অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_২৪

গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_২৪ ( #crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান

নিশি তো খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে। কারন উনি তো আরশিয়া চৌধুরী তার মানে জিসান’র জন্য এসেছে। তাহলে তার এরকম অনুভূতি’র কারন কি। আচ্ছা আরশিয়া চৌধুরী কার জন্য দেখতে এসেছেন নিশি’কে।

আরশিয়া চৌধুরী বসা থেকে উঠে এসে নিশি’র সামনে দাঁড়ান। পাশ থেকে রায়হান আহমেদ বলে ওঠেন..

“রায়হান : আমাদের একমাত্র মেয়ে নিশিতা আহমেদ নিশি। মামনি সালাম করো!

“নিশি : আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি।

“আরশিয়া : ( নিশি’র থিতুনি ‌ধরে মুচকি হেসে ) মেয়ে নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আন্টি না আম্মু বলে ডাক মামনি ( নিশি’র মাথায় হাত রেখে )

“নিশি : ( মুচকি হেসে মাথা নিচু করে )

“রায়হান : আলহামদুলিল্লাহ শুনে ভালো লাগল। বসুন আপনি।
.
ফারহানা বেগম রান্না ঘর থেকে খাবার আনছেন। তার সাথে আরো একজন তার কাজে সাহায্য করছে।‌ফারহানা বেগম তাকে মানা করছে। নিশি এসব কিছু পিছন থেকে শুনতে পারছে। কিন্তু এখন তো আর পিছনে তাকানো যায় না। আচ্ছা পেছনে কে জিসান তো!

আরশিয়া বেগম নিশি’কে পাশে বসালেন। তারপর ওর হাতের উপর হাত রাখলেন।
ফারহানা বেগম ট্রে তে করে খাবার এনে সামনে রেখে বললেন..
“ফারহানা : আপনার ছেলে’টা আমাকে কোনো কাজ’ই করতে দিচ্ছে না। ও মেয়ে দেখতে এসেছে‌ নাকি নিজেকেই দেখাতে এসেছে বুঝে ওঠতে পারছি না।

“আরশিয়া : তাহলে বলুন আপনাদের সাথে মিশতে পেরেছে..

“রায়হান : তা আর বলতে!

“ফারহানা : দেখুন না আমাকে রান্না ঘর থেকে বের করে দিয়ে কি করছে কে জানে!

“আরশিয়া : সমস্যা কি মেয়ের জামাই তো ছেলের চেয়ে কম কি!

“ফারহানা : না মেয়ের জামাই থেকে নিজের ছেলে বেশি মনে হচ্ছে।

ফারহানা’র কথায় সবার হাসছে। খুব ভালো একটা মূহুর্ত । কিন্তু নিশি আর আরিফা কিছু’ই বুঝতে পারছে না। কে এসেছে। কার কথা বলছে সবাই। নিশি’র আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো তার সাথে তার অনুভূতি গুলোও।
নিশি চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো। কেন জানি ওর হার্টবিট আবার বাড়ছে। এক হাতের উপর আরেকহাত মুঠ চেপে ধরে আছে। শরীর শিউরে উঠতে লাগলো। ফারহানা বেগম এর আওয়াজে চোখ খুলে নিশি। আর চোখে খুলে সামনে যা দেখল তাতে তর চোখ কপালে উঠে গেল।
হাতের মিষ্টির ট্রে নিয়ে তার দিকে কিছু’টা ঝুঁকে দাঁড়িয়ে আছে নিশান। নিশান তাকিয়ে নিশি’কেই দেখছে। আরিফা’র হাত থেকে পানির গ্লাস’টা ধপাস করে নিচে পরে গেলো।‌এতে ঘোর কাটলো সবার। নিশি আর আরিফা দুজনেই দাঁড়িয়ে গেল। এতো বড়ো শক’টা নিতে পারে নি কেউই।
.
ফারহানা : আরিফা ঠিক আছিস তুই। দেখি দেখি পর এখান থেকে শেষে হাত পা কেটে ফেলবি!

