অন্ধকার মানব পর্ব-৯

0
709

#অন্ধকার_মানব(The unpredictable love)
#পর্ব_৯
লিখাঃতাজরিয়ান খান তানভি

সূর্যকে পৃথিবীর প্রানশক্তি বলা হয়।ভোরের সূর্যের আলোয় পৃথিবী নিত্য নতুন সাজে সজ্জিত হয়।আলো আধারের এক অকৃত্তিম খেলা।রাতের মায়া মানুষকে বদলে দেয়।নিশি রাতের জোস্না,ঝি ঝি এর ডাক নিস্তব্ধ রাতের আধাঁরকে আরো নিকষ কালো করে দেয়।রাতের আধাঁর কিছু মানুষকে জানোয়ার এ পরিনত করে,আবার কিছু জানোয়ার কে মনুষ্যসত্বায়।সত্যিই আধাঁরের খেলা বুঝা মুশকিল,ঠিক যেমন বিধির নিয়তি।

“কাল আপনারা অ্যান্ডি গোমসের বাড়িতে গিয়েছিলেন?”(জাদ শুকনো কন্ঠে প্রশ্ন করে)
“ইয়েস।”
“আপনারা ভালো করেই জানেন,ওরা যদি জানতে পারে মি.গোমস আমাদের সাহায্য করছে তাহলে তার পরিনতি কত ভয়ানক হতে পারে।”
“ক্লাম ডাউন,জাদ।আমাদের যাওয়াটা প্রয়োজন ছিল।আর পার্টিতে অ্যাটেন্ড করাটাও।তাইতো তোমাকে সেখানে পাঠিয়েছি।”
“বাট ড্যাড,,,,,,.
“জাদ,তুমি ভালো করেই জানো আমরা যে প্রফেশনে আছি তার জন্য আমাদের নিজেদের কতটা কন্ট্রোলিং এর প্রয়োজন।আর অ্যান্ডি গোমস এর তৈরীকৃত সিরাম আমাদের জন্য কতটা ইমপর্টেন্ট তা তোমার অজানা নয়।”
“আই নো,মম।বাট, আমরা নিজের প্রয়োজনে কাউকে বিপদে ফেলতে পারিনা।”

আইভান ইন্দ্রিয়াজ ছেলেকে আশ্বস্ত করে বললেন–
“মি.গোমস বিনা স্বার্থে আমাদের সাহায্য করেনি।তিনি ভালো করেই জানেন এতে তার বিপদ হতে পারে।”
“তোমার ড্যাড ঠিক বলেছে,জাদ।মি.গোমস সব জেনেই আমাদের সাথে হাত মিলিয়েছেন।ইউ রিল্যাক্স।”

সকাল হতেই দরজা বন্ধ করে রেখেছে রিশাল।কাল রাতের কথা কিছুতেই ভুলতে পারছেনা।কারা ছিল ওই নেকড়ে মানব।আর তারা ওকে কেন মারতে চায়।ওই বই এর সাথে ওদের কি সম্পর্ক।সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো জাদ।জাদ এক ভ্যাম্পায়ার!!ভাবতেই ওর গা কাটা দিয়ে উঠে।আর ওর স্পাইসি কিনা একটা রক্তচোষা প্রাণিকে ভালোবাসে।

না,আর ভাবতে পারছে না ও।তাহলে বাবা সেদিন ঠিক ই বলেছিল আমাকে একদিন এমন কিছু করতে হবে যা কারো তাকদির বদলে দেবে।কে সে?
সে কি তাহলে আমার স্পাইসি।উফ!!!আর ধরছে না মাথায়।সব ধোয়াশা মনে হচ্ছে।
“আজ তোমায় খুব মনে পড়ছে বাবা।আজ যদি তুমি আমার পাশে থাকতে তাহলে সব কিছু সহজ হয়ে যেতো।(বিড়বিড় করে বলে উঠল রিশাল)

