অপরাধী পর্ব-১৩

0
1085

#অপরাধী
#লেখক_অন্তর
পর্ব_১৩
,
,
,
যা দেখতেছি এতোটুকু বলতে পারতেছি রিদিকা আমার সাথেই যাচ্ছে আর সে সেখানেই যাচ্ছে সেখানে আমি যাবো ও আব্বু আম্মু আছে আর যদি রিদিকার সাথে একবার আমার আব্বু আম্মুর সাক্ষাৎ হয় তাহলে আমার সকল সত্যি ফাস হয়ে যাবে আর আমিও আব্বু আম্মুর থেকে আড়ালেও থাকতে পারবো না।

আমি কি বলবো বুঝে পাচ্ছি না নাও করতে পারবো না মামাকে,একদমই হোপ লেস হয়ে গেলাম,রিদিকাও আমার পাশে বসে আছে।

–রিদিকা যাচ্ছিস ঠিক আছে যা, তবে সাবধানে যাবি কেমন,আর অন্তর রিদিকার দিকে খেয়াল রাখিস আর নিজের দিকেও(মামী)

–জী মামী!(আমি)

এরপর গাড়ি স্টাট দেয় আর যেতে বাসস্টেশনের উদ্দেশ্যে, তবে আমার বেপারটা মোটেও ভালো লাগলো না।

গাড়ি চলতে চলতে বাসস্টেশনে পোছে যায়, আর আমরা গাড়ি থেকে নেমে যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে দাঁড়ায়। চিন্তা করলাম টিকেট আমি নিবো, কারন আমি ভেবে রাখছি রিদিকাকে আমার পাশে বসাবো না তাকে অন্য এক সিটে বসানোর ব্যবস্থা করবো।

–আচ্ছা মামা তোমরা এখানে থাকো আমি টিকেট নিয়ে আসি!(আমি)

–তোমরা দাড়াও আমি নিয়ে আসি,(আংকেল)

বলেই আংকেল হুট করেই চলে গেলো আর আমার পরিকল্পনায় পানি ডেলে দিলো!চাইছিলাম রিদিকাকে আমার থেকে দূরে রাখবো কিন্তু ভাগ্য এটা হতেই দিচ্ছে না মানে যাদের থেকে দূরে থাকতে চাই ভাগ্য তা হতেই দেয় না।

আংকেল আসে আর টিকেটও নিয়ে আসে।

–আরে আংকেল আপনি কেন টিকেট নিলেন!(আমি)

–নিলাম আর কি মন চাইছে, এই নাও তোমাদের টিকেট(আংকেল টিকেট এগিয়ে দিয়ে)

–আংকেল এটা কিন্তু ঠিক হয় নাই(আমি টিকেট নিয়ে)

আমিও টিকেটটা হাতে নিলাম,আর দেখলাম বাসের মাঝখানে আমাদের দুজনের জন্য ডান পাশের সারিতে টিকেট নিছে।আমার থেকে যেটা একটু ভালো লাগে নাই,কারন রিদিকার পাশে বসতে চাই না।দেখি বাসের মধ্যে কিছু করতে পারি কিনা!

–শুন তোরা এখন একত্রে সফর করবি তাই দুজন দুজনের খেয়াল রাখবি(মামা)

–জি মামা,(আমি)

–আচ্ছা তোমরা সিটে যাও বাস আর একটু পরেই ছেড়ে দিবে, (আংকেল)

আংকেলের কথা শুনে আমরাও বাসে উঠে পড়লাম,

–আমার জানালা সিট লাগবে!(রিদিকা)

–জি বসেন, তাছাড়াও এখানে কেবল তুমিই বসবা আমি এখানে বসতেছি না!(আমি)

–এখানে বসতেছো না মানে!টিকেট কেটে সিট নেওয়া হইছে, সো যে সিটের টিকেট কাটা হইছে সেই সিটেই বসতে হবে(রিদিকা)

–সেই সিটে বসতে হবে কিনা তা আমি বুঝবো, তুমি সিটে বসো!(আমি)

–মানে তুমি অন্য সিটে বসবা?? (রিদিকা)

–জি,চেষ্টা তো করবো অন্য সিটেই বসার (আমি)

–আর আংকেল যে আমাদের জন্য সিট নিছে সেটার কি হবে, তুমি আংকেলকে এভাবে অপমান করবা!(রিদিকা)

–আরে আজব এখানে অপমান করার কি আছে,(আমি)

