অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)part:21
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤
.
.
🍁
.
ছাদে দাঁড়িয়ে আছে রিয়া।।আজকের আকাশটা ঘন নীল।।আকাশটাও যেনো রিয়ার শাড়ির আচঁলের রঙে রাঙাতে চাইছে নিজেকে।।রিয়া রেলিং এ ভর দিয়ে ওই দূরের ঝাপসা হয়ে আসা পাহাড়গুলোকে দেখছে।।ঘন নীলের সাগরে ডুবন্ত একগুচ্ছ সবুজ পুঞ্জিকার মতো লাগছে ওগুলো।।অদ্ভুত সুন্দর।একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুখের একপাশে পরে থাকা চুলগুলোকে কানের পাশে গুঁজে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই কানে এলো ফাহিমের কন্ঠ।।চমকে উঠে পেছনে তাকাতেই চোখে পড়লো সেই মারাত্মক হাসিটা।।
.
কি ম্যাডাম?এভাবে পালিয়ে এসে দুদিন যাবৎ যে আমায় এতো এতো কষ্ট দিলে তার জন্য কি পানিশমেন্ট দেওয়া যায় বলো তো??
.
আআআপনি এখানে হঠাৎ?
.
হঠাৎ কই?তুমি এখানে সো আমায় তো আসতেই হতো।।তবে আজ একা আসি নি। বাবা- মা কে সহ এনেছি আমার পিচ্চিটাকে নিজের করে নেওয়ার আয়োজন করতে।।(রিয়ার নাকটা টেনে,মুচকি হেসে)
.
ওহ…কিন্তু আমি তো বিয়েটা করছি না(অন্যদিকে তাকিয়ে)
.
মানে??
.
মানেটা পরিষ্কার আমি আপনাকে বিয়েটা করছি না।।
.
ফাজলামো করছো??প্লিজ পিচ্চি এখন রোমান্সের মুডে আছি এসব ফাজলামো পরে করবো।।এবার এদিকে আসো।(হাতে হালকা টান দিয়ে)
.
স্যার?আমি ফাজলামো করছি না আম সিরিয়াস….
.
কিন্তু কেন??(ভ্রু কুঁচকে)
.
দেখুন..আমি চিন্তা করে দেখলাম,, অনেক ভেবেই এই ডিসিশান নিয়েছি।।এই বিয়ে হলে আমরা কেউই হেপি থাকতে পারবো না সো বিয়ে না করাটাই বেটার।
.
ওহ…তাই??তো এটা মনে হওয়ার কারন??(দাঁতে দাঁত চেপে)
.
দেখুন আপনি আমার বেস্ট অপশন বাট আমি আপনার বেস্ট অপশন নই।সো…
.
সো কি হ্যা??সো কি??
.
কথাটা বলেই পাশের ফুলের টপে লাথি দিয়ে উল্টে ফেলে রিয়াকে রেলিঙের সাথে চেপে ধরলো ফাহিম।।
.
ভালোবাসি ভালোবাসি এই সিম্পল কথাটা বুঝিস না তুই??সমস্যা কি তোর??হ্যা??ওলওয়েজ বাচ্চামো,,ভালো লাগে না রিয়া।।এটা লাইফ কোনো ড্রামা না আর আমি একটা মানুষ কোনো পুতুল নই।।আমার মধ্যেও ইমোশন আছে ডেমেড।।(চিৎকার করে)
.
ফাহিমের চিৎকারে ভয়ে হালকা কেঁপে উঠলো রিয়া।।ফাহিমকে এমন রাগতে সেদিন রেলস্টেশনে দেখেছিলো তারপর আর কখনো না।।রিয়ার মুখটা আতংকে পাঙশুটে হয়ে গেছে।।ফাহিম মুখ দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে,,শান্ত দৃষ্টিতে বলে উঠলো…
.
ওকে ফাইন।।তুমি না করতে চাইলে ইটস ওকে।।জোড় করবো না।এক্চুয়েলি তুমি আমায় বিয়ে করলে কি করলে না তাতে আমার বিন্দু মাত্র যায় আসে না।।সো তুমি বিয়ে না করলেও আমার কোনো সমস্যা নেই।
.
