গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_২১ ( বোনাস_পার্ট ) ( #crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান
সে নিশি’র ঘাড়ে নিজের ঠোঁট দুটো বসিয়ে চুমু দিতে থাকে। তার সমস্ত নিঃশ্বাস নিশি’র ঘাড়ে’র ওপর পরছে। নিশি’র শরীর শিউরে উঠে। সে জমে যাচ্ছে। চাইলেও কথা বলতে পারছে না। হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে নিশি’র হঠাৎ করেই সেই লোক’টা নিশি’র ঘাড়ে জোর কামর বসিয়ে দেয়। তারপর নিশি’র চুল গুলো ছেড়ে দিয়ে নিশি’র কানের কাছে গিয়ে “জান পাখি”বলে নিশি’কে ঘুরিয়ে দেয়।
নিশি ‘র ছোট ছোট চুল গুলো তার মুখের ওপর এসে পরে। নিশি অনুভব করছে সে চলে গেছে। নিশি’র এবার চমকে উঠে।
কি হচ্ছিল এতোক্ষণ তার সাথে? কে ছিল এটা? তার এমন অনুভূতি’র মানে কি? নিশান ছিল না তো। কিন্তু নিশান এখানে আসবে কি করে!
নিশি চিন্তায় পরে যায়। কোনে মতে দৌড়ে সেখান থেকে চলে আসতে গেলে ধাক্কা খায়। সামনে তাকিয়ে দেখে আরিফা!
“আরিফা : নিশি তুই এখানে আর তোর এই অবস্থা!
“নিশি : ক…ককি অবস্থা আমার সব তো ঠিক আছে। ( অস্থির হয়ে )
“আরিফা : হ্যাঁ হ্যাঁ সব ঠিক আছে শুধু তোর চুল গুলো ছাড়া। এটা তো খোঁপা বাঁধা ছিল!
“নিশি : ওহ্ হ্যাঁ আসলে খোঁপা মানাচ্ছিল না তাই..
“আরিফা : তা ঠিক এখন আরো বেশি সুন্দর লাগছে তোকে চল নিচে!
“নিশি : হুম।
.
আরিফা নিশি’কে নিচে নিয়ে যায় কিন্তু নিশি ভয়ে ভয়ে আছে কারন এখানে নিশানের উপস্থিতি আছে। তার মানে নিশান এখানে আছে। নিশি আড়চোখে বার বার এদিক ওদিক দেখছে।
জিসান নিশি’কে দেখে ওর কাছে আসে।
“জিসান : কিরে কোথায় ছিলি?
“নিশি : এইতো এখানে!
“জিসান : ( নিশি’র হাতে হাত রেখে ) ঠিক আছিস তুই!
“নিশি : ( নিজেকে শান্ত করে ) হুম।
.
জিসান কিছু বলতে যাবে তখন কেউ এসে জিসান’কে ডেকে নিয়ে যায়। নিশি এবার একা হয়ে যায় কারন এদিক ওদিক কিন্তু ভয়ের কারনে সে নিজ জায়গা থেকে সরতেই পারছে না। হাতের ওপর হাত রেখে শুধু ঘসতে থাকে।
কেউ একজন ওর ঘাড়ে হাত রাখলে নিশি চমকে ওঠে পিছনে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে..
“নিশি : কে কে..
“দিয়া : নিশি আমি দিয়া..
“নিশি : দিয়া তুই.. তুই এখানে কেন? তোর তো স্যার এর পার্টিতে যাবার কথা!
“দিয়া : আমার ও তো ওই একই প্রশ্ন তুই এখানে কেন? তুই না বললি আসবি না।
“নিশি : মানে…
.
এর মাঝেই সব লাইট অফ হয়ে একটি লাইট জ্বলে ওঠে। সে লাইটের আলোতে আহসান চৌধুরী’কে দেখা যাচ্ছে।সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে। নিশি ও কথা থামিয়ে তার দিকে তাকায়। আহসান চৌধুরী বলতে শুরু করে..
