অপরাধী পর্ব-১৮

0
1115

#অপরাধী
#লেখক_অন্তর
পর্ব_১৮
,
,
,
তানভির ও রূদয় থেকে বিদাই নিলাম ও তারা কলেজে ডুকলো আর আমিও অন্য রাস্তায় চলে গেলাম,তখনি আমার মোবাইলে একটা মেসেজ আসে, আর মেসেজটা দেখেই একটা শয়তানি হাসি দিলাম।

আমার মুখে হাসিটা আসার কারন হচ্ছে মুন্নি আমাকে মেসেজ করছে তাকে যে কাজটা দিছিলাম সেই কাজের জন্য,মানে মায়ার নাম্বার যোগার করে দেওয়ার জন্য,মেসেজটা ওপেন করলাম আর দেখলাম নাম্বার দেওয়া হইছে, তাই আমিও নাম্বারটা কপি করে নিয়ে মোবাইলে সেইভ করে নিলাম,আর মুন্নিকে রিপ্লাইয়ে থ্যাংকইউ পাঠিয়ে দিলাম।চিন্তা করলাম তানভির ও রূদয় নেই, এটাই একটা ভালো সুযোগ মায়ার সাথে কথা বলার,তবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তো আর কথা বলা যায় না, তাই আমি সোজা রূদয়ের বাড়িতে চলে যাই,এরপর রুমে গিয়ে মোবাইল হাতে নিলাম,আমি চিন্তা করলাম অপরিচিত হয়েই কল দিবো,এরপর প্রথমে এমনে এমনে কথা বলবো তারপর আস্তে আস্তে সাইমনের কথা জিজ্ঞেসা করবো,তবে এক মিনিট আগে এটা দেখি এই নাম্বারে কোনো What app বা imo আছে কিনা!তাই আমিও নেট চালু করলাম, আর যা সন্দেহ করলাম তাই হলো,এই নাম্বারে দুটোই আছে, যেহুতু আমার কাছেই দুইটা সিম একটা তে দুইটা account ই আছে, আর একটায় খালি ফেক account আছে ফেইসবুকে,তাই চিন্তা করলাম আমাকে অন্য নাম্বার থেকেই কল দেওয়া উচিত, এতে আমার account গুলো হাইড থাকবে, আমি চাই না আমার কোনো কিছুই সে জানুক,তাই আমি আগে আমার ২য় নাম্বার দিয়ে ইমোতে ও whats app এ একই নামে দুইটাতেই account খুলে ফেলি।আর নাম গুলো এমন দিলাম যেন বুঝতেই না পারে এই গুলো ফেইক account,নাম দিলাম রূদয় আহমেদ!তবে রূদয়কে উদ্দেশ্য করেই নামটা দি নাই,আমার নামের সাথেই মিল রেখে আর একটা নাম দিলাম,আর রূদয় মানেই অন্তর আবার অন্তর মানেই রূদয়!আর আহমেদ দিলাম আর কি খুশির ঠেলায়,আর এমন ছবি দিলাম যেখানে আমার পিছনের আংশই দেখা যাচ্ছে আর একটা তে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি দিলাম,ব্যাস, এরপর বাকি ডিটেলস দিয়ে পূরাপূরি Id গুলো রেডি করে নিলাম।এবার কল দেওয়ার মতো রেডি আমি,তবে আমাকে আমার কথার ধরনটা বা স্টাল চেঞ্জ করতে হবে, যেন আমি ধরা না খাই,আমাকে এমন ভাবেই কথা বলতে হবে যেন আমি সত্যি একজন স্ট্রেঞ্জার মানে ফুর্তিলা গলায় কথা বলতে হবে আমাকে।

এরপর নাম্বারটা ডাইল প্যাডে নিয়ে কল দিলাম।কল রিং হচ্ছে আর আমার রূৎপৃন্ডটাও ধক ধক করতেছেই।মানে এক প্রকার ভয় কাজ করতেছে আমার মধ্যে। এরই মধ্যেই কল রিসিব করলো!

