অপরাধী পর্ব-১১

0
1291

#অপরাধী
#লেখক_অন্তর
পর্ব_১১
,
,
,
আমিও ওয়াশরুমের বেসিনে চলে যাই হাত ধুতে, আমিও হাত ধুতে ব্যস্থ, হাতে হ্যান্ডওয়াস লাগিয়ে হাত ধুচ্ছি তখনি পিছন থেকে কেউ একজন আমাকে শক্ত জড়িয়ে ধরে ও কান্না করতে লাগে।

–আরে কে কে ছাড়েন বলতেছি!(আমি)

–আমাকে ক্ষমা করে দে রে ভাই,(পিছন থেকে মেয়েলি কান্না কন্ঠে)

কথাটা বলতেই কান্নার মাত্রা বেড়ে গেলো,আর আমিও নিস্তব্দ হয়ে গেলাম,কারন আমিও বুঝতে পারলাম যে কে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে, সে আর কেউ না আপু।আজ প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময় পর আপুর মুখে ভাই শব্দটা শুনতে পেলাম তার মুখে ভাই শব্দটি শুনে আমার চোখে পানি চলে আসলো।আপু আমাকে ধরেই কান্না করেই যাচ্ছে আর এই দিকে আমার চোখেও পানি চলে আসছে আর প্রায় চোখ দিয়ে পড়তেই লাগবে কিন্তু কোনো মতে তা কন্ট্রোল করে রাখলাম।

–কিসের ভাই আর কে আপনি?ছাড়েন বলতেছি!(আমি)

–অন্তর ভাই আমার, আমাকে চিনতে পারতেছিস না, আমি তোর আপুরে(আপু কান্না জনিত কন্ঠে)

–আরে ছাড়েন আমাকে,কিসের আপু, আমি তো এতিম, আমার বোন কই থেকে আসবে!আপনি নিশ্চই ভুল আমাকে অন্য কেউ ভাবতেছেন!(আমি)

–কি বলতেছিস এসব তুই,তুই এতিম মানে!এই তুই কেন এতিম হতে জাবি!আর আমাকে চিনতে পারতেছিস না তুই! (আপু)

আমিও হাত ও মুখ ধুয়ে নিলাম আর সাথে সাথে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আপুর দিকে শক্ত হয়ে মুখ করে দাড়ালাম!

–আপনার সাহস কি করে হইছে আমাকে ধরার, আর কে আপনি হ্যা, আর কিসের বোন,দেখেন আপু আমি এতিম, আমার কেউই নেই,তাহলে বোন কই থেকে আসবে, দেখেন আপু এভাবে পিছন থেকে ধরার কোনো মানে হয় না,এটা কিন্তু খুবই বাজে আর আপনাকে তো আমি চিনিই না তাহলে কিভাবে এই কাজটা করলেন,দেখেন আপু আপনাকে না আমি চিনি না আমার কোনো বোন আছে, তাই নেক্সট টাইম আমার আশে আশে আসিয়েন না।(আমি)

বলেই সেখান থেকে চলে যেতে লাগি, কারন আপুর সাথে কথা বলার কোনো ইচ্ছাই নাই কারন যেভাবে আমাকে অপমান করছিলো এরপর সেই ইচ্ছাটুকু মরে গেছে তাই আমিও হাত ধোয়ার রুম থেকে বেরিয়ে যাই আর বের হতেই দেখি দুলাভাই ও সেখানে উপস্থিত। তাকে চিনেও না চেনার ভান করে তার পাশ কেটে চলে গেলাম,কারন দরকার নেই তাদের সাথে কথা বলার তাদের ছাড়া যদি আমি এতোদিন চলে আসতে পারি তাহলে এখন তো তাদের সাথে কোনো কথা বলার প্রয়োজনই হয় না,যেভাবে একদিন তারাও আমাকে অপমান করছিলো আর আমাকে জানোয়ারও বলা হইছিলোও এবং বাড়ি থেকে অপমানের সাথে বের করে দিছিলো তাহলে সে আজ কি করে আমার মতো জানোয়ারকে ভাই ডাকলোও আমাকে ও জড়িয়ে ধরলো,ওয়েট এক মিনিট আপু আমার কাছ থেকে ক্ষমা চাইলো! ক্ষমা চাইলোটা কেন!বা কিসের জন্যেও ক্ষমা চাইলো!আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার তেমন তো কোনো কারন নেই,কারন জানোয়ার বলে কথা,নাকি তারা সত্যিটা জেনে গেছে তারা!!হা হা হা হা যদি এখন সত্যিটা জেনেও যায় কোনো লাভ নেই।কারন তাদের সেই রূপ দেখেই আমি অনেক আগেই সিধান্ত নিয়েই নিছি আর কোনো দিনও তাদের কাছে ফিরবো না। এবার আমি অপরাধী হয়ে থাকলেও ফিরতেছি না, আবার সত্যিটা প্রকাশ হলেও ফিরবো না। কারন আমি মানুষ ভালো করেই চিনে ফেলছি।

