#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ২৬
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি
সাজ্জাদ আনমনে বলে উঠলো,
মানুষ কন্ঠের ও প্রেমে পড়ে!
কি কিছু বললি তুই? ( স্বাধীন)
আরে না কিছু বলি নি। (সাজ্জাদ)
ও আদ্রিতার গানটি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। তুই কি বলিস কেমন হয়েছে? ( স্বাধীন)
হুম ভালোই। (সাজ্জাদ)
সাজ্জাদ চিন্তা করছে আরিয়ান কেনো শুধু স্টেজের দিকে তাকিয়ে ছিলো। তার মানে কি সাজ্জাদের ধারণা সঠিক। আরিয়ান ও কি আদ্রিতাকে পছন্দ করে? সাজ্জাদ এসব ভাবনায় ডুবে আছে।
******
আলো তুই প্রোগ্রামে অংশ নে (আদ্রিতা)
না আমি কোনোকিছুতে অংশগ্রহণ করবো না (আলো)
আমি করবো ভাবতেছি (তানহা)
তোর গান শুনলে সবাই পালাবে। (আবির)
উফফ সবসময় এতো ডিস্টার্ব করিছ কেন? এই আলো আর আদ্রিতা বল না আমি কি অংশ গ্রহণ করবো নাকি করবো না? ( তানহা)
আরে হ্যাঁ অংশেগ্রহণ কর। ( আদ্রিতা)
আচ্ছা ঠিকাছে আমি যখন স্টেজে উঠবো তোরা কিন্তু স্টেজের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবি। (তানহা)
ওরা দাঁড়িয়ে থাকুক আমি পারবো না এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পা ব্যথা হয়ে গেছে। (আদ্রিতা)
আমি ও পারবো না দাঁড়াতে তোর এই বক বক শোনার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। ( আবির)
তানহা আবিরের হাতে একটি ঘুসি দিয়ে বললো আর কেউ না দাঁড়ালে ও তোর দাঁড়াতে হবে আর না দাঁড়লে দেখিস কিভাবে তোকে মারি (তানহা)
তুই মেয়ে নাকি গুন্ডারে? (আবির)
আমি দুইটাই। ( তানহা)
সবাই হেঁসে উঠলো।
আচ্ছা আদ্রিতা তুই যেয়ে বস। আমি আর আবির থাকবো স্টেজের পাশে থাকবো ( আলো)
আচ্ছা ঠিক আছে (আদ্রিতা)
*******
সময় এসে পড়েছে। (নওশিন)
আমার ভয় করছে। যদি ধরা খেয়ে যায়।( রিজভী)
আদ্রিতা বেঁচে ফিরবে নাকি সেটা আগে দেখ (নওশিন)
এতো রিস্ক নিয়ে কি ঠিক করেছিছ? (রাইসা)
আমি বুঝেই এটি করেছি। এতো চিন্তা করতে হবে না। একবার ওকে শেষ করে দিতে পারলেও বাঁচি। আর বাবা শুনেছি বাবার নেক্সট ডিল সাজ্জাদের সাথে। তাহলে সাজ্জাদের নাম্বার পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে আমার জন্য। ( নওশিন)
হুম ঠিক বলেছিছ। (রাইসা)
তুই যা তোর কাজটি করে আয় (নওশিন রিজভীর উদ্দেশ্য বললো)
ওকে (রিজভী)
******
আদ্রিতা গিয়ে একটি চেয়ারে বসে পড়লো । আলো আবির স্টেজের দিকে কারন এখন তানহা গান পেশ করবে। সাজ্জাদ আর স্বাধীন আদ্রিতার সামনের সিটে। আদ্রিতা কিছুটা পিছনে বসা। হঠাৎ রিজভী এলো,
আদ্রিতা একটু শুনো (রিজভী)
হুম বলো (আদ্রিতা)
যেই রুমে প্রধান অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো সেখানে একটি গিফট বক্স ছিলো তাদের দেওয়ার জন্য তুমি একটু নিয়ে আসো আরিয়ান স্যার চাচ্ছে। আমি এইদিকে যারা যারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে তাদের লিস্টটা একটু চেক করছি তাই তোমাকে বলছি একটু যেয়ে গিফটটা নিয়ে আসো।(রিজভী)
আচ্ছা আমি যাচ্ছি। (আদ্রিতা)
[ রিজভী হাসলো গিফট ঠিকিই রাখা আছে আরিয়ান স্যার চেয়েছে এইটা ও সত্যি। কিন্তু সেই রুমে না অন্য রুমে রাখা হয়েছে। ]
আদ্রিতা রুমে গিয়ে গিফটটি খুঁজছে। হঠাৎ রুমে কারোর শব্দ পেয়ে পিছনে তাকালো দেখলো কেউ একজন একটি গ্যাসের মতো রুমে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আদ্রিতা দ্রুত গেয়ে দেখে দরজা বন্ধ। এর মধ্যে গ্যাসের জন্য শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। কোনোমতে দরজা ধাক্কালো তাও কেউ এসে খুলছে না। আদ্রতার শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই অবস্থায় শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। আদ্রিতার শরীর খারাপ হয়ে আসছে দাঁড়ানোর শক্তি পাচ্ছে না। আদ্রিতা দরজা ধাক্কাচ্ছে তাও কেউ খুলছে না। এদিকে ঠিকমতো শ্বাস ও নিতে পারছে না। একসময় আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে বসে পড়লো।