–হ্যালো,আসসালামুয়ালাইকুম,জি কে বলছেন!(ছোট কন্ঠে)

আমি কন্ঠ শুনেই বুঝতে পারলাম এটা মায়া,অনেক দিন পরেই তার কন্ঠটা শুনতে পারলাম আমি।মায়ার কন্ঠটা শুনেই আমার মুখ পূরাই বন্ধ হয়ে গেলো মানে মুখ থেকে কথাই বের হচ্ছে না,পূরাই নিস্তব্দ হয়ে গেলাম।

–হ্যালো,জি কে বলছেন!(মায়া)

কথাটা শুনেই ভাবতে লাগলাম কিভাবে কথা বলবো!এতোক্ষন ধরে যে পরিকল্পনা গুলো করছিলাম সবই খেয়ে ফেলছি,কিছু মুহুত্ত পরেই মনে পড়লো কিভাবে কথা বলার কথাছিলো!তাই সেই পরিকল্পনা মাফিক শুরু করে দিলাম!

–হ্যালো আপু,ওয়ালাইকুমসালাম,কেমন আছেন!(একটু ফাইজলামি করে)

–জি, কে আপনি, আপনার পরিচয় দেন!(মায়া)

–আর রেএ আপু, আমি কে?আরে,,আমি আপনার শুভকাংখী হই আপু! (ফাইজলামি গলায়)

–দেখেন, ফাইজলামি বন্ধ করেন, সুন্দর করে বলেন কে আপনি, আর কি জন্য কল দিছেন বলেন, নাহলে আমি কল রাখলাম!(মায়া সিরিয়াস গলায়)

–আরে আরে আপু করেন কি,ঠিক আছে বলতেছি আমি কে,ও কেন কল দিছি!(আমি)

–বলেন(মায়া)

–আপু আমি কে সেটা নাহলে পরেই বলি তবে কেন কল দিছি সেটাই আগে বলি,আপনাকে আমি সাইমন ভাইয়ের সাথে দেখছিলাম, আপনারা তো বেশ ভালোই লুতু পুতু করছেন হা হা হা, কিন্তু আপু আপনি কি এটা জানেন,আপনার সেই বিএফ আপনার অনুপস্থিতে কি করে বেড়াচ্ছে, তার কি খোজ রাখেন (আমি)

দেখলাম মায়া একদমই চুপ হয়ে আছে, কোনো কথা বলছে না সে!

–হা হা হা, আপু আমি দেখলাম আপনার what app ও ইমোও আছে, এক কাজ করে what appটাই একটু ওপেন করেন দেখেন সেখানে রূদয় আহমেদ নামে কোনো Id থেকে কিছু আসছে কিনা, কষ্ট করে দেখেন,!(আমি)

বলেই কল কেটে দিলাম,মায়ার কথা বলতেছি বটে তবে আমার মনে মনে অনেক ভয় কাজ করতেছিলো আর মাথায়ও ঘাম চলে আসে এই নাটকটা করতে করতে।একটা সস্থির শ্বাস ফেলে এবার Whats app টা ওপেন করলাম, এরপর মায়ার account এ, নেহার সাথে সাইমনের যে ছবি গুলো তুলছিলাম সেগুলো পাঠালাম।

এরপর সেন্ট হতেই দেখলাম সে সিন করছে!তাই আমিও মেসেজ পাঠালাম!

–কি আপু,বিএফ কি করে না করে কোথায় যা বা না যায় একটু খোজ রাখা তো দরকার,দেখেন আপনার অনুপস্থিতে আপনার বিএফ রেস্টুরেন্টেও যায়,তবে পাশে আপিটা কে তা চিনি না শুধু হাতে ধরেই আছে সেই সিনটাই সেই লাগছে বলেই ছবি তুলে নিলাম!

কিন্তু মায়ার পাশ থেকে কোনো রিপ্লাই পেলাম না, হয়তো ঝাটকা সেই লেভেলের লাগছে তাই রিপ্লাই দিতেও পারতেছে না,

–কি আপু,কথা বলেন না কেন,কিছু তো বলেন,তবে আপু এটা দেখেই অবাক হলে তো হবে না,নাকি বিশ্বাস হচ্ছে না এই ছবিগুলোতে,ঠিক আছে climax to abi baki hai!ruko zara,sabar karo, koi dhakka mukki nehi karne ka, aram se ane ka aram se dekne ka,!(আমি)

