অগত্যা তুলকালাম।’পর্ব-৭

0
982

#অগত্যা_তুলকালাম
নাফীছাহ ইফফাত

পর্ব ৭

‘আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ঘটনা, সুন্দর মুহুর্ত ছিল প্রিয় মানুষটার সাথে পথচলার শুরুর দিনটা।’ আমি বলা শুরু করলাম।

শাওন বললো, ‘তোর প্রিয় মানুষ মানে? তোর প্রিয় মানুষও আছে? কই আমাকে তো বলিসনি কোনদিন?’
‘বলার মতো কিছু না তো।’
‘সেসব বললে হবে না। আজকে আর কোনো কাহিনি না। শুধু তোর লাভ স্টোরি শুনবো। বল বল, শুরু কর।’ মৌ বললো।

‘সেটা বলতে গেলে পুরো একটা গল্পই হয়ে যাবে।’

‘বল বল? গল্পই বল।’ রিয়াদ বলে।

অগত্যা বলা শুরু করলাম আমি।
‘আমাদের দেখা হয় অনেকটা সিনেমাটিকভাবে। আমি জোরে সাইকেল চালিয়ে কাশবনে ঢুকছিলাম আর সে বের হচ্ছিল। হুট করে ধাক্কা লেগে বেসামাল আমি পড়ে যাই কিন্তু সে পড়েনি। আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে মাটি থেকে তুলে এনেছিল আমাকে। সেদিন পরিচয়। এরপর আবার দেখা হয় বেশ কিছুদিন পর। তখনই মূলত চেনাজানা হলো আমাদের। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন দেখা হতো। কথা বলতাম, ভালো লাগতো। আর সে আমাদের সাথে ক্রিকেট খেলতো প্রায়ই। এরপর একদিন হুট করে ও আমাকে প্রপোজ করে বসে।’

‘কীভাবে প্রপোজ করেছিলো বলনা?’ শাওন বললো।

‘বলছি। কাশবনের গহীনে নিয়ে গিয়ে একগুচ্ছ কাশফুল হাতে আমার সামনে হাঁটুমুড়ে বসে বলেছিলো,
“আমরা কখনো বন্ধু নই, শত্রুও নই। বেস্টফ্রেন্ড, ক্লোজফ্রেন্ড কিছুই নই আমরা। আমাদের সম্পর্কের আসলে কোনো নামই নেই। আমি এই সম্পর্কের নাম দিতে চাই, আরোহী। আমার চলার পথে, আমার বাইকের পেছনের সিটে, আমার পুরো জীবনে একমাত্র তোমাকে আরোহণ করাতে চাই। তোমাকে আমি আমার আরোহী বানাতে চাই। আমার একান্ত আরোহী। যার ওপর সব অধিকার শুধু আমার থাকবে। যে-ই আরোহীকে আমি অন্যকারো সাথে আরোহন করতে কখনো দেখতে চাই না। যে-ই আরোহী সারাক্ষণ আমার সাথে থাকবে, আমার সাথে আরোহণ করবে, আমার সাথে পুরো পৃথিবী ভ্রমণ করবে আর সারাক্ষণ শুধু আমার মনে বিরাজ করবে। তুমি আমার হৃদয়ের আরোহী হবে, প্লিজ?’

আমার বুকের ভেতর ধুকপুকানি বেড়ে গেল। শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। কোনোরকমে ওর হাতসমেত কাশের গুচ্ছদ্বয় ধরে বলেছিলাম,
‘আমি শুধু তোমার আরোহী হতে চাই। আর কারো না। কারো আরোহী হওয়ার আগে তোমার হৃদয়ে ঠায় দাও আমায়।’

ও মুচকি হেসে উঠে দাঁড়িয়ে আমার হাতজোড়া শক্ত করে ধরে বলেছিলো, ‘তুমিই আমার হৃদয়ের আরোহী, হৃদিতা আরোহী!’

এটুকু বলে থামলাম আমি। সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। মৌ বললো,
‘তোর বয়ফ্রেন্ড তোকে এত সুন্দর করে প্রপোজ করেছিলো? মাই গুডনেস! এভাবেও প্রপোজ করা পসিবল? হাউ ইন্টেলিজেন্ট হি ইজ!’