*****
তানহা গান শেষ করে নেমেছে স্টেজ থেকে।
কিরে কেমন দিলাম? (তানহা)
হ্যাঁ ভালো হয়েছে। (আলো)
দুর কিসের ভালো হয়েছে। মনে হয়েছে কোনো হাঁস স্টেজে উঠে প্যাক প্যাক করেছে। (আবির)
কথাটি শুনে আলো ও মুখ টিপে হাঁসলো। তানহার গান আসলে ও সুন্দর হয়েছে কিন্তু আবির সবসময় ওর পিছনে বেজে থাকে।
আদ্রিতা কোথায়? ওর কেমন লাগলো আমার গান?(তানহা)
আদ্রিতা ত সবার সাথে বসে ছিলো এখন ত দেখতে পারছি না। (আবির)
কিন্তু এখন ত আদ্রিতাকে দেখতে পারছি না? (আলো)
কি জানে মনে হয় একা একা ঘুরছে। (আবির)
হ্যাঁ তাই হবে। (আলো)
**** কিছুক্ষণ পর *****
অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে কিন্তু এখনো তারা আদ্রিতাকে খুঁজে পাচ্ছে না।
অনেক্ক্ষণ হয়ে গেলো তাও আদ্রিতা আসতেছে না আমার অনেক ভয় করছে ( তানহা)
হুম অনেকক্ষণ হয়েছে ওর কোনো খোঁজ নেই। (আবির)
দাঁড়া আমি দেখছি। আলো এই কথা বলে সাজ্জাদের দিকে আগাতে লাগলো।
অনুষ্ঠান প্রায় শেষ সাজ্জাদ আর স্বাধীন চলে যাবে এখন প্রিন্সিপাল স্যার সাজ্জাদের সাথে কথা বলছে এমন সময় সেখানে আলো আসলো,
ভাইয়া আপনি কি আদ্রিতাকে দেখেছেন? (আলো)
না। কেনো কি হয়েছে? (সাজ্জাদ)
ভাইয়া অনেকক্ষণ হয়েছে কিন্তু আদ্রিতাকে পাওয়া যাচ্ছে না।(আলো)
কথাটি শুনে সাজ্জাদের মনে একটি ভয় ঢুকে গেলো।
এখন এই কথা বলছো ফাস্ট ওকে খুঁজতে শুরু করো।
(সাজ্জাদ)
সাজ্জাদ চোখে মুখে ভয় দেখে প্রিন্সিপাল স্যার ও বললেন, হ্যাঁ কলেজের সব জায়গায় দেখো ও কোথায় আছে।
********
হঠাৎ কেউ দরজা খুললো আদ্রিতার মনে কিছুটা আশা দেখা দিলো। কিন্তু দরজা খোলার পর যাদের দেখলো তাদের দেখার জন্য আদ্রিতা মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। কালকে বাস স্ট্যান্ডের সামনে দেখা ছেলেগুলো। চোখে মুখে ভয়ংকর হাসি। বোঝায় যাচ্ছে উদ্দেশ্য খারাপ। আদ্রিতা দেখে ভয়ে জমে গেলো। এমনি এতোক্ষণ ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল আবার এখন ওদের দেখে আর ও অবস্থা খারাপ। রুমে ৩ জন ছেলে প্রবেশ করেছে। ৩টি ছেলের মধ্যে একটি ছেলে বাইরে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেলো। যেনো কেউ সন্দেহ না করতে পারে। ২টি ছেলে আদ্রিতার দিকে এগোচ্ছে। মুখে ভয়ংকর হাসি আদ্রিতার সাথে খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে তা আদ্রিতা বুঝতে পারছে। আদ্রিতার কথা বলতে ও কষ্ট হচ্ছে তাও কোনোমতে বলে উঠলো,
কারা আপনারা দরজা বন্ধ করছেন কেনো? বের হন রুম থেকে। (আদ্রিতা)
ছেলেগুলো হেসে উঠলো। একজন এসে হাঁটু গেড়ে আদ্রিতার সামনে বসলো। আদ্রিতার ঠোঁটে হাত দিয়ে লিপস্টিক নষ্ট করে দিলো।
১ম ছেলেটি ২য় ছেলেটিকে বলে উঠলো, আরে এ মেয়ে দেখি সেই একটি মা*ল অনেক মজা হবে। কথাটি বলে বিশ্রী হাসি দিয়ে উঠে।
আদ্রিতা মনে প্রাণে চাচ্ছে কেউ আসুক সাহায্য করার জন্য। ঠিকমতো কথা বলার অবস্থা ও এখন আদ্রিতার নেই।
২য় ছেলেটি বলে উঠলো হ্যাঁ আজকে ভালোই উপভাগ করা যাবে। মেয়েটির শরীর দেখ মনে হয় তুলার মতো নরম।
১ম ছেলেটি বললো তাইলে আর দেড়ি করবো কেনো? চল উপভোগ করি একে।
আদ্রিতা ভয়ে কুঁকড়ে উঠলো।
২য় ছেলেটি আদ্রিতার হাত শক্ত করে ধরলো আদ্রিতার হাতের কাঁচের চুরি গুলো ভেঙে গেলো। হাত থেকে রক্ত পড়ছে।
১ম ছেলেটি আদ্রিতার হিজাবটি টান দিয়ে খুলে ফেললো। চুল গুলো খুলে ফেললো।
২য় ছেলেটি আদ্রিতার শাড়ির আঁচলে হাত দিতে নিলো আর ঠিক তখনই……..
#চলবে
[ কে আসতে পারে এখন? 🤷♀️ ]