অনুভূতিতে তুমি পর্ব-১৬

0
3360

#অনুভূতিতে_তুমি 💖
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_১৬

হাতে যন্ত্রণা হবার কারণে খুব ভোরে ঘুম ভাঙর নির্ঝরের। ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে অর্ণব ঘুমের ঘোরে তার হাতের উপর হাত রেখেছে। নির্ঝর আধশোয়া হয়ে অর্ণবের থেকে নিজের হাত টা সরালো খুব সাবধানে, যাতে অর্ণবের ঘুম না ভাঙে। অতঃপর বিছনার ওপাশে তাকাল। ওপাশটা খালি দেখে নির্ঝরের ঘুমের ঘোর কেটে গেল। রুমের এপাশ ওপাশ তাকিয়ে কাউকেই দেখতে পেল না। ঘড়ির দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে ৫.৩৫ বাজে। এতো ভোরে কি তবে উঠে পড়ে মেহু!

নির্ঝর বিছানা ছেড়ে নামল। ওয়াশরুমের দিকে গিয়ে দরজা নক করলো। না ভেতর থেকে কোন সাড়া পাচ্ছে না তার মানে মেহু ওয়াশরুমে নেই। নির্ঝর বিছানার কাছে এসে ভাবতে লাগল। নির্ঝর বিছানা ছেড়ে উঠে যাবার কারণে অর্ণব গড়াগড়ি করতে করতে বিছানার কিনায় এসে পড়ে। নির্ঝর মাথা চুলকাতে চুলকাতে বিছানার দিকে তাকায়। অর্ণব আবারো হামাগুড়ি খাচ্ছে। এখন’ই পড়ে যাবে নিচে। নির্ঝর চট করেই ধরে ফেল অর্ণবের হাত খানা। তাকে উপরে শুয়ে দিয়ে বিছানার পাশে কোলবালিশ টা রাখে!

“মেহু ঠিক’ই বলেছে, ছেলেটা ঘুমের মাঝে একটু বেশিই হামাগুড়ি খায়। আরেকটু হলেই পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেত তখন কি হতো!

চাপা নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে,
“কিন্তু মেহু, এই মেয়ে টা আবার কোথায় গেল। আমার তো মনে হচ্ছে না রাতে একবারের জন্য হলেও এই রুমে এসেছিল সে। রুমে যখন আসে নি তখন কোথায় থাকবে… বেলকনিতে!

নির্ঝর উঠে বেলকনির দিকে এলো। অনেকটা অবাক হলো দেখে, লাল শাড়ি পড়া একটা মেয়ে বেলকনির এক কোনায় মেঝেতে বসে আছে। খুব গুটিয়ে বসে আছে সে। দুই হাটু উঠিয়ে তার মাঝে হাত রেখে দেওয়ালের মাথা ঠেকিয়ে। পরক্ষনেই নির্ঝর বুঝল সে ঘুমাচ্ছে। নির্ঝর ধীরে ধীরে তার দিকে আগাল। নিচে বসল তার পাশে। চুলে পুরো মুখ ঢেকে আছে তার। নির্ঝর হাত দিয়ে তার চুল গুলো সরিয়ে মুখ টা দেখতে চাইলো। এতেই নড়েচড়ে উঠলো সে। নির্ঝর ঘাড়বে গেল। না সে চায় না এই মেয়ে উঠে যাক। এভাবে স্থির ভাবে তাকে দেখতে ভালো লাগছে তার।

কখন থেকেই এই মেয়ে এই মেয়ে করে যাচ্ছে। একটা নাম কি তার প্রাপ্য নয়? কি নাম দেবে তার। হুমায়ূন আহমেদ’র গল্পে পড়া একটা নাম মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। নিশিকন্যা! হ্যাঁ এই নামটা মিলে যায় তার সাথে। এই নিশিকন্যা এখানে সারারাত জেগে ছিল। হয়তো শেষ রাতে দু চোখের পাতা এক করবার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। তাইতো এতো গভীর ঘুমে আছে সে।