এ্যা??(অবাক হয়ে)
.
এ্যা নয় হ্যা।।তুমি আমার কাছে থাকা না থাকাটা ম্যাটার করে বিয়ে করাটা নয়।।তুমি আমায় বিয়ে করলেও তোমায় আমার সাথে থাকতে হবে।।আর বিয়েটা না করলেও তোমাকে আমার সাথেই থাকতে হবে।।বিয়ে করলে থাকাটা বৈধ আর না করলে অবৈধ,,এইতো??এতে আমার কোনো প্রবলেম নেই।।আমি তো আরো বাঁধামুক্ত হলাম।।তোমাকে আজই নিয়ে যেতে পারবো।।তারপর একরুমে…
.
কথাটা বলেই রিয়ার গালে স্লাইড করতে লাগলো ফাহিম।।ফাহিমের হঠাৎ এমন অদ্ভুত আচরন রিয়ার বোধগম্য হচ্ছে না।।শেষমেষ ফাহিমও আয়ানের মতো…ছি ছি…
.
#চলবে🍁
(পরেরটুকু ১২ টার পর দিবো)
#অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤
#part:extra part
.
.
🍁
.
এই এএএই হাত সড়ান।।আআপনি এমন ভভভাবে কথা বলছেন কককেন??
.
কিভাবে কথা বলছি সোনা?(বাঁকা হেসে)
.
আআয়ান ভাইয়ার মতো।
.
কথাটা শুনেই ভ্রু কুচঁকে তাকালো ফাহিম।আয়ান ভাইয়ের মতো মানে??আয়ান রিয়ার সাথেও ফ্লার্টিং করেছে নাকি??এমনটা তো হওয়ার কথা নয়।।আয়ান রিয়ার সাথে নো ইম্পসিবল!!
.
আয়ানের মতো মানে?? ও তোমার সাথে কিছু করেছে নাকি??
.
কি করবে?(ভ্রু কুঁচকে) এমা না না,,আমার সাথে ওসব ফ্লার্টিং টার্টিং করে নি।।ওইযে আদ্রিতার আকিকার সময় ছাদে দেখেছিলাম অদিতি আপুর সাথে এভাবে কথা বলতে।।তাই বললাম(মাথা নিচু করে)
.
ওহ্…তাহলে ঠিক আছে।। তখন দেখেছো এখন ফিল করবে সব এক্সপেরিয়েন্সও হয়ে যাবে কি বলো?রেডি তো??(বাঁকা হেসে)
.
দদেখুন সরুন আমার উপর থেকে।।এভাবে কককাছে আসবেন না।আমি নিচে গিয়ে বলে দিচ্ছি আমি বিয়েটা করছি না ব্যস।।আআর আপনার সাথেও যাচ্ছি না।কিছুতেই না।
.
কথাটা বলে ফাহিমকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই ফাহিমের হাতে আটকা পড়লো রিয়া।ফাহিম আবারও একই ভাবে চেপে ধরে মুচকি হেসে বলে উঠলো…
.
আচ্ছা বলো তো হঠাৎ তোমার মাথায় বিয়ে না করার ভূত কেন ঢুকলো??
.
এটা ভভূত নয় রাইট ডিসিশান।।ছছাড়ুন আমায়।
.
ওকে ফাহিন।তো তোমার এই রাইট ডিসিশানের রাইট রিজন টাই বলো।আই ওয়ান্ট টু নো।
.
দদেখুন,,
.
হুমম অনেকক্ষণ ধরেই দেখছি।।আর গভীরে গিয়ে দেখতে বলো না তাহলে কাহিনী হয়ে যেতে পারে(বাঁকা হেসে)
.
মমমানে??
.
নাথিং বলো কি বলছিলে?
.
