অপরাধী পর্ব-১৯

0
1384

#অপরাধী
#লেখক_অন্তর
পর্ব_১৯
,
,
,
বসে বসে আড্ডায় ব্যস্থ,তখনি রেস্টুরেন্টের গেট দিয়ে কয়েকজন মেয়েকে ভিতরে ডুকতে দেখলাম,তাদের মধ্যে দুজনকে দেখেই আমি অবাক হয়ে গেলাম।

–তানভির রূদয়,ওই দিকে দেখ!(আমি)

আমার কথা শুনে তানভির ও রূদয় দরজার দিকে তাকায়,এবং অবাক হয়ে যায়।

–এই দুইটা!(তানভির)

–মামা এখানে সেটা ফেক্ট না, বরং ফেক্ট হচ্ছে এই দুইটা একত্রে কিভবে!(রূদয়)

মেয়ে দেখে আমরা অবাক হই নি, আমাদের অবাক হওয়ার কারন হচ্ছে সামনের মেয়েদের গ্রুপে দুইজন মেয়েকে একত্রে দেখে,আমরা কল্পনাও করতে পারি নাই এই জনকে একত্রে দেখবো।আর যে মেয়েগুলোর কথা বলার হচ্ছে তারা আর কেউই না এক হচ্ছে নেহা আর এক হচ্ছে রূদয় সাইমনের সাথে যে মেয়েটাকে দেখছে সেই মেয়েটা!সত্যি বেপারটা আমাকে অবাক করেই দিলো।

তাদের দুজনকেই একত্রে দেখে আমি অবাক না হয়ে পারলাম না।মেয়ে গুলো একত্রে একটা টেবিলে গিয়ে বসে।আর কথা বলতেছে, তবে নেহা আর ঐ মেয়েটা একে অপরের সাথে এতোটাই হাসিমুখে কথা বলতেছে মনে হয় তারা তাদের একে অপরকে ভালো করেই চিনে।মানে তাদের ভাব ভঙ্গিমা এটাই বুঝাচ্ছে।

–কিরে ভাই এই দুইটাই একত্রে কেমন ভাই!আমার চোখে বিশ্বাসই হচ্ছে না!মানে মনে করছিলাম নেহা আর মেয়েটা নিশ্চই অপরিচিত হবে তাই তাদের মুখো মুখি করার প্লেন করতেছিলাম আর দুজনের সামনেই সাইমনের এর পর্দা ফাস করতে চাইছি,কিন্তু দেখি দুইটাই আগের থেকে একত্রে।(আমি)

–যাক ভালোই দুইটাই একত্রে আছে, অন্তর তোর কাছে তো প্রুফ গুলো আছে, এখনি সুযোগ পাইছিস সুযোগটা লাগিয়ে কাজটা সেরে ফেল!(তানভির)

–কথাটা খারাপ বলিস নাই,বরং আমিও চাইছিলাম দুজনকে একত্রে করে তাদের সামনেই সাইমনের পর্দা ফাস করবো।(আমি)

–তো দেরি কিসের কাজটা করে ফেল,সুযোগ পাইছিস সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দে,সুযোগটা হাত ছাড়া করিস না!(রূদয়)

–ঠিক আছে তোরা বয়,আমি তাদের সাথে কথা বলে আসি!(আমি)

এরপর আমি তাদের কাছে যেতে লাগি,আর ভাবতে লাগি আমি যা ভেবে রাখছিলাম করবো বলে, আল্লাহ তা আমার জন্য করে দিলো, তিনি আমার কাজটাকে আরো সহজ করে দিলো!তোমার কাছে লাখ লাখ শুক্রিয়া,এখন শুধু যে পরিকল্পনা করতেছি তা জেন হয়ে যায়!তাহলেই হবে।

এরই মধ্যে আমি নেহাদের টেবিলের কাছে পোছে গেলাম!

