অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_১৬

গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_১৬ ( #crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান

রাত ২টা….
নিশান বেলকনিতে বিন ব্যাগে আছে। চোখ বন্ধ করতেই আজকের দৃশ্য ভেসে ওঠে তার সামনে। নিশি আজ খুব চুপচাপ ছিলো সেই ঘটনার পর। নিশি’র এই নিস্তব্ধতা কারন তার জানা । সে আজ প্রথম বার তার জান পাখি’কে ছুঁয়েছে। হ্যাঁ আগেও করেছে কিন্তু তার জান পাখি সেটা অনুভব করে নি। অনুভব করে নি তার ভালোবাসাকে। কিন্তু আজ! আজ তার জান সেটা অনুভব করেছে। কিন্তু সেটা তার ভালোবাসাকে কি না সেটা সে জানে না । হয়তো অনুভব করেছে, বা হয়তো বা অনুভব করে নি । আচ্ছা অনুভব না করলে কি খুব বেশি সমস্যা । যদি সে অনুভব না করে তার মানে কি আমি তাকে ভালোবাসি না। ভালোবাসায় অনুভব করাটা কি খুব জরুরি। হয়তো বা হ্যাঁ । নাহলে সে বুঝবে কিভাবে সে তাকে ভালোবাসি!! ভালোবাসা অনুভব করা কি খুব জরুরি । কেন…?? অনুভব না করলে কি ভালোবাসতে নেই । নাই করুক সে অনুভব তাহলে কি তার ভালোবাসা কমে যাবে। তা‌ কি হতে পারে? আমার ভালোবাসা কি এতোই ‌ স্বস্তা নাকি । সে তো তার জান পাখি’কে অনুভব করে । প্রতি দিন,‌‌ প্রতি‌ ঘন্টায়, প্রতি মিনিটে, প্রতি মূহুর্তে, তার প্রতি’টা নিঃশ্বাসে সে তার জান পাখি’কে অনুভব করে । আচ্ছা তার জান পাখি তাকে ‌কবে এভাবে অনুভব করবে। আদোও কি করবে তার জানা নেয়। খুব হাস্যকর না বিষয়টা। সে জানে সে তার জান পাখি’র কাছে কিছু পাবে না । তবুও প্রতি’টা মূহূর্তে তার থেকে আশা করা । আচ্ছা আশা করাটা কি ভুল না খুব জরুরি? কোনোটাই না । কেননা কারো কাছ থেকে কখনো কিছু আশা করতে নেই এই কথাটি যেমন সত্য সেরকম এটাও সত্য ভালোবাসা’র মানুষের কাছ থেকে নিঃস্বার্থ ভাবে আশা করার নামই ভালোবাসা । আচ্ছা ‌জান পাখি’কে সে কেনো ভালোবাসে তার থেকে কিছু আশা করার জন্য? না তার ভালোবাসা এতোও তুচ্ছ না যে সেটা কিছু ‌পাওয়ার আশায় থাকবে। নাই বা দেক সে তাকে কিছু শুধু তাকে একটু ভালোবাসা’র অনুমতি দিক এটাই তার জান পাখি’র কাছ থেকে পাওয়া তার জন্য তার অনেক কিছু ।
ভালোবাসা আসলেই সুন্দর । কিন্তু সেটা দেখার জন্য ও সুন্দর মন চাই । তার জান পাখি’কে করা তার আজকের করা এই ছোঁয়া তার হাজার জীবন মনে থাকবে। এই ছোঁয়া নিয়েই সে কাটিয়ে দিবে ‌সারা’টা জীবন । তার জান পাখি’র কাছে তার কোনো দাবি শুধু একটু ভালোবাসা’তে দিক তাকে এটাই অনেক ।।

হঠাৎ করেই কেন জানি খুব গান শুনতে মন চাচ্ছে তার। ফোন’টা বের করে কানে হেডফোন দিয়ে গান বাজাতে থাকে নিশান।

