ টেক্সট করা, ফোন করা থামিয়ে দিয়েছিলাম। তাতেও ওর কোনো ভাবান্তর হয়নি। বরং ও হয়তো মনে মনে খুশিই হয়েছে।

অনেকক্ষণ ধরে পুরোনো কথা ভাবছিলাম। ভুলেই গিয়েছি রাফিন আমার সামনে বসে আছে।
রাফিন আমার চোখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বাজখাঁই গলায় ডাকে আমাকে।
‘এই আরোহী, কই হারিয়ে গেলে?’

ওর ডাকে সম্বিৎ ফিরে পাই। চমকে তাকাতেই বললো,
‘কি ভাবছিলে?’
‘কিছু না।’ মাথা নেড়ে ঝটপট বললাম।
‘বললেই হলো? এরমধ্যেই আমার পাবজিতে একটা ম্যাচ খেলা হয়ে গেল।’
‘ওহ!’ হতাশ দৃষ্টিতে তাকাই ওর ফোনের দিকে।

প্রসঙ্গ পাল্টে ও নিজেই বললো,
‘একটা কথা বলবো ভেবেছিলাম।’
‘হ্যাঁ বলো।’

‘তুমি আজকাল আমাকে আর টেক্সট করো না কেন?’
‘করি তো।’
‘গত দুদিনে কত কি ঘটে গেল একটাবারও তো টেক্সট করলে না।’
‘বিজি ছিলাম তো।’

‘তুমিই তো আগে সবসময় বলতে, আমার জন্য নাকি তুমি সবসময় ফ্রী।’
‘সেরকম অনেককিছু তো তুমিও বলতে।’
‘আমি হয়তো রাগের মাথায় অনেককিছুই বলি। তুমি সেগুলো সিরিয়াসলি নিও না প্লিজ।’
‘না, তুমি কখনো রাগের মাথায় কিছুই বলো না। রেগে থাকলেও সবকিছু ঠান্ডা মাথায় বলো।’ ক্ষীণ কন্ঠে বলি আমি।

‘অনেকসময় তো রাগের মাথায় অনেককিছুই বলে ফেলি। হয়তো এমন কখনো হয়েছে তোমাকে বলেছি, টেক্সট না করতে। বলেছি?’
‘মনে নেই আমার।’ তাচ্ছিল্যের সুরে বললাম আমি। নিজের মনে নেই, আসছে আমাকে জিজ্ঞেস করতে।

‘দেখো আরোহী, আমি হয়তো রাগের মাথায় বা গেইমসে আছি ঐ টাইমে তুমি টেক্সট বা কল করলে। তুমি তো জানোই গেইমসে থাকলে তখন কেউ টেক্সট বা কল করলে আমার রাগ ওঠে যায়। বাবা-মা কল করলে পর্যন্ত রেগে যাই আমি। তখন হয়তোবা রেগে বললাম যে, আর কখনো আমাকে টেক্সট করবা না। তুমি সত্যিই টেক্সট করা বন্ধ করে দিবে? তা তো না।’

আমি প্রথমে ভেবেছিলাম রাফিন আমার কাছে জানতে চাইছে। পরে ওর ‘তা তো না’ কথাটা শুনে গা জ্বলে গেল আমার। ও কি বোঝাতে চায়, ওকে টেক্সট না করে আমি থাকতে পারবো না? আলবাৎ পারবো। সহসা বললাম,
‘অবশ্যই বন্ধ করে দিবো। তোমার সব কথা শুনি, এটা শুনবো না? এটাও অবশ্যই শুনবো। তাতে অবশ্য তোমারই লাভ।’

‘লাভ তো অবশ্যই আছে। বাট তুমি রাগ করে থাকবে না, বলো?’

আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম। ওর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। এমন ঠোঁটকাটা কেন ছেলেটা? মুখের ওপর সব বলে দেয়। মিনিমাম সেন্সটুকুও কি নেই? কারও মন রাখার জন্যও কি অল্প একটু মিথ্যে বলা যায় না? মিথ্যা না বলুক অন্তত চুপ তো থাকা যায়। তাই বলে সবকিছু মুখের ওপর বলে দিতে হবে? আজব!