রিশালের মা ওর জন্মের সময় মারা যায়। তাই ওর বাবা ওকে অনেক আগলে রেখে বড় করেছে।তিনি নিজেও প্যারানরমাল এক্সপার্ট ছিলেন।ছেলেকে ও নিজের মতো তৈরি করছেন।পেশাগত একটা কাজে গিয়ে দূর্ঘটনাবশত তার মৃত্যু ঘটে কয়েকবছর আগে।আদৌও তা দূর্ঘটনা ছিল কিনা তা এখনো অজানা। মৃত্যুর কিছুদিন আগেই তিনি তার বাল্যকালের বন্ধু ইরাজ ইরাম ঠিকানা দিয়ে যান। সময় সল্পতায় আসা হয়নি।তাই কিছুদিন আগেই রিশাল তার বাবার বন্ধু বাড়িতে আসে।

দম,দম করে সে কখন থেকে দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বিধা।রিশাল এর সেদিকে খেয়াল নেই।তাই দ্বিধার চিৎকারে ওর ঘোর কাটে–
“রিশাল,এই রিশাল ঘরের দরজা আটকে বসে আছো কেনো?বাইরে এসো।”
মিউজিয়াম থেকে আনা বইটি এখনো পড়া হয়নি।তাই ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজ আর ঘর থেকে বের হবে না।
ভিতর থেকে গলা উচু করে বলে–
“এখন আসতে পারবো না।কাজ আছে।”
এমন কি কাজ যে বাইরে আসতে পারবে না।দ্বিধা বলে–“ঠিক আছে,তাহলে আমি একাই চলে যাচ্ছি ভার্সিটিতে”।
রিশালের মনে পড়ে কাল রাতের কথা।জাদ ও তো আসবে ক্যাম্পাসে। না, স্পাইসি কে একা ছাড়া যাবে না। তাড়াতাড়ি বইটা হাতে নিয়ে কোমড়ে গুজে নিলো।ও হুট করে দরজা খুলে বলল–
“আরে বডিগার্ডের চাকরি নিয়েছি।ঠিকমত ডিউটি না করলে আনটি আমার চাকরি নট করে দিবে।
দ্বিধা ফিক করে হেসে দেয়।

ওদের যাওয়ার কিছুক্ষন পর ইতাফ আন্দ্রিজ হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢোকে।পারিজা ইরাম কে দেখে থমকে যায়।
“প্রফেসর আপনি?দ্বিধা তো বাসায় নেই”।
ইতাপ মুখটাকে কাচু মাচু করে বলে–
“আমি রিশালের সাথে দেখা করতে এসেছি।”
“ও তো দ্বিধার সাথেই গেছে।”
ইতাফ আর না দাড়িয়ে রিশাল এর ঘরে গিয়ে বইটা খুজতে থাকে।

পারিজা ইরাম ইতাফের কর্মকান্ডে হতভম্ব হয়ে যান।এরকম তো আগে কখনো হয়নি।ইতাফ বই না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসে।পারিজা ইরাম কে বলে–
“সরি”।
তিনি কিছুই বুঝতে পারলেন না।

ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে বসে আছে জাদ।সাথে তার নিউ গার্লফ্রেন্ড রিপ্তি।রিপ্তি ওর এক হাত নিজের হাত দিয়ে জড়িয়ে ওর গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে যেন এক পরম শান্তির জায়গা।
দ্বিধা ওদের এভাবে দেখে রিশালের হাত ধরে ওদের পাশের সারির তিন টেবিল সামনে বসে।দ্বিধা এমন ভাবে বসে যেন ওদের দুজনকে ভালো করে দেখতে পায়।
“কেমন ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে?সাথে গার্লফ্রেন্ড বসে তার পরও অন্য মেয়ের দিকে কিভাবে তাকায়।”(দ্বিধা রাগে কটমট করতে করতে মনে মনে বলল)

জাদ ওর দিকে তাকিয়ে আছে।ভ্যাম্পায়ারদের একটা আশ্চর্য ক্ষমতা আছে তারা তার আশেপাশের মানুষের মনের কথা বুঝতে পারে।
“সুধানিধি,ভুল করছেন।আপনাকে ছাড়া আজ পর্যন্ত আমি অন্য কাউকে দেখিনি”।(মনে মনে বলছে আর মিটি মিটি হাসছে)
ওর হাসিতে দ্বিধা আরও ফুসতে থাকে।মনে হচ্ছে যেন এখনি গিয়ে একটা চড় মেরে আসে।
জাদ রিপ্তির হাত সরিয়ে উঠে এসে রিশাল কে বলে–
“তোমার সাথে আমার কথা আছে।বাইরে চলো।”

