অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_১৭

গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_১৭ ( #crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান

পুরো ঘরে ভাঙা জিনিসপত্র পরে আছে। নিশানের এক হাত দিয়ে রক্ত পরছে অন্য হাতে মদের বোতল। এক হাত দিয়ে ড্রিক করছে অন্য হাত দিয়ে জিনিসপত্র ছুঁড়ছে। সে ভাবতেও পারে নি নিশি এমন’টা করবে। রাগে তার চোখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে। মাথায় উস্কো খুস্কো চুল, শার্ট পুরো ঘেমে একাকার। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে বসে পরে নিশান। তার জান পাখি তার থেকে দূরে চলে গেছে, তাকে ভালোবাসে না এটা মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে তার।

তখনই একজনের প্রবেশ হয় রুম’টাতে। সে দৌড়ে নিশানের কাছে আসে। নিশান তার দিকে একবার তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে..

“নিশান : কি হলো এতো কিছু করে, ২ বছর পর দেশে ফিরে এসে, চলে গেলো তো সে আমায় ছেড়ে,আমার জান পাখি চলে গেছে, চলে গেছে আমার জান পাখি। সে ভালোবাসে না আমাকে,ভালোবাসে না ইয়ার। ভালোবাসে না।
.
ঘরে থাকা ব্যক্তি’টা নিশানের কথা শুনে একটা first aid box নিয়ে নিশানের বসল। নিশানের কাঁটা হাতে ঔষধ লাগাতে থাকে।
“নিশান : কিছু বলছি আমি তোকে তুই শুনতে পাচ্ছিস না। তুই ও তো ছিলি ওখানে। দেখলি তো আমার জান পাখি কিভাবে দেখাচ্ছিল ওকে। ও খুব খুশি ছিলো না!

– ……. ( নিশ্চুপ )

“নিশান : আরিয়ান!! ( চেঁচিয়ে ) কিছু জিজ্ঞেস করছি তোকে ! বলছিস না কেন কিছু?
( হ্যাঁ নিশানের সেই লোক’টা আরিয়ান ছিলো যে ভার্সিটিতে নিশি’র সাথে ঘটা সব ঘটনা নিশান’কে বলতো। বাকি টা পরে বলবো… )

“আরিয়ান : কি‌ করলি এটা তুই? আন্টি জানলে কতো চিন্তা করবে জানিস?

“নিশান : আমি তোকে কি জিঙ্গেস করছি আর তুই কি বলছিস?

“আরিয়ান : তুই বল আমি শুনছি!

“নিশান : জান পাখি খুব ভালোবাসে না জিসান’কে।

“আরিয়ান : হুম! কিন্তু তোর কি মনে হয় জিসান বাসে!

“নিশান : জানি না!

“আরিয়ান : তোর কি মনে নেই আগে কি হয়েছিল! সেদিনও তুই এটা ভেবে ছিলি। তারপর এই দুই বছর পর…

“নিশান : ….

“আরিয়ান : ( পকেট থেকে ফোন বের করে একটা ভিডিও দেখাল। নিশান মনোযোগ দিয়ে ভিডিওটি দেখল ) তা বুঝতে পারলি সব!
.
নিশান বসা থেকে উঠে বেলকনিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে ড্রিক করতে থাকে । আরিয়ান এসে নিশানের হাত থেকে মদের বোতল’টা নিয়ে নেয়।

“আরিয়ান : থাম তো অনেক খেয়েছিস আর না।

“নিশান : ( বাঁকা হাসি দিয়ে ) জান পাখি তুমি এটা ঠিক করো নি। এটার মাসুল তোমাকে দিতে হবে।

“আরিয়ান : কি‌ করবি তুই?

“নিশান : যা আমি করতে চাইনি। এখন যাই হোক না কেন জান পাখি তো আমার’ই হবে। ও শুধু আমার! যে কোন মূল্যে’ই আমার ওকে চাই! যা করতে হয় করবো কিন্তু ওকে আমার করেই ছাড়বো।

“আরিয়ান : কিন্তু যদি নিশি তোর সাথে থাকতে না চায়!

