অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_২০

গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_২০ ( #crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান

পরদিন সকাল বেলা অফিসে এসে নিশি প্রচুর অবাক। কারন নিশান আজ অফিসে আসে নি। এই প্রথম এতো খুশি লাগছে তার।
“নিশি : যাক বাবা বাঁচলাম। আজকের দিন’টা অনেক ভালো কাটবে আমার। হি হি হি ধিনাক ধিনাক আহা কি আনন্দ! এতোদিন পর আজ শান্তি’তে একটু দম নেওয়া যাবে। কিন্তু কাল যে আমার ছুটি লাগবে। এখন..
.
হঠাৎ করেই একজন লোক আসে অফিসে। দেখে গার্ড মনে হচ্ছে। এসেই ম্যানেজার’র সাথে কথা বলে চলে যায়। নিশি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এইসব দেখতে থাকে। গার্ড চলে যাবা’র পর ম্যানেজার এসে সবাইকে ডাক দেয়। সবাই আসলে ম্যানেজার বলতে শুরু করে..

“ম্যানেজার : কাল স্যার’র বাসায় একটা পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। স্যার আপনাদের সবাইকে ইনভাইট করেছে যাবার জন্য। আর এই পার্টির কারনে অফিস কাল অফ থাকবে।
অফিস কাল অফ থাকবে শুনে নিশি’র যেনো আর তর শয় না। সে খুশিতে সবার সামনে হাত তালি দিয়ে বলে..

“নিশি : সত্যি স্যার..

“ম্যানেজার : হ্যাঁ মিস নিশি! এখন সবাই নিজ নিজ কেবিনে যান আর কাজ করুন।
নিশি খুশিতে নাচতে নাচতে কেবিনে’র দিকে যায়। দিয়া ওকে এভাবে নাচতে দেখে ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকায়..

“দিয়া : এতো নাচছিস যে ব্যাপার কি

“নিশি : আরে মেরি জান শুন মেরি বাত

“দিয়া : কিতা

“নিশি : আমার মুড আজ অনেক হ্যাপি হ্যাপি!

“দিয়া : কি জন্য

“নিশি : অফিস কাল অফ তাই

“দিয়া : হ্যাঁ স্যার এর পার্টি শুনলি না অনেক মজা হবে

“নিশি : আমি স্যার এর পার্টি’র কথা বলছি না

“দিয়া : তাহলে..

“নিশি : কাল অফিস বন্ধ আমি এটাতেই অনেক খুশি। হি হি হি ধিনাক ধিনাক ধিনাক।

“দিয়া : এতো লাফালাফি করিছ না শেষে আছাড় খেয়ে পরবি

“নিশি : ভালো ভালো কথা কি তোর মুখে আসে না।

“দিয়া : না। আচ্ছা কাল তুই পার্টিতে যাবি না

“নিশি : অবশ্যই না

“দিয়া : কেন

“নিশি : কারন কাল আমার অন্য কোথায় যাবার প্ল্যান আছে তাই।

“দিয়া : ওহ্ আচ্ছা। কিন্তু তুই আসলে খুব মজা হতো।

“নিশি : সরি ইয়ার

“দিয়া : ইট’স ওকে। অফিস শেষে শপিং এ যাবি কালকের পার্টির জন্য কিছু কিনবো।

“নিশি : আচ্ছা।
.
এদিকে ভার্সিটিতে আজ ২ সপ্তাহ হলো আরিফা math class করছে না। কিন্তু সামনে এক্সাম আর এভাবে ক্লাস মিস দেওয়ায় আরিয়ান বেশ রাগ আরিফা’র ওপর। সে চায়না আরিফা রেজাল্ট খারাপ করুক। এখানে আরিফা প্রতিটা ক্লাস করার পর math class এর সময় আরিয়ান এর সামনে থেকে বের হয়ে আসে। আরিয়ান এতে কিছু না বললেও অনেক রাগ জমিয়ে রেখেছে আরিফা’র ওপর।

আজও ব্যতিক্রম হলো না। আরিফা আজও আরিয়ান এর সামনে থেকে ক্লাস থেকে বের হয়ে আসে। আরিয়ান কিছু বলতে যেয়েও বলে না।
ক্লাস শেষে আরিফা ক্যাম্পাসে হাঁটতে থাকলে ডাক আসে স্যার তাকে ডেকেছে কিন্তু কোন স্যার সেটা বলে নি। আরিফা রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে নক করলে ভেতরে আসতে বলা হয়। ভেতরে ঢুকে আরিয়ান’কে দেখে বেশ অবাক হয় সে।

“আরিফা : আপনি..