“আহসান : সবাইকে স্বাগতম এই সুন্দর সন্ধ্যায় আমাদের পার্টিতে আসার জন্য। অনেকেই জানেন এই পার্টি’টা আমাদের কোম্পানির সাথে খান্না কোম্পানির ডিল হয়েছে এই উপলক্ষে। কিন্তু আরেকটা কারন ও আছে যেটা আমি এখন অ্যানাউসমেন্ট করতে চলেছি!
( এতটুকু বলে একটু থামেন তিনি। সবার অপেক্ষা তার পরের কথা শুনবার। নিশি আগ্রহ নিয়ে আছে কি বলেন তিনি। তিনি আবার বলতে শুরু করল..)
আপনার সবাই জানেন আমার দুই ছেলে। আমার বিজনেস এখন আমার বড় ছেলে দেখছে। সে কিছুদিন আগেই বিদেশ থেকে পড়ালেখা শেষ করে এসেছে। আপনারা কেউ হয়তো তাকে এখনো চেনেন না কারন আমি তার সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেয় নি। আর সবচেয়ে খুশি’র সংবাদ এটাই যে খান্না’দের সাথে আমাদের কোম্পানির ডিল’টাও তার কারনেই হয়েছে। So everyone meet my eldest son Nishan Chowdhury.
ঠিক এমন সময় আরেক’টা লাইট জ্বলে ওঠে আর সেই আলোতে নিশান’কে দেখতে পায় সবাই। সবাই নিশান’কে দেখে হাততালি দিচ্ছে। কালো স্যুট, কালো টাই,হাতে ব্রেন্ডেট ওয়াচ। একজন ভদ্রমহিলাকে মহিলাকে হাত দিয়ে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকে। তার স্লিকি চুল গুলো বাতাসে উড়ছে আর মুখের চাপদাড়ি তার হাসি’র সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে। সবাই তাঁকে দেখতে ব্যস্ত শুধু একজনই তাকে দেখে চরম অবাক।
যে কল্পনা ও করে নি এখানে তাকে দেখবে সে পলকহীন ভাবে দেখেই যাচ্ছে নিশান’কে ।
নিশানের সাথে জিসান ও এসে ওই মহিলার হাত ধরেন। তখন দিয়া বলে ওঠে..
“দিয়া : উনি স্যার এর মা আরশিয়া চৌধুরী।
“নিশি : হু..
“দিয়া : বললাম উনি যার হাত স্যার ধর আছেন আরশিয়া চৌধুরী। আমাদের স্যার এর মা আর সাথের ছেলে’টা হয়তো উনার ছোটো ভাই। যাই হোক তুই এখানে কেন বললি না তো আর তুই এই ড্রেস’টা কিনে ফেললি।
“নিশি : ….. ( নিশ্চুপ )
“দিয়া : কিরে কিছু বল..
“নিশি : হ্যাঁ..
“দিয়া : কি হয়েছে তোর!
.
হুট করেই জিসান এসে নিশি’র হাত ধরে বলে..
“জিসান : মা তোকে ডাকছে চল..
“নিশি : হ্যাঁ মানে..
“জিসান : কি হ্যাঁ মানে করছিস চল.. এক্সকিউজ মি আপু আমি এখন ওকে একটু নিয়ে যাই। ( দিয়া’কে উদ্দেশ্য করে )
“দিয়া : ইট’স ওকে ভাইয়া নিয়ে যান ।
.
নিশি এখনও দাড়িয়ে থাকে। ওর মাথায় কিছুই ঢুকছে না।
“নিশি : জিসান কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমাকে। কি হচ্ছে এইসব। স্যার জিসানের বড় ভাই কিন্তু কিভাবে কি আমার মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না।
জিসান ওর হাত টেনে আরশিয়া চৌধুরী’র সামনে এনে দাঁড় করায় নিশি’কে। নিশি মাঝে দাঁড়ানো আর সাথে মেহেদী, আরিফা,রৌদ্দুর আছে।
নিশি আশপাশে তাকিয়ে নিশান’কে দেখতে না পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। তখন জিসান নিশি’কে হালকা খোঁচা দেয়। নিশি এবার সামনে তাকিয়ে দেখে আরশিয়া চৌধুরী তার দিকে তাকিয়ে আছে। নিশি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে..