এরপর রূদয় আমাকে যে ছবি গুলো দেখাইছিলো সেগুলো তো আমাকে whats app এ পাঠাই দিছিলো সে গুলোও দিলাম,+শেষে ভিডিওটাও!আসলে রূদয় গতকালকে সাইমনকে কোন একটা রেস্টুরেন্টে দেখে তবে সে একা ছিলো না, জোড়া পাখি ছিলো, তবে সাইমনের সাথে নেহা ছিলো না,অন্য একটা ছিলো,মানে সাইমন ট্রিপল গ্যাম খেলতেছে, কখনো মায়া, কখনো নেহা, আবার কখনো… জানি না এই মেয়েটাএ নাম কি,ভাইরে ভাই, আমি দোষ না করেই খারাপ আর সে এই সব করেই ভালো। তবে আমি এটা সিয়োর বলতে পারতেছি না সাইমন ট্রিপন গ্যাম খেলতেছে নাকি আরো আছে, তবে যাই হোক ধোকা তো দিচ্ছেই। আর গতকাল রূদয় সাইমনের এই কাহিনী দেখেই সাথে সাথে ছবি ক্লিক করে নেয়,ও সাথে ভিডিও করে নেয়,কারন অনেক সময় ছবি ফেক হলেও ভিডিও ফেইক হয় না।আর এই ছবি ও ভিডিও ক্লিপ দিয়েই নেহাকে সাইমনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবো।

সবই সেন্ট হলো ও সিনও হলো কিন্তু রিপ্লাই আসছে না,হয়তো এই সব দেখে তার আর কিছুই বলার ভাষায় নেই!তাই রিপ্লাই দিচ্ছে না।

–আমি জানি, এই সব দেখার পর আপনার কেমন অনুভূতি হচ্ছে,আমিও সেই ফিলিংক্সটা বুঝি, (আমি)

(কেন বুঝি তা তাকে আর প্রকাশ করলাম না,সে শুধু ছবি দেখেই তার মনে আঘাত লাগলো,যদি আমার মতো সরাসরি দেখতো তাহলে কেমন ফিল করতো সে,)

–আপনার উচিত ছিলো যাকে ভালোবাসেন তার সম্পকে একটু ধারনা নেওয়ার, সাথে তার হাভ ভাব দেখা,তার আচরন ও তার সম্পকে জানা,আপু শুধু ভালোবাসলেই হয় না ভালোবাসা কি তা বোঝাও দরকার!আর অপর পক্ষ আপনাকে ভালোবাসেই কিনা সেটাও জানা দরকার।দেখলেন অন্ধ ভালোবাসার ফল!আপনার অনুপস্থিতিকে সেও সুযোগ লাগিয়ে বেড়াচ্ছে।যাক বাদ দেই,আমি আপনার শুভো কাংখী হই তাই আপনাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটার রূপ দেখিয়ে দিলাম!সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান,আর এই সকল মানুষ গুলো থেকে দূরুত্ব বজায় রেখে এমন একজনকে বেছে নেন, যে আপনাকে বুঝবে ও ভালোবাসবে! (আমি)

এরপর টেক্সটা সেন্ট করে দিলাম,মনে করছিলাম শয়তানি করবো,এই সব নিয়ে মায়াকে এতোটাই কষ্ট দিবো যে কষ্ট আমি পাইছিলাম কিন্তু মন্টা বারবার আমাকে বাধা দেয়,এমনেও কেউকে কষ্ট দিতে পারি না আমি,শুধু নিজে কষ্ট পেতে পারি কিন্তু কেউকে আঘাত করতে পারি না কেন জানি,মানে মন বারবার আমাকে আটকায়!

দেখলাম মেসেজটা সেন্ট হলো ও সিন হলো,সাথে সাথে মায়া whats app এ ভিডিও কল করে বসে।

ইন্নালিল্লাহ, এবার কি করি,সে তো ডাইরেক্ট ভিডিও কল দিয়ে বসলো!অডিও কল দিলে সমস্যা ছিলো না,কিন্তু ডাইরেক্ট ভিডিও কল দিলো সে।আমিও কল কেটে দিলাম,আর মেসেজ করতে লাগলাম।

–আরে আপু ভিডিও কল দিচ্ছেন কেন!কিছু বলার থাকলে অডিও কলে বলেন,বা ভয়েস পাঠান বা টাইপ করেন,(আমি)

এরই মধ্যে আবারো ভিডিও কল আসে।আমি আবারো কেটে দিলাম!

–আরে আপু ভিডিও কল দিচ্ছেন আজব!(আমি)

আমার মেসেজ টা সিন হতেই এবার মায়া অডিও কল দিলো আর আমিও রিসিব করলাম!