আমি তোমার সাথেই আমাকে খুঁজে পাই
এখনও যত্ন করে যাই,
যদিও তুমি বহুদূরে..
আমি আজও পাগল তোমারই ওই প্রেমে
গেছি হারিয়ে রাতের আকাশে,
তবে কি কাহিনী শেষ আমাদের?
আমি ভাবি, যদি আবার
ছুঁতে পারতাম তোমাকে
সত্যি বা, স্বপ্নই হোক
এ দূরত্ব শেষ হয়ে যেত যে।
ভালোলাগা, ভালোবাসার তফাৎ কি যে হয়
জানতাম না
তবে কি আজ, সব দোষটা আমার ?
দেরি করেছি বুঝতে, তবু ভয়
ভয় পেওনা, আমি আছি, তোমারই পাশে
দূরে যেও না, রাখবো আমি, জড়িয়ে তোমাকে।
Yuhi Baras Baras Kaali Ghata Barse
Hum Yaar Bheeg Jaaye Is Chaahat Ki Baarish Mein
Meri Khuyli Khuli Lato Ko Suljaaye
Tu Apni Ungliyon Se Main
To Hoon Isi Khwaayish Mein
Sardi Ki Raaton Mein Hum Soye Rahe Ek Chaadar Mein
Hum Dono Tanha Ho Na Koi Bhi Rahe Is Ghar Mein
Zara Zara Behekta Hain Mehekta Hain
Aaj To Mera Tan Badan
Main Pyaasi Hoon Mujhe Bhar Le Apni Baahon Mein
Hai Meri Kasam Tujhko Sanam Door Kahin Na Jaa
Yeh Doori Kehti Hain Paas Mere
Aaja Re Aaja Re Aaja Re Aaja Re

এই গান’টার অনুভূতি আলাদা। এই গানের প্রতিটি লাইন তাকে তার জান পাখি’র সাথে কাটানো মূহুর্ত গুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। গান ও বুঝে তার কি চাই। তাই বোধহয় এমন করে।
আচ্ছা কাল কি হবে। জান পাখি কি সত্যি… না জান পাখি হয়তো কাল এমন‌ কিছুই করবে না। এখন ভাবনা শুধু কালকের। কালকের অপেক্ষা।

পরেরদিন সকাল বেলা..
আরিফা’র ডাকে ঘুম ভাঙে নিশি’র । চোখ খুলে দেখে আরিফা দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। নিশি ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে..

“নিশি : তুই এখানে কেন আর এতো সকাল‌ সকাল কি কাজ তোর এখানে?

“আরিফা : কথা হলো এটা যে এখন আর সকাল সকাল নেই।‌ ১০ টা বাজতে চলল আর আমি এখন কেন এখানে সেটা কি ভুলে গেছেন আপনি!

“নিশি : কথা না পেঁচিয়ে বল এখন এখানে কি করছিস?

“আরিফা : আজকে কোথায় যাবার কথা তোর ( নিশি’র মুখে এক গ্লাস পানি ফেলে )

“নিশি : আরে এটা কি করলি! কেন ভার্সিটি… এই আজ না আমার ভার্সিটিতে যাবার কথা। ইশ্ কতো লেট হয়ে গেল আর তুই আমাকে এখন ডাকতে এসেছিস? কি করছিলি এতোক্ষণ তুই।

“ফারহানা বেগম ( দরজায় দাঁড়িয়ে ) : ও গত এক ঘন্টা ধরে তোকে ডেকে যাচ্ছে কিন্তু তুই যে ঘুম দিলি…

“নিশি : মা তুমি তো ডাকতে পারতে..