–অপমান করার কি নেই, আংকেল আমাদের জন্য সিট নিছে আর তুমি বলতেছো সেই সিট রেখে তুমি অন্য সিটে বসবা, এটা আংকেললে অপমান করা নয়??তার দেওয়া কোনো কিছুকে অমান্য করা তো অপমান করা,তাই আংকেল যেহুতু সিট বুক করে দিছে সেটাতে বসো,আর এখনো যদি তার কথা অমান্য করার চিন্তা করে থাকো তাহলে এখনি আংকেলকে বলতেছিস!(রিদিকা)

–না না বলা লাগবে না, আমি বসতেছি!(আমি)

বলেই রিদিকার পাশে বসলাম

–এই তো গুড বয়(রিদিকা)

এরপর আমরা বসেই আছি,আর রিদিকা আংকেল ও মামার সাথে জানালার দিয়ে কথা বলতেছে আমিও কথা বলে নিলাম এরপর বাস ছাড়ার সময় হয়ে গেছে তাই আমরাও তাদের সাথে কথা বলে বিদাই নিয়ে নিলাম, আর বাস চলতে লাগে।এরপর আস্তে আস্তে করে বাস তার স্টেশন ছেড়ে তার গন্তব্যের যাত্রা শুরু করলো।

বাস চলছে তার আপন গতিতে, আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখলাম ৭ঃ০৮ বাজে, আমরা যে জায়গায় যাচ্ছি সেখানে যেতে প্রায় ৪ঘন্টার মতো লাগে,যদি জ্যাম থাকে তাহলে একটু বেশিই লাগে।যেহুতু এখন বাজছে ৭টা, তাহলে যেতে যেতে আমাদের ১১ বা তার থেকে একটু বেশি সময় লাগতে পারে আর যদি জ্যাম থাকে তাহলে ধরে নিলাম ১২। বাসে বসে আছি রিদিকাও আমার পাশেই আছে। আমিও বসে আছি তবে রিদিকার দিকে তাকাচ্ছি না প্রয়োজনও নেই। তবে এখন আমাকে ভাবতে হবে কি করে আমি আমাদের বাড়িটা মামাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিবো, না এখানে এখন এইসব নিয়ে ভাবাটা উচিত হবে না, এখন রিলেক্স করা দরকার, জায়গা মতো গিয়েই ভাববো কিভাবে কি করবো,তবে হ্যা একটা সমস্যা, রিদিকা আমার সাথে যাচ্ছে, এটা নিয়ে একটু ভয়ে আছি,কারন একত আব্বু আম্মু তারাও তানভিরদের বাড়িতেই আছে আর রিদিকাও সেখানেই যাচ্ছে এবংকি আমিও যাচ্ছি তবে আমি অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারবো কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আব্ব আম্মু যেহুতু আছে রিদিকাও তাদের বাড়িতেই থাকবে, ও আম্মু আব্বুকে দেখবে তারা কে জানতে চাইবে আর যদি একবার রিদিকা জানতে পারে যে তারা আমার আব্বু আম্মু তাহলে আমি বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারি। এবং কি আমার সত্যিটাও প্রকাশ হয়ে যেতে পারে।কি করতাম আমি খালি মাইকার চিপাই আটকে যাই আমি। উফফফফ ধুর অন্তর মাথা ঠান্ডা রাখ,আর রিলেক্স থাক নাহলে পরে মাথা খাটাতে পারবি না আর বাড়িও মামা মামীর থেকে নিতে পারবি না।

তবে কি করবো আমি,ধুর মাথা ঠান্ডা আর রিলেক্স রাখতে হবে। যে যেহুতু বাসে সফর করতেছি তাই চিন্তা করলাম এই রকম মুহুত্তকে উপভোগ করা দরকার, এতে একত আমার রিলেক্স থাকবো আর চিন্তাভাবনা মাথা থেকে দূরে থাকবে তাই আমি আমার কাছে থাকা আমার কাধ ব্যাগ থেকে ইয়ার ফোনটা বের করে নিলাম আর মোবাইলের সাথে কানেক্ট করে ইয়ার ফোন লাগিয়ে গান চালিয়ে দিলাম। আর চোখ বন্ধ করে গান শুনে উপভোগ করতে লাগলাম,তখনি রিদিকা পাশ থেকে ঝাকি দেয়!