‘কি হলো? চলে যাচ্ছো?’
‘হুম।’
‘কথা তো শেষ হয়নি।’
‘আমার কাজ আছে অনেক। তুমি গেইমস খেলো। আমি যাচ্ছি।’
‘ওকে।’

‘অসহ্য একটা! একবার আটকালো না পর্যন্ত।’ বিড়বিড় করে কথাটা বলে চলে এলাম ওখান থেকে। এরকম কাটখোট্টা একটা বয়ফ্রেন্ড আমার কপালে ছিল? এটাকে নিয়ে আমি কি করবো? সবাই ভাবে কিভাবে বাবা-মাকে বয়ফ্রেন্ডের কথা বলবে আর রাজি করাবে? আর আমি? এই ফুটো কপালী আমি ভাবি শেষমেশ এই আজব চিজটা আমার সাথে থাকবে তো? নাকি গেইমসের কোনো একটা কার্টুন মেয়েকে ধরে বিয়ে করে ফেলবে কে জানে? নাকি কোনো একটা রোবট বিয়ে করবে? ও নিজে তো রোবটের মতোই। ওর সাথে রোবটই ভালো মানাবে। আমার মতো শান্তশিষ্ট মেয়েকে কিছুতেই ওর সাথে মানায় না। কিছুতেই না।

আমি অনেকদূর চলে আসার পর রাফিন দৌড়ে এসে খপ করে আমার হাতটা ধরে বললো,
‘এত্ত ওভারথিঙ্ক করো কেন তুমি? একটু বাস্তববাদী হও পাগলী!’ এটা বলে যেভাবে এসেছিলো সেভাবেই চলে গেল। এদিকে আমার মন অদ্ভুদ ভালো লাগায় ছেয়ে গেল। সেটাকে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে ভেংচি দিয়ে স্থান ত্যাগ করলাম।

পরদিন ভোরে রিয়াদের ফোন পাই। তখনও ঘুম ভাঙ্গেনি আমার। রিয়াদ সুখবর শোনায়। বলে,
‘দোস্ত, তোর সবকিছু ম্যানেজ হয়ে গেছে।’
‘সত্যি? কিভাবে করলি?’
‘সেসব তোর জানতে হবে না। আঙ্কেলকে গিয়ে সব জানা যা।’
‘হ্যাঁ দোস্ত, এখনই জানাচ্ছি।’
‘হুম। আর শোন, আজকে ভার্সিটি আসিস।’
‘শিউর।’

ফোন রেখে বাবার রুমে ছুটলাম। বাবাকে খবরটা জানাতেই ভীষণ খুশি হয়ে বললো,
‘সত্যিই তুই সমাধান করেছিস? কিভাবে করলি বলতো?’
‘সেসব তোমাকে জানতে হবে না বাবা। তুমি এখন টেনশন ফ্রী থাকো।’ বিজ্ঞের মতো বললাম।

বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘আমার ছোট্ট হৃদিটা তো অনেক বড় হয়ে গেছে। এবার বিজনেসের দায়িত্বটা পুরোপুরি তোর কাঁধে দিয়ে আমি সারাক্ষণ বাসায় বসে থাকবো।’

আমি বাবাকে ছেড়ে দিয়ে হালকা সরে এসে বললাম,
‘বাসায় সারাদিন কি করবে বাবা?’
‘তোর মায়ের সাথে ঝগড়া করবো। হাহাহা।’ বাবা ঘর কাঁপিয়ে হাসতে লাগলেন।

আমি মৃদুস্বরে বললাম, “বাবা, রাসূল (সাঃ) কখনো অট্টহাসি দিতেন না।”
বাবা সাথে সাথে হাসি বন্ধ করে বললেন, “স্যরি!”
আমি মুচকি হেসে বেরিয়ে এলাম। কিচেনে গিয়ে মাকে বললাম,
‘মা, যাও গিয়ে বাবার সাথে ঝগড়া করো। সব মিটমাট হয়ে গেছে।’
‘সত্যি? কে মিটমাট করলো? নাকীব?’