“আরিফা : না আপনি মনে করেন আপনাকে কেউ ডাকে নি। এখন তাড়াতাড়ি উঠেন আপনি। এমনিতেই অনেক লেট হয়ে গেছে আমাদের।

“নিশি : ( এবার ভালোমতো আরিফা’কে লক্ষ্য করে সে ) কি ব্যাপার! আজ এতো সেজেছিস কেন তুই। এই নীল রঙের শাড়ি,চুড়ি এতো সাজগোজ কেন? কার জন্য এতো সেজেছিস তুই! কারো বিয়ে নাকি আজ এই তুই কি শেষ পর্যন্ত পালিয়ে করবি ঠিক করে ফেললি নাকি। শাকচুন্নী আমাকে না জানিয়ে এইসব করে বেড়াও তুমি হুম…. কি হচ্ছে এইসব!
.
আরিফা’র মাথা ঘুরছে নিশি’র কথা শুনে। সে বলবে কি একনজরে তাকিয়ে আছে নিশি’র দিকে। নিশি এটাও ভুলে গেলো আজ নবীন বরণ’র অনুষ্ঠান তাই ও সেজেছে এভাবে। আরিফা হাবলার মতো তাকিয়ে আছে নিশি’র দিকে। তখন ফারহানা বেগম বলে ওঠেন।

“ফারহানা বেগম : দেখ আরিফা এই মেয়ে কি মন ভোলা। আজ যে ওদের নবীন বরণ সে সেটাও ভুলে গেছে।

“নিশি : ওহ্ নবীন বরণ, তাই তুই সেজেছিস। তো এতো সাজার কি দরকার ছিলো তোর! মনে হচ্ছে যেন বিয়ে করতে যাচ্ছিস!

“আরিফা : ( এক পাটি দাঁত বের করে হেসে ) এটাই সবার থিম। সবাই এই নীল রঙের শাড়ি পরে যাবে..

“নিশি : ওহ ভালো তো।

“আরিফা : হ্যাঁ আপনিও যাবেন।

“নিশি : আচ্ছা কিহহহহ আমি!

“আরিফা : কেন তুই কি আলাদা।

“নিশি : আমার নীল রঙের শাড়ি নেই আর এখন আমার সাজার ও কোনো মুড নেই।

“আরিফা : তোর শাড়ি আমি এনেছি। এতো ভাবার কিছু নেই চল রেডি হয়ে নে।

“নিশি : আরে আরু শোন তো…

“আরিফা : আর কোনো কথা না। ওঠ তাড়াতাড়ি, ফ্রেশ হয়ে আয় তারপর তোকে সাজাতে হবে আমার।
.
আরিফা’র জোরাজুরি’তে নিশি ফ্রেস হয়ে আসে। তারপর আরিফা নিশি’কে শাড়ি পরিয়ে দেয়..
গাঢ়ো নীল রঙের একটা শাড়ি, তার ওপর গোল্ডেন রঙের স্টোন বসানো। তার সাথে কানের ঝুমকো আর দু’হাত ভরা নীল রঙের রেশমী চুড়ি। নিশি চুড়ি গুলো হাতে নিয়ে নাচতে থাকে। কারন চুড়ি তার অনেক পছন্দ।

“নিশি : আচ্ছা এই শাড়ি,চুড়ি কোথায় পেলি তুই?

“আরিফা : পরে জানতে পারবি সব। চুপচাপ বস এখন সাজাবো তোকে।

“নিশি : না রে আজ সাজবো না এতো!

“আরিফা : তুই কবে একটু সুন্দর করে সেজেছিস বল আমায়।

“নিশি : আমাকে সাজা ছাড়াই অনেক সুন্দর লাগে বুঝলি তুই!