মারিয়া বললো, ‘আসলেই সাংঘাতিক সুন্দর প্রপোজ। আমার শোনা সেরা প্রপোজ। তোর পুরো নাম দিয়ে কি সুন্দরভাবে ভালোবাসার কথাটা এক্সপ্লেইন করলো। “তুমি আমার হৃদয়ের আরোহী, হৃদিতা আরোহী!” উফ! কি সুন্দর! তুই অনেক লাকী রে দোস্ত।’ ’হায়’ বলে বুকে হাত দিয়ে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গি করলো মারিয়া।

‘আমার বয়ফ্রেন্ড তো ঠিকভাবে গোলাপটাই ধরতে পারেনি। হাত কাঁপছিলো ওর। আর কথা বলার ভঙ্গি..হুহ! তার হাবভাব দেখে মনে হচ্ছিল আমি না, তার সামনে বাঘ দাঁড়িয়ে আছে, তাকে খেয়ে ফেলবে তাই ভয়ে আধমরা সে। হুশশ!’ মৌ আফসোস করে বললো।

ওর কথায় সবাই হেসে ফেললো। মারিয়া বললো,
‘আমার বয়ফ্রেন্ডেরও সেইম অবস্থা দোস্ত।’

শাওন বক্রহাসি দিয়ে বললো, ‘আমার তো ভাই বয়ফ্রেন্ডই নেই। আমি জন্মগত সিঙ্গেল।’
আবার হাসির রোল পড়ে গেল। আমি রিয়াদকে বললাম,
‘তুই কিছু বলছিস না কেন? তোর প্রিয় মানুষ নেই?’

‘আমার? আছে তো, কিন্তু ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।’ হতাশ গলায় বললো রিয়াদ।
‘মানে?’
‘সে আশেপাশেই আছে কিন্তু আমার না।’
‘একতরফা ভালোবাসা? বলিসনি ভালোবাসার কথা?’ মৌ বললো।

‘বলা হয়নি।’
‘কেন?’
‘ওর সাথে আমার রোজ কথা হয়৷ ভালোবাসার কথা বললে যদি তাও না হয়? যদি ছেড়ে চলে যায় এই ভয়ে বলিনি।’
‘বলে দে, বলে দে। আমরা তোর লাভ স্টোরিও শুনতে চাই।’ আমি বললাম।

রিয়াদ কিছু বলার আগেই হঠাৎ দেখলাম চার-পাঁচজন মুখোশধারী লোক আমাদেরকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা তাড়াহুড়ো করে উঠে দাঁড়ালাম। লোকগুলোর মধ্যে একজন ঘাসের ওপর একটা রুমাল বিছিয়ে দিয়ে কর্কশ কন্ঠে বললো,
‘তোমাদের ফোন, ক্যামেরা, ঘড়ি যা কিছু আছে সব এক্ষুনি এখানে রাখো। নাহয় কারো ঘাড়ে মাথা থাকবে না।’

রিয়াদ কিছু বলতে যাবে তখনই ফ্যাচ করে একটা ছুরি বের করে লোকটা। আমরা ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসি। লোকটা আবার বললো,
‘জিনিসগুলো রাখো, তাড়াতাড়ি ভাগো।’

আমরা ফোন, ওয়ালেট, ক্যামেরা ও ঘড়িসহ নিজেদের সাথে থাকা সব দামি জিনিসগুলো রুমালে রাখলাম। কিন্তু সবাই ফোন রাখলেও আমার ফোনটা আমি এপ্রোনের ভেতরে গোপন পকেটে রেখেছিলাম। লোকগুলো রুমালটা বেঁধে ফেলছিলো ঠিক তখনই আমার ফোনে কল আসে। আমার আত্মা বেরিয়ে আসার অবস্থা হয়। লোকগুলো রীতিমতো তেড়ে আসে আমার দিকে। ওদের আসার ভঙ্গি দেখে আমি পিছুতে গিয়ে ধপাস করে নিচে পড়ে গেলাম। শাওনরা আতঙ্কে চেঁচিয়ে উঠলো। লোকটা আমার গলায় ছুরি ধরে বললো,
‘ফোন বের কর।’

লোকটার চোখের দিকে ভালোভাবে তাকাতেই হঠাৎ চেনা চেনা মনে হলো। আমার তখন কি হয়েছে আমি জানি না। একটানে লোকটার মুখোশ খুলে ফেলি আমি। লোকটা সটান আমার গালে চড় মেরে দেয়। লোকটাকে দেখে আমি হতবাক। কারণ এই লোকটাই সেই চা-ওয়ালা। আমি বিড়বিড় করে আয়তুল কুরসি পড়ে বুকে ফু দিয়ে নিলাম। মুহুর্তেই মনে হাজারগুণ সাহস বেড়ে গেল। চিৎকার করে বললাম,
‘ফোনে অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ডকুমেন্টস আছে। আমি কিছুতেই ফোন দিবো না।’

বাকি লোকগুলো ততক্ষণে আমার চারপাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমার ওপর ঝুঁকে আছে সবাই। বুক ধড়ফড় করছে আমার। হঠাৎ জোরে সমস্বরে চিৎকার শুনতে পাই দু’দুবার। ঘটনা কি হয়েছে বুঝতে পারিনি তবে এটুকু বুঝেছি লোকগুলো আর আমার সামনে নেই। সবগুলো মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। বেকায়দায় পড়ায় দুজন গড়িয়ে পাহাড় থেকেই পড়ে গেছে।

