#অদ্ভুত_প্রেমোমোহ_তুমি
#পর্বঃ৩৯
লিখাঃতাজরিয়ান খান তানভি
একে অপরের মুখোমুখি বেশ খানিকটা দূরত্বে বসে আছে মারশিয়াদ আর আজরাহান।কাউচে হেলান দিয়ে গভীরভাবে তাকিয়ে আছে মারশিয়াদ।শরতের কাশবন মনে হচ্ছে আজরাহান কে।কিন্তু মুখে তার অদ্ভুত ভঙিমা যার কিছুই মারশিয়াদ বুঝতে পারছে না।আজকাল আজরাহান কে দেখলে তার স্নায়ুগুলো কেমন যেনো দূর্বল হয়ে পড়ে।শিড়দাড়া দিয়ে নেমে যাচ্ছে হীম শিতল রক্তকণিকা।মিশে যাচ্ছে তার পাজর একে অপরের সংঘর্ষে।কিন্তু বুকের ভিতর চলা আগ্নেয়গিরির কোনো আঁচ তার মুখের অভিব্যক্তির কোনো পরিবর্তন ঘটায় না।গলার তীক্ততা গলঃধকরন করে আজরাহান এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সে।
“কেনো এসেছো এখানে???
আজরাহান স্মিত হাসে।তার মুখে এক বিস্ময়কর সূখানুভুতি।অধর প্রশ্বস্ত করে সে।আবার সংকীর্ন।মারশিয়াদ ভ্রু কুঞ্চি করে।ফোস করে এক দম ছাড়ে।আজরাহান কন্ঠের কাঠিন্যতা দূর করে আবার ছোট্ট করে হাসে।
শান্ত হয়ে বলে—
“বিয়ে করবে প্রহর কে??
আজরাহান এর গর্জে উঠে মারশিয়াদ।চোয়াল ভাজ তড়িৎ গতিতে এর হিংস্র বাঘের মতো থাবা মেরে ধরে আজরাহান শার্টের এর কলার।শরীরের প্রতিটি মাংসপিন্ড কম্পিত হচ্ছে।লাল চোখের অক্ষিকূট যেনো এখনি আজরাহান কে জ্বালিয়ে দিবে।আক্রোশ ভরা কন্ঠের তীব্রতা যেনো আকাশ কাপিয়ে দিচ্ছে।
“কাজলচোখী কে ছাড়ার কথা আর একবার ভাবলে যেই হাত দিয়ে আমি তোমার প্রান বাঁচিয়েছি ওই হাত দিয়ে তোমার প্রান কেড়ে নিতে আমি দ্বিতীয়বার ভাববো না।”
কপালের দুইপাশের শিরা গুলো দপদপ করছে।শ্বাসের গতি যেনো তীব্র থেকে তীব্র।
“আউট!!আউট অফ মাই হাউজ।”
আজরাহান শান্ত।তার চোখ মারশিয়াদের চোখে। নিবদ্ধ।স্থির হয়ে হালকা হাতে মারশিয়াদ এর হাত দুটো নামিয়ে দেয়।এক প্রশান্তির হাসি তার অধরে।তার মনে অজান্তে উৎসরিত চিন্তা প্রশমিত হচ্ছে।তার অদ্ভূত ভালো লাগছে।
ঠোঁটের কোনে চিলতে হাসি দিয়ে বলে–
“চিন্তা করো না।এই জীবনে আমি ওকে ছাড়ছি না।
জানো,,
তোমাকে দেখে নিজেকে দূর্ভাগা মনে হয়।”
আজরাহান এক স্নিগ্ধ শ্বাস ছাড়ে।
“আসি।”
আজরাহান ঘুরে দরজার শিয়রে যায়।কিছু একটা ভেবে আবার পিছন ফিরে তাকায়।মারশিয়াদ এর জ্বলন্ত চোখ তার ভয় দূর করেছে।
,
,
তপ্ত রোদে পিচঢালা সড়ক যেনো প্রখর উষ্ণতা নিয়ে পধযুগল কে গলিয়ে দিচ্ছে।চারপাশে হাজারো মানুষের ভীড়ে আজরাহান আনমনে হেটে যাচ্ছে।তার চিন্তার অবসান হতে চলেছে।তার জীবনের অন্তিম ইচ্ছা পূরণ হতে আর বেশি দেরি নেই।