নির্ঝরের খুব ইচ্ছে করল তার এই নিশিকন্যা কে ছুঁয়ে দেখতে। তাকে দেখতে মনে হচ্ছে একটা সদ্য আঁকা ছবি! তবে এই ছবিতে মনে হচ্ছে প্রাণ আছে। সাধারণত ছবির সৌন্দর্য তার সামনে দাঁড়িয়ে নিতে হয়। আবার খুব সুন্দর ছবি হলে ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দেখতে। কিন্তু তার কি মনোভাব এটা এখনো ঠিক করতে পারছে না। হাতটা এগিয়ে মুখের কাছে নিতেই গরম নিঃশ্বাস পড়ল হাতে। সরিয়ে নিল হাত টা। না কাউকে এভাবে ছোঁয়া যায় না। এ তো আর ছবি না যে দেখলে দোষ হবে না। ইশ্ খুব আফসোস হচ্ছে কেন একটা ছবি হলো সে। বিভিন্ন রঙের তুলি দিয়ে আঁকা একটা ছবি। সে ছবি ছুঁয়ে দেখতে কারো অনুমতির প্রয়োজন পড়ত না।

তার পাশে খুব সাবধানে বসে পড়ল নির্ঝর। অতঃপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাকালো আকাশের দিকে। ভোর হয়ে গেছে অনেকক্ষণ হলো।‌‌ পাখিরাও জেগে গেছে, তাদের ভোরের গানও শুরু হয়ে গেছে। নির্ঝরের ইচ্ছে করল পাখি গুলোকে গিয়ে বলে আসতে তাদের গান যেন একটু নিচু স্বরে গায়। নাহলে যে এই নিশিকন্যা জেগে যাবে ঘুম থেকে।

শীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। নির্ঝরের নিশিকন্যার চুল গুলো আবারো এলোমেলো হয়ে গেল। তবে নির্ঝর আর সেটা সরালো না। সে খুব বড় করে হামি ছাড়ল। আবারো ঘুম ঘুম পাচ্ছে তার। খেয়াল করল নিশিকন্যার মাথা রাখার জন্য একটা ঠাঁই চাইছে। নির্ঝর আরেকটু ঠেসে বসল তার সাথে। সে মাথা রাখল তার কাঁধে। নির্ঝর মুখ টিপে হাসল যাতে শব্দ না হয়। এ কেমন অনুভূতি! মেহুর কাছে আসলে মনে হতো তার হার্টবিট এতো জোরে বাড়ছে যে সে হার্কফেল করবে। কিন্তু এখন যে সে তার এতো কাছে, তখনই তার মন শান্ত হয়ে গেল। কেমন নিশ্চুপ হয়ে গেছে সবকিছু! সময় কেন থমকে যাচ্ছে না এখানে। মনে হয় এভাবেই সারাটি জীবন পার করতে রাজি সে! আকাশের দিকে তাকাতেই চোখ দুটো বুজে আসল তার। মনে হচ্ছে ঘুমের রাজ্য থেকে সব ঘুম এসে জড়ো হলো তার চোখে। মুহূর্তেই ঘুমিয়ে পড়ল নির্ঝর!
.
“এতো কষ্ট করে বাসর ঘর সাজালাম আমরা, আর এই দুজন দেখছি এখানে বসেই সারারাত পার করে দিল।

ঈশান সবে ঘুম থেকে উঠেছে। ফরহাদের কথা শুনে দুই হাত উপরে উঠিয়ে টান টান করতে করতে বলে,

“নিশ্চিত সারারাত বসে গল্প করেছে দুজন।

আরিফ অর্ণব’কে কোলে করে বেলকনিতে এসে দাঁড়িয়ে হেসে দিল। ব্যাপারটা বেল লজ্জাজনক। ফরহাদ কি মনে করে একটা ছবি তুলল তার ফোনে। অর্ণব বলে উঠে,

“মাম্মি, ড্যাডি!