–আরে নেহা আপু, আসসালামুয়ালাইকুম,কেমন আছেন!(আমি)

–ওয়ালাইকুমসালাম,আরে আপনি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো,আপনি কেমন আছেন!(নেহা)

–এই তো আপু,আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি,আপনারা এখন এখানে!আর পাশের আপুটা কে! আপনার বান্ধবী!(আমি)

–হ্যা আমার বান্ধবী, কেন! (নেহা)

–না আপু, আসলেই আপনাদের সাথে কিছু কথা ছিলো আমার(আমি)

–আমাদের সাথে কিসের কথা, আর আমাকে কি আপনি চিনেন(সেই মেয়েটা)

–আপু,একদিক দিয়ে চিনি আবার এক দিক দিয়ে চিনি না!(আমি)

–কথাটার মানে বুঝলাম না! (মেয়েটা)

–এক মিনিট, আপনি কি আবার আমাকে সেই লম্পট্টার কথা বলতে আসছেন (নেহা রেগে)

–আপু,আমি এখানে তানভিরকে জড়াচ্ছি না, আর তানভিরের কথা বললেও আপনারকে বলা যায়(মানে নেহা কে)কিন্তু এই আপুকে তানভিরের কথা বলে কোনো ফায়দা আছে!(আমি)

–তাহলে বলেন কি বলবেন!(মেয়েটা)

–আচ্ছা, আপুরা আপনাদের তো বিএফ আছে তাই না!(আমি)

–হ্যা সেটা তো জানেনই,(নেহা)

–এক।মিনিট আমার বিএফ আছে এটা আপনি কি করে জানেন!আপনি কি আমাকে ফলো করতেছেন নাকি!(মেয়েটা)

–না আপু,আমার ঐ অভ্যাস নেই যে কোনো মেয়েকে ফলো করা।(আমি)

–তাহলে জানলেন কি করে আমার বিএফ আছে!(মেয়েটা অবাক হয়ে)

–আপু সেটা বলা যাবে,তবে আপু আমাকে আগে এটা বলেন আপনারা দুজনের বিএফ কে কি দেখছেন!মানে নেহা আপুরটা আপনি বা আপনারটা নেহা আপু দেখছে বা তাদের নাম জানেন!(আমি)

–না দেখি নাই তবে দেখা করাবো!নাম এর কথা কি বলবো আমরা নাম জানি,আমাদের দুজনের বিএফ এর নাম একই!(নেহা)

–মানে দুজনের বিএফ এর নাম সাইমন!Am I Right!(আমি)

–হ্যা তবে আপনি কি করে জানেন!(মেয়েটা)

–আরে আপু বলবো বলবো একটু অপেক্ষা করেন,আচ্ছা আপনাদের একটা ছবি দেখাই আর আমাকে বলেন এটা কার বিএফ!বাকি আপুরা আপনারাও দেখেন, (আমি)

–ঠিক আছে দেখান! (নেহা ও মেয়েটা একত্রে)

এরপর আমার মোবাইল থেকে সাইমনের ছবিটা বের করলাম,তার ছবি দেখে একটা মুচকি হাসি দিলাম কারন এখন তার পর্দা পূরাপূরি ফাস হতে চলল।এরপর তাদের সামনে মোবাইলটা ধরলাম!

–তো বলেন এটা কার বি এফ! (আমি)

–আরে এটাই তো আমার সাইমন!(দুজনেই একত্রে বলে উঠলো!)

কথাটা শুনেই সেখানে থাকা বাকি মেয়ে গুলো সাথে নেহা ও মেয়েটা অবাক হয়ে গেলো আর তাদের অবস্থা দেখতেছি!

–মানে কি, এই মাওয়া কি বলতেছিস তুই!এটাই তো আমার সাইমন!তোর হলো কি করে!(নেহা)

এবার মেয়েটার নাম জানা গেলো,মেয়েটার নাম তাহলে মাওয়া!

–এই নেহা, তোর না আমার সাইমন(মাওয়া)

–আরে আরে আপুরা করেন কি,এখনো বুঝলেন না কাহিনীটা কি!নাকি এটা বলবেন এরা জমজ ভাই, কিন্তু আমার জানা মতে তারা দুই ভাই বটে তবে একটা হচ্ছে সাইমন আর একটা হচ্ছে ফয়সাল!কিন্তু তারা জমজ না! (আমি)

সাথে সাথে দুজনেই ধপ করে চেয়ারে বসে পড়লো!