–আরে আপু,ভিডিও কল দিচ্ছেন কেন,এভাবে ভিডিও কল যে দিচ্ছেন আমার হারামী বন্ধুরা দেখলে তো উল্টা পাল্টা কিছু ভেবে বসবে,(আমি)

–আমার আপনাকে কেন জানি দেখতে ইচ্ছা করতেছে,আর এই জানোয়ারের এই ছবি ভিডিও দিয়ে আর কোনোই লাভ নেই,এই জানোয়ারের বাচ্চার রূপ আমি অনেক আগেই দেখে ফেলছি!(মায়া)

–মানে,কি বলতেছেন আপনি আপু!(আমি)

–হ্যা এই জানোয়ারের বাচ্চার ছ্যাচড়ামি ভরা রূপটা আমি অনেক আগেই জেনে গেছি,এই জানোয়ারের বাচ্চার জন্য আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ন জিনিসটা হারিয়ে গেছে, এই জানোয়ারের বাচ্চার জন্য আমি একজনকে হারিয়ে ফেলছি, এই জানোয়ারের বাচ্চার মোহে পড়ে আমি সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষটার উপর অন্যায় করে তাকে দূরে ঠেলে দিলাম,আর আমি এটাও বুঝে গেছি আপনি মানুষটা আসলেই কে!(মায়া কান্না ভরা গলায়)

–আরে আজব কি বলতেছেন আপনি, আমি কে মানে!আপনি আমাকে চিনবেন কি করে!(আমি)

–অন্তর, আমাকে ক্ষমা দাও (মায়া)

বলেই কান্না ভেঙ্গে পড়ে, আমি মায়ার কান্নার আওয়াজ শুনতে পারছি,

–আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করছি এই জানোয়ারের মোহে পড়ে, (মায়া কান্না গলায়)

–আরে আজব, কে অন্তর, কাকে অন্তর ডাকতেছেন আপনি,আমার নাম দেখেন নাই!আমার প্রোফাইল চেক করে আসুন!তার পরে বলুন,কি উল্টা পাল্টা নামে আমাকে ডাকতেছেন আপনি!(আমি)

–আমি উল্টা পাল্টা না ঠিক জনকে ঠিক নামে ডাকতেছি,তোমাকে চেনা আমার জন্য বেপার না,নাটক বন্ধ করো বলতেছি,আমি জানি এটা তুমি!(মায়া)

বলেই আবারো কান্না শুরু করে দিলো!কিন্তু শিকার করতে চাই না,এটা আমি!আমাকে চেষ্টা করতেই হবে, ধরা না খাওয়ার কিন্তু বুঝলো করে এটা আমি!

–আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও!আমি তোমার ভালোবাসা বুঝতে পারি নাই!তোমার ভালোবাসা পেয়েও এক জানোয়ারের জন, তোমাকে অপমানের সাথে দূরে ঠেলে দিলাম, আর সেই জানোয়ারের নাটকটা কেই ভালোবাসা ভেবে নিলাম আমি,আর শেষমেষ তারও ফল পেয়ে গেলাম আমি!(মায়া কান্না জনিত কন্ঠে)

–দেখেন আপু, কোনো অন্তর টন্তর না,আমি আপনাকে ভালোর জন্য আপনার নাম্বার জোগার করে কল দিলাম, আমি আপনাকে সাইমন ভাইয়ের সাথে দেখছিলাম তাই আপনাকে সাইমন ভাইয়ের এই কুকিটকিরি গুলো ইনফর্ম করতে আপনার সাথে যোগাযোগ করলাম, তাই মানে এই না যে আপনি আমাকে অন্য একজন ভেবে বসবেন ঐ ব্যক্তিকে ইংগিত করে বিরক্ত করবেন!আমি জানতান না আপনাদের break up হয়ে, নাহলে আপনার সাথে যোগাযোগ করতাম না, যাই হোক,যেহুতু সব শেষ হয়েই গেছে, আমিও রেখে দিচ্ছি!(আমি)

–প্লিজ আল্লাহর দোহায় লাগে কল কাটবা না তুমি,আমার না তোমাকে খুবই প্রয়োজন!(মায়া কান্না জনিত কন্ঠে)

–ছি আপু,কি বলতেছেন এই সব,আমাকে প্রয়োজন মানে,আপু কি যা তা বলতেছেন আপনি!(আমি)

–অন্তর প্লিজ, আমি ভালো করেই জানি এটা তুমি,প্লিজ এই সব বন্ধ করো,আর নিজেকে লুকাইও না, তুমি ধরা খেয়ে গেছো অন্তর।(মায়া কান্না করা গলায়)

বুঝতে পারলাম আমি যা চাইছিলাম তা ফেইল হয়ে গেলো,ধরা খেয়ে গেছি,তবে বুঝলো কি করে এটা আমি,আমি আমার কথার ভঙ্গিমা চেঞ্জ করা কথা বললাম তারপরেও কেমনে ধরা খেলাম।