আমি হেটে চলে যেতে লাগি দেখলাম রিদিকাও আমার থেকে কিছুদূরেই আমার সামনে বরাবর দাঁড়িয়ে আছে, তাকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যেতে লাগি,কারন তার থেকেও আমি দূরে থাকতে চাই।কারন কেন জানি মনে হচ্ছে সে আমার কাছে আসতে চাইতেছে, যেটা আমি মোটেও চাই না।তাই যথাসাধ্য চেষ্টা করবো রিদিকা থেকে নিজেকে দূরে রাখার।

খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হতেই সকলে তার তার মতো ব্যস্থছিলো, আমিও ক্লাবের মধ্যে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করি! আমি পূরা ক্লাব ঘুরে ফেলি কিন্তু আপু, দুলাভাইকে আর দেখতে পেলাম না, সমস্যা নেই সেটাই ভালো।আরো কিছুক্ষন ঘুরাঘুরির পর, আবার অনুষ্ঠানে বাকি কার্যক্রম শুরু হলো,বাকি কার্যক্রম বলতে কনের বাবা মা কনে কে বরের হাতে তুলে দেওয়ার কার্যক্রম, নতুন ভাবিকে তার বাবা মা সৌরভের হাতে তুলে দেয়,আর সেখানে তখন ইমোশনাল সিন শুরু হয়ে যায় আরকি মানে কান্নাকাটির সিন,সেখানে ভাবির বাবা মা,ভাই, বোন, এবং আমাদের নতুন ভাবি সকলে কান্না কাটি শুরু করে দেয়,তবে দেখলাম সেখানে আমাদের নতুন ভাবি তার ভাইকে ধরে অঝরে কান্না কাটি করতেছে আর সেই সিনটা দেখেই আপুর বিয়ের কথাটা মনে পড়ে গেলো,সেই দিন আপুও আমাকে ধরে প্রচুর কান্না কাটি করছে। বিষয়টা মনে পড়তেই আমার হাসি চলে আসলো, কারন সে সেদিন এক জানোয়ারকে ধরেই কান্না করছিলো।

এরপর নতুন ভাবিকে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়,আর সৌরভও বসে আংকেল তো আমাকে বলছেই বাড়ি আসা পর্যন্ত সৌরভের সাথে থাকতে তাই আমিও সেই গাড়িতেই ড্রাইবারের সাথে বসি,গাড়িতে বসতেই জানালা দিয়ে দেখি মায়া নতুন ভাবির পরিবারের সাথে দাঁড়িয়ে আছে। সেও গাড়ির দিকেই তাকিয়ে আছে।আমি দেখেই আবার সামনের দিকে তাকালাম এরপর পরই গাড়ি চলতে লাগে।আমিও বসে আছি,আমাদের সামনে দিয়েও বাকি গাড়িগুলো চলে যায়,আমরাও কিছুক্ষন পরেই বাড়িতে পোছে যাই, এরপর বাড়ির সামনেই গাড়ি থামায়, আমিও গাড়ি থেকে নেমে যাই আর সৌরভ ও নতুন ভাবিও গাড়ি থেকে নেমে যায়,সেখানে নতুন বর বউকে স্বাগতম করার জন্য কয়েকজন উপস্থিত, আমিও বর বউ থেকে সরে যাই, এরপর তারা ঘরে প্রবেশ করতে লাগে,তাদেরকেও ফুল ছুড়ে ও মিষ্টি মুখ করিয়ে স্বাগতম করা হয়,আমিও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছি,তখনি পাশ থেকে কেউ একজন আমার হাতের মধ্যে হাত রেখে শক্ত করে ধরে আছে, সাথে সাথে আমি পাশে তাকালাম আর দেখলাম রিদিকাই আমার হাত ধরে আছে,ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে, তার চোখ লাল হয়ে আছে ও চোখের মধ্যে পানিও দেখতে পারছি,তবে জিনিসটা আমার মোটেও ভালো লাগতেছে না আর ভাগ্য ভালো যে আমরা এমন জায়গায় আছে যেখানে আমাদের সামনেই মেহমান উপস্থিত আর আমরা সবার পিছনে আছি,যার জন্য রিদিকা যে আমার হাত ধরে আছে তা কেউই দেখতে পারছে না, তবে রিদিকা যেভাবে আমাকে ধরে আছে এটা যদি মামা কিংবা মামী কিংবা বাড়ির কেউ দেখে তাহলে আমার জন্য মোটেও ভালো হবে না,আমি যতোই চাইছি হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার ততোই রিদিকা শক্ত করে ধরছে, আমার সত্যিই মেঝাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে,তারপরেও আমি কোনো মতে হাত ছুটিয়েই সেখান থেকে সরে গেলাম, কারন সেখানে যদি থাকি রিদিকা আবারো এই সব করার চেষ্টা করবে,আমি বুঝতে পারছি রিদিকার মনে আমার জন্য কি চলতেছে।তাই রিদিকা থেকে দূরে সরে গেলাম।আমারই ভুল হইছে,আমিই রিদিকাকে কাছে আসার সুযোগ দিলাম,যার ফল এখন আমি পাচ্ছি,আমি রিদিকাকে ২টা কারনে এড়িয়ে চলতেছি,একত মামা মামীর জন্য ২য়ত রিদিকা যা করতেছে,যেমন আমার কাছে আসতেছে, আমার হাত ধরতেছে, ঠিক একই কাজ গুলো মায়াও করছিলো,মায়ার এই আচরন গুলোকে ভালোবাসা ভেবে নিছিলাম ও তাকে ভালোবেসেও ফেলছি। যার ফল আমি পেয়ে গেছি।মানুষ জীবনে ভুল একবারই করে আমিও একবারই ভুল করছি,। তাই ২য় বার আমি সেই ভুল করবো না।আমার লাইফে আর ভালোবাসাকে জায়গা দিতে চাই না কারন যা বুঝলাম ভালোবাসা আমার জন্য নয়।