আমার মুখের হাসি মুহুর্তেই উবে গেল। সব কি শুধু নাকীবই পারে? আমি কিছুই পারি না? আমি মৃদু কন্ঠে বললাম,
‘হুম নাকীবই করেছে।’
মা গর্ব করে বললেন,
‘আমার ছেলে হলো দশে একটা। ও-ই তো পারবে সব। তুই এতবড় হলি কিচ্ছুটি শিখলি না রে হৃদি।’

চোখের কোণে পানি জমছে। মায়ের সামনে থেকে সরে নিজের রুমে চলে গেলাম। বড্ড চোখ জ্বালা করছে। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার না খেয়েই বেরিয়ে পড়লাম। ভার্সিটি যেতে হবে। বাসার নিচে নামতেই দেখি রিয়াদ ওর গাড়ি নিয়ে এসেছে। আমাকে দেখতেই বললো,
‘আজকে ভার্সিটি যাবো না। একটা জায়গায় নিয়ে যাবো তোকে।’

আমার এমনিতেই ভার্সিটি যেতে ইচ্ছে করছিলো না। রিয়াদের সাথে কথা বলার জন্যই মূলত যাচ্ছিলাম আমি। তাছাড়া আমি ভেতরে ভেতরে পুরোটা ঘেঁটে আছি। একদিকে রাফিনের কাটখোট্টা স্বভাব অন্যদিকে মায়ের অবহেলা সবকিছু নিয়ে ভীষণ মন খারাপ হয়ে আছে আমার। তাই বিনাবাক্যে রিয়াদের গাড়িতে উঠে পড়লাম। কোথায় যাবে তাও জিজ্ঞেস করলাম না। গাড়িতে উঠতেই দেখি শাওন, মৌ, মারিয়া সবাই বসে আছে। রিয়াদের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই বললো,
‘ঘুরতে যাচ্ছি সবাই।’

আমি আর কথা বাড়ালাম না। চুপচাপ গাড়িতে বসে ছিলাম। অনেকক্ষণ পর সুন্দর একটা জায়গায় গিয়ে গাড়ি থামে। চারপাশে সুউচ্চ পাহাড়। বয়ে চলা মেঠোপথ। পথের দু’পাশে ঘন গাছপালা। আমরা গাড়ি থেকে নেমে সামনে হাঁটতে থাকি। অনেকদূর হাঁটার পরও কারো দেখা মেলেনি। আমরা আসলে পাহাড়ে ওঠার রাস্তাটা খুঁজছিলাম। কিন্তু আশেপাশে কেউ না থাকায় কাউকে জিজ্ঞেসও করতে পারছিলাম না।

জায়গাটায় জনমানব নেই বললেই চলে। অনেকদূর হাঁটার পর অবশেষে একটা চায়ের দোকান পাওয়া গেল। চায়ের দোকানির কাছ থেকে পাহাড়ে ওঠার রাস্তা জেনে নিলো রিয়াদ। ঐ দোকান থেকে আমরা এক কাপ চা খেলাম পাউরুটি দিয়ে। এরপর আবার হাঁটতে হাঁটতে দোকানির নির্দেশ অনুযায়ী যেতে থাকলাম। আমরা তখনও জানি না কি বিপদ আমাদের জন্য ওৎ পেতে আছে।

অবশেষে পাহাড়ে ওঠার রাস্তা পেলাম। অনেক কসরত করে পাহাড়ে উঠে চারপাশটা দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল সবার। এতক্ষণের সমস্ত ক্লান্তি যেন উবে গেল। মুগ্ধ হয়ে চারপাশে দেখতে দেখতে বেশ খানিকক্ষণ সময় পেরিয়ে যায়। আমরা পাহাড়ের ওপর সুন্দর নরম ঘাসে বসি। হঠাৎ শাওন বললো,
‘চল, সুন্দর জায়গাটায় আমরা সবাই নিজেদের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর কিংবা মজার ঘটনাটা একে অপরের সাথে শেয়ার করি।’