“নিশান : জোর করেই রাখবো কিন্তু আমার করেই রাখবো ওকে। কারন এখন ও আমার নেশা হয়ে গেছে! ( মোবাইল’টা বের করে ফোনের স্কিনে নিশি’র ছবি’র দিকে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দেয়। আরিয়ান এই হাসি’র মানে’টা বুঝতে পারে )

“নিশান : এই গল্পের মোর এখন ঘুরবে, আমি চেয়েছিলাম তোমাকে আগলে রাখতে কিন্তু তুমি আমাকে বাধ্য করলে জোর করতে। কালকে তোমার জন্য খুব বড় একটা সারপ্রাইজ রাখবো আমি জান!
.
পরেরদিন নিশি সকালে ঠিক সময়ে Resign letter নিয়ে অফিসে ঢুকতে যাবে ঠিক তখনই একটা কালো গাড়ি এসে নিশি’কে তুলে নিয়ে যায়। নিশি অনেক নড়াচরা করছে কিন্তু কিছুতেই কোনো লাভ হচ্ছে না। নিশি’র চোখ বাঁধা,তার সাথে হাতও । লোকগুলো গাড়ি থামিয়ে নিশি’কে ধরে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে।

কিছুক্ষণ পর..
একটা রুমে রাখা হয়েছে নিশি’কে । নিশি’র হাতের বাঁধন খুলে ঘরের দরজা’টা আটকে দেওয়া হয়। নিশি তাড়াতাড়ি করে চোখের বাধন খুলে। তারপর চারপাশ তাকাতেই অবাক হয়ে যায়।‌

পুরো রুম জুড়ে শুধু তার’ই ছবি আর প্রত্যেকটা ছবি তার অজান্তেই তোলা। নিশি অবাক হয়ে একের পর এক ছবি দেখতে থাকে। তখনই সেই চিরচেনা মুখ থেকে”জান পাখি” ডাকটা ভেসে আসে তার কানে। নিশি তাড়াহুড়ো করে পিছনে ফিরে তাকায়।

পিছনে তাকাতেই আরেক দফা অবাক হয় সে। কারন পিছনে নিশান দাঁড়িয়ে ছিলো হাতে ব্যান্ডেজ করা। নিশান দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বলে…

“নিশান : আমাকে খুঁজছিলে বুঝি জান পাখি!

“নিশি : স্যার আপনি….

“নিশান : কেন অন্য কাউকে আশা করছিলে বুঝি! ( নিশি’র দিকে আগাতে আগাতে )

“নিশি : মা…মানে আপনি এইসব কি বলছেন স্যার.. ( পিছুতে পিছুতে )

“নিশান : কেন বুঝতে খুব কষ্ট হচ্ছে! ( নিশি’র দিকে আগাতে আগাতে )

“নিশি : ( পিছুতে পিছুতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় ) স্যার আপনি এইসব কি বলছেন!
.
নিশি’র দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। আর পিছুতে পারে না সে কিন্তু নিশানেল যেন আগানো থামছেই না। সে আগাতেই আগাতেই থাকে। নিশানের চোখে নেশা দেখতে পায় নিশি। নিশি ‘র ভয়ে এখন হাত পা কাঁপতে থাকে। ভয়ের কারনে মুখ দিয়ে কোনো কথাই বের হয় না তার।

নিশান আগাতে আগাতে নিশি ‘র একবারে অনেক কাছে এসে পরে। নিশানের প্রত্যেক’টা নিঃশ্বাস নিশি ‘র ওপর পরতে থাকে। নিশি পাশ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে নিশান এক হাত দেওয়ালে দিয়ে আটকে দেয় নিশি’কে ।
নিশি ‘র প্রাণ যায় যায়। কিন্তু নিশান পলকহীন ভাবে দেখেই যাচ্ছে নিশি’কে । তাকে দেখা যেনো শেষ হচ্ছে না তার।

“নিশান : জান পাখি!

“নিশি : স..স্যার আমার নাম নিশি!

“নিশান : না তুমি আমার আমার জান পাখি!

“নিশি : স্যার…

“নিশান : ( নিশি ‘র মুখে আঙ্গুল দিয়ে ) চুপ কথা বলো না! দেখতে দাও তোমাকে!

“নিশি : স্যার আমার কথা’টা তো শুনোন!

“নিশান : ভালোবাসি! সত্যি অনেক ভালোবাসি তোমায় জান পাখি! ( নিশি’র কানের কাছে ফিসফিসিয়ে ) বিশ্বাস করো আমার প্রতিটা নিঃশ্বাস জুরে শুধু তুমি। অসম্ভব ভালোবাসি তোমাকে, অসম্ভব!

“নিশি : স্যা…স্যার আম…

“নিশান : ( নিশি’র কোমর চেপে নিজের সাথে মিশিয়ে ) চুপ বললাম না কথা বলবে না আমাকে বলতে দাও! হ্যাঁ কি বলছিলাম আমি.. ভালোবাসি! হ্যাঁ অনেক ভালোবাসি। দেখবে তুমি কতো ভালোবাসি তোমাকে।
( বলেই নিশান নিশি ‘র হাত টেনে নিশি’র প্রত্যেক’টা ছবি দেখিয়ে) দেখো আমার পুরো রুম জুড়ে তোমার ছবি শুধু তোমার ছবি।‌ অনেকটা ভালোবাসি তোমাকে আমি অনেকটা।‌তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কাঙ্গাল আমি জানো তুমি।

নিশি অবাক হয়ে দেখতে থাকে নিশানের পাগলামি। নিশান একে একে তার সব অনুভূতি বলছে নিশি’কে । নিশি অবাক হয়ে শুধু দেখছে।
হুট করেই নিশান নিশি’কে খাটে বসিয়ে দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পরে নিশি’র সামনে। আর বলতে থাকে..