রিয়াদ চিৎকার করে বললো, ‘চল সবাই, দ্রুত। মারিয়া দৌড়ে গিয়ে আমাদের জিনিসভর্তি রুমালের পুটলিটা তুলে নিলো। এরপর প্রাণপনে নিচের দিকে ছুটতে থাকে সবাই। আমি তখনো মাটিতে পড়ে আছি। রিয়াদ এসে আমাকে তুলে আমাকে নিয়ে দৌঁড়াতে থাকে ও।

একদম গাড়ির কাছে এসে থামি আমরা। চটজলদি গাড়িতে উঠে বাসায় চলে আসি। সেদিন রাতেই আমাদের সবার একসাথে জ্বর হয়। প্রচন্ড জ্বর নিয়ে দুদিন কেটে যায়। এই দুদিন আমার কোনো সেন্স ছিলো না বলতে গেলে। পাহাড় থেকে দৌড়ে নেমেছি বলে সারা শরীর ব্যাথায় জর্জরিত ছিল। তিনদিনের মাথায় সুস্থ হয়ে প্রথমেই রাফিনকে ফোন করি। ও ফোন ধরেই বললো,
‘কয়দিন লাগে ফোন ব্যাক করতে?’

আমি হেসে বললাম, ‘তিনদিন।’
‘হুহ! কেমন আছো এখন?’
‘ভালোই তো। তুমি?’
‘হুম ভালো। কি হয়েছিল তোমার? তুমি নাকি সেন্সলেস হয়ে পড়েছিলে বাসার সামনে? কোথায় গিয়েছিলে সেদিন?’

আমি রাফিনকে সব খুলে বললাম। শুনে রেগে বোম হয়ে বললো,
‘তুমি যে বিপজ্জনক পাহাড়টায় গিয়েছো আমাকে বলেছিলে একবারও? বলো বলেছিলে?’
‘ইয়ে হুট করে…’
‘কিসের হুট করে? আমার কথা ছাড়ো, আঙ্কেল-আন্টিকে বলে গিয়েছিলে? বলো?’
‘না।’
‘এত্ত কেয়ারলেস? কাউকে না বলে কোন সাহসে তুমি ঐ পাহাড়ে যাও? তুমি তো খুব ভালো করেই জানতে ঐ পাহাড় ডাকাতদের আড্ডাখানা। ডাকাতগুলো যদি মেরে পু্ঁতে রাখতো জানতাম আমরা কেউ?’

‘স্যরি! আর যাবো না, ভুল হয়ে গেছে।’ কাঁচুমাচু করে বললাম।
‘হোয়াট স্যরি? তোমার স্যরি তোমার কাছেই রাখো। এক নাম্বারের একটা কেয়ারলেস তুমি। তোমার কিছু হয়ে গেলে সবার খুব আনন্দ হতো ভেবেছো তাই না?’

‘সবার হতো না, তোমার তো হতো। তোমাকে অনেক জ্বালাই না আমি? আমি না থাকলে তো আর কেউ জ্বালাতো না।’ রাফিনকে আরেকটু রাগাতে কথাটা বললাম।

‘বাজে কথা বলবা না। ইচ্ছে করছে কেটে কুচিকুচি করে ফেলি। হেই তুমি বিকেলে আমার সাথে মিট করবা। খেয়েই ফেলবো আজকে।’ বলে ফট করে ফোন কেটে দিলো।

আমি তখনো ফোন হাতে নিয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছি। না জানি বিকেলে কি হয়? ফোনে তো ভালোই রাগিয়ে দিয়েছি। সামনাসামনি তো কথাও বলতে পারব না ভালো করে। উফ!

ভাবতে ভাবতে আবার ফোন এলো। রাফিনের ফোন। ও আবার কেন ফোন দিচ্ছে? আবার কি হলো?
তাড়াতাড়ি রিসিভ করে কানে দিতেই বললো,
‘খেয়েছো তুমি?’

আমার মাথায় আবার দুষ্টামি চাপলো। বললাম,
‘কি খাবো?’
ও আমার কথায় পাত্তা না দিয়ে বললো,
‘ব্রেকফাস্ট করেছো?’
‘হ্যাঁ, তুমি?’
‘করেছি। মেডিসিন নিয়েছো ঠিকঠাক?’
‘না, অসুখ সেরে গেছে।’
‘কিচ্ছু সারেনি। ঠিকঠাক মেডিসিন নিবে আর বিকেলে মিট করবে। রাখলাম।’
‘অকে।’

ফোন কাটতে উদ্যত হতেই রাফিন বললো,
‘শোনো..’
‘শুনছি।’
‘টেক কেয়ার!’