আরিফ অর্ণব কোল থেকে নামিয়ে বলে,
“দেখলে অর্ণব তোমার ড্যাডি, মাম্মি’র কাহিনী। দুজন এখানে একসাথে সারারাত কাটালো তোমাকে একা রেখে!

অর্ণব আরিফের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। অতঃপর মেহেরিন’র কাছে গিয়ে ডাকতে লাগল,

“মাম্মি, মাম্মি!

মেহেরিনের কানে এতোক্ষণ সবার গুনগুন শব্দ কানে এলেও নিছক স্বপ্ন ভেবে ঘুমের ঘোরে ছিল। কিন্তু অর্ণবের গলার স্বর পেয়ে চোখ খুলল সে। মিটিমিটি চোখে সামনে তাকিয়ে দেখল সবাই এখানে। তার সামনে দাঁড়ানো অর্ণব! মেহেরিন ভ্রু কুঁচকালো। এবার স্পষ্ট দেখতে পারছে সে। সবাই তার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে! মেহেরিন বুঝতে পারল না সবাই হাসছে কেন।

পরক্ষনেই অনুভব করল সে কারো ঘাড়ে মাথা দিয়ে আছে। মুহুর্তেই মেহেরিন মাথা উঠালো। পাশে তাকিয়ে নির্ঝর কে দেখে ভড়কে গেল সে। এ কি করে হয়? উনি এখানে এলো কখন? মেহেরিন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল নির্ঝরের দিকে। তবে কি তার ঘাড়েই মাথা রেখে এতোক্ষনে ঘুমিয়েছিল সে!
সবার হাসির রহস্য উদঘাটন করল মেহেরিন এতোক্ষণে! একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে ফরহাদের দিকে তাকিয়ে বলল,

“গুড মর্নিং ভাইয়া!

“হাম এখন তো তোমাদের গুড মর্নিং’র সময়। আমাদের জন্য তো বেড মর্নিং!

“এভাবে বলছেন কেন?

আরিফ বলে উঠে,
“বলব না কেন? তোমাদের এতো ভালোবাসা দেখে হিংসে হচ্ছে কেন আগে আমরা বিয়ে করলাম না।‌

“হিংসে না করে একটা বিয়ে করে ফেলুন দেখি। তাহলে আর ভালোবাসার অভাব হবে না!

ফরহাদ হেসে দিল মেহেরিন’র কথা শুনে!

ঈশান বলে উঠে,
“অর্ণব বাইরে এসে তোমাদের খোঁজ না করলে তো আমরা জানতেই পারতাম না, তোমরা দুজন এখানে।

মেহেরিন অর্ণবের দিকে তাকাল। তার মুখটা মলিন হয়ে আছে। ঘুম থেকে উঠে মাম্মির চেহারা দেখতে না পেয়ে বেচারা ভয় পেয়েছিল। অতঃপর বাইরে এসে মাম্মি কে খুঁজছিল বোধহয়। আর তখন’ই ফরহাদ তারা সবাই রুমে এসে দেখল বেলকনিতে এরা দুজন ঘুমিয়ে আছে।‌

মেহেরিন উঠে দাঁড়াল। অর্ণবের কপালে চুমু খেয়ে তাকে কোলে তুলে নিল। ফরহাদ বলে উঠে,

“আরে উঠে পড়ে যে, মনে হচ্ছে আমরা ডিস্টার্ব করেছি তোমাদের।

“না ভাইয়া, ঠিক সময়ে এসেছেন।

আরিফ বলে উঠে,
“তুমি তো উঠে গেলে, এখন এই হাত ভাঙার কি করব!

মেহেরিন হেসে বলল,
“যা ইচ্ছে করুন!