–অন্তর, আমাকে ক্ষমা করে দাও তুমি!(মায়া)

–আমার মতো ছেলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার তো কিছুই নেই,চিনলেন কি করে এটা আমি!(আমি)

–তোমার টাইপিং এর শেষের দিকে দেখে,কারন যেখানে লিখা ছিলো,!!সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান,আর এই সকল মানুষ গুলো থেকে দূরুত্ব বজায় রেখে এমন একজনকে বেছে নেন, যে আপনাকে বুঝবে ও ভালোবাসবে! এই রকম কথা গুলো আমাকে কেউ না একমাত্র তুমিই বলো এরপর কি করে বুঝবো না এতা যে তুমি,তোমার কথার প্যাটান গুলো আমার ভালো করেই জানা আছে।(মায়া কান্না কন্ঠে)

–তাহলে তো মনে হয় কল করাটা ভুলই হলো আমার!(আমি)

–ভুল না একদম ঠিকি হইছে!তোমার সাথে কথা বলার জন্য আমার মন ছটপট করতে লাগে!অন্তর আমাকে ক্ষমা করে আর একটা সুযোগ দাও তুমি!(মায়া কান্না জনিত কন্ঠে)

–সুযোগ,আচ্ছা যদি একজন মানুষকে মেরে যদি তাকে সরি বলা হয় কোনো ফায়দা আছে তাতে!নেই তো!ঠিক তেমনি আপনি একই কাজটা করছেন,আমার ফিলিংক্সকে মেরে ফেলছেন। তারপরেও ক্ষমা চাইছেন ক্ষমা করতে পারি কিন্তু ২য় বার আমার জীবনে আসার সেই সুযোগ টুকু আর পাবেন না!(আমি)

–অন্তর,আর একটা সুযোগ দাও আমাকে!(মায়া কান্না জনিত কন্ঠে)

–সুযোগের কথা বাদ দেন,হবে না,আয়না ভাঙ্গলে নতুন আয়না আনা যায়,কিন্তু কারো বিশ্বাস ও মন ভাঙ্গে তা জোড়া লাগানো যায় না।যেহুতু আপনার আর সাইমনের মধ্যে আর কিছুই নেই, তাহলে কথা বলারও মানে হয় না,আমি মূল্যত সতর্ক করার জন্য যোগাযোগ করছিলাম যেহুতু আপনারা আলাদা হয়েই গেছেন তাই আমারও আর কিছু বলার নেই!সময় থাকতে একটা ভালো ছেলে দেখে বিয়ে করে নিয়েন,খোদা হাফেজ!(আমি)

–অন্তর আমার কথা শুনো, তুমি,কল কাটিও…………….

কথা শেষ হওয়ার আগেই কল কেটে দিলাম,যা শুনার শুনে নিলাম আর যা বলার বলে দিলাম,বার্তি কথা বলার সেই ইচ্ছা টুকু আমার মধ্যে নেই!তবে একটা জিনিস শুনে খুশি হলাম সাইমনের সাথে মায়ার বাধন শেষ তাদের মধ্যে কিছুই নেই!whats app এ কল আসতেছে আমি সাথে সাথে সেই account log out করে দিলাম,আর ইমো account টা সরিয়ে আমার রিয়েল Id বসিয়ে দিলাম!আর সিমটা খুলে নিলাম।

মায়ার সাথে অনেকক্ষনই কথা হলো,জানি সে আমার সাথে কথা বলতে চাইছি, আবার আমার জীবনে ফিরে আসতে চাইছে, কিন্তু সে তো আমার ফিলিংক্স নিয়ে খেলছে তাকে কি করে সুযোগ দিতাম আমি।মনে তো তার জন্য একটা খটকা থেকেই গেলো!না এই সব বাদ দি,এখন আর এই সব নিয়ে মাথা কামিয়ে লাভ নেই,,

তাই সেই টপিক গুলো বাদ দিয়ে, দুপুর পর্যন্ত একটু রিলেক্স মুডে থাকলাম,

দুপুর বেলা

গোসল করে নিলাম প্রচুর গরম লাগতেছে, এরপর কি করবো, রান্নার কাজ শুরু করে দিলাম,দুইটা তো বাহিরে আমি যেহুতু বাসায় আছি তাই এটা করাটাই সাভাবিক,রান্নার কাজ করতে লাগলাম,তখমি দুই হারামী উপস্থিত,তবে তাদের বলা যাবে না যে আমি মায়ার সাথে কথা বলছি পরে নাহলে তারা আমার উপর ক্ষেপে যাবে, তাদের থেকে মায়ার সাথে কথা বলার বেপারটা লুকাতে হবে,