আপনি আমার জন্য বেস্ট অপশন।বাট আমি আপনার জন্য নই।।একবছর ৩ মাস ১২ দিন যাবৎ ভালোবাসি আপনাকে।।কিন্তু সেই ভালোবাসা আপনাকে ছুঁতে পারে নি।।ছুঁয়েছে আপনাকে নিয়ে আমার করা পাগলামো গুলো।।সেগুলো দেখেই হয়তো করুনা বশত ভালোবাসেন আমায়।।আমার থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়ে আছে ভার্সিটিতে তাদের অনেকেই আপনার জন্য পাগল।।কদিন পর যে ওদের পাগলামো তে সাড়া দিবেন না তার কি গ্যারেন্টি আছে?
.
রিয়ার লাস্টের কথাটায় ফাহিমের মাথায় রক্ত উঠে গেলো।।রিয়া ওর উপর এতটুকু বিশ্বাস রাখতে পারে না??এইটুকু বিশ্বাসের যোগ্য কি সে নয়?
.
তাই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি,,আপনাকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।(মাথা নিচু করে)মার পছন্দের সাজিদকেই বিয়ে করবো আমি।
.
আর আমি??(শান্ত দৃষ্টিতে)
.
মমানে??
.
আমাকে কি তোমার বলদ মনে হয়?এতো ইজি?তুমি বলবা সাজিদকে বিয়ে করবো আর আমি নাচতে নাচতে রাজি হয়ে যাবো??(হালকা হেসে)লুক রিয়া তুমি আমার বেড সাইডটা না জেনে আমায় ভালোবেসেছো।।বাট আনফরচুনেটলি আমার বেড সাইডটাও তোমার সাথে জড়িয়ে গেছে ব্যাপকভাবে ।।আমি কোনো বাচ্চা নই রিয়া যে জেদের বসে কিছু চাইবো আর না পেলে কান্নাকাটি করে জেদটা ভুলে যাবো।। দি ফাহিম আহমেদ কখনো নিজের সাথে কমপ্রোমাইজ করে না,,নেভার।।নিজের জিনিসটা না পেলে ছিনিয়ে নিতে জানে সে।তুমি যতোটা শান্ত,ভদ্র আমায় ভাবো আমি ততটা নই।।তুমি এখন চাইলেও আমার থেকে দূরে যেতে পারবে না,,একচুল পরিমানও না।।তোমার কাছে জাস্ট একটা অপশনই আছে আর সেটা হলো আমার কাছে আসা।।আর বাকিসব অপশন ভ্যানিশ।।আর দূরে যাওয়ার কথা??হাহাহা ভেবোও না,, লাভ নেই।। আমি যেতে দিবো না…..সো বেবি?(গালে স্লাইড করতে করতে) ওই সাজিদকে বিয়ে করবা এই স্বপ্ন দেখা বন্ধ করো ।নয়তো ব্যাপারটা কতোটা বাজে হতে পারে সেটা তুমি চিন্তাও করতে পারছো না।
.
ফাহিমের কথায় রিয়ার প্রচুর ভয় হচ্ছে।।গলাটা শুকিয়ে আসছে বারবার।।ফাহিমের বলা প্রতিটি কথায় যে সত্য তা বুঝতে পারছে রিয়া।।তবু একরাশ সাহস নিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলো সে।।
.
দদেখুন,ছছাড়ুন বলছি।আপনি আমায় ভয় দেখালেও আমি ভয় পাচ্ছি না।।আমি কিছুতেই আপনাকে বিয়ে করছি না।।এতোগুলো মেয়ে আপনাকে ভালোবাসে,আমার মতো রিয়া তো আপনার অভাব হবে না।।তাহলে শুধু শুধু আমিই কককেন?
.
ফাহিমের রাগ এবার কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে।।এতোকিছু বুঝানোর পরও এই মেয়ে তার জায়গায় অবিচল।।আর বাকিসব মেয়ের সাথে সে নিজেকে তুলনা করছে??ফাহিমের ভালোবাসার কি কোনো মূল্য নেই নাকি??অনেক চেষ্টা করেও নিজের রাগ দমাতে ব্যর্থ হয়ে রিয়ার গাল চেপে ধরলো ফাহিম….
.