“নিশান : জান পাখি! জানো তোমাকে ভালোবাসার অনুভূতি আমার কাছে অন্যরকম। আমি পারি নি তোমাকে সব বলতে। অনেক কথা বলার আছে আমার তোমাকে।

“নিশি : ( নিশ্চুপ )

“নিশান : ( নিশি ‘র গাল ধরে ) জান পাখি! কিছু বলো তুমি!

“নিশি : ( নিশানের দিকে তাকিয়ে ) আমি জিসান’কে ভালোবাসি!

“নিশান : ( তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে ) আমি জানি জান পাখি কিন্তু সেটা তোমার ভালোবাসা না তোমার‌ ভালোলাগা।

“নিশি : ( বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে ) কি বলছেন আপনি এইসব? আপনি আমার ভালোবাসা’য় এভাবে আঙ্গুল তুলছেন কিভাবে? হ্যাঁ মানছি আপনি আমাকে ভালোবাসেন কিন্তু আমি আপনাকে ভালোবাসি না মাথায় ঢুকিয়ে নিন এই কথাটা ভালোভাবে। আমি শুধু জিসান’কে ভালোবাসি আর ওকেই ভালোবাসবো! আর আপনি আমাকে এইভাবে তুলে এনেছেন কেন? কি চান আপনি?

নিশান নিশি’র কথায় কোনো রিয়েক্ট না করে একটা চেয়ার টেনে নিশি’র সামনে বসল। তারপর নিশি’র দিকে তাকিয়ে বলল…

“নিশান : তা আজ অফিসে কেন এসেছেন আপনি?

“নিশি : ( ব্যাগ থেকে Resign letter নিশানের সামনে ধরে ) এই জব’টা আমি আর করছি না। তাই resign letter দিতে এসেছি।

“নিশান : তারপর…

“নিশি : মানে..

“নিশান : মানে এরপর কি করবেন জব করবেন না তো?

“নিশি : আপনাকে বলতে আমি বাধ্য নই!
.
“নিশান : ( চেয়ার থেকে ওঠে নিশি’র দুই বাহু চেপে ) তা কাকে বলতে বাধ্য হুম, কাকে? ওই জিসান’কে ? হ্যাঁ বলছো না কেন?

“নিশি : স্যার আমার লাগছে ছাড়ুন আমাকে..

“নিশান : ( আরো শক্ত করে নিশি’র বাহু চেপে ) ভালোবাসি তোমাকে, ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি। বলতে বলতে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি সেটা শুনছো না তুমি! আর তুমি কাকে ভালোবাসো ওই জিসান’কে । দেখেছি আমি কালকে তোমাকে ওর হাত থেকে ফুল নিতে ওর প্রোপজাল একসেপ্ট করতে সব দেখেছি আমি!

“নিশি : ( তাহলে সেই লোকটা স্যার’ই ছিলো ) মনে মনে

“নিশান : আসলে কি বলতো তুমি না বুঝতে চাও না। আমি আর পারছি না তোমাকে বোঝাতে বোঝাতে। আর পারবো না তোমাকে বোঝাতে আমি । এখন তুমি চাইলেও আমার সাথে থাকবে আর না চাইলে আমার সাথেই থাকবে কথাটা মাথায় ঠুকিয়ে নাও।

“নিশি : কি বলছেন আপনি এইসব! আমি আপনার জব আর করছি না!

“নিশান : ( নিশি’কে ছেড়ে দিয়ে ওর হাত থেকে রিজাইন লেটার’টা নিয়ে ছিঁড়ে ) কি ভাবো তুমি এই রিজানইন লেটার দিয়ে আমার থেকে পালিয়ে যাবে। মোটেও না জান পাখি! তুমি আমার সাথেই থাকবে । ( একটা পেপার নিয়ে নিশি’র সামনে রেখে ) সাইন করো!

“নিশি : কিসের পেপার এটা!

“নিশান : ( হেসে ) ভেবো না জান পাখি! এতো তাড়াতাড়ি তোমায় কাবিন নামায় সাইন করাবো না! এটা যাস্ট একটা এগ্রিমেন্ট!

“নিশি : কিসের?

“নিশান : তুমি ৩ বছরের আগে জব’টা ছাড়ছো না!

“নিশি : কিহহহ..

“নিশান : হুম। নাও সাইন করো!

“নিশি : কোনমতে না..