–নেহা আপু, একটা কথা ঠিকই বলছেন আমি এক লম্পটের কথাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরতেছি,যাকে আপনারা ভালো চিনে আসছেন,দেখলেন যাকে আপনারা ভালোবাসেন তার আসল রূপ, সে একজনের অগোচরে আর একজনের সাথে লাইন মেরেই যাচ্ছিলো,এবার বুঝলেন কাকে আপনারা ভালোবাসছিলেন,(আমি)

–এই কুত্তার বাচ্চাকে আমি জেন্ত ছাড়বো না!এতো বড় বিশ্বাস ঘাতকতা করলো সে!(মাওয়া)

–আরে আপু, গালি দিছেন কেন,নাকি আপনাদের মাঝে কিছু হইছিলো!(আমি)

–না ঐ লম্পটের সাথে আমার কিছুই হয়নি,তবে কার ঘুরঘুর দেখে বুজাই যাচ্ছিলো সে আমার সাথে কিছু করতে চাইছিলো, কিন্তু এখন তার পর্দা ফাস হয়ে গেলো!(মাওয়া)

–আমাকে একবার তো বলছিলো রুম ডেট করার কথা, কিন্তু আমি ডাইরেক্ট না করে দিছি বলছি বিয়ের আগে এই সব কিছুই করবো না,(নেহা)

–তবে জানোয়ারের বাচ্চাটা ভালোবাসার কথা বলে বলে আমার থেকে অনেক টাকা নিছে! (মাওয়া)

–মানে তোর থেকেও টাকা নিয়ে বেড়াইছে সে!(নেহা)

–মানে আপনার থেকেও টাকা নিছে!বাহ বেশ ভালোই তো আপনাদের প্রেমিক, রুম ডেট করতে পারে না নাই বলে অন্তত টাকাটা আদায় করে নিলো! (আমি)

–এই জানোয়ার বাচ্চাকে আমি ছাড়বো না একে আমি পুলিশে দিতে এমন মাইর খাওয়া বো না জন্মের শিক্ষা দিয়ে ছাড়বো এটাকে!(মাওয়া)

–আমি আমার বাবাকে বলে এর হাত পা ভাঙ্গিয়ে তাকে খাটে যদি শুইয়ে না দিছি আমার নামও নেহা চোধুরি না!(নেহা রেগে)

–আপুরা আপনারা শান্ত হোন,এখন এমনটা করিয়েন না প্লিজ!(আমি)

–আপনি আমাদেরকে এই লম্পটের আসল রূপটা দেখিয়ে দিলেন, আমাদের চোখের ধুলা মুছে দিলেন,কিন্তু এর আসল রূপ দেখিয়ে আপনার কি লাভ হলো!তার সাথে আপনার কি কোনো দন্ধ আছে!(মাওয়া)

–জি আপু,আমারও দন্ধ আছে তবে শুধু সাইমনের সাথে না,বরং সাইমন ও তার মা বাবার সাথেও! (আমি)

–আমি কিছুটা ধারনা করছিলাম, আপনার সাথেও এই শয়তানটার কিছু একটা তো আছে, নাহলে কেউ এমনে এমনে কারো সাহায্য করে না!(মাওয়া)

–না আপু,এটা আপনার ভুল ধারনা, যদি সাইমনের সাথে আমার কোনো দন্ধ না থাকতো তারপরেও যদি সে এমনটা করে বেড়াতো তাহলেও আমি তাকে ছাড় দিতাম না,কারন আমি মানুষকে রিস্পেক্ট করি,বিশেষ করে মেয়েদের।আর আমি চাই না কোনো মেয়ের সাথে খারাপ কিছু ঘটুক,কারন আমার নিজেরও বোন আছে!(আমি)

–ঠিক আছে এখন কিছুই করবো না,তবে এটা জানতে পারি আপনার সাথে এই শয়তানও তার মা বাবার সাথে কি দন্ধ আছে!(নেহা)

–সেটা বলতেছি, এই যে শয়তানটার সত্যিটা প্রকাশ করলাম সে আমার আপন মামাতো ভাই হয়!(আমি)

–কিহহহ,আপনার cousin হয় সাইমন!(মাওয়া)

–কি বলেন আপনি,আপনি ওর ফুফাতো ভাই! (নেহা)

–জী আপু,আমি ওর ফুফাতো ভাই,সাইমনের বাবা মা আমার আপন মামা মামী হয়,কিন্তু তারা আমাদের সাথে একটা জঘন্য কাজ করছে যার জন্য তাদের আমি ঘৃনা করি,(আমি)

এরপর আমি মামা মামী ও সাইমন মিলে যে আমাদের বাড়িটা হাতিয়ে নেয়,তা বলি!