–কি হইছে?(আমি)

–কি হইছে মানে,কি হয় নাই!কিছু বাদ রাখছো তুমি!(রিদিকা)

–আজব আমি কি করলাম?(আমি)

–আমি দেখতেছি তুমি আমাকে প্রতিনিয়ত এড়িয়ে চলতেছো!(রিদিকা )

–সেটা তো তোমার ভালোর জন্যই করতেছি,আমার মতো ছ্যাচড়ার সাথে কথা বলা কিংবা মেশার কোনো মানে হয়,তাছাড়া তোমার সাথে মেশার জন্য আমি ছাড়া আরো অনেকেই আছে তো,তাহলে আমার এড়িয়ে চলার দিকে ধেয়ান না দেওয়াটাই ভালো।(আমি)

–আমি তোমাকে সরি বলছি তো,তাহলে কেন এমন করতেছো তুমি!কেন কষ্ট দিতেছো আমাকে!(রিদিকা কান্না কন্ঠে)

–আজব আমি তোমাকে কখন কষ্ট দিলাম,(আমি)

–আমাকে এড়িয়ে চলো সেটা কি আমাকে কষ্ট দেওয়া না!(রিদিকা)

–আরে আমি এড়িয়ে চলি তাতে কি, তোমাকে তো অনেকেই মূল্যয়ন করতেছে, ডাকতেছে, কেউ কেউ আবার তোমার চোখে চোখ রেখে কথা বলে তোমার পাশে বসে খাবার খায়,তাহলে আমার এড়িয়ে যাওয়ার দিকে দেখো কেন তাকে নিয়ে খুশিতে থাকতে পারো না!(আমি)

–আমি জানতাম তুমি এমন একটা কিছুই বলবে, আমি জানি তুমি কাকে ইংগিত করে কথাটা বললে,তাহলে শুনো তুমি যেটা দেখছো না এটা একটা পরিকল্পিত নাটক আর সেটার উদ্দেশ্যই হচ্ছে তোমার অবস্থা দেখা,(রিদিকা)

–মানে!(আমি)

–মানে, এই তো যে ছেলেটার সাথে আমাকে দেখছো না সেটা জাষ্ট আমাদের নাটক ছিলো কারন তুমি আমাকে বারবার এড়িয়ে চলতেছো যেটা আমার সহ্য হচ্ছিলো না, কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি,কিন্তু তুমি আমাকে প্রায় এড়িয়ে চলতে আর কেউই চায় না তার ভালোবাসার মানুষটা তাকে এড়িয়ে চলুক,আমি তোমার এড়িয়ে চলাটা সহ্য করতে পারতেছিলাম না। পরে সৌরভ ভাইয়ার সাহায্য নিয়েই এই নাটকটা করি, মূল্যত সৌরভ ভাইয়াই রিমন ভাইয়াকে মেনেজ করে দিলো। চিন্তা করছি আরো কয়েকদিন নাটক করে তোমার অবস্থা দেখবো।কিন্তু আজকেই তুমি বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছিলে, যেটা আমার ভালো লাগতেছিলো না তাই আমিও প্লেন করে ফেলি তোমার সাথে আসার তাই আব্বুকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তোমার সাথে চলে আসি! (রিদিকা)

–আমি সেটা বুঝেই গেছি, আর এটাও বুঝে গেছিলাম তোমার মনে আমার জন্য কি চলতেছে, তাই এড়িয়ে চলতে শুরু করলাম!(আমি)

–কিন্তু কেন??(রিদিকা)

–কারন আমি চাই না,যারা আমাকে আশ্রয় দিছে তাদের সাথেই বেইমানি করতে!আমি তোমার বিহেবার দেখেই বুঝে গেছিলাম তাই ভেবে নিছি তোমার থেকে দূরে থাকার,কারন আমি তাদের সামনে অপরাধী হতে চাই না!যেহুতু তুমি আমাকে নিজ মুখে সত্যিটা বলছো তাই আমিও এবার বলি প্লিজ আমার থেকে দূরে থাকো,এমন কোনো কাজ করিও না যার জন্য মামা মামীর সামনে আমি খারাপ হয়ে যাই,তারা আমাকে বিশ্বাস করেই আশ্রয় দিছে, আমি তাদের বিশ্বাস টুকু ভাঙ্গতে চাই না।(আমি)

–দেখো আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি,(রিদিকা)

–একটা কথা বলি, যেটাকে তুমি ভালোবাসা বলতেছো না সেটা জাষ্ট একটা আবেগ,আর তাছাড়া আমার মতো ছেলের লাইফে ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই,(আমি)

–আমার মনে কোনো আবেগ নেই,আর কে বলছে তোমার লাইফে ভালোবাসা নেই,সেটা তুমি কি করে বুঝলে! (রিদিকা)

–সেটা আমাকে পরিস্থিতিই বুঝিয়ে দিছে, যাই হোক,প্লিজ এই সব নিয়ে আমি আর কথা বাড়াতে চাই না, সো এই গুলো বাদ দাও,

–অন্তর প্লিজ আমার কথা শুনো!(রিদিকা)