“আরিয়ান : হ্যাঁ আমি

“আরিফা : আপনি আমাকে ডেকেছেন কেন

“আরিয়ান : ( আরিফা’র সামনে আগাতে আগাতে ) ক্লাস কেন করো না তুমি। সামনে এক্সাম তোমার আর এখনও পরার প্রতি এতো অমনোযোগী কেন?

“আরিফা : আপনাকে বলতে বাধ্য নই আমি..

“আরিয়ান : ( আরিফা’র হাত শক্ত করে ধরে ) কি বললে?

“আরিফা : আহ্ লাগছে আমার!

“আরিয়ান : সমস্যা টা কি তোমার এমন কেন তুমি এতো ইগো তোমার।

“আরিফা : ওহ্ আচ্ছা তাহলে আমার আত্মসম্সান বোধ আপনার কাছে ইগো।

“আরিয়ান : এসবের জন্য তুমি কি দায়ি নও।

“আরিফা : কেন সুখি নন ইশা আপু’র সাথে। ভালোই তো চলছে আপনাদের সম্পর্ক।

“আরিয়ান : আরিফা… ( আরিফা’র দুই বাহু চেপে ধরে )

“আরিফা : এভাবে চেঁচামেচি করবেন না মানুষ খারাপ ভাববে।

“আরিয়ান : তোমাকে কিছু বলাই বেকার

“আরিফা : হুম আসলেই..

“আরিয়ান : তা তুমি একা কেন! তোমার সেই ‌ঈশান কোথায়।

“আরিফা : দেখুন ঈশান’কে নিয়ে একটাও বাজে কথা বলবেন না।

“আরিয়ান : বাহ এতো ভালোবাসা!

“আরিফা : আপনার কথা শেষ

“আরিয়ান : কেন এতো তাড়া কিসের তোমার। নাকি ঈশান’র সাথে মিট করতে যাবে।

“আরিফা : আপনার কি তাতে। আমার যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়ে থাকি আপনার এতো লাগছে কেন!

“আরিয়ান : লাগে কারন আমি..

“আরিফা : কি হলো থামলেন কেন বলুন!

“আরিয়ান : ( বাহু ছেড়ে দিয়ে ) যেতে পারো তুমি..

“আরিফা : ( মুচকি হাসি দিয়ে ) পারলেন না বলতে আয পারবেন ও না।
.
আরিফা দৌড়ে বেড়িয়ে আসে সেখান থেকে আর বার হতেই ‌ধাক্কা খায় রোদ্দুর’র সাথে।
“রৌদ্দুর : ও মা গো এই কে রে?

“মেহেদী : তুই! তা এভাবে দৌড়াচ্ছি’স কেন

“জিসান : ভুত তাড়া করেছে নাকি।

“রৌদ্দুর : দিনের বেলায় ভুত বাহ্

“আরিফা : আরে এমন কিছু না।

“মেহেদী : ( আরিফা’র হাত ধরে ) কিরে এটা কিসের দাগ!

“জিসান : দেখি দেখি

“রৌদ্দুর : কে এতো শক্ত করে ধরেছে তোর হাত

“আরিফা : আরে কেউ না ওটা এমনেই। তা কালকের ব্যাপারে বল কিছু!

“জিসান : কি আর বলবো তোরা সময় মতো চলে আসিস লেট করিস না।

“মেহেদী : কিন্তু পার্টি টা কিসের

“জিসান : ড্যাড এর সাথে কোন কোম্পানি ডিল হয়েছে সেই উপলক্ষে আর..

“রৌদ্দুর : আর…

“জিসান : সেটা ওখানে গেলেই জানতে পারবি!

“আরিফা : দাল মে কুচ কালা হে লাগতাছে

“মেহেদী : হুম পুরাই তোর হিন্দির মতো ( হেসে )

“আরিফা : শুকরিয়া!