কিহ? এতোগুলো মেয়ে ওতোগুলো মেয়ে।।কি শুরু করেছো তুমি??লাইফের এই আটাশটা বছর কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাইনি পর্যন্ত আর আজ যখন কেউ একজন চোখে পড়লো সে আমায় বানরের মতো নাচাচ্ছে,,আর আমি নাচছিও ভালোবাসি বলে কথা।।কিন্তু তার কি সে চিন্তা আছে??আরে…যদি অন্য মেয়েদের প্রতিই ইন্টারেস্টেট হতাম তাহলে এতোদিনে আয়ানের মতো প্লে বয় উপাধি পেয়ে যেতাম।।পাঁচ বছর যাবৎ এই ভার্সিটির টিচার আমি,, কখনও কারও দিকে অন্য নজরে তাকাই নি আর তুমি আমার ভবিষ্যৎ ক্যারেক্টার নিয়ে কথা বলছো।।হাউ ডেয়ার ইউ??তোমার এসব পাগলামো তে আমি জাস্ট ক্লান্ত।।কি হয় একটু বড় হলে?(করুন গলায়)আমায় একটু বুঝো….ভালোবাসি তো খুব বেশি ভালোবাসি।।পারবো না তোমাকে ছাড়া থাকতে মরে যাবো একদম।।
.
আমিও আপনাকে ভালোবাসি।আপনার থেকেও বেশি ভালোবাসি।।বাট বিয়ে করতে পারবো না।।আপনি শেষের কবিতা উপন্যাসটা পড়েছেন??দেখুন না,অমৃত্য আর লাবন্য একে অপরকে কতো ভালোবাসতো তবু নিজ ইচ্ছায় দুজন দুপথে হাঁটা দিলো।।তাতে কিন্তু তাদের ভালোবাসা বিন্দু মাত্র কমে নি।।ভালোবাসা কখনো কমে না,,এটি শুধু বৃদ্ধিতে বিশ্বাসী ক্ষরনে নয়।
.
শাট আপপ।।জাস্ট শাট আপ।।এটা কোনো উপন্যাসের প্লট নয় আর আমিও অমৃত্য নই।।আমি ফাহিম আর আমি কখনো নিজের খুশিটাকে বিলিয়ে দিই না।।তাতে যার যা হওয়ার হোক।।।নাও লেটস গো বেবস্(বাঁকা হেসে,, হাত ধরে টেনে)
.
কককোথায়??
.
ফাহিম রিয়ার কথার জবাব না দিয়েই তাকে টানতে টানতে নিচে নিয়ে গেলো।।ড্রয়িং রুমে সবাই গল্প করছিলো ফাহিমকে এভাবে আসতে দেখে সবাই বেশ অবাক।।কি বলবে কিছুই যেনো বুঝে উঠতে পারছে না।।ড্রয়িং রুম পেরিয়ে সদর দরজায় দাড়াঁতেই আয়ান আর অদিতি এসে পৌঁছালো।।লং জার্নি করে দুজনেই টায়ার্ড হলেও ফাহিমের এমন টানাহেঁচড়া হেঁচড়িতে সব ক্লান্তি ভুলে দুজনেই অবাক।।হচ্ছেটা কি এসব??ফাহিম ওদের দেখেও রিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে পাশ কাটিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো।আয়ান একনজরে সবাইকে দেখে নিয়ে বাড়িতে পা না রেখে ব্যাগটা দরজায় ফেলেই ফাহিমের পিছে হাঁটা দিলো,,তার পিছে অদিতি।।ফাহিম রিয়াকে গাড়িতে বসিয়ে নিজে ড্রায়ভিং সিটে বসে গেলো।।রিয়ার ছুটাছুটিতে ফাহিমের গায়ে ব্যাথা উঠে গেছে রীতিমতো।।হাত-পা ঝাড়া দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আগেই পেছনের সিটে ওঠে বসলো আয়ান।।ফাহিমের রাগ আর জেদ সম্পর্কে সচেতন সে।।রাগের মাথায় যেকোনো কিছু করে বসতে পারে সে,,আয়ান যদিও জানে না ফাহিমের রাগের কারনটা কি তবে এটা বুঝতে পারছে যে রিয়ার কপালে দুঃখ আছে।।আয়ান উঠে বসার আগ আগ মুহূর্তে অদিতি আয়ানকে পাশ কাটিয়ে আগেই বসে পড়েছে গাড়িতে।।ব্যাপারটাই অবাক হলেও কিছু বলে নি আয়ান।।নিজের সিটে আরাম করে বসে অদিতির দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়েই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো সে…
.