আহা! মনটা জুড়িয়ে গেল আমার। উৎফুল্ল মনে বললাম, ‘ইউ টু!’

যাক রাগ কমে গেছে। ওর এই একটা ভালো দিক। ও বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারে না। প্রথমে রাগ করলেও কিছুক্ষণ পর আবার কোমল সুরে কথা বলো। ওর এই দিকটা আমার খুব ভালো লাগে। রাগে যদি ভুল কিছু বলে কিছুক্ষণ পর আবার নিজেই এসে স্যরি বলে।

বিকেলে নাকীবের সাথে আগেভাগেই বের হয়ে গেলাম। রাফিন আসার আগে আমরা একটা ক্রিকেট ম্যাচ খেলবো। আমি যেতেই সব পিচ্চিরা আমার ওপর হামলে পড়লো। ব্যাট, বল, স্ট্যাম্প হাতে আমার চারপাশে ঘুরে সবাই স্লোগান দিচ্ছে,
‘আজকে আমাদের সাথে খেলতে হবে, না খেললে ছাড়ছি না, ছাড়ব না।’

আমি বললাম, ‘খেলতেই তো এসেছি। টস কর। কারা আগে খেলবে? আর কে কোন টিমে?’

আমরা একই টিমের মোট বারোজন, ছয়জন করে দু’দলে ভাগ হয়ে গেলাম। আমি ও নাকীব এখন আলাদা টিম। টসে নাকীবের দল জিতলো। ওরাই প্রথম ব্যাটিং করবে। খেলা হবে ছয় ওভারে।

সবাই পিচ্চি হওয়ায় নাকীব ছাড়া বাকিরা দুই ওভারের মধ্যে অলআউট হয়ে গেল। নাকীব মাঠে নেমে ধুমসে কয়েকটা ছক্কা হাঁকায়। তিন ওভারে ও একাই ৪৭ রান করে। চার ওভারের ফার্স্ট বলে আউট হয়ে যায় ও।

এরপর আমরা মাঠে নামি। আমিই প্রথমে ব্যাট হাতে নিই। প্রথম ওভারেই পরপর ছক্কা ও চার মেরে ২৬ রান করি। এরপর ব্যাট দিই শিহাবকে। ও এক ওভার খেলে ৪ রান করে। এভাবে খেলা চলতে থাকে। সবার শেষে আবার আমি মাঠে নামি। নাকীব বল করছে আর আমি ব্যাটিং। আমাদের রান এখনো ৪৩। পরের বলটা করতেই বল ড্রেনে গিয়ে পড়ে। সবাই সেদিকে ছুটে যায়। শিহাব বল তুলে আনে। আমি বলটা মাঠে ঘষে হাতে তুলে নিই। এরপর তিনটা বাউন্স মেরে আবার খেলায় ফিরে আসি। শেষ বলে আমি জোরে একটা ছক্কা হাঁকিয়ে আকাশের পানে তাকিয়ে আছি। বল কতদূর উঠেছে দেখছি তখনই কেউ এসে আমাকে টেনে নিয়ে যায়। আমি ব্যাট হাতে পিছু পিছু দৌড়াচ্ছি।

রাফিন রেগেমেগে অস্থির হয়ে আছে। আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ও।
‘অসুখ সেরেছে কয়েক ঘন্টা হলো না উনি এখানে এসে ক্রিকেট খেলছেন। ফাইজলামি হচ্ছে?’ রাগে গিজগিজ করতে করতে বললো রাফিন।

আমি হাতটা বারবার ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি আর বলছি,
‘ছাড়ো বলছি, আমরা জিতে গেছি। ওদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়নি।’
‘চুপপ! চুপ একদম।’ ধমকে উঠলো রাফিন।

আমি চেঁচিয়ে আমার টিমের উদ্দেশ্যে বললাম,
‘হেই বিপক্ষ দলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিস। আমরা জিতে গেছি।’

‘চুপ করতে বলেছি না তোমাকে?’ রাফিন রক্তবর্ণ চোখে তাকালো আমার দিকে। আমি মুখ গোমড়া করে ব্যাটটা দূরে ছুড়ে ফেললাম।

রাফিন আমাকে নিয়ে কাশবনের গহীনের সুউচ্চ টাওয়ারটার দিকে যেতে থাকে। আমি আবার চেঁচিয়ে নাকীবকে বললাম,
‘ব্রো, আমার ট্রফিটা রেখে দিস কিন্তু।’

নাকীবও সমানতালে চেঁচিয়ে বললো, ‘তোমার ট্রফিই তোমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, আমি আর কি রাখবো?’

রাফিন পিছু ফিরে মুচকি হাসলো। দূর থেকে নাকীবকে হাই ফাইভ দিয়ে একচোখ টিপে চলে আসলো আমাকে নিয়ে।

#Be_Continued__In_Sha_Allah ❣️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here