“জিসান : দেখ পাগলের কারখানা শুরু হয়ে গেছে।

“সবাই : ( হেসে ওঠে )।
.
বিকালে নিশি আর দিয়া শপিং এ যায়। দিয়া তো অনেক শপিং করে কিন্তু নিশি কিছু কিনে না। হঠাৎ শপিং মলে ঘুরতে ঘুরতে একটা গাউন খুব পছন্দ হয় নিশি’র। গাঢ় লাল খয়েরী রঙের , তার ওপর পাথরের স্টোন বসানো, আর কারুকাজ টাও অনেক সময়। নিশি অনেক্ষণ ড্রেস’টার দিকে তাকিয়ে থাকে।

“দিয়া : কিরে পছন্দ হয়েছে..

“নিশি : পছন্দ হবার মতোই তো ড্রেস’টা। দেখ কি সুন্দর কারুকাজ!

“দিয়া : আচ্ছা আয় জিজ্ঞেস করি।

“নিশি : চল!
.
দিয়া : Excuse me. এই ড্রেস’টার প্রাইস কতো?

– সরি ম্যাম ড্রেস’টা তো বিক্রি হয়ে গেছে আর এটা অর্ডার করে বানানো এরকম আর নেই আমাদের কাছে।

“দিয়া : ওহ্ আচ্ছা!

“নিশি : ঠিক আছে চল এখন!
.
দিয়া : ড্রেস টা খুব সুন্দর না। যে অর্ডার করেছে তার পছন্দ কিন্তু দারুন বলতে হবে।

“নিশি : তা ঠিক বলেছিস ( হাঁটতে হাঁটতে )।

“দিয়া : তা আইসক্রিম খাবি!

“নিশি : জিজ্ঞেস করার কি আছে নিয়ে আয়।

“দিয়া : ওয়েট আমি আনছি!
.
নিশি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাগ চেক করতে থাকে। তখন ওর‌ পাশ দিয়ে কেমন একটা ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। নিশি’র শরীর শিউরে উঠে। কেন জানি মন হচ্ছে আশ পাশ নিশান আছে। কিন্তু.. এটা কিভাবে হতে পারে।‌
হুট করেই কানের কাছে কেউ “জান‌ পাখি” বলে ওঠে। নিশি চমকে উঠে। কিন্তু কেউ নেই তো আশ পাশে।

“নিশি : এই রাম ছাগল স্যার’টা না আমায় পাগল করে ছাড়বে। উনি না থাকলে কি হবে উনার উপস্থিতি আমাকে শান্তিতে বাঁচতে দেবে না। কি যে ভুল করছিলাম কে জানে।

“দিয়া : কি রে কি বির বির করছিস ( পেছন থেকে নিশি’কে ধরে )

“নিশি : ( লাফিয়ে ওঠে ) কে কে

“দিয়া : আরে আমি..

“নিশি : ওহ্ তুই

“দিয়া : কেন অন্য কারো কথা ভাবছিলি বুঝি

“নিশি : আরে না চল লেট হচ্ছে

“দিয়া : হুম।
.
পরদিন সকালে একটা লোক আসে নিশি’র বাসায়। নিশি দরজা খুললে সেই লোক’টা নিশি’কে একটা প্যাকেট দিয়ে যায় আর বলে সন্ধ্যায় পার্টিতে এই ড্রেস’টা পরে স্যার যেতে বলেছে।
নিশি প্যাকেট’টা নিয়ে রুমে এসে ড্রেস’টা বের করে দেখে। আর ড্রেস’টা দেখেই তার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। কারন এটা ওর পছন্দ করা কালকের সেই ড্রেস’টা। নিশি খুশিতে নাচতে থাকে। ড্রেস’টার সাথে কিছু অর্নামিন্টসও থাকে।
.
সন্ধ্যার পার্টির জন্য রেডি হয় নিশি। গাঢ় খয়েরী রঙের গাউন তার দুধ ফর্সা গায়ের ফুটে ওঠেছে। নিশি গাউন’টার সাথে চুল গুলো খোঁপা করে নেয় কেন জানি এটাই মানাবে মনে হয় তার।‌ কানে খয়েরী স্টোন বসানো কানের দুল আর গলায় একটা চেন পরে নেয়। হালকা সাজে তবে বেশি না কিন্তু ঠোঁটে লাল ডার্ক লিপস্টিক দেয়। রেডি হয়ে আয়নায় নিজেকে দেখতে থাকে এমন সময় আরিফা পিছন থেকে বলে…