“আরিফা : নিশি’রে কি হয়ে গেল ( বিড় বিড় করে )

“নিশি : ….. ( নিশ্চুপ )

“আরিফা : কিরে কথা বলছিস না কেন ( খোঁচা মেরে )

“নিশি : …. ( নিশ্চুপ )
.
নিশি দাঁড়িয়ে আছে নিশানের সামনে।‌ চেয়ে আছে তার দিকে নিশান ও তাকিয়ে আছে। নিশানের মুখে একটা মুচকি হাসি কিন্তু নিশি মুখে যেন‌ ভয়ের ছাপ।
.
“ফারহান : কিরে তোরা দুজন এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন ভুত দেখার মতো।

“রায়হান : মামনি…

“নিশি : বাপি উনি…

“রায়হান : এতো অবাক হবার কি আছে। তুমি ওকে চিনো। ওর অফিসেই তো জব করো। বিয়ের প্রস্তাব’টা অনেক আগেই ও আমাকে দিয়েছে কিন্তু ও চাইলো তোমাকে আরো ভাল করে জানবে তাই আমি তোমাকে ওর অফিসে জব করতে পাঠালাম আর আমার মনে হয় তোমরা এখন দুইজন দুইজনকে ভালো করে চিনো গেছো কি নিশান!

“নিশান : জ্বি আংকেল আমার জানা হয়ে গেছে..

“নিশি : ( রায়হান এর কথা শুনে তো ‌চরম অবাক। মানে কি বিয়ের প্রস্তাব! তাহলে উনি প্ল্যান করেই আমাকে নিজের অফিসে জব করিয়েছেন এতো কিছু। না এভাবে কি করে হয়। ) কিন্তু বাপি..

“রায়হান : হ্যাঁ বলো!

“নিশান : মনে হয় ও একটু শক পেয়েছে!

“আরিফা : একটু না অনেক পেয়েছে..

“রায়হান : হ্যাঁ তা হতে পারে। তোমরা চাইলে আলাদা ভাবে কথা বলতে পারো!

“নিশান : জ্বি আংকেল!

“নিশি : কি মানে…

“আরিফা : চুপ চুপ! সব হাতের বাইরে কিছু বলিস না। ( নিশি’কে খোঁচা দিয়ে )

“নিশান : নিশি চলো!

“নিশি : আমি বলছিলাম কি..

“আরিফা : নিশি আমিও যাই তোর সাথে..

“নিশান : হ্যাঁ চলো!

“ফারহানা : তোর যাবার দরকার কি! ওরা তো একে‌রকে চিনে।

“নিশান : সমস্যা নেই আন্টি। আরিফা চলো তুমি!

“নিশি : এতো ফ্রিলি কথা বলছে কিভাবে উনি ( বির বির করে )
.
আরিফা নিশি’কে নিয়ে ওর রুমে দিকে যেতে নেয় আর দেখে আরিয়ান দাঁড়িয়ে আছে।
“আরিফা : আপনি..

“নিশান : ছেলে পক্ষ থেকে এসেছে আমার সাথে। তুমি যাও নিশি’কে নিয়ে…
আরিফা আরিয়ান কে এতো টাও অবাক হয় না কারন টা নিশি আগেই বলেছে কারন নিশান এখানে। আরিফা নিশি কে রুমে যাচ্ছে আর পেছন পেছন নিশান আর আরিয়ান আসছে।
রুমে ঢুকেই নিশি খাটের এপর পা তুলে বসে হাতের নখ কামড়াতে থাকে। আরিফা এসে ধপাস করে চেয়ারে বসে পরে।

“”নিশি : এটা কি ছিল..

“আরিফ : ঝড়ের পূর্বাভাস..

“নিশি : মানে..

“নিশান : আসবো ( দরজা নক করে )

“নিশি : ( দাঁড়িয়ে ) না না আসার দরকার নেই। আমি এই বিয়ে করছি না আপনারা চলে যান। ( এক দমে কথা গুলো বলে)
.
নিশান দরজায় হেলান দিয়ে নিশি’র দিকে তাকিয়ে আরিফা’র দিকে তাকায়। আরিফা ওঠে চলে যায়। নিশি চলে যেতে নিশান দরজায় হাত দিয়ে নিশি’কে আটকায়। নিশি এক পা পিছনে যায়।
“নিশি : কি করছেন আপনি এইসব। আপনি জানেন কাল জিসান আমাকে বিয়ের প্রোপজাল দিয়েছে। ( হাত দেখিয়ে ) এই দেখুন রিং আমি একসেপ্ট ও করেছি আপনি চলে যান এখান থেকে।
.
নিশান নিশি’র কথার উওর না দিয়ে ওর কাছে আসতে থাকে। নিশি পিছুতে থাকে। একসময় নিশি’র পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যায় কিন্তু নিশান তাও আগাতে থাকে।
নিশান নিশি’র অনেক কাছে এসে দেওয়ালে এক পাশে হাত রাখে। তারপর নিশি’র দিকে তাকায়। নিশি আবারও বলতে শুরু করে…

“নিশি : এইসব কি! আপনি কি করতে চাইছেন এইসব। বলছেন না কেন?