প্রহর কে সে ভালোবাসে।খুব ভালোবাসে।তার সুখের জন্য সে সবকিছু করতে পারে।বিগত সাত বছরে যা হয়েছে তা আর কোনোদিনও হবে না।সে তার প্রহরিনী কখনো একা ছাড়বে না।কখন ই না।অন্তিম নিঃশ্বাস পর্যন্ত সে তার সাথে থাকবে।
কিন্তু,,,
কারো ধাক্কায় আজরাহান ভাবনার সুতোয় টান পড়ে।রাস্তার পথচারী।আজরাহান থমকে দাড়ায়।উর্ধ্বগামী হয়ে আকাশ দেখে।বিশাল আকাশ।তাতে ঠায় পাওয়া দুষ্কর।সূর্যের রশ্মি অতি বেগুনি রশ্মি চোখ ধাধিয়ে দিচ্ছে।আজরাহান চোখ বন্ধ করে।অনুভব করে আকাশের বিশালতা।তার এই বিশাল হৃদয় জুড়ে যে শুধু তার প্রহরিনী।
,
,
,
বাড়িরতে আসতেই দেখে দরজা খোলা।আজরাহান ভিতরে পদযুগল বাড়ায়।বসার ঘরেই বসে আছে নুরাইসা।মুখের ভাবসাব আচ্ছাদিত।হারিয়ে যাবে সে।পাশেই একটা ব্যাগ রাখা।
“কোথায় ছিলে??
“কাজ ছিলো।”
“তোমাকে মুক্তি দিতে এলাম।আমি ফিরে যাচ্ছি।”
আজরাহান সোজা কন্ঠে বলে–
“ভালো থেকো।”
নুরাইসা অধর স্মিত করে।তার মনের অবস্থা কেউ কখনো বুঝেনি।তার ভালোবাসা মিথ্যে ছিলো না।মিথ্যে ছিলো সময়।মনে হচ্ছে কেউ তাকে তার প্রাণ থেকে আলাদা করে নিচ্ছে।অতি সন্তর্পনে।
“আমাকে একটু বাসায় পৌছে দিবে??
“মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই।উপরওয়ালা যা করেন ভালোর জন্য করেন তা তুমি একদিন বুঝবে।সেদিন আমায় সত্যি তুমি পাবে তোমার অগোচরে।পারলে ক্ষমা করে দিও আমাকে।আই উইশ “ভাগ্যবিধাতা তার রহমতের সবচেয়ে বড় দরজা তোমার দ্বারে খুলে দেয়।”
নুরাইসা ঝরঝর করে কেঁদে উঠে।
“আমার ভালোবাসা ভুল ছিলো না আজরাহান।আমি প্রহর কে তোমায় দান করলাম।ভালো থেকো তুমি তোমার প্রহরিনীর সাথে।ভালো থেকো।”
নুরাইসা বের হয়ে আসে তার চিরচেনা বাড়ি থেকে।আজকের পর সে আর কোনদিন এই বাড়িতে ফিরবে না।তার জীবনের বিভৎষ স্বপ্ন ছিলো যা সে ভুলতে পারে নি।আজরাহান এর নিঃশ্বাস, ওর স্পর্শ আজও তার মনের গহীনে জীবন্ত।এক মুহূর্তের জন্যও সে ভুলতে পারেনি।হাতের উল্টো পাশ দিয়ে চোখ মুছে নেয় নুরাইসা।সে বাড়িতে ফিরবেনা।কিন্তু কোথায় যাবে সে জানে না।কিন্তু আজরাহান থেকে দূর,অনেক দূর চলে যাবে।যেখানে থাকবে শুধু তার স্মৃতি আর বাস্তব।আর কেউ না।
ঘরে ঢুকে শান্ত হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় আজরাহান।প্রহর এতোটা শান্ত ওকে তেমন দেখে নি।
জিঙ্গাসুকন্ঠে বলে–
“কোথায় গিয়েছিলেন রাহান ভাইয়া??