“নিশি : আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি..
“আরশিয়া : অলাইকুমুসসালাম.. ( নিশি’র দিকে তাকিয়ে )
“জিসান : মম ও নিশি..
.
আরশিয়া চৌধুরী মুচকি হেসে নিশি’র থিতুনিতে হাত রেখে পিছনে তাকান। পিছনে নিশান সফট ড্রিক হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আরশিয়া চৌধুরী নিশানের দিকে তাকাতেই নিশান চোখ দিয়ে ইশারা করে বোঝায় “কেমন?
আরশিয়া চৌধুরী মুচকি হেসে নিশি’র দিকে তাকিয়ে বলেন…
“আরশিয়া : মাশাআল্লাহ দেখতে খুব মিষ্টি তুমি। বলতে হবে আমার ছেলে’র পছন্দ মন্দ না ( নিশানের দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় )
মায়ের ইশারা দেখে নিশান মুচকি হাসে। এদিকে জিসান বলে ওঠে..
“জিসান : কি মা তুমি ওদিক কি দেখছো? আমি এখানে..
জিসানের কথায় নিশি ও পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে নিশান দাঁড়িয়ে আছে। নিশি হাত পা কাঁপতে শুরু করে। সে অস্থির হয়ে পড়ে।
নিশান কাছে এসে জিজ্ঞেস করে..
“নিশান : তা আমাকে পরিচয় করিয়ে দিবি না!
“জিসান : ভাইয়া তুমিও না..
“নিশান : হাই আমি নিশান চৌধুরী। জিসানের বড় ভাই.. ( নিশি’র দিকে হাত বাড়িয়ে )
“নিশি : ( পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে )
“আরিফা : ( পাশ থেকে খোঁচা মেরে ) কি রে হাত বাড়িয়ে আছে..
“নিশান : মেইবি আপনি খুব শক মিস নিশি
“নিশি : হুহ.. ( হাত বাড়িয়ে )
“নিশান : ( নিশি’র হাত আলতো ভাবে ধরে ) ভালো লাগলো আপনার সাথে পরিচয় হয়ে! আশা করি আমাদের সম্পর্ক’টা দারুন হবে।
“নিশি : ( নিশ্চুপ )..
“আরিফা : তা ভাইয়া আপনার এরকম পছন্দ নেই!
“নিশান : ( মুচকি হেসে নিশি’র দিকে তাকায়। নিশি’র তো ভয়ে আত্না শুকিয়ে যায় )
“নিশি : ( মনে মনে ) আহা রে আমার বান্ধবী’টা এই রামছাগল’টার পছন্দ জানার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আর উনি! উনি আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছে কেন? কি বলবে!
“নিশান : আছে একজন!
“মেহেদী : আরে ব্রো কি বলো?
“রৌদ্দুর : ভাইয়ার পছন্দ কিন্তু অনেক ভালো!
“আরিফা : তাই নাকি..
“জিসান : হ্যাঁ মম বলে ভাইয়ার পছন্দ নাকি আমার থেকেও ভালো!
“নিশান : তা জানি না কিন্তু.. ( কিছু’টা থেমে ) আরে আরিয়ান!
.
নিশানের মুখে আরিয়ান নাম’টা শুনে আরিফা পেছনে তাকায়। দেখে আরিয়ান আর ইশা এসেছে। দু’জনে এক রঙের কাপল ড্রেস পরা। নিশান দৌড়ে গিয়ে আরিয়ান’কে জরিয়ে ধরে। নিশি আর আরিফা দুইজনে অবাক।
ইশা ও জরিয়ে ধরে নিশান’কে। নিশি এসব দেখে তো আরো অবাক!
“নিশি : আরে আরে এই মেয়ে’টার দেখি লজ্জা শরম কিছু নেই। কিভাবে সবার সামনে জরিয়ে ধরছে। ( মনে মনে )।
.
নিশান আরিয়ান’কে নিয়ে সবার সামনে আসে।
“নিশান : মিট আরিয়ান। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড!