“আরিফা : বাহ্ আজ তো ভাইয়া তোকে বিয়েই করে ফেলবে

“নিশি : তুই কখন আসলি

“আরিফা : যখন থেকে তুই আয়নায় দাঁড়িয়ে নাচতে শুরু করলি

“নিশি : আচ্ছা কেমন লাগছে আমাকে! জিসান পছন্দ করেছে এটা

“আরিফা : জিসান পছন্দ করেছে তো খারাপ বলে
কার সাধ্যি

“নিশি : তোকেও আজ খুব সুন্দর লাগছে

“আরিফা : কিন্তু ম্যাম আজ আপনাকে দেখবে আমাকে না চলুন এখন।

“নিশি : হুম চল।
.
আরিফা আর নিশি এসে জিসানের বাড়ি’র সামনে দাঁড়ানো। বাড়ি’টা বেশ বড়ো আর সামনের কিছু জায়গা জুরে অনেক রকমের ফুল। বাড়ি’টা আজ খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ডেকোরেট পুরোটাই ফুল দিয়ে করা। নিশি’র খুব পছন্দ হয় বাড়ি’টা।

পুরো বাড়িতে মেহমান ভর্তি। নিশি দরজার সামনে আসতেই জিসান এসে দাঁড়ায় নিশি’র সামনে। জিসান একটা ব্লাক সুট পরা, হাতে ব্লাক ওয়াচ গলায় টাই আর মুখে এক গাল হাসি। জিসান হাত’টা বাড়িয়ে দেয় নিশি’র সামনে। নিশি একটা মুচকি হাসি দিয়ে জিসানের হাত’টা ধরে। জিসান নিশি’কে হাত ধরে ভেতরে নিয়ে আসে তখন ওর কানের কাছে বলে…

“জিসান : you are looking so gorgeous..

“নিশি : দেখতে হবে পছন্দ’টা কার।

“জিসান : তা‌‌ ঠিক। কিন্তু সত্যি তোকে আজ’কে একটা পরীর মতো লাগছে।

জবাবে নিশি একটা মুচকি হাসি দেয়। জিসান নিশি’কে নিয়ে আহ্সান চৌধুরী’র ( জিসানের বাবা ) কাছে।

“জিসান : ড্যাড…

“আহসান : হুম!

“জিসান : ( নিশি’কে উদ্দেশ্য করে ) ড্যাড ও নিশি! নিশিতা আহমেদ। ( নিশি’কে উদ্দেশ্য করে ) নিশি ড্যাড।

“নিশি : আসসালামুয়ালাইকুম আংকেল।

“আহসান : অলাইকুমুসসালাম। তুমি নিশি!

“নিশি : জ্বি আংকেল!

“জিসান : ড্যাড তোমাকে আমি বলেছিলাম.. ( মাথা চুলকিয়ে )

“আহসান : ( হেসে ) বুঝতে পেরেছি। বলতে হবে আমার ছেলের পছন্দ আছে।

“নিশি : ( লজ্জায় মাথা নিচু করে নেয় )

“আহসান : ( নিশি’র মাথায় হাত দিয়ে ) থাক আর লজ্জা পেতে হবে না মা। তা জিসান তোমার মা’র সাথে পরিচয় করিয়ে দাও ওকে।

“জিসান : মম কে তো দেখছি না।

“আহসান : এখানেই ছিলো মনে হয় উপরে গেছে।‌
( এর মাঝেই একজন এসে আহসান’র কানে কিছু বলে )
আচ্ছা তোমরা কথা বলো আমি আসছি।

“জিসান : হুম!

“নিশি : আচ্ছা এখন তো বললি না এই পার্টি’টা কিসের জন্য!

“মেহেদী : হেই ভাবি..

“নিশি : ভাবি..

“রৌদ্দুর : তা নয়তো কি। কিন্তু আজ ভাবি’কে তো সেই লাগছে..