“নিশান : …. ( নিশ্চুপ। শুধু নিশি’কে দেখে যাচ্ছে )

“নিশি : কিছু জিজ্ঞেস করছি আমি বলছেন না কেন? আপনি এখানে কেন আর আন্টি বা এইসব কি বলছে!

“নিশান : ( নিশির কোমর ধরে নিজের কাছে টেনে ওর গালে হাত দিয়ে স্লাইড করতে করতে) তুমি অধিকার দেখাতে বলেছিলে না জান পাখি! সেটাই করছি!

“নিশি : ( ছটফট করতে করতে ) ছাড়ুন আমাকে!

“নিশান : ছাড়বো কিন্তু তার আগে আমার কথা শোন। সুন্দর মতো নিচে গিয়ে বলবে তুমি বিয়েতে রাজি। বুঝলে জান পাখি!

“নিশি : কোনমতে না আমি আপনাকে বিয়ে করবো..
.
কিছু বলার আগেই নিশান নিশি’র ঠোঁট দুটো আঁকড়ে ধরে। নিশি নিশান’কে কিল ঘুষি মারতে থাকে কিন্তু নিশান নিশি’কে ছাড়ছে না।
কিছুক্ষণ পর নিশান নিজেই নিশি’কে ছেড়ে দেয়। নিশি হাঁপাতে থাকে। নিশান নিশি’র গালে হাত রেখে বলে…

“নিশান : বিয়ে তো তুমি আমাকেই করবে জান পাখি! জোর করে হলেও করবে। কিন্তু আমাকেই করবে। আর নিচে গিয়ে সবাই’কে হ্যাঁ ও বলবে। কোনো চালাকি করার চেষ্টা করো না। তাহলে বিয়ে ছাড়াই বাসর করবো আমি তোমার সাথে। বুঝলে জান পাখি…( ফিসফিসিয়ে )।

নিশি আর কিছু বলে না চুপচাপ নিশানের কথা শুনতে থাকে। আরিফা নিশি’র পিছু পিছু আসে। নিশান নিশি’র হাত ধরে নিচে নিয়ে আসে সবার সামনে। রায়হান নিশি’র দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করে। নিশি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে। সবাই জোরে হেসে ওঠে।
.
রেগে ড্রাইভ করে বাড়িতে ঢুকছে জিসান। ডয়িংরুমে আহসান আর আরশিয়া চৌধুরী বসে আছেন। জিসান বাড়িতে ঢুকেই আরশিয়া চৌধুরী’র সামনে দাঁড়িয়ে…

“জিসান : কেন করলে তুমি এরকম’টা ( রেগে )

“আহসান : জিসান ভদ্র ভাবে কথা বলো। কার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছো তুমি। আর হয়েছে টা কি?

“জিসান : জিজ্ঞেস করো তুমি মম কে। উনি কেন এরকম’টা করেছেন আমার সাথে!

“আহসান : কি করেছে…

“”জিসান : কি হলো কিছু বলছোনা কেন তুমি! তুমি কিভাবে পারলে এমন’টা করতে। তুমি জানো আমি কতটা ভালোবাসি নিশি’কে। তুমি কিভাবে পারো ওর সাথে ভাইয়ার বিয়ে ঠিক করতে..

“আহসান : জিসান ( ধমক দিয়ে ) কি বলছো তুমি এইসব। মাথা ঠিক আছে তোমার!

“জিসান : আমি যা বলেছি সত্যি বলছি বিশ্বাস না হলে তুমি জিঙ্গেস কর মম কে

“আহসান : আরশিয়া…

“আরশিয়া : ( দাঁড়িয়ে ) হ্যাঁ নিশি’র সাথে আমি নিশানের বিয়ে ঠিক করেছি আর সেটা ৩ দিন পর..

“আহসান : কিন্তু কেন?

“আরশিয়া : আমার কাছে এটাই ঠিক মনে হয়েছে..

“জিসান: বাহ্ নিজের ছেলের চাইতে পরের ছেলে’র প্রতি তোমার দরদ যে নিজে’র ছেলের পছন্দ করা মেয়েকে পরের ছেলের সাথে বিয়ে দিচ্ছো।

“আরশিয়া : জিসান ( ধমক দিয়ে ) পরের ছেলে পরের ছেলে কেন করছো। ভুলে যেও না ও তোমার বড় ভাই। আর আমার বড় ছেলে।