–এমনে যা খুশি বলো তবে এই সব নিয়ে না প্লিজ,রিকোয়েষ্ট(আমি)

এরপর রিদিকা আর কিছু বললো না খালি জানালার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে, আসলে একদিক দিয়ে ভালোই হইছে সে তার মনের বলে দিলো আর আমিও আমার কথা বলে দিলাম,কারন আমি এই জান যোটে আর আটকাতে চাই না আমি একবার তো ভুল করছি যা থেকে শিক্ষাও নিছি, তাই ২য় বাত সেই ভুল টুকু করতে চাচ্ছি না।

এরপর রিদিকাও তার মতো আছে আর আমিও আমার মতোই আছি,আর আমরা হাফ জার্নিও করে ফেলছি,বাস পেট্রোল পাম্পে এসে থাকে!আমরা বাস থেকে নামি তবে রিদিকা আমার সাথে কোনো প্রকার কথা বলে নাই,সেটাই ভালো যতো পারুক আস্তে আস্তে আমার থেকে দূরে চলে যাক।হাল্কা পাতলা নাস্তাও করে নিয়ে বাসে চলে গেলাম এরপর বাস আবার চলতে লাগে এবার সোজা গন্তব্য গিয়েই থামবে।

বাসে সফর করতে কর‍তে করতে শেষ মেষ গন্তব্যে পোছেই গেলাম,আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখলাম ১১ঃ৩৭ বাজে।মোটামোটি জ্যাম ছিলো না তাই সময় কম লাগলো,আমরা বাস থেকে নেমে যাই এরপর একটা সিএনজি স্টেশনে গিয়ে দাড়াই,ভাগ্য ক্রমে একটা সিএনজি পেয়ে যাই,আর সেটা নিয়েই আমরা তানভিরের বাসার দিকে চলে যাই।বাসার সামনে নেমে ভাড়া মিটিয়ে দেই, দেখলাম তানভির উপস্থিত!সাথে সাথে হাজির

–কিরে মাম কি অবস্থা!(তানভির)

–এই তো দেখতেছিস না, কেমন আছি!(আমি)

–হুম তা তো দেখতেই পারতেছি,আর কিরে শয়তানি কি অবস্থা তোর!(তানভির)

–আমি ফুফির কাছে যাচ্ছি!(রিদিকা)

বলেই ডাইরেক্ট ব্যাগ নিয়ে ভিতরে চলে যায়!

–কিরে এই রেগে আছে কেন!(তানভির)

–জানি না ভাই,তবেশুন আব্বু আম্মু কি শুয়ে গেছে!(আমি)

–না তবে তারা তাদের রুমে,আচ্ছা ভিতরে চল,(তানভির)

–না দোস্ত,আমি একে দিতে আসছি,আর আমি এখানে থাকতে পারবো না, (আমি)

–যা সালা এতো রাতে কই থাকবি, চুপচাপ চল কেউই দেখবে না!সোজা আমার রুমে চলে যাবি!(তানভির)

–আরে লাগবে না আমার ব্যবস্থা আছে!(আমি)

–চুপ চলতো, বলছি তো কেউই দেখবে না! (তানভির),

বলেই আমার ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে নেয় আর আমাকে নিয়ে ভিতরে যেতে লাগে, আমিও ভিতরে ডুকে এক পলক আশে পাশে দেখে নিলাম,!

–দেখতে হবে আংলেক আন্টি রুমে, (তানভির)

এরপর হুট করেই আমি সোজা তানভিরের রুমে চলে যাই,

–থ্যাংক্স দোস্ত,তবে আজকের রাতটাই আছি আমি এখানে কাল চলে যাবো!(আমি)

–আচ্ছা দেখা যাক,এখন খাবার এখানে খাবি নাকি নিয়ে আসবো!(তানভির)

–ভাই ক্ষিদাই নাই আমার খাওয়া দাওয়া করছি, আমার শুধু ঘুমটাই প্রয়োজন, ব্যাস আর কিছু লাগবে না! (আমি)

–ঠিক আছে তাহলে ফ্রেস হয়ে শুয়ে পড়, চিন্তা করিস না এই রুমে কেউই আসবে না।আর আসলেও আগে দরজা নক করবে!আর আমি আম্মুকে সব বলছি তোর সাথে কি কি ঘটছে নাহলে আম্মুকে ম্যানেজ করাটা পসিবল হতো না। (তানভির)

–ঠিক আছে সমস্যা নেই,তবে আমি এখানে আছি যে সেটা আর কেউ না জানলেই হবে আর আব্বু আম্মু কানেও যেন না যায়!(আমি)