‘হ্যাঁ ঠিক বলেছিস।’ মারিয়া সায় দেয়।
‘শাওন, প্রথমে তাহলে তুই-ই বল সুন্দর ঘটনা।’

শাওন বিনাবাক্য ব্যয়ে বলতে শুরু করে,
‘আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ঘটনা ঘটেছিলো কলেজে ঢোকার প্রথমদিন। আমি ভয়ে ভয়ে কলেজের গেইটে পা রাখতেই একদল ছেলেমেয়ে এসে আমাকে মালা পরিয়ে দিলো। আমি তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। একে তো নতুন কলেজ, কি না কি হবে ভেবে ভয়ে আমি আধমরা। তারওপর কলেজে ঢুকতেই গণ্যমান্যদের মতো মালা পরিয়ে দিলো আমাকে। আমি তাড়াহুড়ো করে বলতে গেলাম, তোমরা ভুল মানুষকে মালা পরাচ্ছো। কিন্তু সেটা আর বলা হয়নি। তার আগেই একটা মিষ্টি মেয়ে এসে সবচেয়ে বড় মালাটা পরিয়ে বললো,
‘ওয়েলকাম টু আওয়ার কলেজ, ম্যাম!’

আমি মুচকি হাসলাম। শাওন বললো, “সেই মিষ্টি মেয়েটা ছিল হৃদিতা।”
বাকিরা অবাক হয়ে জানতে চাইলো,
‘তখন হৃদিতা তোকে চিনতো নাকি?’
‘না, বরং সেদিনই আমাদের পরিচয়।’ শাওন বলে।

‘তাহলে হৃদি, হঠাৎ ওকে মালা পরালি কেন?’
আমি হাসতে হাসতে বললাম,
‘সেদিন আমাদের কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে আমরা কয়েকজন মিলে বসেছিলাম। দূর থেকে দেখছিলাম শাওন আসছে। প্রথমদিন দেরী করে আসায় হয়তো ভয়ে কাঁপছিলো ও। নিউ স্টুডেন্ট বোঝাই যাচ্ছে। আমি সবাইকে বললাম, ওকে গিয়ে মালা পরিয়ে আরও ভড়কে দিতে হবে। ভড়কে দেওয়ার কথা শুনে সবাই রাজি হয়ে গেল। আমাদের গলায় এমনিতেই মালা ছিলো। সবাই গিয়ে পরিয়ে দিলাম ওকে। শাওন তো বিস্ময়ে হতবাক। ও হাত নেড়ে বারবার কিছু বলতে চাইছিলো কিন্তু আমরা কিছু বলতে দিইনি ওকে। নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিয়েছিলাম প্রধান অতিথির চেয়ারে। হাহাহা!’

‘তারপর, তারপর?’

‘তারপর সবাই মিলে বলছিলাম, ম্যাম আপনার আসতে কোনো অসুবিধে হয়নি তো? কি খাবেন বলুন ম্যাম? অনুষ্ঠান শুরু হতে তো ঢের দেরী, এত আর্লি চলে এলেন যে?’

আমার কথা শেষ হতেই সবাই হাসিতে ঢলে পড়লো। শাওন আমার কাঁধে ধাক্কা দিয়ে বললো,
‘ফাযিল তুই, ভীষণ ফাযিল!’

আমি হাসতে হাসতে বললাম, ‘এটা বুঝি সুন্দর ঘটনা হলো? এটা তো মজার ঘটনা।’
‘এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা। এই ঘটনা না ঘটলে কি তোকে পেতাম?’
‘আহারে!’ জড়িয়ে ধরলাম শাওনকে।

‘এবার তোর ঘটনা বল?’ রিয়াদ বললো।
‘আমার… উমম!’
কি ঘটনা বলা যায় ভাবছি। ইয়েস! মনে পড়েছে।

#Be_Continued_In_Sha_Allah ❣️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here