–কিরে কই কই গেছিলি!(রূদয়)

–নিটিউ মার্কেট,(আমি)

–কেন, নিউ মার্কেট কেন গেছিলি!(তানভির)

–সেখানের মানুষরে জিজ্ঞেসা করতে এই নিউ মার্কেট কবে পূরানো হইবো!(আমি)

–হারামী,তুই সুধরাবী না! (রূদয়)

এরপর আমি রান্নার কাজ করতে করতে এদের ফ্রেস হয়ে আসতে বলি, এরপর এরাও ফ্রেস হয়ে আসে, আর আমরা দুপুরের খাবারটাও সেরে নিলাম!এরপর রেষ্ট with adda বিকাল পর্যন্ত!

বিকাল বেল!

–মামুরা চল বেটা বাহিরে গিয়ে ঘুরমু!(রূদয়)

–ভাই মুড নাই!তোরা যা!(আমি)

–থাপ্পর দিমু বেটা চল,আজকে ঘুমমু চিল করবো!(তানভির)

–তোমার চিলের, মন মানসিকতা ঠিক নাই পোলা পাইন বলে ঘুরবো!(আমি)

–চুপ সালা ডাইলগ বাজি বন্ধ কর,যাবো মানে যাবোই,অন্তইরা উঠ বলতেছি!(তানভির)

–তানভিজ্জা ওডা,মাইর খাবি তুই!(আমি)

–ওই তানভির কি কইতেছিস, ডাইরেক্ট টান মেরে উঠা হারামীরে!হেতে যাইবো না মানে,হেতের বাপও যাইবো!(রূদয়)

এরপর আর কি টানা হিচরা করা আমার মতো নিরিহ ছেলেটাকে জোর লরে বাহিরে নিয়ে গেলো,এরপর আর কি বন্ধুদের নিয়ে বাহিরে বের হলে যা হয় আর কি,ঘুরা ফেরা মজা মাস্তি এই সবই আর কি! তবে আমার সেই সবে মন বসতেছে না, তারপরেও তাদের সাথে ছিলাম।

সন্ধ্যা বেলা

–মামা আজকে বার্গার খাওয়াবি!(রূদয়)

–বার্গার খাওয়াবি মানে,কথাটা কাকে বলছিস আসলে!(আমি)

–আমাদের মাঝে কে চাকরি করে, তারে বলা হইছে!তাই না রে রূদয়(তানভির)

–অবিয়াসলি!সালা কিপটামি করিস কেন,জাষ্ট বার্গারই তো চাইলাম!(রূদয়)

–ভাই তোরা যে খোরের খোর,বার্গার চাইছিস কিন্তু তোরাতো ডাইরেক্ট হাইলেভেলেরটাই খাবি তা আমার ভালো করেই জানা আছে,আর মাঝখানে আমি মারাটা খাবো!(আমি)

–এই তানভির লাগবো না বার্গার, সালা দেখতেছো না ইন্সাল্ট করতেছে! (রূদয়)

–আরে আরে জাষ্ট মজা করলাম ভাই!এটা সিরিয়াস নেওয়ার কি আছে! (আমি)

–তোর কি মনে হয়,আমি কি খাওয়া মিস করবো,আরে এটা জাষ্ট ইমোশনাল ব্লেকমেইল ছিলো!আর তুই যদি না খাওয়াতি না তোর ওয়ালিট কালকে ফাকা পাইতি!(রূদয়)

–ভাই সিরিয়াসলি তোর এক জিনিস,চল সালারা!(আমি)

এরপর আমরা একটা রেস্টুরেন্টে ডুকলাম, সেখানে গিয়ে একটা টেবিলে বসলাম,আর তানভিরকে বলি অডার করতে,সেও অডার দেয়,আমরাও বসে বসে আড্ডায় ব্যস্থ,তখনি রেস্টুরেন্টের গেট দিয়ে কয়েকজন মেয়েকে ভিতরে ডুকতে দেখলাম,তাদের মধ্যে দুজনকে দেখেই আমি অবাক হয়ে গেলাম।

চলবে…………..
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর লাইক ও গল্প ভিত্তিক কমেন্ট করে পাশে থাকুনসেয়ার করুন আর পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
পার্ট19
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/401124038549519/
পার্ট17
https://m.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/400525851942671/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here