বলেই মেহেরিন চলে গেল। ঈশান উঠে এক মগ জল এনে ঢেলে দিলে নির্ঝরের গায়ে। নির্ঝর হতচকিয়ে উঠলো! বেশ ভয় পেয়েছে সে। তাকে এভাবে দেখে সবাই হাসিতে ফেটে পড়ল। কেবল নির্ঝর ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল!
.
দুপুরের দিকে খাবার দাবারের পর নির্ঝর আর মেহেরিন এসে উঠল খান বাড়িতে। মেহেরিন অনেক অবাক হয়েছে নির্ঝরের কাহিনী দেখে। মেয়েরাও হয়তো বিয়ে করলে বাপের বাড়ি থেকে এতো জিনিস আনে না যা নির্ঝর এনেছে। পুরো এক গাড়ি ভর্তি জিনিসপত্র। নির্ঝরের ঘরের সব কিছু মনে হয় সাথে নিয়ে এসেছে। মেহেরিন কিছু বলতে গিয়েও বলল না।

মিস মারিয়া মেহেরিন, নির্ঝর আর অর্ণব কে দেখে অনেক খুশি হলো! মেহেরিনরের পাশের রুমটা ঠিক করা হয়েছে নির্ঝরের জন্য। নির্ঝরের জিনিসপত্র সেই ঘরে সেট নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অর্ণব কে মিস মারিয়া’র কাছে রেখে এসব দেখছে মেহেরিন। কি এসব! অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস এনেছে নির্ঝর! যেমন তার ঘরের কোলবালিশ! এটা কি? এসব আনার কি কোন দরকার ছিল। কিছু ম্যাগাজিন, জামাকাপড়, গিটার এরকম আরো অনেক কিছু! মেহেরিন দেখল বাক্স ভরে বিয়ারের বোতল ঢুকছে। সে চোখ বড় বড় করে বলল,

“এসব ঢুকবে না এই বাড়িতে!

নির্ঝরের মুখটা অন্ধকার হয়ে গেল। সে চেয়ে রইল মেহেরিন’র দিকে। মেহেরিন মুখ ঘুরিয়ে বলল,

“আমি যখন বলেছি না তখন না!

বলেই চলে যেতে নিবে তখন দেখল আরেক সার্ভেন্ট আইসক্রিম”র বাক্স নিয়ে ঢুকছে। মেহেরিন ভ্রু কুঁচকে নির্ঝরের দিকে তাকাল। নির্ঝর মুখটা মলিন করে ফেলল। মেহেরিন আইসক্রিম’র বাক্স খুলে দেখল তাতে বিভিন্ন রকমের আইসক্রিম! তবুও খান্ত হলে না সে। আইসক্রিম’র বাটি খুলে দেখল আসলেই আইসক্রিম কি না। নির্ঝর বিষণ্নভাবে বলল,

“এগুলো সত্যি আইসক্রিম!

“এগুলোও আনতে হয়!

“আমার এগুলো ভালো লাগে তাই এনেছি!

সার্ভেন্ট কে উদ্দেশ্য করে বলল,
“এগুলো নিয়ে ভেতরে ফ্রিজে রেখে দাও কিন্তু একটা বিয়ারের বোতল যেন ঘরে না ঢুকে!

নির্ঝর বলে উঠে,
“বিয়ারের বোতল আনতে পারব না এটা কি কোথায় লেখা ছিল নাকি।

“আনতে পারবেন তা কি কোথায় লেখা ছিল নাকি।

“মেহু!

“কোনমতে না!

বলেই বেরিয়ে গেল মেহেরিন। সার্ভেন্টও মালকিনি’র আদেশ মতো বাইরে যেতে নিল। নির্ঝর তখন হুট করেই এক বোতল বিয়ার নিয়ে ঘরে ঢুকে গেল!