“নিশি : চিনি আমাদের Math teacher.
“নিশান : ওহ্ দারুন তো!
“আরিফা : ( আরিয়ান এর দিকে একনজর তাকিয়ে ) তা জিসান তুই কখনো আমাদের এইসব বললি না তোর ভাইয়ের কথা!
“জিসান : না আসলে সেরকম ভাবে কখনো এই বিষয় নিয়ে আমাদের কথা হয় নি তাই আর কি!
“নিশি : নিশি তুই তো শেষ। ( মনে মনে )
.
নিশি,জিসান,আরিফা, রৌদ্দুর, মেহেদী এক সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। তার বিপরীতে নিশান আর আরিয়ান হাতে ড্রিক নিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। নিশান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু নিশি’কে দেখছে। নিশি সেটা খেয়াল করছে আর আড়চোখে দেখছে নিশান তাকেই দেখছে।
আরিফা হুট করেই নিশি’র ঘাড়ে হাত রেখে বলল..
“আরিফা : নিশি তোকে কামড় দিলো কে!
“নিশি : ( আরিফা’র কথায় চমকে ওঠে। সাথে সাথে চোখ পরে নিশানের দিকে। নিশান ওর দিকেই তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে দাঁত দিয়ে ঠোট কামড়ে ধরে। নিশি’র আজ বুঝতে বাকি রইল না তখন’কার ওই কাজ’টা নিশানের। )
আরে কামড় না এমনেই! ( চুল দিয়ে ঢেকে)
“আরিফা : কিন্তু এটা তো!
“নিশি : চুপ কর তো চল ওই দিকে যাই ( আরিফা’র হাত ধরে টেনে সেখান থেকে সরে গিয়ে )
.
নিশি আরিফা’কে ধরে যাবার সময় ওয়টার এর সাথে ধাক্কা খায়। ওর জামায় একটু ড্রিক পরে যায়। এসব দেখে আরশিয়া চৌধুরী বলেন…
“আরশিয়া : ইশ তোমার ড্রেস’টা! তুমি ওপরে সামনের রুম’টায় চলে যাও। সেখানে ওয়াসরুম এ গিয়ে এটা পরিষ্কার করে আসো।
“নিশি : ঠিক আছে আন্টি!
.
নিশি আরিফা’কে নিয়ে চলে যায় ওই রুমে। ওয়াসরুম থেকে ড্রেস পরিষ্কার করে এসে দেখে আরিফা রুমে নেই।
“নিশি : আরে এই মেয়েটা গেলো কোথায়। পাই একবার শাকচুন্নী’টা কে বুঝিয়ে দেবো মজা আমাকে একা রেখে চলে গেলো।
.
নিশি’র চোখ পরে সামনে থাকা আয়নাতে। পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে তাকে আয়নাতে। নিশি আয়নাযর সামনে দাঁড়িয়ে..
“নিশি : ইশ নিশি কি সুন্দর লাগছে তোকে। বলতে হবে এই ড্রেস’টা শুধু তোকেই মানায়। ড্রেস’টার মালিকের পছন্দ আছে বলতে হবে।
“নিশান : সুন্দর ড্রেস’টার মতো জান পাখি আমার’ই পছন্দ। আসলেই আমার পছন্দ কিন্তু অনেক ভালো। এই ( পেছন থেকে )
“নিশি : ( আয়নাতে নিশান’কে দেখে আর ওর কথা শুনে ) আ…আপ…আপনি!
“নিশান : ড্রেস’টা অনেক পছন্দ হয়েছে!
“নিশি : ড্রেস’টা আপনি দিয়েছেন!
“নিশান : তোমার কি মনে হয়..
“নিশি : আপনার সাহস হয় কিভাবে এরকম’টা করার..
“নিশান : কি করলাম…
“নিশি : আপনি এমন’টা কেন করছেন! ( ঘাড়ে’র দিকে ইশারা করে )
“নিশান : তুমি চুল কেন বেধেছো তাই!
