অজানা আলোর খোঁজে পর্ব-১

0
4918

#অজানা_আলোর_খোঁজে
#লেখিকা-শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব-১

চার বছর আগে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমার ভাবীকেও ভাইয়ের সাথে জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়। নিজের সামনেই যেন সতীদাহ প্রথাটা দেখেছিলাম। বারবার বুকের ভেতরটা মুচরে গিয়েছিল। এ কি নির্মম পরিহাসের সম্মুখীন হয়েছিলাম। কখনো চিন্তা করেনি এমন একটা বিশ্রি ব্যপারের সাক্ষী হয়ে থাকব আমি।
চার বছর আগে বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় হুট করে ভাইয়ের মৃত্যু হয়।একদিন রাতে ভাইয়া বুক ব্যাথায় কাতরাতে থাকে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। ডাক্তারের কাছ থেকে যখন বাড়িতে আনা হলো তখন আমার তৃতীয় মা। তৃতীয় মা কথাটা শোনে হয়তো একটু অবাক হতে পারেন। তবে আমার বাবা মোট তিনটে বিয়ে করেছে। ঐদিন যে ভাইয়ার লাশের সাথে ভাবীকে জ্যান্ত দাফন করা হয় সে ভাইয়ার মা আয়েশা হলো প্রথম স্ত্রী। বিয়ের দুবছর পর উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাই উনাকে পাগলা গারদে রেখে আসা হয়।শোনেছি তখন ভাইয়ার বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। তখন আমার মা সুরাইয়া বেগম দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে এ বাড়িতে পা রাখে। তারপর আমি জন্ম নিই। আমি আর ভাইয়া মায়ের আদরে বড় হতে থাকি। তবে সে আদরটাও কপালে বেশিদিন জুটেনি। উনি আমার ৫ তম জন্মদিনে আত্নহত্যা করে মারা যায়।

সেদিনের কথা মনে হলে এখনো গা টা শিউরে উঠে। সন্ধ্যায় আমার বার্থ ডে কেক আনা হয়। খুব সুন্দর করে সেজে মায়ের রুমে গিয়ে দেখলাম দরজা আটকানো। অবাক হয়ে দরজা ধাক্কাতে লাগলাম। কোনো সাড়া শব্দ ছিল না। দরজা ভাঙ্গার পর খেয়াল করলাম মায়ের জুলন্ত দেহটা ফ্যানের মধ্যে আটকে আছে। কালো কাপড় দিয়ে মা গলা পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছে। মাকে যখন নামানো হয়েছিল মায়ের হাতে কালো টিক চিন্হ দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম। গলার নীচের দিকে হলুদ মাখানো ছিল। ঠোঁটে মুখে আঁচড়ের দাগ ছিল। মনে হয়েছিল কোনো হিংস্র পশু মাকে আঘাত করেছে। মায়ের লাশটা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে নিলে বাবা আটকে দেয় আমাকে। আমি জোর করে যেতে নিলে আমাকে বাবার কথায় বাবার কর্মচারী গুলো টেনে হিঁচড়ে ঘরে আটকিয়ে রাখে। তারপর মাকে উঠানে নেওয়া হয়। তখন ঘরের জানালা দিয়ে চাঁদের আধো আধো আলোতে যা দেখলাম তা আর সহ্য করার মতো ছিল না। কচি বয়সে এত হিংস্রতার সাক্ষী হতে হবে বুঝতে পারেনি। ভাইয়াও তখন মামার বাড়িতে বেড়াতে গেছিল। তাই বিষয়টার সাক্ষী শুধু আমিই থাকি। খেয়াল করলাম মাকে আমার বাবা কুপাচ্ছে। কুপিয়ে গলাটা আলাদা করে এক পাশে রেখে সারা শরীর পানি দিয়ে ধৌত করে হলুদ মাখাচ্ছে। আমি চিৎকার দিতে চেয়েও চিৎকার করতে পারছিলাম না। মনে হয়েছিল কন্ঠনালিতে কথা আটকে গেছে সেই সাথে জিহ্বার জড়তাটাও বেড়ে গিয়েছিল। মনের ভেতরটা যেন পুড়ে ছাড়াখাড় হয়ে যাচ্ছিল।অল্প বয়স ছিল তাই সহ্য করতে বড্ড কষ্ট হচ্ছিল। হলুদ মাখা শেষে মায়ের মাথাবিহীন লাশটা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বলে রাখা ভালো আমি মুসলিম পরিবারের মেয়ে। মুসলিম পরিবারের লাশকে এভাবে সৎকার করা হয় সেটা জানা ছিল না। পুড়ানোর পর সে ছাইটা বাবা সংরক্ষণ করে রাখে এরপর মায়ের মাথাটা আলাদা করে কোথায় যেন নিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে একটা আত্নহত্যার লাশ পুলিশে দেওয়া হলেও আমার বাবা মায়ের ব্যপারটা কাউকে জানতে দেয়নি। আমাদের বাড়িটা এমন জায়গায় ছিল যেখানে লোকালয়ের আভাস কম। যার দরুণ ব্যপারটা লুকাতে বাবার সমস্যা হয়নি। আর নানা বাড়িটা দূরে থাকায় তারা আসার আগেই রাতের আধাঁরেই কাজটা সাড়া হয় এবং তাদের বলা হয় মাকে দাফন করা হয়ে গেছে। তারাও কোনোরুপ সন্দেহ করতে পারেনি বাবাকে। কারণ বাবার সাথে মায়ের সম্পর্কটা বেশ ভালো ছিল। সেদিনের পর থেকে মানসিকভাবে কিছুদিন ভেঙ্গে পড়েছিলাম। বাবার ভয়ে বিষয়টা কাউকে বলার সাহস পাইনি। তবে বয়স কম ছিল তাই সে হিংস্র ঘটনাটা বেশিদিন মনে টিকেনি।