“আরিফা : জানি আমার নিশি পাগলি যে অনেক সুন্দরী কিন্তু আজ তোমাকে একটু যে সাজতেই হবে।

“নিশি : কিন্তু…

“আরিফা : কোনো কিন্তু না চুপ করে বস একটু…
.
আরিফা নিশি’কে সাজিয়ে দেয়। চোখে গাঢ় করে ঘন কাজল, ঠোঁটে হালকা রঙ লিপস্টিক এর বেশি আর কিছু দিতে পারে না নিশি’র জোরাজুরি’তে । শুধু তার ঘন কালো চুল গুলো মাঝে সিঁথি করে ছড়িয়ে দেয় আর তাতে কাঠ গোলাপ ফুলের একটা মালা দিয়ে দেয়। ব্যস সাজা শেষ নিশি’র । বেশ লাগছে দেখতে আজ নিশি’কে।
.
দুই’জনেই বের হয়ে যায় ভার্সিটির উদ্দেশ্য। ভার্সিটিতে ঢুকেই নিশি অনেক’টা অবাক। হ্যাঁ ভার্সিটিতে আজ অনুষ্ঠান ঠিক আছে কিন্তু কেমন জানি লাগছে।সবাই গেট এর সামনে দাঁড়িনো আর সবার মুখেই রহস্য ভয় হাসি। নিশি কেমন একটা লাগল। কারন সবাই তাকে দেখেই হাসছে। কিন্তু কেন? আচ্ছা এতো ভেবে নিশি’র কাজ কি সে ভেতরে গেলেই তো হয় না। তাই তো! নিশি আর কোনো কিছু না ভেবে সোজা হাঁটতে থাকে। হঠাৎ একজন এসে তাকে একটা লাল রঙের গোলাপ দিয়ে যায়। নিশি তো গোলাপ দেখেই খুশি। তাই সে ও কিছু না ভেবে thank you গোলাপ’টা নিয়ে নেয়।

কিন্তু সমস্যা এর পরে’ই হয়। আরো একজন এসে গোলাপ নিয়ে। নিশি আবারও thank you বলে গোলপ’টা নেয়। কিছুদূর হাঁটতে’ই আবার আরেকজন গোলাপ দেয়। নিশি এবার কিছু’টা অবাক হয়। দেখা যায় একের পর এক জন আসছে গোলাপ নিয়ে আর নিশি’ও গোলাপ নিচ্ছে কিন্তু হচ্ছেটা কি আসলে!

নিশি আরো কিছুদূর হাঁটতে থাকল। দেখল সবাই এক জোট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নিশি ওদের দিকে তাকিয়ে আছে? সবার এভাবে দাঁড়ানোর কারন কি? প্রধান অতিথি আসবে তাই বলে কি?

নিশি এক হাত দিয়ে পাশে হাতাতে থাকল। কিন্তু তার পাশে কেউ নেই মানে আরিফা উধাও। এটা কি হলো। আরিফা কোথায় গেলো? একটু আগে তো এখানেই ছিলো। আশপাশ খুঁজে সামনে তাকাতেই দেখল সবাই সামনে থেকে সরে গেছে। দূরে কেউ একটা দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু কে বোঝা যাচ্ছে না।

নিশি আরেকটু সামনে যেতে লাগল এখন তার চোখের সামনে তাকে স্পষ্ট দেখতে লাগল। এটা জিসান! তার শাড়ীর সেইম রঙের একটা পাঞ্জাবি আর ব্লাক জিন্স পরা, পাঞ্জাবি’র কারুকাজ তার শাড়ীর কারুকাজের মতোই। তার স্লিকি চুল গুলো বাতাসে ওড়ছে, হাতে একটা ‌ব্রাউন ঘড়ি আর আরেকটা হাত পিছনে। নিশি জিসান’কে দেখে’ই দৌড়ে গেলো তার কাছে গেলো।

নিশি জিসানের কাছে যেতেই জিসান হাঁটু গেড়ে নিশি’র সামনে কালো রঙের একটা গোলাপ ফুল ধরল। নিশি অবাক হয়ে জিসান’কে দেখে যাচ্ছিল। জিসান এক হাত দিয়ে চুল সরিয়ে বলল…