আজরাহান নিরুত্তাপ।কোনো জবাব নেই তার।প্রহর বিচলিত হয়।আজরাহান এর পাশেই বসে।কন্ঠে ভার এনে বলে–
“কি হলো,কথা বলছেন না কেনো??
আজরাহান মাথার নিচে আরেকটা বালিশ দিয়ে এর শিয়র উচু করে।প্রহর কে টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।ওর খোলা চুলে হাত ঘুজে আওড়াতে থাকে।
প্রহর উষ্ণ শ্বাস আজরাহান এর শরীরের তাপমাত্রা বাঁড়িয়ে দিচ্ছে।ডানহাত ওর কোমড়ের উপর রাখে।
স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক স্বরে বলে–
“কেনো গিয়েছিলি মারশিয়াদ এর কাছে???
প্রহর এর বুকটা ধক করে উঠে।প্রহর মাথা তুলতে চাইলেও আজরাহান ওকে নিজ বাহুতে আড়ষ্ট করে নেয়।মিশিয়ে রাখে তাকে নিজের সাথে।প্রহর কোনো শব্দ করে না।আজরাহান আর কোনো প্রশ্ন করে না।তার উত্তর সে পেয়েগেছে।আজরাহান আরোও শক্ত প্রহর কে করে আবদ্ধ করে নিজ বাহুতে।
নিস্তব্ধ ঘরে দুজন কপোত কপোতীর নিঃশ্বাস শোনা যাচ্ছে।বুকের বা’পাশের হৃদযন্ত্রও যেনো নিঃশ্বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে কম্পিত হচ্ছে।প্রহর যানে না সে কী করেছে।মারশিয়াদ কে সে বিশ্বাস করে ঠিক ততটা যতটা সে তার রাহান ভাইয়া কে ভালোবাসে।তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সে তার চেয়ে ভালো উপায় তার খুজে পায় নি।
,
,
,
“কেনো ডেকেছেন আপনি আমাকে??
কোল্ড ড্রিংস থেকে এক সিফ টেনে বাকা হাসে মারশিয়াদ।
“হাসছেন কেনো??
“আপনি আমাকে কী কথা দিয়েছেন ভুলে গেলেন??
“নাহ।”
“তো??
“সরি।”
“এইটা বলতে বলিনি।”
“থ্যাংকস।”
“ইটস মাই প্লেজার।”
“এখন আমি আসতে পারি??
“নো।”
“কেনো??
মারশিয়াদ টেবিলের উপর দু হাত ভাজ করে রেখে তার উপর চিবুক রাখে।তাকিয়ে থাকে প্রহর এর দিকে।প্রহর অপ্রস্তুত হয়।তার অস্থির লাগছে।হয়তো তার আসা ঠিক হয়নি।তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে—
“যা বলার জন্য এসেছি তা বলা শেষ।এখন আমি যাবো।”
“আমার কাজ তো শেষ হয়নি কাজলচোখী।”
“দেখুন মি.মারশি,,,
“নো।আপনি আমাকে জান বলে ডাকবেন।”
প্রহর ভ্রু কুটি করে।তীক্ত কন্ঠে বলে–
“কেনো??
“আমার দাদুও আমাকে এই নামে ডাকে।”
“আমি তো আপনার দাদু নই।”
মারশিয়াদ কাল বিলম্ব করে না।টুপ করে বলে–
“আপনি আমার হাফ গার্লফ্রেন্ড।
দোস্ত সে জাদা গার্লফ্রেন্ড সে কাম।”
প্রহর অবাক হয়।বিরক্তি তার মুখে ফুটে উঠে।এমনিও আসার সময় আজরাহান কে বলেনি।তার উপর মারশিয়াদ এর ভ্যাবাচাকা কথায় প্রহর এর মনে ইতিমিতি করছে।
“ভয় পেলেন কাজলচোখী??