মায়ের মৃত্যুর পনের দিন পর আমার বাবা তেজস্বীনি নামের এক কুমারী অল্প বয়স্ক মেয়েকে তৃতীয় বিয়ে করে। তখন থেকে তৃতীয় মায়ের কাছে আমি আর আমার বড় ভাই মানুষ হতে থাকি। বেশ ভালোই দিন কাটছিল আমাদের। এর মধ্যে তেমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেনি। বলতে গেলে তেজনস্বিনী নিজের ছেলে মেয়েদের মতো আমাদের ভালোবাসতো। আর উনার কোনো ছেলে মেয়ে না হওয়ায় আমরায় সব ছিলাম। মায়ের কমতি টা বুঝিনি। ভাইয়ের বয়স যখন আঠার হলো তখন আমার বয়স সবে চৌদ্দতে পড়ে। ভাইয়া সবে মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছে এর মধ্যেই বেশ তাড়াহুড়া করে ভাইয়াকে বিয়ে করানো হয়। ভাইয়ার বিয়ের পাঁচমাস পর এ কাহিনিটা ঘটেছিল।

ঘটনায় আসা যাক ভাইয়াকে মৃত ঘোষণার পর যখন হাসপাতাল থেকে আনা হলো তখন রাত তিনটে বাজে। আমার তৃতীয় মা তেজস্বিনী ভাবীকে বলল
-গোসল করে আসো।
আমার ভাবী তখন স্বামীর শোকে পাগলপ্রায়। নিজের স্বামীর মৃত্যু সংবাদটা নিজের পরিবারকেও তখন জানাতে পারেনি। এর আগেই ভাবীর মোবাইলটা হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছে আর কি হতে যাবে কেনই বা এসব ঘটনা ঘটছে। এদিকে ভাবী তেজস্বিনীর কথা না শোনে চুপ করে বসে কাঁদতেই থাকল।
তখন উনি ভাবীকে টেনে নিয়ে গোসল করিয়ে সাদা কাফনের কাপড় পড়িয়ে দিল। ভাবী একটা চিৎকার দিয়ে বলল

– মা আমাকে কাফনের কাপড় পড়িয়েছেন কেন?

তেজস্বিনী বিকট হেসে বলল

– শাদাফের সাথে তোমাকেও যেতে হবে ভালোবাস তো তাকে। ভালোবাসার মানুষের সাথে সবসময় একসাথে থাকতে হয়। এতে ভালোবাসার পূর্ণতা পায়।( ভাইয়ার নামটায় তো বলা হলো না।আমার ভইয়ের নাম শাদাফ ছিল)।

ভাবী অবাক হয়ে বলল

– মানে?