– জানি কালো রঙ তোর খুব পছন্দ তাই কালো গোলাপ দিয়ে’ই তোকে প্রোপজ করছি। জানি না এই ভালোবাসা কি বা ভালোবাসার সঙ্গা কি । কিন্তু আমার কাছে ভালোবাসা বলতে আমি শুধু তোকেই বুঝি, তোকেই অনুভব করি জানি না তুই অনুভব করেছিস কি-না। তবুও আমি তোকেই ভালোবাসি , তোকেই অনুভব করি আমি। তাই বলছি I love you Nisi! I really love you. সত্যি তোকে অনেক ভালবাসি, তোকে ছাড়া আমার এক একটা দিন বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে গেছে। আমার শুধু তোকেই লাগবে। তাহলে নিশি ভালোবাসবি আমাকে?
.
নিশি জিসানের বলা কথাই অবাক হয়ে গেছে। এতোদিন সে তা চেয়েছিল আজ তা পেয়ে গেছে। তার প্রিয় মানুষের মুখে এই ভালোবাসি কথাটা শুনার জন্য’ই তো পাগল হচ্ছিল সে। আর আজ সে তার সামনে! তাকে ভালোবাসে বলছে এর চেয়ে খুশি’র আর কি হতে পারে।

নিশি একনজরে তাকিয়ে আছে নিশানের দিকে। চারপাশ থেকে সবাই বলছে “একসেপ্ট করো করো”. নিশি হাত বাড়িয়ে ফুল’টা নিতে’ই যাবে হঠাৎ করেই তার শরীর আবার শিউরে ওঠে। তার হার্টবিট আবার বাড়তে থাকে । পাশ থেকেই আচমকা একটা বাতাস তাকে ছুঁয়ে যায়। খুব চিরচেনা একটা গন্ধ ভেসে আসে বাতাসে। নিশি একবার ফিরে পাশে তাকাতেই একজন’কে দেখতে পায়। কালো জ্যাকেট,কালো জিন্স,মাথায় ক্যাপ, কালো মাস্ক আর একটা কালো সানগ্লাস। নিশি’র কাছে মনে হচ্ছে এই নিশান। তার দিকে ফিরে ফুল নিতে গেলে ফুলের কাঁটা গেধে যায় নিশি’র হাতে।
নিশি “আহ্” বলে চোখ সরিয়ে নেয় সেখান থেকে। জিসান ফুল রেখে নিশি’র হাত ধরে। নিশি আবার সেদিকে ফিরতেই তাকে আর দেখতে পায় না । মনে হয় যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে সে।

জিসান অস্থির হয়ে পরে। সে নিশি’র হাত ধরে বলে ওঠে..

“জিসান : কি হলো ঠিক আছিস তুই? কিছু হয়নি তো তোর। আমারে উচিত ছিলো ভালোভাবে ফুল’কা চেক করা। কি করে যে কাঁটা’টা লেগে গেলো তোর সাথে।

“নিশি : আমি ঠিক আছি জিসান।‌ কিছু হয়নি আমার। একটু গেধে গেছে শুধু আর কিছু না।

“জিসান : কিন্তু আমার জন্য অনেক কিছু!

“নিশি : ( মুচকি হেসে ) তাই!

“জিসান : হুম!
তখন সবার হাসি’র আওয়াজে জিসান নিশি’র থেকে একটু দূরে সরে যায়। কারন একটু আগেই সে নিশি’র অনেক কাছে ছিলো। জিসান আবার হাঁটু গেড়ে প্রোপজ করে নিশি’কে। নিশি এবার মুচকি হেসে ” love you too” বলে।
নিশি’র উওর শুনে সবাই হাত তালি দেয়। জিসান এসে এক হাত দিয়ে হাগ করে নিশি’কে । হুট করেই মেহেদী, রোদ্দুর আর আরিফা চলে আসে। সারাদিন জিসানের সাথে কাটিয়ে দেয় নিশি। এর মাঝে নিশানের কথা প্রায় ভুলেই যায় নিশি!

#চলবে…

আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/387940506261061/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here