“নিশান : ( নিশি’র কোমর ধরে আবারও‌ নিজের কাছে টেনে) জান পাখি! আমাকে বাধ্য করো না কিছু করতে! তুমি সাইন না করে এখান থেকে এক পা ও বাড়াতে পারবে না। যদি তুমি না চাও এমন কিছু হোক তাহলে…

“নিশি : ( নিশান কিল ঘুষি মারতে থাকে )

“নিশান : আহ্ জান পাখি! লাগছে আমার..

“নিশি : ছাড়ুন আমাকে..

“নিশান : ( নিশি’কে ছেড়ে দিয়ে ) নাও ছেড়ে দিলাম এখন সাইন’টা করো!

“নিশি : আমি করবো না!

“নিশান : ( নিশি’র দিকে একটু ঝুঁকে দাঁতে দাঁত চেপে ) জান পাখি রাগিও না!

“নিশি : ( নিশানের ঝুঁকে যাওয়াতে চোখ বন্ধ করে )

“নিশান : ( নিশি চোখ বন্ধ করে রাখলে নিশান ফুঁ দিয়ে নিশি’র সামনের চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ) ভয় পেলে জান পাখি!

“নিশি : ( চোখ খুলে ) আমাকে যেতে দিন..

“নিশান : হ্যাঁ সাইন করো তারপর চলে যাও। বিশ্বাস করো কেও আটকাবে না তোমায়!

“নিশি : কি চাইছেন আপনি এমন কেন করছেন আমার সাথে!

“নিশান : সেটা তুমি বুঝলে তো আমার এতো কষ্ট করা লাগতো না!

“নিশি : মানে..

“নিশান : কিছু না সাইন’টা করে আজ বাসায় চলে যাও! কাল থেকে অফিসে এসো আবার।

“নিশি : আমি…

“নিশান : জান পাখি! তুমি সাইন না করে এখান থেকে বের হতে পারবে না। চাইলে চেষ্টা করে দেখতে পারো।
.
নিশানের কথায় নিশি এবার এসে রুমের দরজা ধাক্কাতে থাকে। নিশান বসে বসে নিশি’র কান্ড দেখতে থাকে। নিশি একবার বেলকনিতে যায় কিন্তু সেখানেও লক করা। কিন্তু বেলকনিতে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে বাইরে অনেক গার্ড। নিশি’র আর বুঝতে বাকি রইল না সে কোনোমতে এখান থেকে বের হতে পারবে না। তাই হতাশ‌ হয়ে নিশানের সামনে এসে দাঁড়ায়। নিশান পেপার’টা এগিয়ে দিলে নিশি পেপার না পরেই সাইন‌‌ করে দেয়।
পেপার সাইন করার সাথে সাথে নিশান ছোঁ মেরে পেপার টা নিয়ে যায়। নিশি অনেক’টা অবাক হয়। নিশান পেপার’টা নিয়ে বাঁকা হাসি দিয়ে বলে..

“নিশান : না পড়ে কোনো পেপার সাইন করতে নেই এটা জানো না জান পাখি!

নিশি নিশানের কথায় চোখ বড় বড় করে নিশানের দিকে তাকায়। আসলেই পেপার টা তো পরলো না সে। যদি অন্য কিছু লেখা থাকে তো!

নিশান নিশি’র নাক’টা টেনে দিয়ে বলে..
“নিশান : তোমার এই অবাক মুখ’টা দেখতে খুব ভালো লাগে জানো। ভেবো না আমি তোমাকে ঢকাবো না। এটা এগ্রিমেন্ট পেপার ছিলো আর কিছু না।‌

“নিশি : ( নিশানের কথায় হাঁফ ছেড়ে ) বাসায় যাবো!

“নিশান : হ্যাঁ চলো!
বলেই নিশান নিশি’র হাত ধরে রুম থেকে বের হয়। নিশি’র এবার পুরো বাড়ি’টা দেখতে থাকে। চারপাশ অনেক গার্ড আর কাজের লোক।‌ সবাই যে যার মতো কাজ করছে। বাড়ি’টা আসলেই অনেক বড় আর খুব সুন্দর করে সাজানো।
নিশান নিশি’র হাত ধরে নিচে নামল । তারপর নিশি’কে গাড়িতে বসিয়ে সিল বেল বেঁধে দিলো। ‌নিশি’কে সোজা বাসায় নিয়ে আসল। এর মাঝে ওদের আর কোনো কথা হয় নি।‌
নিশি গাড়ি থেকে নামতে নিলে নিশান নিশি’র হাত’টা ধরে ফেলে।‌ তারপর নিশি’র কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে বলে..
“নিশান : কাল সময় মতো অফিসে চলে এসো জান পাখি! আর জিসানের কথা’টা ভুলে যাও হুম।

নিশি উওরে কিছু বলে না। তারপর গাড়ি থেকে নেমে সোজা বাড়িতে চলে যায়।

চলবে…..

আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/388631086192003/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here