—অকে,(তানভির)

এরপর ফ্রেস হয়ে শুয়ে পড়লাম শরীর অনেক ক্লান্ত কারন জার্নি করছি,তাই শুতেই ঘুম চলে আসে।

সকাল বেলা

–মামা উঠ আর কতোক্ষন ঘুমাবি!নাস্তা নিয়ে আসছি তোর জন্য(তানভির)

–আচ্ছা উঠতেছি, (আমি)

এরপর উঠে গেলাম, উঠে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম আর তানভির রুমে নাস্তা আনে সেটাও খেয়ে নিলাম,

–বাকিরা নাস্তা করছে??আর আব্বু আম্মু কই(আমি)

–সকলে নাস্তা করছে, আর আংকেল আন্টি আছে, তারা বাসায় হল রুমে তাই তো তোর জন্য নাস্তা নিয়ে আসি!(তানভির)

–দোস্ত,যেভাবেই হোক আমাদের বাড়িটা আব্বু আম্মুর কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে আমাকে!আর মামা মামী ও সাইমনকে একটা উচিত শিক্ষা দেওয়া লাগবে। (আমি)

–হ্যা দোস্ত,তবে তার জন্য ভালো করে মাথা খাটাতে হবে ও তাদের দূবলতা দিক গুলো জানতে হবে! (তানভির)

–হ্যা ঠিক বলছিস, তবে তাদের দূবলতা দিক গুলো জানতে হলে তাদের কাছেই যেতে হবে,দোস্ত নাস্তা বের হবো তুমি আব্বু আম্মুকে হল রুম থেকে একটু সরা!(আমি)

–তুই নাস্তা শেষ কর, সব হয়ে যাবে(তানভির)

এরপর নাস্তা করে নিলাম আর বাহিরের যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিলাম আর আস্তে করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম দেখলাম তানভির আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলতে ব্যস্থা আর সেই সুযোগে আমিও বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলাম,বাহিরে গিয়ে দেখলাম এলাকায় পুলিশ চলা ফেরা করতেছে মানে মাক্স পড়ার জন্য সবাইকে বলতেছে তাই আমিও মাস্ক পড়ে নিলাম আর সেটা পড়েই আমাদের বাড়ির দিকে যেতে লাগলাম বাড়ির দিকে গিয়ে আড়ালা থেকে বাড়ির কাহিনী দেখতে লাগলাম,দেখলাম মামা টিভি দেখতেছে মামীও আছে, সুখ পালন করতেছে তারা, করুক। তাদের এই হারাম সুখে গ্রহন লাগাতে চলে আসছি আমি।শুধু সময় ও সুযোগের অপেক্ষা।কিছুক্ষন তাদের অবস্থা দেখে চলে আসলাম, কি করবো কিছুই বুঝতেছি না।তবে যে করেই হোক একটা বুদ্ধি বের করতে হবে। এলাকায় আসলাম তাই চিন্তা করলাম একটু ঘুরে ঘুরে দেখি,আমি এখন যেখানে আছি আমার কলেজ সেখান থেলে মাত্র ৫মিনিটে রাস্তা তাই আমিও চিন্তা করলাম একবার এই কলেজটাকেই দেখে আসি,আজ শুক্রবার তাই সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ মানে সপ্তাহিক ছুটি আমিও কলেজের দিকে গেলাম সেখানে গিয়ে কলেজটা কে দেখতে লাগলাম,বহু দিন পর এই কলেজের আঙ্গিনায় আসলাম।অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই কলেজে।কলেজটাকে দেখে অনেক কথা মনে পড়ে গেলো,কিছুক্ষন কলেজে থেকে চলে আসি আমার পছন্দে রেস্টুরেন্টে, রেস্টুরেন্টা আমার একটা জিনিসের জন্য ভালো লাগতো তা হলো এই রেস্টুরেন্টের কফি যা আমার অনেক ভালো লাগতো,আর বেশির ভাগই আমাদের কোনো ট্রিট কিংবা পাটি হলে এই রেস্টুরেন্ট থেকেই খাওয়া হতো, তাই আমিও রেস্টুরেন্টে বসে একটা কফি অডার করলাম,কফি অডার করে বসে আছি ঠিক তখনি একটা টেবিলে আমার চোখ গেলো,আর সেই টেবিলের দিকে তাকিয়ে প্রায় অবাক হয়ে গেলাম।

চলবে…………..
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর লাইক ও গল্প ভিত্তিক কমেন্ট করে পাশে থাকুন।সেয়ার করুন আর পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
পার্ট 14
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/399853755343214/
পার্ট 12
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/399853222009934/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here