রিশাল উঠে দাড়াতেই দ্বিধা খাবলে ধরে ওর হাত।
“কোথাও যাবে না তুমি।”
জাদ রিশালের হাত ছাড়িয়ে বলে–
“সুধানিধি,প্লিজ স্টপ।বাচ্ছাদের মতো করবেন না।”
“একে তো আমার বয়ফ্রেন্ড কে নিয়ে যাচ্ছেন আবার আমাকে বাচ্ছা বলা হচ্ছে।”
রিশাল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।এই মেয়ে বলে কি।
“তুমি এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?বয়ফ্রেন্ড মানে ছেলে বন্ধু।(বলেই আড়চোখে তাকায়)
“সুধানিধি,আপনি বসুন।”
দ্বিধা রেগে জাদ এর কাছে আসতেই টেবিলে পায়ার সাথে লেগে পড়তে গেলেই জাদ ওকে ধরে ফেলে।দ্বিধা ভয়ে চোখ বন্ধ করে এক হাত দিয়ে জাদ এর কাধ আর অন্য হাত দিয়ে ওর কলার খামছে ধরে।জাদ ওকে ঠিক করে দাড় করিয়ে বলে–
“আগে না হয় নিজেকে সামলান তারপর না হয় বয়ফ্রেন্ড কে সামলাবেন।চলো রিশাল”।

রিশাল জাদ এর পিছু পিছু যায়।রিপ্তি সবই দেখছিল কিন্তু কিছুই বলতে পারছেনা।ওর মন বলছে যতই জাদ নিজেকে দ্বিধার কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুক কিন্তু তা দিনে দিনে অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।নিজের চোখে দেখেও কিচ্ছু করার নাই ওর।জাদ কে ও সত্যিই ভালোবাসে।

জাদ আর রিশাল ভার্সিটির পিছনে পরিত্যক্ত জায়গায় একে অপরের মুখোমুখি দাড়িয়ে আছে।প্রায় ৪ফুটের ব্যবধানে।
ভার্সিটির পিছনের জায়গাটা গাছপালায় ভরা।অনেকটা জঙ্গলের মতো। তাই মানুষের এখানে যাতায়াত কম।নিস্তব্ধতা ভেঙে রিশাল বলে উঠে—
“এইসবের মানে কি?ওরা আমাকে কেন মারতে চায়?”
জাদ গম্ভীর গলায় বলল”বইটা কি তোমার পড়া হয়েছে?”
“না”
“বই পড়া হলে সম্ভবত তুমি তোমার প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে যাবে।”
“তা না হয় বুঝলাম।কিন্তু তুমি,,,,,,,তুমি তো,,,,
“তোমার তো অবাক হবার কথা নয়।আমাদের অস্বিত্ব সম্পর্কে তুমি তো অজানা নও।”
“স্পাইসির সাথে তোমার কিসের সম্পর্ক??”
“কোন সম্পর্ক নেই।একটু থেমে আবার বলল,ভালোবাসো ওকে??”
“তার কৈফিয়ত আমি তোমাকে দেবো না।”
জাদ ওর ওষ্ঠদয় প্রশ্বস্ত করে বলল–
“তুমি ই তো সুধানিধির প্রানদূত।ওকে তো তোমায় বাচাতেই হবে।”
“কিন্তু,,,,,,,
“যাও,ও তোমার জন্য অপেক্ষা করছে”।

রিশাল আর কথা বাড়ায় না।কারন ও বুঝতে পারছে জাদ সবই জানে কিন্তু ও কিছুই বলবেনা এই সবকিছুর মায়াজাল ওকেই ছিড়তে হবে।