তেজস্বিনী ভ্রুটা কুচঁকে কপালটা উঁচা করে বলল

– মানে খুব সোজা শাদাফের সাথে তোমাকেও দাফন করা হবে।

তেজস্বিনীর কথা শোনে আমি ভয়ে আঁৎকে গেলাম। চেনা মুখটা যেন বড্ড অপরিচিত লাগছিল। মনে হচ্ছিল আমি ভুল দেখছি না তো। তেজস্বিনীর মুখোশটা সেদিন প্রথম উন্মোচিত হয়েছিল। যার ফলে সেদিন মায়ের সাথে ঘটে যাওয়া সেই নয় বছর আগের কাহিনি আমার চোখে ভেসে আসলো। কিছু বলতেও পারছিলাম না কারণ আমি বাক প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি মনে হচ্ছিল। যাইহোক ভাবী তেজস্বিনীর কথা শোনে আচমকা চেঁচিয়ে বলল

– আমি যাব না শাদাফের সাথে। আমাকে জ্যান্ত কবর দিবেন না।

বলেই ভাবী দৌঁড়ে ছুটে গেল। উনাকে বাকিরা জোর করে ধরে নিয়ে আসলো। মুরগী যেমন জবাই করার আগে প্রাণ বাঁচার জন্য ছটফট করতে থাকে ভাবীও তখন এভাবে ছটফট করতেছিল। আমি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম আর চোখ দিয়ে অজোরে জল ফেলছিলাম।
উনাকে সবাই জোর করে ধরে রাখল আর উনি ছুটার জন্য হাত পা ছুড়তে লাগল। তখন ভাবীর মুখে বাবা যেন কী দিল সাথে সাথে উনার মুখ থেকে লালা ঝড়তে লাগল। উনি নিস্তেজ হয়ে গেল। তবে উনি জিবীত ছিল। তার মিনেট দশেক পর উনাকে ভাইয়ের সাথে কবরে নামানো হয়। ভাবী তখন কবর থেকে উঠতে নিলে সবাই ভাবীকে বাশ দিয়ে বুকের দিকে চেপে ধরে শুইয়ে দেয়। ইশ কত কষ্টটাই না পেয়েছিল উনি। আর আমার চোখ দিয়ে তখন শ্রাবণের মেঘ ঝড়ছিল। করার মতো কিছু ছিল না
। কারণ আমার হাত পা নড়ছিল না। অমানবিক ভাবে ভাবী আর ভইয়ের দাফন করা হয়। পরবর্তীতে ভাবীর পরিবারকে জানানো হয় ভাবী নিখোঁজ ভাবীর খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ আমি জানি ভাবীকে কীভাবে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে সে অভিশপ্ত বাড়িতে আমার জীবনটা আটকে যায় আর আমি চুপ হয়ে নীরবে সব সহ্য করতে থাকি। বলতে গেলেও অজানা ভয় যেন সবকিছুতে বাঁধা দিত।

প্রতিবছরেই এ বাড়িতে তেজস্বিনী আর বাবা মৃত্যুর লীলা খেলায় মেতে উঠে। জানি না কেন এমন করে? কী কারণে এমন করে? কী লাভ বা কী ক্ষতি? তবে মনে হয় জীবনটা শেষ হয়ে গেলে হয়তো বেশ ভালো হতো। আত্নহনন বিষয়টাও বেশ কঠিন চাইলেও করা যায় না।
এভাবেই কাটে চার বছর। চার বছর পর আমার আঠারতম জন্মদিনে বাবা আমার দরজা ধাক্কাতে লাগল। আমি দরজা খুলে বাড়ির পরিবেশটা দেখে থমকে গেলাম। বেশ ভয় পেতে লাগলাম। এত থমথমা পরিবেশ কি বলব। আমি চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম গোলাপজলের বোতল পড়ে আছে। আগরবাতি জ্বলছে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম আজকে হয়তো আমার সাথে খারাপ কিছু হবে। আমি নিজেকে সামলে নিলাম।বাবা আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল

– যাও মা গোসল করে এসো। তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাব।

বাবা কখনো আমার সাথে এত ভালো ব্যাবহার করে না। বাবার এ ব্যাবহারটাও বেশ রহস্যজনক ছিল। তাই নিজেকে শক্ত করে বাবাকে মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম

– ঠিক আছে।

বাবা আমার কথা শোনে চলে গেলেন। আমি সরাসরি গোসলে না ঢুকে বাবার দিকে নজর দিলাম। বাবা তেজস্বিনীর ঘরে যেতেই দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে পড়লাম।বাবা তেজস্বিনীকে আলমিরা থেকে একটা কাফনের কাপড় বের করে বলল