“নিশি : ( রিলেক্স নিশি রিলেক্স ভালো মতো কথা বলে পালা না হলে তোকে যেতে দেবে না ) তাই বলে আপনি এমন করবেন ( হাঁটতে হাঁটতে )
“নিশান : বাহ রে আমার সম্পত্তি আমি তা ইচ্ছা করি তোমার কি! ( হাঁটতে হাঁটতে )
“নিশি : মানে ( দরজার সামনে এসে )
“নিশান : এটাই যে..
“নিশি : কচু ( দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে )
“নিশান : এই যা চলে গেলো। দেখবো জান পাখি কতোক্ষণ তুমি এভাবে পালিয়ে বাঁচো।
.
নিশি দৌড়ে নিচে চলে আসে তখন জিসান ওর সামনে দাঁড়িয়ে..
“জিসান : কোথায় ছিলি জানিস কতো খুঁজছিলাম!
“নিশি : এই এখানে…
“জিসান : আরে ভাইয়া। তুমি এখানে ( পেছনে তাকিয়ে)
“নিশি : ( পিছনে তাকিয়ে )
“জিসান : এখানে এসো গান গাইবে এখন তুমি ( হাত ধরে টেনে )
“নিশান : এখন..
“জিসান : অ্যানাউসমেন্ট করা হয়ে গিয়েছে শুধু তোমাকে খুঁজছিলাম। এই নাও গিটার।
.
নিশান গিটার’র নিয়ে গান গাইতে শুরু করে। তখন লাইটের আলো কমিয়ে দাওয়া হয়। একে একে সবাই কাপল নিয়ে নাচতে আসে। নিশি আর জিসান খুব ক্লোজ হয়ে নাচতে থাকে। এদিকে আরিয়ান ইশা’কে নিয়ে নাচতে থাকে। রৌদ্দুর আরিফা’কে নিয়ে নাচতে থাকে। আহ্সান আর আরশিয়া চৌধুরী নাচতে থাকে। মেহেদী এসে দিয়া’কে নাচার জন্য অফার করে।
Khamoshiyan aawaaz hain
Tum sun’ne to aao kabhi
Chhukar tumhe khill jaayengi
Ghar inko bulaao kabhi
Beqarar hain baat karne ko
Kehne do inko zaraa..
Khamoshiyan.. teri meri khamoshiyan
Khamoshiyan.. lipti hui khamoshiyan
Kya uss gali mein kabhi tera jaana hua
Jahaan se zamaane ko guzre zamaana hua
Mera samay toh wahin pe hai thehra hua
Bataaun tumhe kya mere sath kya kya hua
Khamoshiyan ek saaz hai
Tum dhun koi laao zaraa
Khamoshiyan alfaaz hain
Kabhi aa gunguna le zara
Beqarar hain baat karne ko
Kehne do inko zaraa.. haa..
জিসান নিশি’র কোমরে হাত দিয়ে নাচতে থাকে। নিশান ঘুরে ঘুরে গান গায় আর নিশি’কে দেখতে থাকে। নিশিও নিশানের দিকে তাকায় আবার চোখ সরিয়ে নেয়।
আরিফা নাচছে আর আরিয়ান’কে দেখছে। আরিয়ান পুরো নাচই আরিফা’কে দেখে নাচতে থাকে।
Khamoshiyan.. teri meri khamoshiyan
Khamoshiyan.. lipti hui khamoshiyan
Nadiya ka paani bhi khamosh behta yahaan
Khili chandani mein chhipi lakh khamoshiyan
Baarish ki boondon ki hoti kahaan hai zubaan
Sulagte dilon mein hai khamosh uthta dhuaan
Khamoshiyan aakaash hai
Tum udne toh aao zara
Khamoshiyan ehsaas hai
Tumhe mehsoos hoti hai kya
Beqarar hain baat karne ko
Kehne do inko zara.. haa..
Khamoshiyan.. teri meri khamoshiyan
Khamoshiyan.. lipti hui khamoshiyan
গান শেষে লাইট নিভে যায়। হঠাৎ করেই কেউ আর নিশি’কে খুঁজে পায় না। কিন্তু নিশান সেখানেই থাকে।
চলবে…..
আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/391413662580412/