–আপু, আমার আম্মু আব্বুর একমাত্র আশ্রয় ছিলো আমাদের বাড়িটা কিন্তু মামা মামী চালাকি করে সাইমনকে দিয়ে আমাদের বাড়িটা হাতিয়ে নেয়,আর আম্মু আব্বুকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়!অথচ আম্মু মামাকে সব সময় বিশ্বাস করতো একমাত্র ছোট ভাই বলে ভালোবাসার কমতি রাখে নি, কিন্তু মামা মামী আমাদের দুচোখেই দেখতে পারতো না আম্মু জোর করেই আমাকে তাদের কাছে পাঠাতো!আর তাদের কাছে গেলেই তারাও আমাকে বিভিন্ন ভাবে অপমান করে বেড়াতো তাই আমিও তাদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দি,তাদের সাথে যোগাযোগও অফ করে দি,আর আম্মুকেও এই সব নিয়ে কিছু বলি নাই!কিন্তু সাইমন আমাদের বাড়িতে আসতো থাকতো আম্মু তাকে নিজের ছেলের মতোই আর আমিও তাকে ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েই আমাদের কাছেই রাখতাম,কিন্তুএটা জানতাম না যে কেন সে আমাদের বাড়িতে আসলেই এসে থাকে!আমি বাড়ি থেকে যাওয় পর আমার ফ্রেন্ড আমাকে কল দিয়ে মামা মামী যে আমাদের বাড়িটা হাতিয়ে নেই সেই ঘটনাটা বলে তাই আমি এলাকায় আসি!নাহলে আমি এই এলাকায় আসতাম না!! (আমি)

–কেন এলাকায় আসতেন না!(নেহা)

–সেটা না বললেই ভালো, শুধু এতোটুকু জেনে নেন,এরই মধ্যেও সাইমন আছে!এখন আপুরা আমাকে কি আমাদের বাড়িটা মামা মামীর হাত থেকে নেওয়ার জন্য সাহায্য করবেন!(আমি)

–ঐযে লোকে বলে না, বৃক্ষ তোমার কি নাম ফলে তোমার পরিচয়,সাইমন ও তার ফেমেলিরও একই অবস্থা,যেখানে গাছটাই যদি ভালো না হয় সেখানে ফল কিভাবে ভালো আসা করা যায়!চিন্তা করবেন না, কেউ আপনার পাশে থাকুক আর না থাকুক আমি আছি!কারন আপনার দ্বারাই এটার থেকে প্রতিশোধ নিতে পারবো!(নেহা)

–আমিও আছি আপনার সাথে আছি,আপনি শুধু বলেন কি কি করতে হবে আমাদের, আমরাও সেটাই করবো,এখানে আপনাকে আপনার হক টুকু পাইয়ে দিবো এরপর এই সাইমনের ব্যবস্থা নিবো!(মাওয়া)

–থ্যাংইউ আপুরা!! (আমি)

–by the way!আপনার নামটাই তো জানা হলো না,!(মাওয়া)

–জী আমার নাম অন্তর!(আমি)

–আচ্ছা আপনি কি পড়াশুনা করেন!(মাওয়া)

–আগে করতাম আমি এখন যদি পড়া শুনা করতাম তাহলে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে থাকতাম!মানে তানভিরকে সাথে নেহা আপু আপনি তো চিনেন তানভিরকে।তবে পরিস্থিতির কারনে এখন জব করি!(আমি)

–মানে আমাদের থেকে এক বছর বড় আপনি,তাহলে আমাদের নাম ধরেই ডাকুন!(মাওয়া)

–সমস্যা নেই,আমি ছোট বড় সকল মেয়েদের আপু বলেই ডাকতে পারি আমার তাতে কোনো অসুবিধা নেই!(আমি)

–ঠিক আছে আপনি যা ভালো মনে করেন!এখন আমাদের কি করা উচিত! (মাওয়া)

–আপনাদের তার সাথে ভালোবাসার নাটকটা করেই যেতে হবে, তাকে বুঝতে দিবেন না যে আপনারা তার সত্যিটা জেনে গেছেন!তারপর শুনেন কি করবেন(আমি)

এরপর তাদের বুদ্ধি দিয়ে দিলাম কিভাবে কি কি করতে হবে!