“বাহ,,তাহলে মি.জাদ ইন্দ্রিয়াজ তার পুরোনো রুপে ফিরে এসেছে?(বলেই ইতাফ এক শয়তানি হাসি হাসে)
জাদ ওর নীল চোখ রাঙিয়ে বলে–
“কর্মের ফল কখনো কাউকে ছাড়ে না।তোর মৃত্যুই ওর মুক্তি”।
“সত্যিই,,,মায়াপরী তোকে সেই ৫০০ বছর আগের জায়গায় এনে স্থির করেছে।”
“এইবার আর সেই ভুল হবে না।”
ইতাফ হো হো করে হেসে বলল–
“ভুলললল,,,,সে তো তুই অলরেডি করে ফেলেছিস।আমার আর মায়াপরীর মাঝে এসে।(ইতাফ তার হলুদ চোখ বের করে হুংকার দিয়ে উঠল)
“তুই কি ভেবেছিস,এইবার তুই জিততে পারবি?তা হবার নয়।এইবার নবনীযুক্তা একা নয়।ওর প্রানদূত ওর সাথেই আছে।আর আমি থাকতে ওদের কোনো ক্ষতি তুই করতে পারবি না।”
ইতাফ তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে।
“মাহনুর র পরিনতি এতো সহজে ভুলে গেলি??
মাহনুর এর নাম শুনতেই জাদ এক ঝটকায় ইতাফের ঘাড় চেপে ধরে।
“পূর্বে যা হয়েছে তা আমার ভুল।কিন্তু এইবার নবনীযুক্তা বাচবে।তোর মৃত্যুই ওর নতুন জীবনে দ্বার খুলবে”
ইতাফ ও ওর গলা চেপে কর্কশ কন্ঠে চিৎকার দিয়ে বলে–
“আমার ভাই এর মৃত্যু আমি এখনো ভুলিনি।তোর সাজা তুই পাবি।আর নবনীযুক্তা,ওর ভাগ্য ওকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।এইবারও ওকে আমার হাতেই মরতে হবে।”
জাদ ওকে এক ঘুসি মারতেই ও দূরে ছিটকে পড়ে।ইতাফের ঠোঁট কেটে কালো রক্ত শির শির করে বেরিয়ে আসে।
পিছন থেকে হঠাৎ দ্বিধা বলে উঠে–
“প্রফেসর!!!
ইতাফ তড়িঘড়ি করে দ্বিধা দেখার আগেই ওর রক্ত মুছে নেয়।
“কি হচ্ছে এসব?প্রফেসর আপনি ঠিক আছেন?”

জাদ দ্বিধার হাত ধরে টেনে ওকে ইতাফের কাছ থেকে
দূরে সরিয়ে নেয়।
“কেনো এসেছো এখানে?কতবার বলেছি ইতাফের কাছ থেকে দুরে থাকবে।কথা কানে যায় না তোমার??”

ঠাসসসস,,,,,,,দ্বিধা রেগে জাদ এর গাল একটা চড় মারে।রাগে ফোস ফোস করতে বলে–
“ডোন্ট টাচ্ মি।এতো সাহস হয় কি করে আপনার একজন স্টুডেন্ট হয়ে প্রফেসর এর গায়ে হাত তোলার??”
জাদ রেগে বলে–
“খালি চোখে যা দেখা যায় তা সবসময় সত্যি নয়।
আর এ সবকিছুর জন্য আপনি দায়ি।কেন ফিরে এসেছেন??কেন এই ধ্বংসলীলা আবার শুরু করেছেন??
দ্বিধা অবাক হয়ে ভাবছে কি বলছে ও এসব।কে ফিরে এসেছে?কি শুরু হয়েছে?