“জিসান : তুমি এটা করতে পারো না মম। আমি ভালোবাসি নিশি কে।

“আরশিয়া : আমার কাছে এটলিছ মিথ্যে বলো না তুমি। সত্যি টা জানি আমি। আমার’ই ভুল হয়েছে। ছোটবেলা থেকে তোমাকে মাথায় তুলে। সব আবদার মেনেছি তোমার। কী দেয় নি বলো তো। কিন্তু তোমার চোখ সবসময় নিশানের জিনিসের ওপর থাকতো। যেটা নিশান নিতো ওটাই তোমার চাই। সেটা কিনে দিলে হবে না নিশানের’টাই চাই। এরকম চাইতে চাইতে তুমি এরকম পর্যায়ে আসবে এটা ভাবি নি আমি…

“জিসান : মম…

“আরশিয়া : আর একটা কথা ও না। নিশান বিয়ের কেনাকাটা করতে গেছে আমি চাই না ওর এসে এইসব জানুক।

“জিসান : ঠিক আছে তুমি তাহলে থাকো নিশান কে নিয়ে গেলাম আমি। ( বলেই গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায় )

আহসান : জিসান… আরশিয়া কাজটা কি তুমি ঠিক করলে…

“আরশিয়া : ভুলে যেও না নিশান আমার বড় বোনের ছেলে। বোন মারা যাওয়ার আগে আমাকে নিশান কে দেখতে বলেছিলো যার কারনে তোমাকে বিয়ে করি আমি। এতো দিন আমার বড় ছেলে নিঃস্বার্থ ভাবে জিসানের সব আবদার মেনে নিয়েছে কিন্তু এবার এটা হবে না। তুমি জানো সেদিন রাতে আমার ছেলে আমার কাছে এসে অনেক কেঁদেছিলো । জিসান এরকম একটা কিছু করবে আমি ভাবে নি। কিন্তু এখন যখন সব ঠিক করার একটা সুযোগ পেয়েছি আর না।

“আহসান : আমি বিশ্বাস করি তোমাকে। তুমি যা করবে সেটা নিশানের ভালোর জন্যই করবে।
.
দেখতে দেখতে ২ দিন কেটে গেছে। কাল নিশি আর নিশানের বিয়ে।‌নিশি খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ করে দিয়েছে। বাপি কে কিছু বলতে পারছে না ভয়ে আর জিসান ও মানতে চাইছে না।
কিছুক্ষণ আগে জিসান ফোন করে সুইসাইড করবে জানিয়েছে। নিশি বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ফোন করে যাচ্ছে জিসান কে। কিন্তু ফোন তুলছে না জিসান। নিশি এবার চিন্তায় কেঁদে ফেলে। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি ওঠে গেছে তার। হঠাৎ কারো স্পর্শ পায় ঘাড়ে। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে ফারহানা দাঁড়িয়ে আছে। নিশি আর না পেরে ফারহানা’কে জরিয়ে ধরে সব বলে দেয়।

এদিকে একের পর এক ড্রিক করে যাচ্ছে জিসান। মেহেদী আর রৌদ্দুর তাকিয়ে দেখছে। রাগ টা এটা না নিশিকে হারিয়ে ফেলবে। রাগ হলো নিশান নিশি কে বিয়ে করবে।

“মেহেদী : কি করছিস জিসান থাম এবার।

“রৌদ্দুর : এমন কেন করছিস তুই। নিশি কে তো আর ভালোবাসিস না তাহলে এরকম ছেকা খাওয়ার মতো কেন করছিস!

“জিসান : জিসান কখনো হারে না। জিসান চেয়েছে নিশি জিসানের হবে তো জিসানের’ই হবে।

“মেহেদী : কিন্তু কিভাবে কাল নিশি’র বিয়ে।

জিসান কিছু বলতে যাবে তখন একটা মেসেজ আসে জিসানের কাছে।‌ জিসান মেসেজ টা পরে একটা বাঁকা হাসি দিয়ে বলে…
– কাজ হয়ে গেছে।

বিয়ের দিন….
বরযাত্রী এসে পরেছে। ফারহানা নিশান কে বরন করে ভিতরে নিয়ে আসে। স্টেজে বসানো হয় নিশান কে। সব ঠিকঠাক”ই চলছিল। হঠাৎ করেই আরিফা দৌড়ে এসে বলে নিশি কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এখবর শুনে রায়হান আহমেদ বুকে হাত দিয়ে বসে পরেন। ফারহানা বেগম তাকে সামলান। নিশান দাঁড়িয়ে পরে। চারদিকে নিস্তব্ধতা। নিশান স্টেজ থেকে নেমে ফারহানা বেগম’র কাছে এসে মুচকি হেসে বলে…
– আপনার মেয়ের জামাই তো আমি’ই হবো মা।
( বলেই হন হন করে বেরিয়ে যায় নিশান)

চলবে…..
আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/392096149178830/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here