রিসেপশনের অনুষ্ঠান মেহেরিন আপাতত দিতে চায় না। অর্ণব এতো কিছু সামলাতে পারবে না সে জানে।
নির্ঝর নিজের ঘরে এসে মুখ হাত টা ধুয়ে বিছনায় সবে বসল। ধপাস করে শুয়ে পড়ল বিছানায়! ঘরের জিনিসপত্র ঘরে আনায় এখন ঘর টাকে নিজের ঘরের মতোই লাগছে। এমনকি তার ঘরের নকল ফুলের গাছ টাও এনেছে নির্ঝর! এছাড়া একটা আসল ফুল গাছও এনেছি। আর তা হলো বেলি ফুলের গাছ। এ ফুল খুব প্রিয় নির্ঝরের। গাছ টা তার বাড়ির বাগানে ছিল। সেখান থেকেই নিয়ে এসে বেলকনিতে রেখেছে। মেহেরিন’র নজর এখনো গিয়ে পড়ে নি তাতে।

ঘরের দরজা টা মনে হলো খুলছে। নির্ঝর একটু উঁকি মেরে তাকাল। দেখল অর্ণব দাঁড়িয়ে আছে। নির্ঝর হেসে বলল,

“অর্ণ সোনা এখানে আসো!

“ড্যাডি!

বলেই দৌড়ে এসে পড়ল নির্ঝরের কাছে। উঠে বসে পড়ল নির্ঝরের কোলে। অর্ণব আবারো হেসে বলল,

“ড্যাডি!

নির্ঝর হেসে অর্ণবের কপালে চুমু খেল। পকেট থেকে চকলেট’র প্যাকেট টা দিল অর্ণব কে। অর্ণব তা হাতে গুটিয়ে নিল। নির্ঝরের ঘর কে দেখতে লাগল মনোযোগ দিয়ে। নির্ঝর অর্ণবের মাথায় হাত রেখে বলল,

“অর্ণ সোনা কি ভাবছে, ড্যাডি এ ঘরে কেন?

অর্ণব মাথা নাড়লো।

নির্ঝর হেসে বলল,
“আসলে কি বলোতে অর্ণ, ড্যাডি আর অর্ণব যখন ঘুমাবে তার আগে তারা অনেক লাফালাফি করবে। নাচবে, হইচই করবে তাই না!

অর্ণব মাথা নাড়ল।

নির্ঝর এক হাত দিয়ে অর্ণব কে জরিয়ে ধরে বলল,
“তখন যদি মাম্মি সেই ঘরে কাজ করে তাহলে তার কাজের অসুবিধা হবে না। তাই তো যখন মাম্মি কাজ করবে তখন ড্যাডি আর অর্ণ সোনা এখানে ঘুমাবে ঠিক আছে!

অর্ণব এক গাল হেসে মাথা নাড়ল। নির্ঝর অর্ণবের চকলেট’র প্যাকেট খুলে দিল। তখন গাড়ি’র শব্দ এলো। নির্ঝর অর্ণব কে‌ নামিয়ে উঠে দাঁড়াল। অর্ণবের হাত ধরে বেলকনিতে এসে দাঁড়িয়ে দেখল গাড়ি ঢুকছে বাড়িতে। এ সময় কে এলো? নির্ঝর ভ্রু কুঁচকালো। অর্ণব চকলেট মুখে রেখে বলে উঠে,

“নিলব ( নিরব )

বুঝতে অসুবিধা হয় না নির্ঝরের। খানিকক্ষণ পর নিরব বের হয় গাড়ি থেকে। নির্ঝর মিন মিন স্বরে বলে,
“বাড়িতে এসে পা রাখতে না রাখতে শয়তান এসে হাজির!

নির্ঝরের কথা অর্ণব না শুনতে পেলেও তার দিকে তাকাল। নির্ঝর হেসে বলল,

“তোমার ভালো লাগে নিলব কে?

অর্ণব মাথা নেড়ে না না করল।

নির্ঝর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
“এই তো আমার ছেলে! যা হোক ড্যাডি’র পছন্দ না তা অর্ণবের ও পছন্দ হবে না। কিন্তু..

বলেই হাঁটু গেড়ে বসল। অর্ণবের দিকে তাকিয়ে বলল,
“যা অর্ণবের ড্যাডির পছন্দ না তা অর্ণবের মাম্মির বেশ পছন্দ!

অর্ণব দাঁত বের করে হেসে দিল! অতঃপর..

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here