ভয় পাবেন না।আমি এতোটাও খারাপ ছেলে নই।”
“আপনি একটা পাগল।”
“আমার দাদুও বলে।”
মারশিয়াদ গা দুলিয়ে হেসে উঠে।আবার বলে–
“দেখলেন তো দাদুর সাথে আপনার কতো মিল!!
“আপনি একটা বিরক্তিকর !!
“অবশ্য আপনার আগে আর কেউ বলে নি।”
মারশিয়াদ আবার হেসে।
প্রহর এইবার শক্ত কন্ঠে বলে–
“আমি যাবো।”
মারশিয়াদ শান্ত ও স্বাভাবিক ভাবে বলে–
“আমার কাজ এখনো শেষ হয়নি কাজলচোখী।”
প্রহর ধুপ করে উঠে দাড়ায়।শরীর নাড়িয়ে বলে–
“দেখুন মারশি,,,,
“জান।জান বলবেন।”
প্রহর কিছু বলবে তার আগে ওর চোখ যায় মারশিয়াদ এর চোখে।মারশিয়াদ চক্ষুনিপাত করেছে ক্যাফেটেরিয়ার এন্ট্রি পয়েন্টে।প্রহর ঘুরে তাকায়।আজরাহান কে দেখে বিষম খায় প্রহর।ওর মস্তিষ্ক দৌড়ে বেড়াচ্ছে।
আজরাহান নরম পায়ে ওদের টেবিলের সামনে এসে দাড়ায়।
শ্রান্তভাবে বলে–
“এখানে কেনো এসেছিস তুই??
“আমি আসতে বলেছি।”
আজরাহান ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় মারশিয়াদ এর দিকে।
“কেনো??
মারশিয়াদ ঠোঁটের কোন চেপে বলে–
“এতো বড় একটা উপকার করলাম একটা থ্যাংকস তো আমার প্রাপ্য।তাই নয় কী??
আজরাহান নিরুত্তর।প্রহর কে বলে–
“চল প্রহর।”
“আরে কোথায় যাচ্ছো??
বসো।কথা আছে।”
ওরা দুজন আবার বসে।
“কী খাবে??
“নো।থ্যাংকস।”
“ওকে।তোমার আর তোমার স্ত্রীর মাঝে অনেক মিল।সেও কিছু খায়না।অবশ্য আনহেলদি খাবার না খাওয়ায় ভালো।”
আজরাহান চোখ সরায়।
“সরি,সরি।আজকাল কেনো যেনো বেশি কথা বলে ফেলি।”
মারশিয়াদ ওর ওয়ালেট থেকে একটা কার্ড বের করে আজরাহান এর সামনে দেয়।
“এইটা একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি।সব ধরনের সুবিধা পাবে তুমি।”
আজরাহান কঠিন চোখে দেখে প্রহর কে।
“তিনি কিছু বলেন নি।আমি আশফিক থেকে শুনেছি।এই কোম্পানিটা বেশ ভালো।”
“নো।ইটস ওকে।”
“আই থিংক একটা চাকরির জন্য আপন মানুষদের ছেড়ে দূরে যাওয়া তোমার উচিত নয়।”
“এইটা আমার ব্যক্তিগত ব্যপার।”
মারশিয়াদ ফাঁকা ঢোক গিলে।
“তুমি ভেবো না তারা আমার কথায় তোমাকে জবটা ওফার করছে!!
তারা তোমার যোগ্যতার ভিত্তিতেই তোমাকে জবটা দিচ্ছে।”
“তার কোনো প্রয়োজন নেই।”
আজরাহান কার্ড ফেরত দিতে চাইলে মারশিয়াদ বলে–
“রেখে দাও।তারা তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।যদি তোআর ইচ্ছে হয়।ইটস ইউর চয়েজ।”
“ওকে।
চল প্রহর।”
“ওয়েট।
আমি পৌছে দিচ্ছি।এখন না করতে পারবে না।তুমি কিন্তু সম্পর্কে আমার বেয়াইন।তোমার ভাবীকে আমি বোন বানিয়েছি।”
আজরাহান দিরুক্তি করে না।প্রহর এর হাত ধরে পা বাড়ায়।
মারশিয়াদ এর ঠোঁটে ফুটে তৃপ্তির হাসি।
,
,
,
মুখ গোমড়া করে বিছানায় হাটুর উপর মুখ দিয়ে বসে আছে প্রহর।আজরাহান আজ রাতেই চলে যাবে।কাপড় ঘুছিয়ে তা ব্যাগভর্তি করছে।নিজের কাজ শেষ করেই প্রহর এর পাশে বসে।
“”রসকদম্ব,মন খারাপ??