তাই আমিও যথাচেষ্টা করবো রিদিকা থেকে দূরে থাকার।আমি অন্য সাইডে চলে যাই আর দেখলাম আন্টিরা নতুনভাবিকে উপরের দিকে নিয়ে যায় তাই আমিও সৌরভের কাছে চলে যাই।সেখানে গিয়ে তার সাথে কথা বলতেছি।সেখানে আরো কয়েকজন ছিলো সবাই মিলে মোটামোটি আড্ডাই দিচ্ছি,যেহুতু সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই আমাদের নাস্তা দেয় আর আমরাও নাস্তা খাচ্ছি আর গল্প করতেছি,তখনি খেয়াল আসলো রিদিকাকে তো দেখতে পারছি না, মেয়েটা গেলো কই! এবার মাথায় একটা টেনশন কাজ করতে লাগলো কারন মেয়েটা যে রাগী যদি উল্টা পাল্টা কিছু করে বসে! এটা ভাবতেই শরীর শিউরে উঠে,ঠিক তখনি দেখলাম মুন্নিকে নাস্তা নিয়ে যাচ্ছে সাথে সাথে আমিও মুন্নিকে ডাক দি ও তার কাছে যাই।

–কি হইছে ভাইয়া, কিছু লাগবে! (মুন্নি)

–না লাগবে না,আচ্ছা তুমি কি রিদিকাকে দেখছো!(আমি)

–হ্যা, আপু আমার রুমে আছে, আর আমি আপুর জন্যই নাস্তা নিয়ে যাচ্ছি,(মুন্নি)

–ও আচ্ছা,আচ্ছা যাও (সস্থি বোধ করে)

এরপর মুন্নিও চলে যায়,যাক সে আছে তাহলে আমিও একটু শান্তি পেলাম,তবে ভিতরে এখনো ভয় কাজ করতেছে।

রাতের বেলা

খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা ছাদে আড্ডা দিচ্ছিলাম সেখানে রিদিকা মুন্নিও উপস্থিত, আরো কয়েকজন আছে আমাদের সাথে, তবে আমি রিদিকা থেকে দূরেই আছি,খেয়াল করলাম সেখানে একটা ছেলে রিদিকার দিকে বারবার তাকাচ্ছে। আমি শুধু সেই ছেলেটাকে দেখতে লাগি, এবার আমি এটাও দেখলাম রিদিকাও সেই ছেলেটার দিকে তাকাচ্ছে,তবে কেন জানি রিদিকার এই বিহেব আমার মনে একটু একটু আঘাত করতেছে, তাই সেখানে আর বসে থাকতে পারলাম না, আমি সোজা উঠে গিয়ে যাই!