“আরিফা : দেখতে হবে না কার বউ কিন্তু আমি ভাবছি আমি কি হবো শালি না ননদিনী।

“নিশি : তুই তো শুরু হয়ে গেলি

“জিসান : শালি ঠিক আছে।‌ আচ্ছা তোরা সবাই কি করছিস ওখানে কোল্ড ড্রিক এর ব্যবস্থা যা এখানে যা

“মেহেদী : হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেতে পেরেছি আমরা কাবাবে হাড্ডি হচ্ছি ওকে যাচ্ছি।

“রৌদ্দুর : হ্যাঁ হ্যাঁ চল। গেলাম আমরা।

“আরিফা : লাভ বার্ড’দের একাই ছেড়ে দিই ‌।
.
সবাই হাসতে হাসতে চলে যায় কিন্তু নিশি এটাতে বেশ‌ লজ্জা পায়। জিসান এমন কিছু একটা বলবে সে ভাবতেই পারে নি।
জিসান নিশি’র হাত ধরে এক পাশে নিয়ে আসে।

“নিশি : কি‌ হলো এখানে আনলি

“জিসান : ধুর তোর সাথে এমনেই সমৎ পাই না একটু কথা বলার এখন একটু পেয়েছি আর ছেড়ে দেবো নাকি!

“নিশি : ওহ্ আচ্ছা তো কি বলবেন ( ভ্রু কুঁচকে হেসে )

“জিসান : ভালোবাসি!

“নিশি : ( জিসান চুল গুলো উড়িয়ে ) হুম..

“জিসান : শুধু হুম..

“নিশি : তাহলে কি!

“জিসান : কিছু না থাক

“নিশি : তাহলে গেলাম আমি!
বলেই চলে যেতে নিলে জিসান নিশি’র সামনে দাঁড়িয়ে..

“জিসান : কোথায় যাচ্ছিস?
নিশি পিছুতে থাকে আর জিসান আগাতে থাকে। নিশি দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন জিসান দেওয়ালে এক পাশে হাত রাখে। জিসান নিশি’র অনেক’টা কাছে চলে যায়। তখন নিশি বলে ওঠে..

“নিশি : আরে আরিফা!

আরিফা’র নাম শুনে জিসান চমকে ওঠে সরে গেলে নিশি দেয় এক দৌড় আর জিসান ও দৌড়াতে থাকে নিশি’র পিছু পিছু।
নিশি দৌড়াতে দৌড়াতে একবারে বাড়ির ভিতরের দিকে চলে যায় যেখানে মানুষ অনেক কম থাকে।‌ নিশি অনেকটা দূর এসে পরে। পিছনে তাকিয়ে খুঁজতে থাকে জিসান’কে। এমন সময় কেউ হঠাৎ করেই নিশি’র হাত ধরে টান দেয়। নিশি’কে একটা অন্ধকার রুমে নিয়ে যায়। নিশি’র মুখে হাত দেওয়ার কারনে নিশি চেঁচাতে পারে না। সে নিশি’কে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে। নিশি’র কাছে তার ছোঁয়া খুব চেনা মনে হয়।‌
সে আস্তে আস্তে নিশি’র মুখ থেকে হাত’টা সরিয়ে নেয়। নিশি’র প্রথম মনে হয় এটা জিসান। তারপরও নিশি চেনার চেষ্টা করছে।‌ সে নিশি’র ঘাড়ে নিজের ঠোঁট দুটো বসিয়ে চুমু দিতে থাকে।‌ তার সমস্ত নিঃশ্বাস নিশি’র ঘাড়ে’র ওপর পরছে।‌ নিশি’র শরীর শিউরে উঠে। সে জমে যাচ্ছে। চাইলেও কথা বলতে পারছে না। হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে নিশি’র হঠাৎ করেই সেই লোক’টা নিশি’র ঘাড়ে জোর কামর বসিয়ে দেয়।‌ তারপর নিশি’র চুল গুলো ছেড়ে দিয়ে নিশি’র কানের কাছে গিয়ে “জান পাখি”বলে নিশি’কে ঘুরিয়ে দেয়।‌

চলবে….

( আজ আরো একটা পর্ব দেবো। বোনাস পার্ট )

আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/390721049316340/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here