প্রহর ভেজা কন্ঠে বলে–
“আপনি যাবেন না।কোনো দরকার নেই আপনার যাওয়ার।”
“পাগলামো করিস না প্রহর।”
“আপনি কেনো জান এর কথা শুনছেন না!!তার দেওয়া চাকরি টা কেনো করবেন না??
“তুই ভালো করে জানিস অন্যের দেওয়া জিনিস আমার পছন্দ না।”
“তাহলে দরকার নেই আপনার চাকরি করার।কোথাও যাবেন না আপনি।
যেতে দিবো না আমি আপনাকে।”
“ধরে রাখবি??
“হুম।”
“তাহলে রাখ।”
প্রহর আজরাহান কে জড়িয়ে ধরে।আজরাহান ওকে নিয়েই বিছানায় শুয়ে পড়ে।উল্টে ওর উপর ঝুকে পড়ে।
“সরেন।”
“কেনো??
ধরে রাখ আমাকে।”
“প্লিজ আপনি যাবেন না রাহান ভাইয়া।আপনি তো বলেছেন অন্য চাকরি পেলে আপনি এইটা ছেড়ে দিবেন।তাহলে কেনো দিচ্ছেন না।”
আজরাহান প্রহর নাকে নাক ঘষে বলে।
“ওকে দিবো।একবার যেতে তো দে আমাকে।”
“তাহলে আপনি গিয়ে তাদের বলবেন আপনি তাদের জব করবেন না।”
“জ্বি মিসেস আজরাহান কারীম।”
আজরাহান এর কথায় প্রহর খলখলিয়ে হেসে উঠে।
“রোজ কলেজ যাবি।আমি আশফিক ক্র বলে দিয়েছি।ও তোকে রোজ নিয়ে যাবে আর দিয়ে যাবে।”
প্রহর মিষ্টি করে হেসে বলে–
“আচ্ছা।”
“আর একদম ছেলেদর সাথে কথা বলবি না।তাহলে কিন্তু,,,,,
“তাহলে কী করবেন??
“একদম মেরে ফেলবো তোকে।”
“পারবেন আমাকে মারতে??
আজরাহান প্রহর এর গালে ছোট্ট করে কামড় বসায়।
“উুহ!!লাগেনা বুঝি আমার!!
“তুই শুধু আমার।শুধু আমাকে দেখবি।”
“ইশশ!!
নিজেকে কী ভাবেন,,টম ক্রুজ নাকি লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও??
“আমাকে ছাড়া অন্য কারো কথা ভাবলে একদম জানে মেরে ফেলবো তোকে।”
প্রহর আজরাহান কে ধাক্কা দিয়ে নিজের উপর থেকে সরায়।
“আদিখ্যেতা !!
তাহলে যাচ্ছেন কেনো আমাকে ছেড়ে??
আজারাহান প্রহর কে নিজের কাছে টেনে ওর গলায় অধর ছোয়াতে থাকে।প্রহর এর শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কাঁপন উঠে।শিরা উপশিরায় বয়ে যায় বিস্ময়কর শিহরন। আজরাহান নিজেকে সংযত করে।স্বাভাবিক হয়ে বলে–
“তোর কাছে একেবারে ফিরবো বলে যাচ্ছি।
তুই আমার জন্য অপেক্ষা করবি না রসগোল্লা????
প্রহর আজরাহান কে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে।
“আমি আপনার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করবো।”
“রসমালাই আমার।”
চলবে,,,