–কিরে উঠে গেলি যে! (সৌরভ)

–না আমার শরীরটা একটু খারাপ লাগতেছে,(আমি)

–আচ্ছা, ঠিক আছে তুই যা!গিয়ে রেষ্ট নে!(সৌরভ)

আমিও চলে যাই আমার সেই রুমে, এটা সেই রুম যেখানে আমি এই বাড়িতে আসতেই যে রুমে ছিলাম,রুমে খালি হয়ে গেছে আসলে সন্ধার সময় অনেক মেহমান চলে যায়,তাই এই রুমটাও খালি হয়ে যায় যার জন্য এই রুমটা এখন আমার।তাই আমিও সেই রুমে গিয়ে একটু ফ্রেস হয়ে নিলাম আর নরমাল ড্রেস আপ করে নিলাম,এরপর খাটে শুয়ে পড়লাম।খাটে শুয়েই ভাবতে লাগি যে মেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার পিছে পড়ে ছিলো সেই মেয়ে এখন অন্য একজনকে দেখেই যাচ্ছিলো,জানতাম এমনটাই হবে তাই আমিও রিদিকার প্রতি আর্কশিত হইনি,এমনে একটু খারাপ ফিল হইছিলো। তবে ভালোই হইছে।হাই হোক,সে অন্য কারো হোক,আমার আপত্তি নেই,তবে ভুল মানুষের হাত না পড়ুক সেটা দোয়া করি।আজ আমি প্রচুর ক্লান্ত তাই চোখ বুজিয়ে রাখতেই আমার ঘুম চলে আসে।

সকাল বেলা।

–অন্তর ভাইয়া,এই অন্তর ভাইয়া!(দরজা নক করে)

দরজার আওয়াজে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় আমি শুনতে পাই কেউ একজন আমাকে ডাকতেছে আমিও খাট থেকে উঠে গিয়ে দরজা খুললাম দেখলাম মুন্নি ডাকতেছে!

–ভাইয়া তুমি এখনো ঘুমাচ্ছিলা!(মুন্নি)

–হ্যা রে বোন,আসলে গতকাল মাথা ব্যাথা আবার শরীরটাও ক্লান্তছিলো তাই! (আমি)

–আচ্ছা ভাইয়া, ফ্রেস হয়ে ডাইনিং টেবিলে আসো,সকলে তোমার জন্য বসে আছে!(মুন্নি)

–আচ্ছা আসতেছি!(আমি ছোট গলায়)

এরপর মুন্নি চলে যায় আর আমিও কোনো মতে ফ্রেস হয়ে নিলাম,তবে শরীরটা ভালো লাগতেছে না, ক্লান্ত হয়ে আছে শরীরটা,তার সাথে শরীর ব্যাথা করতেছে, তারপরেও কোনো মতে ডাইনিং টেবিলের দিকে গেলাম সেখানে গিয়ে দেখলাম সকলেই উপস্থিত,আমিও যেতে লাগি ঠিক তখনি কাল রাতেই সেই ছেলেটা উপস্থিত।

–কিরে সৌরভ, কি করিস মামা!(ছেলেটা)

–এই তো দোস্ত নাস্তা করতে বসলাম, আয় আমাদের সাথে নাস্তা করতে আয়,(সৌরভ)

বলতেই ছেলেটা রিদিকার পাশের চেয়ার খালিছিলো সেটাতে বসে যায়।আমি দেখলাম বসতেই ছেলেটা রিদিকার দিকে মুচকি হাসে আর রিদিকাও তাকে দেখে মুখে একটা হাসি দেয়।আমি কোনো রিয়েক্ট করলাম না।দরকার কি রিয়েক্ট করার রিদিকা ছেলেটাকে হয়তো পছন্দ করতে লাগছে, আমারও দরকার নেই তাদের মাঝে যাওয়ার, আমিও টেবিলের দিকে গেলাম।

–কিরে অন্তর,এতো লেট কেন তোর(আংকেল)

–না আংকেল,আসলে যে ঘুম দিলাম তার জন্য বলতেই পারবো না যে সময় অনেক পার হয়ে গেছে।সরি আংকেল(আমি)

–আচ্ছা, বসো!সমস্যা নেই!(আংকেল)

এরপর আমিও বসলাম,

–কিরে তোর চেহারা এমন দেখাচ্ছে কেন!তুই ঠিক আছিস তো!(মামা)

–না মামা আমি ঠিক আছি,(আমি)