রিশাল জাদকে থামিয়ে বলে-
“অনেক হয়েছে। ”
ইতাফ দুর থেকেই বলে –
“ইটস ওকে,মায়াপরী।এসব নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।কেন এসেছেন আপনি এখানে??”
“মাম্মা কল করে বলল আপনি বাসায় গিয়েছিলেন,তাই আপনাকে জিঙ্গেস করতে আসলাম।কিন্তু এখানে এসে তো,,,,,,,
“স্পাইসি চলো এখান থেকে।”
“রিশাল তুমি জানো না,,,,,,,,,
“কিচ্ছু জানতে হবে না।এখন চলো।”
ধীরে ধীরে পরিবেশ শান্ত হয়।

“সেই কখন থেকে চুপ করে আছো?”
দ্বিধা আর রিশাল একটা ক্যাফেটিরিয়া বসে আছে।সামনে রাখা জুসের গ্লাসে পাইপ নাড়াচ্ছে দ্বিধা।
“একটা কথা বলব রিশাল?
“হুম।
“জাদ আমায় এটা কেনো বলল,আমি কেনো ফিরে এসেছি।এর আগেও ও আমায় একথা বলেছে।”
“ওর কথা ছাড় তো।ও কখন কি বলে তার ঠিক নেই।
রিশাল চায় না দ্বিধার সামনে জাদ এর আসল পরিচয় উঠে আসুক।

“সুধানিধি,আই অ্যাম রিয়েলি সরি।”
“আপনি??আমাদের ফলো করছেন বুঝি?”
জাদ মুচকি হেসে বলে–
“তার কি সত্যিই প্রয়োজন আছে।(বলেই পাশে রাখা চেয়ারে বসে পরে)
চড় দেয়ার ফলে এখনো গাল লাল হয়ে আছে।ওকে এভাবে চড় মারা ঠিক হয়নি।

“কি ভাবছেন?আপনার হাত কিন্তু বেশ তুলতুলে।যতটা জোরে মেরেছেন ততটা লাগেনি।
ওর কথায় দ্বিধা ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছে।কি বলে ছেলেটা?পাগল নাকি।(মনে মনে)
জাদ ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বলে–
“অনেকটাই”
জাদ ওর ডান হাত দিয়ে একটা কাগজের টুকরা রিশালের হাতে গুজে দেয়।তাতে লিখা—

“তোমরা আমার গাড়িতেই বাড়ি ফিরবে।সুধানিধি কে রাজি করানোর দায়িত্ব তোমার।”

“চলো রিশাল,এখানে ভালো লাগছে না।”
“ওকে।জাদ তুমি কি তোমার গাড়ি করে আমাদের পৌছে দেবে?”
“একদম ই না।আমি ওর গাড়িতে যাব না”।
“প্লিজ স্পাইসি।আমার গাড়ির কাচ ঠিক করতে দিয়েছি।
আজকের মতো চলো প্লিজ,প্লিজ।
“ওকে”

“এই যে মি.জাদ,এইটা গাড়ি নাকি ঠেলাগাড়ি।এভাবে ড্রাইভিং করলে তো এক সপ্তাহে বাসায় পৌছাতে পারবোনা”।
জাদ ইচ্ছে করে গাড়ি ধীরে চালায় যাতে করে রিশাল পুরো বই পড়ে শেষ করতে পারে।
“আপনার গলায় ওই লকেট টা কিসের,সুধানিধি??
জাদ এর কথায় রিশাল ঘুরে তাকায় দ্বিধার দিকে।ও কখনো খেয়াল ই করেনি।ও ভাবে জাদ যখন বলেছে তখন নিশ্চয় কোনো কারণ আছে।ও পিছনে ফিরে হাত ওর গলার দিকে বাড়াতেই–
“ডোন্ট টাচ।”
“কেন স্পাইসি??
“পাপা বলেছে এইটা আমার প্রান দেবতার দেওয়া।আমি ছাড়া এইটা কেউ স্পর্শ করতে পারবে না”।

রিশাল মাথা ঘুরিয়ে জাদ এর দিকে তাকায়।জাদ এর ঠোঁটের চিলতে হাসি দেখেই ও বুঝতে পারে এই রহস্যের সমাধান ও ওকেই করতে হবে।

গাড়ি থেকে নেমে রিশাল জাদ কে ধন্যবাদ জানায়।ভাবে সব জেনেও কেমন আনজান হয়ে থাকে।সত্যিই বড় অদ্ভুত মানুষ।উফস,,,,সরি।মানুষ নয়।
ভ্যাম্পায়ার।।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here