–ঠিক আছে আপনি যেমনটা বলছেন আমরা তেমনটাই করবো!(নেহা)

–থ্যাংইউ আপুরা, তবে নেহা আপু আপনাকে একটা কথা বলতে চাই!তানভিরকে নিয়ে আপনার মনে যে ধারনাটা আছে তা ভুল আছে,আপু আজ আমি এখানে আপনাদের সামনে এভাবে দাড়িয়ে আছি তার একমাত্র কারনও সে, তার জন্যই আমি টিকে আছি নাহলে কবেই ঝড়ে পড়তাম,তানভিরকে যেমনটা ভাবছেন আপনি তেমন্টা নয় সে,আর যেহুতু আপনাকে বলছেই আপনাকে আর বিরক্ত করবে না তাই সে আর আপনার সামনেও আসবে না,সেটা নিয়ে আপনি একদমই নিশ্চিন্তে থাকুম!আর নেহা আপু ও মাওয়া আপু আপনাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনার ফোন নাম্বার কি দিতে পারবেন! (আমি)

–হ্যা !(মাওয়া ও নেহা একত্রে)

এরপর মাওয়া ও নেহা থেকে নাম্বার নিয়ে নিলাম!ও আমার নাম্বারটা দিলাম,

–তাহলে আপু আমি যাই,আর আপনাদের যেমন্টা বলছি তেমনটাই করবেন!আর যদি সমস্যা হয় আমার সাথে যোগাযোগ করবেন!ভালো থাকবেন!আসসালামুয়ালাইকুম!(আমি)

এরপর আমি নেহা ও মাওয়াদের থেকে সরে গিয়ে তানভির ও রূদয় এর কাছে চলে যাই!

–কিরে মামা! হইছে!(রূদয়)

–একদম সবই ফিট করে আসছি,ও বুঝিয়ে আসছি কিভাবে কি করতে হবে বাকিটা নেহা ও মাওয়াই করবে,(আমি)

–এই মাওয়াটা কেরে!(তানভির)

–রূদয়, সাইমনের সাথে যার ছবি ও ভিডিও করে আনছে সেই মাওয়া, চিন্তা করছিলাম রূদয়ের ছবি গুলো কাজে লাগিয়ে নেহাকে আগে বসে আনবো পরে মাওয়াকে কিন্তু দুজনেক একত্রে পেয়ে গেলাম তাই ছবি গুলো আর লাগে নাই,তার মানে এই না যে ফিউচারে লাগবে না,সাইমন যে লম্পট সে যেহুতু একত্রে নেহা ও মাওয়াকে নিজের জালে ফাসিয়ে রাখছে যদি আবার অন্য কোনো মেয়েকেও ফাসিয়ে রাখে তখন এই ছবি ও ভিডিও গুলো দেখিয়েই সেই মেয়েকে সাইমনের আসল রূপ দেখানো যাবে!(আমি)

–হুম,সালা একটা জিনিস,তবে মাইর উরাধুরা খাবে, আর আমি সুযোগ পাইলে হইবো সালারে উরাধুরা দিমু! (রূদয়)

–বাদ দে, কিরে তোরা বার্গার খাস নাই কেন!(আমি)

–ধুর বেটা তুই নাই, খাবো কি করে, একত্রে খেয়েই সেই মজা লাগে,তাই আমি আর রূদয় বসে আছি তোর জন্য (তানভির)

–ওকে তাহলে শুরু করে দে!(আমি)

এরপর আমরা আমাদের বার্গার শেষ করলাম,তারপর আবার চা ও আছে, সেটা কি মিস হবে নাকি,চা খোর দের চা খাওয়ার মিস হয় না, তারপর নাস্তা শেষ করে বিল দিয়ে আমরা চলে আসি!তবে মাওয়া ও নেহাদের টেবিলে এক নজর দেখি তারা কোনো মতে আছে আরকি সেখানে!

এরপর আমরা ডাইরেক্ট বাড়িতে চলে যাই,

রাতের বেলা,

–কিরে তানভির সালা কই রে!(আমি)

–এতে কি জন্য বাহিরে গেছে! (রূদয়)

এরই মধ্যে তানভির উপস্থিত, দেখলাম সে কিছু প্যাকেট ও একটা কোক নিয়ে আসছে!