–দেখ তোকে দেখে মনে হচ্ছে না তুই ঠিক আছিস!তোর চেহারা অন্য কিছুই বলতেছে! (সৌরভ)

–ধুর আমি ঠিক আছি বলতেছি তো!(আমি)

–আচ্ছা বাদ দে,অন্তরকে নাস্তা দাও!(সৌরভ)

এরপর আমাকে নাস্তা দিলো আর আমিও খেতে লাগি আমি আড়াল চোখে দেখি রিদিকা ও সেই ছেলেটা চোখের ইশারা কথা বলতেছে তাই আমিও তাদের দিকে নজর দেওয়া বন্ধ করে চুপ চাপ নাস্তা করে নিলাম,এরপর আমি আবার আমার রুমে চলে যাই আর চোখ শুয়ে পড়ি। কারন মাথা ও শরীর প্রচুর ব্যাথা করতেছে।তখনি কেউ একজন দরজা নক করে, আমিও দরজা খুলার জন্য দরজায় যাই আর দরজা খুলে দেয়,দেখি সেখানে সৌরভ, আমাদের নতুন ভাবি মুন্নি আছে!

–কিরে কি করতেছিস!(সৌরভ)

–এই তো আছি আর কি,শুয়ে আছিলাম!আরে আয় বেটা, ভাবিকে নিয়ে তারাতারি ভিতরে আয়!(আমি)

–ভাইয়া আমি কি দোষ করছি!(মুন্নি)

–আরে আয় আয়,ভিতরে আয়!(আমি)

এরই মধ্যে আমি দেখি রিদিকাও সেই ছেলেটাও আসে,

–আমরাও কি আসতে পারি!(রিদিকা)

–আরে অবশ্যই ভিতরে আসো!আরে ভাই আসেন ভিতরে!(আমি)

এরপর তারাও ভিতরে আসে।

–তুই রুমে কি করতেছিলি আসলে বলতো!(সৌরভ)

–না আসলে একটু শুয়ে ছিলাম আর কি,তবে সমস্যা নেই!(আমি)

–তোর ভাবি তোর সাথে পরিচিত হতে আসছে!(সৌরভ)

–পরিচিত হতে আসছে মানে,এই তুই কি আমার বেপারে কিছুই বলিস না, ধুর বেটা ইজ্জত রাখলি,আমি নিজের ইন্ট্রো নিজে কেমনে দিতাম,সরম লাগে আমার,আমি যে কতোটা ভালো তা ক ভাবিকে নিজের মুখে নিজে বলতে পারবো নাকি,ধুর বেটা!(আমি)

–ও তাই,আপনি ভালো,(ভাবি)

–তো,আমার মতো ভালো ছেলে এই পৃথিবীরে আর ২য়টা পাবেন নাকি!আমি ওয়াল্ডে এক পিসই আছি,😎😎(আমি)

আমার কথা শুনে তারা হাসতে লাগে,তবে রিদিকা একটুও রিয়েক্ট করলো না,এরপর আমরা সকলেই মিলে নতুন ভাবি সহ রুমে আড্ডা দিতে লাগি,বেশ মজাই লাগতেছে, শরীরটা মোটামোটি ভালো লাগতেছে,আমরা সকলে দুপুর পর্যন্ত আড্ডা দেয়,তবে আমাদের আড্ডা চলতেছে তখনি আমার মোবাইল বেজে উঠে,আমিও মোবাইলটা নিলাম দেখলাম তানভির কল দিলো,তখনি মনে পড়লো কাল তানভিরকে কল দেওয়ার কথা কিন্তু দেই নাই আর সকালেও দেই নাই, সালা নিশ্চই ক্ষেপে গেছে।তাই আমিও কল রিসিব করলাম!

–দোস্ত,কসম আমি ভুলেই গেছিলাম কল দেওয়ার কথা, ভাই রাগ করিস না,ভাই গালিও দিস না,আমার এই মাত্র ফোনের কথা মনে পড়ছে আর শরীরটাও ভালো ছিলো না তাই কল দেওয়ার মতো অবস্থা ছিলো না, মামা সরি!(আমি)

–অন্তর,ঐ কথা বাদ দে,আএ আমার কথাটা শুন,(তানভির)

এরপর তানভির যা বলল সাথে সাথে মেঝাজটা খুব খারাপ হয়ে গেলো!

চলবে…………..
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর লাইক ও গল্প ভিত্তিক কমেন্ট করে পাশে থাকুন।সেয়ার করুন আর পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
পার্ট 12
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/399853222009934/
পার্ট 10
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/399279208734002/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here