কি সমস্যা তোমার??গাড়িতে উঠলা কেন?
.
আপনি উঠছেন কেন?তাই আমিও উঠেছি ব্যস।
.
আমি উঠলেই উঠতে হবে নাকি আজিব।।আমি যদি পাহাড় থেকে ঝাপ দেই তুমিও ঝাপ দিবে ?(বিরক্তি নিয়ে)
.
আগে আপনি ঝাপ দেন আমারটা পরে বিবেচনা করে দেখা যাবে।
.
যত্তসব প্যারাময় মহিলা।।
.
শাট আপ ইউ ফুল পাগলের ডাক্তার।।এই শান্ত সুন্দর পরিবেশটা নষ্ট করার জন্য আপনার একটা এই পচা টমেটো মার্কা মুখের বাক্যই যথেষ্ট।হুহ!!!এনিওয়ে(ফাহিমকে উদ্দেশ্য করে)ভাইয়া আপনি কি মেয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন??আমি না কখনো লাইভ ভাগাভাগি দেখিনি।।সব তো ফিল্মে দেখেছি।আজ ইচ্ছেটা পূরন হতে চলেছে আম সো এক্সাইটেড।।(দাঁত কেলিয়ে)
.
রিয়া অসহায় দৃষ্টিতে অদিতির দিকে তাকাতেই অদিতি একটা ক্লোজআপ হাসি দিয়ে দিলো যাকে বত্রিশ দাঁত বের করা হাসি বলে আরকি।অদিতির কথার খেয় ধরে এবার আয়ানও অসীম সাহস নিয়ে বলে উঠলো…
.
তো দোস্ত আমরা কই যাচ্ছি??
.
আয়ানের কথার পিঠে রিয়াও বলে উঠলো…
.
হ্যা,,কোথায় যাচ্ছি আমরা??
.
শাটটটট আপপপ।(চিৎকার করে)নো মোর ওয়ার্ডস
.
ফাহিমের চিৎকারে রিয়া তাড়াতাড়ি মুখে আঙ্গুল দিয়ে আয়ানের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলো….
.
ভাইয়া?শাট আপ…নো মোর ওয়ার্ডস্।
.
রিয়ার কথায় পাত্তা না দিয়ে আবারও বলে উঠলো আয়ান…
.
শাট আপ বললে তো হবে না দোস্ত।।বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছিস কই নিয়ে যাচ্ছিস সেটা না বললে তো আবার ঝামেলা।।আমার আবার সারপ্রাইজ হজম হয় না।।বলে দে না কই যাচ্ছি।(দাঁত কেলিয়ে)
.
ওই নাম তুই।।শালা তোরে আমি নিয়ে যাচ্ছি নাকি তুই জোড় পূর্বক যাচ্ছিস কোনটা??
.
আমি বলি??(রিয়া হাত উঠিয়ে ফাহিমের দিকে তাকাতেই ফাহিম রাগী চোখে তাকিয়েই দিলো এক ধমক)
.
তুমি চুপ করে বসো।।একটা কথা বলবে না।
.
সাথে সাথেই ঠোঁটে আঙ্গুল চেপে মাথা নেড়ে সাই জানালো রিয়া,,তারমানে সে কথা বলবে না।।সুনামি,ভূমিকম্প যায় হয়ে যাক না কেন সে কথা বলবে না।।
.
আরে তুই আমাকে নিয়ে যাস আর আমি নিজেই যাই একই কথা তো মাম্মা।।রাগিস কেন?? বল না কই যাচ্ছি??(দাঁত কেলিয়ে)
.