– তেজু রুকুকে সারা হাত পায়ে হলুদ মেখে এটা পড়িয়ে দিও।

(ওহ তোমাদের তো আমার পরিচয় দেওয়া হলো না আমি রুকাইয়া। সবাই নামটা ছোট করে রুকু বলে ডাকে। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি মানবিক বিভাগে। কলেজে তেমন যাওয়া হয় না। যাওয়া হয় না বললে ভুল হবে যেতে দেওয়া হয় না। শুধু পরীক্ষার সময় গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসি)

যাইহোক বাবার কথা শোনেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার সাথে আজকে খারাপ কিছু ঘটবে। হাত পা কাঁপতে লাগল আমার। বুকের পালপিটিশনটাও বেড়ে গেল। মনে হচ্ছিল এ বুঝি আমি হার্ট এটাক করব। নিজেকে বেশ সামলে নিলাম। ঘরে এসে পালানোর কথা ভাবতে লাগলাম। এদিকে হাতে টাকাও নেই কি করব বুঝতে পারছিলাম না। অনেক ভেবে বাবার পকেট থেকে কিছু টাকা চুরি করে নিই। চারদিকে আগরবাতির ঘ্রাণ আর গোলাপজলের ঘ্রাণ নাকে ভেসে এসে যেন মাথাটা ব্যাথা করতেছে। তবুও সাহস করে দরজা বন্ধ করে কিছু কাপড় আর প্রয়োজনীর জিনিসপত্র গুছাতে থাকি। এর মধ্যে দরজায় কেউ একজন খটখট করতে লাগল। আমি খটখটের আওয়াজ শোনে কেঁপে উঠি। কোনোরকমে গুছানো জিনিস পত্রগুলো খাটের নীচে রেখে দরজা খুলে দেখি তেজস্বিনী হাতে সাদা কাফনের কাপড়টা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ঢুক গিলতে গিলতে বললাম

– মা আপনি?

তেজস্বিনী হালকা হেসে বলল

– হ্যাঁ আমি। তোমার জন্য এ শাড়িটা এনেছি। জন্মদিনে পড়ো কেমন।

আমি একটু ভয়ে ভয়ে বললাম

– সাদা শাড়ি?

তেজস্বিনী মুখের হাসিটা বিস্তৃত করে বলল

– হ্যাঁ সাদা শাড়ি। সাদা তো শুভ্রতার লক্ষণ একে পবিত্র রঙ বলা হয়। তাই এনেছি।

তেজস্বিনীর কথা শোনে কথা না বাড়িয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে সাদা শাড়িটা নিলাম। ভেবেছিলাম এটা কাফনের কাপড়। যাইহোক সাদা শাড়িটা নিয়ে তেজস্বিনীকে বললাম

– আমি পরে আসতেছি।

তেজস্বিনী আমার কথা শোনে গালের এক কোণে হাসির রেখা টেনে চলে গেল।

আমি দরজাটা লাগিয়ে। কোনোরকমে সাদা শাড়িটা পরে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রগুলো নিয়ে বাড়ির পেছন দিয়ে বের হয়ে গেলাম। নিজেকে ভালো করে উড়না দিয়ে মুড়ে নিয়ে বাসে উঠে গেলাম। অচেনা এক শহরে যাচ্ছি মানুষগুলো বেশ অপরিচিত তবুও যেন একটু আশার আলো দেখতে পারছিলাম। জানি না গন্তব্য কোথায় আর কোথায় এটার শেষ হবে। শুধু জানি একটা অজানা আলোর খুঁজে বের হয়েছি। যে আলোর আঁধারে কোনো হিংস্র ঘটনা থাকবে। যে আলোর এক চিলতে রশ্নিতে নিজেকে রাঙ্গিয়ে দিতে পারব।

বাসে বসে রুকু নিজের জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনাটা ডায়রিতে লিখে ডায়রিটা বন্ধ করে একটা নিঃশ্বাস নিল। মনে মনে বেশ অস্বস্থি হতে লাগল তার। বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে লাগল। নিঃশ্বাসটা যদি কোনো ফাঁকা জায়গায় নিত তাহলে হয়তো সে নিঃশ্বাসের দু তিনটা প্রতিধ্বনি ভেসে আসত। এর মধ্যে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল। জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছাঁট এসে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের পরিমাণটা বাড়িয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগল। এ মুহুর্তে মনে হলো কেউ একজন তার পাশে এসেছে। আচমকা এমন উপস্থিতি টের পেয়ে পাশে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেল….

চলবে?

(কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ)

গল্প স্পর্কিত সকল ইনফরমেশন পেতে কমেন্টে দেওয়া গ্রূপ লিংকে ঢুকে গ্রূপে জয়েন করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here