–আব্বে এই সব কি!কোক আর প্যাকেটে কি!(আমি)

–মামা আজকে আবার বিরিয়ানি খাইতে ইচ্ছা করতেছিলো তাই নিয়ে আসলাম!(তানভির)

–সালা তাহলে রান্নার কি হবে!(আমি)

–আগে এটা বল রান্না করছে কেডা!আজকে রান্না হয় নাই মামা!তোকে এই জন্যই তো বললাম রান্না না করতে, (রূদয়)

–সালা আমি আরো মনে করছিলাম তুই রান্না করে ফেলছিস তাই আমাকে বারন করলি!ধুর বেটা!(আমি)

–রান্না কথা বাদ দে,এখন বিরিয়ানি পাটি হব্বে মামারা!(রূদয়)

এরপর আর কি তানভির থেকে প্যাকেট গুলো নিয়ে রূদয় বিরিয়ানি বের করে চুলায় একটু ভাপ দিয়ে আনলো এরপর খাওয়া হয় উরাধুরা।মনের মধ্যে একটু সস্থি কাজ করতে লাগলো! তাই একটু নিশ্চিন্তে আছি তবে পূরাপূরি ভাবে না,

খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিলাম,চিন্তা করলাম একটু বাহিরে হেটে আসবো কেন জানি আজকে হাটতে মন চাচ্ছে, তাই ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখলাম ১১ঃ০০ বাজে।

–কিরে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে কি দেখিস! (তানভির)

–না, চিন্তা করতেছি একটু হাটতে বের হবো!(আমি)

–এতো রাতে মাথা ঠিক আছে তোর!(তানভির)

–আরে ভাই ইচ্ছা করতেছে! (আমি)

–তাহলে তুই গিয়ে ঘুরে আয়,আমি যাবো না হাটার মতো অবস্থা নেই আমার!(তানভির)

–আমারও (রূদয়)

–সালারা খাওয়া দাওয়ার পরে একটু হাটা দরকার আর তোরা,যাইহোক আমি গেলাম একটু হেটে আসি!(আমি)

–ঠিক আছে যা সাবধানে যাইস,আর মোবাইল অবশ্যই নিবি!(তানভির)

এরপর।আমিও বাহিরে বের হলাম হাটার জন্য,আসলে হঠাৎ করেই হাটতে মন চাচ্ছিলো তাই হাটতে লাগলাম হাটতে হাটতে একটা রাস্তার দিকে চলে যাই,যেখানে লেম্পপোষ্টের আলোয়ে ভয়ে আছে পূরা রাস্তা জূড়ে,বেশ ভালোই লাগতেছে একাকি হাটতে, তবে কিছু কথা মনেও পড়তেছে, কিছু ইচ্ছা আর কি!যা পূরন হওয়ার চান্স নেই!রাস্তায় হাটতে হাটতে চলে গেলাম গাড়ি চলাচল করার রাস্তায়!সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,এক লোককে দেখলাম রাস্তা পার হচ্ছে তবে দূরে থাকার কারনে তার চেহারাটা দেখলাম না, তখনি হুট করে কই থেকে একটা গাড়ি এসেই লোকটাকে মেরে দেয়,আর লোকটাও সাথে সাথে রাস্তায় ছিটকে পড়ে, ঘটনাটা বলতে গেলে আমার সামনেই ঘটলো!সাথে সাথে আমি সেই লোকের দিকে ছুটে যাই,সেখানে আরো মানুষছিলো তারাও সেই এক্সিডেন্ট স্পর্টে চলে যায়,যে গাড়ি দ্বারা এক্সিডেন্টটা হয় সেই গাড়ির ড্রাইবারকে সেখানের লোকে গাড়ি থেকে বের করে ধরে।আমিও গিয়ে ডাইরেক্ট সেই এক্সিডেন্ট করা লোকটার কাছে গেলাম,দেখলাম সে উল্টা হয়ে পড়ে আছে আর রক্ত বের হয়েই যাচ্ছে, আমি ও সেখানে থাকা কয়েকজন মিলে লোকটাকে হস্পিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে লাগি,তবে লোকটাকে উল্টা অবস্থা থেকে যখনি সোজাসোজি করে তখনি তার চেহারা দেখি, তার চেহারা দেখেই আমি টাস্কি খেয়ে যাই।

চলবে…………..
ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর লাইক ও গল্প ভিত্তিক কমেন্ট করে পাশে থাকুন।সেয়ার করুন আর পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
পার্ট 20
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/401124235216166/
পার্ট18
https://www.facebook.com/groups/315195763809014/permalink/401123761882880/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here