বাসর করতে যাচ্ছি।।হেপি??এখন তুই গাড়ি থেকে নাম।।আমার বাসরে তো তোর কোনো কাজ নাই।।সো তোর যাওয়ারও দরকার নাই।
.
ফাহিমের কথায় রিয়ার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম।। এই ভাইরাস বলে কি??সত্যি সত্যি এমন কিছু করবে নাকি??নো নো তার ভাইরাস তো এতো খারাপ না।।আর যদি করে ফেলে,,উফফ আর চিন্তা করা যাচ্ছে না।।ভাবনা চিন্তাকে পুটলিতে বেঁধে আবারও ওদের কথায় মনো যোগ দিলো রিয়া।।
.
আরে নাহ দোস্ত।।ছি ছি কি সব বলিস তোর বাসরে আমার কাজ থাকবে কেন??হাজার হলেও ছোট বোনের বাসরে তো আর উঁকিঝুঁকি মারা যায় না,,এটা বহুত লজ্জার ব্যাপার।। বাট দোস্ত তোর রুমে কাজ না থাকলেও পাশের রুমে কাজ থাকতেও পারে।।তাই যাই ঘুরে আসি।।
.
ওই শালা?পাশের রুমে তোর কিসের কাজ রে??(রাগী চোখে)
.
প..পাশের রুমে ককাজ হলো বাসর করা।।বাসর ঘরের পাশের রুমে বাসর হবে এটাই স্বাভাবিক।।
.
কি উল্টোপাল্টা বকছিস??তুই কার সাথে বাসর করবি??
.
আআমি??এইতো মিস ঝগড়ুটে
.
কিহহহহহহহ??(চিৎকার করে)
.
ইশশশ(কানে হাত দিয়ে) এই মেয়ে? কথায় কথায় চেঁচাও কেন??
.
চেঁচাবো না??আপনি আমাকে যা তা বলবেন আর আমি চুপ থাকবো নো নেভার।।
.
কি যা তা বলেছি??একদম পার্ফেক্ট কথা।।তুমি আসলা কেন পিছু পিছু?? আসতে বলছি তোমায়?এটা তোমার শাস্তি।।তবে হ্যা,,ওখানে নিউ মাইয়া পাইলে তোমার শাস্তি মওকুফ করা হবে।।।তবে মেয়েকে অবশ্যই হতে হবে হট এন্ড সে…
.
ওই তোরা দুইটা নাম।।এখনি নামবি।।এসব ফাউল কথা গাড়ির বাইরে গিয়ে বল।।আয়ান তোর এই থার্ড ক্লাস চিপ কথা গাড়ির বাইরে গিয়ে বল,,,,তোর এসব কথায় আমার বাচ্চা বউটা পেকে যাবে।
.
হুহ…তোর বাচ্চা বউ আগে থেকেই পাকা নতুন করে পাকার কিছু নাই।।(রিয়ার দিকে তাকিয়ে) তাই না আপুনি??
.
রিয়াও মাথা নেড়ে সাই জানালো যার অর্থ হ্যা সে পেকে গেছে।।আয়ানও মুচকি হেসে বলে উঠলো….” হুম দেখেছিস?পেকে গেছে।”
.
চুপ।।আর একটা কথা যদি বলিস তো গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবো।।মাইন্ড ইট।
.
ইয়েস ভাইয়া।।আই এগ্রি উইথ ইউ।।ফেলে দেন একে।।লুচু ছেলে কোথাকার।।হুহ
.
শাট আপ অদিতি।।আবার বকবক করলে সত্যি সত্যি আয়ানের সাথে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দেবো তোমায়।। ও কিন্তু এসবে এক্সপার্ট।।
.
ভাইয়য়য়য়া আপনিও?? ছিহহ…..
.
.
#চলবে🍁
।
(সরি কথা দিয়ে না রাখতে পারার জন্য।।যারা ওয়েট করেছেন তাদের কাছে মনের অন্তস্থল থেকে ক্ষমা প্রার্থী)